ইসলাম ডেস্ক

আমরা অনেক সময় বেখেয়ালে, ভুলে বা ইচ্ছা করে নামাজ আদায়ের সময় অন্য কাজে জড়াই। যেমন ফোনকল এলে পকেট থেকে তা বের করে রিংটোন বন্ধ করি। এমন কাজে কি নামাজ ভেঙে যাবে?
এ প্রশ্নের উত্তরে আলেমগণ বলেন, মনোযোগ ও একাগ্রতা নামাজের প্রাণ। মনোযোগ ধরে রাখার পাশাপাশি নামাজ যেন ভেঙে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। নামাজ যেসব কারণে ভেঙে যায় তার একটি হলো, আমলে কাসির তথা বেশি কাজ করে ফেলা। কারও নামাজে আমলে কাসির ঘটলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। এর কারণে আবার নতুন করে নামাজ আদায় করতে হয়।
ইসলামের পরিভাষায় আমলে কাসির বলা হয়, নামাজে এমন নড়াচড়াকে, যে কারণে নামাজের বাইরের কেউ দেখলে মুসল্লি সম্পর্কে তার নিশ্চিত ধারণা জন্মে যে এই মুসল্লি এখন আর নামাজে নেই। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। বিপরীতে যদি নামাজের বাইরের কেউ মুসল্লিকে দেখে নামাজরত বলে ধারণা করবে, এমন কাজ করে, তবে মুসল্লির এ কাজকে আমলে কালিল বলে। এমন কাজের কারণে নামাজ নষ্ট হবে না।
আমলে কাসিরের উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কেউ নামাজে সিজদা দিতে গিয়ে অথবা বৈঠকে থাকা অবস্থায় মাথা থেকে টুপি পড়ে গেল, সে টুপি ওঠানোর জন্য দু্ই হাত এমনভাবে ব্যবহার করল, যাতে তাকে দেখে মনে হলো সে নামাজ আদায় করছে না, বরং নামাজের বাইরে অন্য সময় যেভাবে টুপি পরে থাকে সেভাবে পরছে। তবে ফোনকল এলে এক হাতে মোবাইল বের করে স্ক্রিনে না তাকিয়ে দ্রুত রিংটোন বন্ধ করে রেখে দিলে নামাজ ভঙ্গ হবে না।
সূত্র: ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ৩/৪৮৫; ফাতাওয়ায়ে শামি: ১/৬২৪-৬২৫; বায়েউস সানায়ে: ১/২৪১; ফাতাওয়ায়ে কাজিখান: ১/৬৩।

আমরা অনেক সময় বেখেয়ালে, ভুলে বা ইচ্ছা করে নামাজ আদায়ের সময় অন্য কাজে জড়াই। যেমন ফোনকল এলে পকেট থেকে তা বের করে রিংটোন বন্ধ করি। এমন কাজে কি নামাজ ভেঙে যাবে?
এ প্রশ্নের উত্তরে আলেমগণ বলেন, মনোযোগ ও একাগ্রতা নামাজের প্রাণ। মনোযোগ ধরে রাখার পাশাপাশি নামাজ যেন ভেঙে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। নামাজ যেসব কারণে ভেঙে যায় তার একটি হলো, আমলে কাসির তথা বেশি কাজ করে ফেলা। কারও নামাজে আমলে কাসির ঘটলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। এর কারণে আবার নতুন করে নামাজ আদায় করতে হয়।
ইসলামের পরিভাষায় আমলে কাসির বলা হয়, নামাজে এমন নড়াচড়াকে, যে কারণে নামাজের বাইরের কেউ দেখলে মুসল্লি সম্পর্কে তার নিশ্চিত ধারণা জন্মে যে এই মুসল্লি এখন আর নামাজে নেই। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। বিপরীতে যদি নামাজের বাইরের কেউ মুসল্লিকে দেখে নামাজরত বলে ধারণা করবে, এমন কাজ করে, তবে মুসল্লির এ কাজকে আমলে কালিল বলে। এমন কাজের কারণে নামাজ নষ্ট হবে না।
আমলে কাসিরের উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কেউ নামাজে সিজদা দিতে গিয়ে অথবা বৈঠকে থাকা অবস্থায় মাথা থেকে টুপি পড়ে গেল, সে টুপি ওঠানোর জন্য দু্ই হাত এমনভাবে ব্যবহার করল, যাতে তাকে দেখে মনে হলো সে নামাজ আদায় করছে না, বরং নামাজের বাইরে অন্য সময় যেভাবে টুপি পরে থাকে সেভাবে পরছে। তবে ফোনকল এলে এক হাতে মোবাইল বের করে স্ক্রিনে না তাকিয়ে দ্রুত রিংটোন বন্ধ করে রেখে দিলে নামাজ ভঙ্গ হবে না।
সূত্র: ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ৩/৪৮৫; ফাতাওয়ায়ে শামি: ১/৬২৪-৬২৫; বায়েউস সানায়ে: ১/২৪১; ফাতাওয়ায়ে কাজিখান: ১/৬৩।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৭ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১২ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১৪ ঘণ্টা আগে