Ajker Patrika

ইসলামে হিজড়াদের অধিকার ও বিধান

মুফতি আবু দারদা
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২: ২৪
ইসলামে হিজড়াদের অধিকার ও বিধান

ইসলাম সব ধরনের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। লৈঙ্গিক সমস্যার কারণে আমাদের সমাজে যারা হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত, তাদের অধিকার ও বিধিবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামি শরিয়তে। তাদের একঘরে করা বা সমাজচ্যুত করা ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত। তবে যাদের লৈঙ্গিক সমস্যা নেই, এমন কোনো নারী বা পুরুষের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তন করে বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় গ্রহণ করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা এসেছে।

হিজড়াদের সম্পর্কে শরিয়তের বিধান
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ মৌলিকভাবে দুই ধরনের—পুরুষ ও নারী। হিজড়াদের ইসলাম আলাদা মানব শ্রেণি হিসেবে বিবেচনা করে না। বরং তারা নারী বা পুরুষ শ্রেণিরই অন্তর্ভুক্ত। বিধানের দিক থেকে হিজড়া তিন ধরনের হয়ে থাকে।

এক. পুরুষ হিজড়া: যাদের মধ্যে পুরুষ হওয়ার প্রবণতাই প্রবল। যেমন পুরুষাঙ্গ আছে, দাড়ি-গোঁফ আছে, স্বপ্নদোষ হয়, যৌনমিলনের সক্ষমতা আছে ইত্যাদি। এ শ্রেণির মানুষের নারীসুলভ কিছু লক্ষণ দেখা গেলেও পুরুষই গণ্য করা হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে পুরুষদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে নারীত্বের ছাপ দূর করাও যাবে।

দুই. নারী হিজড়া: যাদের মধ্যে নারী হওয়ার আলামতই প্রবল। যেমন তাদের ঋতুস্রাব হয়, যোনি থাকে, গর্ভে সন্তান আসে ইত্যাদি। এদের মধ্যে পুরুষসুলভ কোনো আলামত দেখা গেলেও প্রবলতার বিবেচনায় তারা নারী হিসেবেই গণ্য হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে নারীদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এদের জন্য পুরুষত্বের ছাপ দূর করে ফেলা ইসলামে বৈধ।

তিন. জটিল হিজড়া: যাদের সুনির্দিষ্টভাবে পুরুষ বা নারীর কোনো একটি শ্রেণিতে ফেলা যায় না। তাদের মধ্যে উভয় ধরনের লক্ষণই সমানভাবে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেন আলিমগণ। যেমন ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে তাদের নারীদের মতো ইবাদত সম্পাদন করতে হয়। হজের সময় নারীদের মতো ইহরাম পরতে হয়। তাদের ওপর জুমা ফরজ হয় না। গাইরে মাহরাম পুরুষদের সঙ্গে পর্দা করতে হয়। ইত্যাদি। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি) 

হিজড়াদের মানবাধিকার
হিজড়ারা আমাদের সমাজের বাইরের কেউ নয়। তাদের সব মানবিক অধিকার রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। তাদের সমাজচ্যুত করা ইসলাম অনুমোদন করে না। তাদের মধ্যে যাদের ওপরে উল্লিখিত ইসলামের নীতি অনুসারে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা পুরুষ হিসেবেই সমাজে পরিচিত হবে এবং যাদের নারী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা নারী হিসেবে সমাজে পরিচিত হবে। সম্পদের উত্তরাধিকার থেকে শুরু করে সব মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে এই নীতি অনুসৃত হবে। তবে জটিল হিজড়াদের ক্ষেত্রে যেহেতু লিঙ্গ নির্ধারণ জটিল হয়ে যায়, তাই তাদের সম্পদের উত্তরাধিকারে তুলনামূলক কম অংশটি দেওয়া হবে। অর্থাৎ তাকে পুরুষ ধরা হলে যদি তার অংশ বেশি হয়, তবে তাকে নারী ধরে হিসাব করতে হবে। পক্ষান্তরে যদি নারী হিসাব করলে তার অংশ বেশি হয়ে যায়, তবে তাকে পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করে সম্পদ ভাগ করতে হবে। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)

হিজড়া হওয়া যেহেতু এক ধরনের প্রতিবন্ধিত্ব ও শারীরিক জটিলতা, তাই এর চিকিৎসা করানো সব অভিভাবকের কর্তব্য। কারণ, সন্তান যেমনই হোক, তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করা ইসলামে বৈধ নয়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সন্তানদের মধ্যে সমতা বজায় রাখো।’ (বুখারি ও মুসলিম) বিশেষ করে এই শ্রেণির মানুষের চিকিৎসা করিয়ে তাদের মূলধারায় যুক্ত করা, বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা এবং অন্য প্রতিবন্ধীদের মতো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। 

হিজড়াদের ভরণপোষণের দায়িত্ব
হিজড়ারা নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সদস্য। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকেরা তাদের ভরণপোষণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আদালত তাঁদের বাধ্য করবেন। আর অভিভাবক অক্ষম হলে আদালত তাঁর জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা বরাদ্দ করার নির্দেশ দেবেন। (ফাতাওয়া আলমগিরি) আর হিজড়াদের যখন উপার্জন করার শক্তি ও সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন নিজেই নিজের খরচ বহন করবে। কোনো ধরনের অনৈতিক কাজ, চাঁদাবাজি, মানুষকে হয়রানি ও অসম্মান করার অধিকার তাদের থাকবে না। হিজড়াদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে রাষ্ট্রের আন্তরিক হবে হবে। উপার্জনক্ষম হিজড়াদের জন্য বৈষম্যহীন কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপ মতে, বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার। সরকার চাইলেই তাদের মধ্যে যারা উপার্জনক্ষম, তাদের কর্মসংস্থান এবং অক্ষমদের জন্য যথাযথ ভাতার ব্যবস্থা করতে পারে এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ঘিরে গড়ে ওঠা বিশাল নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারে। 

ইসলামের আলোকে লিঙ্গ রূপান্তর
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত লিঙ্গ রূপান্তরবাদের সারকথা হলো, কোনো পুরুষের যদি নিজেকে নারী বলে মনে হয়, তাহলে সে একজন নারী। সমাজ ও আইন তাকে নারী বলেই বিবেচনা করবে। একইভাবে কোনো নারীরও যদি নিজেকে পুরুষ মনে হয়, তাহলে সে পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং তারা চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামে অনুমোদিত নয়। লিঙ্গ রূপান্তরকামীদের অনেকে মূলত সম্পূর্ণরূপে পুরুষ বা নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং পরে ওই লিঙ্গের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এটি ইসলামে দেহ বিকৃতির শামিল, সব মাজহাবের আলিমদের মতে এটি হারাম ও কবিরা গুনাহ। হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষদের এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের অভিসম্পাত করেছেন। (বুখারি: ৫৮৮৫) 

লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজানের আগে নামাজ আদায় করা যাবে কি

ইসলাম ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)

নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)

প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৫ মিনিট
ফজর০৫: ১৬ মিনিট০৬: ৩৬ মিনিট
জোহর১১: ৫৮ মিনিট০৩: ৪১ মিনিট
আসর০৩: ৪২ মিনিট০৫: ১৭ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
এশা০৬: ৩৮ মিনিট০৫: ১৫ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রস্রাবের চাপ নিয়ে নামাজ আদায়ের বিধান

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৭
নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: সংগৃহীত
নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: সংগৃহীত

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—

চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।

হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)

নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৫ মিনিট
ফজর০৫: ১৬ মিনিট০৬: ৩৬ মিনিট
জোহর১১: ৫৮ মিনিট০৩: ৪০ মিনিট
আসর০৩: ৪১ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৮ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
এশা০৬: ৩৮ মিনিট০৫: ১৫ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত