মুনীরুল ইসলাম
‘সেহরি’ শব্দটি আরবি ‘সাহর’ বা ‘সুহুর’ থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ রাতের শেষাংশ বা ভোররাত। সেহরি অর্থ শেষ রাতের বা ভোররাতের খাবার। সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে আহার করা হয়, একে শরিয়তের পরিভাষায় সেহরি বলা হয়। রোজা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়া সুন্নত। রমজান মাসে সেহরির সময় মুসলিম বিশ্বে এক অন্য রকম আবহ তৈরি হয়। মসজিদের মিনারগুলো থেকে ভেসে আসে হামদ-নাত ও সেহরি খাওয়ার আহ্বান। তখন রোজাদার মুসলমানেরা সেহরি খাওয়ার জন্য জেগে ওঠেন।
হাদিস শরিফে সেহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব আর আমাদের (মুসলমান) রোজার মধ্যে শুধু সেহরি খাওয়া পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সেহরি খায় না, আর আমরা খাই।’ (মুসলিম ও তিরমিজি)
ক্ষুধা না থাকলে দুয়েকটা খেজুর খেয়ে অথবা এক ঢোক পানি পান করে নিলেও সেহরির সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সেহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। অর্থাৎ শরীরে প্রফুল্লতা ও শক্তি থাকে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
সেহরি খাওয়ার সময় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পানাহার করো—যতক্ষণ রাতের অন্ধকারের কালো রেখা থেকে প্রভাতের শুভ্র রেখা স্পষ্ট না হয়।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭)
শেষ সময়ে সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব। তাফসিরে কাশশাফের রচয়িতা সেহরির নিয়ম প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘পুরো রাতকে ছয় অংশে ভাগ করে শেষাংশে সেহরি খাও।’ রোজাদারের জন্য রাতের শেষাংশে সুবহে সাদিকের আগে সেহরি খাওয়া সুন্নত। সুবহে সাদিক না হওয়া পর্যন্ত সেহরি খাওয়া যাবে।
‘সেহরি’ শব্দটি আরবি ‘সাহর’ বা ‘সুহুর’ থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ রাতের শেষাংশ বা ভোররাত। সেহরি অর্থ শেষ রাতের বা ভোররাতের খাবার। সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে আহার করা হয়, একে শরিয়তের পরিভাষায় সেহরি বলা হয়। রোজা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়া সুন্নত। রমজান মাসে সেহরির সময় মুসলিম বিশ্বে এক অন্য রকম আবহ তৈরি হয়। মসজিদের মিনারগুলো থেকে ভেসে আসে হামদ-নাত ও সেহরি খাওয়ার আহ্বান। তখন রোজাদার মুসলমানেরা সেহরি খাওয়ার জন্য জেগে ওঠেন।
হাদিস শরিফে সেহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব আর আমাদের (মুসলমান) রোজার মধ্যে শুধু সেহরি খাওয়া পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সেহরি খায় না, আর আমরা খাই।’ (মুসলিম ও তিরমিজি)
ক্ষুধা না থাকলে দুয়েকটা খেজুর খেয়ে অথবা এক ঢোক পানি পান করে নিলেও সেহরির সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সেহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। অর্থাৎ শরীরে প্রফুল্লতা ও শক্তি থাকে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
সেহরি খাওয়ার সময় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পানাহার করো—যতক্ষণ রাতের অন্ধকারের কালো রেখা থেকে প্রভাতের শুভ্র রেখা স্পষ্ট না হয়।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭)
শেষ সময়ে সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব। তাফসিরে কাশশাফের রচয়িতা সেহরির নিয়ম প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘পুরো রাতকে ছয় অংশে ভাগ করে শেষাংশে সেহরি খাও।’ রোজাদারের জন্য রাতের শেষাংশে সুবহে সাদিকের আগে সেহরি খাওয়া সুন্নত। সুবহে সাদিক না হওয়া পর্যন্ত সেহরি খাওয়া যাবে।
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
৫ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগে