রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অবস্থান, ইসলামি আকিদা-বিশ্বাসসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
দীন প্রচারে হাবিব নাজ্জারের আত্মত্যাগ
সুরা ইয়াসিনের ১৯ থেকে ২৭ নম্বর আয়াতে আন্তাকিয়াবাসীর কাছে তিনজন রাসুলের আগমন ও ধর্মপ্রচারক হাবিব নাজ্জারের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। ইসা (আ.) তখনো পৃথিবীতে আসেননি। তৎকালীন আন্তাকিয়া (বর্তমান তুরস্কে অবস্থিত) ছিল সেই যুগে সমৃদ্ধি ও স্থাপত্যে প্রসিদ্ধ এক নগরী। সেখানের অধিবাসীরা ছিল মূর্তিপূজা ও অন্যায়-অনাচারে লিপ্ত। আল্লাহ তাআলা তাদের হেদায়াতের জন্য তিনজন নবী পাঠিয়েছেন। তাফসিরবিদেরা বলেন, আন্তাকিয়া অঞ্চলে পাঠানো তিনজন রাসুল হলেন শামউন, ইউহান্না ও বাবুলস।
ওই শহরে বসবাস করতেন হাবিব ইবনে ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি। ইতিহাস তাকে হাবিব নাজ্জার নামে চেনে। তিনি ছিলেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তাঁর ছিল কুষ্ঠরোগ। এই রোগের বহু চিকিৎসা করে, দেব-দেবীর কাছে প্রার্থনা করে কোনো লাভ হয়নি তাঁর। খুব হতাশায় ভুগছিলেন হাবিব নাজ্জার। একদিন রাসুলদের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তাঁরা তাঁকে একত্ববাদের দাওয়াত দেন। তিনি বললেন, ‘এতে আমার লাভ কী?’ তাঁরা বললেন, ‘তোমার রোগমুক্তির জন্য আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব।’ তিনি ইমান আনেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তিনি নির্জনে নগরীর এক প্রান্তে আল্লাহর ইবাদত করতে থাকেন।
রাসুলগণ আন্তাকিয়বাসীকে দীনের দাওয়াত দিতে থাকেন। তারা দাওয়াত গ্রহণ করেনি; বরং তাঁদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে থাকল। তাঁরা দাওয়াত অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে কাফেররা রাসুলদের হত্যার নীলনকশা প্রস্তুত করে। এ খবর পেয়ে হাবিব নাজ্জার শহরে এসে তাদের সতর্ক করতে থাকেন। বোঝাতে লাগলেন। কাজ হয়নি। কাফেররা তাঁর ওপর উদ্যত হলো। তাঁকে হত্যা করল। আল্লাহ তাঁকে তাঁর ত্যাগের বিনিময়ে দিলেন জান্নাত। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাকে বলা হলো, তুমি জান্নাতে প্রবেশ কোরো।’ সে বলল, ‘হায়! আমার জাতি যদি জানতে পারত যে আমার রব আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন!’ (সুরা ইয়াসিন: ২৬-২৭)
কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গ সাক্ষ্য দেবে
হাত, পা, চোখ, কান, নাক, আত্মা, জিহ্বা ইত্যাদি দিয়ে মানবদেহ গঠিত। এসব অঙ্গকে যেমন রোগ থেকে সুস্থ রাখা আবশ্যক, তেমনি আবশ্যক পাপাচার ও অপকর্ম থেকে মুক্ত রাখা। কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর প্রভাব গোটা দেহে পড়ে। ব্যক্তিকে অস্বস্তি দেয়। কোনো অঙ্গ দিয়ে পাপাচার করলে সেই অঙ্গ কিয়ামতের দিন কথা বলে উঠবে। দেহকে জাহান্নামে পাঠাবে। আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তাদের মুখে সিলমোহর এঁটে দেব, তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।’ (সুরা ইয়াসিন: ৬০)
অঙ্গগুলোকে কথা বলার ক্ষমতা দেওয়া হবে এ জন্য যে, পাপীরা সেদিন তাদের পাপের কথা অস্বীকার করবে। তাদের কেউ বলবে, আমাদের আমলনামায় ফেরেশতা যা কিছু লিখেছে, আমরা এসব করিনি। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের মুখে মোহর মেরে দেবেন। অর্থাৎ তারা আর মুখে কোনো কথা বলতে পারবে না। এরপর তাদেরই হাত, পা ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে রাজসাক্ষী করে কথা বলার যোগ্যতা দান করা হবে। তারা কাফেরদের যাবতীয় কার্যকলাপের সাক্ষ্য দেবে। পাপীরা তাদের কোন কোন কাজে লাগিয়েছিল, তাদের মাধ্যমে কী কী কুফরি করেছিল, কোন ধরনের মিথ্যা উচ্চারণ করেছিল এবং কত প্রকার ফেতনা সৃষ্টি করেছিল ইত্যাদি।
সুরা সাফফাতে জান্নাতিদের কথোপকথন
মক্কায় অবতীর্ণ ১৮২ আয়াতবিশিষ্ট সুরা সাফফাতে আল্লাহর ইবাদতকারী ফেরেশতা, জিনদের লুকিয়ে লুকিয়ে ঊর্ধ্বমহলের সংবাদ শোনার চেষ্টা, জ্বলন্ত উজ্জ্বল অঙ্গার দিয়ে তাদের ধাওয়া করা, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ ও প্রতিদান, জাহান্নামিদের একে অপরকে দোষারোপ, জান্নাতিদের কথোপকথন, নুহ, ইবরাহিম, মুসা, হারুন, ইলিয়াস, লুত ও ইউনুস (আ.)-এর বিভিন্ন ঘটনা, হঠকারীদের থেকে বিমুখ থাকার নির্দেশনার বর্ণনা রয়েছে।
পূর্ববর্তী নবীদের ঘটনার বয়ান সুরা সোয়াদ
৮৮ আয়াতবিশিষ্ট মক্কায় অবতীর্ণ সুরা সোয়াদে ইমানের মূল ভিত্তি, নবী-রাসুলদের দাওয়াতের পদ্ধতি, পরকাল, কাফেরদের অহংকার, সৎকাজের বিরোধিতা, নুহ (আ.)-এর সম্প্রদায়, আদ, ফেরাউন, সামুদ, লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়সহ অন্যান্য জাতির কথা, তাদের ধ্বংসের কারণ, সোলায়মান ও দাউদ (আ.)কে নেয়ামতদানের কথা আলোচিত হয়েছে।
নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত আল্লাহ গ্রহণ করেন
আল্লাহর জন্য নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত, সুদৃঢ় বিশ্বাস, সুধারণা পোষণ করা হলো মুমিনের বৈশিষ্ট্য। মুমিন আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে না। অন্য কারও ইবাদত করে না। ভিন্ন কারও কাছে প্রার্থনা করে না। এমন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মুমিনের ইবাদত-আমল আল্লাহ গ্রহণ করেন। মুসলমানদের জাতির পিতা ইবরাহিম (আ.)-কে তিনি এই নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদতের শিক্ষা দিয়েছিলেন। ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘আমার নামাজ, আমার ইবাদত সবকিছু আল্লাহর জন্য।’ নবীজিকেও এই আদেশ দিয়েছেন আল্লাহ। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি বিশুদ্ধ চিত্তে নিষ্ঠার সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করুন। নিষ্ঠাপূর্ণ বিশুদ্ধ ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই জন্য।’ (সুরা জুমার: ৩) তাই আমাদের ইবাদত করতে হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য। বিশুদ্ধ নিয়ত ছাড়া ইবাদত কবুল হবে না। নিয়ত ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (বুখারি: ১)
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে নবীদের প্রতি অবিশ্বাসীদের উপহাস, আল্লাহর অস্তিত্ব, শিঙায় ফুঁক, মৃত্যু-পরবর্তী জীবন, ফেরেশতাদের ইবাদত, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ, কোরআনের অলৌকিকতা, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, আদম (আ.) ও শয়তানের কাহিনি ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অবস্থান, ইসলামি আকিদা-বিশ্বাসসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
দীন প্রচারে হাবিব নাজ্জারের আত্মত্যাগ
সুরা ইয়াসিনের ১৯ থেকে ২৭ নম্বর আয়াতে আন্তাকিয়াবাসীর কাছে তিনজন রাসুলের আগমন ও ধর্মপ্রচারক হাবিব নাজ্জারের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। ইসা (আ.) তখনো পৃথিবীতে আসেননি। তৎকালীন আন্তাকিয়া (বর্তমান তুরস্কে অবস্থিত) ছিল সেই যুগে সমৃদ্ধি ও স্থাপত্যে প্রসিদ্ধ এক নগরী। সেখানের অধিবাসীরা ছিল মূর্তিপূজা ও অন্যায়-অনাচারে লিপ্ত। আল্লাহ তাআলা তাদের হেদায়াতের জন্য তিনজন নবী পাঠিয়েছেন। তাফসিরবিদেরা বলেন, আন্তাকিয়া অঞ্চলে পাঠানো তিনজন রাসুল হলেন শামউন, ইউহান্না ও বাবুলস।
ওই শহরে বসবাস করতেন হাবিব ইবনে ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি। ইতিহাস তাকে হাবিব নাজ্জার নামে চেনে। তিনি ছিলেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তাঁর ছিল কুষ্ঠরোগ। এই রোগের বহু চিকিৎসা করে, দেব-দেবীর কাছে প্রার্থনা করে কোনো লাভ হয়নি তাঁর। খুব হতাশায় ভুগছিলেন হাবিব নাজ্জার। একদিন রাসুলদের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তাঁরা তাঁকে একত্ববাদের দাওয়াত দেন। তিনি বললেন, ‘এতে আমার লাভ কী?’ তাঁরা বললেন, ‘তোমার রোগমুক্তির জন্য আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব।’ তিনি ইমান আনেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তিনি নির্জনে নগরীর এক প্রান্তে আল্লাহর ইবাদত করতে থাকেন।
রাসুলগণ আন্তাকিয়বাসীকে দীনের দাওয়াত দিতে থাকেন। তারা দাওয়াত গ্রহণ করেনি; বরং তাঁদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে থাকল। তাঁরা দাওয়াত অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে কাফেররা রাসুলদের হত্যার নীলনকশা প্রস্তুত করে। এ খবর পেয়ে হাবিব নাজ্জার শহরে এসে তাদের সতর্ক করতে থাকেন। বোঝাতে লাগলেন। কাজ হয়নি। কাফেররা তাঁর ওপর উদ্যত হলো। তাঁকে হত্যা করল। আল্লাহ তাঁকে তাঁর ত্যাগের বিনিময়ে দিলেন জান্নাত। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাকে বলা হলো, তুমি জান্নাতে প্রবেশ কোরো।’ সে বলল, ‘হায়! আমার জাতি যদি জানতে পারত যে আমার রব আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন!’ (সুরা ইয়াসিন: ২৬-২৭)
কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গ সাক্ষ্য দেবে
হাত, পা, চোখ, কান, নাক, আত্মা, জিহ্বা ইত্যাদি দিয়ে মানবদেহ গঠিত। এসব অঙ্গকে যেমন রোগ থেকে সুস্থ রাখা আবশ্যক, তেমনি আবশ্যক পাপাচার ও অপকর্ম থেকে মুক্ত রাখা। কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর প্রভাব গোটা দেহে পড়ে। ব্যক্তিকে অস্বস্তি দেয়। কোনো অঙ্গ দিয়ে পাপাচার করলে সেই অঙ্গ কিয়ামতের দিন কথা বলে উঠবে। দেহকে জাহান্নামে পাঠাবে। আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তাদের মুখে সিলমোহর এঁটে দেব, তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।’ (সুরা ইয়াসিন: ৬০)
অঙ্গগুলোকে কথা বলার ক্ষমতা দেওয়া হবে এ জন্য যে, পাপীরা সেদিন তাদের পাপের কথা অস্বীকার করবে। তাদের কেউ বলবে, আমাদের আমলনামায় ফেরেশতা যা কিছু লিখেছে, আমরা এসব করিনি। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের মুখে মোহর মেরে দেবেন। অর্থাৎ তারা আর মুখে কোনো কথা বলতে পারবে না। এরপর তাদেরই হাত, পা ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে রাজসাক্ষী করে কথা বলার যোগ্যতা দান করা হবে। তারা কাফেরদের যাবতীয় কার্যকলাপের সাক্ষ্য দেবে। পাপীরা তাদের কোন কোন কাজে লাগিয়েছিল, তাদের মাধ্যমে কী কী কুফরি করেছিল, কোন ধরনের মিথ্যা উচ্চারণ করেছিল এবং কত প্রকার ফেতনা সৃষ্টি করেছিল ইত্যাদি।
সুরা সাফফাতে জান্নাতিদের কথোপকথন
মক্কায় অবতীর্ণ ১৮২ আয়াতবিশিষ্ট সুরা সাফফাতে আল্লাহর ইবাদতকারী ফেরেশতা, জিনদের লুকিয়ে লুকিয়ে ঊর্ধ্বমহলের সংবাদ শোনার চেষ্টা, জ্বলন্ত উজ্জ্বল অঙ্গার দিয়ে তাদের ধাওয়া করা, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ ও প্রতিদান, জাহান্নামিদের একে অপরকে দোষারোপ, জান্নাতিদের কথোপকথন, নুহ, ইবরাহিম, মুসা, হারুন, ইলিয়াস, লুত ও ইউনুস (আ.)-এর বিভিন্ন ঘটনা, হঠকারীদের থেকে বিমুখ থাকার নির্দেশনার বর্ণনা রয়েছে।
পূর্ববর্তী নবীদের ঘটনার বয়ান সুরা সোয়াদ
৮৮ আয়াতবিশিষ্ট মক্কায় অবতীর্ণ সুরা সোয়াদে ইমানের মূল ভিত্তি, নবী-রাসুলদের দাওয়াতের পদ্ধতি, পরকাল, কাফেরদের অহংকার, সৎকাজের বিরোধিতা, নুহ (আ.)-এর সম্প্রদায়, আদ, ফেরাউন, সামুদ, লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়সহ অন্যান্য জাতির কথা, তাদের ধ্বংসের কারণ, সোলায়মান ও দাউদ (আ.)কে নেয়ামতদানের কথা আলোচিত হয়েছে।
নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত আল্লাহ গ্রহণ করেন
আল্লাহর জন্য নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত, সুদৃঢ় বিশ্বাস, সুধারণা পোষণ করা হলো মুমিনের বৈশিষ্ট্য। মুমিন আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে না। অন্য কারও ইবাদত করে না। ভিন্ন কারও কাছে প্রার্থনা করে না। এমন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মুমিনের ইবাদত-আমল আল্লাহ গ্রহণ করেন। মুসলমানদের জাতির পিতা ইবরাহিম (আ.)-কে তিনি এই নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদতের শিক্ষা দিয়েছিলেন। ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘আমার নামাজ, আমার ইবাদত সবকিছু আল্লাহর জন্য।’ নবীজিকেও এই আদেশ দিয়েছেন আল্লাহ। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি বিশুদ্ধ চিত্তে নিষ্ঠার সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করুন। নিষ্ঠাপূর্ণ বিশুদ্ধ ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই জন্য।’ (সুরা জুমার: ৩) তাই আমাদের ইবাদত করতে হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য। বিশুদ্ধ নিয়ত ছাড়া ইবাদত কবুল হবে না। নিয়ত ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (বুখারি: ১)
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে নবীদের প্রতি অবিশ্বাসীদের উপহাস, আল্লাহর অস্তিত্ব, শিঙায় ফুঁক, মৃত্যু-পরবর্তী জীবন, ফেরেশতাদের ইবাদত, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ, কোরআনের অলৌকিকতা, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, আদম (আ.) ও শয়তানের কাহিনি ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অ
১১ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অ
১১ এপ্রিল ২০২৩
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৪ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অ
১১ এপ্রিল ২০২৩
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অ
১১ এপ্রিল ২০২৩
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে