আবদুল আযীয কাসেমি
ইসলামে পরিবারব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শুধু ব্যক্তিগত শান্তি নয়, বরং সামাজিক স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। ইসলাম পরিবারকে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করে, যা সমাজের নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ধর্মীয় শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে।
পরিবার হলো স্বামী-স্ত্রী, সন্তানসন্ততি ও নিকটাত্মীয়দের মধ্যে একটি সুশৃঙ্খল সম্পর্কের কাঠামো। ইসলাম পরিবারকে শান্তি, ভালোবাসা ও সহমর্মিতার আশ্রয়স্থল হিসেবে চিত্রিত করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও।’ (সুরা রুম, আয়াত: ২১)
ইসলামে পরিবার গঠনের প্রধান ভিত্তি হলো নৈতিকতা, দায়িত্বশীলতা ও পারস্পরিক ভালোবাসা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা ও দায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে পরিবার। স্বামী পরিবারের আর্থিক দায়িত্ব পালন করবে আর স্ত্রী ঘর পরিচালনার মাধ্যমে পরিবারের ভিত মজবুত করে। সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় অনুশাসনের সঙ্গে বড় করে তোলার দায়িত্ব মা-বাবার। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল। প্রত্যেক দায়িত্বশীলকে তার অধীনদের ব্যাপারে জবাবদিহি হতে হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
পরিবারের সুসংহত কাঠামো সমাজে শান্তি, নৈতিকতা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। পরিবারের মাধ্যমে সন্তানেরা সহানুভূতি, ধৈর্য ও সহযোগিতা শেখে।
পরিবার ধর্মীয় শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান। মায়ের কোলই সন্তানের প্রথম বিদ্যাপীঠ। পিতামাতা সন্তানদের কোরআন, সুন্নাহ ও নামাজের শিক্ষা দেন। তাকে সৎ ও মানবিক হতে শেখান। পরিবারব্যবস্থা শক্তিশালী হলে সমাজে বিচ্ছিন্নতা, একাকিত্ব ও অবক্ষয়ের হার কমে।
আধুনিক যুগে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়ছে। এ ক্ষেত্রে ইসলাম বিয়ে সহজ করা, পারিবারিক বিবাদ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা, বয়স্কদের সম্মান করা এবং দায়িত্বশীলতার দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ইসলামে পরিবারব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শুধু ব্যক্তিগত শান্তি নয়, বরং সামাজিক স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। ইসলাম পরিবারকে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করে, যা সমাজের নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ধর্মীয় শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে।
পরিবার হলো স্বামী-স্ত্রী, সন্তানসন্ততি ও নিকটাত্মীয়দের মধ্যে একটি সুশৃঙ্খল সম্পর্কের কাঠামো। ইসলাম পরিবারকে শান্তি, ভালোবাসা ও সহমর্মিতার আশ্রয়স্থল হিসেবে চিত্রিত করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও।’ (সুরা রুম, আয়াত: ২১)
ইসলামে পরিবার গঠনের প্রধান ভিত্তি হলো নৈতিকতা, দায়িত্বশীলতা ও পারস্পরিক ভালোবাসা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা ও দায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে পরিবার। স্বামী পরিবারের আর্থিক দায়িত্ব পালন করবে আর স্ত্রী ঘর পরিচালনার মাধ্যমে পরিবারের ভিত মজবুত করে। সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় অনুশাসনের সঙ্গে বড় করে তোলার দায়িত্ব মা-বাবার। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল। প্রত্যেক দায়িত্বশীলকে তার অধীনদের ব্যাপারে জবাবদিহি হতে হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
পরিবারের সুসংহত কাঠামো সমাজে শান্তি, নৈতিকতা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। পরিবারের মাধ্যমে সন্তানেরা সহানুভূতি, ধৈর্য ও সহযোগিতা শেখে।
পরিবার ধর্মীয় শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান। মায়ের কোলই সন্তানের প্রথম বিদ্যাপীঠ। পিতামাতা সন্তানদের কোরআন, সুন্নাহ ও নামাজের শিক্ষা দেন। তাকে সৎ ও মানবিক হতে শেখান। পরিবারব্যবস্থা শক্তিশালী হলে সমাজে বিচ্ছিন্নতা, একাকিত্ব ও অবক্ষয়ের হার কমে।
আধুনিক যুগে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়ছে। এ ক্ষেত্রে ইসলাম বিয়ে সহজ করা, পারিবারিক বিবাদ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা, বয়স্কদের সম্মান করা এবং দায়িত্বশীলতার দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
মোজার ওপর মাসেহ করা অজুতে পা ধোয়ার বিকল্প। এটি ইসলামে অনুমোদিত। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যেমন চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে। পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে। মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে। ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে। ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেমিরাজ হলো ঊর্ধ্বগমন বা সফর; অর্থাৎ মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা; সেখান থেকে সাত আসমান পাড়ি দিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা; তারপর মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মহিমান্বিত সফর। মিরাজের সফরে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বিভিন্ন নিদর্শন দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে নানা পাপকর্মের শাস্তিও রয়েছে...
১ দিন আগেমিরাজ সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখা মুমিনের কর্তব্য। তবে মিরাজকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের ভিত্তিহীন আমল ও বেশ কিছু বানোয়াট কথা সমাজে প্রচলিত রয়েছে। যেমন বলা হয়, নবী (সা.) এত দ্রুত সময়ে মিরাজ থেকে ফিরলেন যে বিছানার চাদর তখনো উষ্ণ ছিল, উপুড় করে রেখে যাওয়া পানির পাত্রটি থেকে...
২ দিন আগেগত রমজানে আমি অসুস্থতার কারণে অনেক রোজা রাখতে পারিনি। এখন যেহেতু দিন ছোট হয়ে এসেছে, তাই আমি রোজাগুলোর কাজা আদায় করতে চাচ্ছি। রোজার কাজা আদায়ের বিধান সম্পর্কে জানালে উপকৃত হব।
২ দিন আগে