আবদুল আযীয কাসেমি

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং ধর্মীয় নীতির ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শৈশব
পূর্ণ নাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল হেলাল ইবনে আসাদ আশ শাইবানি। বনু শাইবান ইবনে যুহল আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র। তিনি ছিলেন মূলত মার্ভ শহরের। তাঁর বাবা মার্ভ শহরে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। অল্প বয়সেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহমদ ইবনে হাম্বল গর্ভে থাকাবস্থায় তাঁর মা মার্ভ থেকে বের হন। ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে (১৬৪ হিজরি) ইরাকের বাগদাদে ইমাম আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবাকে না দেখা ইবনে হাম্বল মায়ের কাছে বেড়ে ওঠেন। এতিম অবস্থায় পালিত হন।
শিক্ষা
ইমাম আহমদ অল্প বয়স থেকেই জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখান। চৌদ্দ বছর বয়স থেকে তিনি মক্তবে যেতে শুরু করেন। পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর হাদিস শেখার পালা। সে বছর ইমাম মালেক ও হাম্মাদ বিন যায়েদ ইন্তিকাল করেন। তিনি বাগদাদের প্রখ্যাত আলেমদের কাছে হাদিস, ফিকহ ও কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। শিক্ষাজীবনে হুশাইম বিন বশির, আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আশ-শাফেয়ি (রহ.)-এর মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন আহমদ। বিশেষত, ইমাম শাফেয়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তিনি ইমাম শাফেয়ির কাছ থেকে ফিকহ ও উসুলে ফিকহের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
ইমাম আহমদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ইমাম শাফেয়ি (রহ.)। তিনি তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করেন, ‘আহমদ ইবনে হাম্বল মোট ৮ বিষয়ের ইমাম। তিনি হাদিসশাস্ত্রের বিজ্ঞ পণ্ডিত। ফিকহেরও ইমাম। আরবি ভাষায়ও সেরা শাস্ত্রজ্ঞ। কোরআন বিষয়ের পণ্ডিত। দারিদ্র্যের জগতের ইমাম। দুনিয়াবিমুখতায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। পরহেজগারি ও সতর্কতায়ও শ্রেষ্ঠ। সুন্নাহ বিষয়ে তাঁর নেতৃত্ব তো দুনিয়াবিখ্যাত।’ (তাবাকাতুল হানাবিলা: ১ / ১০)
ইমাম শাফেয়ি আরও বলেন, ‘আমি বাগদাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বাগদাদে আমার রেখে যাওয়া ছাত্রদের মধ্যে আহমদ ইবনে হাম্বলের চেয়ে বড় কোনো আইনজ্ঞ ও খোদাভীরু নেই।’
হাদিস সংকলন
ইমাম আহমদ ইসলামি জ্ঞানচর্চায় সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাদিস সংকলনের মাধ্যমে। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ মুসনাদে আহমদ হাদিসশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংকলন। এই গ্রন্থে তিনি প্রায় ৩০ হাজার হাদিস ২৮০ জন মুহাদ্দিসের সূত্রে সংকলন করেছেন, যা ইসলামি আইন ও ধর্মতত্ত্বের একটি প্রামাণ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর এ কাজ হাদিস গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে।
আপসহীনতা
ইমাম আহমদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ধর্মীয় নীতিতে তাঁর অবিচলতা। আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুনের সময় ‘খালকুল কোরআন’ (কোরআন সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট) নামক বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইমাম আহমদ এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ‘কোরআন আল্লাহর বাণী এবং তা অসৃষ্ট।’ এ জন্য সমকালীন সব বাতিলপন্থীদের বিশেষত মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে অবতীর্ণ হন। স্বয়ং খলিফা মুতাসিমের সামনেই একাধিক বিতর্কে মুতাজিলাদের পরাস্ত করেন। তবে মুতাজিলাদের পক্ষে সরকারি আনুকূল্য থাকায় তাঁর এই অবস্থানের কারণে খলিফা মুতাসিম তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় ইমাম আহমদকে। তবে কখনও তিনি নিজ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর এই অটল অবস্থান ও আপসহীন মনোভাব তাঁকে ইসলামের ইতিহাসে একজন সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
হাম্বলি মাজহাব
ইমাম আহমদ ইসলামি আইনের চতুর্থ প্রধান মাজহাব ‘হাম্বলি মাজহাব’–এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাজহাব কোরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরামের ইজমা ও কিয়াসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাঁর মাজহাবের বিশেষত্ব হলো, এটি হাদিস ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং যুক্তি ও কিয়াসের ব্যবহার সীমিত রাখে। বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই মাজহাব অনুসরণ করা হয়।
ইমাম আহমদ ৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে (২৪১ হিজরি) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞান, গ্রন্থাবলি ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাঁর শিষ্যরা তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং ধর্মীয় নীতির ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শৈশব
পূর্ণ নাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল হেলাল ইবনে আসাদ আশ শাইবানি। বনু শাইবান ইবনে যুহল আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র। তিনি ছিলেন মূলত মার্ভ শহরের। তাঁর বাবা মার্ভ শহরে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। অল্প বয়সেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহমদ ইবনে হাম্বল গর্ভে থাকাবস্থায় তাঁর মা মার্ভ থেকে বের হন। ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে (১৬৪ হিজরি) ইরাকের বাগদাদে ইমাম আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবাকে না দেখা ইবনে হাম্বল মায়ের কাছে বেড়ে ওঠেন। এতিম অবস্থায় পালিত হন।
শিক্ষা
ইমাম আহমদ অল্প বয়স থেকেই জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখান। চৌদ্দ বছর বয়স থেকে তিনি মক্তবে যেতে শুরু করেন। পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর হাদিস শেখার পালা। সে বছর ইমাম মালেক ও হাম্মাদ বিন যায়েদ ইন্তিকাল করেন। তিনি বাগদাদের প্রখ্যাত আলেমদের কাছে হাদিস, ফিকহ ও কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। শিক্ষাজীবনে হুশাইম বিন বশির, আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আশ-শাফেয়ি (রহ.)-এর মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন আহমদ। বিশেষত, ইমাম শাফেয়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তিনি ইমাম শাফেয়ির কাছ থেকে ফিকহ ও উসুলে ফিকহের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
ইমাম আহমদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ইমাম শাফেয়ি (রহ.)। তিনি তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করেন, ‘আহমদ ইবনে হাম্বল মোট ৮ বিষয়ের ইমাম। তিনি হাদিসশাস্ত্রের বিজ্ঞ পণ্ডিত। ফিকহেরও ইমাম। আরবি ভাষায়ও সেরা শাস্ত্রজ্ঞ। কোরআন বিষয়ের পণ্ডিত। দারিদ্র্যের জগতের ইমাম। দুনিয়াবিমুখতায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। পরহেজগারি ও সতর্কতায়ও শ্রেষ্ঠ। সুন্নাহ বিষয়ে তাঁর নেতৃত্ব তো দুনিয়াবিখ্যাত।’ (তাবাকাতুল হানাবিলা: ১ / ১০)
ইমাম শাফেয়ি আরও বলেন, ‘আমি বাগদাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বাগদাদে আমার রেখে যাওয়া ছাত্রদের মধ্যে আহমদ ইবনে হাম্বলের চেয়ে বড় কোনো আইনজ্ঞ ও খোদাভীরু নেই।’
হাদিস সংকলন
ইমাম আহমদ ইসলামি জ্ঞানচর্চায় সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাদিস সংকলনের মাধ্যমে। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ মুসনাদে আহমদ হাদিসশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংকলন। এই গ্রন্থে তিনি প্রায় ৩০ হাজার হাদিস ২৮০ জন মুহাদ্দিসের সূত্রে সংকলন করেছেন, যা ইসলামি আইন ও ধর্মতত্ত্বের একটি প্রামাণ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর এ কাজ হাদিস গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে।
আপসহীনতা
ইমাম আহমদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ধর্মীয় নীতিতে তাঁর অবিচলতা। আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুনের সময় ‘খালকুল কোরআন’ (কোরআন সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট) নামক বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইমাম আহমদ এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ‘কোরআন আল্লাহর বাণী এবং তা অসৃষ্ট।’ এ জন্য সমকালীন সব বাতিলপন্থীদের বিশেষত মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে অবতীর্ণ হন। স্বয়ং খলিফা মুতাসিমের সামনেই একাধিক বিতর্কে মুতাজিলাদের পরাস্ত করেন। তবে মুতাজিলাদের পক্ষে সরকারি আনুকূল্য থাকায় তাঁর এই অবস্থানের কারণে খলিফা মুতাসিম তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় ইমাম আহমদকে। তবে কখনও তিনি নিজ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর এই অটল অবস্থান ও আপসহীন মনোভাব তাঁকে ইসলামের ইতিহাসে একজন সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
হাম্বলি মাজহাব
ইমাম আহমদ ইসলামি আইনের চতুর্থ প্রধান মাজহাব ‘হাম্বলি মাজহাব’–এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাজহাব কোরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরামের ইজমা ও কিয়াসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাঁর মাজহাবের বিশেষত্ব হলো, এটি হাদিস ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং যুক্তি ও কিয়াসের ব্যবহার সীমিত রাখে। বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই মাজহাব অনুসরণ করা হয়।
ইমাম আহমদ ৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে (২৪১ হিজরি) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞান, গ্রন্থাবলি ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাঁর শিষ্যরা তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস।
আবদুল আযীয কাসেমি

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং ধর্মীয় নীতির ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শৈশব
পূর্ণ নাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল হেলাল ইবনে আসাদ আশ শাইবানি। বনু শাইবান ইবনে যুহল আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র। তিনি ছিলেন মূলত মার্ভ শহরের। তাঁর বাবা মার্ভ শহরে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। অল্প বয়সেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহমদ ইবনে হাম্বল গর্ভে থাকাবস্থায় তাঁর মা মার্ভ থেকে বের হন। ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে (১৬৪ হিজরি) ইরাকের বাগদাদে ইমাম আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবাকে না দেখা ইবনে হাম্বল মায়ের কাছে বেড়ে ওঠেন। এতিম অবস্থায় পালিত হন।
শিক্ষা
ইমাম আহমদ অল্প বয়স থেকেই জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখান। চৌদ্দ বছর বয়স থেকে তিনি মক্তবে যেতে শুরু করেন। পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর হাদিস শেখার পালা। সে বছর ইমাম মালেক ও হাম্মাদ বিন যায়েদ ইন্তিকাল করেন। তিনি বাগদাদের প্রখ্যাত আলেমদের কাছে হাদিস, ফিকহ ও কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। শিক্ষাজীবনে হুশাইম বিন বশির, আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আশ-শাফেয়ি (রহ.)-এর মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন আহমদ। বিশেষত, ইমাম শাফেয়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তিনি ইমাম শাফেয়ির কাছ থেকে ফিকহ ও উসুলে ফিকহের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
ইমাম আহমদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ইমাম শাফেয়ি (রহ.)। তিনি তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করেন, ‘আহমদ ইবনে হাম্বল মোট ৮ বিষয়ের ইমাম। তিনি হাদিসশাস্ত্রের বিজ্ঞ পণ্ডিত। ফিকহেরও ইমাম। আরবি ভাষায়ও সেরা শাস্ত্রজ্ঞ। কোরআন বিষয়ের পণ্ডিত। দারিদ্র্যের জগতের ইমাম। দুনিয়াবিমুখতায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। পরহেজগারি ও সতর্কতায়ও শ্রেষ্ঠ। সুন্নাহ বিষয়ে তাঁর নেতৃত্ব তো দুনিয়াবিখ্যাত।’ (তাবাকাতুল হানাবিলা: ১ / ১০)
ইমাম শাফেয়ি আরও বলেন, ‘আমি বাগদাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বাগদাদে আমার রেখে যাওয়া ছাত্রদের মধ্যে আহমদ ইবনে হাম্বলের চেয়ে বড় কোনো আইনজ্ঞ ও খোদাভীরু নেই।’
হাদিস সংকলন
ইমাম আহমদ ইসলামি জ্ঞানচর্চায় সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাদিস সংকলনের মাধ্যমে। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ মুসনাদে আহমদ হাদিসশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংকলন। এই গ্রন্থে তিনি প্রায় ৩০ হাজার হাদিস ২৮০ জন মুহাদ্দিসের সূত্রে সংকলন করেছেন, যা ইসলামি আইন ও ধর্মতত্ত্বের একটি প্রামাণ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর এ কাজ হাদিস গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে।
আপসহীনতা
ইমাম আহমদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ধর্মীয় নীতিতে তাঁর অবিচলতা। আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুনের সময় ‘খালকুল কোরআন’ (কোরআন সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট) নামক বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইমাম আহমদ এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ‘কোরআন আল্লাহর বাণী এবং তা অসৃষ্ট।’ এ জন্য সমকালীন সব বাতিলপন্থীদের বিশেষত মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে অবতীর্ণ হন। স্বয়ং খলিফা মুতাসিমের সামনেই একাধিক বিতর্কে মুতাজিলাদের পরাস্ত করেন। তবে মুতাজিলাদের পক্ষে সরকারি আনুকূল্য থাকায় তাঁর এই অবস্থানের কারণে খলিফা মুতাসিম তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় ইমাম আহমদকে। তবে কখনও তিনি নিজ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর এই অটল অবস্থান ও আপসহীন মনোভাব তাঁকে ইসলামের ইতিহাসে একজন সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
হাম্বলি মাজহাব
ইমাম আহমদ ইসলামি আইনের চতুর্থ প্রধান মাজহাব ‘হাম্বলি মাজহাব’–এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাজহাব কোরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরামের ইজমা ও কিয়াসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাঁর মাজহাবের বিশেষত্ব হলো, এটি হাদিস ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং যুক্তি ও কিয়াসের ব্যবহার সীমিত রাখে। বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই মাজহাব অনুসরণ করা হয়।
ইমাম আহমদ ৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে (২৪১ হিজরি) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞান, গ্রন্থাবলি ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাঁর শিষ্যরা তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং ধর্মীয় নীতির ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শৈশব
পূর্ণ নাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল হেলাল ইবনে আসাদ আশ শাইবানি। বনু শাইবান ইবনে যুহল আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র। তিনি ছিলেন মূলত মার্ভ শহরের। তাঁর বাবা মার্ভ শহরে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। অল্প বয়সেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহমদ ইবনে হাম্বল গর্ভে থাকাবস্থায় তাঁর মা মার্ভ থেকে বের হন। ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে (১৬৪ হিজরি) ইরাকের বাগদাদে ইমাম আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। বাবাকে না দেখা ইবনে হাম্বল মায়ের কাছে বেড়ে ওঠেন। এতিম অবস্থায় পালিত হন।
শিক্ষা
ইমাম আহমদ অল্প বয়স থেকেই জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখান। চৌদ্দ বছর বয়স থেকে তিনি মক্তবে যেতে শুরু করেন। পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর হাদিস শেখার পালা। সে বছর ইমাম মালেক ও হাম্মাদ বিন যায়েদ ইন্তিকাল করেন। তিনি বাগদাদের প্রখ্যাত আলেমদের কাছে হাদিস, ফিকহ ও কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। শিক্ষাজীবনে হুশাইম বিন বশির, আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আশ-শাফেয়ি (রহ.)-এর মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন আহমদ। বিশেষত, ইমাম শাফেয়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তিনি ইমাম শাফেয়ির কাছ থেকে ফিকহ ও উসুলে ফিকহের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
ইমাম আহমদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন ইমাম শাফেয়ি (রহ.)। তিনি তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করেন, ‘আহমদ ইবনে হাম্বল মোট ৮ বিষয়ের ইমাম। তিনি হাদিসশাস্ত্রের বিজ্ঞ পণ্ডিত। ফিকহেরও ইমাম। আরবি ভাষায়ও সেরা শাস্ত্রজ্ঞ। কোরআন বিষয়ের পণ্ডিত। দারিদ্র্যের জগতের ইমাম। দুনিয়াবিমুখতায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। পরহেজগারি ও সতর্কতায়ও শ্রেষ্ঠ। সুন্নাহ বিষয়ে তাঁর নেতৃত্ব তো দুনিয়াবিখ্যাত।’ (তাবাকাতুল হানাবিলা: ১ / ১০)
ইমাম শাফেয়ি আরও বলেন, ‘আমি বাগদাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বাগদাদে আমার রেখে যাওয়া ছাত্রদের মধ্যে আহমদ ইবনে হাম্বলের চেয়ে বড় কোনো আইনজ্ঞ ও খোদাভীরু নেই।’
হাদিস সংকলন
ইমাম আহমদ ইসলামি জ্ঞানচর্চায় সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাদিস সংকলনের মাধ্যমে। তাঁর সংকলিত হাদিসগ্রন্থ মুসনাদে আহমদ হাদিসশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংকলন। এই গ্রন্থে তিনি প্রায় ৩০ হাজার হাদিস ২৮০ জন মুহাদ্দিসের সূত্রে সংকলন করেছেন, যা ইসলামি আইন ও ধর্মতত্ত্বের একটি প্রামাণ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর এ কাজ হাদিস গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে।
আপসহীনতা
ইমাম আহমদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ধর্মীয় নীতিতে তাঁর অবিচলতা। আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুনের সময় ‘খালকুল কোরআন’ (কোরআন সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট) নামক বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইমাম আহমদ এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ‘কোরআন আল্লাহর বাণী এবং তা অসৃষ্ট।’ এ জন্য সমকালীন সব বাতিলপন্থীদের বিশেষত মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে অবতীর্ণ হন। স্বয়ং খলিফা মুতাসিমের সামনেই একাধিক বিতর্কে মুতাজিলাদের পরাস্ত করেন। তবে মুতাজিলাদের পক্ষে সরকারি আনুকূল্য থাকায় তাঁর এই অবস্থানের কারণে খলিফা মুতাসিম তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় ইমাম আহমদকে। তবে কখনও তিনি নিজ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। তাঁর এই অটল অবস্থান ও আপসহীন মনোভাব তাঁকে ইসলামের ইতিহাসে একজন সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
হাম্বলি মাজহাব
ইমাম আহমদ ইসলামি আইনের চতুর্থ প্রধান মাজহাব ‘হাম্বলি মাজহাব’–এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাজহাব কোরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরামের ইজমা ও কিয়াসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাঁর মাজহাবের বিশেষত্ব হলো, এটি হাদিস ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং যুক্তি ও কিয়াসের ব্যবহার সীমিত রাখে। বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই মাজহাব অনুসরণ করা হয়।
ইমাম আহমদ ৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে (২৪১ হিজরি) বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞান, গ্রন্থাবলি ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাঁর শিষ্যরা তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস।

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৪১ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৭ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৪০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৭ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৪০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৪১ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৬ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৭ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০০ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৬ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৭ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০০ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৪১ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি:
শীতের কাপড়ের কারণে অনেকে হাতা ঠিকমতো না গুটিয়েই হাত ধুয়ে নেন, ফলে কনুই শুকনো থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মনে রাখতে হবে, কনুই বা পায়ের টাখনুর কোনো অংশ সামান্য শুকনো থাকলেও অজু হবে না। (সহিহ্ মুসলিম: ২৪৬)
তাড়াহুড়ো করে অজু করতে গিয়ে অনেকে পায়ের গোড়ালি ঠিকমতো ভেজান না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আগুনের কঠিন শাস্তি সেই গোড়ালিগুলোর জন্য (যা অজুর সময় শুকনো থাকে)! তোমরা খুব ভালোভাবে অজু করো।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৪১)
ঠান্ডার ভয়ে অনেকে প্রস্রাব-পায়খানার বেগ চেপে রেখে আগের অজু দিয়ে নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি ইসলামের দৃষ্টিতেও অপছন্দের। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাবারের উপস্থিতিতে এবং মল-মূত্রের বেগ চেপে রাখা অবস্থায় কোনো নামাজ নেই।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫৬০)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোনো মুমিনের জন্য মল-মূত্রের বেগ নিয়ে নামাজ পড়া বৈধ নয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)
শীতের কষ্টকে উপেক্ষা করে যথাযথভাবে অজু সম্পন্ন করা মুমিনের ইমানি দৃঢ়তার পরিচয়। তাই আমাদের উচিত, তাড়াহুড়ো না করে অজুর প্রতিটি অঙ্গ ভালোভাবে ধৌত করা এবং পূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের পর আল্লাহর দরবারে দণ্ডায়মান হওয়া।

শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি:
শীতের কাপড়ের কারণে অনেকে হাতা ঠিকমতো না গুটিয়েই হাত ধুয়ে নেন, ফলে কনুই শুকনো থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মনে রাখতে হবে, কনুই বা পায়ের টাখনুর কোনো অংশ সামান্য শুকনো থাকলেও অজু হবে না। (সহিহ্ মুসলিম: ২৪৬)
তাড়াহুড়ো করে অজু করতে গিয়ে অনেকে পায়ের গোড়ালি ঠিকমতো ভেজান না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আগুনের কঠিন শাস্তি সেই গোড়ালিগুলোর জন্য (যা অজুর সময় শুকনো থাকে)! তোমরা খুব ভালোভাবে অজু করো।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৪১)
ঠান্ডার ভয়ে অনেকে প্রস্রাব-পায়খানার বেগ চেপে রেখে আগের অজু দিয়ে নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি ইসলামের দৃষ্টিতেও অপছন্দের। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাবারের উপস্থিতিতে এবং মল-মূত্রের বেগ চেপে রাখা অবস্থায় কোনো নামাজ নেই।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫৬০)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোনো মুমিনের জন্য মল-মূত্রের বেগ নিয়ে নামাজ পড়া বৈধ নয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)
শীতের কষ্টকে উপেক্ষা করে যথাযথভাবে অজু সম্পন্ন করা মুমিনের ইমানি দৃঢ়তার পরিচয়। তাই আমাদের উচিত, তাড়াহুড়ো না করে অজুর প্রতিটি অঙ্গ ভালোভাবে ধৌত করা এবং পূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের পর আল্লাহর দরবারে দণ্ডায়মান হওয়া।

ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহান ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান, সংযম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) অন্যতম। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদই ছিলেন না, বরং তাঁর জীবন ছিল ইমানি দৃঢ়তা, সহিষ্ণুতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান
০৯ মার্চ ২০২৫
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৪১ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে