মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। জালিম পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার দিন। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডানা মেলে উড়াল দেওয়ার দিন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, লাখো বীর বাঙালির আত্মদান এবং অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই এই দিন আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী দিন।
বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল অস্ত্র, রণকৌশল ও শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। পৃথিবীর এমন অনেক জাতি আছে যাদের হাতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও যুগের পর যুগ তারা দাসত্বের শেকলে বন্দী হয়ে আছে। কারণ, বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা নিবেদিত, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন এবং বিজয় দান করেন। যেমন তিনি রাসুল (সা.)-কে অসংখ্য বিজয় দান করেছেন এবং পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি মহান আল্লাহ, যিনি তাঁর রাসুল (সা)-কে পাঠিয়েছেন সঠিক পথনির্দেশ ও সত্য জীবন বিধান সহকারে, যাতে তিনি তা সকল বিধানের ওপর বিজয়ীরূপে প্রতিষ্ঠা করেন, সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ২৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘ফাত্হ’ বা বিজয় নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করে বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর নাজিল হওয়া এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সেটিকে ‘স্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে খুব ভালোবাসেন, তাই তাঁর সকল দুর্বলতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করেছেন, সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং বিপুল সাহায্য করেছেন। ফলে তিনি বিজয় লাভ করেছেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি। যাতে আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করেন, আপনার ওপর তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন এবং আপনাকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এবং আল্লাহ আপনাকে দান করেন প্রবল সাহায্য।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ১-৩)
কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই যুদ্ধ; এবং এর ফলেই অর্জিত হয় বিজয়। তাই বিজয়ীদের প্রধান দায়িত্ব হলো, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। এটিই বিজয়ীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের আমি পৃথিবীতে বিজয় ও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলে তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং সৎ কাজে আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়।’ (সুরা হজ: ৪১) মুসলিম সমাজে নামাজ শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার প্রতীক। আর জাকাত মানুষের ধন-সম্পদে আল্লাহর অধিকার; এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হয় এবং অর্থের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। আর সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজে বাধা প্রধানের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়; অপরাধ, হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ শুদ্ধ ও সুন্দর হয়। তাই আল্লাহ তাআলা বিজয়ীদের এ বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক—দেশকে ভালোবেসে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এ ছাড়া যাঁরা যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের সমাদর করা, যাঁরা দেশকে জুলুম থেকে মুক্ত করার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা জানানো এবং তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া বিজয়ীদের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। আর মোমিন কখনো সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে ভুলে যায় না। তার সকল সাফল্যই আল্লাহর দরবারে নিবেদিত। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষই আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য ও বিজয় অর্জন। তাই বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা তার অন্যতম কর্তব্য। বিজয়ের দিনের কর্তব্য জানিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে বলেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে আল্লাহর মনোনীত ধর্মে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার মাধ্যমে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। জালিম পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার দিন। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডানা মেলে উড়াল দেওয়ার দিন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, লাখো বীর বাঙালির আত্মদান এবং অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই এই দিন আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী দিন।
বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল অস্ত্র, রণকৌশল ও শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। পৃথিবীর এমন অনেক জাতি আছে যাদের হাতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও যুগের পর যুগ তারা দাসত্বের শেকলে বন্দী হয়ে আছে। কারণ, বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা নিবেদিত, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন এবং বিজয় দান করেন। যেমন তিনি রাসুল (সা.)-কে অসংখ্য বিজয় দান করেছেন এবং পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি মহান আল্লাহ, যিনি তাঁর রাসুল (সা)-কে পাঠিয়েছেন সঠিক পথনির্দেশ ও সত্য জীবন বিধান সহকারে, যাতে তিনি তা সকল বিধানের ওপর বিজয়ীরূপে প্রতিষ্ঠা করেন, সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ২৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘ফাত্হ’ বা বিজয় নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করে বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর নাজিল হওয়া এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সেটিকে ‘স্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে খুব ভালোবাসেন, তাই তাঁর সকল দুর্বলতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করেছেন, সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং বিপুল সাহায্য করেছেন। ফলে তিনি বিজয় লাভ করেছেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি। যাতে আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করেন, আপনার ওপর তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন এবং আপনাকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এবং আল্লাহ আপনাকে দান করেন প্রবল সাহায্য।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ১-৩)
কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই যুদ্ধ; এবং এর ফলেই অর্জিত হয় বিজয়। তাই বিজয়ীদের প্রধান দায়িত্ব হলো, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। এটিই বিজয়ীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের আমি পৃথিবীতে বিজয় ও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলে তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং সৎ কাজে আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়।’ (সুরা হজ: ৪১) মুসলিম সমাজে নামাজ শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার প্রতীক। আর জাকাত মানুষের ধন-সম্পদে আল্লাহর অধিকার; এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হয় এবং অর্থের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। আর সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজে বাধা প্রধানের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়; অপরাধ, হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ শুদ্ধ ও সুন্দর হয়। তাই আল্লাহ তাআলা বিজয়ীদের এ বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক—দেশকে ভালোবেসে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এ ছাড়া যাঁরা যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের সমাদর করা, যাঁরা দেশকে জুলুম থেকে মুক্ত করার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা জানানো এবং তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া বিজয়ীদের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। আর মোমিন কখনো সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে ভুলে যায় না। তার সকল সাফল্যই আল্লাহর দরবারে নিবেদিত। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষই আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য ও বিজয় অর্জন। তাই বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা তার অন্যতম কর্তব্য। বিজয়ের দিনের কর্তব্য জানিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে বলেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে আল্লাহর মনোনীত ধর্মে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার মাধ্যমে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১০ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১০ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১০ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে