মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

প্রশ্ন: আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে ইসলাম? বিস্তারিত জানতে চাই। আবদুল্লাহ কামিল, ঢাকা
উত্তর: বাবা-মায়ের সেবা করা, ভাইবোনের দেখাশোনা করা এবং আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যক্তির অন্যতম দায়িত্ব। তবে স্ত্রীর থাকার ঘর ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও একজন স্বামীর অন্যতম দায়িত্ব। তাই বিয়ের আগেই তার জন্য আলাদা ঘর বা কক্ষ তৈরি করতে হবে অথবা বাসা ভাড়া নিতে হবে। বিয়ের পর স্বাভাবিক অবস্থায় স্ত্রী স্বামীর ঘরেই থাকবে, স্ত্রীর বাবার বাড়িতে নয়। এটাই ইসলামের নির্দেশ। ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এক ব্যক্তি বিয়ে করার সময় স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে দেওয়ার শর্তারোপ করে। তখন ওমর (রা.) সেই শর্ত নাকচ করে বললেন, ‘স্ত্রী স্বামীর ঘরেই থাকবে।’ (কানজুল উম্মাল)
স্বামীর দায়িত্ব হচ্ছে, স্ত্রীর জন্য উপযুক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, যেখানে সে স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারবে এবং স্বাভাবিক চলাফেরার সময় গাইরে মাহরাম পুরুষের চোখের সামনে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। (আল মুগনি)
যৌথ পরিবারে থাকতে যদি স্ত্রীর কষ্ট হয়, তার স্বাধীনতা বিঘ্নিত হয় বা পর্দার বিধান লঙ্ঘিত হয়, তাহলে স্ত্রীকে যৌথ পরিবারে রাখা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে যৌথ পরিবারে থাকতে বাধ্য করা জুলুম। যৌথ পরিবারে স্ত্রীর কষ্ট হচ্ছে কি হচ্ছে না, তা যাচাই করার জন্য স্ত্রীর মতামতই যথেষ্ট। অন্য কোনো প্রমাণের প্রয়োজন নেই। (বাদায়ে আস-সানায়ে)
সুতরাং স্ত্রী যদি যৌথ পরিবারে থাকতে না চায়, তাহলে অবশ্যই তার জন্য স্বতন্ত্র আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশিষ্ট ফকিহ কাসানি (রহ.) বলেন, ‘যদি স্বামী তার স্ত্রীকে সতিন, সতিনের ছেলেমেয়ে, দেবর, শাশুড়ি, ননদ ও অন্যান্য আত্মীয়ের সঙ্গে এক ঘরে রাখতে চায়, আর স্ত্রী তাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তাহলে তার জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা আবশ্যক। (বাদায়ে আস-সানায়ে)
হাসকাফি (রহ.) বলেন, ‘একইভাবে স্ত্রীর জন্য স্বামীর সাধ্য অনুযায়ী স্বতন্ত্র বাসস্থানের ব্যবস্থা করা ওয়াজিব। (দুররুল মুখতার) তবে স্বামী যদি অসচ্ছল হয়, স্বতন্ত্র থাকার ব্যবস্থা করা যদি তার পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহলে স্ত্রী স্বামীর কাছে স্বতন্ত্র ঘর দাবি না করে ধৈর্য ধারণ করবে। (মাতালিবু উলিন নুহা)
স্বতন্ত্র আবাসস্থল বলতে স্বামীর পৈতৃক ভিটা থেকে দূরে গিয়ে নতুন ঘর নির্মাণ করতে হবে অথবা ভাড়া বাসায় চলে যেতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। পৈতৃক বাড়িতেই স্ত্রীর জন্য স্বতন্ত্র থাকার ঘর, রান্নাঘর ও বাথরুমের ব্যবস্থা করে দিলেই যথেষ্ট। এটুকু পাওয়ার পর অন্য বাড়ির দাবি করা অথবা পৈতৃক ভিটা ছেড়ে শহরে বা অন্য কোথাও চলে যাওয়ার দাবি করার অধিকার স্ত্রীর নেই। (মাজমাউল আনহুর)
কাসানি (রহ.) বলেন, ‘যদি স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে বড় ঘরের একটি কক্ষে থাকে এবং স্ত্রীর মৌলিক প্রয়োজন এককভাবে পূরণ করার ব্যবস্থা করে দেয়, তখন স্বামীর কাছে আলাদা ঘর দাবি করার অধিকার স্ত্রীর নেই।’ (বাদায়িয়ুস সানায়ি)
হাসকাফি (রহ.) বলেন, ‘বড় ঘরের একটি অংশে স্ত্রীকে রেখে তার জন্য আলাদা বাথরুম ও রান্নাঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া যথেষ্ট।’ এর টীকায় ইবনে আবেদিন (রহ.) বলেন, ‘রান্নাঘর ও বাথরুম স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ঘরের ভেতরে হতে হবে অথবা বাইরে হলেও তাতে অন্য কারও অংশীদারত্ব থাকা যাবে না।’ (রদ্দুল মুহতার) তবে স্ত্রীকে আলাদা ঘরে রাখলেও পরিবারের অন্য সদস্যের প্রতি কর্তব্য পালন করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা করা যাবে না; বিশেষ করে মা-বাবার সেবায় কার্পণ্য করা কোনোভাবেই ইসলাম অনুমোদন করে না।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রশ্ন: আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে ইসলাম? বিস্তারিত জানতে চাই। আবদুল্লাহ কামিল, ঢাকা
উত্তর: বাবা-মায়ের সেবা করা, ভাইবোনের দেখাশোনা করা এবং আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যক্তির অন্যতম দায়িত্ব। তবে স্ত্রীর থাকার ঘর ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও একজন স্বামীর অন্যতম দায়িত্ব। তাই বিয়ের আগেই তার জন্য আলাদা ঘর বা কক্ষ তৈরি করতে হবে অথবা বাসা ভাড়া নিতে হবে। বিয়ের পর স্বাভাবিক অবস্থায় স্ত্রী স্বামীর ঘরেই থাকবে, স্ত্রীর বাবার বাড়িতে নয়। এটাই ইসলামের নির্দেশ। ওমর (রা.)-এর শাসনামলে এক ব্যক্তি বিয়ে করার সময় স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে দেওয়ার শর্তারোপ করে। তখন ওমর (রা.) সেই শর্ত নাকচ করে বললেন, ‘স্ত্রী স্বামীর ঘরেই থাকবে।’ (কানজুল উম্মাল)
স্বামীর দায়িত্ব হচ্ছে, স্ত্রীর জন্য উপযুক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, যেখানে সে স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারবে এবং স্বাভাবিক চলাফেরার সময় গাইরে মাহরাম পুরুষের চোখের সামনে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। (আল মুগনি)
যৌথ পরিবারে থাকতে যদি স্ত্রীর কষ্ট হয়, তার স্বাধীনতা বিঘ্নিত হয় বা পর্দার বিধান লঙ্ঘিত হয়, তাহলে স্ত্রীকে যৌথ পরিবারে রাখা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে যৌথ পরিবারে থাকতে বাধ্য করা জুলুম। যৌথ পরিবারে স্ত্রীর কষ্ট হচ্ছে কি হচ্ছে না, তা যাচাই করার জন্য স্ত্রীর মতামতই যথেষ্ট। অন্য কোনো প্রমাণের প্রয়োজন নেই। (বাদায়ে আস-সানায়ে)
সুতরাং স্ত্রী যদি যৌথ পরিবারে থাকতে না চায়, তাহলে অবশ্যই তার জন্য স্বতন্ত্র আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশিষ্ট ফকিহ কাসানি (রহ.) বলেন, ‘যদি স্বামী তার স্ত্রীকে সতিন, সতিনের ছেলেমেয়ে, দেবর, শাশুড়ি, ননদ ও অন্যান্য আত্মীয়ের সঙ্গে এক ঘরে রাখতে চায়, আর স্ত্রী তাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তাহলে তার জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা আবশ্যক। (বাদায়ে আস-সানায়ে)
হাসকাফি (রহ.) বলেন, ‘একইভাবে স্ত্রীর জন্য স্বামীর সাধ্য অনুযায়ী স্বতন্ত্র বাসস্থানের ব্যবস্থা করা ওয়াজিব। (দুররুল মুখতার) তবে স্বামী যদি অসচ্ছল হয়, স্বতন্ত্র থাকার ব্যবস্থা করা যদি তার পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহলে স্ত্রী স্বামীর কাছে স্বতন্ত্র ঘর দাবি না করে ধৈর্য ধারণ করবে। (মাতালিবু উলিন নুহা)
স্বতন্ত্র আবাসস্থল বলতে স্বামীর পৈতৃক ভিটা থেকে দূরে গিয়ে নতুন ঘর নির্মাণ করতে হবে অথবা ভাড়া বাসায় চলে যেতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। পৈতৃক বাড়িতেই স্ত্রীর জন্য স্বতন্ত্র থাকার ঘর, রান্নাঘর ও বাথরুমের ব্যবস্থা করে দিলেই যথেষ্ট। এটুকু পাওয়ার পর অন্য বাড়ির দাবি করা অথবা পৈতৃক ভিটা ছেড়ে শহরে বা অন্য কোথাও চলে যাওয়ার দাবি করার অধিকার স্ত্রীর নেই। (মাজমাউল আনহুর)
কাসানি (রহ.) বলেন, ‘যদি স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে বড় ঘরের একটি কক্ষে থাকে এবং স্ত্রীর মৌলিক প্রয়োজন এককভাবে পূরণ করার ব্যবস্থা করে দেয়, তখন স্বামীর কাছে আলাদা ঘর দাবি করার অধিকার স্ত্রীর নেই।’ (বাদায়িয়ুস সানায়ি)
হাসকাফি (রহ.) বলেন, ‘বড় ঘরের একটি অংশে স্ত্রীকে রেখে তার জন্য আলাদা বাথরুম ও রান্নাঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া যথেষ্ট।’ এর টীকায় ইবনে আবেদিন (রহ.) বলেন, ‘রান্নাঘর ও বাথরুম স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ঘরের ভেতরে হতে হবে অথবা বাইরে হলেও তাতে অন্য কারও অংশীদারত্ব থাকা যাবে না।’ (রদ্দুল মুহতার) তবে স্ত্রীকে আলাদা ঘরে রাখলেও পরিবারের অন্য সদস্যের প্রতি কর্তব্য পালন করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা করা যাবে না; বিশেষ করে মা-বাবার সেবায় কার্পণ্য করা কোনোভাবেই ইসলাম অনুমোদন করে না।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

আমাদের সমাজে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে থাকাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়। পৃথক হয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করাকে নিন্দাযোগ্য মনে করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ আছে? স্ত্রীকে কেমন ঘরে রাখার কথা বলে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে