আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। ক্ষুধার্তের যাতনা উপলব্ধির মাস। অন্যের প্রতি সদয় ও সহমর্মিতার মাস। সর্বোপরি মহান রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়ার মাস। হাদিসে রোজাদারদের জন্য দুটো পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। যার একটি হলো ইফতার। হাদিসের ভাষায়, ‘রোজাদারের জন্য দুটো আনন্দ: একটি ইফতার, অন্যটি রবের সাক্ষাৎ।’ (তিরমিজি: ৭৬৬)
সত্যিই ইফতার এক আনন্দময় মুহূর্ত। সারা দিনের ক্লান্তি নিমেষেই দূর হয়ে যায় ইফতারের সময়। প্রফুল্লতায় ভরে যায় দেহমন। একটি খেজুর অথবা এক চুমুক শরবতে হৃদয়ে যে প্রশান্তি নেমে আসে, তার তুলনা হয় কি? ইফতার করার মাধ্যমে যেমন ক্লান্তি–অবসাদ দূর হয়, তেমনি হালকা হয় গুনাহের বোঝা। হাদিসে এসেছে, ইফতারের আগ মুহূর্ত দোয়া কবুলের উত্তম সময়।
ইফতারের আরও বহু ফজিলত রয়েছে। এই ফজিলত আমরা নিজেরা ইফতার করে যেমন অর্জন করতে পারি। তেমনি অন্যকে ইফতার করানোর মাধ্যমেও পেতে পারি। একজন রোজাদার দিনভর রোজা রেখে যে নেকি অর্জন করবেন, সমপরিমাণ নেকি আমাদেরও অর্জিত হবে, যদি সেই রোজাদারকে ইফতার করাই। এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা যায়? তাই তো ইফতার করানোর পুণ্যময় সংস্কৃতি এখনো বিদ্যমান।
আমাদের দেশে এই সংস্কৃতি বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনায় পালিত হয়। রমজানে মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন করপোরেট অফিস, দোকানপাটে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে সবাই মিলেমিশে ইফতার করেন। একে অন্যের কল্যাণ ও মাগফিরাতের দোয়া করেন। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশীরা একে অন্যের বাড়িতে ইফতারি পাঠান। বিভিন্ন সেবামূলক সংস্থা পথচারী ও ছিন্নমূলদের ইফতারির ব্যবস্থা করে।
দেশে দেশে জারি থাকা এই সংস্কৃতির রয়েছে নানা নাম ও বৈচিত্র্য। আমাদের দেশের ‘ইফতার’ ব্রুনেইয়ে পরিচিত ‘সোংকাই’ নামে। ইন্দোনেশিয়ায় ইফতারকে বলা হয় ‘বুকা পুয়াসা’। এমনিভাবে ইফতারকে মালদ্বীপে ‘রোয়াদা ভিলান’ আর দুবাইয়ে বলা হয় ‘মেজে’। নামের সঙ্গে সঙ্গে উপাদানেও রয়েছে ভিন্নতার আমেজ। আমরা মুড়ি, ছোলা বুট, পেঁয়াজু ইত্যাদি তেলেভাজা দিয়ে ইফতার করলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইফতার করা হয় কোনাফা, ত্রোম্বা, বিরিয়ানি, চিকেন রোল ও নানা রকম হালুয়া দিয়ে। থাকে সালাদ, স্যুপ, দুধ–দই ও বড় বড় রুটি। ভিন্নতা রয়েছে পশ্চিমের দেশগুলোর ইফতারেও। তবে সকল দেশ ও অঞ্চলেই খেজুরের প্রাধান্য রয়েছে।
খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। নবী (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।’ (তিরমিজি: ৬৩২)
স্থান–কাল–পাত্র ভেদে আয়োজন ও উপাদানে ভিন্নতা থাকলেও আমাদের সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিন্তু এক। আর তা হলো, মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জন। এর জন্য খুব বেশি টাকা–পয়সা বা মেহনতের প্রয়োজন পড়ে না। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এতে রোজাদারের সওয়াব কমানো হবে না।’ (তিরমিজি: ৮০৭)
এই বাণী শুনে সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের মধ্যে সবার তো রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই।’ জবাবে নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে কেউ কোনো রোজাদারকে একটি খেজুর দিয়ে বা পানি পান করিয়ে অথবা এক ঢোক দুধ দিয়ে ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ তাকে এই সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়াবে, মহান আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন আমার হাউস থেকে এমন শরবত পান করাবেন, জান্নাতে প্রবেশের আগে তার আর পিপাসা লাগবে না।’ (শুআবুল ইমান: ৩৩৩৬)
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। ক্ষুধার্তের যাতনা উপলব্ধির মাস। অন্যের প্রতি সদয় ও সহমর্মিতার মাস। সর্বোপরি মহান রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়ার মাস। হাদিসে রোজাদারদের জন্য দুটো পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। যার একটি হলো ইফতার। হাদিসের ভাষায়, ‘রোজাদারের জন্য দুটো আনন্দ: একটি ইফতার, অন্যটি রবের সাক্ষাৎ।’ (তিরমিজি: ৭৬৬)
সত্যিই ইফতার এক আনন্দময় মুহূর্ত। সারা দিনের ক্লান্তি নিমেষেই দূর হয়ে যায় ইফতারের সময়। প্রফুল্লতায় ভরে যায় দেহমন। একটি খেজুর অথবা এক চুমুক শরবতে হৃদয়ে যে প্রশান্তি নেমে আসে, তার তুলনা হয় কি? ইফতার করার মাধ্যমে যেমন ক্লান্তি–অবসাদ দূর হয়, তেমনি হালকা হয় গুনাহের বোঝা। হাদিসে এসেছে, ইফতারের আগ মুহূর্ত দোয়া কবুলের উত্তম সময়।
ইফতারের আরও বহু ফজিলত রয়েছে। এই ফজিলত আমরা নিজেরা ইফতার করে যেমন অর্জন করতে পারি। তেমনি অন্যকে ইফতার করানোর মাধ্যমেও পেতে পারি। একজন রোজাদার দিনভর রোজা রেখে যে নেকি অর্জন করবেন, সমপরিমাণ নেকি আমাদেরও অর্জিত হবে, যদি সেই রোজাদারকে ইফতার করাই। এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা যায়? তাই তো ইফতার করানোর পুণ্যময় সংস্কৃতি এখনো বিদ্যমান।
আমাদের দেশে এই সংস্কৃতি বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনায় পালিত হয়। রমজানে মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন করপোরেট অফিস, দোকানপাটে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে সবাই মিলেমিশে ইফতার করেন। একে অন্যের কল্যাণ ও মাগফিরাতের দোয়া করেন। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশীরা একে অন্যের বাড়িতে ইফতারি পাঠান। বিভিন্ন সেবামূলক সংস্থা পথচারী ও ছিন্নমূলদের ইফতারির ব্যবস্থা করে।
দেশে দেশে জারি থাকা এই সংস্কৃতির রয়েছে নানা নাম ও বৈচিত্র্য। আমাদের দেশের ‘ইফতার’ ব্রুনেইয়ে পরিচিত ‘সোংকাই’ নামে। ইন্দোনেশিয়ায় ইফতারকে বলা হয় ‘বুকা পুয়াসা’। এমনিভাবে ইফতারকে মালদ্বীপে ‘রোয়াদা ভিলান’ আর দুবাইয়ে বলা হয় ‘মেজে’। নামের সঙ্গে সঙ্গে উপাদানেও রয়েছে ভিন্নতার আমেজ। আমরা মুড়ি, ছোলা বুট, পেঁয়াজু ইত্যাদি তেলেভাজা দিয়ে ইফতার করলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইফতার করা হয় কোনাফা, ত্রোম্বা, বিরিয়ানি, চিকেন রোল ও নানা রকম হালুয়া দিয়ে। থাকে সালাদ, স্যুপ, দুধ–দই ও বড় বড় রুটি। ভিন্নতা রয়েছে পশ্চিমের দেশগুলোর ইফতারেও। তবে সকল দেশ ও অঞ্চলেই খেজুরের প্রাধান্য রয়েছে।
খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। নবী (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।’ (তিরমিজি: ৬৩২)
স্থান–কাল–পাত্র ভেদে আয়োজন ও উপাদানে ভিন্নতা থাকলেও আমাদের সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিন্তু এক। আর তা হলো, মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জন। এর জন্য খুব বেশি টাকা–পয়সা বা মেহনতের প্রয়োজন পড়ে না। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এতে রোজাদারের সওয়াব কমানো হবে না।’ (তিরমিজি: ৮০৭)
এই বাণী শুনে সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের মধ্যে সবার তো রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই।’ জবাবে নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে কেউ কোনো রোজাদারকে একটি খেজুর দিয়ে বা পানি পান করিয়ে অথবা এক ঢোক দুধ দিয়ে ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ তাকে এই সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়াবে, মহান আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন আমার হাউস থেকে এমন শরবত পান করাবেন, জান্নাতে প্রবেশের আগে তার আর পিপাসা লাগবে না।’ (শুআবুল ইমান: ৩৩৩৬)
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। ক্ষুধার্তের যাতনা উপলব্ধির মাস। অন্যের প্রতি সদয় ও সহমর্মিতার মাস। সর্বোপরি মহান রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়ার মাস। হাদিসে রোজাদারদের জন্য দুটো পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। যার একটি হলো ইফতার। হাদিসের ভাষায়, ‘রোজাদারের জন্য দুটো আনন্দ: একটি ইফতার, অন্যটি রবের সাক্ষাৎ।’ (তিরমিজি: ৭৬৬)
সত্যিই ইফতার এক আনন্দময় মুহূর্ত। সারা দিনের ক্লান্তি নিমেষেই দূর হয়ে যায় ইফতারের সময়। প্রফুল্লতায় ভরে যায় দেহমন। একটি খেজুর অথবা এক চুমুক শরবতে হৃদয়ে যে প্রশান্তি নেমে আসে, তার তুলনা হয় কি? ইফতার করার মাধ্যমে যেমন ক্লান্তি–অবসাদ দূর হয়, তেমনি হালকা হয় গুনাহের বোঝা। হাদিসে এসেছে, ইফতারের আগ মুহূর্ত দোয়া কবুলের উত্তম সময়।
ইফতারের আরও বহু ফজিলত রয়েছে। এই ফজিলত আমরা নিজেরা ইফতার করে যেমন অর্জন করতে পারি। তেমনি অন্যকে ইফতার করানোর মাধ্যমেও পেতে পারি। একজন রোজাদার দিনভর রোজা রেখে যে নেকি অর্জন করবেন, সমপরিমাণ নেকি আমাদেরও অর্জিত হবে, যদি সেই রোজাদারকে ইফতার করাই। এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা যায়? তাই তো ইফতার করানোর পুণ্যময় সংস্কৃতি এখনো বিদ্যমান।
আমাদের দেশে এই সংস্কৃতি বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনায় পালিত হয়। রমজানে মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন করপোরেট অফিস, দোকানপাটে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে সবাই মিলেমিশে ইফতার করেন। একে অন্যের কল্যাণ ও মাগফিরাতের দোয়া করেন। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশীরা একে অন্যের বাড়িতে ইফতারি পাঠান। বিভিন্ন সেবামূলক সংস্থা পথচারী ও ছিন্নমূলদের ইফতারির ব্যবস্থা করে।
দেশে দেশে জারি থাকা এই সংস্কৃতির রয়েছে নানা নাম ও বৈচিত্র্য। আমাদের দেশের ‘ইফতার’ ব্রুনেইয়ে পরিচিত ‘সোংকাই’ নামে। ইন্দোনেশিয়ায় ইফতারকে বলা হয় ‘বুকা পুয়াসা’। এমনিভাবে ইফতারকে মালদ্বীপে ‘রোয়াদা ভিলান’ আর দুবাইয়ে বলা হয় ‘মেজে’। নামের সঙ্গে সঙ্গে উপাদানেও রয়েছে ভিন্নতার আমেজ। আমরা মুড়ি, ছোলা বুট, পেঁয়াজু ইত্যাদি তেলেভাজা দিয়ে ইফতার করলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইফতার করা হয় কোনাফা, ত্রোম্বা, বিরিয়ানি, চিকেন রোল ও নানা রকম হালুয়া দিয়ে। থাকে সালাদ, স্যুপ, দুধ–দই ও বড় বড় রুটি। ভিন্নতা রয়েছে পশ্চিমের দেশগুলোর ইফতারেও। তবে সকল দেশ ও অঞ্চলেই খেজুরের প্রাধান্য রয়েছে।
খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। নবী (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।’ (তিরমিজি: ৬৩২)
স্থান–কাল–পাত্র ভেদে আয়োজন ও উপাদানে ভিন্নতা থাকলেও আমাদের সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিন্তু এক। আর তা হলো, মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জন। এর জন্য খুব বেশি টাকা–পয়সা বা মেহনতের প্রয়োজন পড়ে না। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এতে রোজাদারের সওয়াব কমানো হবে না।’ (তিরমিজি: ৮০৭)
এই বাণী শুনে সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের মধ্যে সবার তো রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই।’ জবাবে নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে কেউ কোনো রোজাদারকে একটি খেজুর দিয়ে বা পানি পান করিয়ে অথবা এক ঢোক দুধ দিয়ে ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ তাকে এই সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়াবে, মহান আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন আমার হাউস থেকে এমন শরবত পান করাবেন, জান্নাতে প্রবেশের আগে তার আর পিপাসা লাগবে না।’ (শুআবুল ইমান: ৩৩৩৬)
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। ক্ষুধার্তের যাতনা উপলব্ধির মাস। অন্যের প্রতি সদয় ও সহমর্মিতার মাস। সর্বোপরি মহান রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়ার মাস। হাদিসে রোজাদারদের জন্য দুটো পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। যার একটি হলো ইফতার। হাদিসের ভাষায়, ‘রোজাদারের জন্য দুটো আনন্দ: একটি ইফতার, অন্যটি রবের সাক্ষাৎ।’ (তিরমিজি: ৭৬৬)
সত্যিই ইফতার এক আনন্দময় মুহূর্ত। সারা দিনের ক্লান্তি নিমেষেই দূর হয়ে যায় ইফতারের সময়। প্রফুল্লতায় ভরে যায় দেহমন। একটি খেজুর অথবা এক চুমুক শরবতে হৃদয়ে যে প্রশান্তি নেমে আসে, তার তুলনা হয় কি? ইফতার করার মাধ্যমে যেমন ক্লান্তি–অবসাদ দূর হয়, তেমনি হালকা হয় গুনাহের বোঝা। হাদিসে এসেছে, ইফতারের আগ মুহূর্ত দোয়া কবুলের উত্তম সময়।
ইফতারের আরও বহু ফজিলত রয়েছে। এই ফজিলত আমরা নিজেরা ইফতার করে যেমন অর্জন করতে পারি। তেমনি অন্যকে ইফতার করানোর মাধ্যমেও পেতে পারি। একজন রোজাদার দিনভর রোজা রেখে যে নেকি অর্জন করবেন, সমপরিমাণ নেকি আমাদেরও অর্জিত হবে, যদি সেই রোজাদারকে ইফতার করাই। এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা যায়? তাই তো ইফতার করানোর পুণ্যময় সংস্কৃতি এখনো বিদ্যমান।
আমাদের দেশে এই সংস্কৃতি বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনায় পালিত হয়। রমজানে মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন করপোরেট অফিস, দোকানপাটে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে সবাই মিলেমিশে ইফতার করেন। একে অন্যের কল্যাণ ও মাগফিরাতের দোয়া করেন। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশীরা একে অন্যের বাড়িতে ইফতারি পাঠান। বিভিন্ন সেবামূলক সংস্থা পথচারী ও ছিন্নমূলদের ইফতারির ব্যবস্থা করে।
দেশে দেশে জারি থাকা এই সংস্কৃতির রয়েছে নানা নাম ও বৈচিত্র্য। আমাদের দেশের ‘ইফতার’ ব্রুনেইয়ে পরিচিত ‘সোংকাই’ নামে। ইন্দোনেশিয়ায় ইফতারকে বলা হয় ‘বুকা পুয়াসা’। এমনিভাবে ইফতারকে মালদ্বীপে ‘রোয়াদা ভিলান’ আর দুবাইয়ে বলা হয় ‘মেজে’। নামের সঙ্গে সঙ্গে উপাদানেও রয়েছে ভিন্নতার আমেজ। আমরা মুড়ি, ছোলা বুট, পেঁয়াজু ইত্যাদি তেলেভাজা দিয়ে ইফতার করলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইফতার করা হয় কোনাফা, ত্রোম্বা, বিরিয়ানি, চিকেন রোল ও নানা রকম হালুয়া দিয়ে। থাকে সালাদ, স্যুপ, দুধ–দই ও বড় বড় রুটি। ভিন্নতা রয়েছে পশ্চিমের দেশগুলোর ইফতারেও। তবে সকল দেশ ও অঞ্চলেই খেজুরের প্রাধান্য রয়েছে।
খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। নবী (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।’ (তিরমিজি: ৬৩২)
স্থান–কাল–পাত্র ভেদে আয়োজন ও উপাদানে ভিন্নতা থাকলেও আমাদের সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিন্তু এক। আর তা হলো, মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জন। এর জন্য খুব বেশি টাকা–পয়সা বা মেহনতের প্রয়োজন পড়ে না। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এতে রোজাদারের সওয়াব কমানো হবে না।’ (তিরমিজি: ৮০৭)
এই বাণী শুনে সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের মধ্যে সবার তো রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই।’ জবাবে নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে কেউ কোনো রোজাদারকে একটি খেজুর দিয়ে বা পানি পান করিয়ে অথবা এক ঢোক দুধ দিয়ে ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ তাকে এই সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়াবে, মহান আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন আমার হাউস থেকে এমন শরবত পান করাবেন, জান্নাতে প্রবেশের আগে তার আর পিপাসা লাগবে না।’ (শুআবুল ইমান: ৩৩৩৬)
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত...
৪৪ মিনিট আগে
মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
৩ ঘণ্টা আগে
কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগেআবরার নাঈম

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। ক্ষুধার্তের যাতনা উপলব্ধির মাস। অন্যের প্রতি সদয় ও সহমর্মিতার মাস। সর্বোপরি মহান রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়ার মাস। হাদিসে রোজাদারদের জন্য দুটো পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। যার একটি হলো ইফতার। হাদিসের ভাষায়, ‘রোজাদারের জন্য দুটো আনন্দ: একটি ইফতার, অন্যটি রবের স
১৩ মার্চ ২০২৪
মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
৩ ঘণ্টা আগে
কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং কিয়ামতের দিন তাদের পূর্ণমাত্রায় বিনিময় দেওয়া হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা হলো এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হলো, অবশ্যই সে ব্যক্তি সফলকাম হলো। কেননা, পার্থিব জীবন ছলনার বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
মৃত্যুর বিভিন্ন প্রকারভেদের মধ্যে সবচেয়ে সার্থক ও উত্তম মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। তাই প্রত্যেক মুমিনের একান্ত তামান্না থাকে শহীদ হওয়ার। শহীদদের মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে, তাদের তুমি মৃত মনে করো না; বরং তারা তাদের রবের নিকট জীবিত এবং তাদের রিজিক দেওয়া হয়।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৬৯)
হজরত আবদুল্লাহ (রা.) এই আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলে নবীজি বলেন, ‘শহীদদের রুহসমূহ সবুজ পাখির উদরে রক্ষিত থাকে, যা আরশের সঙ্গে ঝুলন্ত দীপাধারে বাস করে। জান্নাতের সর্বত্র তারা যেখানে চায় বিচরণ করে এবং পুনরায় সেই দীপাধারগুলোতে ফিরে আসে। একবার তাদের প্রতিপালক তাদের দিকে পরিপূর্ণভাবে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘তোমাদের কি কোনো আকাঙ্ক্ষা আছে?’’ তারা বিনয়ের সঙ্গে জানাল, ‘‘আমাদের আর কী আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে! আমরা তো জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা ঘুরে বেড়াচ্ছি।’’ আল্লাহ তাআলা তিনবার এই প্রশ্ন করার পর তারা বুঝতে পারল, আকাঙ্ক্ষার কথা না বললে তারা রেহাই পাচ্ছে না; তখন তারা বলল, ‘‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের আকাঙ্ক্ষা হয়, যদি আপনি আমাদের রুহগুলোকে আমাদের দেহে ফিরিয়ে দিতেন, তবে আমরা পুনরায় আপনার পথে গিয়ে নিহত (শহীদ) হতে পারতাম।’ আল্লাহ যখন দেখলেন, তাদের আর কোনো অপূর্ণতা নেই, তখন তাদের সেই অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হলো।’ (সহিহ মুসলিম: ৪৭৭৯)
মৃত্যু আসবেই, তবে সেই মৃত্যু যদি হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং ইমানের ওপর অবিচল থেকে, তবেই তা হবে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।

মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং কিয়ামতের দিন তাদের পূর্ণমাত্রায় বিনিময় দেওয়া হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা হলো এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হলো, অবশ্যই সে ব্যক্তি সফলকাম হলো। কেননা, পার্থিব জীবন ছলনার বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
মৃত্যুর বিভিন্ন প্রকারভেদের মধ্যে সবচেয়ে সার্থক ও উত্তম মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। তাই প্রত্যেক মুমিনের একান্ত তামান্না থাকে শহীদ হওয়ার। শহীদদের মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে, তাদের তুমি মৃত মনে করো না; বরং তারা তাদের রবের নিকট জীবিত এবং তাদের রিজিক দেওয়া হয়।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৬৯)
হজরত আবদুল্লাহ (রা.) এই আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলে নবীজি বলেন, ‘শহীদদের রুহসমূহ সবুজ পাখির উদরে রক্ষিত থাকে, যা আরশের সঙ্গে ঝুলন্ত দীপাধারে বাস করে। জান্নাতের সর্বত্র তারা যেখানে চায় বিচরণ করে এবং পুনরায় সেই দীপাধারগুলোতে ফিরে আসে। একবার তাদের প্রতিপালক তাদের দিকে পরিপূর্ণভাবে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘তোমাদের কি কোনো আকাঙ্ক্ষা আছে?’’ তারা বিনয়ের সঙ্গে জানাল, ‘‘আমাদের আর কী আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে! আমরা তো জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা ঘুরে বেড়াচ্ছি।’’ আল্লাহ তাআলা তিনবার এই প্রশ্ন করার পর তারা বুঝতে পারল, আকাঙ্ক্ষার কথা না বললে তারা রেহাই পাচ্ছে না; তখন তারা বলল, ‘‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের আকাঙ্ক্ষা হয়, যদি আপনি আমাদের রুহগুলোকে আমাদের দেহে ফিরিয়ে দিতেন, তবে আমরা পুনরায় আপনার পথে গিয়ে নিহত (শহীদ) হতে পারতাম।’ আল্লাহ যখন দেখলেন, তাদের আর কোনো অপূর্ণতা নেই, তখন তাদের সেই অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হলো।’ (সহিহ মুসলিম: ৪৭৭৯)
মৃত্যু আসবেই, তবে সেই মৃত্যু যদি হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং ইমানের ওপর অবিচল থেকে, তবেই তা হবে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।

মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। ক্ষুধার্তের যাতনা উপলব্ধির মাস। অন্যের প্রতি সদয় ও সহমর্মিতার মাস। সর্বোপরি মহান রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়ার মাস। হাদিসে রোজাদারদের জন্য দুটো পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। যার একটি হলো ইফতার। হাদিসের ভাষায়, ‘রোজাদারের জন্য দুটো আনন্দ: একটি ইফতার, অন্যটি রবের স
১৩ মার্চ ২০২৪
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত...
৪৪ মিনিট আগে
কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীদের ব্যাপারে অনেক সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি রক্ষাকে মুত্তাকি বান্দাদের গুণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ওয়াদা পূর্ণ করো, নিশ্চয়ই ওয়াদা সম্পর্কে (কিয়ামতের দিনে) তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৪)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা ওয়াদা করে তা পূরণ করেছে, তারাই সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকি।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
রাসুল (সা.) ওয়াদা পূরণের ব্যাপারে খুব সতর্ক ছিলেন। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতিগত, আন্তর্জাতিকসহ সব ক্ষেত্রেই কারও সঙ্গে কোনো বিষয়ে ওয়াদা করলে তা পালনের জন্য অধীর থাকতেন। সর্বদা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেন। কখনো ওয়াদার বরখেলাপ করতেন না। সামান্য বিষয়ে ওয়াদা করলে তাও রক্ষা করতেন। উম্মতকেও প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য আদেশ দিয়েছেন তিনি।
আবদুল্লাহ ইবনে আবু হাসমা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর নবুওয়তপ্রাপ্তির আগে আমি তাঁর কাছ থেকে কিছু জিনিস খরিদ করেছিলাম, যার কিছু মূল্য পরিশোধ আমার ওপর বাকি রয়ে গিয়েছিল। আমি তাঁকে কথা দিলাম, তা অমুক স্থানে নিয়ে আসছি। কিন্তু আমি সেই প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গেলাম। তিন দিন পর আমার স্মরণ হলো। এসে দেখলাম, তিনি ওই স্থানেই আছেন। এরপর রাসুল (সা.) শুধু এটুকুই বললেন, ‘তুমি আমাকে তো কষ্টে ফেলেছিলে, আমি তিন দিন ধরে এই স্থানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।’ (আবু দাউদ: ৪৯৯৮)

কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীদের ব্যাপারে অনেক সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি রক্ষাকে মুত্তাকি বান্দাদের গুণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ওয়াদা পূর্ণ করো, নিশ্চয়ই ওয়াদা সম্পর্কে (কিয়ামতের দিনে) তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৪)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা ওয়াদা করে তা পূরণ করেছে, তারাই সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকি।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
রাসুল (সা.) ওয়াদা পূরণের ব্যাপারে খুব সতর্ক ছিলেন। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতিগত, আন্তর্জাতিকসহ সব ক্ষেত্রেই কারও সঙ্গে কোনো বিষয়ে ওয়াদা করলে তা পালনের জন্য অধীর থাকতেন। সর্বদা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেন। কখনো ওয়াদার বরখেলাপ করতেন না। সামান্য বিষয়ে ওয়াদা করলে তাও রক্ষা করতেন। উম্মতকেও প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য আদেশ দিয়েছেন তিনি।
আবদুল্লাহ ইবনে আবু হাসমা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর নবুওয়তপ্রাপ্তির আগে আমি তাঁর কাছ থেকে কিছু জিনিস খরিদ করেছিলাম, যার কিছু মূল্য পরিশোধ আমার ওপর বাকি রয়ে গিয়েছিল। আমি তাঁকে কথা দিলাম, তা অমুক স্থানে নিয়ে আসছি। কিন্তু আমি সেই প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গেলাম। তিন দিন পর আমার স্মরণ হলো। এসে দেখলাম, তিনি ওই স্থানেই আছেন। এরপর রাসুল (সা.) শুধু এটুকুই বললেন, ‘তুমি আমাকে তো কষ্টে ফেলেছিলে, আমি তিন দিন ধরে এই স্থানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।’ (আবু দাউদ: ৪৯৯৮)

মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। ক্ষুধার্তের যাতনা উপলব্ধির মাস। অন্যের প্রতি সদয় ও সহমর্মিতার মাস। সর্বোপরি মহান রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়ার মাস। হাদিসে রোজাদারদের জন্য দুটো পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। যার একটি হলো ইফতার। হাদিসের ভাষায়, ‘রোজাদারের জন্য দুটো আনন্দ: একটি ইফতার, অন্যটি রবের স
১৩ মার্চ ২০২৪
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত...
৪৪ মিনিট আগে
মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৩৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৩৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। ক্ষুধার্তের যাতনা উপলব্ধির মাস। অন্যের প্রতি সদয় ও সহমর্মিতার মাস। সর্বোপরি মহান রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়ার মাস। হাদিসে রোজাদারদের জন্য দুটো পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। যার একটি হলো ইফতার। হাদিসের ভাষায়, ‘রোজাদারের জন্য দুটো আনন্দ: একটি ইফতার, অন্যটি রবের স
১৩ মার্চ ২০২৪
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত...
৪৪ মিনিট আগে
মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
৩ ঘণ্টা আগে
কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে