মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ইসলামের ইতিহাসে যাঁরা জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও আধ্যাত্মিকতার আলো ছড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম গাজ্জালি এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ, সুফি সাধক এবং মহান শিক্ষক। তাঁর রচনাবলি ইসলামি দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
ইমাম গাজ্জালি ১০৫৮ বা ১০৫৯ খ্রিষ্টাব্দে (৪৫০ হিজরি) ইরানের খোরাসান প্রদেশের তুস নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ আল-গাজ্জালি। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, তাঁদের উপাধি ‘গাজ্জালি’ আসতে পারে ‘গাজাল’ নামক স্থান থেকে। আবার অনেকে মনে করেন, এটি ‘গজ্জাল’ (সুতা ব্যবসায়ী) শব্দ থেকে এসেছে। শৈশবেই তিনি পিতৃহীন হন। ফলে তাঁর ও তাঁর ভাই আহমদ গাজ্জালির শিক্ষার দায়িত্ব এক সুফি আলেম গ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই ইমাম গাজ্জালি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও জ্ঞানপিপাসু।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জন
প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি প্রথমে জুরজানে (গুরগান) অধ্যয়ন করেন। পরে নিশাপুরে এসে বিখ্যাত আলেম ইমামুল হারামাইন আল-জুয়াইনির তত্ত্বাবধানে কোরআন, হাদিস, ফিকহ, কালাম, যুক্তিবিদ্যা ও দর্শনে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। তাঁর অসাধারণ মেধা দেখে শিক্ষক তাঁকে ‘বাহরুল মুগরিক’ (প্রগাঢ় জ্ঞানের সমুদ্র) উপাধি দেন।
বাগদাদে আগমন ও খ্যাতি
৪৮৪ হিজরিতে (১০৯১ খ্রিস্টাব্দ) ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বাগদাদের বিখ্যাত নিজামিয়া মাদ্রাসার প্রধান অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। তৎকালীন খলিফা আল-মুস্তাজির বিল্লাহ তাঁকে এ সম্মানজনক পদে নিয়োগ করেন। তিনি দ্রুতই খ্যাতি অর্জন করেন এবং মুসলিম বিশ্বে ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ উপাধিতে ভূষিত হন।
সুফিবাদের প্রতি আকর্ষণ
বাগদাদে অবস্থানকালে ইমাম গাজ্জালি গভীর আত্মিক সংকটে পড়েন এবং হঠাৎ ভাষাগত সমস্যায় (স্পিচ ডিসঅর্ডার) আক্রান্ত হন। তিনি উপলব্ধি করেন. শুধুমাত্র বাহ্যিক জ্ঞান মানুষের আত্মার প্রশান্তি আনতে পারে না। তাই তিনি নিজামিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপনার দায়িত্ব ত্যাগ করেন এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও আত্মশুদ্ধির জন্য সিরিয়া, জেরুজালেম, মক্কা ও মদিনাসহ বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ প্রায় দশ বছর আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করেন। পরে নিশাপুরে ফিরে এসে আত্মশুদ্ধি ও প্রকৃত ইসলামি জ্ঞান প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন।
রচনাবলি
ইমাম গাজ্জালির রচনাবলি ইসলামের জ্ঞান-বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে এবং যুগে যুগে মুসলিম চিন্তাবিদদের অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—
ইহইয়া উলুম আদ-দীন: এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ, যেখানে ইবাদত, সামাজিকতা, আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছেন।
তাহাফুত আল-ফালাসিফা: এতে তিনি গ্রিক দর্শনের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরে ইসলামের দর্শনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন।
আল-মুনকিয মিন আদ-দালাল: এটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, যেখানে তাঁর জ্ঞান-অভিযাত্রা ও আধ্যাত্মিক পরিবর্তনের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
মিশকাতুল আনওয়ার: এটি আধ্যাত্মিকতা ও সুফিবাদের ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা।
কিমিয়া-ই সাআদাত: ফারসি ভাষায় লেখা এই গ্রন্থে আত্মশুদ্ধি ও নৈতিকতার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এটি ‘ইহইয়া উলুম আদ-দীন’-এর সংক্ষিপ্ত সংস্করণ হিসেবে পরিচিত হলেও এতে পারস্য সংস্কৃতির কিছু প্রসঙ্গও যুক্ত রয়েছে।
ইমাম গাজ্জালির চিন্তাধারা
ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বিশ্বাস করতেন যে জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতা একে অপরের পরিপূরক। তাঁর দর্শনের প্রধান দিকগুলো হলো—
বাহ্যিক ও আত্মিক জ্ঞানের সমন্বয়: তিনি বলেন, বাহ্যিক জ্ঞান মানুষকে প্রকৃত সফলতা দিতে পারে না, বরং আত্মশুদ্ধি ও তাসাউফের মাধ্যমে তা পরিপূর্ণ হয়।
ফিকহ ও সুফিবাদের সংযোগ: তিনি ফিকহ ও সুফিবাদের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করেন এবং ইসলামি আইন ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় সাধন করেন।
যুক্তিবিদ্যা ও দর্শনের সমালোচনা: তিনি গ্রিক দর্শনের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে প্রমাণ করেন যে ইসলামের জ্ঞান-বিজ্ঞানই সর্বোত্তম।
ইমাম গাজ্জালি ইসলামের এক অনন্য মনীষী, যিনি তাঁর জ্ঞান, গবেষণা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বে অমর হয়ে আছেন। তাঁর চিন্তাধারা ও রচনাবলি যুগে যুগে মুসলিম চিন্তাবিদদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং ইসলামের মূল দর্শনকে আরও সুসংহত করেছে। তিনি আমাদের শেখান যে বাহ্যিক জ্ঞানের পাশাপাশি আত্মিক শুদ্ধিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর জীবন ও রচনাবলি মুসলিম উম্মাহর জন্য চিরকাল শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।
তথ্যসূত্র
১. ইহইয়া উলুম আদ-দিন, ইমাম গাজ্জালি (রহ.)
২. তাহাফুত আল-ফালাসিফা, ইমাম গাজ্জালি (রহ.)
৩. আল-মুনকিয মিন আদ-দালাল. ইমাম গাজ্জালি (রহ.)
৪. ইসলামিক বিশ্বকোষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৫. অন্যান্য

ইসলামের ইতিহাসে যাঁরা জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও আধ্যাত্মিকতার আলো ছড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম গাজ্জালি এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ, সুফি সাধক এবং মহান শিক্ষক। তাঁর রচনাবলি ইসলামি দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
ইমাম গাজ্জালি ১০৫৮ বা ১০৫৯ খ্রিষ্টাব্দে (৪৫০ হিজরি) ইরানের খোরাসান প্রদেশের তুস নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ আল-গাজ্জালি। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, তাঁদের উপাধি ‘গাজ্জালি’ আসতে পারে ‘গাজাল’ নামক স্থান থেকে। আবার অনেকে মনে করেন, এটি ‘গজ্জাল’ (সুতা ব্যবসায়ী) শব্দ থেকে এসেছে। শৈশবেই তিনি পিতৃহীন হন। ফলে তাঁর ও তাঁর ভাই আহমদ গাজ্জালির শিক্ষার দায়িত্ব এক সুফি আলেম গ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই ইমাম গাজ্জালি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও জ্ঞানপিপাসু।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জন
প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি প্রথমে জুরজানে (গুরগান) অধ্যয়ন করেন। পরে নিশাপুরে এসে বিখ্যাত আলেম ইমামুল হারামাইন আল-জুয়াইনির তত্ত্বাবধানে কোরআন, হাদিস, ফিকহ, কালাম, যুক্তিবিদ্যা ও দর্শনে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। তাঁর অসাধারণ মেধা দেখে শিক্ষক তাঁকে ‘বাহরুল মুগরিক’ (প্রগাঢ় জ্ঞানের সমুদ্র) উপাধি দেন।
বাগদাদে আগমন ও খ্যাতি
৪৮৪ হিজরিতে (১০৯১ খ্রিস্টাব্দ) ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বাগদাদের বিখ্যাত নিজামিয়া মাদ্রাসার প্রধান অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। তৎকালীন খলিফা আল-মুস্তাজির বিল্লাহ তাঁকে এ সম্মানজনক পদে নিয়োগ করেন। তিনি দ্রুতই খ্যাতি অর্জন করেন এবং মুসলিম বিশ্বে ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ উপাধিতে ভূষিত হন।
সুফিবাদের প্রতি আকর্ষণ
বাগদাদে অবস্থানকালে ইমাম গাজ্জালি গভীর আত্মিক সংকটে পড়েন এবং হঠাৎ ভাষাগত সমস্যায় (স্পিচ ডিসঅর্ডার) আক্রান্ত হন। তিনি উপলব্ধি করেন. শুধুমাত্র বাহ্যিক জ্ঞান মানুষের আত্মার প্রশান্তি আনতে পারে না। তাই তিনি নিজামিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপনার দায়িত্ব ত্যাগ করেন এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও আত্মশুদ্ধির জন্য সিরিয়া, জেরুজালেম, মক্কা ও মদিনাসহ বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ প্রায় দশ বছর আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করেন। পরে নিশাপুরে ফিরে এসে আত্মশুদ্ধি ও প্রকৃত ইসলামি জ্ঞান প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন।
রচনাবলি
ইমাম গাজ্জালির রচনাবলি ইসলামের জ্ঞান-বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে এবং যুগে যুগে মুসলিম চিন্তাবিদদের অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—
ইহইয়া উলুম আদ-দীন: এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ, যেখানে ইবাদত, সামাজিকতা, আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছেন।
তাহাফুত আল-ফালাসিফা: এতে তিনি গ্রিক দর্শনের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরে ইসলামের দর্শনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন।
আল-মুনকিয মিন আদ-দালাল: এটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, যেখানে তাঁর জ্ঞান-অভিযাত্রা ও আধ্যাত্মিক পরিবর্তনের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
মিশকাতুল আনওয়ার: এটি আধ্যাত্মিকতা ও সুফিবাদের ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা।
কিমিয়া-ই সাআদাত: ফারসি ভাষায় লেখা এই গ্রন্থে আত্মশুদ্ধি ও নৈতিকতার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এটি ‘ইহইয়া উলুম আদ-দীন’-এর সংক্ষিপ্ত সংস্করণ হিসেবে পরিচিত হলেও এতে পারস্য সংস্কৃতির কিছু প্রসঙ্গও যুক্ত রয়েছে।
ইমাম গাজ্জালির চিন্তাধারা
ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বিশ্বাস করতেন যে জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতা একে অপরের পরিপূরক। তাঁর দর্শনের প্রধান দিকগুলো হলো—
বাহ্যিক ও আত্মিক জ্ঞানের সমন্বয়: তিনি বলেন, বাহ্যিক জ্ঞান মানুষকে প্রকৃত সফলতা দিতে পারে না, বরং আত্মশুদ্ধি ও তাসাউফের মাধ্যমে তা পরিপূর্ণ হয়।
ফিকহ ও সুফিবাদের সংযোগ: তিনি ফিকহ ও সুফিবাদের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করেন এবং ইসলামি আইন ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় সাধন করেন।
যুক্তিবিদ্যা ও দর্শনের সমালোচনা: তিনি গ্রিক দর্শনের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে প্রমাণ করেন যে ইসলামের জ্ঞান-বিজ্ঞানই সর্বোত্তম।
ইমাম গাজ্জালি ইসলামের এক অনন্য মনীষী, যিনি তাঁর জ্ঞান, গবেষণা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বে অমর হয়ে আছেন। তাঁর চিন্তাধারা ও রচনাবলি যুগে যুগে মুসলিম চিন্তাবিদদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং ইসলামের মূল দর্শনকে আরও সুসংহত করেছে। তিনি আমাদের শেখান যে বাহ্যিক জ্ঞানের পাশাপাশি আত্মিক শুদ্ধিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর জীবন ও রচনাবলি মুসলিম উম্মাহর জন্য চিরকাল শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।
তথ্যসূত্র
১. ইহইয়া উলুম আদ-দিন, ইমাম গাজ্জালি (রহ.)
২. তাহাফুত আল-ফালাসিফা, ইমাম গাজ্জালি (রহ.)
৩. আল-মুনকিয মিন আদ-দালাল. ইমাম গাজ্জালি (রহ.)
৪. ইসলামিক বিশ্বকোষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
৫. অন্যান্য

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

ইসলামের ইতিহাসে যাঁরা জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও আধ্যাত্মিকতার আলো ছড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম গাজ্জালি এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ, সুফি সাধক এবং মহান শিক্ষক। তাঁর রচনাবলি ইসলামি দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।
১৬ মার্চ ২০২৫
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

ইসলামের ইতিহাসে যাঁরা জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও আধ্যাত্মিকতার আলো ছড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম গাজ্জালি এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ, সুফি সাধক এবং মহান শিক্ষক। তাঁর রচনাবলি ইসলামি দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।
১৬ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

ইসলামের ইতিহাসে যাঁরা জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও আধ্যাত্মিকতার আলো ছড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম গাজ্জালি এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ, সুফি সাধক এবং মহান শিক্ষক। তাঁর রচনাবলি ইসলামি দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।
১৬ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

ইসলামের ইতিহাসে যাঁরা জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও আধ্যাত্মিকতার আলো ছড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম গাজ্জালি এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ, সুফি সাধক এবং মহান শিক্ষক। তাঁর রচনাবলি ইসলামি দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।
১৬ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে