মুফতি ইশমাম আহমেদ

প্রশ্ন: শীতকালে অনেককে অজুর সময় পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করতে দেখি, এটি কি ইসলামসম্মত? কখন, কীভাবে তা পরিধান করলে মাসেহ করা যাবে? কীভাবে মাসেহ করতে হয়—বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, রাজশাহী
উত্তর: মোজার ওপর মাসেহ করা অজুতে পা ধোয়ার বিকল্প। এটি ইসলামে অনুমোদিত। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যেমন—চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে। পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে। মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে। ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে। ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে। মোজাগুলো পরে জুতা ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতে হবে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
মাসেহ কখন করা যাবে: বছরের যেকোনো সময় মোজার ওপর মাসেহ করা যাবে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মোজার ওপর মাসেহ করার সময় মুসাফিরের জন্য তিন দিন, তিন রাত এবং মুকিমের জন্য এক দিন, এক রাত।’ (আবু দাউদ) অর্থাৎ, ইসলামের দৃষ্টিতে যিনি মুসাফির, তিনি তিন দিন, তিন রাত একটানা মাসেহ করতে পারবেন। সময়টি শুরু হবে মোজা পরার পর যখন প্রথম অজু ভাঙবে, তখন থেকে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা) কেউ বাড়িতে অবস্থান করা অবস্থায় মাসেহ করার পর মুসাফির হয়ে গেলে মুসাফিরের সময়সীমা পূর্ণ করবে।
একইভাবে মুসাফির মাসেহ শুরু করার পর মুকিম হয়ে গেলে মুকিমের মেয়াদ পূরণ করবে। (আবু দাউদ)
মাসেহ কীভাবে করবেন: হাতের ছোট তিন আঙুলের সমান পায়ের ওপরের অংশ মাসেহ করা ফরজ। (আবু দাউদ) আর পায়ের আঙুলের মাথা থেকে হাতের আঙুলগুলো প্রশস্ত করে টাখনু পর্যন্ত মাসেহ করা সুন্নত। (কিতাবুল আসার)
মাসেহ কখন ভেঙে যায়: যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়, সেই সব কারণে মাসেহও ভেঙে যায়। মোজা খোলার কারণে মাসেহ ভেঙে যায়। মোজা পায়ের টাখনুসহ বেশির ভাগ অংশ বের হয়ে গেলে মাসেহ ভেঙে যায়। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাধ্যমে মাসেহ ভেঙে যায়। উভয় মোজার কোনো একটির বেশির ভাগ অংশে পানি ঢুকলে মাসেহ ভেঙে যায়। (তিরমিজি, বাদায়েউস সানায়ে, মুআত্তা মুহাম্মদ)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

প্রশ্ন: শীতকালে অনেককে অজুর সময় পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করতে দেখি, এটি কি ইসলামসম্মত? কখন, কীভাবে তা পরিধান করলে মাসেহ করা যাবে? কীভাবে মাসেহ করতে হয়—বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, রাজশাহী
উত্তর: মোজার ওপর মাসেহ করা অজুতে পা ধোয়ার বিকল্প। এটি ইসলামে অনুমোদিত। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যেমন—চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে। পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে। মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে। ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে। ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে। মোজাগুলো পরে জুতা ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতে হবে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
মাসেহ কখন করা যাবে: বছরের যেকোনো সময় মোজার ওপর মাসেহ করা যাবে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মোজার ওপর মাসেহ করার সময় মুসাফিরের জন্য তিন দিন, তিন রাত এবং মুকিমের জন্য এক দিন, এক রাত।’ (আবু দাউদ) অর্থাৎ, ইসলামের দৃষ্টিতে যিনি মুসাফির, তিনি তিন দিন, তিন রাত একটানা মাসেহ করতে পারবেন। সময়টি শুরু হবে মোজা পরার পর যখন প্রথম অজু ভাঙবে, তখন থেকে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা) কেউ বাড়িতে অবস্থান করা অবস্থায় মাসেহ করার পর মুসাফির হয়ে গেলে মুসাফিরের সময়সীমা পূর্ণ করবে।
একইভাবে মুসাফির মাসেহ শুরু করার পর মুকিম হয়ে গেলে মুকিমের মেয়াদ পূরণ করবে। (আবু দাউদ)
মাসেহ কীভাবে করবেন: হাতের ছোট তিন আঙুলের সমান পায়ের ওপরের অংশ মাসেহ করা ফরজ। (আবু দাউদ) আর পায়ের আঙুলের মাথা থেকে হাতের আঙুলগুলো প্রশস্ত করে টাখনু পর্যন্ত মাসেহ করা সুন্নত। (কিতাবুল আসার)
মাসেহ কখন ভেঙে যায়: যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়, সেই সব কারণে মাসেহও ভেঙে যায়। মোজা খোলার কারণে মাসেহ ভেঙে যায়। মোজা পায়ের টাখনুসহ বেশির ভাগ অংশ বের হয়ে গেলে মাসেহ ভেঙে যায়। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাধ্যমে মাসেহ ভেঙে যায়। উভয় মোজার কোনো একটির বেশির ভাগ অংশে পানি ঢুকলে মাসেহ ভেঙে যায়। (তিরমিজি, বাদায়েউস সানায়ে, মুআত্তা মুহাম্মদ)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
মুফতি ইশমাম আহমেদ

প্রশ্ন: শীতকালে অনেককে অজুর সময় পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করতে দেখি, এটি কি ইসলামসম্মত? কখন, কীভাবে তা পরিধান করলে মাসেহ করা যাবে? কীভাবে মাসেহ করতে হয়—বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, রাজশাহী
উত্তর: মোজার ওপর মাসেহ করা অজুতে পা ধোয়ার বিকল্প। এটি ইসলামে অনুমোদিত। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যেমন—চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে। পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে। মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে। ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে। ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে। মোজাগুলো পরে জুতা ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতে হবে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
মাসেহ কখন করা যাবে: বছরের যেকোনো সময় মোজার ওপর মাসেহ করা যাবে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মোজার ওপর মাসেহ করার সময় মুসাফিরের জন্য তিন দিন, তিন রাত এবং মুকিমের জন্য এক দিন, এক রাত।’ (আবু দাউদ) অর্থাৎ, ইসলামের দৃষ্টিতে যিনি মুসাফির, তিনি তিন দিন, তিন রাত একটানা মাসেহ করতে পারবেন। সময়টি শুরু হবে মোজা পরার পর যখন প্রথম অজু ভাঙবে, তখন থেকে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা) কেউ বাড়িতে অবস্থান করা অবস্থায় মাসেহ করার পর মুসাফির হয়ে গেলে মুসাফিরের সময়সীমা পূর্ণ করবে।
একইভাবে মুসাফির মাসেহ শুরু করার পর মুকিম হয়ে গেলে মুকিমের মেয়াদ পূরণ করবে। (আবু দাউদ)
মাসেহ কীভাবে করবেন: হাতের ছোট তিন আঙুলের সমান পায়ের ওপরের অংশ মাসেহ করা ফরজ। (আবু দাউদ) আর পায়ের আঙুলের মাথা থেকে হাতের আঙুলগুলো প্রশস্ত করে টাখনু পর্যন্ত মাসেহ করা সুন্নত। (কিতাবুল আসার)
মাসেহ কখন ভেঙে যায়: যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়, সেই সব কারণে মাসেহও ভেঙে যায়। মোজা খোলার কারণে মাসেহ ভেঙে যায়। মোজা পায়ের টাখনুসহ বেশির ভাগ অংশ বের হয়ে গেলে মাসেহ ভেঙে যায়। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাধ্যমে মাসেহ ভেঙে যায়। উভয় মোজার কোনো একটির বেশির ভাগ অংশে পানি ঢুকলে মাসেহ ভেঙে যায়। (তিরমিজি, বাদায়েউস সানায়ে, মুআত্তা মুহাম্মদ)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

প্রশ্ন: শীতকালে অনেককে অজুর সময় পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করতে দেখি, এটি কি ইসলামসম্মত? কখন, কীভাবে তা পরিধান করলে মাসেহ করা যাবে? কীভাবে মাসেহ করতে হয়—বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, রাজশাহী
উত্তর: মোজার ওপর মাসেহ করা অজুতে পা ধোয়ার বিকল্প। এটি ইসলামে অনুমোদিত। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যেমন—চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে। পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে। মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে। ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে। ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে। মোজাগুলো পরে জুতা ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতে হবে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
মাসেহ কখন করা যাবে: বছরের যেকোনো সময় মোজার ওপর মাসেহ করা যাবে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মোজার ওপর মাসেহ করার সময় মুসাফিরের জন্য তিন দিন, তিন রাত এবং মুকিমের জন্য এক দিন, এক রাত।’ (আবু দাউদ) অর্থাৎ, ইসলামের দৃষ্টিতে যিনি মুসাফির, তিনি তিন দিন, তিন রাত একটানা মাসেহ করতে পারবেন। সময়টি শুরু হবে মোজা পরার পর যখন প্রথম অজু ভাঙবে, তখন থেকে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা) কেউ বাড়িতে অবস্থান করা অবস্থায় মাসেহ করার পর মুসাফির হয়ে গেলে মুসাফিরের সময়সীমা পূর্ণ করবে।
একইভাবে মুসাফির মাসেহ শুরু করার পর মুকিম হয়ে গেলে মুকিমের মেয়াদ পূরণ করবে। (আবু দাউদ)
মাসেহ কীভাবে করবেন: হাতের ছোট তিন আঙুলের সমান পায়ের ওপরের অংশ মাসেহ করা ফরজ। (আবু দাউদ) আর পায়ের আঙুলের মাথা থেকে হাতের আঙুলগুলো প্রশস্ত করে টাখনু পর্যন্ত মাসেহ করা সুন্নত। (কিতাবুল আসার)
মাসেহ কখন ভেঙে যায়: যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়, সেই সব কারণে মাসেহও ভেঙে যায়। মোজা খোলার কারণে মাসেহ ভেঙে যায়। মোজা পায়ের টাখনুসহ বেশির ভাগ অংশ বের হয়ে গেলে মাসেহ ভেঙে যায়। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাধ্যমে মাসেহ ভেঙে যায়। উভয় মোজার কোনো একটির বেশির ভাগ অংশে পানি ঢুকলে মাসেহ ভেঙে যায়। (তিরমিজি, বাদায়েউস সানায়ে, মুআত্তা মুহাম্মদ)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

শীতকালে অনেককে অজুর সময় পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করতে দেখি, এটি কি ইসলামসম্মত? কখন, কীভাবে তা পরিধান করলে মাসেহ করা যাবে? কীভাবে মাসেহ করতে হয়—বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

শীতকালে অনেককে অজুর সময় পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করতে দেখি, এটি কি ইসলামসম্মত? কখন, কীভাবে তা পরিধান করলে মাসেহ করা যাবে? কীভাবে মাসেহ করতে হয়—বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

শীতকালে অনেককে অজুর সময় পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করতে দেখি, এটি কি ইসলামসম্মত? কখন, কীভাবে তা পরিধান করলে মাসেহ করা যাবে? কীভাবে মাসেহ করতে হয়—বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

শীতকালে অনেককে অজুর সময় পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করতে দেখি, এটি কি ইসলামসম্মত? কখন, কীভাবে তা পরিধান করলে মাসেহ করা যাবে? কীভাবে মাসেহ করতে হয়—বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে