ধর্ম ও জীবন ডেস্ক

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এ অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলো—
অন্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন গুনাহ
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখে ইসলাম। মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো যাতে প্রকাশ হয়ে না পড়ে, সে জন্য কোনো সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটুকুই নয়, বরং নিজের ঘরের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের জন্যও একান্ত ব্যক্তিগত সময়গুলোতে মা-বাবার কক্ষে প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়া আবশ্যক করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়ষ্ক হয়নি, তারা যেন তোমাদের কক্ষে প্রবেশ করতে তিন সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে—ফজরের নামাজের আগে, দ্বিপ্রহরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখো এবং এশার নামাজের পর; এই তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তার সময়।’ (সুরা নুর: ৫৮)
অনুমতি ছাড়া কারও একান্ত সময়ে তাঁর কাছে যাওয়া গুনাহের কাজ। আর কারও অজান্তে ঘরের ভেতরের ব্যক্তিগত মুহূর্ত নজরদারি করা বা উঁকি দেওয়া আরও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এ ব্যাপারে কঠিন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সাহাল ইবনে সাদ (রা.) বলেন, একবার এক লোক রাসুল (সা.)-এর কোনো এক কক্ষে উঁকি দেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাতে একটা চিরুনি ছিল, যা দিয়ে তিনি মাথা আঁচড়াচ্ছিলেন। তিনি বললেন, যদি আমি জানতাম তুমি উঁকি দিচ্ছ, তাহলে এটা দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। তাকানোর জন্য অনুমতি নেওয়ার বিধান আবশ্যক করা হয়েছে। (বুখারি)
অনুমতি না পেলে ফিরে যাওয়া উচিত
কারও ঘরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ কোরো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদের সালাম দেবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নুর: ২৭)
আর কারও দরজায় টোকা দিয়ে তিনবার অনুমতি চাওয়ার পরও যদি সে সাড়া না দেয়, তাহলে ফিরে যাওয়া উচিত। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু মুসা (রা.) উমর (রা.)-এর কক্ষে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলেন এবং তিনি কোনো অনুমতি পাননি। উমর (রা.) তাঁকে পরে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি ফিরে গেলে কেন?’ তিনি জবাব দেন, ‘আমি আপনার কাছে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলাম—যেমনটা রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়েছিলেন, কিন্তু আপনি কোনো অনুমতি দেননি, তাই আমি প্রবেশ করিনি।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে বুশর (রা.) বলেন, ‘যখন কারও দরজায় কেউ এসে দাঁড়াবে এবং অনুমতি চাইবে, তখন একেবারে দরজার সোজাসুজি দাঁড়াবে না, বরং একটু ডান পাশে বা বাঁ পাশে সরে দাঁড়াবে। যদি অনুমতি দেওয়া হয়, তবে প্রবেশ করবে, অন্যথায় ফিরে যাবে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)
নিজের গোপনীয়তা প্রকাশ করাও গুনাহ
দাম্পত্যজীবনে স্বামী-স্ত্রীর একান্ত মুহূর্তগুলো গোপন রাখা আবশ্যক। এ বিষয়গুলো মানুষকে বলে বেড়ানোর অনুমতি দেয় না ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক নিকৃষ্ট সেই পুরুষ, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে মিলিত হয় এবং স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে মিলিত হয়, এরপর সে স্ত্রীর রহস্য প্রকাশ করে দেয়।’ (মুসলিম)
একইভাবে গোপন পাপের কথা মানুষকে বলে বেড়ানোও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে; তবে ওই সব লোককে ক্ষমা করা হবে না, যারা পাপ করার পর তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। অন্যের কাছে প্রকাশ করার একটি দিক হলো, কোনো ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোনো গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির গুনাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু ভোর হওয়ার পর সে নিজেই অন্য মানুষের কাছে বলল, হে অমুক, জানো, রাতে আমি এ কাজ করেছি। সারা রাত মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির পাপটি গোপন রাখলেন আর ভোর হওয়ামাত্রই আল্লাহর ঢেকে রাখা পাপের বিষয়টি সেই ব্যক্তি নিজেই প্রকাশ করে দিল!’ (বুখারি)
অন্যের দোষ গোপন করার ফজিলত
অন্যের কোনো দোষ জানা থাকলেও তা প্রকাশ না করাই ইসলামের শিক্ষা। বিশেষ করে ওই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর দোষচর্চা ইসলামে নিষিদ্ধ। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় গিবত বলা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? বস্তুত তোমরা একে ঘৃণাই করো।’ (সুরা হুজুরাত: ১২) মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মর্ম সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন, ‘এটা কীভাবে?’ তিনি বললেন, ‘কেউ ব্যভিচার করার পর তওবা করলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। কিন্তু যে গিবত করে তার গুনাহ প্রতিপক্ষ মাফ না করা পর্যন্ত মাফ হয় না।’ (তিরমিজি)
অন্যের দোষ প্রকাশ না করার ফজিলত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্যের দোষ অনুসন্ধান করা নিষেধ
কারও দোষ অনুসন্ধান করা এবং অনুমান করে খারাপ ধারণা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। কারও পেছনে গুপ্তচরবৃত্তি করাও নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা বেশির ভাগ অনুমান থেকে দূরে থাকো। কেননা, অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ। তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান কোরো না এবং একে অপরের পেছনে নিন্দা কোরো না।’ (সুরা হুজুরাত: ১২)
মহানবী (সা.) সাহাবিদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা যদি মানুষের গোপনীয় বিষয় উদ্ঘাটনে লেগে যাও, তবে তোমরা তাকে ধ্বংস করে দেবে কিংবা অন্তত ধ্বংসের প্রান্তে পৌঁছে দেবে।’ (আবু দাউদ) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা। কারো দোষ খুঁজে বেড়িও না, গোয়েন্দাগিরিতে লিপ্ত হয়ো না এবং একে অন্যকে ধোঁকা দিয়ো না। …’ (বুখারি)
বৃহত্তর স্বার্থে গোয়েন্দাগিরির অনুমতি
মানুষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে এবং জাতীয় স্বার্থে কখনো-সখনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়ে। ইসলামি আইন ও বিচারব্যবস্থার বিধান অনুসারে কারও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা যাবে। তবে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা সরাসরি বিষয়টির সঙ্গে জড়িতদের কাছেই হতে হবে। সাধারণ সমাজে তা প্রচার করা যাবে না। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন শান্তি বা শঙ্কার কোনো সংবাদ তাদের কাছে আসে, তখন তারা তা প্রচার করে থাকে। যদি তারা তা রাসুল বা তাদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অধিকারী তাদের গোচরে আনত, তবে তাদের মধ্যে যারা তথ্য অনুসন্ধান করে, তারা তার যথার্থতা নির্ণয় করতে পারত। …’ (সুরা নিসা: ৮৩)

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এ অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলো—
অন্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন গুনাহ
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখে ইসলাম। মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো যাতে প্রকাশ হয়ে না পড়ে, সে জন্য কোনো সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটুকুই নয়, বরং নিজের ঘরের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের জন্যও একান্ত ব্যক্তিগত সময়গুলোতে মা-বাবার কক্ষে প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়া আবশ্যক করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়ষ্ক হয়নি, তারা যেন তোমাদের কক্ষে প্রবেশ করতে তিন সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে—ফজরের নামাজের আগে, দ্বিপ্রহরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখো এবং এশার নামাজের পর; এই তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তার সময়।’ (সুরা নুর: ৫৮)
অনুমতি ছাড়া কারও একান্ত সময়ে তাঁর কাছে যাওয়া গুনাহের কাজ। আর কারও অজান্তে ঘরের ভেতরের ব্যক্তিগত মুহূর্ত নজরদারি করা বা উঁকি দেওয়া আরও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এ ব্যাপারে কঠিন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সাহাল ইবনে সাদ (রা.) বলেন, একবার এক লোক রাসুল (সা.)-এর কোনো এক কক্ষে উঁকি দেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাতে একটা চিরুনি ছিল, যা দিয়ে তিনি মাথা আঁচড়াচ্ছিলেন। তিনি বললেন, যদি আমি জানতাম তুমি উঁকি দিচ্ছ, তাহলে এটা দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। তাকানোর জন্য অনুমতি নেওয়ার বিধান আবশ্যক করা হয়েছে। (বুখারি)
অনুমতি না পেলে ফিরে যাওয়া উচিত
কারও ঘরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ কোরো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদের সালাম দেবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নুর: ২৭)
আর কারও দরজায় টোকা দিয়ে তিনবার অনুমতি চাওয়ার পরও যদি সে সাড়া না দেয়, তাহলে ফিরে যাওয়া উচিত। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু মুসা (রা.) উমর (রা.)-এর কক্ষে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলেন এবং তিনি কোনো অনুমতি পাননি। উমর (রা.) তাঁকে পরে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি ফিরে গেলে কেন?’ তিনি জবাব দেন, ‘আমি আপনার কাছে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলাম—যেমনটা রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়েছিলেন, কিন্তু আপনি কোনো অনুমতি দেননি, তাই আমি প্রবেশ করিনি।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে বুশর (রা.) বলেন, ‘যখন কারও দরজায় কেউ এসে দাঁড়াবে এবং অনুমতি চাইবে, তখন একেবারে দরজার সোজাসুজি দাঁড়াবে না, বরং একটু ডান পাশে বা বাঁ পাশে সরে দাঁড়াবে। যদি অনুমতি দেওয়া হয়, তবে প্রবেশ করবে, অন্যথায় ফিরে যাবে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)
নিজের গোপনীয়তা প্রকাশ করাও গুনাহ
দাম্পত্যজীবনে স্বামী-স্ত্রীর একান্ত মুহূর্তগুলো গোপন রাখা আবশ্যক। এ বিষয়গুলো মানুষকে বলে বেড়ানোর অনুমতি দেয় না ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক নিকৃষ্ট সেই পুরুষ, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে মিলিত হয় এবং স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে মিলিত হয়, এরপর সে স্ত্রীর রহস্য প্রকাশ করে দেয়।’ (মুসলিম)
একইভাবে গোপন পাপের কথা মানুষকে বলে বেড়ানোও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে; তবে ওই সব লোককে ক্ষমা করা হবে না, যারা পাপ করার পর তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। অন্যের কাছে প্রকাশ করার একটি দিক হলো, কোনো ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোনো গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির গুনাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু ভোর হওয়ার পর সে নিজেই অন্য মানুষের কাছে বলল, হে অমুক, জানো, রাতে আমি এ কাজ করেছি। সারা রাত মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির পাপটি গোপন রাখলেন আর ভোর হওয়ামাত্রই আল্লাহর ঢেকে রাখা পাপের বিষয়টি সেই ব্যক্তি নিজেই প্রকাশ করে দিল!’ (বুখারি)
অন্যের দোষ গোপন করার ফজিলত
অন্যের কোনো দোষ জানা থাকলেও তা প্রকাশ না করাই ইসলামের শিক্ষা। বিশেষ করে ওই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর দোষচর্চা ইসলামে নিষিদ্ধ। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় গিবত বলা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? বস্তুত তোমরা একে ঘৃণাই করো।’ (সুরা হুজুরাত: ১২) মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মর্ম সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন, ‘এটা কীভাবে?’ তিনি বললেন, ‘কেউ ব্যভিচার করার পর তওবা করলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। কিন্তু যে গিবত করে তার গুনাহ প্রতিপক্ষ মাফ না করা পর্যন্ত মাফ হয় না।’ (তিরমিজি)
অন্যের দোষ প্রকাশ না করার ফজিলত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্যের দোষ অনুসন্ধান করা নিষেধ
কারও দোষ অনুসন্ধান করা এবং অনুমান করে খারাপ ধারণা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। কারও পেছনে গুপ্তচরবৃত্তি করাও নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা বেশির ভাগ অনুমান থেকে দূরে থাকো। কেননা, অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ। তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান কোরো না এবং একে অপরের পেছনে নিন্দা কোরো না।’ (সুরা হুজুরাত: ১২)
মহানবী (সা.) সাহাবিদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা যদি মানুষের গোপনীয় বিষয় উদ্ঘাটনে লেগে যাও, তবে তোমরা তাকে ধ্বংস করে দেবে কিংবা অন্তত ধ্বংসের প্রান্তে পৌঁছে দেবে।’ (আবু দাউদ) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা। কারো দোষ খুঁজে বেড়িও না, গোয়েন্দাগিরিতে লিপ্ত হয়ো না এবং একে অন্যকে ধোঁকা দিয়ো না। …’ (বুখারি)
বৃহত্তর স্বার্থে গোয়েন্দাগিরির অনুমতি
মানুষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে এবং জাতীয় স্বার্থে কখনো-সখনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়ে। ইসলামি আইন ও বিচারব্যবস্থার বিধান অনুসারে কারও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা যাবে। তবে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা সরাসরি বিষয়টির সঙ্গে জড়িতদের কাছেই হতে হবে। সাধারণ সমাজে তা প্রচার করা যাবে না। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন শান্তি বা শঙ্কার কোনো সংবাদ তাদের কাছে আসে, তখন তারা তা প্রচার করে থাকে। যদি তারা তা রাসুল বা তাদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অধিকারী তাদের গোচরে আনত, তবে তাদের মধ্যে যারা তথ্য অনুসন্ধান করে, তারা তার যথার্থতা নির্ণয় করতে পারত। …’ (সুরা নিসা: ৮৩)

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১১ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১২ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এই অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। একজন মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি।
১০ ডিসেম্বর ২০২২
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১১ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১২ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এই অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। একজন মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি।
১০ ডিসেম্বর ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১২ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এই অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। একজন মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি।
১০ ডিসেম্বর ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১১ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এই অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। একজন মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি।
১০ ডিসেম্বর ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১১ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১২ ঘণ্টা আগে