মুহাম্মদ মিশকাত
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। কারণ আসরের নামাজ ফজর-জোহর এবং মাগরিব-এশার মধ্যবর্তী ওয়াক্তের। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সকল নামাজের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮) মুফাসসিরগণ এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, আসরের নামাজকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হলো, সাধারণত এ সময় মানুষ কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকে। ফলে নামাজ আদায়ে গাফিলতি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে।
আসরের নামাজের রয়েছে অফুরন্ত কল্যাণ ও ফজিলত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা পালা বদল করে তোমাদের মাঝে আগমন করেন; এক দল দিনে, এক দল রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্র হয়। এরপর তোমাদের মধ্যে রাতযাপনকারী দলটি উঠে যায়। তখন তাদের প্রতিপালক তাদের জিজ্ঞেস করেন, ‘আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে এলে?’ অবশ্য তিনি নিজেই তাদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। উত্তরে তারা বলে, ‘আমরা তাদের নামাজে রেখে এসেছি আর আমরা যখন তাদের কাছে গিয়েছিলাম, তখন তারা নামাজ আদায়রত অবস্থায় ছিল।’ (বুখারি)
আসরের নামাজ না পড়ার শাস্তিও কঠিন। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তির আসরের নামাজ ছুটে যায়, তাহলে যেন তার পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদ সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেল।’ (বুখারি)। অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।’ (বুখারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। কারণ আসরের নামাজ ফজর-জোহর এবং মাগরিব-এশার মধ্যবর্তী ওয়াক্তের। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সকল নামাজের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮) মুফাসসিরগণ এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, আসরের নামাজকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হলো, সাধারণত এ সময় মানুষ কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকে। ফলে নামাজ আদায়ে গাফিলতি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে।
আসরের নামাজের রয়েছে অফুরন্ত কল্যাণ ও ফজিলত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা পালা বদল করে তোমাদের মাঝে আগমন করেন; এক দল দিনে, এক দল রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্র হয়। এরপর তোমাদের মধ্যে রাতযাপনকারী দলটি উঠে যায়। তখন তাদের প্রতিপালক তাদের জিজ্ঞেস করেন, ‘আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে এলে?’ অবশ্য তিনি নিজেই তাদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। উত্তরে তারা বলে, ‘আমরা তাদের নামাজে রেখে এসেছি আর আমরা যখন তাদের কাছে গিয়েছিলাম, তখন তারা নামাজ আদায়রত অবস্থায় ছিল।’ (বুখারি)
আসরের নামাজ না পড়ার শাস্তিও কঠিন। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তির আসরের নামাজ ছুটে যায়, তাহলে যেন তার পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদ সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেল।’ (বুখারি)। অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।’ (বুখারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
রাস্তাঘাটে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা-পয়সা বা অন্য কোনো জিনিসপত্রের মূল্য যদি এতই কম হয় যে মালিক তা অনুসন্ধান করবে না, তা হলে কোনো গরিব মানুষকে তা সদকা করে দিতে হবে আর যদি অনেক টাকা বা মূল্যবান কোনো বস্তু পাওয়া যায় এবং মালিক এর খোঁজে থাকবে বলে মনে হয়, তাহলে ওই স্থান ও আশপাশ এবং নিকটবর্তী জনসমাগমের...
১৭ ঘণ্টা আগেদাম্পত্য সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। জাগতিক জীবনে প্রশান্তি, স্থিতিশীলতা ও চারিত্রিক নিষ্কলুষতা অর্জন এবং পৃথিবীতে মানব প্রজন্মের বিস্তারই এ সম্পর্কের মৌলিক উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য পুরোপুরি বাস্তবায়িত হওয়ার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রেম-ভালোবাসা, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও দাম্পত্য সম্পর্ক...
২ দিন আগেসুস্থ, সুন্দর ও কলহমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় ন্যায় ও ইনসাফের গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজ তখনই সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়, যখন সেখানে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় জোর দিয়েছেন।
৩ দিন আগেন্যায়পরায়ণ বিচারককে অনন্য মর্যাদা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে বিচারকাজকে নবী-রাসুলদের কাজ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নিজেই ন্যায়পরায়ণ বিচারকদের ভালোবাসার কথা ঘোষণা করেছেন।
৪ দিন আগে