ইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি দুটি—অজু ও গোসল। উভয় কাজই পবিত্র পানি ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হয়। তবে স্থান-কাল-পাত্রভেদে পানির বিকল্পও ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া না গেলে অথবা পানি ব্যবহারে অপারগ হওয়ার শর্ত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামে পানির বিকল্প হিসেবে মাটি ব্যবহার করে পবিত্রতা অর্জনের বিশেষ বিধান রয়েছে। একে ইসলামের পরিভাষায় তায়াম্মুম বলা হয়।
তায়াম্মুমের অনুমোদন দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাকো কিংবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে, কিংবা নারীগমন করে থাকো, কিন্তু পরে পানি পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নাও। মুখ ও হাত মাসেহ করে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল।’ (সুরা নিসা: ৪৩)
তায়াম্মুম করা কখন জায়েজ
স্বাভাবিক অবস্থায় অজু-গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করা জায়েজ নয়। তায়াম্মুম জায়েজ হওয়ার শর্ত হলো—শরিয়তের দৃষ্টিতে পানি ব্যবহারে অক্ষম বা অপারগ হওয়া। কয়েকটি কারণ পাওয়া গেলে পানি ব্যবহারে অপারগ বিবেচনা করা হবে। যথা—
১. পানি এক মাইল বা তার চেয়ে বেশি দূরে থাকলে।
২. পানি ব্যবহার করলে প্রাণহানি, অঙ্গহানি, মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়া বা রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে।
৩. পানি দিয়ে অজু-গোসল করলে খাবার পানির সংকট তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি থাকলে।
৪. একমাত্র উৎস হিসেবে কূপ ইত্যাদি থেকে পানি তোলার কোনো ব্যবস্থা না থাকলে।
৫. পানির উৎসে যাওয়ার পথে শত্রু বা হিংস্র পশুপাখির আক্রমণের আশঙ্কা থাকলে।
৬. ঈদ বা জানাজার নামাজে অজু করতে গেলে জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে।
(বুখারি: ২ / ৬১ ও ৭২; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৩ / ৩০০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১১৫৮৬; দারাকুতনি: ৭৩১ ও ৭৩৪; কিতাবুল আসার: ৭৪; সুনানুল কুবরা লিল-বায়হাকি: ১১০৫ ও ১১৪৯)
তায়াম্মুমের শর্ত
তায়াম্মুম শুদ্ধ হওয়ার শর্ত তিনটি। যথা—
১. তায়াম্মুমের নিয়ত করা।
২. পবিত্র মাটি বা মাটিজাত উপাদান—পাথর, বালু, ধুলা ইত্যাদি দিয়ে তায়াম্মুম করা।
৩. মুখ ও হাতের ত্বকে কোনো প্রতিবন্ধকতা যেমন—মোম, চর্বিজাত দ্রব্য, প্রসাধনী ইত্যাদি না থাকা।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ১ / ২৩২; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১৭১৬; বায়হাকি: ৩৬৭)
তায়াম্মুমের ফরজ
তায়াম্মুমের ফরজ দুটি। যথা—
১. পুরো মুখমণ্ডল একবার মাসেহ করা।
২. উভয় হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করা।
(সুনানে দারাকুতনি: ৬৯৭)
তায়াম্মুমের সুন্নত
তায়াম্মুমের সুন্নত ৬টি। যথা—
১. শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া।
২. প্রথমে মুখমণ্ডল, পরে হাত মাসেহ করা।
৩. মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করার মাঝে অন্য কাজ না করা।
৪. মাটির ওপর হাত হালকা ঘষে নেওয়া।
৫. এরপর উভয় হাত ঝেড়ে ফেলা।
৬. মাটির ওপর হাত রাখার সময় আঙুলগুলো সোজা রাখা।
(মুসলিম: ৫৫৩; দারাকুতনি: ৬৯৭; আবু দাউদ: ২৭২ ও ২৭৯; জমউল জাওয়ামে: ১ / ১৫৭৮৭।
তায়াম্মুম করার নিয়ম
প্রথমে উভয় হাতের কাপড় কনুইয়ের ওপরে উঠিয়ে নিতে হবে। এরপর তায়াম্মুমের নিয়ত করে বিসমিল্লাহ পড়ে উভয় হাতের আঙুল খোলা রেখে তালু মাটি বা পাথরের ওপর রাখতে হবে। এরপর হাত মাটির ওপর সামান্য ঘষে নিতে হবে। এবার হাত উঠিয়ে ঝেড়ে নিয়ে পুরো মুখমণ্ডলে মাসেহ করতে হবে।
এরপর একইভাবে উভয় হাতের আঙুল খোলা রেখে তালু মাটির ওপর রেখে সামান্য ঘষতে হবে। এরপর বাঁ হাত দিয়ে ডান হাতের কনুই পর্যন্ত এবং ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কনুই পর্যন্ত মাসেহ করতে হবে।
(কিতাবুল আসার লি-আবি ইউসুফ: ৭৭; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১ / ১৬০)
যে কারণে তায়াম্মুম নষ্ট হয়
১. যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়, সেসব কারণে তায়াম্মুমও ভেঙে যায়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১ / ১৬০)
২. পানি ব্যবহারে সক্ষম হয়ে গেলে বা যে অপারগতার কারণে তায়াম্মুম করা হয়েছিল, তা দূর হয়ে গেলে তায়াম্মুম ভেঙে যাবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১ / ১৬০ ও ১৯২)
তায়াম্মুমে নিয়ত কেন গুরুত্বপূর্ণ
আরবি তায়াম্মুম শব্দের অর্থ নিয়ত করা, ইচ্ছা করা। এটি যেহেতু বিকল্প বিধান, তাই ইচ্ছা বা সংকল্প না থাকলে তা আদায় হবে না। এ ছাড়া নিয়তের কারণে বিধানগত পার্থক্যও রয়েছে।
নামাজ ছাড়া অন্যান্য কাজের নিয়তে তায়াম্মুম করলে তা দিয়ে নামাজ পড়া জায়েজ হবে না। যেমন, মসজিদে ঢোকা, কবর জিয়ারত করা বা মৃতদেহ দাফন করা ইত্যাদির জন্য করা তায়াম্মুম দিয়ে নামাজ পড়া যাবে না।
তবে সিজদায়ে তেলাওয়াতের জন্য তায়াম্মুম করলে তা দিয়ে নামাজ পড়া যাবে।
(তিরমিজি: ১১৫; বুখারি: ১; হেদায়া: ১ / ২৭)
পানি পাওয়ার আশা থাকলে
নামাজের সময় শেষ হওয়ার আগেই পানি খুঁজে পাওয়ার আশা থাকলে অপেক্ষা করা মোস্তাহাব। আর কেউ পানির আশ্বাস দিয়ে গেলে পানি আসার অপেক্ষা করা ওয়াজিব। তবে নামাজের শেষ সময় ঘনিয়ে এলে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করা যাবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১ / ১৬০)

ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি দুটি—অজু ও গোসল। উভয় কাজই পবিত্র পানি ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হয়। তবে স্থান-কাল-পাত্রভেদে পানির বিকল্পও ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া না গেলে অথবা পানি ব্যবহারে অপারগ হওয়ার শর্ত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামে পানির বিকল্প হিসেবে মাটি ব্যবহার করে পবিত্রতা অর্জনের বিশেষ বিধান রয়েছে। একে ইসলামের পরিভাষায় তায়াম্মুম বলা হয়।
তায়াম্মুমের অনুমোদন দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাকো কিংবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে, কিংবা নারীগমন করে থাকো, কিন্তু পরে পানি পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নাও। মুখ ও হাত মাসেহ করে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল।’ (সুরা নিসা: ৪৩)
তায়াম্মুম করা কখন জায়েজ
স্বাভাবিক অবস্থায় অজু-গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করা জায়েজ নয়। তায়াম্মুম জায়েজ হওয়ার শর্ত হলো—শরিয়তের দৃষ্টিতে পানি ব্যবহারে অক্ষম বা অপারগ হওয়া। কয়েকটি কারণ পাওয়া গেলে পানি ব্যবহারে অপারগ বিবেচনা করা হবে। যথা—
১. পানি এক মাইল বা তার চেয়ে বেশি দূরে থাকলে।
২. পানি ব্যবহার করলে প্রাণহানি, অঙ্গহানি, মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়া বা রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে।
৩. পানি দিয়ে অজু-গোসল করলে খাবার পানির সংকট তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি থাকলে।
৪. একমাত্র উৎস হিসেবে কূপ ইত্যাদি থেকে পানি তোলার কোনো ব্যবস্থা না থাকলে।
৫. পানির উৎসে যাওয়ার পথে শত্রু বা হিংস্র পশুপাখির আক্রমণের আশঙ্কা থাকলে।
৬. ঈদ বা জানাজার নামাজে অজু করতে গেলে জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে।
(বুখারি: ২ / ৬১ ও ৭২; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৩ / ৩০০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১১৫৮৬; দারাকুতনি: ৭৩১ ও ৭৩৪; কিতাবুল আসার: ৭৪; সুনানুল কুবরা লিল-বায়হাকি: ১১০৫ ও ১১৪৯)
তায়াম্মুমের শর্ত
তায়াম্মুম শুদ্ধ হওয়ার শর্ত তিনটি। যথা—
১. তায়াম্মুমের নিয়ত করা।
২. পবিত্র মাটি বা মাটিজাত উপাদান—পাথর, বালু, ধুলা ইত্যাদি দিয়ে তায়াম্মুম করা।
৩. মুখ ও হাতের ত্বকে কোনো প্রতিবন্ধকতা যেমন—মোম, চর্বিজাত দ্রব্য, প্রসাধনী ইত্যাদি না থাকা।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ১ / ২৩২; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১৭১৬; বায়হাকি: ৩৬৭)
তায়াম্মুমের ফরজ
তায়াম্মুমের ফরজ দুটি। যথা—
১. পুরো মুখমণ্ডল একবার মাসেহ করা।
২. উভয় হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করা।
(সুনানে দারাকুতনি: ৬৯৭)
তায়াম্মুমের সুন্নত
তায়াম্মুমের সুন্নত ৬টি। যথা—
১. শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া।
২. প্রথমে মুখমণ্ডল, পরে হাত মাসেহ করা।
৩. মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করার মাঝে অন্য কাজ না করা।
৪. মাটির ওপর হাত হালকা ঘষে নেওয়া।
৫. এরপর উভয় হাত ঝেড়ে ফেলা।
৬. মাটির ওপর হাত রাখার সময় আঙুলগুলো সোজা রাখা।
(মুসলিম: ৫৫৩; দারাকুতনি: ৬৯৭; আবু দাউদ: ২৭২ ও ২৭৯; জমউল জাওয়ামে: ১ / ১৫৭৮৭।
তায়াম্মুম করার নিয়ম
প্রথমে উভয় হাতের কাপড় কনুইয়ের ওপরে উঠিয়ে নিতে হবে। এরপর তায়াম্মুমের নিয়ত করে বিসমিল্লাহ পড়ে উভয় হাতের আঙুল খোলা রেখে তালু মাটি বা পাথরের ওপর রাখতে হবে। এরপর হাত মাটির ওপর সামান্য ঘষে নিতে হবে। এবার হাত উঠিয়ে ঝেড়ে নিয়ে পুরো মুখমণ্ডলে মাসেহ করতে হবে।
এরপর একইভাবে উভয় হাতের আঙুল খোলা রেখে তালু মাটির ওপর রেখে সামান্য ঘষতে হবে। এরপর বাঁ হাত দিয়ে ডান হাতের কনুই পর্যন্ত এবং ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কনুই পর্যন্ত মাসেহ করতে হবে।
(কিতাবুল আসার লি-আবি ইউসুফ: ৭৭; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১ / ১৬০)
যে কারণে তায়াম্মুম নষ্ট হয়
১. যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়, সেসব কারণে তায়াম্মুমও ভেঙে যায়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১ / ১৬০)
২. পানি ব্যবহারে সক্ষম হয়ে গেলে বা যে অপারগতার কারণে তায়াম্মুম করা হয়েছিল, তা দূর হয়ে গেলে তায়াম্মুম ভেঙে যাবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১ / ১৬০ ও ১৯২)
তায়াম্মুমে নিয়ত কেন গুরুত্বপূর্ণ
আরবি তায়াম্মুম শব্দের অর্থ নিয়ত করা, ইচ্ছা করা। এটি যেহেতু বিকল্প বিধান, তাই ইচ্ছা বা সংকল্প না থাকলে তা আদায় হবে না। এ ছাড়া নিয়তের কারণে বিধানগত পার্থক্যও রয়েছে।
নামাজ ছাড়া অন্যান্য কাজের নিয়তে তায়াম্মুম করলে তা দিয়ে নামাজ পড়া জায়েজ হবে না। যেমন, মসজিদে ঢোকা, কবর জিয়ারত করা বা মৃতদেহ দাফন করা ইত্যাদির জন্য করা তায়াম্মুম দিয়ে নামাজ পড়া যাবে না।
তবে সিজদায়ে তেলাওয়াতের জন্য তায়াম্মুম করলে তা দিয়ে নামাজ পড়া যাবে।
(তিরমিজি: ১১৫; বুখারি: ১; হেদায়া: ১ / ২৭)
পানি পাওয়ার আশা থাকলে
নামাজের সময় শেষ হওয়ার আগেই পানি খুঁজে পাওয়ার আশা থাকলে অপেক্ষা করা মোস্তাহাব। আর কেউ পানির আশ্বাস দিয়ে গেলে পানি আসার অপেক্ষা করা ওয়াজিব। তবে নামাজের শেষ সময় ঘনিয়ে এলে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করা যাবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১ / ১৬০)

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি দুটি—অজু ও গোসল। উভয় কাজই পবিত্র পানি ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হয়। তবে স্থান-কাল-পাত্রভেদে পানির বিকল্পও ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া না গেলে অথবা পানি ব্যবহারে অপারগ হওয়ার শর্ত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামে পানির বিকল্প হিসেবে মাটি ব্যব
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি দুটি—অজু ও গোসল। উভয় কাজই পবিত্র পানি ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হয়। তবে স্থান-কাল-পাত্রভেদে পানির বিকল্পও ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া না গেলে অথবা পানি ব্যবহারে অপারগ হওয়ার শর্ত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামে পানির বিকল্প হিসেবে মাটি ব্যব
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি দুটি—অজু ও গোসল। উভয় কাজই পবিত্র পানি ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হয়। তবে স্থান-কাল-পাত্রভেদে পানির বিকল্পও ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া না গেলে অথবা পানি ব্যবহারে অপারগ হওয়ার শর্ত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামে পানির বিকল্প হিসেবে মাটি ব্যব
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি দুটি—অজু ও গোসল। উভয় কাজই পবিত্র পানি ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হয়। তবে স্থান-কাল-পাত্রভেদে পানির বিকল্পও ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া না গেলে অথবা পানি ব্যবহারে অপারগ হওয়ার শর্ত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামে পানির বিকল্প হিসেবে মাটি ব্যব
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে