আবদুল আযীয কাসেমি

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং ধর্মীয় নীতির ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শৈশব
পূর্ণ নাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল হেলাল ইবনে আসাদ আশ শাইবানি। বনু শাইবান ইবনে যুহল আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র। তিনি ছিলেন মূলত মার্ভ শহরের। তাঁর বাবা মার্ভ শহরে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। অল্প বয়সেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহমদ ইবনে হাম্বল গর্ভে থাকাবস্থায় তাঁর মা মার্ভ থেকে বের হন। ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে (১৬৪ হিজরি) ইরাকের বাগদাদে ইমাম আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবাকে না দেখা ইবনে হাম্বল মায়ের কাছে বেড়ে ওঠেন। এতিম অবস্থায় পালিত হন।
শিক্ষা
ইমাম আহমদ অল্প বয়স থেকেই জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখান। চৌদ্দ বছর বয়স থেকে তিনি মক্তবে যেতে শুরু করেন। পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর হাদিস শেখার পালা। সে বছর ইমাম মালেক ও হাম্মাদ বিন যায়েদ ইন্তিকাল করেন। তিনি বাগদাদের প্রখ্যাত আলেমদের কাছে হাদিস, ফিকহ ও কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। শিক্ষাজীবনে হুশাইম বিন বশির, আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আশ-শাফেয়ি (রহ.)-এর মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন আহমদ। বিশেষত, ইমাম শাফেয়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তিনি ইমাম শাফেয়ির কাছ থেকে ফিকহ ও উসুলে ফিকহের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
ইমাম আহমদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ইমাম শাফেয়ি (রহ.)। তিনি তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করেন, ‘আহমদ ইবনে হাম্বল মোট ৮ বিষয়ের ইমাম। তিনি হাদিসশাস্ত্রের বিজ্ঞ পণ্ডিত। ফিকহেরও ইমাম। আরবি ভাষায়ও সেরা শাস্ত্রজ্ঞ। কোরআন বিষয়ের পণ্ডিত। দারিদ্র্যের জগতের ইমাম। দুনিয়াবিমুখতায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। পরহেজগারি ও সতর্কতায়ও শ্রেষ্ঠ। সুন্নাহ বিষয়ে তাঁর নেতৃত্ব তো দুনিয়াবিখ্যাত।’ (তাবাকাতুল হানাবিলা: ১ / ১০)
ইমাম শাফেয়ি আরও বলেন, ‘আমি বাগদাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বাগদাদে আমার রেখে যাওয়া ছাত্রদের মধ্যে আহমদ ইবনে হাম্বলের চেয়ে বড় কোনো আইনজ্ঞ ও খোদাভীরু নেই।’
হাদিস সংকলন
ইমাম আহমদ ইসলামি জ্ঞানচর্চায় সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাদিস সংকলনের মাধ্যমে। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ মুসনাদে আহমদ হাদিসশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংকলন। এই গ্রন্থে তিনি প্রায় ৩০ হাজার হাদিস ২৮০ জন মুহাদ্দিসের সূত্রে সংকলন করেছেন, যা ইসলামি আইন ও ধর্মতত্ত্বের একটি প্রামাণ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর এ কাজ হাদিস গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে।
আপসহীনতা
ইমাম আহমদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ধর্মীয় নীতিতে তাঁর অবিচলতা। আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুনের সময় ‘খালকুল কোরআন’ (কোরআন সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট) নামক বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইমাম আহমদ এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ‘কোরআন আল্লাহর বাণী এবং তা অসৃষ্ট।’ এ জন্য সমকালীন সব বাতিলপন্থীদের বিশেষত মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে অবতীর্ণ হন। স্বয়ং খলিফা মুতাসিমের সামনেই একাধিক বিতর্কে মুতাজিলাদের পরাস্ত করেন। তবে মুতাজিলাদের পক্ষে সরকারি আনুকূল্য থাকায় তাঁর এই অবস্থানের কারণে খলিফা মুতাসিম তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় ইমাম আহমদকে। তবে কখনও তিনি নিজ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর এই অটল অবস্থান ও আপসহীন মনোভাব তাঁকে ইসলামের ইতিহাসে একজন সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
হাম্বলি মাজহাব
ইমাম আহমদ ইসলামি আইনের চতুর্থ প্রধান মাজহাব ‘হাম্বলি মাজহাব’–এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাজহাব কোরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরামের ইজমা ও কিয়াসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাঁর মাজহাবের বিশেষত্ব হলো, এটি হাদিস ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং যুক্তি ও কিয়াসের ব্যবহার সীমিত রাখে। বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই মাজহাব অনুসরণ করা হয়।
ইমাম আহমদ ৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে (২৪১ হিজরি) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞান, গ্রন্থাবলি ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাঁর শিষ্যরা তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং ধর্মীয় নীতির ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শৈশব
পূর্ণ নাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল হেলাল ইবনে আসাদ আশ শাইবানি। বনু শাইবান ইবনে যুহল আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র। তিনি ছিলেন মূলত মার্ভ শহরের। তাঁর বাবা মার্ভ শহরে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। অল্প বয়সেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহমদ ইবনে হাম্বল গর্ভে থাকাবস্থায় তাঁর মা মার্ভ থেকে বের হন। ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে (১৬৪ হিজরি) ইরাকের বাগদাদে ইমাম আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবাকে না দেখা ইবনে হাম্বল মায়ের কাছে বেড়ে ওঠেন। এতিম অবস্থায় পালিত হন।
শিক্ষা
ইমাম আহমদ অল্প বয়স থেকেই জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখান। চৌদ্দ বছর বয়স থেকে তিনি মক্তবে যেতে শুরু করেন। পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর হাদিস শেখার পালা। সে বছর ইমাম মালেক ও হাম্মাদ বিন যায়েদ ইন্তিকাল করেন। তিনি বাগদাদের প্রখ্যাত আলেমদের কাছে হাদিস, ফিকহ ও কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। শিক্ষাজীবনে হুশাইম বিন বশির, আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আশ-শাফেয়ি (রহ.)-এর মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন আহমদ। বিশেষত, ইমাম শাফেয়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তিনি ইমাম শাফেয়ির কাছ থেকে ফিকহ ও উসুলে ফিকহের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
ইমাম আহমদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ইমাম শাফেয়ি (রহ.)। তিনি তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করেন, ‘আহমদ ইবনে হাম্বল মোট ৮ বিষয়ের ইমাম। তিনি হাদিসশাস্ত্রের বিজ্ঞ পণ্ডিত। ফিকহেরও ইমাম। আরবি ভাষায়ও সেরা শাস্ত্রজ্ঞ। কোরআন বিষয়ের পণ্ডিত। দারিদ্র্যের জগতের ইমাম। দুনিয়াবিমুখতায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। পরহেজগারি ও সতর্কতায়ও শ্রেষ্ঠ। সুন্নাহ বিষয়ে তাঁর নেতৃত্ব তো দুনিয়াবিখ্যাত।’ (তাবাকাতুল হানাবিলা: ১ / ১০)
ইমাম শাফেয়ি আরও বলেন, ‘আমি বাগদাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বাগদাদে আমার রেখে যাওয়া ছাত্রদের মধ্যে আহমদ ইবনে হাম্বলের চেয়ে বড় কোনো আইনজ্ঞ ও খোদাভীরু নেই।’
হাদিস সংকলন
ইমাম আহমদ ইসলামি জ্ঞানচর্চায় সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাদিস সংকলনের মাধ্যমে। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ মুসনাদে আহমদ হাদিসশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংকলন। এই গ্রন্থে তিনি প্রায় ৩০ হাজার হাদিস ২৮০ জন মুহাদ্দিসের সূত্রে সংকলন করেছেন, যা ইসলামি আইন ও ধর্মতত্ত্বের একটি প্রামাণ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর এ কাজ হাদিস গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে।
আপসহীনতা
ইমাম আহমদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ধর্মীয় নীতিতে তাঁর অবিচলতা। আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুনের সময় ‘খালকুল কোরআন’ (কোরআন সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট) নামক বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইমাম আহমদ এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ‘কোরআন আল্লাহর বাণী এবং তা অসৃষ্ট।’ এ জন্য সমকালীন সব বাতিলপন্থীদের বিশেষত মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে অবতীর্ণ হন। স্বয়ং খলিফা মুতাসিমের সামনেই একাধিক বিতর্কে মুতাজিলাদের পরাস্ত করেন। তবে মুতাজিলাদের পক্ষে সরকারি আনুকূল্য থাকায় তাঁর এই অবস্থানের কারণে খলিফা মুতাসিম তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় ইমাম আহমদকে। তবে কখনও তিনি নিজ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর এই অটল অবস্থান ও আপসহীন মনোভাব তাঁকে ইসলামের ইতিহাসে একজন সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
হাম্বলি মাজহাব
ইমাম আহমদ ইসলামি আইনের চতুর্থ প্রধান মাজহাব ‘হাম্বলি মাজহাব’–এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাজহাব কোরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরামের ইজমা ও কিয়াসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাঁর মাজহাবের বিশেষত্ব হলো, এটি হাদিস ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং যুক্তি ও কিয়াসের ব্যবহার সীমিত রাখে। বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই মাজহাব অনুসরণ করা হয়।
ইমাম আহমদ ৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে (২৪১ হিজরি) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞান, গ্রন্থাবলি ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাঁর শিষ্যরা তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন।
দেশের মোট ১ হাজার ১২টি কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৫৩২ এবং পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, ‘দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় নূরানি মাদ্রাসা, নূরানি স্কুল, নূরানি মক্তব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে।’
পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন বলেন, ‘শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড।’
এদিকে অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের এই স্কলারশিপ পাবেন ১০০ তরুণ। মনোনীত ১০০ তরুণ ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিনা মূল্যে করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা তারেক হুসাইনসহ নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলেরা।
প্রসঙ্গত, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এই ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন।
দেশের মোট ১ হাজার ১২টি কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৫৩২ এবং পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, ‘দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় নূরানি মাদ্রাসা, নূরানি স্কুল, নূরানি মক্তব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে।’
পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন বলেন, ‘শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড।’
এদিকে অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের এই স্কলারশিপ পাবেন ১০০ তরুণ। মনোনীত ১০০ তরুণ ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিনা মূল্যে করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা তারেক হুসাইনসহ নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলেরা।
প্রসঙ্গত, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এই ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে