Ajker Patrika

আজকের তারাবি-২২: কন্যাসন্তান আল্লাহর অনন্য দান

রায়হান রাশেদ
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫, ১১: ১৪
আজকের তারাবি-২২: কন্যাসন্তান আল্লাহর অনন্য দান

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৫ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হামিম সাজদার ৪৭ থেকে সুরা শুরা, সুরা জুখরুফ, সুরা দুখান ও সুরা জাসিয়া পড়া হবে। এই অংশে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আল্লাহর ওয়াদা, সব নবী-রাসুলের ধর্ম ইসলাম, সৃষ্টি জগতে আল্লাহর নিদর্শন, আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের সন্তান লাভ, নারীর সম্মান এবং কন্যা সন্তান আল্লাহর নেয়ামতসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো—

মানুষের স্বভাবজাত অকৃতজ্ঞতার কথা 
বিপদে পড়লে মানুষ আল্লাহকে ডাকে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনায় নতজানু হয়। এমনভাবে আল্লাহকে ডাকে, যেন আল্লাহ ছাড়া ভিন্ন কিছু তার কল্পনায় নেই। জীবন শুধু আল্লাহর জন্য। কিন্তু সুখে থাকলে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়। ভুলে যায় আল্লাহর নেয়ামত। তখন অনেকে অহংকার আর দম্ভ নিয়ে চলতে থাকে। সুখের জীবনকে নিজের অর্জন বলে মনে করে। বিশ্বাস করে, মেধার শক্তিতে নিজের অবস্থান এত উজ্জ্বল হয়েছে। 

মানুষ যখন উত্তাল সমুদ্রে জাহাজে থাকে। জাহাজ প্রায় ডুবে যাবে অবস্থা। নিজের হাতে আর কিছুই করার থাকে না। তখন অনর্গল আল্লাহর নাম জপতে থাকে। আল্লাহর কুদরতি পায়ে সেজদা দিতে থাকে। কিন্তু যখনই আল্লাহর রহমতে পাড়ে এসে জাহাজ ভিড়ে, তখন আল্লাহকে ভুলে যায়। চরিত্র বদলে ফেলে। খুব দ্রুত নিজের অবস্থান বদলে ফেলে। বিপদে পড়লে এক রকম চরিত্র আর বিপদ থেকে রক্ষা পেলে ভিন্ন রকম চরিত্র। মানুষের এই সুবিধাবাদী চরিত্র সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত আছে। 

সুরা হামিম সাজদার ৫০ থেকে ৫১ নম্বর আয়াতে আছে, ‘দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যখন আমি তাকে দয়া করে সুখের স্বাদ দিই, তখন মানুষ বলতে থাকে, ‘এটা তো আমার প্রাপ্যই ছিল। আমি তো মনে করি না কিয়ামত বলে কিছু আছে।’ ...আবার যখন মানুষ বিপদে-আপদে অমঙ্গলে পড়ে যায়, তখন সে দীর্ঘ প্রার্থনায় বসে যায়।’ 

আল্লাহ যাদের পুরস্কার দেবেন
সুরা শুরা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫৩। কোরআনের ৪২ তম সুরা এটি। এ সুরার ৩৬ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা এমন কিছু গুণের কথা বলেছেন, যাদের মধ্যে এ গুণগুলো থাকবে, তাদের তিনি বিশেষ পুরস্কার দেবেন। গুণগুলো হলো—
১. যারা ইমানদার 
২. আল্লাহর ওপর ভরসা করে
৩. কবির গুনাহ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে
৪. ক্ষমা করে দেয় 
৫. আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয় 
৬. নামাজ কায়েম করে 
৭. পরামর্শের মাধ্যমে পারস্পরিক কাজ সম্পাদন করে 
৮. দান-সদকা করে 
৯. নির্যাতিত হলে ন্যায্য প্রতিশোধ গ্রহণ করে 

সন্তান আল্লাহর সেরা উপহার
সন্তান আত্মার প্রশান্তি, জীবনের ফুল ও চোখের শীতলতা। চোখের সামনে সন্তানের হাটি হাটি পায়ে বড় হওয়া—তনুমনে ভালোলাগার ঝংকার সৃষ্টি করে। আত্মার ধন সন্তানই মা-বাবার পৃথিবীজুড়ে নয়া জগৎ তৈরি করে। সন্তান আল্লাহর সেরা উপহার। কারও একসঙ্গে দুই সন্তান হচ্ছে। কারও ছেলে, কারও মেয়ে। কারও উভয়টিই ছেলে কিংবা বিপরীত। কেউ আবার নিঃসন্তান। মানুষের মধ্যে এই পার্থক্য আল্লাহর নিদর্শন। আল্লাহর নির্ধারিত এই বৈচিত্র্য পরিবর্তনের ক্ষমতা কারও নেই। আল্লাহ বলেন, ‘...তিনি যাকে ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদের দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন...।’ (সুরা শুরা: ৪৯-৫০) 

কন্যাসন্তান আল্লাহর অনন্য নেয়ামত
সুরা জুখরুফের ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তাদের কাউকে যখন সংবাদ দেওয়া হয় সেই সন্তানের (কন্যা) যা তারা দয়াময় আল্লাহর প্রতি আরোপ করে, তখন তার মুখমণ্ডলে কালিমা ছেয়ে যায়, আর মন দুঃখ বেদনায় ভরে যায়।’ 

জাহেলি যুগে কন্যাসন্তান হলে বাবাদের মুখ কালো হয়ে যেত। কন্যা সন্তানকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলত। ইসলাম এমন ঘৃণ্য কাজকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। নারীকে সম্মানের আসনে আসীন করেছে। কন্যাসন্তানের বাবা-মা হওয়ার অসংখ্য ফজিলত বর্ণনা করেছে। 

একালেও দেখা যায় কন্যাসন্তান হলে অনেকেই মন খারাপ করে। ছেলে না হওয়ায় স্ত্রীকে নানা কথা শোনায়। বিপরীতে ছেলেসন্তান হলে আনন্দের মিছিল পড়ে যায়। এই বৈষম্য স্পষ্ট গুনাহ। কন্যারা আল্লাহর অনন্য নেয়ামত। রাসুল (সা.) মেয়েদের অনেক বেশি ভালোবাসতেন। 

সুরা দুখানের বিষয়বস্তু
মক্কায় অবতীর্ণ ৫৯ আয়াতবিশিষ্ট সুরা দুখান। দুখান অর্থ ধোঁয়া। মক্কার মুশরিকেরা দুর্ভিক্ষের দিনে যে ধোঁয়াচ্ছন্ন অবস্থা দেখতে পেয়েছিল, ১০ নম্বর আয়াতে তার বিবরণ রয়েছে। তাই একে সুরা দুখান বলা হয়। এ সুরায় কোরআনের মহত্ত্ব, কোরআন নাজিলের ঘটনা, আল্লাহর একত্ববাদ ও সৃষ্টি জগতে আল্লাহর মহত্ত্বের নানা নিদর্শন, কোরআন ও পুনরুত্থান দিবস সম্পর্কে কাফেরদের সন্দেহ, মুসা (আ.)-এর বিরুদ্ধাচরণে বনি ইসরাইলের পরিণাম, কাফেরদের পরিণতি ও শাস্তি, সৃষ্টি জগতের অস্তিত্ব উদ্দেশ্যবিহীন না হওয়া, কিয়ামতের দিন বন্ধু বন্ধুর উপকারে না আসা, দোজখবাসীর শাস্তি এবং খোদাভীরুদের পুরস্কার বেহেশত সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। 

সুরা জাসিয়ার বিষয়বস্তু
৩৭ আয়াত বিশিষ্ট মক্কায় অবতীর্ণ সুরা জাসিয়া। ‘জাসিয়া’ শব্দের অর্থ হাঁটু গেড়ে বসা। কিয়ামতের দিন মানুষ ভয়ে আল্লাহর দরবারে হাঁটু গেড়ে বসে পড়বে। সুরায় এ ভয়ানক অবস্থার বর্ণনা থাকার কারণে এটিকে জাসিয়া বলা হয়। সৃষ্টিজগতের নিদর্শন, কাফেরদের পরিণাম, বনি ইসরাইলকে দেওয়া আল্লাহর নেয়ামত, নেয়ামতের কদর না করায় তাদের ওপর শাস্তি ও কিয়ামত ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে এ সুরায়।

এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে আল্লাহর অনুগ্রহ, জান্নাত-জাহান্নম, গুনাহের কারণে বিপদ, অবাধ্য জাতির পরিণতি, জাহেলি যুগের ঘৃণ্য প্রথা, আল্লাহর রহমত, আরবি ভাষায় কোরআন নাজিল ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে। 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৪ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৬ মিনিট
ফজর০৫: ১৭ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
জোহর১১: ৫৯ মিনিট০৩: ৪২ মিনিট
আসর০৩: ৪৩ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট
মাগরিব০৫: ২০ মিনিট০৬: ৩৮ মিনিট
এশা০৬: ৩৯ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)

নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।

পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)

অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৬ মিনিট
ফজর০৫: ১৭ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
জোহর১১: ৫৯ মিনিট০৩: ৪১ মিনিট
আসর০৩: ৪২ মিনিট০৫: ১৭ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৮ মিনিট
এশা০৬: ৩৯ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজানের আগে নামাজ আদায় করা যাবে কি

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)

নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)

প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত