Ajker Patrika

ইমাম গাজ্জালি: ইসলামি দর্শনের শ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ 
খোরাসানের প্রাচীন শহরে তুসে ইমাম গাজ্জালির সমাধি। ছবি: উইকিপিডিয়া
খোরাসানের প্রাচীন শহরে তুসে ইমাম গাজ্জালির সমাধি। ছবি: উইকিপিডিয়া

ইসলামের ইতিহাসে যাঁরা জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও আধ্যাত্মিকতার আলো ছড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম গাজ্জালি এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ, সুফি সাধক এবং মহান শিক্ষক। তাঁর রচনাবলি ইসলামি দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

ইমাম গাজ্জালি ১০৫৮ বা ১০৫৯ খ্রিষ্টাব্দে (৪৫০ হিজরি) ইরানের খোরাসান প্রদেশের তুস নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ আল-গাজ্জালি। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, তাঁদের উপাধি ‘গাজ্জালি’ আসতে পারে ‘গাজাল’ নামক স্থান থেকে। আবার অনেকে মনে করেন, এটি ‘গজ্জাল’ (সুতা ব্যবসায়ী) শব্দ থেকে এসেছে। শৈশবেই তিনি পিতৃহীন হন। ফলে তাঁর ও তাঁর ভাই আহমদ গাজ্জালির শিক্ষার দায়িত্ব এক সুফি আলেম গ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই ইমাম গাজ্জালি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও জ্ঞানপিপাসু।

শিক্ষা ও জ্ঞানার্জন

প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি প্রথমে জুরজানে (গুরগান) অধ্যয়ন করেন। পরে নিশাপুরে এসে বিখ্যাত আলেম ইমামুল হারামাইন আল-জুয়াইনির তত্ত্বাবধানে কোরআন, হাদিস, ফিকহ, কালাম, যুক্তিবিদ্যা ও দর্শনে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। তাঁর অসাধারণ মেধা দেখে শিক্ষক তাঁকে ‘বাহরুল মুগরিক’ (প্রগাঢ় জ্ঞানের সমুদ্র) উপাধি দেন।

বাগদাদে আগমন ও খ্যাতি

৪৮৪ হিজরিতে (১০৯১ খ্রিস্টাব্দ) ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বাগদাদের বিখ্যাত নিজামিয়া মাদ্রাসার প্রধান অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। তৎকালীন খলিফা আল-মুস্তাজির বিল্লাহ তাঁকে এ সম্মানজনক পদে নিয়োগ করেন। তিনি দ্রুতই খ্যাতি অর্জন করেন এবং মুসলিম বিশ্বে ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ উপাধিতে ভূষিত হন।

সুফিবাদের প্রতি আকর্ষণ

বাগদাদে অবস্থানকালে ইমাম গাজ্জালি গভীর আত্মিক সংকটে পড়েন এবং হঠাৎ ভাষাগত সমস্যায় (স্পিচ ডিসঅর্ডার) আক্রান্ত হন। তিনি উপলব্ধি করেন. শুধুমাত্র বাহ্যিক জ্ঞান মানুষের আত্মার প্রশান্তি আনতে পারে না। তাই তিনি নিজামিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপনার দায়িত্ব ত্যাগ করেন এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও আত্মশুদ্ধির জন্য সিরিয়া, জেরুজালেম, মক্কা ও মদিনাসহ বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ প্রায় দশ বছর আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করেন। পরে নিশাপুরে ফিরে এসে আত্মশুদ্ধি ও প্রকৃত ইসলামি জ্ঞান প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন।

রচনাবলি

ইমাম গাজ্জালির রচনাবলি ইসলামের জ্ঞান-বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে এবং যুগে যুগে মুসলিম চিন্তাবিদদের অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—

ইহইয়া উলুম আদ-দীন: এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ, যেখানে ইবাদত, সামাজিকতা, আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছেন।

তাহাফুত আল-ফালাসিফা: এতে তিনি গ্রিক দর্শনের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরে ইসলামের দর্শনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন।

আল-মুনকিয মিন আদ-দালাল: এটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, যেখানে তাঁর জ্ঞান-অভিযাত্রা ও আধ্যাত্মিক পরিবর্তনের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।

মিশকাতুল আনওয়ার: এটি আধ্যাত্মিকতা ও সুফিবাদের ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা।

কিমিয়া-ই সাআদাত: ফারসি ভাষায় লেখা এই গ্রন্থে আত্মশুদ্ধি ও নৈতিকতার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এটি ‘ইহইয়া উলুম আদ-দীন’-এর সংক্ষিপ্ত সংস্করণ হিসেবে পরিচিত হলেও এতে পারস্য সংস্কৃতির কিছু প্রসঙ্গও যুক্ত রয়েছে।

ইমাম গাজ্জালির চিন্তাধারা

ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বিশ্বাস করতেন যে জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতা একে অপরের পরিপূরক। তাঁর দর্শনের প্রধান দিকগুলো হলো—

বাহ্যিক ও আত্মিক জ্ঞানের সমন্বয়: তিনি বলেন, বাহ্যিক জ্ঞান মানুষকে প্রকৃত সফলতা দিতে পারে না, বরং আত্মশুদ্ধি ও তাসাউফের মাধ্যমে তা পরিপূর্ণ হয়।

ফিকহ ও সুফিবাদের সংযোগ: তিনি ফিকহ ও সুফিবাদের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করেন এবং ইসলামি আইন ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় সাধন করেন।

যুক্তিবিদ্যা ও দর্শনের সমালোচনা: তিনি গ্রিক দর্শনের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে প্রমাণ করেন যে ইসলামের জ্ঞান-বিজ্ঞানই সর্বোত্তম।

ইমাম গাজ্জালি ইসলামের এক অনন্য মনীষী, যিনি তাঁর জ্ঞান, গবেষণা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বে অমর হয়ে আছেন। তাঁর চিন্তাধারা ও রচনাবলি যুগে যুগে মুসলিম চিন্তাবিদদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং ইসলামের মূল দর্শনকে আরও সুসংহত করেছে। তিনি আমাদের শেখান যে বাহ্যিক জ্ঞানের পাশাপাশি আত্মিক শুদ্ধিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর জীবন ও রচনাবলি মুসলিম উম্মাহর জন্য চিরকাল শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।

তথ্যসূত্র

১. ইহইয়া উলুম আদ-দিন, ইমাম গাজ্জালি (রহ.)

২. তাহাফুত আল-ফালাসিফা, ইমাম গাজ্জালি (রহ.)

৩. আল-মুনকিয মিন আদ-দালাল. ইমাম গাজ্জালি (রহ.)

৪. ইসলামিক বিশ্বকোষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

৫. অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাবলিগ জামাতের খুরুজের জোড় শুরু ২ জানুয়ারি

ইসলাম ডেস্ক 
তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের জোড় ইজতেমা। ছবি: সংগৃহীত
তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের জোড় ইজতেমা। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।

একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।

এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আকাশপথে মুসলিম যাত্রীদের জন্য এমিরেটসের বিশেষ ব্যবস্থা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।

এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।

এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতের টুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি?

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৯
ছবি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি
ছবি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?

ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।

কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।

শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।

তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ রোববার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৭ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৮ মিনিট
জোহর১২: ০১ মিনিট০৩: ৪৩ মিনিট
আসর০৩: ৪৪ মিনিট০৫: ১৯ মিনিট
মাগরিব০৫: ২১ মিনিট০৬: ৪০ মিনিট
এশা০৬: ৪১ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত