মাওলানা ইসমাইল নাজিম

বিজয় আল্লাহ তাআলার অনিন্দ্য সুন্দর নিয়ামত। দীর্ঘ সংগ্রাম-সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও যুদ্ধ-লড়াইয়ের পরই বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মা-বোনের কোরবানির বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান বিজয়। এ জন্য আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে বিনীত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজয়ের মুহূর্তের করণীয় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল হয়েছে।
সুরা আন-নাসরে আল্লাহ তাআলা বিজয়ের সময়ের আমলের কথা আলোচনা করেছেন। এটি পবিত্র কোরআনের ১১০তম সুরা। মহানবী (সা.)-এর নবুওয়তি মিশনের সফল সমাপ্তির দিকের অবস্থা চিত্রিত হয়েছে এই সুরায়। ইবনে আব্বাস (রা.) ওবায়দুল্লাহ ইবনে উতবাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সর্বশেষ নাজিলকৃত পূর্ণাঙ্গ সুরা কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘সুরা নাসর।’ (মুসলিম)
সুরার শুরুতেই আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়ের সুখবর দেওয়া হয়েছে। ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ইসলামের যে মহান বার্তা মহানবী (সা.) পৃথিবীবাসীকে দিতে এসেছিলেন, তা পূর্ণতা পাচ্ছে খুব শিগগির। হক-বাতিল স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অসত্যের ওপর সত্যের বিজয় নিশ্চিত হচ্ছে শিগগিরই। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা বিজয়ী জাতি হিসেবে পৃথিবীতে আবির্ভূত হচ্ছে। ফলে মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করছে—যেভাবে প্রতিটি বিজয়ী জাতির সঙ্গে পৃথিবীর মানুষ যুক্ত হতে শুরু করে।
এমন সুন্দর মুহূর্তে মহানবী (সা.)-কে তিনটি আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এক. আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা, দুই. তাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করা এবং তিন. তাঁর কাছে নিজেদের ভুলত্রুটি ও গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত চূড়ান্ত বিজয় একমাত্র আল্লাহরই দান। তাই তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানো জরুরি। আর এই লড়াইয়ে নিজেদের ভুলত্রুটি হতে পারে, তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়াই মুমিনের কাজ।
এবার পড়ে নিন সুরা আন-নাসরের অনুবাদ। ইরশাদ হয়েছে, যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবে, তখন তোমার রবের প্ৰশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি তওবা কবুলকারী।’ (সুরা আন-নাসর: ১-৩)

বিজয় আল্লাহ তাআলার অনিন্দ্য সুন্দর নিয়ামত। দীর্ঘ সংগ্রাম-সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও যুদ্ধ-লড়াইয়ের পরই বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মা-বোনের কোরবানির বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান বিজয়। এ জন্য আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে বিনীত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজয়ের মুহূর্তের করণীয় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল হয়েছে।
সুরা আন-নাসরে আল্লাহ তাআলা বিজয়ের সময়ের আমলের কথা আলোচনা করেছেন। এটি পবিত্র কোরআনের ১১০তম সুরা। মহানবী (সা.)-এর নবুওয়তি মিশনের সফল সমাপ্তির দিকের অবস্থা চিত্রিত হয়েছে এই সুরায়। ইবনে আব্বাস (রা.) ওবায়দুল্লাহ ইবনে উতবাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সর্বশেষ নাজিলকৃত পূর্ণাঙ্গ সুরা কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘সুরা নাসর।’ (মুসলিম)
সুরার শুরুতেই আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়ের সুখবর দেওয়া হয়েছে। ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ইসলামের যে মহান বার্তা মহানবী (সা.) পৃথিবীবাসীকে দিতে এসেছিলেন, তা পূর্ণতা পাচ্ছে খুব শিগগির। হক-বাতিল স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অসত্যের ওপর সত্যের বিজয় নিশ্চিত হচ্ছে শিগগিরই। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা বিজয়ী জাতি হিসেবে পৃথিবীতে আবির্ভূত হচ্ছে। ফলে মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করছে—যেভাবে প্রতিটি বিজয়ী জাতির সঙ্গে পৃথিবীর মানুষ যুক্ত হতে শুরু করে।
এমন সুন্দর মুহূর্তে মহানবী (সা.)-কে তিনটি আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এক. আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা, দুই. তাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করা এবং তিন. তাঁর কাছে নিজেদের ভুলত্রুটি ও গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত চূড়ান্ত বিজয় একমাত্র আল্লাহরই দান। তাই তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানো জরুরি। আর এই লড়াইয়ে নিজেদের ভুলত্রুটি হতে পারে, তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়াই মুমিনের কাজ।
এবার পড়ে নিন সুরা আন-নাসরের অনুবাদ। ইরশাদ হয়েছে, যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবে, তখন তোমার রবের প্ৰশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি তওবা কবুলকারী।’ (সুরা আন-নাসর: ১-৩)
মাওলানা ইসমাইল নাজিম

বিজয় আল্লাহ তাআলার অনিন্দ্য সুন্দর নিয়ামত। দীর্ঘ সংগ্রাম-সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও যুদ্ধ-লড়াইয়ের পরই বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মা-বোনের কোরবানির বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান বিজয়। এ জন্য আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে বিনীত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজয়ের মুহূর্তের করণীয় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল হয়েছে।
সুরা আন-নাসরে আল্লাহ তাআলা বিজয়ের সময়ের আমলের কথা আলোচনা করেছেন। এটি পবিত্র কোরআনের ১১০তম সুরা। মহানবী (সা.)-এর নবুওয়তি মিশনের সফল সমাপ্তির দিকের অবস্থা চিত্রিত হয়েছে এই সুরায়। ইবনে আব্বাস (রা.) ওবায়দুল্লাহ ইবনে উতবাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সর্বশেষ নাজিলকৃত পূর্ণাঙ্গ সুরা কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘সুরা নাসর।’ (মুসলিম)
সুরার শুরুতেই আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়ের সুখবর দেওয়া হয়েছে। ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ইসলামের যে মহান বার্তা মহানবী (সা.) পৃথিবীবাসীকে দিতে এসেছিলেন, তা পূর্ণতা পাচ্ছে খুব শিগগির। হক-বাতিল স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অসত্যের ওপর সত্যের বিজয় নিশ্চিত হচ্ছে শিগগিরই। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা বিজয়ী জাতি হিসেবে পৃথিবীতে আবির্ভূত হচ্ছে। ফলে মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করছে—যেভাবে প্রতিটি বিজয়ী জাতির সঙ্গে পৃথিবীর মানুষ যুক্ত হতে শুরু করে।
এমন সুন্দর মুহূর্তে মহানবী (সা.)-কে তিনটি আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এক. আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা, দুই. তাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করা এবং তিন. তাঁর কাছে নিজেদের ভুলত্রুটি ও গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত চূড়ান্ত বিজয় একমাত্র আল্লাহরই দান। তাই তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানো জরুরি। আর এই লড়াইয়ে নিজেদের ভুলত্রুটি হতে পারে, তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়াই মুমিনের কাজ।
এবার পড়ে নিন সুরা আন-নাসরের অনুবাদ। ইরশাদ হয়েছে, যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবে, তখন তোমার রবের প্ৰশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি তওবা কবুলকারী।’ (সুরা আন-নাসর: ১-৩)

বিজয় আল্লাহ তাআলার অনিন্দ্য সুন্দর নিয়ামত। দীর্ঘ সংগ্রাম-সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও যুদ্ধ-লড়াইয়ের পরই বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মা-বোনের কোরবানির বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান বিজয়। এ জন্য আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে বিনীত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজয়ের মুহূর্তের করণীয় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল হয়েছে।
সুরা আন-নাসরে আল্লাহ তাআলা বিজয়ের সময়ের আমলের কথা আলোচনা করেছেন। এটি পবিত্র কোরআনের ১১০তম সুরা। মহানবী (সা.)-এর নবুওয়তি মিশনের সফল সমাপ্তির দিকের অবস্থা চিত্রিত হয়েছে এই সুরায়। ইবনে আব্বাস (রা.) ওবায়দুল্লাহ ইবনে উতবাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সর্বশেষ নাজিলকৃত পূর্ণাঙ্গ সুরা কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘সুরা নাসর।’ (মুসলিম)
সুরার শুরুতেই আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়ের সুখবর দেওয়া হয়েছে। ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ইসলামের যে মহান বার্তা মহানবী (সা.) পৃথিবীবাসীকে দিতে এসেছিলেন, তা পূর্ণতা পাচ্ছে খুব শিগগির। হক-বাতিল স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অসত্যের ওপর সত্যের বিজয় নিশ্চিত হচ্ছে শিগগিরই। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা বিজয়ী জাতি হিসেবে পৃথিবীতে আবির্ভূত হচ্ছে। ফলে মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করছে—যেভাবে প্রতিটি বিজয়ী জাতির সঙ্গে পৃথিবীর মানুষ যুক্ত হতে শুরু করে।
এমন সুন্দর মুহূর্তে মহানবী (সা.)-কে তিনটি আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এক. আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা, দুই. তাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করা এবং তিন. তাঁর কাছে নিজেদের ভুলত্রুটি ও গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত চূড়ান্ত বিজয় একমাত্র আল্লাহরই দান। তাই তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানো জরুরি। আর এই লড়াইয়ে নিজেদের ভুলত্রুটি হতে পারে, তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়াই মুমিনের কাজ।
এবার পড়ে নিন সুরা আন-নাসরের অনুবাদ। ইরশাদ হয়েছে, যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবে, তখন তোমার রবের প্ৰশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি তওবা কবুলকারী।’ (সুরা আন-নাসর: ১-৩)

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বিজয় আল্লাহ তাআলার অনিন্দ্য সুন্দর নিয়ামত। দীর্ঘ সংগ্রাম-সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও যুদ্ধ-লড়াইয়ের পরই বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মা-বোনের কোরবানির বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান বিজয়। এ জন্য আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে বিনীত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজয়ের মুহূর্তের করণীয় সম্পর্
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

বিজয় আল্লাহ তাআলার অনিন্দ্য সুন্দর নিয়ামত। দীর্ঘ সংগ্রাম-সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও যুদ্ধ-লড়াইয়ের পরই বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মা-বোনের কোরবানির বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান বিজয়। এ জন্য আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে বিনীত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজয়ের মুহূর্তের করণীয় সম্পর্
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

বিজয় আল্লাহ তাআলার অনিন্দ্য সুন্দর নিয়ামত। দীর্ঘ সংগ্রাম-সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও যুদ্ধ-লড়াইয়ের পরই বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মা-বোনের কোরবানির বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান বিজয়। এ জন্য আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে বিনীত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজয়ের মুহূর্তের করণীয় সম্পর্
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

বিজয় আল্লাহ তাআলার অনিন্দ্য সুন্দর নিয়ামত। দীর্ঘ সংগ্রাম-সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও যুদ্ধ-লড়াইয়ের পরই বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মা-বোনের কোরবানির বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান বিজয়। এ জন্য আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে বিনীত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজয়ের মুহূর্তের করণীয় সম্পর্
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে