ইসলাম ডেস্ক
শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত অর্থ মুক্তির রাত। একে হাদিসে লাইতুন নিসফি মিন শাবান বা মধ্য শাবানের রাতও বলা হয়েছে। হাদিসে এ রাতের ফজিলত ও বরকতের কথা এসেছে। এখানে শবে রবাত সম্পর্কে হাদিসের বার্তা তুলে ধরা হলো।
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বর্ণনা করেন, একবার রাসুল (সা) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এতো দীর্ঘ সেজদা করেন যে আমার ধারণা হলো, তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন, তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে আয়েশা, তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন?’ আমি উত্তরে বললাম, ‘না, হে আল্লাহর রাসুল। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশঙ্কা হয়েছিল যে আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন।’ তখন নবী (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কি জানো, এটা কোন রাত?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন ইরশাদ করলেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’ (শুআবুল ইমান, বায়হাকি: ৩ / ৩৮২-৩৮৩; তাবারানি: ১৯৪)
অন্য হাদিসে হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘অর্ধ শাবানের রাতে (শবে বরাতে) আল্লাহ তাআলা তার সৃষ্টিজগতের প্রতি মনোযোগ দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৫৬৬৫; মুসনাদুল বাজ্জার, হাদিস: ২৭৫৪, আল মুজামুল আওসাত, হাদিস: ৬৭৭৬; আল মুজামুল কাবির, হাদিস: ২১৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৯০; মুসন্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস: ৩০৪৭৯, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস: ৬২০)
এ দিন রাতে ইবাদত করে পরদিন রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। এ বিষয়ে হজরত আলি (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৮)
শবে বরাত সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘৫টি রাত এমন আছে, যে রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৪ তারিখ রাত, দুই ঈদের রাত।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস: ৭৯২৭)
ওমর ইবনে আবদুল আজিজ আদি ইবনে আরতাতের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘বছরের চারটি রাত তুমি অবশ্যই লক্ষ রাখবে। কেননা সেসব রাতে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়—রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৪ তারিখ রাত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাত।’ (আত-তালখিসুল হাবির, ইবনে হাজার: ২ / ১৯১)
শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত অর্থ মুক্তির রাত। একে হাদিসে লাইতুন নিসফি মিন শাবান বা মধ্য শাবানের রাতও বলা হয়েছে। হাদিসে এ রাতের ফজিলত ও বরকতের কথা এসেছে। এখানে শবে রবাত সম্পর্কে হাদিসের বার্তা তুলে ধরা হলো।
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বর্ণনা করেন, একবার রাসুল (সা) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এতো দীর্ঘ সেজদা করেন যে আমার ধারণা হলো, তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন, তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে আয়েশা, তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন?’ আমি উত্তরে বললাম, ‘না, হে আল্লাহর রাসুল। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশঙ্কা হয়েছিল যে আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন।’ তখন নবী (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কি জানো, এটা কোন রাত?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন ইরশাদ করলেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’ (শুআবুল ইমান, বায়হাকি: ৩ / ৩৮২-৩৮৩; তাবারানি: ১৯৪)
অন্য হাদিসে হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘অর্ধ শাবানের রাতে (শবে বরাতে) আল্লাহ তাআলা তার সৃষ্টিজগতের প্রতি মনোযোগ দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৫৬৬৫; মুসনাদুল বাজ্জার, হাদিস: ২৭৫৪, আল মুজামুল আওসাত, হাদিস: ৬৭৭৬; আল মুজামুল কাবির, হাদিস: ২১৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৯০; মুসন্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস: ৩০৪৭৯, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস: ৬২০)
এ দিন রাতে ইবাদত করে পরদিন রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। এ বিষয়ে হজরত আলি (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৮)
শবে বরাত সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘৫টি রাত এমন আছে, যে রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৪ তারিখ রাত, দুই ঈদের রাত।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস: ৭৯২৭)
ওমর ইবনে আবদুল আজিজ আদি ইবনে আরতাতের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘বছরের চারটি রাত তুমি অবশ্যই লক্ষ রাখবে। কেননা সেসব রাতে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়—রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৪ তারিখ রাত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাত।’ (আত-তালখিসুল হাবির, ইবনে হাজার: ২ / ১৯১)
পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা...
৮ ঘণ্টা আগেইসলামের ইতিহাসে যাঁরা জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও আধ্যাত্মিকতার আলো ছড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম গাজ্জালি এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ, সুফি সাধক এবং মহান শিক্ষক। তাঁর রচনাবলি ইসলামি দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।
৮ ঘণ্টা আগেব্যাংকের ব্যক্তিমালিকানাধীন সব ধরনের অ্যাকাউন্টই জাকাতযোগ্য। এতে গচ্ছিত টাকা ব্যক্তির নগদ অর্থ হিসেবে ধরা হবে। অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নিসাবের মালিক হওয়ার পর এক বছর অতিবাহিত হলে তাঁকে নিজের স্বর্ণ-রৌপ্য, ব্যবসায়িক পণ্য ও নগদ টাকার সঙ্গে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকারও জাকাত দিতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। বুঝে হোক বা না বুঝে। তবে পবিত্র কোরআন বুঝে ও চিন্তাভাবনা করে পড়তে ইসলামে উৎসাহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতে কোরআনের মর্ম বোঝার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে