মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। রাস্তার ওপর ইট, বালু, সুরকি ফেলে রাখা হয়েছে। মানুষের চলাফেরা করতে ভীষণ কষ্ট। প্রভাবশালী বলে কেউ কিছু বলছে না। বললেও তিনি কানেই নেন না। পানির মোটর ছেড়ে রাখা হয়েছে। পানিতে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা। লোকজনের চলাচলে অনেক কষ্ট। ময়লার ফেলার জন্য ডাস্টবিন আছে। কিন্তু একদল মানুষ রাস্তার ওপর ময়লা ফেলে। দূষিত হয় পরিবেশ। নাকে রুমাল চেপে পথচারীদের চলতে হয়। অহেতুক তো বটেই; নেহাত নির্বুদ্ধিতার কারণে এভাবে মানুষকে কষ্ট দেওয়া হয়, যা একজন মুসলমানের জন্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।
যে ব্যক্তি মানুষকে কষ্ট দেয়, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কেউ নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্যে পাপের বোঝা বহন করে।’ (সুরা আহজাব: ৫৮) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সেই প্রকৃত মুসলমান, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমানেরা নিরাপদ থাকে।’ (বুখারি)
মানুষকে কষ্ট দেওয়া যত ছোট কাজেই হোক, তা জুলুমের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালিমদের কঠোর শাস্তি দেবেন। আল্লাহ বলেন, ‘হায়! যদি তুমি ওই জালিমদের দেখতে পেতে, যখন তারা মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকবে, আর ফেরেশতারা হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলবে, তোমাদের জানগুলোকে বের করে দাও, আজ তোমাদের অবমাননাকর আজাব দেওয়া হবে, যেহেতু তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে এমন কথা বলতে, যা প্রকৃত সত্য নয় আর তাঁর নিদর্শনগুলোর ব্যাপারে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করতে।’ (সুরা আনআম: ৯৩)
মানুষকে কষ্ট দিয়ে আবার দম্ভ প্রকাশ আরও বড় অন্যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নম্র ও বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উচ্চাসনে আসীন করেন আর যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে অপদস্থ করেন।’ (মিশকাত)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। রাস্তার ওপর ইট, বালু, সুরকি ফেলে রাখা হয়েছে। মানুষের চলাফেরা করতে ভীষণ কষ্ট। প্রভাবশালী বলে কেউ কিছু বলছে না। বললেও তিনি কানেই নেন না। পানির মোটর ছেড়ে রাখা হয়েছে। পানিতে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা। লোকজনের চলাচলে অনেক কষ্ট। ময়লার ফেলার জন্য ডাস্টবিন আছে। কিন্তু একদল মানুষ রাস্তার ওপর ময়লা ফেলে। দূষিত হয় পরিবেশ। নাকে রুমাল চেপে পথচারীদের চলতে হয়। অহেতুক তো বটেই; নেহাত নির্বুদ্ধিতার কারণে এভাবে মানুষকে কষ্ট দেওয়া হয়, যা একজন মুসলমানের জন্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।
যে ব্যক্তি মানুষকে কষ্ট দেয়, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কেউ নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্যে পাপের বোঝা বহন করে।’ (সুরা আহজাব: ৫৮) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সেই প্রকৃত মুসলমান, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমানেরা নিরাপদ থাকে।’ (বুখারি)
মানুষকে কষ্ট দেওয়া যত ছোট কাজেই হোক, তা জুলুমের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালিমদের কঠোর শাস্তি দেবেন। আল্লাহ বলেন, ‘হায়! যদি তুমি ওই জালিমদের দেখতে পেতে, যখন তারা মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকবে, আর ফেরেশতারা হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলবে, তোমাদের জানগুলোকে বের করে দাও, আজ তোমাদের অবমাননাকর আজাব দেওয়া হবে, যেহেতু তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে এমন কথা বলতে, যা প্রকৃত সত্য নয় আর তাঁর নিদর্শনগুলোর ব্যাপারে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করতে।’ (সুরা আনআম: ৯৩)
মানুষকে কষ্ট দিয়ে আবার দম্ভ প্রকাশ আরও বড় অন্যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নম্র ও বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উচ্চাসনে আসীন করেন আর যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে অপদস্থ করেন।’ (মিশকাত)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহর দরবারে বান্দার আমল কবুল হওয়ার প্রধানতম শর্ত হচ্ছে ইখলাস বা নিষ্ঠা। আমল হবে কেবল আল্লাহর জন্য, আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে; মানুষের প্রশংসা বা পার্থিব সুবিধার চিন্তা এতে থাকবে না। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কেবল একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
৮ ঘণ্টা আগেসুরা ইখলাস পবিত্র কোরআনের ১১২তম সুরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার চারটি আয়াত রয়েছে। মুশরিকেরা রাসুল (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, তার উত্তরে এই সুরা অবতীর্ণ হয়। উবাই ইবন কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, মুশরিকেরা একবার রাসুল (সা.)-কে বলল, ‘আপনি আপনার প্রভুর বংশতালিকা বর্ণনা করুন। আল্লাহ তাআলা তখন
১ দিন আগেহজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। তবে এর সঙ্গে আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্যের বিষয় জড়িত। তাই সবার জন্য হজ ফরজ নয়। হজ ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে।
২ দিন আগেইসলামে ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহর কুদরত এবং পূর্ববর্তী জাতিগুলোর পরিণাম দেখতে মহান আল্লাহ মানুষকে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের আদেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় ভ্রমণ করেছেন।
৩ দিন আগে