Ajker Patrika

রোজা না রাখার অনুমতি যাদের জন্য

মাওলানা ইসমাইল নাজিম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ২১: ১৪
রোজা না রাখার অনুমতি যাদের জন্য

ইসলামের বিধিবিধান মানুষের শক্তি-সামর্থ্যের প্রতি লক্ষ রেখেই প্রণীত। আল্লাহ তাআলা মানুষের সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ চাপিয়ে দেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আল্লাহ ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো কষ্ট চাপিয়ে দেননি।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮) 

রোজা ইসলামের অন্যতম শারীরিক ইবাদত। তবে যেকোনো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষই তা অনায়াসে আদায় করতে পারে। তাই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও সবল মুমিনের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক করেছে ইসলাম। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে, একান্ত প্রয়োজনের মুহূর্তে রোজা না রাখা বা ভেঙে দেওয়ার অবকাশ ইসলামে রয়েছে। এ রকম একান্ত অপারগ ব্যক্তিদের তালিকা নিচে দেওয়া হলো—

অসুস্থ
অসুস্থতা মানুষের শরীর ও মনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং কর্মক্ষমতা নষ্ট করে। অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা না রাখার অবকাশ আছে। যেমন পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করতে হবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৪) 

তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো—অসুস্থতা এমন পর্যায়ের হতে হবে, যাতে রোজা রাখলে ব্যক্তির বড় ধরনের ক্ষতি, কষ্টের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া অথবা সুস্থতা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একইভাবে কোনো রোগের কারণে কোনো আল্লাহভীরু অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোজা না রাখার পরামর্শ দিলে রোজা ছেড়ে দেওয়া যাবে। তবে পরে তা কাজা করতে হবে। 

বয়োবৃদ্ধ
অতিশয় বৃদ্ধ নারী ও পুরুষের যদি রোজা রাখার শারীরিক সামর্থ্য না থাকে, তবে তাদের রোজা না রাখার অবকাশ দিয়েছে ইসলাম। যদি এমন হয় যে বৃদ্ধ নারী ও পুরুষ বছরের কোনো সময় (দিন ছোট বা বড় হোক, শীত বা গ্রীষ্ম হোক) রোজা কাজা করতে পারবে না, তাহলে তারা ফিদয়া আদায় করবে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘রোজার কারণে যাদের খুব বেশি কষ্ট হয়, তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদিয়াস্বরূপ একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করা।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৪) 

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আয়াতটি এখনো রহিত হয়নি। এমন বৃদ্ধ পুরুষ ও নারী যাদের রোজা রাখার সামর্থ্য নেই, তারা প্রতি দিনের পরিবর্তে একজন অভাবগ্রস্তকে খাবার খাওয়াবে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির) 

গর্ভবতী নারী
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী যদি নিজের ও সন্তানের ব্যাপারে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা করেন, তবে তার জন্য রোজা না রাখার অবকাশ রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুসাফিরের জন্য রোজা ও অর্ধেক নামাজ ছাড় দিয়েছেন এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীর জন্য রোজার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছেন।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ২৩১৫) 
তবে পরে রোজা কাজা করতে হবে। আর ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলে তার জন্য রোজা ছেড়ে দেওয়া জায়েজ হবে না। 

মুসাফির
সফররত ব্যক্তির জন্য রমজানের রোজা না রাখার অবকাশ আছে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করতে হবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৪) 

শর্ত হলো, যতটুকু পরিমাণ সফর করলে ইসলামি শরিয়তে প্রকৃত মুসাফির সাব্যস্ত হয় এবং নামাজ সংক্ষিপ্ত করতে হয়, ততটুকু সফর করা। তবে নামাজ সংক্ষিপ্ত করার মতো রোজা ছেড়ে দেওয়া আবশ্যক নয়; বরং ব্যক্তি চাইলে রোজা রাখতে পারবে আবার তা ভাঙতেও পারবে। রোজা ভাঙলে পরবর্তী সময়ে তা কাজা করে নিতে হবে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমরা রমজানে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সফর করেছি। তখন রোজাদার ব্যক্তি রোজা ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তিকে এবং রোজা ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তি রোজাদার ব্যক্তিকে দোষারোপ করেনি।’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ১৯৪৭) 

বিপদগ্রস্ত
অনিবার্য কারণে বিপদের হাত থেকে বাঁচতে কখনো কখনো রোজা না রাখার অবকাশ আছে। যেমন ডুবে যাওয়া বা আগুনে পোড়া ব্যক্তির চিকিৎসা রোজা ভঙ্গ না করলে করা সম্ভব হয় না। তবে এমন ব্যক্তিও পরে রোজা কাজা করবে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে রোজা রেখে মক্কার উদ্দেশে সফর করেছিলাম। আমরা একজন এক জায়গায় যাত্রাবিরতি দিলাম, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের শত্রুর নিকটবর্তী হয়েছ। রোজা ভঙ্গ করাই তোমাদের শক্তি বৃদ্ধি করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম, হাদিস: ১১২০) 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৩ মিনিট
ফজর০৫: ১৪ মিনিট০৬: ৩৪ মিনিট
জুমা১১: ৫৬ মিনিট০৩: ৩৯ মিনিট
আসর০৩: ৪০ মিনিট০৫: ১৫ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৬ মিনিট০৬: ৩৫ মিনিট
এশা০৬: ৩৬ মিনিট০৫: ১৩ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নূরানি তা’লিমুল কোরআন বোর্ডের ফল প্রকাশ শনিবার

মোখতারুল ইসলাম মিলন
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নূরানি তা’লিমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশের (এনটিকিউবি) অধীনে পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম কেন্দ্রীয় সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ডের প্রচার সম্পাদক হাসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার বেলা ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি ১০০ তরুণের জন্য ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের স্কলারশিপেরও ঘোষণা করা হবে। নূরানি তা’লিমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এবারের পরীক্ষায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।

ফলাফল প্রকাশ প্রসঙ্গে বোর্ডের পরিচালক মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন জানান, ‘নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং প্রতিটি ঘরে ইসলামের সঠিক শিক্ষা পৌঁছে দিতে আমরা নিরলস কাজ করছি। শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত (রহ.)-এর ইখলাস ও ত্যাগের ফসল এই বোর্ড আজ অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কাছে কোরআন শিক্ষাকে সহজতর করেছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, নূরানি পদ্ধতির নিজস্ব সিলেবাসে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং শিক্ষকদের মানোন্নয়নে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এ ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুখের ভাষা যখন ইবাদত হয়ে ওঠে

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।

এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমার বান্দাদের বলো, তারা যেন এমন কথা বলে, যা অতি সুন্দর। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিভেদ সৃষ্টি করে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৫৩)। ‘আর তোমরা লোকের সঙ্গে উত্তমভাবে কথা বলবে।’ (সুরা বাকারা: ৮৩)। এই আয়াতগুলো আমাদের শেখায়, একজন মুমিনের ভাষা হতে হবে কোমল, সৌজন্যমূলক এবং বিভেদ নয়; বরং ঐক্য সৃষ্টিকারী।

নবী করিম (সা.) ছিলেন জাওয়ামিউল কালিমের অধিকারী—অল্প কথায় গভীর অর্থ প্রকাশের ক্ষমতা ছিল তাঁর। তিনি কখনো কটূক্তি করেননি; বরং শত্রুকেও নরম ভাষায় উপদেশ দিয়েছেন। তাঁর মুখের ভাষা ছিল সত্যনিষ্ঠ ও নম্র, হৃদয়গ্রাহী ও প্রাঞ্জল, রসিকতা ও মিথ্যাবর্জিত। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা ও লজ্জাস্থান হেফাজত করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের জামিনদার হব।’ (সহিহ বুখারি)

একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু ব্যক্তিগত নয়; বরং সামাজিক শান্তি ও সৌহার্দ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রুক্ষ ভাষা যেমন সম্পর্ক নষ্ট করে, তেমনি কোমল ভাষা হৃদয় জয় করে। একজন মুমিনের মুখের ভাষা হবে শান্তির বার্তা, সত্যের প্রতিচ্ছবি এবং নম্রতার প্রতীক।

ইসলাম আমাদের শেখায় ভাষা দিয়ে মানুষকে জয় করতে। তাই আসুন, আমরা আমাদের মুখের ভাষাকে ইমানের আলোয় শুদ্ধ করি, যেন আমাদের প্রতিটি উচ্চারণ হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে এক ধাপ অগ্রসর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০:০০০৫: ১৩ মিনিট
ফজর০৫: ১৪ মিনিট০৬: ৩৪ মিনিট
জোহর১১: ৫৬ মিনিট০৩: ৩৮ মিনিট
আসর০৩: ৩৯ মিনিট০৫: ১৪ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৬ মিনিট০৬: ৩৫ মিনিট
এশা০৬: ৩৬ মিনিট০৫: ১৩ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত