ইজাজুল হক, ঢাকা

পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)-এর যুগে মিসরের প্রতাপশালী শাসক ফেরাউনের স্ত্রী। ছোট কাঠের বাক্সে নীল নদে ভাসতে থাকা শিশু মুসাকে তিনিই ফেরাউনের শিশুহত্যার ফরমান থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। পরে মুসা (আ.)-কে লালনপালনের দায়িত্ব তাঁর মাকেই দিয়েছিলেন। আসিয়া পরে মুসা (আ.)-এর আহ্বানে ইমান এনেছিলেন। এই কারণে ফেরাউনের নির্যাতনে প্রাণ দিতে হয় তাঁকে। পবিত্র কোরআনে তাঁর ধৈর্যের ও পরকালীন পুরস্কারের বিবরণ এসেছে।
ফেরাউনের প্রাসাদে শিশু মুসা
ফেরাউন জ্যোতিষীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছিল, মিসরে এমন এক ছেলে শিশুর জন্ম হবে, যে তার রাজত্বের অবসান ঘটাবে। তখন ফেরাউন ছিল মিসরের ‘খোদা’ দাবিদার শাসক। এই খবর শুনে সে সব নবজাতক ছেলেকে হত্যা করার আদেশ দেয়। এই সময়ে মুসা (আ.)-এর জন্ম হয়। আল্লাহর নির্দেশে শিশু মুসাকে তাঁর মা একটি কাটের বাক্সে ভরে নীল নদে ভাসিয়ে দেন। বাক্সটি ভাসতে ভাসতে ফেরাউনের প্রাসাদের কাছে চলে আসে। প্রাসাদের পরিচারকেরা সেটি তুলে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়ার সামনে পেশ করে। নিজের সন্তানের মতো মুসাকে লালনপালন করতে চান আসিয়া। ফেরাউন প্রথমে মানতে না চাইলেও পরে স্ত্রীর জোরাজুরিতে রাজি হয়ে যায়। আসিয়া তাঁকে মায়ের মমতায় বড় করেন। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
ফেরাউনের সঙ্গে কথোপকথন
পবিত্র কোরআনে হজরত আসিয়ার সেই কথোপকথনের অংশবিশেষ তুলে ধরা হয়েছে এভাবে—‘ফেরাউনের স্ত্রী বলল, সে (শিশু মুসা) আমার ও তোমার চোখ শীতল করবে, তোমরা তাকে হত্যা করো না, হয়তো সে আমাদের উপকার করবে কিংবা আমরা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করব। তারা তা অনুধাবন করতে পারেনি।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৯)
আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ বলেন, নীল নদে ভাসতে থাকা বাক্সটি যখন আসিয়ার কাছে নিয়ে আসা হয়, তখন তিনি সেটি খুললেন এবং দেখলেন, শিশু মুসার চেহারা এক অপার্থিব আলোয় জ্বলজ্বল করছে। দেখেই তিনি তার মায়ায় পড়ে যান। ফেরাউন এসে বলল, ‘এ কে আবার? একে জবাই করে দাও।’ তখন আসিয়া মুসার পক্ষে দাঁড়ান এবং বলেন, ‘সে আমার ও আপনার চোখ শীতল করবে।’ ফেরাউন বলল, ‘তোমার জন্য হতে পারে, আমার জন্য নয়।’ তখন আসিয়া ফেরাউনকে বলেছিলেন, ‘হয়তো ছেলেটি আমাদের উপকার করবে।’ পরবর্তী জীবনে মুসা (আ.) সত্যিই আসিয়ার উপকার করেছিলেন। তাঁর দাওয়াতেই আসিয়া ইমান এনেছিলেন এবং জীবিতকালেই আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সুখবর দিয়েছিলেন। পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় উপকার আর কী হতে পারে! তিনি আরও বলেছিলেন, ‘অথবা আমরা তাকে সন্তান বানিয়ে নিতে পারি।’ কারণ ফেরাউন-আসিয়া দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। এ কথোপকথন উল্লেখের পর আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তারা বিষয়টি বুঝতে পারেনি’। অর্থাৎ আল্লাহ যে এখানে অন্য পরিকল্পনা করে রেখেছেন, তা তারা বুঝতে পারেনি। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
আসিয়ার কঠিন শাস্তি
ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ইমান আনার পর প্রথমে ফেরাউন আসিয়াকে দুনিয়ার প্রাচুর্যের লোভ দেখিয়েছিল। তাতে কাজ হয়নি। ফেরাউনকে উপাস্য হিসেবে মেনে নেননি তিনি। বরং মুসা ও হারুন (আ.)-এর রব আল্লাহর প্রতিই ইমান আনার ঘোষণা দেন। এ কারণে তাঁকে কঠিন শাস্তি দেয় ফেরাউন। তবে কোনো শাস্তিতেই তিনি টলেননি। মৃত্যু পর্যন্ত ধৈর্য ধরে গেছেন। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
ইমাম তাবারি সেই নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘ফেরাউনের স্ত্রীকে সূর্যের প্রখর তাপে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেওয়া হতো। তবে সেখানে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের মাধ্যমে তাঁকে ছায়া দিতেন এবং জান্নাতে তাঁর জন্য বরাদ্দ ঘরটি দেখাতেন। ফেরাউন আসিয়াকে জিজ্ঞেস করত, “কে জিতেছে?” জবাবে তিনি বলতেন, “মুসা ও হারুন জিতেছে। আমি হারুন ও মুসার রবের প্রতি ইমান এনেছি।” একপর্যায়ে ফেরাউন দেশের সবচেয়ে বড় পাথরটি খুঁজে আনার আদেশ দেয় এবং বলে, “সে নিজের বিশ্বাসে অটল থাকলে এই পাথরটি ফেলে তাকে হত্যা করো।” পাথর নিয়ে তারা যখন এল, তখন আসিয়া আসমানের দিকে তাকালেন, জান্নাতে নিজের ঘরটি দেখতে পেলেন, নিজের বিশ্বাসে অটল থাকা অবস্থায় তার প্রাণপাখি উড়ে গেল। এরপর সেই মৃতদেহের ওপর তারা পাথর ফেলে থেঁতলে দিল।’ (তাফসিরে তাবারি)
সেই কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর উপমা পেশ করছেন, তিনি বলেছেন, হে আল্লাহ, আমার জন্য জান্নাতে আপনার কাছে একটি ঘর নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফেরাউন ও তার কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা করুন। আমাকে জালেম জনগোষ্ঠী থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা তাহরিম: ১১)
হাদিসে হজরত আসিয়ার মর্যাদার কথা
মহানবী (সা.) হজরত আসিয়া (রা.)-কে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন বলেছেন। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষদের মধ্যে অনেকে পূর্ণতা অর্জন করেছেন। তবে নারীদের মধ্যে পূর্ণতা অর্জন করেছেন শুধু মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া। আর সব খাবারের মধ্যে সারিদ যেমন শ্রেষ্ঠ, তেমনি সব নারীর মধ্যে আয়েশা শ্রেষ্ঠ।’ (বুখারি: ৩৪১১; মুসলিম: ২৪৩১)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জমিনে চারটি রেখা টেনে বলেন, ‘তোমরা কি জানো এটা কী?’ সাহাবিরা বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল জানেন।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘জান্নাতবাসীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হলেন খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ, মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুজাহিম।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৯০৩)
আরেক হাদিসে এসেছে, আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৃষ্টিজগতের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ। তাঁরা হলেন, মারইয়াম বিনতে ইমরান, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ও ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ।’ (তিরমিজি: ৩৮৭৪; আহমাদ: ১২৪১৪)

পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)-এর যুগে মিসরের প্রতাপশালী শাসক ফেরাউনের স্ত্রী। ছোট কাঠের বাক্সে নীল নদে ভাসতে থাকা শিশু মুসাকে তিনিই ফেরাউনের শিশুহত্যার ফরমান থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। পরে মুসা (আ.)-কে লালনপালনের দায়িত্ব তাঁর মাকেই দিয়েছিলেন। আসিয়া পরে মুসা (আ.)-এর আহ্বানে ইমান এনেছিলেন। এই কারণে ফেরাউনের নির্যাতনে প্রাণ দিতে হয় তাঁকে। পবিত্র কোরআনে তাঁর ধৈর্যের ও পরকালীন পুরস্কারের বিবরণ এসেছে।
ফেরাউনের প্রাসাদে শিশু মুসা
ফেরাউন জ্যোতিষীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছিল, মিসরে এমন এক ছেলে শিশুর জন্ম হবে, যে তার রাজত্বের অবসান ঘটাবে। তখন ফেরাউন ছিল মিসরের ‘খোদা’ দাবিদার শাসক। এই খবর শুনে সে সব নবজাতক ছেলেকে হত্যা করার আদেশ দেয়। এই সময়ে মুসা (আ.)-এর জন্ম হয়। আল্লাহর নির্দেশে শিশু মুসাকে তাঁর মা একটি কাটের বাক্সে ভরে নীল নদে ভাসিয়ে দেন। বাক্সটি ভাসতে ভাসতে ফেরাউনের প্রাসাদের কাছে চলে আসে। প্রাসাদের পরিচারকেরা সেটি তুলে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়ার সামনে পেশ করে। নিজের সন্তানের মতো মুসাকে লালনপালন করতে চান আসিয়া। ফেরাউন প্রথমে মানতে না চাইলেও পরে স্ত্রীর জোরাজুরিতে রাজি হয়ে যায়। আসিয়া তাঁকে মায়ের মমতায় বড় করেন। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
ফেরাউনের সঙ্গে কথোপকথন
পবিত্র কোরআনে হজরত আসিয়ার সেই কথোপকথনের অংশবিশেষ তুলে ধরা হয়েছে এভাবে—‘ফেরাউনের স্ত্রী বলল, সে (শিশু মুসা) আমার ও তোমার চোখ শীতল করবে, তোমরা তাকে হত্যা করো না, হয়তো সে আমাদের উপকার করবে কিংবা আমরা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করব। তারা তা অনুধাবন করতে পারেনি।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৯)
আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ বলেন, নীল নদে ভাসতে থাকা বাক্সটি যখন আসিয়ার কাছে নিয়ে আসা হয়, তখন তিনি সেটি খুললেন এবং দেখলেন, শিশু মুসার চেহারা এক অপার্থিব আলোয় জ্বলজ্বল করছে। দেখেই তিনি তার মায়ায় পড়ে যান। ফেরাউন এসে বলল, ‘এ কে আবার? একে জবাই করে দাও।’ তখন আসিয়া মুসার পক্ষে দাঁড়ান এবং বলেন, ‘সে আমার ও আপনার চোখ শীতল করবে।’ ফেরাউন বলল, ‘তোমার জন্য হতে পারে, আমার জন্য নয়।’ তখন আসিয়া ফেরাউনকে বলেছিলেন, ‘হয়তো ছেলেটি আমাদের উপকার করবে।’ পরবর্তী জীবনে মুসা (আ.) সত্যিই আসিয়ার উপকার করেছিলেন। তাঁর দাওয়াতেই আসিয়া ইমান এনেছিলেন এবং জীবিতকালেই আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সুখবর দিয়েছিলেন। পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় উপকার আর কী হতে পারে! তিনি আরও বলেছিলেন, ‘অথবা আমরা তাকে সন্তান বানিয়ে নিতে পারি।’ কারণ ফেরাউন-আসিয়া দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। এ কথোপকথন উল্লেখের পর আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তারা বিষয়টি বুঝতে পারেনি’। অর্থাৎ আল্লাহ যে এখানে অন্য পরিকল্পনা করে রেখেছেন, তা তারা বুঝতে পারেনি। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
আসিয়ার কঠিন শাস্তি
ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ইমান আনার পর প্রথমে ফেরাউন আসিয়াকে দুনিয়ার প্রাচুর্যের লোভ দেখিয়েছিল। তাতে কাজ হয়নি। ফেরাউনকে উপাস্য হিসেবে মেনে নেননি তিনি। বরং মুসা ও হারুন (আ.)-এর রব আল্লাহর প্রতিই ইমান আনার ঘোষণা দেন। এ কারণে তাঁকে কঠিন শাস্তি দেয় ফেরাউন। তবে কোনো শাস্তিতেই তিনি টলেননি। মৃত্যু পর্যন্ত ধৈর্য ধরে গেছেন। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
ইমাম তাবারি সেই নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘ফেরাউনের স্ত্রীকে সূর্যের প্রখর তাপে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেওয়া হতো। তবে সেখানে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের মাধ্যমে তাঁকে ছায়া দিতেন এবং জান্নাতে তাঁর জন্য বরাদ্দ ঘরটি দেখাতেন। ফেরাউন আসিয়াকে জিজ্ঞেস করত, “কে জিতেছে?” জবাবে তিনি বলতেন, “মুসা ও হারুন জিতেছে। আমি হারুন ও মুসার রবের প্রতি ইমান এনেছি।” একপর্যায়ে ফেরাউন দেশের সবচেয়ে বড় পাথরটি খুঁজে আনার আদেশ দেয় এবং বলে, “সে নিজের বিশ্বাসে অটল থাকলে এই পাথরটি ফেলে তাকে হত্যা করো।” পাথর নিয়ে তারা যখন এল, তখন আসিয়া আসমানের দিকে তাকালেন, জান্নাতে নিজের ঘরটি দেখতে পেলেন, নিজের বিশ্বাসে অটল থাকা অবস্থায় তার প্রাণপাখি উড়ে গেল। এরপর সেই মৃতদেহের ওপর তারা পাথর ফেলে থেঁতলে দিল।’ (তাফসিরে তাবারি)
সেই কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর উপমা পেশ করছেন, তিনি বলেছেন, হে আল্লাহ, আমার জন্য জান্নাতে আপনার কাছে একটি ঘর নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফেরাউন ও তার কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা করুন। আমাকে জালেম জনগোষ্ঠী থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা তাহরিম: ১১)
হাদিসে হজরত আসিয়ার মর্যাদার কথা
মহানবী (সা.) হজরত আসিয়া (রা.)-কে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন বলেছেন। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষদের মধ্যে অনেকে পূর্ণতা অর্জন করেছেন। তবে নারীদের মধ্যে পূর্ণতা অর্জন করেছেন শুধু মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া। আর সব খাবারের মধ্যে সারিদ যেমন শ্রেষ্ঠ, তেমনি সব নারীর মধ্যে আয়েশা শ্রেষ্ঠ।’ (বুখারি: ৩৪১১; মুসলিম: ২৪৩১)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জমিনে চারটি রেখা টেনে বলেন, ‘তোমরা কি জানো এটা কী?’ সাহাবিরা বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল জানেন।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘জান্নাতবাসীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হলেন খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ, মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুজাহিম।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৯০৩)
আরেক হাদিসে এসেছে, আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৃষ্টিজগতের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ। তাঁরা হলেন, মারইয়াম বিনতে ইমরান, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ও ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ।’ (তিরমিজি: ৩৮৭৪; আহমাদ: ১২৪১৪)

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)-এর যুগে মিসরের প্রতাপশালী শাসক ফেরাউনের স্ত্রী। ছোট কাঠের বাক্সে নীল নদে ভাসতে থাকা শিশু মুসাকে তিনিই ফেরাউনের শিশুহত্যার ফরমান থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। পরে মুসা (আ.)-কে লালনপালনের দায়িত্ব তাঁর মাকেই দিয়েছিলেন। আসিয়া
১২ মার্চ ২০২৩
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)-এর যুগে মিসরের প্রতাপশালী শাসক ফেরাউনের স্ত্রী। ছোট কাঠের বাক্সে নীল নদে ভাসতে থাকা শিশু মুসাকে তিনিই ফেরাউনের শিশুহত্যার ফরমান থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। পরে মুসা (আ.)-কে লালনপালনের দায়িত্ব তাঁর মাকেই দিয়েছিলেন। আসিয়া
১২ মার্চ ২০২৩
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)-এর যুগে মিসরের প্রতাপশালী শাসক ফেরাউনের স্ত্রী। ছোট কাঠের বাক্সে নীল নদে ভাসতে থাকা শিশু মুসাকে তিনিই ফেরাউনের শিশুহত্যার ফরমান থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। পরে মুসা (আ.)-কে লালনপালনের দায়িত্ব তাঁর মাকেই দিয়েছিলেন। আসিয়া
১২ মার্চ ২০২৩
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন।
দেশের মোট ১ হাজার ১২টি কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৫৩২ এবং পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, ‘দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় নূরানি মাদ্রাসা, নূরানি স্কুল, নূরানি মক্তব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে।’
পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন বলেন, ‘শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড।’
এদিকে অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের এই স্কলারশিপ পাবেন ১০০ তরুণ। মনোনীত ১০০ তরুণ ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিনা মূল্যে করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা তারেক হুসাইনসহ নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলেরা।
প্রসঙ্গত, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এই ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন।
দেশের মোট ১ হাজার ১২টি কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৫৩২ এবং পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, ‘দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় নূরানি মাদ্রাসা, নূরানি স্কুল, নূরানি মক্তব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে।’
পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন বলেন, ‘শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড।’
এদিকে অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের এই স্কলারশিপ পাবেন ১০০ তরুণ। মনোনীত ১০০ তরুণ ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিনা মূল্যে করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা তারেক হুসাইনসহ নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলেরা।
প্রসঙ্গত, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এই ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)-এর যুগে মিসরের প্রতাপশালী শাসক ফেরাউনের স্ত্রী। ছোট কাঠের বাক্সে নীল নদে ভাসতে থাকা শিশু মুসাকে তিনিই ফেরাউনের শিশুহত্যার ফরমান থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। পরে মুসা (আ.)-কে লালনপালনের দায়িত্ব তাঁর মাকেই দিয়েছিলেন। আসিয়া
১২ মার্চ ২০২৩
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে