Ajker Patrika

একজন অমুসলিমের ইসলামি আইন গবেষণা

আমজাদ ইউনুস 
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭: ৩৭
একজন অমুসলিমের ইসলামি আইন গবেষণা

প্রাচ্যবিদ ওয়ায়েল হাল্লাক ইসলামি আইন গবেষক হিসেবে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। ইসলাম ধর্মাবলম্বী না হলেও তাঁর বেশির ভাগ রচনা মুসলিম বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সর্বশেষ এ বছর ইসলাম শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ইসলামের প্রতি বিশেষ মুগ্ধতাও রয়েছে তাঁর। লিখেছেন আমজাদ ইউনুস

ওয়ায়েল বাহজাত আল-হাল্লাক ১৯৫৫ সালে ফিলিস্তিনের নাজারেথ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত হলেও জাতীয়তায় কানাডিয়ান তিনি। নাজারেথ স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে অধ্যয়ন সমাপ্ত করেছেন। ফিলিস্তিনের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

 ১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিকহ ও ইসলামিক আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করে তিনি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে কানাডার মন্ট্রিলের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে ইসলামি আইনের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক পদ লাভ করেন।

 ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজ বিভাগে মানবিক ও ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১০ সাল থেকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগে অ্যাভালন ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক হন এবং ইন্দোনেশিয়া, টরন্টো ও সিঙ্গাপুরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। 
ওয়ায়েল হাল্লাককে একজন অত্যন্ত জ্ঞানী লেখক ও গবেষক বিবেচনা করা হয়। তিনি ‘ইসলামি আইন ও এর সমসাময়িক প্রয়োগ’ গবেষণার জন্য অনেকের কাছে সমাদৃত। তবে তাঁর কিছু মতামত ও চিন্তার কারণে তিনি সমালোচিতও বটে। তাঁর কিছু লেখা ও দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ইসলামি স্কলারগণ আপত্তি তুলেছেন।

ওয়ায়েল হাল্লাক ইসলামি আইন অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তাঁর রচনাসমূহ হিব্রু, ইন্দোনেশিয়ান, ইতালীয়, জাপানি, তুর্কিসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ইসলামি আইনশাস্ত্রের উত্থান, এর উৎস, ইসলামি আইন প্রণয়নের ইতিহাস এবং ইসলামে বিচারব্যবস্থা, দর্শন, রাজনৈতিক তত্ত্ব ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ে ৮০টির বেশি বিশেষ গবেষণা প্রকাশ করেছেন।

২০১৮ সালে ওয়ায়েল হাল্লাকের সাড়া জাগানো ‘রিস্টেটিং ওরিয়েন্টালিজম’ বইটি প্রকাশিত হয়। তিনি ইসলামি বিশ্বকোষ রচনা ও সম্পাদনায় অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, এনসাইক্লোপিডিয়া অব কোরআন, এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম, এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকা, এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য মডার্ন মিডল ইস্ট ও অন্যান্য।

ইসলামি আইন বিষয়ে লেখা ওয়ায়েল হাল্লাকের কয়েকটি রচনা।  ওয়ায়েল হাল্লাক লিখিত প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে, ‘গড ক্যান নট বি হার্মড: অন হুকুকুল্লাহ, হুকুক আল ইবাদ’ ২০১৯; ‘উসুলু আল ফিকহ অ্যান্ড শাফিয়িস রিসালা’-২০১৯; ‘কোরআনিক ম্যাগনাকার্টা: অন দি অরিজিনস অব দ্য রুল অব ল ইন ইসলাম’ ২০১৪; ‘কোরআনিক কনস্টিটিউশনালিজম অ্যান্ড মোরাল গভর্নমেন্টালিটি: ফারদার নোটস অন দ্য ফাউন্ডিং প্রিন্সিপালস অব ইসলামিক সোসাইটি অ্যান্ড পোলিটি’ ২০১২, ‘মুসলিম রেজ অ্যান্ড ইসলামিক ল’ ২০০৩।

 ২০০৯ সালে জন এস্পোসিটো ও তাঁর পর্যালোচনা প্যানেল ইসলামি আইনের ওপর গবেষণা ও রচনার জন্য হাল্লাককে বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। যদিও হাল্লাক খ্রিষ্টান ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর ‘দ্য ইমপসিবল স্টেট’ বইটি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বুক অ্যাওয়ার্ডে সেরা বই হিসেবে পুরস্কৃত হয়।

 ২০২০ সালে তাঁর রচিত ‘রিফর্মিং মডার্নিটি’ বইটি নটিলাস বুক অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়। ২০২১ সালে মানবিক ও সামাজিক জ্ঞানে তাঁর উদ্ভাবনী ও অগ্রণী ধারণা এবং থিসিসের তুর্কি একাডেমি অব সায়েন্সেস থেকে তোবা পুরস্কার পেয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে অধ্যাপক ওয়ায়েল হাল্লাক মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে গবেষণার জন্য এ বছর তাঁকে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।

লেখালেখির পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। বিডিএস আন্দোলনসহ পশ্চিমা জায়নবাদী দখলদারির বিরোধিতাকারী বেশ কয়েকটি আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাজে পরিস্থিতি দেখে তিনি বিরক্ত এবং ইসলামি শাসনব্যবস্থার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ও মুগ্ধতা রয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, একজন খ্রিষ্টান হিসেবে তিনি বর্তমান মডার্ন সিটিজেন হওয়ার চেয়ে একজন উমাইয়া সিটিজেন হওয়া অধিক পছন্দ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১১ মিনিট
ফজর০৫: ১২ মিনিট০৬: ৩২ মিনিট
জোহর১১: ৫৪ মিনিট০৩: ৩৭ মিনিট
আসর০৩: ৩৮ মিনিট০৫: ১৩ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৫ মিনিট০৬: ৩৪ মিনিট
এশা০৬: ৩৫ মিনিট০৫: ১১ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনের কারণে এগিয়ে এল কওমি মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় পরীক্ষা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।

নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।

আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।

প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।

প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।

এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শুরু হচ্ছে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ কোরআন প্রতিযোগিতা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।

২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।

সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রবীণ সুফি পীর জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি আর নেই

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।

শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।

শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।

শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত