মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মানবসভ্যতার ইতিহাসে ভ্রমণ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ শুধু অজানা স্থান অন্বেষণ করে না; বরং জ্ঞানার্জন, সংস্কৃতির সংযোগ ও ঐতিহ্য বিস্তারে অবদান রাখে। ইসলামি সভ্যতার বিস্তারে ভ্রমণকারীদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইতিহাসের পাতায় কয়েকজন মুসলিম পরিব্রাজক রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞানের দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। এখানে ৫ কিংবদন্তি পরিব্রাজকের কথা তুলে ধরা হলো—

মুহাম্মদ আসাদ
মুহাম্মদ আসাদ ছিলেন একজন ইহুদি সাংবাদিক, যিনি ইসলাম গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। তাঁর জন্ম ১৯০০ সালে, অস্ট্রিয়ার লেমবার্গ শহরে। ইসলাম গ্রহণের আগে তিনি লিওপোল্ড ওয়েইস নামে পরিচিত ছিলেন। ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর তিনি মুসলিম জীবনধারা ও সমাজ সম্পর্কে গভীর আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি লিখেছেন বিখ্যাত গ্রন্থ ‘দ্য রোড টু মক্কা’। বইটি শুধু তাঁর ভ্রমণকাহিনি নয়, এটি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ইসলামের গভীর তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেয়। মুহাম্মদ আসাদ পাকিস্তানের সাংবিধানিক কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করেন এবং পাকিস্তানের প্রথম পররাষ্ট্রনীতি তৈরিতে ভূমিকা রাখেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, ভ্রমণ শুধু অভিজ্ঞতা নয়, এটি বৃহত্তর মানবিক সংযোগের মাধ্যম।

এভলিয়া চেলেবি
এভলিয়া চেলেবি ছিলেন ১৭ শতকের অটোমান সাম্রাজ্যের একজন বিখ্যাত পরিব্রাজক ও লেখক। জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করে কাটিয়েছেন। তাঁর অসামান্য কাজ ‘সেয়াহাতনামা’ ভ্রমণসাহিত্যের অনন্য নিদর্শন। বইটিতে তিনি শুধু উসমানি সাম্রাজ্যের ভূগোল বর্ণনা করেননি; বরং স্থানীয় মানুষের জীবনধারা, উৎসব, ঐতিহ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। তাঁর রচনাগুলো শুধু ঐতিহাসিক তথ্যের উৎস নয়, বরং জীবন্ত বর্ণনামূলক সাহিত্যের উদাহরণ। এভলিয়া চেলেবির রচনায় হাস্যরস ও বাস্তব অভিজ্ঞতা পাঠকদের জন্য এই গ্রন্থকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করেছে।

ইবনে ফাদলান
দশম শতকের আরব পরিব্রাজক ইবনে ফাদলান ছিলেন আব্বাসীয় খলিফার একজন প্রতিনিধি। ৯২২ সালে তিনি উত্তর ইউরোপে ভলগা বুলগারদের অঞ্চলে কূটনৈতিক মিশনে যান। তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে ভাইকিং সভ্যতার বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়। ইবনে ফাদলানের লেখা প্রাচীন স্ক্যান্ডিনেভীয় সংস্কৃতির ওপর আলোকপাত করে। তিনি বুলগার, তুর্কি ও ভাইকিংদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক নিয়মাবলি এবং অর্থনৈতিক জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন। এ বিবরণ শুধু ইসলামি বিশ্ব নয়, ইউরোপীয় ইতিহাস গবেষকদের জন্য অমূল্য উৎস।

ইবনে বতুতা
বিশ্বের অন্যতম মহান পরিব্রাজক ইবনে বতুতা ১৩০৪ সালে মরক্কোর তাঞ্জিয়ার শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হজ পালনের জন্য ১৩২৫ সালে ভ্রমণ শুরু করেন। কিন্তু তাঁর এই যাত্রা হজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। এরপর প্রায় ৩০ বছরে তিনি আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভারতীয় উপমহাদেশ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীন ভ্রমণ করেন। ইবনে বতুতার ভ্রমণকাহিনি ‘রিহলা’ একটি জীবনী নয়, এটি মধ্যযুগীয় মুসলিম বিশ্বের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার দলিল। তিনি তাঁর ভ্রমণকালে বিভিন্ন রাজা, শাসক এবং ধর্মীয় পণ্ডিতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁর ভ্রমণকাহিনি থেকে আমরা মুসলিম সভ্যতার বিস্তৃতি ও বৈচিত্র্যের কথা জানতে পারি।

ইবনে খালদুন
ইবনে খালদুন ছিলেন একজন দার্শনিক, ঐতিহাসিক ও পরিব্রাজক। ১৩৩২ সালে উত্তর আফ্রিকার তিউনিসিয়ায় জন্মগ্রহণ করা এই মহান মনীষী ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন। তাঁর রচিত ‘মুকাদ্দিমা’ গ্রন্থে তিনি মানবসভ্যতার বিবর্তন, সংস্কৃতি ও সমাজকাঠামোর বিশ্লেষণ করেছেন। ইবনে খালদুন বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি সভ্যতার একটি নির্দিষ্ট জীবনচক্র রয়েছে। তিনি বিভিন্ন অঞ্চল ও সভ্যতা ভ্রমণ করে তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করেন। তাঁর এই গবেষণা আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

মানবসভ্যতার ইতিহাসে ভ্রমণ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ শুধু অজানা স্থান অন্বেষণ করে না; বরং জ্ঞানার্জন, সংস্কৃতির সংযোগ ও ঐতিহ্য বিস্তারে অবদান রাখে। ইসলামি সভ্যতার বিস্তারে ভ্রমণকারীদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইতিহাসের পাতায় কয়েকজন মুসলিম পরিব্রাজক রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞানের দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। এখানে ৫ কিংবদন্তি পরিব্রাজকের কথা তুলে ধরা হলো—

মুহাম্মদ আসাদ
মুহাম্মদ আসাদ ছিলেন একজন ইহুদি সাংবাদিক, যিনি ইসলাম গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। তাঁর জন্ম ১৯০০ সালে, অস্ট্রিয়ার লেমবার্গ শহরে। ইসলাম গ্রহণের আগে তিনি লিওপোল্ড ওয়েইস নামে পরিচিত ছিলেন। ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর তিনি মুসলিম জীবনধারা ও সমাজ সম্পর্কে গভীর আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি লিখেছেন বিখ্যাত গ্রন্থ ‘দ্য রোড টু মক্কা’। বইটি শুধু তাঁর ভ্রমণকাহিনি নয়, এটি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ইসলামের গভীর তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেয়। মুহাম্মদ আসাদ পাকিস্তানের সাংবিধানিক কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করেন এবং পাকিস্তানের প্রথম পররাষ্ট্রনীতি তৈরিতে ভূমিকা রাখেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, ভ্রমণ শুধু অভিজ্ঞতা নয়, এটি বৃহত্তর মানবিক সংযোগের মাধ্যম।

এভলিয়া চেলেবি
এভলিয়া চেলেবি ছিলেন ১৭ শতকের অটোমান সাম্রাজ্যের একজন বিখ্যাত পরিব্রাজক ও লেখক। জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করে কাটিয়েছেন। তাঁর অসামান্য কাজ ‘সেয়াহাতনামা’ ভ্রমণসাহিত্যের অনন্য নিদর্শন। বইটিতে তিনি শুধু উসমানি সাম্রাজ্যের ভূগোল বর্ণনা করেননি; বরং স্থানীয় মানুষের জীবনধারা, উৎসব, ঐতিহ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। তাঁর রচনাগুলো শুধু ঐতিহাসিক তথ্যের উৎস নয়, বরং জীবন্ত বর্ণনামূলক সাহিত্যের উদাহরণ। এভলিয়া চেলেবির রচনায় হাস্যরস ও বাস্তব অভিজ্ঞতা পাঠকদের জন্য এই গ্রন্থকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করেছে।

ইবনে ফাদলান
দশম শতকের আরব পরিব্রাজক ইবনে ফাদলান ছিলেন আব্বাসীয় খলিফার একজন প্রতিনিধি। ৯২২ সালে তিনি উত্তর ইউরোপে ভলগা বুলগারদের অঞ্চলে কূটনৈতিক মিশনে যান। তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে ভাইকিং সভ্যতার বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়। ইবনে ফাদলানের লেখা প্রাচীন স্ক্যান্ডিনেভীয় সংস্কৃতির ওপর আলোকপাত করে। তিনি বুলগার, তুর্কি ও ভাইকিংদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক নিয়মাবলি এবং অর্থনৈতিক জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন। এ বিবরণ শুধু ইসলামি বিশ্ব নয়, ইউরোপীয় ইতিহাস গবেষকদের জন্য অমূল্য উৎস।

ইবনে বতুতা
বিশ্বের অন্যতম মহান পরিব্রাজক ইবনে বতুতা ১৩০৪ সালে মরক্কোর তাঞ্জিয়ার শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হজ পালনের জন্য ১৩২৫ সালে ভ্রমণ শুরু করেন। কিন্তু তাঁর এই যাত্রা হজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। এরপর প্রায় ৩০ বছরে তিনি আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভারতীয় উপমহাদেশ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীন ভ্রমণ করেন। ইবনে বতুতার ভ্রমণকাহিনি ‘রিহলা’ একটি জীবনী নয়, এটি মধ্যযুগীয় মুসলিম বিশ্বের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার দলিল। তিনি তাঁর ভ্রমণকালে বিভিন্ন রাজা, শাসক এবং ধর্মীয় পণ্ডিতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁর ভ্রমণকাহিনি থেকে আমরা মুসলিম সভ্যতার বিস্তৃতি ও বৈচিত্র্যের কথা জানতে পারি।

ইবনে খালদুন
ইবনে খালদুন ছিলেন একজন দার্শনিক, ঐতিহাসিক ও পরিব্রাজক। ১৩৩২ সালে উত্তর আফ্রিকার তিউনিসিয়ায় জন্মগ্রহণ করা এই মহান মনীষী ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন। তাঁর রচিত ‘মুকাদ্দিমা’ গ্রন্থে তিনি মানবসভ্যতার বিবর্তন, সংস্কৃতি ও সমাজকাঠামোর বিশ্লেষণ করেছেন। ইবনে খালদুন বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি সভ্যতার একটি নির্দিষ্ট জীবনচক্র রয়েছে। তিনি বিভিন্ন অঞ্চল ও সভ্যতা ভ্রমণ করে তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করেন। তাঁর এই গবেষণা আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানবসভ্যতার ইতিহাসে ভ্রমণ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ শুধু অজানা স্থান অন্বেষণ করে না; বরং জ্ঞানার্জন, সংস্কৃতির সংযোগ ও ঐতিহ্য বিস্তারে অবদান রাখে। ইসলামি সভ্যতার বিস্তারে ভ্রমণকারীদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইতিহাসের পাতায় কয়েকজন মুসলিম পরিব্রাজক রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের ভ্
২৯ নভেম্বর ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

মানবসভ্যতার ইতিহাসে ভ্রমণ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ শুধু অজানা স্থান অন্বেষণ করে না; বরং জ্ঞানার্জন, সংস্কৃতির সংযোগ ও ঐতিহ্য বিস্তারে অবদান রাখে। ইসলামি সভ্যতার বিস্তারে ভ্রমণকারীদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইতিহাসের পাতায় কয়েকজন মুসলিম পরিব্রাজক রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের ভ্
২৯ নভেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

মানবসভ্যতার ইতিহাসে ভ্রমণ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ শুধু অজানা স্থান অন্বেষণ করে না; বরং জ্ঞানার্জন, সংস্কৃতির সংযোগ ও ঐতিহ্য বিস্তারে অবদান রাখে। ইসলামি সভ্যতার বিস্তারে ভ্রমণকারীদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইতিহাসের পাতায় কয়েকজন মুসলিম পরিব্রাজক রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের ভ্
২৯ নভেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানবসভ্যতার ইতিহাসে ভ্রমণ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ শুধু অজানা স্থান অন্বেষণ করে না; বরং জ্ঞানার্জন, সংস্কৃতির সংযোগ ও ঐতিহ্য বিস্তারে অবদান রাখে। ইসলামি সভ্যতার বিস্তারে ভ্রমণকারীদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইতিহাসের পাতায় কয়েকজন মুসলিম পরিব্রাজক রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের ভ্
২৯ নভেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ঘণ্টা আগে