ইজাজুল হক, ঢাকা

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ। এমনকি ফেরেশতারাও নিজের মতো করে চিন্তা করে কথা বলতে এবং মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন না। মানুষকে কথা বলার যোগ্যতা ও ফেরেশতাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দানের কথা পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারায় বিবৃত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো।
মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ তাআলা প্রথম মানুষ হজরত আদম (আ.)-এর দেহ তৈরি করে তাতে প্রাণ দিলেন। এরপর একদল ফেরেশতাকে সালাম দেওয়ার জন্য তাঁকে পাঠালেন। তিনি সালাম দিলেন। ফেরেশতারা জবাব দিলেন। এরপর আল্লাহ ইচ্ছা করলেন, ফেরেশতাদের মানুষ সৃষ্টির কারণ জানিয়ে দেবেন। যেমনটি পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর স্মরণ করো, যখন তোমার পালনকর্তা ফেরেশতাদের বললেন, আমি নিশ্চয়ই পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করব।’ (সুরা বাকারা: ৩০)
আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে জারির (রহ.) বলেন, ‘আমি পৃথিবীতে আমার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে চাই, যে আমার সৃষ্টির মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে আমার নির্দেশ বাস্তবায়ন করবে। সেই প্রতিনিধি হলো, আদম ও যারা আমার আনুগত্য করবে এবং আমার বান্দাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে আমার বিধান প্রতিষ্ঠায় আমার স্থলাভিষিক্ত হবে।’ (তাফসিরে তাবারি)
এরপর মানুষের প্রকৃতি-বৈশিষ্ট্য ফেরেশতাদের জানানো হলো। তাঁরা জানলেন, মানুষ পৃথিবীতে গিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হবে। তাই তাঁরা বললেন, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত করবে? আমরা তো আপনার প্রশংসাসহ তাসবিহ পড়িই এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করিই।’ (সুরা বাকারা: ৩০)
ফেরেশতারা বোঝাতে চাইলেন, আমাদের মতো অনুগত ও বাধ্য বান্দা থাকতে কেন বিশৃঙ্খল একটি জাতি সৃষ্টি করতে হবে। তাঁদের সেই কথার জবাবে আল্লাহ বললেন, ‘তোমরা যা জানো না, আমি তা নিশ্চিতভাবে জানি।’ (সুরা বাকারা: ৩০) অর্থাৎ, মানুষ তোমাদের মতো হবে না। তাদের আলাদা যোগ্যতা থাকবে। সেই যোগ্যতা দিয়ে তারা পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধিত্ব করবে।
আদম (আ.)-কে কী শেখানো হয়েছিল
মহাবিশ্বের অধিপতি আল্লাহ ভালো করেই জানেন, ফেরেশতাদের তিনি পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব করতে সৃষ্টি করেননি। তাই তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা দিয়ে প্রস্তুত করেননি। তবে আদম ও তাঁর সন্তানদের পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। তাই তাঁদের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা দিয়ে প্রস্তুত করেছেন।
ফলে আদম (আ.)-কে পৃথিবীর সবকিছু সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো। যেমন, পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তিনি আদমকে সব নাম শিখিয়ে দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৩১)
এ বিষয়টি মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও এসেছে। আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন মুমিনদের একত্রিত করবেন। তারা বলবে, যদি আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে এই স্থান (হাশরের ময়দান) থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য (কারো মাধ্যমে) সুপারিশ করাই, (কেমন হয়?)। এরপর তারা আদমের কাছে এসে বলবে, হে আদম, আপনি কি মানুষের অবস্থা দেখছেন না? আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, ফেরেশতাদের দিয়ে সিজদা করিয়েছেন এবং সব বস্তুর নাম শিখিয়ে দিয়েছেন, সুতরাং আপনার পালনকর্তার কাছে আমাদের এই স্থান থেকে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করুন।’ (বুখারি: ৪৪৭৪; মুসলিম: ১৯৩)
এই হাদিস অনেক দীর্ঘ। এই অংশে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আপনাকে সব বস্তুর নাম শিখিয়ে দিয়েছেন।’ কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে একই কথা বলা হয়েছে। তবে আদমকে সবকিছুর নাম শেখানো সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। কী শেখানো হয়েছিল—তার বিস্তারিত বিবরণ কোথাও নেই।
তাবিই কাতাদাহর সূত্রে ইবনে কাসির ও ইবনে জারির বলেন, আল্লাহ তাআলা সবকিছুর নাম শিখিয়ে দিয়েছিলেন, যেমন এটি পাহাড়, এটি সমুদ্র, এটি এই, ওটা সেই—প্রত্যেকটি বস্তুর নাম। (তাবারি ও ইবনে কাসির) কেউ কেউ বলেছেন, ‘নামগুলো বলতে ব্যক্তিবর্গ ও জিনিসপত্রের নাম ও তাদের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান দান করেছেন। মহান আল্লাহ তা ইলহাম বা অন্তরে গেঁথে দেওয়ার মাধ্যমে তা সম্পন্ন করেন।’ (তাফসিরে আহসানুল বয়ান)
ড. সালাহ আল-খালেদি এ ব্যাপারে বলেন, ‘আল্লাহ কি আদম (আ.)–কে সবকিছুর নামের অভিধান মুখস্থ করিয়ে দিয়েছেন, না প্রয়োজনীয় নামগুলো শিখিয়ে দিয়েছেন? নাকি মুখস্থ না করিয়ে অন্য পদ্ধতিতে নামগুলো তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন? শেখানোর মাধ্যম কি আরবি ছিল, না অন্য ভাষা? এসব প্রশ্নের জবাবে আমাদের কাছে কোরআন-হাদিসের কোনো প্রমাণ নেই। তাই এই বিষয়ের বিস্তারিত আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে দেওয়াই আমাদের জন্য কল্যাণকর।’ (আল-কাসাসুল কোরআনি: ১ / ১০৭)
যেভাবে আদমের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ হলো
আদম (আ.)-কে যে ফেরেশতাদের চেয়ে বেশি যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা তিনি তাঁদের জানিয়ে দিতে চাইলেন। ফলে একটি পরীক্ষার আয়োজন করলেন। পরীক্ষায় আদম (আ.) উত্তীর্ণ হলেন এবং ফেরেশতারা অকৃতকার্য হলেন। ফলে ফেরেশতারা আদম (আ.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব বুঝতে পারলেন এবং অকপটে স্বীকার করে নিলেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘এরপর সেই বস্তুগুলো ফেরেশতাদের সামনে পেশ করে বললেন, আমাকে এসবের নাম বলো—যদি তোমরা সত্যবাদী হও। তারা বলল, আপনি পবিত্র মহান, আপনি আমাদের যা শিখিয়েছেন তা ছাড়া আমাদের কোনো জ্ঞানই নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। তিনি বললেন, হে আদম, ওদেরকে এসবের নামগুলো বলে দাও। এরপর যখন সে তাদের সেসবের নাম বলে দিল, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের বলিনি, আসমান-জমিনের অদৃশ্য বস্তু সম্পর্কে আমি অবহিত এবং তোমরা যা বলো বা গোপন রাখো, নিশ্চিতভাবে আমি তা জানি?’ (সুরা বাকারা: ৩১-৩৩)
ফেরেশতাদের কেন নামগুলো শেখালেন না?
আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে সবকিছুর নাম শেখালেন। ফেরেশতাদের শেখালেন না। এসব বস্তুর জ্ঞান আগে থেকে তাঁদের ছিলও না। এরপরও ফেরেশতাদের সেসব বস্তুর নাম জানাতে বললেন। আল্লাহ জানতেন, এসবের নাম ফেরেশতারা জানেন না। কারণ তিনি তাদের এসব শেখাননি। এরপরও তাদের পরীক্ষা করলেন। নামগুলো বলতে বললেন। কেন?
কারণ আল্লাহ ফেরেশতাদের আদমকে তাঁর প্রতিনিধি মনোনীত করার কারণ দেখাতে চেয়েছিলেন। ফলে তাঁর যোগ্যতা তাঁদের সামনে তুলে ধরলেন। এবং এর মাধ্যমে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন। ফেরেশতাদের মধ্যে সৃষ্টিগতভাবে সেই যোগ্যতা দেওয়া হয়নি। ফলে ফেরেশতারাও তাঁদের অপারগতা স্বীকার করে নিলেন। ফেরেশতাদের জবাবই প্রমাণ করে, তাঁদের জ্ঞান আল্লাহ থেকেই আসে। তাঁরা মানুষের মতো জ্ঞানের অধিকারী নন। কথা বলা, চিন্তা করা ও সব বস্তু চেনার এই যোগ্যতা ফেরেশতাদের দরকার নেই। কারণ তাঁদের যেসব ইবাদতে নিয়োজিত করা হয়েছে, সেসবে এমন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। (আল-কাসাসুল কোরআনি: ১ / ১০৮)
ভাষা ও কথা বলার যোগ্যতা
আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে জবাব দিতে বললেন। তিনি সুন্দরভাবে জবাব দিলেন। ফেরেশতাদের সামনে সব বস্তুর নাম বলে দিলেন। এ থেকে প্রমাণিত হয়, আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতিনিধি মানুষের মধ্যে কথা বলা, মনের ভাবপ্রকাশ করা, সৃষ্টির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার যোগ্যতা দিয়েছেন। কারণ তাঁর প্রতিনিধিত্ব করতে হলে এসবের গুরুত্ব অপরিসীম। এসব ছাড়া মানুষ কীভাবে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে? কীভাবে পৃথিবীতে আল্লাহর আদেশ বাস্তবায়ন করবে?
তাই আল্লাহ তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে আদম (আ.) ও তাঁর সন্তানদের কথা বলা, চিন্তা করা ও মনের ভাবপ্রকাশ করার ক্ষমতা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘পরম দয়ালু (আল্লাহ)। কোরআন শিখিয়েছেন। মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তাকে মনের ভাব প্রকাশ করতে শিখিয়েছেন।’ (সুরা রহমান: ১-৪)
আদম (আ.) কোন ভাষায় কথা বলতেন?
এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন, তিনি সুরয়ানি ভাষায় কথা বলতেন। কেউ বলেছেন, আরবি ভাষায়। কেউ বলেছেন, আসমানে থাকতে আরবি ভাষায়, পৃথিবীতে আসার পর সুরিয়ানি ভাষায়। কেউ বলেছেন, নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার আগে আরবি ভাষায়, তওবা করার আগে সুরিয়ানি ভাষায়, তওবা করার পর আবার আরবি ভাষায়। তবে একটি হাদিসে আদম (আ.)-এর ভাষা সুরিয়ানি বলা হয়েছে। (ইসলামওয়েব, ফতোয়া নম্বর: ৩৮৫৯৯০)
আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, নবী কয়জন? তিনি বললেন, ১ লাখ ২০ হাজার। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তাঁদের মধ্যে রাসুল কয়জন? তিনি বললেন, ৩১৩ জন। বড় দল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তাঁদের মধ্যে প্রথম কে? তিনি বললেন, আদম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তিনি কি নবী ছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহ তাঁকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং প্রাণ দিয়েছেন এবং (তাঁর সঙ্গে) কথা বলেছেন। এরপর তিনি আরও বললেন, হে আবু জর, তাঁদের মধ্যে চারজন সুরিয়ানি ভাষি: আদম, শিস, ইদরিস ও নুহ। চারজন আরবি ভাষার: হুদ, শুআইব, সালিহ ও মুহাম্মদ। (সহিহ, ইবনে হিব্বান)

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ। এমনকি ফেরেশতারাও নিজের মতো করে চিন্তা করে কথা বলতে এবং মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন না। মানুষকে কথা বলার যোগ্যতা ও ফেরেশতাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দানের কথা পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারায় বিবৃত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো।
মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ তাআলা প্রথম মানুষ হজরত আদম (আ.)-এর দেহ তৈরি করে তাতে প্রাণ দিলেন। এরপর একদল ফেরেশতাকে সালাম দেওয়ার জন্য তাঁকে পাঠালেন। তিনি সালাম দিলেন। ফেরেশতারা জবাব দিলেন। এরপর আল্লাহ ইচ্ছা করলেন, ফেরেশতাদের মানুষ সৃষ্টির কারণ জানিয়ে দেবেন। যেমনটি পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর স্মরণ করো, যখন তোমার পালনকর্তা ফেরেশতাদের বললেন, আমি নিশ্চয়ই পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করব।’ (সুরা বাকারা: ৩০)
আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে জারির (রহ.) বলেন, ‘আমি পৃথিবীতে আমার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে চাই, যে আমার সৃষ্টির মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে আমার নির্দেশ বাস্তবায়ন করবে। সেই প্রতিনিধি হলো, আদম ও যারা আমার আনুগত্য করবে এবং আমার বান্দাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে আমার বিধান প্রতিষ্ঠায় আমার স্থলাভিষিক্ত হবে।’ (তাফসিরে তাবারি)
এরপর মানুষের প্রকৃতি-বৈশিষ্ট্য ফেরেশতাদের জানানো হলো। তাঁরা জানলেন, মানুষ পৃথিবীতে গিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হবে। তাই তাঁরা বললেন, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত করবে? আমরা তো আপনার প্রশংসাসহ তাসবিহ পড়িই এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করিই।’ (সুরা বাকারা: ৩০)
ফেরেশতারা বোঝাতে চাইলেন, আমাদের মতো অনুগত ও বাধ্য বান্দা থাকতে কেন বিশৃঙ্খল একটি জাতি সৃষ্টি করতে হবে। তাঁদের সেই কথার জবাবে আল্লাহ বললেন, ‘তোমরা যা জানো না, আমি তা নিশ্চিতভাবে জানি।’ (সুরা বাকারা: ৩০) অর্থাৎ, মানুষ তোমাদের মতো হবে না। তাদের আলাদা যোগ্যতা থাকবে। সেই যোগ্যতা দিয়ে তারা পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধিত্ব করবে।
আদম (আ.)-কে কী শেখানো হয়েছিল
মহাবিশ্বের অধিপতি আল্লাহ ভালো করেই জানেন, ফেরেশতাদের তিনি পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব করতে সৃষ্টি করেননি। তাই তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা দিয়ে প্রস্তুত করেননি। তবে আদম ও তাঁর সন্তানদের পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। তাই তাঁদের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা দিয়ে প্রস্তুত করেছেন।
ফলে আদম (আ.)-কে পৃথিবীর সবকিছু সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো। যেমন, পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তিনি আদমকে সব নাম শিখিয়ে দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৩১)
এ বিষয়টি মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও এসেছে। আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন মুমিনদের একত্রিত করবেন। তারা বলবে, যদি আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে এই স্থান (হাশরের ময়দান) থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য (কারো মাধ্যমে) সুপারিশ করাই, (কেমন হয়?)। এরপর তারা আদমের কাছে এসে বলবে, হে আদম, আপনি কি মানুষের অবস্থা দেখছেন না? আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, ফেরেশতাদের দিয়ে সিজদা করিয়েছেন এবং সব বস্তুর নাম শিখিয়ে দিয়েছেন, সুতরাং আপনার পালনকর্তার কাছে আমাদের এই স্থান থেকে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করুন।’ (বুখারি: ৪৪৭৪; মুসলিম: ১৯৩)
এই হাদিস অনেক দীর্ঘ। এই অংশে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আপনাকে সব বস্তুর নাম শিখিয়ে দিয়েছেন।’ কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে একই কথা বলা হয়েছে। তবে আদমকে সবকিছুর নাম শেখানো সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। কী শেখানো হয়েছিল—তার বিস্তারিত বিবরণ কোথাও নেই।
তাবিই কাতাদাহর সূত্রে ইবনে কাসির ও ইবনে জারির বলেন, আল্লাহ তাআলা সবকিছুর নাম শিখিয়ে দিয়েছিলেন, যেমন এটি পাহাড়, এটি সমুদ্র, এটি এই, ওটা সেই—প্রত্যেকটি বস্তুর নাম। (তাবারি ও ইবনে কাসির) কেউ কেউ বলেছেন, ‘নামগুলো বলতে ব্যক্তিবর্গ ও জিনিসপত্রের নাম ও তাদের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান দান করেছেন। মহান আল্লাহ তা ইলহাম বা অন্তরে গেঁথে দেওয়ার মাধ্যমে তা সম্পন্ন করেন।’ (তাফসিরে আহসানুল বয়ান)
ড. সালাহ আল-খালেদি এ ব্যাপারে বলেন, ‘আল্লাহ কি আদম (আ.)–কে সবকিছুর নামের অভিধান মুখস্থ করিয়ে দিয়েছেন, না প্রয়োজনীয় নামগুলো শিখিয়ে দিয়েছেন? নাকি মুখস্থ না করিয়ে অন্য পদ্ধতিতে নামগুলো তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন? শেখানোর মাধ্যম কি আরবি ছিল, না অন্য ভাষা? এসব প্রশ্নের জবাবে আমাদের কাছে কোরআন-হাদিসের কোনো প্রমাণ নেই। তাই এই বিষয়ের বিস্তারিত আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে দেওয়াই আমাদের জন্য কল্যাণকর।’ (আল-কাসাসুল কোরআনি: ১ / ১০৭)
যেভাবে আদমের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ হলো
আদম (আ.)-কে যে ফেরেশতাদের চেয়ে বেশি যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা তিনি তাঁদের জানিয়ে দিতে চাইলেন। ফলে একটি পরীক্ষার আয়োজন করলেন। পরীক্ষায় আদম (আ.) উত্তীর্ণ হলেন এবং ফেরেশতারা অকৃতকার্য হলেন। ফলে ফেরেশতারা আদম (আ.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব বুঝতে পারলেন এবং অকপটে স্বীকার করে নিলেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘এরপর সেই বস্তুগুলো ফেরেশতাদের সামনে পেশ করে বললেন, আমাকে এসবের নাম বলো—যদি তোমরা সত্যবাদী হও। তারা বলল, আপনি পবিত্র মহান, আপনি আমাদের যা শিখিয়েছেন তা ছাড়া আমাদের কোনো জ্ঞানই নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। তিনি বললেন, হে আদম, ওদেরকে এসবের নামগুলো বলে দাও। এরপর যখন সে তাদের সেসবের নাম বলে দিল, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের বলিনি, আসমান-জমিনের অদৃশ্য বস্তু সম্পর্কে আমি অবহিত এবং তোমরা যা বলো বা গোপন রাখো, নিশ্চিতভাবে আমি তা জানি?’ (সুরা বাকারা: ৩১-৩৩)
ফেরেশতাদের কেন নামগুলো শেখালেন না?
আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে সবকিছুর নাম শেখালেন। ফেরেশতাদের শেখালেন না। এসব বস্তুর জ্ঞান আগে থেকে তাঁদের ছিলও না। এরপরও ফেরেশতাদের সেসব বস্তুর নাম জানাতে বললেন। আল্লাহ জানতেন, এসবের নাম ফেরেশতারা জানেন না। কারণ তিনি তাদের এসব শেখাননি। এরপরও তাদের পরীক্ষা করলেন। নামগুলো বলতে বললেন। কেন?
কারণ আল্লাহ ফেরেশতাদের আদমকে তাঁর প্রতিনিধি মনোনীত করার কারণ দেখাতে চেয়েছিলেন। ফলে তাঁর যোগ্যতা তাঁদের সামনে তুলে ধরলেন। এবং এর মাধ্যমে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন। ফেরেশতাদের মধ্যে সৃষ্টিগতভাবে সেই যোগ্যতা দেওয়া হয়নি। ফলে ফেরেশতারাও তাঁদের অপারগতা স্বীকার করে নিলেন। ফেরেশতাদের জবাবই প্রমাণ করে, তাঁদের জ্ঞান আল্লাহ থেকেই আসে। তাঁরা মানুষের মতো জ্ঞানের অধিকারী নন। কথা বলা, চিন্তা করা ও সব বস্তু চেনার এই যোগ্যতা ফেরেশতাদের দরকার নেই। কারণ তাঁদের যেসব ইবাদতে নিয়োজিত করা হয়েছে, সেসবে এমন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। (আল-কাসাসুল কোরআনি: ১ / ১০৮)
ভাষা ও কথা বলার যোগ্যতা
আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে জবাব দিতে বললেন। তিনি সুন্দরভাবে জবাব দিলেন। ফেরেশতাদের সামনে সব বস্তুর নাম বলে দিলেন। এ থেকে প্রমাণিত হয়, আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতিনিধি মানুষের মধ্যে কথা বলা, মনের ভাবপ্রকাশ করা, সৃষ্টির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার যোগ্যতা দিয়েছেন। কারণ তাঁর প্রতিনিধিত্ব করতে হলে এসবের গুরুত্ব অপরিসীম। এসব ছাড়া মানুষ কীভাবে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে? কীভাবে পৃথিবীতে আল্লাহর আদেশ বাস্তবায়ন করবে?
তাই আল্লাহ তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে আদম (আ.) ও তাঁর সন্তানদের কথা বলা, চিন্তা করা ও মনের ভাবপ্রকাশ করার ক্ষমতা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘পরম দয়ালু (আল্লাহ)। কোরআন শিখিয়েছেন। মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তাকে মনের ভাব প্রকাশ করতে শিখিয়েছেন।’ (সুরা রহমান: ১-৪)
আদম (আ.) কোন ভাষায় কথা বলতেন?
এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন, তিনি সুরয়ানি ভাষায় কথা বলতেন। কেউ বলেছেন, আরবি ভাষায়। কেউ বলেছেন, আসমানে থাকতে আরবি ভাষায়, পৃথিবীতে আসার পর সুরিয়ানি ভাষায়। কেউ বলেছেন, নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার আগে আরবি ভাষায়, তওবা করার আগে সুরিয়ানি ভাষায়, তওবা করার পর আবার আরবি ভাষায়। তবে একটি হাদিসে আদম (আ.)-এর ভাষা সুরিয়ানি বলা হয়েছে। (ইসলামওয়েব, ফতোয়া নম্বর: ৩৮৫৯৯০)
আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, নবী কয়জন? তিনি বললেন, ১ লাখ ২০ হাজার। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তাঁদের মধ্যে রাসুল কয়জন? তিনি বললেন, ৩১৩ জন। বড় দল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তাঁদের মধ্যে প্রথম কে? তিনি বললেন, আদম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তিনি কি নবী ছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহ তাঁকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং প্রাণ দিয়েছেন এবং (তাঁর সঙ্গে) কথা বলেছেন। এরপর তিনি আরও বললেন, হে আবু জর, তাঁদের মধ্যে চারজন সুরিয়ানি ভাষি: আদম, শিস, ইদরিস ও নুহ। চারজন আরবি ভাষার: হুদ, শুআইব, সালিহ ও মুহাম্মদ। (সহিহ, ইবনে হিব্বান)

পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
৭ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক...
১০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা এই দুনিয়াবি জীবনকে শুধু পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে প্রেরণ করেছেন, যেখানে মৃত্যুই হচ্ছে এই পরীক্ষার অবসান এবং পরকালীন জীবনের সূচনা।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমান: ১৮৫)
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও অবস্থান করো, তবুও।’ (সুরা নিন্দা: ৭৮)
মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত
প্রিয়জনের মৃত্যুতে মানুষের হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। এই বিচ্ছেদ-কষ্টে ব্যথিত মন থেকে তাদের জন্য কল্যাণ কামনার অনুভূতি জাগা স্বাভাবিক। মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমল।
রাসুলুল্লাহ (সাধারণ) বলেছেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি আমল অব্যাহত থাকে—সাদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং ওই সুসন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৩১)
রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃতদের জন্য যে দোয়া করতেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলাহু ওয়ারহামহু, ওয়া আফিহি ওয়া ফু আনহু; ওয়া আকরিম নুজুলাহু, ওয়া ওয়াসসি মাদখালাহু; ওয়াগসিলহু বিল মায়ি ওয়াস সালজি ওয়াল বারাদি, ওয়ানাক্কিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা ইউননাককাস সাওবুল আব ইয়াযু মিনাদদানাসি; ওয়াবদিলহু দা-রান খায়রান মিন দারিহি, ওয়া আহলান খাইরান মিন আহলিহি; ওয়া যাওজান খাইরান মিন যাওজিহি। ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আইজহু মিন আজাবিল কাবরি ওয়ামিন আজাবিন নার।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন। শান্তিতে রাখুন এবং তার থাকার স্থানটিকে মর্যাদাশীল করুন। তার কবর প্রশস্ত করে দিন। বরফ ও তুষারের শুভ্রতা দিয়ে তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করে দিন—যেমন ময়লা থেকে সাদা কাপড় পরিষ্কার হয়। তাকে দুনিয়ার বাসস্থানের চেয়ে উত্তম বাসস্থান, পরিবার ও সঙ্গী দান করুন। হে মাবুদ, তাকে জান্নাতে দাখিল করুন এবং কবর ও দোজখের আজাব থেকে রক্ষা করুন।’

পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা এই দুনিয়াবি জীবনকে শুধু পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে প্রেরণ করেছেন, যেখানে মৃত্যুই হচ্ছে এই পরীক্ষার অবসান এবং পরকালীন জীবনের সূচনা।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমান: ১৮৫)
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও অবস্থান করো, তবুও।’ (সুরা নিন্দা: ৭৮)
মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত
প্রিয়জনের মৃত্যুতে মানুষের হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। এই বিচ্ছেদ-কষ্টে ব্যথিত মন থেকে তাদের জন্য কল্যাণ কামনার অনুভূতি জাগা স্বাভাবিক। মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমল।
রাসুলুল্লাহ (সাধারণ) বলেছেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি আমল অব্যাহত থাকে—সাদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং ওই সুসন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৩১)
রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃতদের জন্য যে দোয়া করতেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলাহু ওয়ারহামহু, ওয়া আফিহি ওয়া ফু আনহু; ওয়া আকরিম নুজুলাহু, ওয়া ওয়াসসি মাদখালাহু; ওয়াগসিলহু বিল মায়ি ওয়াস সালজি ওয়াল বারাদি, ওয়ানাক্কিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা ইউননাককাস সাওবুল আব ইয়াযু মিনাদদানাসি; ওয়াবদিলহু দা-রান খায়রান মিন দারিহি, ওয়া আহলান খাইরান মিন আহলিহি; ওয়া যাওজান খাইরান মিন যাওজিহি। ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আইজহু মিন আজাবিল কাবরি ওয়ামিন আজাবিন নার।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন। শান্তিতে রাখুন এবং তার থাকার স্থানটিকে মর্যাদাশীল করুন। তার কবর প্রশস্ত করে দিন। বরফ ও তুষারের শুভ্রতা দিয়ে তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করে দিন—যেমন ময়লা থেকে সাদা কাপড় পরিষ্কার হয়। তাকে দুনিয়ার বাসস্থানের চেয়ে উত্তম বাসস্থান, পরিবার ও সঙ্গী দান করুন। হে মাবুদ, তাকে জান্নাতে দাখিল করুন এবং কবর ও দোজখের আজাব থেকে রক্ষা করুন।’

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
৭ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক...
১০ ঘণ্টা আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১. জুমার দিনের মর্যাদা অনুধাবন: জুমা মুমিনের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এদিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দীর্ঘ দোয়ায় মগ্ন হওয়া এবং জুমার খুতবা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব।
২. সালাতে খুশু-খুজু অর্জন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায়ের পাশাপাশি জুমার নামাজে আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া জরুরি। নামাজকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে আত্মিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
৩. কোরআনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক: নিয়মিত তিলাওয়াতের পাশাপাশি কোরআনের অর্থ ও শিক্ষা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সন্তানদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা আমাদের কর্তব্য।
৪. তাওবা ও আত্মপর্যালোচনা: অতীতের গুনাহের জন্য আন্তরিক অনুতাপ এবং প্রকাশ্য-গোপন সব পাপ থেকে ফিরে আসার দৃঢ়সংকল্প করতে হবে। প্রতিদিনের আমল নিজে নিজে মূল্যায়নের অভ্যাস গড়ে তোলা আত্মশুদ্ধির মূল চাবিকাঠি।
৫. সবর, তাওয়াক্কুল ও তাকওয়া চর্চা: বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ইমানের দাবি। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে ফলাফলের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে এবং সর্বদা আল্লাহভীতি (তাকওয়া) বজায় রাখতে হবে।
৬. পরিবারে ইসলামি পরিবেশ প্রতিষ্ঠা: পরিবারে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করা এবং স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা অত্যন্ত জরুরি। পারিবারিকভাবে নামাজ ও নিয়মিত দ্বীনি আলোচনার চর্চা করা একজন মুমিনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
৭. সামাজিক দায়িত্ব ও মানবিকতা: প্রতিবেশীর হক আদায় করা, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা।
৮. দুনিয়াবিমুখতা ও আত্মসংযম: অতিরিক্ত ভোগবিলাস ও অপচয় পরিহার করে সহজ-সরল ও সংযত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসেবে স্থির করতে হবে।
৯. ইসলামের মহান মনীষীদের অনুসরণ: ইসলামের মহান মনীষী ও সালাফদের জীবন থেকে সংযম, ত্যাগ ও পবিত্রতার শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনের মূল্যবোধ ও ইমান রক্ষায় সচেতন থাকা প্রয়োজন।
১০. নতুন আমলি অঙ্গীকার: প্রতিটি জুমাকে আত্মশুদ্ধির একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। ছোট হলেও নিয়মিত ভালো আমলের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং গুনাহমুক্ত জীবনের পথে অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞাই হোক আজকের জুমার শিক্ষা।
হে আল্লাহ, আপনি আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দিন। আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের আমলগুলো কবুল করুন। জমাদিউস সানি মাসের এই বরকতময় চতুর্থ জুমাকে আমাদের জীবনে হেদায়েত ও কল্যাণের মাধ্যম হিসেবে কবুল করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি।

আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১. জুমার দিনের মর্যাদা অনুধাবন: জুমা মুমিনের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এদিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দীর্ঘ দোয়ায় মগ্ন হওয়া এবং জুমার খুতবা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব।
২. সালাতে খুশু-খুজু অর্জন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায়ের পাশাপাশি জুমার নামাজে আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া জরুরি। নামাজকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে আত্মিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
৩. কোরআনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক: নিয়মিত তিলাওয়াতের পাশাপাশি কোরআনের অর্থ ও শিক্ষা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সন্তানদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা আমাদের কর্তব্য।
৪. তাওবা ও আত্মপর্যালোচনা: অতীতের গুনাহের জন্য আন্তরিক অনুতাপ এবং প্রকাশ্য-গোপন সব পাপ থেকে ফিরে আসার দৃঢ়সংকল্প করতে হবে। প্রতিদিনের আমল নিজে নিজে মূল্যায়নের অভ্যাস গড়ে তোলা আত্মশুদ্ধির মূল চাবিকাঠি।
৫. সবর, তাওয়াক্কুল ও তাকওয়া চর্চা: বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ইমানের দাবি। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে ফলাফলের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে এবং সর্বদা আল্লাহভীতি (তাকওয়া) বজায় রাখতে হবে।
৬. পরিবারে ইসলামি পরিবেশ প্রতিষ্ঠা: পরিবারে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করা এবং স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা অত্যন্ত জরুরি। পারিবারিকভাবে নামাজ ও নিয়মিত দ্বীনি আলোচনার চর্চা করা একজন মুমিনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
৭. সামাজিক দায়িত্ব ও মানবিকতা: প্রতিবেশীর হক আদায় করা, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা।
৮. দুনিয়াবিমুখতা ও আত্মসংযম: অতিরিক্ত ভোগবিলাস ও অপচয় পরিহার করে সহজ-সরল ও সংযত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসেবে স্থির করতে হবে।
৯. ইসলামের মহান মনীষীদের অনুসরণ: ইসলামের মহান মনীষী ও সালাফদের জীবন থেকে সংযম, ত্যাগ ও পবিত্রতার শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনের মূল্যবোধ ও ইমান রক্ষায় সচেতন থাকা প্রয়োজন।
১০. নতুন আমলি অঙ্গীকার: প্রতিটি জুমাকে আত্মশুদ্ধির একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। ছোট হলেও নিয়মিত ভালো আমলের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং গুনাহমুক্ত জীবনের পথে অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞাই হোক আজকের জুমার শিক্ষা।
হে আল্লাহ, আপনি আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দিন। আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের আমলগুলো কবুল করুন। জমাদিউস সানি মাসের এই বরকতময় চতুর্থ জুমাকে আমাদের জীবনে হেদায়েত ও কল্যাণের মাধ্যম হিসেবে কবুল করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক...
১০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
মসজিদুল হারামের এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ মাহের মুকাইলি মুসলিম বিশ্বের একজন প্রখ্যাত আলেম ও কারি। তিনি মক্কার মসজিদুল হারামের একজন ইমাম ও খতিব।
আল-মুয়াইকিলি মদিনার টিচার্স কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন, যেখানে তিনি গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি শিক্ষক হিসেবে মক্কা আল-মুকাররমায় চলে আসেন। পরবর্তীকালে তিনি মক্কার প্রিন্স আবদুল মজিদ স্কুলে স্টুডেন্ট গাইড হিসেবে কাজ করেন।
তিনি ১৪২৫ হিজরিতে উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ ফ্যাকাল্টি থেকে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.)-এর ফিকহ শাস্ত্রের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি তাফসির বিষয়ে পিএইচডি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুডিশিয়াল স্টাডিজ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত এবং উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিভাগের ভাইস ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি মক্কার আল-আওয়ালি এলাকার আল-সাদি মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পবিত্র রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববিতে তারাবিহতে ইমামতি করেন ১৪২৬ ও ১৪২৭ হিজরিতে। এরপর ১৪২৮ হিজরির রমজানে তিনি মসজিদুল হারামে তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ নামাজের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন এবং সেই বছর থেকেই তিনি মসজিদুল হারামের স্থায়ী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
অন্যদিকে, মসজিদে নববির এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ আহমাদ হুজাইফি সুললিত কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি।
শায়খ ড. আহমাদ বিন আলি আল-হুজাইফি মসজিদে নববির প্রধান ইমাম ও খতিব শায়খ আলি বিন আবদুর রহমান আল-হুজাইফির সুযোগ্য সন্তান। বর্তমানে তিনি মদিনার মসজিদে নববিতে ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি মদিনার ঐতিহাসিক মসজিদে কুবার ইমাম ও খতিব ছিলেন।
তিনি মদিনার তাইবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ফার্স্ট ক্লাস অনার্সসহ মাস্টার্স ও পিএইচডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি অর্জন করেন। মদিনার ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বক্তব্য ও গবেষণামূলক কাজে তাঁর ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত ও পবিত্র স্থান। এই দুই মসজিদে নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক (ওয়াক্ত) নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববি) এক নামাজ এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজের সমান এবং বাইতুল মুকাদ্দাসে এক (ওয়াক্ত) নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ: ৪ / ১১)
অন্য হাদিসে ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (সহিহ্ বুখারি: ১১৯০, সহিহ্ মুসলিম: ১৩৯৪)

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
মসজিদুল হারামের এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ মাহের মুকাইলি মুসলিম বিশ্বের একজন প্রখ্যাত আলেম ও কারি। তিনি মক্কার মসজিদুল হারামের একজন ইমাম ও খতিব।
আল-মুয়াইকিলি মদিনার টিচার্স কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন, যেখানে তিনি গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি শিক্ষক হিসেবে মক্কা আল-মুকাররমায় চলে আসেন। পরবর্তীকালে তিনি মক্কার প্রিন্স আবদুল মজিদ স্কুলে স্টুডেন্ট গাইড হিসেবে কাজ করেন।
তিনি ১৪২৫ হিজরিতে উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ ফ্যাকাল্টি থেকে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.)-এর ফিকহ শাস্ত্রের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি তাফসির বিষয়ে পিএইচডি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুডিশিয়াল স্টাডিজ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত এবং উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিভাগের ভাইস ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি মক্কার আল-আওয়ালি এলাকার আল-সাদি মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পবিত্র রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববিতে তারাবিহতে ইমামতি করেন ১৪২৬ ও ১৪২৭ হিজরিতে। এরপর ১৪২৮ হিজরির রমজানে তিনি মসজিদুল হারামে তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ নামাজের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন এবং সেই বছর থেকেই তিনি মসজিদুল হারামের স্থায়ী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
অন্যদিকে, মসজিদে নববির এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ আহমাদ হুজাইফি সুললিত কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি।
শায়খ ড. আহমাদ বিন আলি আল-হুজাইফি মসজিদে নববির প্রধান ইমাম ও খতিব শায়খ আলি বিন আবদুর রহমান আল-হুজাইফির সুযোগ্য সন্তান। বর্তমানে তিনি মদিনার মসজিদে নববিতে ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি মদিনার ঐতিহাসিক মসজিদে কুবার ইমাম ও খতিব ছিলেন।
তিনি মদিনার তাইবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ফার্স্ট ক্লাস অনার্সসহ মাস্টার্স ও পিএইচডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি অর্জন করেন। মদিনার ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বক্তব্য ও গবেষণামূলক কাজে তাঁর ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত ও পবিত্র স্থান। এই দুই মসজিদে নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক (ওয়াক্ত) নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববি) এক নামাজ এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজের সমান এবং বাইতুল মুকাদ্দাসে এক (ওয়াক্ত) নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ: ৪ / ১১)
অন্য হাদিসে ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (সহিহ্ বুখারি: ১১৯০, সহিহ্ মুসলিম: ১৩৯৪)

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
৭ ঘণ্টা আগে
১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক...
১০ ঘণ্টা আগেশায়ক মহিউদ্দীন ফারুকী

১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাষাগত ভবিষ্যতের জন্য নীতি প্রণয়ন ও চর্চার পথ উন্মুক্তকরণ’।
আজকের বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনশীল। প্রযুক্তি, বিশ্বায়ন ও বহুভাষিক সমাজব্যবস্থা ভাষার চরিত্র বদলে দিচ্ছে। এই পরিবর্তনের ধারায় আরবি ভাষাও এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি। একদিকে এটি কোরআনের ভাষা; প্রাচীন জ্ঞান ও সাহিত্যভান্ডারের ধারক; অন্যদিকে আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলাও তার জন্য জরুরি। ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য এই দ্বৈত বাস্তবতাকে সামনে রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ প্রতিপাদ্যের লক্ষ্য হলো, এমন কার্যকরী সমাধান ও মূলনীতি আবিষ্কার করা, যা দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ডিজিটাল পরিবর্তনের আলোকে আরবি ভাষার ভবিষ্যৎকে পুনর্গঠন করবে, যা শিক্ষা-প্রযুক্তি কর্তৃক কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে আরবিকে আরও প্রভাবশালী ভূমিকা পালনে সক্ষম করে তুলবে। এই বছরের প্রতিপাদ্যে উদ্ভাবনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আধুনিক সময়ে পরিবর্তিত সামাজিক কাঠামো ও প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে আরবি ভাষাকে এগিয়ে নেওয়ার উপায় খোঁজা এই প্রতিপাদ্যের লক্ষ্য।
ডিজিটাল যুগে ভাষার বিকাশ অনেকাংশেই নির্ভর করে প্রযুক্তিতে তার উপস্থিতির ওপর। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনে আরবি ভাষার ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল কোরআন, তাজবিদ শেখার অ্যাপ ও আরবি অভিধান নতুন প্রজন্মের কাছে আরবি শিক্ষাকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলছে। আরবির এই চলমান অগ্রগতি ইতিবাচক। তবে জরুরি বিষয় হলো, এই অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তাকে প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করতে হবে এবং এর সক্ষমতা অটুট রাখার জন্য দরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়া শিক্ষানীতিতে আরবি ভাষার গুরুত্ব নিশ্চিত করা, প্রশাসন, আদালত ও গণমাধ্যমে আরবির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং গবেষণা ও অনুবাদ কার্যক্রমে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহণের প্রস্তাবও থাকছে এবারের প্রতিপাদ্যে। নীতির পাশাপাশি বাস্তব প্রয়োগের প্রতিও গুরুত্ব থাকছে এখানে। শ্রেণিকক্ষে আরবি শেখানোর কার্যকরী পদ্ধতি এবং অভিবাসী, প্রতিবন্ধী, দৃষ্টিহীনসহ সর্বস্তরের অনারবদের জন্য সহজ পাঠ্যক্রম প্রণয়নের কথাও থাকছে এতে।
সবশেষে রয়েছে ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের কথা। আরবি ভাষা যেন শুধু নির্দিষ্ট অঞ্চল বা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে; বরং নারী-পুরুষ, বয়স্ক-শিশু, আরব-অনারব সবার মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাষাগত বৈচিত্র্য ও বহুভাষিকতার সঙ্গে আরবির সহাবস্থান নিশ্চিত করা যায়, এর জন্য দরকার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুন প্রয়াস। চলতি বছরের প্রতিপাদ্যে এ বিষয়গুলোই তুলে ধরতে চাওয়া হয়েছে।
এ বছর সৌদি আরবে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসের আয়োজন হয়েছে বাদশাহ সুলতান বিন আবদুল আজিজ সেবা সংস্থা ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে এবং ইউনেসকোতে কর্মরত সৌদি সরকারের প্রতিনিধিদলের সমন্বয়ে। এ বিষয়ে বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ বছরের আরবি ভাষা দিবসের আয়োজন আরবি ভাষার সেবা ও বিশ্বব্যাপী আরবির প্রচার বৃদ্ধিকারী উদ্যোগসমূহের প্রতি বাদশাহ সুলতান বিন আবদুল আজিজ সেবা সংস্থার সর্বাত্মক প্রতিশ্রুতির পরিচয় বহন করে।’ (সূত্র: আর-রিয়াদ)
এ বছরের প্রতিপাদ্য ঘোষণার পর ইউনেসকো তাদের ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়েছে, ‘দ্রুতগামী ডিজিটাল পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির মধ্যে এবারের বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ফলে এবারের আয়োজন এমন কিছু আলোচনা তুলে ধরবে, যেখানে শিক্ষাব্যবস্থা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সাধারণ কথাবার্তায় আরবির উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে যে বহুভাষিক সমাজে ভাষা-শিক্ষামাধ্যম সীমিত, সেখানে আরবির উপস্থিতি সহজ ও অবারিত করবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই ভাষার নানামাত্রিক চর্চা ও অনুশীলন, অন্য ভাষাসমূহের সঙ্গে একে পূর্ণ সমতার অবস্থানে উন্নীতকরণ এবং বিভিন্ন দেশ ও সমাজে স্বকীয়তা ঠিক রেখে আরবির প্রবেশায়নের পথ-পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে।’
ইউনেসকো আরও জানিয়েছে, ‘বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসের আয়োজনটি আরবি ভাষা নিয়ে পরস্পরে কথোপকথন, চিন্তা ও ভাব বিনিময়ের সুযোগ। পাশাপাশি আরবি ভাষার বৈশ্বিক অবস্থানের মূল্যায়ন ও এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ।’
আমাদেরও প্রত্যাশা, বাংলাদেশে আরবি ভাষা চর্চাকে আরও বেগবান করতে হবে। আরবি ভাষা ব্যাপককরণের ক্ষেত্রে যত সংকট, সব নিরসন করতে হবে। এই ভাষার অগ্রগতি সাধনের জন্য যথাযথ পথ ও পন্থা তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে, আরবি ভাষা শিক্ষাদানের জগতে আমাদের আরেকটু সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। অনারবদের আরবি ভাষা পাঠদান পদ্ধতি ও কার্যকরী সিলেবাসের প্রয়োগ আমাদের শিক্ষার্থীদের ভাষাশিক্ষাকে সহজ করবে। কওমি ও আলিয়া উভয় শিক্ষাব্যবস্থাতেই আরবির সিলেবাসকে প্রাচীন ও আধুনিক আরবির সমন্বয়ে জীবন্ত ও প্রায়োগিক হিসেবে পুনর্গঠন করা জরুরি।
সবশেষে আমাদের আহ্বান, আরবি ভাষাকে দিবসকেন্দ্রিক উদ্যাপন না করে একে জীবনব্যাপী রূপ দেওয়া দরকার। মুসলমান মাত্রই আরবি ভাষার মুখাপেক্ষী। আমাদের জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ থেকে নিয়ে প্রায় প্রতিটি ইবাদতেই আরবির প্রয়োজন হয়। আরবি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারিক ভাষা। তাই ‘আরবি ভাষা দিবস’ শিরোনামে একটি দিন নির্ধারিত থাকলেও বাস্তবিক জীবনে আমাদের প্রতিটি দিনই আরবি ভাষা দিবস।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ

১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাষাগত ভবিষ্যতের জন্য নীতি প্রণয়ন ও চর্চার পথ উন্মুক্তকরণ’।
আজকের বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনশীল। প্রযুক্তি, বিশ্বায়ন ও বহুভাষিক সমাজব্যবস্থা ভাষার চরিত্র বদলে দিচ্ছে। এই পরিবর্তনের ধারায় আরবি ভাষাও এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি। একদিকে এটি কোরআনের ভাষা; প্রাচীন জ্ঞান ও সাহিত্যভান্ডারের ধারক; অন্যদিকে আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলাও তার জন্য জরুরি। ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য এই দ্বৈত বাস্তবতাকে সামনে রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ প্রতিপাদ্যের লক্ষ্য হলো, এমন কার্যকরী সমাধান ও মূলনীতি আবিষ্কার করা, যা দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ডিজিটাল পরিবর্তনের আলোকে আরবি ভাষার ভবিষ্যৎকে পুনর্গঠন করবে, যা শিক্ষা-প্রযুক্তি কর্তৃক কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে আরবিকে আরও প্রভাবশালী ভূমিকা পালনে সক্ষম করে তুলবে। এই বছরের প্রতিপাদ্যে উদ্ভাবনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আধুনিক সময়ে পরিবর্তিত সামাজিক কাঠামো ও প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে আরবি ভাষাকে এগিয়ে নেওয়ার উপায় খোঁজা এই প্রতিপাদ্যের লক্ষ্য।
ডিজিটাল যুগে ভাষার বিকাশ অনেকাংশেই নির্ভর করে প্রযুক্তিতে তার উপস্থিতির ওপর। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনে আরবি ভাষার ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল কোরআন, তাজবিদ শেখার অ্যাপ ও আরবি অভিধান নতুন প্রজন্মের কাছে আরবি শিক্ষাকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলছে। আরবির এই চলমান অগ্রগতি ইতিবাচক। তবে জরুরি বিষয় হলো, এই অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তাকে প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করতে হবে এবং এর সক্ষমতা অটুট রাখার জন্য দরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়া শিক্ষানীতিতে আরবি ভাষার গুরুত্ব নিশ্চিত করা, প্রশাসন, আদালত ও গণমাধ্যমে আরবির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং গবেষণা ও অনুবাদ কার্যক্রমে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহণের প্রস্তাবও থাকছে এবারের প্রতিপাদ্যে। নীতির পাশাপাশি বাস্তব প্রয়োগের প্রতিও গুরুত্ব থাকছে এখানে। শ্রেণিকক্ষে আরবি শেখানোর কার্যকরী পদ্ধতি এবং অভিবাসী, প্রতিবন্ধী, দৃষ্টিহীনসহ সর্বস্তরের অনারবদের জন্য সহজ পাঠ্যক্রম প্রণয়নের কথাও থাকছে এতে।
সবশেষে রয়েছে ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের কথা। আরবি ভাষা যেন শুধু নির্দিষ্ট অঞ্চল বা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে; বরং নারী-পুরুষ, বয়স্ক-শিশু, আরব-অনারব সবার মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাষাগত বৈচিত্র্য ও বহুভাষিকতার সঙ্গে আরবির সহাবস্থান নিশ্চিত করা যায়, এর জন্য দরকার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুন প্রয়াস। চলতি বছরের প্রতিপাদ্যে এ বিষয়গুলোই তুলে ধরতে চাওয়া হয়েছে।
এ বছর সৌদি আরবে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসের আয়োজন হয়েছে বাদশাহ সুলতান বিন আবদুল আজিজ সেবা সংস্থা ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে এবং ইউনেসকোতে কর্মরত সৌদি সরকারের প্রতিনিধিদলের সমন্বয়ে। এ বিষয়ে বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ বছরের আরবি ভাষা দিবসের আয়োজন আরবি ভাষার সেবা ও বিশ্বব্যাপী আরবির প্রচার বৃদ্ধিকারী উদ্যোগসমূহের প্রতি বাদশাহ সুলতান বিন আবদুল আজিজ সেবা সংস্থার সর্বাত্মক প্রতিশ্রুতির পরিচয় বহন করে।’ (সূত্র: আর-রিয়াদ)
এ বছরের প্রতিপাদ্য ঘোষণার পর ইউনেসকো তাদের ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়েছে, ‘দ্রুতগামী ডিজিটাল পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির মধ্যে এবারের বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ফলে এবারের আয়োজন এমন কিছু আলোচনা তুলে ধরবে, যেখানে শিক্ষাব্যবস্থা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সাধারণ কথাবার্তায় আরবির উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে যে বহুভাষিক সমাজে ভাষা-শিক্ষামাধ্যম সীমিত, সেখানে আরবির উপস্থিতি সহজ ও অবারিত করবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই ভাষার নানামাত্রিক চর্চা ও অনুশীলন, অন্য ভাষাসমূহের সঙ্গে একে পূর্ণ সমতার অবস্থানে উন্নীতকরণ এবং বিভিন্ন দেশ ও সমাজে স্বকীয়তা ঠিক রেখে আরবির প্রবেশায়নের পথ-পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে।’
ইউনেসকো আরও জানিয়েছে, ‘বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসের আয়োজনটি আরবি ভাষা নিয়ে পরস্পরে কথোপকথন, চিন্তা ও ভাব বিনিময়ের সুযোগ। পাশাপাশি আরবি ভাষার বৈশ্বিক অবস্থানের মূল্যায়ন ও এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ।’
আমাদেরও প্রত্যাশা, বাংলাদেশে আরবি ভাষা চর্চাকে আরও বেগবান করতে হবে। আরবি ভাষা ব্যাপককরণের ক্ষেত্রে যত সংকট, সব নিরসন করতে হবে। এই ভাষার অগ্রগতি সাধনের জন্য যথাযথ পথ ও পন্থা তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে, আরবি ভাষা শিক্ষাদানের জগতে আমাদের আরেকটু সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। অনারবদের আরবি ভাষা পাঠদান পদ্ধতি ও কার্যকরী সিলেবাসের প্রয়োগ আমাদের শিক্ষার্থীদের ভাষাশিক্ষাকে সহজ করবে। কওমি ও আলিয়া উভয় শিক্ষাব্যবস্থাতেই আরবির সিলেবাসকে প্রাচীন ও আধুনিক আরবির সমন্বয়ে জীবন্ত ও প্রায়োগিক হিসেবে পুনর্গঠন করা জরুরি।
সবশেষে আমাদের আহ্বান, আরবি ভাষাকে দিবসকেন্দ্রিক উদ্যাপন না করে একে জীবনব্যাপী রূপ দেওয়া দরকার। মুসলমান মাত্রই আরবি ভাষার মুখাপেক্ষী। আমাদের জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ থেকে নিয়ে প্রায় প্রতিটি ইবাদতেই আরবির প্রয়োজন হয়। আরবি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারিক ভাষা। তাই ‘আরবি ভাষা দিবস’ শিরোনামে একটি দিন নির্ধারিত থাকলেও বাস্তবিক জীবনে আমাদের প্রতিটি দিনই আরবি ভাষা দিবস।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
৭ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে