ইজাজুল হক, ঢাকা

আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের মানুষ সৃষ্টির কথা জানালে তাঁরা বলেছিলেন, ‘আপনি কি সেখানে বিশৃঙ্খলা করবে এবং খুনোখুনিতে জড়াবে এমন জাতি সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন?’ (সুরা বাকারা: ৩০) এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, পৃথিবীতে মানুষ মানুষের রক্ত ঝরাবে; অর্থাৎ মানুষের মধ্যে অনেক ভালো গুনের মধ্যে অপরাধপ্রবণতাও থাকবে। আদম (আ.)-কে পৃথিবীতে পাঠানোর কিছুদিন পরই ঘটেছিল পৃথিবীতে মানবজাতির প্রথম খুনের ঘটনা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সেই খুনের সংক্ষিপ্ত বয়ান দিয়েছেন।
হাবিল-কাবিলের দ্বন্দ্ব
হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর ঘরে কতজন সন্তানের জন্ম হয়েছিল, তা নিয়ে দুটি মত পাওয়া যায়। মুফাসসির ইবনে জারির (রহ.) বলেছেন, ‘হাওয়া (আ.) ২০ বার গর্ভধারণ করেন; প্রতিবারই যমজ সন্তান জন্ম দেন—একটি ছেলে একটি মেয়ে।’ আবার কেউ বলেছেন, ‘১২০ বার গর্ভধারণ করেন এবং ২৪০ জন সন্তান জন্ম দেন।’ (নবুওয়াতু আদম ওয়া রিসালাতুহু: পৃ.১১৫; মুজাজুত-তারিখিল ইসলামি: ২ / ১৩)
যেহেতু তখন পৃথিবীতে আদমসন্তান ছাড়া কোনো মানুষ ছিল না, তাই বংশবৃদ্ধির জন্য আল্লাহর নির্দেশে আদম (আ.) নিজের ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের বিয়ে দিতেন। প্রতিবারই এক ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম নিত। নিয়ম ছিল, একবারের ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে অন্যবারের মেয়ে ও ছেলেকে বিয়ে দেওয়া হতো। নিয়ম অনুযায়ী হাবিল-কাবিলের বিয়ের বিষয়ও সামনে আসে। কাবিল বড় ছিলেন এবং তাঁর যমজ বোনটি হাবিলের যমজ বোনের চেয়ে বেশি সুন্দর ছিলেন। এ কারণে কাবিল তাঁর যমজ বোনকে হাবিলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। (ইবনে কাসির, কাসাসুল কোরআন)
কোরবানির ঘটনা
উল্লিখিত সমস্যার সমাধান হিসেবে আদম (আ.) সিদ্ধান্ত দিলেন—তাঁরা উভয়ে আল্লাহর দরবারে কোরবানি পেশ করবেন। যার কোরবানি কবুল হবে, তিনি নিজের ইচ্ছা পূরণের অধিকার পাবেন। তাওরাতের বর্ণনা অনুযায়ী, সেকালে কোরবানি ও মানত কবুল হয়েছে কি না—তা বোঝা যেত। নিয়ম অনুযায়ী, মানত ও কোরবানির বস্তু কোনো উঁচু স্থানে রেখে আসতে হতো। সেটি আল্লাহ দরবারে কবুল হলে আসমান থেকে আগুন এসে বস্তুটি পুড়িয়ে দিত।
হাবিল পশু পালন এবং কাবিল কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিয়মান অনুযায়ী হাবিল নিজের পশুর পাল থেকে একটি হৃষ্টপুষ্ট দুম্বা আল্লাহর নামে কোরবানি দেন। আর কাবিল নিজের শস্যভাণ্ডার থেকে কিছু শস্য কোরবানির জন্য পেশ করেন। সেকালের কোরবানির নিয়ম অনুসারে অদৃশ্য থেকে আগুন এসে হাবিলের কোরবানির বস্তু পুড়িয়ে ফেলল। আর কাবিলের কোরবানির বস্তু যেমন রাখা হয়েছিল, তেমনই রয়ে গেল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত তাদের যথাযথভাবে শোনাও। যখন তারা উভয়ে কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো এবং অন্য জনের কোরবানি কবুল হলো না।’ (সুরা মায়েদা: ২৭)
পৃথিবীর প্রথম খুন
কোরবানি কবুল না হওয়ায় কাবিল অপমানিত হলেন এবং ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘(একজন) বলল, আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব।’ বিপরীতে হাবিল শান্ত ভাষায় তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন এবং খুনের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করলেন। হাবিল বললেন, ‘আল্লাহ তো সংযমীদের কোরবানিই কবুল করে থাকেন। আমাকে খুন করতে তুমি হাত বাড়ালেও তোমাকে খুন করতে আমি হাত বাড়াব না। নিশ্চয়ই আমি সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহকে ভয় করি। তুমি আমার ও তোমার পাপের ভার বহন করো এবং জাহান্নামি হও—এই তো আমি চাই; এটিই অনাচারীদের কর্মফল।’ (সুরা মায়েদা: ২৭-২৯)
এরপর কাবিল আর ধৈর্য ধরতে পারলেন না। হাবিলের উপদেশ ও সতর্কবার্তা কাবিলের মনে তীরের মতো বিঁধতে লাগল। তিনি ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়লেন এবং ছোট ভাই হাবিলকে নির্মমভাবে হত্যা করলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এরপর তার মন তাকে ভাইকে খুন করতে প্ররোচনা দিল এবং সে (কাবিল) তাকে (হাবিলকে) হত্যা করল। ফলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হলো।’ (সুরা মায়েদা: ৩০)
কাকের কাছে শিক্ষা
ভাইকে খুন করে কাবিল অস্থির হয়ে পড়লেন। এখন এই মৃতদেহ নিয়ে তিনি কী করবেন, বুঝতে পারছিলেন না। তখনো পৃথিবীর কোনো আদমসন্তান মারা যাননি। হজরত আদম (আ.) মৃতদেহ সম্পর্কে কোনো বিধানের কথাও বলেননি। সেই দিশেহারা অবস্থায় কাবিল খেয়াল করলেন, একটি কাক মাটিতে গর্ত করে আরেকটি মৃত কাককে মাটিচাপা দিচ্ছে। কাবিল তা দেখে নিজের অযোগ্যতার জন্য আফসোস করলেন এবং মনে মনে বললেন, আমি এই তুচ্ছ প্রাণীর চেয়েও নিকৃষ্ট হলাম। নিজের এই অপরাধ গোপন করার যোগ্যতাও আমার নেই। এরপর সেভাবেই ভাইয়ের মৃতদেহ মাটিচাপা দিলেন। (তাবারি, কাসাসুল কোরআন)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এরপর আল্লাহ এক কাক পাঠালেন, যে তার ভাইয়ের মৃতদেহ কীভাবে গোপন করা যায়, তা দেখাবার জন্য মাটি খুঁড়তে লাগল। সে বলল, হায়! আমি কি এই কাকটির মতোও হতে পারলাম না, যাতে আমার ভাইয়ের মৃতদেহ গোপন করতে পারি! এরপর সে লজ্জিত হলো।’ (সুরা মায়েদা: ৩১)
মানুষ খুনের অপরাধ
মানুষ হত্যা ইসলামে অনেক বড় অপরাধ। হাবিল-কাবিলের এই ঘটনা বর্ণনার পরে আল্লাহ তাআলা মানুষ হত্যা সম্পর্কে বলেছেন, ‘এই কারণেই বনি ইসরাইলের প্রতি বিধান দিলাম, যে ব্যক্তি মানুষ খুন করবে বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজের শাস্তি ছাড়া কাউকে হত্যা করবে, সে যেন পৃথিবীর সব মানুষকেই হত্যা করল। আর কেউ কারও প্রাণরক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল।’ (সুরা মায়েদা: ৩২)
এই বিধান শুধু বনি ইসরাইলের জন্য নয়; ইসলামেও তা কার্যকর। তাবিই সুলাইমান ইবনে রবি বলেন, ‘আমি হাসান বসরিকে জিজ্ঞেস করলাম, বনি ইসরাইল যেমন এই বিধানের আওতাভুক্ত, তেমনি আমরাও কি আওতাভুক্ত?’ জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর কসম, বনি ইসরাইলের রক্ত আল্লাহর কাছে আমাদের রক্তের চেয়ে কোনোভাবেই বেশি সম্মানিত নয়।’ (ইবনে কাসির)
পৃথিবীতে কোনো নতুন গুনাহের সূচনা করলে পরে যতবারই সেই গুনাহ সংঘটিত হবে, ততবারই সেই সূচনাকারীর জন্য গুনাহের একটি অংশ বরাদ্দ থাকবে। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়, তখন তার পাপের একাংশ আদমের (কোরআনে বর্ণিত দুই সন্তানের) প্রথম সন্তানের ওপর বর্তায়।’ (বুখারি: ৬৮৬৭)
আরও পড়ুন:

আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের মানুষ সৃষ্টির কথা জানালে তাঁরা বলেছিলেন, ‘আপনি কি সেখানে বিশৃঙ্খলা করবে এবং খুনোখুনিতে জড়াবে এমন জাতি সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন?’ (সুরা বাকারা: ৩০) এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, পৃথিবীতে মানুষ মানুষের রক্ত ঝরাবে; অর্থাৎ মানুষের মধ্যে অনেক ভালো গুনের মধ্যে অপরাধপ্রবণতাও থাকবে। আদম (আ.)-কে পৃথিবীতে পাঠানোর কিছুদিন পরই ঘটেছিল পৃথিবীতে মানবজাতির প্রথম খুনের ঘটনা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সেই খুনের সংক্ষিপ্ত বয়ান দিয়েছেন।
হাবিল-কাবিলের দ্বন্দ্ব
হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর ঘরে কতজন সন্তানের জন্ম হয়েছিল, তা নিয়ে দুটি মত পাওয়া যায়। মুফাসসির ইবনে জারির (রহ.) বলেছেন, ‘হাওয়া (আ.) ২০ বার গর্ভধারণ করেন; প্রতিবারই যমজ সন্তান জন্ম দেন—একটি ছেলে একটি মেয়ে।’ আবার কেউ বলেছেন, ‘১২০ বার গর্ভধারণ করেন এবং ২৪০ জন সন্তান জন্ম দেন।’ (নবুওয়াতু আদম ওয়া রিসালাতুহু: পৃ.১১৫; মুজাজুত-তারিখিল ইসলামি: ২ / ১৩)
যেহেতু তখন পৃথিবীতে আদমসন্তান ছাড়া কোনো মানুষ ছিল না, তাই বংশবৃদ্ধির জন্য আল্লাহর নির্দেশে আদম (আ.) নিজের ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের বিয়ে দিতেন। প্রতিবারই এক ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম নিত। নিয়ম ছিল, একবারের ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে অন্যবারের মেয়ে ও ছেলেকে বিয়ে দেওয়া হতো। নিয়ম অনুযায়ী হাবিল-কাবিলের বিয়ের বিষয়ও সামনে আসে। কাবিল বড় ছিলেন এবং তাঁর যমজ বোনটি হাবিলের যমজ বোনের চেয়ে বেশি সুন্দর ছিলেন। এ কারণে কাবিল তাঁর যমজ বোনকে হাবিলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। (ইবনে কাসির, কাসাসুল কোরআন)
কোরবানির ঘটনা
উল্লিখিত সমস্যার সমাধান হিসেবে আদম (আ.) সিদ্ধান্ত দিলেন—তাঁরা উভয়ে আল্লাহর দরবারে কোরবানি পেশ করবেন। যার কোরবানি কবুল হবে, তিনি নিজের ইচ্ছা পূরণের অধিকার পাবেন। তাওরাতের বর্ণনা অনুযায়ী, সেকালে কোরবানি ও মানত কবুল হয়েছে কি না—তা বোঝা যেত। নিয়ম অনুযায়ী, মানত ও কোরবানির বস্তু কোনো উঁচু স্থানে রেখে আসতে হতো। সেটি আল্লাহ দরবারে কবুল হলে আসমান থেকে আগুন এসে বস্তুটি পুড়িয়ে দিত।
হাবিল পশু পালন এবং কাবিল কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিয়মান অনুযায়ী হাবিল নিজের পশুর পাল থেকে একটি হৃষ্টপুষ্ট দুম্বা আল্লাহর নামে কোরবানি দেন। আর কাবিল নিজের শস্যভাণ্ডার থেকে কিছু শস্য কোরবানির জন্য পেশ করেন। সেকালের কোরবানির নিয়ম অনুসারে অদৃশ্য থেকে আগুন এসে হাবিলের কোরবানির বস্তু পুড়িয়ে ফেলল। আর কাবিলের কোরবানির বস্তু যেমন রাখা হয়েছিল, তেমনই রয়ে গেল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত তাদের যথাযথভাবে শোনাও। যখন তারা উভয়ে কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো এবং অন্য জনের কোরবানি কবুল হলো না।’ (সুরা মায়েদা: ২৭)
পৃথিবীর প্রথম খুন
কোরবানি কবুল না হওয়ায় কাবিল অপমানিত হলেন এবং ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘(একজন) বলল, আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব।’ বিপরীতে হাবিল শান্ত ভাষায় তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন এবং খুনের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করলেন। হাবিল বললেন, ‘আল্লাহ তো সংযমীদের কোরবানিই কবুল করে থাকেন। আমাকে খুন করতে তুমি হাত বাড়ালেও তোমাকে খুন করতে আমি হাত বাড়াব না। নিশ্চয়ই আমি সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহকে ভয় করি। তুমি আমার ও তোমার পাপের ভার বহন করো এবং জাহান্নামি হও—এই তো আমি চাই; এটিই অনাচারীদের কর্মফল।’ (সুরা মায়েদা: ২৭-২৯)
এরপর কাবিল আর ধৈর্য ধরতে পারলেন না। হাবিলের উপদেশ ও সতর্কবার্তা কাবিলের মনে তীরের মতো বিঁধতে লাগল। তিনি ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়লেন এবং ছোট ভাই হাবিলকে নির্মমভাবে হত্যা করলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এরপর তার মন তাকে ভাইকে খুন করতে প্ররোচনা দিল এবং সে (কাবিল) তাকে (হাবিলকে) হত্যা করল। ফলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হলো।’ (সুরা মায়েদা: ৩০)
কাকের কাছে শিক্ষা
ভাইকে খুন করে কাবিল অস্থির হয়ে পড়লেন। এখন এই মৃতদেহ নিয়ে তিনি কী করবেন, বুঝতে পারছিলেন না। তখনো পৃথিবীর কোনো আদমসন্তান মারা যাননি। হজরত আদম (আ.) মৃতদেহ সম্পর্কে কোনো বিধানের কথাও বলেননি। সেই দিশেহারা অবস্থায় কাবিল খেয়াল করলেন, একটি কাক মাটিতে গর্ত করে আরেকটি মৃত কাককে মাটিচাপা দিচ্ছে। কাবিল তা দেখে নিজের অযোগ্যতার জন্য আফসোস করলেন এবং মনে মনে বললেন, আমি এই তুচ্ছ প্রাণীর চেয়েও নিকৃষ্ট হলাম। নিজের এই অপরাধ গোপন করার যোগ্যতাও আমার নেই। এরপর সেভাবেই ভাইয়ের মৃতদেহ মাটিচাপা দিলেন। (তাবারি, কাসাসুল কোরআন)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এরপর আল্লাহ এক কাক পাঠালেন, যে তার ভাইয়ের মৃতদেহ কীভাবে গোপন করা যায়, তা দেখাবার জন্য মাটি খুঁড়তে লাগল। সে বলল, হায়! আমি কি এই কাকটির মতোও হতে পারলাম না, যাতে আমার ভাইয়ের মৃতদেহ গোপন করতে পারি! এরপর সে লজ্জিত হলো।’ (সুরা মায়েদা: ৩১)
মানুষ খুনের অপরাধ
মানুষ হত্যা ইসলামে অনেক বড় অপরাধ। হাবিল-কাবিলের এই ঘটনা বর্ণনার পরে আল্লাহ তাআলা মানুষ হত্যা সম্পর্কে বলেছেন, ‘এই কারণেই বনি ইসরাইলের প্রতি বিধান দিলাম, যে ব্যক্তি মানুষ খুন করবে বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজের শাস্তি ছাড়া কাউকে হত্যা করবে, সে যেন পৃথিবীর সব মানুষকেই হত্যা করল। আর কেউ কারও প্রাণরক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল।’ (সুরা মায়েদা: ৩২)
এই বিধান শুধু বনি ইসরাইলের জন্য নয়; ইসলামেও তা কার্যকর। তাবিই সুলাইমান ইবনে রবি বলেন, ‘আমি হাসান বসরিকে জিজ্ঞেস করলাম, বনি ইসরাইল যেমন এই বিধানের আওতাভুক্ত, তেমনি আমরাও কি আওতাভুক্ত?’ জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর কসম, বনি ইসরাইলের রক্ত আল্লাহর কাছে আমাদের রক্তের চেয়ে কোনোভাবেই বেশি সম্মানিত নয়।’ (ইবনে কাসির)
পৃথিবীতে কোনো নতুন গুনাহের সূচনা করলে পরে যতবারই সেই গুনাহ সংঘটিত হবে, ততবারই সেই সূচনাকারীর জন্য গুনাহের একটি অংশ বরাদ্দ থাকবে। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়, তখন তার পাপের একাংশ আদমের (কোরআনে বর্ণিত দুই সন্তানের) প্রথম সন্তানের ওপর বর্তায়।’ (বুখারি: ৬৮৬৭)
আরও পড়ুন:

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের মানুষ সৃষ্টির কথা জানালে তাঁরা বলেছিলেন, ‘আপনি কি সেখানে বিশৃঙ্খলা করবে এবং খুনোখুনিতে জড়াবে এমন জাতি সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন?’ (সুরা বাকারা: ৩০) এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, পৃথিবীতে মানুষ মানুষের রক্ত ঝরাবে; অর্থাৎ মানুষের মধ্যে অনেক ভালো গুনের মধ্যে অপরাধপ্রবণতাও থাকবে। আদম (আ.)-কে প
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের মানুষ সৃষ্টির কথা জানালে তাঁরা বলেছিলেন, ‘আপনি কি সেখানে বিশৃঙ্খলা করবে এবং খুনোখুনিতে জড়াবে এমন জাতি সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন?’ (সুরা বাকারা: ৩০) এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, পৃথিবীতে মানুষ মানুষের রক্ত ঝরাবে; অর্থাৎ মানুষের মধ্যে অনেক ভালো গুনের মধ্যে অপরাধপ্রবণতাও থাকবে। আদম (আ.)-কে প
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের মানুষ সৃষ্টির কথা জানালে তাঁরা বলেছিলেন, ‘আপনি কি সেখানে বিশৃঙ্খলা করবে এবং খুনোখুনিতে জড়াবে এমন জাতি সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন?’ (সুরা বাকারা: ৩০) এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, পৃথিবীতে মানুষ মানুষের রক্ত ঝরাবে; অর্থাৎ মানুষের মধ্যে অনেক ভালো গুনের মধ্যে অপরাধপ্রবণতাও থাকবে। আদম (আ.)-কে প
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের মানুষ সৃষ্টির কথা জানালে তাঁরা বলেছিলেন, ‘আপনি কি সেখানে বিশৃঙ্খলা করবে এবং খুনোখুনিতে জড়াবে এমন জাতি সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন?’ (সুরা বাকারা: ৩০) এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, পৃথিবীতে মানুষ মানুষের রক্ত ঝরাবে; অর্থাৎ মানুষের মধ্যে অনেক ভালো গুনের মধ্যে অপরাধপ্রবণতাও থাকবে। আদম (আ.)-কে প
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে