Ajker Patrika

আজকের তারাবি-১১: মৌমাছির বিস্ময়কর জীবনচক্র থেকে শিক্ষা

রায়হান রাশেদ
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৫, ১৮: ২৪
আজকের তারাবি-১১: মৌমাছির বিস্ময়কর জীবনচক্র থেকে শিক্ষা

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৪ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হিজর ও সুরা নাহল পড়া হবে। এই অংশে আল্লাহর কুদরত ও একত্ববাদ, বান্দার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ, পশুপাখির জীবনাচরণে মানুষের শিক্ষা, কন্যাসন্তান আল্লাহর নেয়ামত, মানুষ সৃষ্টির ইতিকথা, জান্নাত-জাহান্নামসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—

সামুদ জাতির আলোচনা—সুরা হিজর
সুরা হিজর মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৯৯। কোরআনুল কারিমের ১৫ তম সুরা এটি। এ সুরায় হিজরবাসীদের আলোচনা রয়েছে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এর নামকরণ করা হয় সুরা হিজর। ‘হিজর’ হেজাজ ও সিরিয়ার মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি উপত্যকার নাম। এখানে সামুদ জাতির বসতি ছিল। তারা ছিল শক্তিশালী। তারা নিরাপদ আবাসনের জন্য পাহাড় কেটে বাসগৃহ নির্মাণ করেছিল। সালেহ (আ.) ছিলেন সামুদ জাতির নবী। তিনি জাতিকে একত্ববাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তারা তাঁর ডাক শোনেনি। আল্লাহ নিদর্শন স্বরূপ তাদের মাঝে একটি উট পাঠান। এই উট হত্যা করতে তাদের নিষেধ করা হয়েছিল। তারা অবাধ্য হয় এবং উটটি হত্যা করে। ফলে আল্লাহ কঠিন ভূমিকম্প দিয়ে সামুদ জাতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেন। 

জাহান্নামের ৭ দরজা
যারা আল্লাহর একত্ববাদের সঙ্গে অংশীদারত্ব নির্ধারণ করেছে, আল্লাহ ও নবী-রাসুলদের অবাধ্যতা করেছে, ইসলাম ভিন্ন অন্য জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, ইসলামি বিশ্বাস মতে, তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। তাদের আজাবের জন্য রয়েছে সাতটি জাহান্নাম। জাহান্নামে প্রবেশের সাত দরজা। তারা নিজেদের পাপ অনুসারে জাহান্নামের পৃথক পৃথক দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই জাহান্নাম তাদের সবারই প্রতিশ্রুত স্থান। তার সাতটি দরজা আছে, প্রত্যেক দরজার জন্য পৃথক পৃথক শ্রেণি আছে।’ (সুরা হিজর: ৪৩-৪৪)

তাফসিরে ইবনে আবি হাতিমে জাহান্নামের সাত দরজার নামও উল্লেখ করা হয়েছে। যথা—
১. জাহান্নাম (আগুনের গর্ত) 
২. সায়ির (উজ্জ্বল অগ্নি) 
৩. লাজা (অতি উত্তপ্ত) 
৪. হুতামা (চূর্ণবিচূর্ণকারী) 
৫. সাকার (যা ঝলসিয়ে ও গলিয়ে দেয়) 
৬. জাহিম (জ্বলন্ত আগুন) 
 ৭. হাভিয়া (অতল গহ্বর) 

মৌমাছির জীবনচক্রের বয়ান—সুরা নাহল
সুরা নাহল মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১২৮। কোরআন মজিদের ১৬ তম সুরা এটি। নাহল অর্থ মৌমাছি। এ সুরায় মৌমাছির জীবনচক্র ও মধুর আলোচনা রয়েছে, সেদিকে ইঙ্গিত করে সুরার নাম রাখা হয়েছে সুরা নাহল। 

আল্লাহ অহংকারীকে অপছন্দ করেন
মানবজীবনের সবচেয়ে বড় অপগুণ ও অসুস্থতা হলো অহংকার। অহংকার মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেয়। জীবনকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ে জীবন থেকে। মানুষ যত কোমল ও বিনয়ী হবে, তাকে ঘিরে থাকবে মানুষের উৎসব, আয়োজন, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সমারোহ। আর অহংকারী থেকে সবাই যোজন যোজন দূরে চলে যাবে। 

পৃথিবীতে প্রথম পাপ চালু হয় অহংকারের বশীভূত হয়ে। আল্লাহ তাআলা যখন আদম (আ.)-কে সেজদার জন্য ইবলিসকে আদেশ করেছিলেন, তখন সে অহংকার দেখিয়ে বলেছিল, ‘সে মাটির তৈরি আর আমি আগুনের। আমি তাকে সেজদা করব না।’ অহংকারের ফলে ইবলিশ বিতাড়িত হলো। 

পৃথিবীর ইতিহাসে যারাই অহংকার প্রদর্শন করেছে, কেউ টিকতে পারেনি। শেষ পরিণতি শুভ হয়নি। প্রত্যেক নবী-রাসুলের গুণ ছিল বিনয় ও নম্রতা। সাহাবি, তাবেয়ি ও আল্লাহওয়ালা মানুষেরা বিনয়ের চর্চা করতেন। অহংকার ও দাম্ভিকতা এড়িয়ে চলতেন। কারণ, মুমিনের মূল্য লক্ষ্যই আল্লাহকে খুশি করা। আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়া। অহংকারী আল্লাহর ভালোবাসা পায় না। আল্লাহ তাকে অপছন্দ করেন। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ অহংকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা নাহল: ২৩)

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিল পরিমাণ অহংকার যার অন্তরে আছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (তিরমিজি: ১৯৯৮) 

মৌমাছির বিস্ময়কর জীবনচক্র
মৌমাছি আল্লাহ তাআলার বিস্ময়কর ও অপূর্ব সৃষ্টি। মৌমাছি সাধারণ মাছির মতোই। আকৃতিতে ছোট। কিন্তু আল্লাহর হুকুমে সে বিস্ময়কর সব কর্ম সাধন করে। মৌমাছির সুশৃঙ্খল সংঘবদ্ধ জীবন, দক্ষ নেতৃত্ব, একনিষ্ঠ আনুগত্য, বিচক্ষণতা, কর্মদক্ষতা, উদ্যমী মনোভাব, চাক বানানো, আপসে বিভিন্ন দায়িত্ব বণ্টন, দূরে অবস্থিত বৃক্ষলতা, গাছপালা, বনবনানি ও ফসলি খেত থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে মধু সংগ্রহসহ কত কিছুই করে। মৌমাছির দিকে তাকালে বিস্ময় না হয়ে পারা যায় না। তার কর্মযজ্ঞে আছে মুগ্ধ হওয়ার মতোই ব্যাপার। আল্লাহর কুদরত যে কত বিস্ময়কর, মৌমাছি তার একটি উদাহরণ। 

এই সুরার ৬৮ ও ৬৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমার প্রতিপালক মৌমাছির অন্তরে ইঙ্গিতে এ নির্দেশ দিয়েছেন, ঘর তৈরি করো পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যে ঘর নির্মাণ করে তাতে। এরপর প্রত্যেক ফল থেকে কিছু কিছু আহার করো আর তোমার প্রতিপালক তোমার জন্য যে পথ সহজ করে দিয়েছেন, সে পথ অনুসরণ করো। এর উদর থেকে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়। যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। অবশ্যই এতে রয়েছে নিদর্শন চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য।’ 

আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ মৌমাছির জীবন আরও কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছে। মৌমাছির জীবনচক্রের বিস্ময়কর আরও বহু দিক উন্মোচিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মৌমাছি খুবই পরিশ্রমী পতঙ্গ। এক পাউন্ড মধু বানাতে ৫৫০ মৌমাছিকে প্রায় ২০ লাখ ফুলে ভ্রমণ করতে হয়! আবার এক পাউন্ড মধু সংগ্রহ করতে একটি কর্মী মৌমাছিকে প্রায় ১৪.৫ লাখ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়! যা দিয়ে পৃথিবীকে তিনবার প্রদক্ষিণ করা সম্ভব। (টারমিনিক্স) 

মধু অসংখ্য রোগের ওষুধ; এবং খাদ্যও। এটি বেহেশতের পানীয় বিশেষ। নবীজি (সা.) মধু পছন্দ করতেন। কারও অসুখ হলে মধু খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। হাদিসে এসেছে, নবী (সা.) মধু খেতে খুব ভালোবাসতেন। (শামায়েলে তিরমিজি: ১২১) 

এ ছাড়া আজকের তারাবির অংশে খুটিহীন আকাশ নির্মাণ, আসমানে হরেক রকম গ্রহ-নক্ষত্র, আসমানের সুরক্ষা, জমিন, জমিনের পেটে পাহাড় আর সব ধরনের বৃক্ষ, লতাগুল্ম, বন, দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ, মানুষের জীবিকার উপকরণ, অবারিত বাতাস, উড়ে বেড়ানো মেঘমালা, পানি পানে সৃষ্টির তৃষ্ণা মেটানো, তাঁর নিয়ন্ত্রণে জীবন-মৃত্যু, বিশ্বাসের দৃঢ়তা, কিয়ামত দিবসে কাফেরদের আফসোস, শয়তানের ধোঁকা, আল্লাহর নেয়ামত ভুলে যাওয়া, ইবরাহিম (আ.)-এর সন্তান লাভ, লুত (আ.) ও তার জনপদের কাহিনি এবং কাফেরদের প্রশ্নের খণ্ডনসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৪ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৬ মিনিট
ফজর০৫: ১৭ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
জোহর১১: ৫৯ মিনিট০৩: ৪২ মিনিট
আসর০৩: ৪৩ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট
মাগরিব০৫: ২০ মিনিট০৬: ৩৮ মিনিট
এশা০৬: ৩৯ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)

নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।

পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)

অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৬ মিনিট
ফজর০৫: ১৭ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
জোহর১১: ৫৯ মিনিট০৩: ৪১ মিনিট
আসর০৩: ৪২ মিনিট০৫: ১৭ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৮ মিনিট
এশা০৬: ৩৯ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজানের আগে নামাজ আদায় করা যাবে কি

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)

নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)

প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত