কাউসার লাবীব

আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম ইতিকাফ। ইতিকাফের মাধ্যমে আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। দুনিয়ার মোহ দূর হয় হৃদয় থেকে। ইতিকাফের দিনগুলিতে মুমিন বান্দা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইবাদতে নিবেদিত করে। বিশেষ করে রমজানে এই ইবাদতের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর সন্ধান করার সুযোগ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগ থেকেই এ ধারা চলে আসছে। তাই একান্ত জরুরি কোনো ব্যস্ততা না থাকলে রমজানের শেষ দশক ইতিকাফে কাটানোই উত্তম।
ইতিকাফ কী
আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
ইতিকাফ আগেকার নবীদের সময় থেকেই চলে আসছে। পবিত্র কোরআনে এ কথার উল্লেখ আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সব লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)
ইতিকাফের প্রকার ও বিধান
ইতিকাফ তিন প্রকার:
এক. সুন্নত: রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ।
দুই. নফল: যেকোনো সময়ের ইতিকাফ।
তিন. ওয়াজিব: মান্নতের ইতিকাফ।
তিন প্রকারের যেকোনো ইতিকাফ পুরুষের জন্য শুধু মসজিদে করার সুযোগ আছে। তবে নারীরা ঘরে নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবে। রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজানের সূর্যাস্ত থেকে ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়া বা ৩০ রমজান পূর্ণ হয়ে ওই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই কোনো মসজিদ মহল্লায় কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর কেউই ইতিকাফ না করলে সুন্নতে মুয়াক্কাদা পরিত্যাগ করার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি বা যারা আদায় করবেন, শুধু তিনি বা তারাই সওয়াব পাবেন।
মনে রাখার বিষয় হলো, ইতিকাফের জন্য নিয়ত করা আবশ্যক। নিয়ত ছাড়া ইতিকাফ শুদ্ধ হয় না। নিয়ত মনে মনে করলেই হয়ে যাবে। মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা আবশ্যক নয়।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ
ইতিকাফের সময় একজন ব্যক্তি সমাজের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করেন। তাই এর মাধ্যমে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে ইসলামে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ খুব গুরুত্ব বহন করে।
রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফকে হজরত নবী করিম (সা.) গুরুত্বের সঙ্গে দেখতেন। সাহাবায়ে কেরামও আমলটিকে খুব গুরুত্ব দিতেন। এমনকি নবীপত্নীগণও ইতিকাফ করতে ভুলতেন না।
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন। (বুখারি: ২০২৬)
ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, ‘অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছাড়েননি।’ (ফাতহুল বারি: ৪ / ২৮৫)
ইতিকাফের প্রস্তুতি
ইতিকাফের সময় শুধু আল্লাহর ইবাদতেই মশগুল থাকতে হবে। ইতিকাফের সময় সুস্থ থাকাও প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। তাছাড়া ইতিকাফের সময় প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসের কারণে যেন ইবাদতে মনোযোগ নষ্ট না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় আসবাবগুলো আগে থেকেই সঙ্গে নিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। যেমন বিছানাপত্র, পরিধেয় কাপড়, টয়লেট টিস্যু, সাবান-শ্যাম্পু, পানি পানের পাত্র, প্লেট-বাটি, মূল্যবান জিনিস সংরক্ষণের জন্য তালা দেওয়া যায়—এমন ব্যাগ বা লাগেজ ইত্যাদি। পাশাপাশি সঙ্গে কিছু ধর্মীয় বইও রাখা যেতে পারে।
ইতিকাফের আমল
ইতিকাফ হতে হবে আমলে ভরপুর। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কাজেই ইতিকাফের সময়গুলো ব্যয় করা প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে ব্যক্তিগত বা সাংসারিক ব্যস্ততাগুলো শেষ করা উচিত, যেন ইতিকাফে অন্যমনষ্ক হতে না হয়। দুনিয়াবি কোনো ব্যস্ততা বা কাজ যেন ইতিকাফে না হয়, সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, ধর্মীয় বই পাঠ, দোয়া-ইস্তিগফার, জিকির ও তাসবিহে কাটাতে হবে পুরোটা সময়।
সর্বোপরি দুনিয়াবি চিন্তা, কাজ-কর্ম থেকে বিরত থেকে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও লাইলাতুল কদর পেতে ইবাদাত-বন্দেগিতে মশগুল থাকাই ইতিকাফের মূল লক্ষ্য।
রমজানের প্রকৃত সফলতা অর্জনে যেসব ইবাদতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়—ইতিকাফ তার মধ্যে অন্যতম। আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং দুনিয়ার মোহ থেকে দূরে থাকার এক অনন্য মাধ্যম ধরা হয় ইতিকাফকে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ইতিকাফের বিষয়গুলো জেনে-বুঝে যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন।

আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম ইতিকাফ। ইতিকাফের মাধ্যমে আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। দুনিয়ার মোহ দূর হয় হৃদয় থেকে। ইতিকাফের দিনগুলিতে মুমিন বান্দা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইবাদতে নিবেদিত করে। বিশেষ করে রমজানে এই ইবাদতের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর সন্ধান করার সুযোগ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগ থেকেই এ ধারা চলে আসছে। তাই একান্ত জরুরি কোনো ব্যস্ততা না থাকলে রমজানের শেষ দশক ইতিকাফে কাটানোই উত্তম।
ইতিকাফ কী
আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
ইতিকাফ আগেকার নবীদের সময় থেকেই চলে আসছে। পবিত্র কোরআনে এ কথার উল্লেখ আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সব লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)
ইতিকাফের প্রকার ও বিধান
ইতিকাফ তিন প্রকার:
এক. সুন্নত: রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ।
দুই. নফল: যেকোনো সময়ের ইতিকাফ।
তিন. ওয়াজিব: মান্নতের ইতিকাফ।
তিন প্রকারের যেকোনো ইতিকাফ পুরুষের জন্য শুধু মসজিদে করার সুযোগ আছে। তবে নারীরা ঘরে নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবে। রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজানের সূর্যাস্ত থেকে ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়া বা ৩০ রমজান পূর্ণ হয়ে ওই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই কোনো মসজিদ মহল্লায় কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর কেউই ইতিকাফ না করলে সুন্নতে মুয়াক্কাদা পরিত্যাগ করার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি বা যারা আদায় করবেন, শুধু তিনি বা তারাই সওয়াব পাবেন।
মনে রাখার বিষয় হলো, ইতিকাফের জন্য নিয়ত করা আবশ্যক। নিয়ত ছাড়া ইতিকাফ শুদ্ধ হয় না। নিয়ত মনে মনে করলেই হয়ে যাবে। মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা আবশ্যক নয়।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ
ইতিকাফের সময় একজন ব্যক্তি সমাজের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করেন। তাই এর মাধ্যমে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে ইসলামে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ খুব গুরুত্ব বহন করে।
রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফকে হজরত নবী করিম (সা.) গুরুত্বের সঙ্গে দেখতেন। সাহাবায়ে কেরামও আমলটিকে খুব গুরুত্ব দিতেন। এমনকি নবীপত্নীগণও ইতিকাফ করতে ভুলতেন না।
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন। (বুখারি: ২০২৬)
ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, ‘অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছাড়েননি।’ (ফাতহুল বারি: ৪ / ২৮৫)
ইতিকাফের প্রস্তুতি
ইতিকাফের সময় শুধু আল্লাহর ইবাদতেই মশগুল থাকতে হবে। ইতিকাফের সময় সুস্থ থাকাও প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। তাছাড়া ইতিকাফের সময় প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসের কারণে যেন ইবাদতে মনোযোগ নষ্ট না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় আসবাবগুলো আগে থেকেই সঙ্গে নিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। যেমন বিছানাপত্র, পরিধেয় কাপড়, টয়লেট টিস্যু, সাবান-শ্যাম্পু, পানি পানের পাত্র, প্লেট-বাটি, মূল্যবান জিনিস সংরক্ষণের জন্য তালা দেওয়া যায়—এমন ব্যাগ বা লাগেজ ইত্যাদি। পাশাপাশি সঙ্গে কিছু ধর্মীয় বইও রাখা যেতে পারে।
ইতিকাফের আমল
ইতিকাফ হতে হবে আমলে ভরপুর। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কাজেই ইতিকাফের সময়গুলো ব্যয় করা প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে ব্যক্তিগত বা সাংসারিক ব্যস্ততাগুলো শেষ করা উচিত, যেন ইতিকাফে অন্যমনষ্ক হতে না হয়। দুনিয়াবি কোনো ব্যস্ততা বা কাজ যেন ইতিকাফে না হয়, সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, ধর্মীয় বই পাঠ, দোয়া-ইস্তিগফার, জিকির ও তাসবিহে কাটাতে হবে পুরোটা সময়।
সর্বোপরি দুনিয়াবি চিন্তা, কাজ-কর্ম থেকে বিরত থেকে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও লাইলাতুল কদর পেতে ইবাদাত-বন্দেগিতে মশগুল থাকাই ইতিকাফের মূল লক্ষ্য।
রমজানের প্রকৃত সফলতা অর্জনে যেসব ইবাদতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়—ইতিকাফ তার মধ্যে অন্যতম। আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং দুনিয়ার মোহ থেকে দূরে থাকার এক অনন্য মাধ্যম ধরা হয় ইতিকাফকে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ইতিকাফের বিষয়গুলো জেনে-বুঝে যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
১৯ মার্চ ২০২৫
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
১৯ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
১৯ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
১৯ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে