ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের দুনিয়ার জীবনের ইতি ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০) তবে মৃত্যুর পর তাঁরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেছেন। তাই তাঁরা কবরে জীবিত।
নবীদের কবরের বিশেষ জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো, কবরের জীবনে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন কবরে তাঁদের পবিত্র দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। তাঁদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তাঁরা তা সরাসরি শোনেন। দূর থেকে কেউ দরুদ-সালাম পাঠালে ফেরেশতারা তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত হন। ইমাম বায়হাকি (রহ.) ‘আল ইতিকাদ’ গ্রন্থে বলেন, ‘সব নবীর জান কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের মতো রবের কাছে জীবিত।’ (আল ইতিকাদ, পৃ. ৪১৫; আত-তালখিসুল হাবির: ২ / ২৫৪; আল-বাদরুল মুনির: ৫ / ২৯২)
কবরের জগতে সব মানুষের একধরনের জীবন আছে। তবে কোরআনে সাধারণ মানুষ কবরে জীবিত—এমন কথা বলা হয়নি। অবশ্য শহীদদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। শহীদদের জীবন সাধারণের চেয়ে উন্নত ও ভিন্নতর। শহীদদের জীবিত থাকার অর্থ শুধু রুহের জীবন নয়; দেহের সঙ্গে এ জীবনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তাঁরা রিজিকপ্রাপ্ত হন। তবে এ জীবনের ধরন উপলব্ধি করা যায় না।
নবীদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে শহীদদের চেয়ে বেশি। কাজেই নবীদের জীবন শহীদদের চেয়ে বেশি উন্নত।
ইসলামি বিশ্বাস মোতাবেক নবীগণ কবরে জীবিত। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। কোন নামাজ বা কত রাকাত আদায় করেন তা জানা না গেলেও নামাজ আদায় করার বিষয়টি হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নবীগণ কবরে জীবিত, তাঁরা নামাজ আদায় করেন।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া, বায়হাকি: ১-৪)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তাঁর কবরে সশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। নবী (সা.) কবরের অবস্থানটিও উল্লেখ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি মিরাজের রাতে (বায়তুল মাকদিসের পাশে) লাল বালুর ঢিবির কাছে মুসা (আ.)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি। তখন তিনি তাঁর কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন।’ (মুসলিম: ২৩৪৭)
নবীদের শরীর মাটির জন্য হারাম। তাঁরা কবরে সশরীরে জীবিত থাকেন। আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হলো—জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সব প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরুদ ও সালাম পাঠাও। তোমাদের দরুদ ও সালাম আমার কাছে পেশ করা হবে।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আমাদের দরুদ ও সালাম আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে—অথচ আপনি (মাটির সঙ্গে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবেন?’ নবী (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ কবরে নবীদের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতোই অক্ষত থাকে। এর সঙ্গে আত্মার গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও দরুদ ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। (আবু দাউদ: ১০৪৭; ইবনে খুজাইমা: ১৭৩৩; মুসতাদরাকে হাকিম: ১০২৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৬১৬২) হাদিসটি ভিন্ন সনদে আবুদ্দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।’ (ইবনে মাযাহ: ১৬৩৭)
কবরের পাশ থেকে সালাত ও সালাম পেশ করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সরাসরি শুনতে পান। প্রশ্ন হতে পারে, মাটির নিচ থেকে সালাম কী করে শোনেন? এর উত্তর হলো—প্রথমত, এটি কবর জীবনের বিষয়। হাদিসে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার কথা এসেছে, তাই তা বিশ্বাস করতে হবে। তবে কীভাবে শোনেন, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। দ্বিতীয়ত, নবী (সা.) দুনিয়াতে জীবিত অবস্থায়ও অনেক সময় মাটির নিচে কবরে সংঘটিত আজাব শুনতে পেয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর সালাত পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূর থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৬০৫; আল-কাওলুল বাদি, পৃ. ১৬০)
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আমাদের মহানবী (সা.)ও কবরে সশরীরে জীবিত। এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। যে কেউ তাঁকে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ ও দূর থেকে নবী (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে সালাত ও সালাম পেশ করতে থাকে। আর নবী (সা.) তার উত্তর দিতে থাকেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘(মৃত্যুর পর) যে আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় পাবে যে আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর আগেই) রুহ ফিরিয়ে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রুহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই। (আবু দাউদ: ২০৪১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের দুনিয়ার জীবনের ইতি ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০) তবে মৃত্যুর পর তাঁরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেছেন। তাই তাঁরা কবরে জীবিত।
নবীদের কবরের বিশেষ জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো, কবরের জীবনে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন কবরে তাঁদের পবিত্র দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। তাঁদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তাঁরা তা সরাসরি শোনেন। দূর থেকে কেউ দরুদ-সালাম পাঠালে ফেরেশতারা তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত হন। ইমাম বায়হাকি (রহ.) ‘আল ইতিকাদ’ গ্রন্থে বলেন, ‘সব নবীর জান কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের মতো রবের কাছে জীবিত।’ (আল ইতিকাদ, পৃ. ৪১৫; আত-তালখিসুল হাবির: ২ / ২৫৪; আল-বাদরুল মুনির: ৫ / ২৯২)
কবরের জগতে সব মানুষের একধরনের জীবন আছে। তবে কোরআনে সাধারণ মানুষ কবরে জীবিত—এমন কথা বলা হয়নি। অবশ্য শহীদদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। শহীদদের জীবন সাধারণের চেয়ে উন্নত ও ভিন্নতর। শহীদদের জীবিত থাকার অর্থ শুধু রুহের জীবন নয়; দেহের সঙ্গে এ জীবনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তাঁরা রিজিকপ্রাপ্ত হন। তবে এ জীবনের ধরন উপলব্ধি করা যায় না।
নবীদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে শহীদদের চেয়ে বেশি। কাজেই নবীদের জীবন শহীদদের চেয়ে বেশি উন্নত।
ইসলামি বিশ্বাস মোতাবেক নবীগণ কবরে জীবিত। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। কোন নামাজ বা কত রাকাত আদায় করেন তা জানা না গেলেও নামাজ আদায় করার বিষয়টি হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নবীগণ কবরে জীবিত, তাঁরা নামাজ আদায় করেন।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া, বায়হাকি: ১-৪)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তাঁর কবরে সশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। নবী (সা.) কবরের অবস্থানটিও উল্লেখ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি মিরাজের রাতে (বায়তুল মাকদিসের পাশে) লাল বালুর ঢিবির কাছে মুসা (আ.)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি। তখন তিনি তাঁর কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন।’ (মুসলিম: ২৩৪৭)
নবীদের শরীর মাটির জন্য হারাম। তাঁরা কবরে সশরীরে জীবিত থাকেন। আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হলো—জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সব প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরুদ ও সালাম পাঠাও। তোমাদের দরুদ ও সালাম আমার কাছে পেশ করা হবে।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আমাদের দরুদ ও সালাম আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে—অথচ আপনি (মাটির সঙ্গে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবেন?’ নবী (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ কবরে নবীদের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতোই অক্ষত থাকে। এর সঙ্গে আত্মার গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও দরুদ ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। (আবু দাউদ: ১০৪৭; ইবনে খুজাইমা: ১৭৩৩; মুসতাদরাকে হাকিম: ১০২৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৬১৬২) হাদিসটি ভিন্ন সনদে আবুদ্দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।’ (ইবনে মাযাহ: ১৬৩৭)
কবরের পাশ থেকে সালাত ও সালাম পেশ করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সরাসরি শুনতে পান। প্রশ্ন হতে পারে, মাটির নিচ থেকে সালাম কী করে শোনেন? এর উত্তর হলো—প্রথমত, এটি কবর জীবনের বিষয়। হাদিসে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার কথা এসেছে, তাই তা বিশ্বাস করতে হবে। তবে কীভাবে শোনেন, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। দ্বিতীয়ত, নবী (সা.) দুনিয়াতে জীবিত অবস্থায়ও অনেক সময় মাটির নিচে কবরে সংঘটিত আজাব শুনতে পেয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর সালাত পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূর থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৬০৫; আল-কাওলুল বাদি, পৃ. ১৬০)
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আমাদের মহানবী (সা.)ও কবরে সশরীরে জীবিত। এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। যে কেউ তাঁকে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ ও দূর থেকে নবী (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে সালাত ও সালাম পেশ করতে থাকে। আর নবী (সা.) তার উত্তর দিতে থাকেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘(মৃত্যুর পর) যে আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় পাবে যে আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর আগেই) রুহ ফিরিয়ে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রুহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই। (আবু দাউদ: ২০৪১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের দুনিয়ার জীবনের ইতি ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০) তবে মৃত্যুর পর তাঁরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেছেন। তাই তাঁরা কবরে জীবিত।
নবীদের কবরের বিশেষ জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো, কবরের জীবনে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন কবরে তাঁদের পবিত্র দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। তাঁদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তাঁরা তা সরাসরি শোনেন। দূর থেকে কেউ দরুদ-সালাম পাঠালে ফেরেশতারা তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত হন। ইমাম বায়হাকি (রহ.) ‘আল ইতিকাদ’ গ্রন্থে বলেন, ‘সব নবীর জান কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের মতো রবের কাছে জীবিত।’ (আল ইতিকাদ, পৃ. ৪১৫; আত-তালখিসুল হাবির: ২ / ২৫৪; আল-বাদরুল মুনির: ৫ / ২৯২)
কবরের জগতে সব মানুষের একধরনের জীবন আছে। তবে কোরআনে সাধারণ মানুষ কবরে জীবিত—এমন কথা বলা হয়নি। অবশ্য শহীদদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। শহীদদের জীবন সাধারণের চেয়ে উন্নত ও ভিন্নতর। শহীদদের জীবিত থাকার অর্থ শুধু রুহের জীবন নয়; দেহের সঙ্গে এ জীবনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তাঁরা রিজিকপ্রাপ্ত হন। তবে এ জীবনের ধরন উপলব্ধি করা যায় না।
নবীদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে শহীদদের চেয়ে বেশি। কাজেই নবীদের জীবন শহীদদের চেয়ে বেশি উন্নত।
ইসলামি বিশ্বাস মোতাবেক নবীগণ কবরে জীবিত। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। কোন নামাজ বা কত রাকাত আদায় করেন তা জানা না গেলেও নামাজ আদায় করার বিষয়টি হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নবীগণ কবরে জীবিত, তাঁরা নামাজ আদায় করেন।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া, বায়হাকি: ১-৪)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তাঁর কবরে সশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। নবী (সা.) কবরের অবস্থানটিও উল্লেখ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি মিরাজের রাতে (বায়তুল মাকদিসের পাশে) লাল বালুর ঢিবির কাছে মুসা (আ.)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি। তখন তিনি তাঁর কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন।’ (মুসলিম: ২৩৪৭)
নবীদের শরীর মাটির জন্য হারাম। তাঁরা কবরে সশরীরে জীবিত থাকেন। আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হলো—জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সব প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরুদ ও সালাম পাঠাও। তোমাদের দরুদ ও সালাম আমার কাছে পেশ করা হবে।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আমাদের দরুদ ও সালাম আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে—অথচ আপনি (মাটির সঙ্গে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবেন?’ নবী (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ কবরে নবীদের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতোই অক্ষত থাকে। এর সঙ্গে আত্মার গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও দরুদ ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। (আবু দাউদ: ১০৪৭; ইবনে খুজাইমা: ১৭৩৩; মুসতাদরাকে হাকিম: ১০২৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৬১৬২) হাদিসটি ভিন্ন সনদে আবুদ্দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।’ (ইবনে মাযাহ: ১৬৩৭)
কবরের পাশ থেকে সালাত ও সালাম পেশ করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সরাসরি শুনতে পান। প্রশ্ন হতে পারে, মাটির নিচ থেকে সালাম কী করে শোনেন? এর উত্তর হলো—প্রথমত, এটি কবর জীবনের বিষয়। হাদিসে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার কথা এসেছে, তাই তা বিশ্বাস করতে হবে। তবে কীভাবে শোনেন, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। দ্বিতীয়ত, নবী (সা.) দুনিয়াতে জীবিত অবস্থায়ও অনেক সময় মাটির নিচে কবরে সংঘটিত আজাব শুনতে পেয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর সালাত পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূর থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৬০৫; আল-কাওলুল বাদি, পৃ. ১৬০)
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আমাদের মহানবী (সা.)ও কবরে সশরীরে জীবিত। এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। যে কেউ তাঁকে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ ও দূর থেকে নবী (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে সালাত ও সালাম পেশ করতে থাকে। আর নবী (সা.) তার উত্তর দিতে থাকেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘(মৃত্যুর পর) যে আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় পাবে যে আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর আগেই) রুহ ফিরিয়ে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রুহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই। (আবু দাউদ: ২০৪১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের দুনিয়ার জীবনের ইতি ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০) তবে মৃত্যুর পর তাঁরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেছেন। তাই তাঁরা কবরে জীবিত।
নবীদের কবরের বিশেষ জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো, কবরের জীবনে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন কবরে তাঁদের পবিত্র দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। তাঁদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তাঁরা তা সরাসরি শোনেন। দূর থেকে কেউ দরুদ-সালাম পাঠালে ফেরেশতারা তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত হন। ইমাম বায়হাকি (রহ.) ‘আল ইতিকাদ’ গ্রন্থে বলেন, ‘সব নবীর জান কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের মতো রবের কাছে জীবিত।’ (আল ইতিকাদ, পৃ. ৪১৫; আত-তালখিসুল হাবির: ২ / ২৫৪; আল-বাদরুল মুনির: ৫ / ২৯২)
কবরের জগতে সব মানুষের একধরনের জীবন আছে। তবে কোরআনে সাধারণ মানুষ কবরে জীবিত—এমন কথা বলা হয়নি। অবশ্য শহীদদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। শহীদদের জীবন সাধারণের চেয়ে উন্নত ও ভিন্নতর। শহীদদের জীবিত থাকার অর্থ শুধু রুহের জীবন নয়; দেহের সঙ্গে এ জীবনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তাঁরা রিজিকপ্রাপ্ত হন। তবে এ জীবনের ধরন উপলব্ধি করা যায় না।
নবীদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে শহীদদের চেয়ে বেশি। কাজেই নবীদের জীবন শহীদদের চেয়ে বেশি উন্নত।
ইসলামি বিশ্বাস মোতাবেক নবীগণ কবরে জীবিত। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। কোন নামাজ বা কত রাকাত আদায় করেন তা জানা না গেলেও নামাজ আদায় করার বিষয়টি হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নবীগণ কবরে জীবিত, তাঁরা নামাজ আদায় করেন।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া, বায়হাকি: ১-৪)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তাঁর কবরে সশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। নবী (সা.) কবরের অবস্থানটিও উল্লেখ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি মিরাজের রাতে (বায়তুল মাকদিসের পাশে) লাল বালুর ঢিবির কাছে মুসা (আ.)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি। তখন তিনি তাঁর কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন।’ (মুসলিম: ২৩৪৭)
নবীদের শরীর মাটির জন্য হারাম। তাঁরা কবরে সশরীরে জীবিত থাকেন। আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হলো—জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সব প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরুদ ও সালাম পাঠাও। তোমাদের দরুদ ও সালাম আমার কাছে পেশ করা হবে।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আমাদের দরুদ ও সালাম আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে—অথচ আপনি (মাটির সঙ্গে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবেন?’ নবী (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ কবরে নবীদের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতোই অক্ষত থাকে। এর সঙ্গে আত্মার গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও দরুদ ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। (আবু দাউদ: ১০৪৭; ইবনে খুজাইমা: ১৭৩৩; মুসতাদরাকে হাকিম: ১০২৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৬১৬২) হাদিসটি ভিন্ন সনদে আবুদ্দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।’ (ইবনে মাযাহ: ১৬৩৭)
কবরের পাশ থেকে সালাত ও সালাম পেশ করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সরাসরি শুনতে পান। প্রশ্ন হতে পারে, মাটির নিচ থেকে সালাম কী করে শোনেন? এর উত্তর হলো—প্রথমত, এটি কবর জীবনের বিষয়। হাদিসে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার কথা এসেছে, তাই তা বিশ্বাস করতে হবে। তবে কীভাবে শোনেন, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। দ্বিতীয়ত, নবী (সা.) দুনিয়াতে জীবিত অবস্থায়ও অনেক সময় মাটির নিচে কবরে সংঘটিত আজাব শুনতে পেয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর সালাত পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূর থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৬০৫; আল-কাওলুল বাদি, পৃ. ১৬০)
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আমাদের মহানবী (সা.)ও কবরে সশরীরে জীবিত। এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। যে কেউ তাঁকে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ ও দূর থেকে নবী (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে সালাত ও সালাম পেশ করতে থাকে। আর নবী (সা.) তার উত্তর দিতে থাকেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘(মৃত্যুর পর) যে আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় পাবে যে আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর আগেই) রুহ ফিরিয়ে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রুহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই। (আবু দাউদ: ২০৪১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে