আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড মার্কিন মানসে এক দগদগে ক্ষত হয়ে রয়ে গেছে। সেই মুহূর্তের প্রচণ্ড ধাক্কা রিচার্ড ও’কনেলের কবিতা ‘নেক্রোসে’ চিত্রিত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘মাথাটি পেছনের দিকে ঝুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, রক্তে ভেসে যাচ্ছে খুলি...।’ ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বরের ডালাসের ডিলি প্লাজায় সেই ভয়াবহ কয়েক সেকেন্ড এক রহস্য রেখে গেছে, যা এখনো সমাধান হয়নি। এমনকি সদ্য প্রকাশিত ৮০ হাজার নথির পরও সেই রহস্য অনুদ্ঘাটিত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত নথির প্রকাশ নতুন করে সেদিনের ঘটনাগুলো নিয়ে জল্পনা-কল্পনা উসকে দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জেএফকে সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস সফরকালে ট্রাম্প আমেরিকানদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের জানার জন্য অনেক কিছুই আছে এতে।’ এবং তিনি জানান, তাঁর প্রশাসন কোনো তথ্য গোপন রাখবে না।
এর আগে, ২০১৭ সালে ট্রাম্প অতিরিক্ত নথি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে হাজারো নথির কিছু অংশ অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কেনেডি হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি রবার্ট এফ. কেনেডি ও মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত বাকি সব নথি প্রকাশের নির্দেশ দেন।
সর্বশেষ প্রকাশিত নথিপত্রের অংশ হিসেবে নতুনভাবে চিহ্নিত ১ হাজার ১২৩টি ফাইল প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষক ও বিশ্লেষকেরা এখন এসব নথি পর্যালোচনা করে নতুন তথ্য অনুসন্ধান করছেন।
জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের রাতেই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জে গ্যারেট আন্ডারহিল আতঙ্কিত অবস্থায় ওয়াশিংটন ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি নিউজার্সিতে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি স্পষ্টতই ভীত ও বিচলিত ছিলেন। প্রকাশিত নথিতে পাওয়া এক মেমো অনুযায়ী, আন্ডারহিল অভিযোগ করেন যে, সিআইএর ভেতরের একটি ‘ছোট গোষ্ঠী’ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।
প্রকাশিত নথির তথ্য অনুসারে, আন্ডারহিল নাকি তাঁর বন্ধু শার্লিন ফিটসিমন্সকে বলেছিলেন, জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের পেছনে সিআইএ যুক্ত ছিল। তিনি বলেন, ‘(লি হার্ভে) অসওয়াল্ড স্রেফ বলির পাঁঠা।’ আন্ডারহিল দাবি করেন, প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীরা ‘ভয়ংকর কিছু একটা করেছে’ এবং তাঁরা অস্ত্র চোরাচালান, মাদক ব্যবসা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
পরিচিত সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, পরামর্শক এবং সামরিক বিষয়ে লেখক হিসেবে আন্ডারহিলের অতীত তাঁর আশঙ্কাকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। ১৯৬৭ সালের ১৯ জুলাই তারিখের এক নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যেসব বন্ধুর কাছে আন্ডারহিল গিয়েছিলেন, তারা বলেছেন, তিনি তখন নেশাগ্রস্ত ছিলেন না, কিন্তু প্রবলভাবে আতঙ্কিত ছিলেন। তাঁরা জানান, আন্ডারহিল দাবি করেছিলেন যে, অস্ত্র চোরাচালান, মাদক ব্যবসা এবং অন্যান্য অবৈধ কাজে জড়িত সিআইএর একটি চক্র, যারা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছিল, তারাই কেনেডিকে হত্যা করেছে। নাকি কেনেডি এই অনিয়মের কথা জানতে পেরেছিলেন এবং এ সম্পর্কে প্রকাশ্যে বলার আগেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল।’
যদিও বন্ধুরা সব সময় আন্ডারহিলকে সম্পূর্ণ বাস্তববাদী ও যুক্তিবাদী বলে চিনতেন, প্রথমে তারা তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দেননি। এ বিষয়ে নথিতে বলা হয়, তাঁর এক বন্ধু বলেন, ‘আমার মনে হয়, এর প্রধান কারণ ছিল—আমরা বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে, সিআইএর ভেতরে এমন একটি দুর্নীতিগ্রস্ত গোষ্ঠী থাকতে পারে, যারা মাফিয়ার মতোই নির্মম এবং আরও দক্ষ।’
প্রাণের ভয়ে আন্ডারহিল কেনেডি হত্যাকাণ্ডের পরপরই ওয়াশিংটন ছেড়ে পালিয়ে যান এবং তাঁর বন্ধুদের জানান, তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হতে পারেন। তবে এর ছয় মাসেরও কম সময় পর ১৯৬৪ সালের ৮ মে আন্ডারহিলকে ওয়াশিংটনে তাঁর নিজ অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর মাথা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছিল। সরকারিভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ঘোষণা করা হলেও বেশ কিছু অসংগতি নানা গুজবকে উসকে দিয়েছে। যেমন— তিনি ডানহাতি হওয়া সত্ত্বেও তাঁর মাথার বাম কানের পেছনে গুলি কীভাবে হলো?
আন্ডারহিলের মৃতদেহ প্রথম দেখতে পান দ্য নিউ রিপাবলিকের এক ব্যক্তি—অ্যাশার ব্রাইনস। প্রকাশিত গোপন নথিতে বলা হয়েছে, ‘আন্ডারহিলের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ঘোষণা দেওয়া মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাঁর দেহ আবিষ্কার করেন তাঁর লেখালেখির সহযোগী দ্য নিউ রিপাবলিকে অ্যাশার ব্রাইনস।’
নথিতে বলা হয়, ‘তাঁর (আন্ডারহিল) মাথার বাঁ কানের পেছনে গুলি লেগেছিল, আর একটি অটোমেটিক পিস্তল পাওয়া যায় তাঁর শরীরের বাঁ পাশে। বিষয়টি অদ্ভুত। কারণ ব্রাইনস জানান, আন্ডারহিল ছিলেন ডানহাতি। ব্রাইনসের ধারণা, ওই পিস্তলে সাইলেন্সার লাগানো ছিল, কারণ ওই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বাসিন্দারা কোনো গুলির শব্দ শোনেননি। দেখা যাচ্ছে, আন্ডারহিল কয়েক দিন আগেই মারা গিয়েছিলেন।’
১৯১৫ সালে ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণ করা আন্ডারহিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোয়েন্দা জগতে প্রবেশ করেন। সামরিক গোয়েন্দা বিভাগে (এমআইএস) তাঁর কাজের জন্য তাঁকে যুদ্ধ বিভাগ থেকে দক্ষতার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। যুদ্ধের পর সিআইএ তাঁকে নিয়োগের বিষয়ে বিবেচনা করলেও নথিপত্রে দেখা যায়, তাঁকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয় এবং সীমিত মাত্রায় গোপন তথ্যের প্রবেশাধিকার দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি আন্ডারহিল সাংবাদিক ও পরামর্শক হিসেবে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি ‘লাইফ’ ও ‘এসকোয়ার’ পত্রিকায় লিখতেন এবং প্রায়শই মার্কিন সামরিক প্রস্তুতির সমালোচনা করতেন। তাঁর সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর যোগাযোগ অব্যাহত ছিল, বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে। তিনি একবার এফবিআই এবং সিআইএকে হারমান অ্যাক্সেলব্যাঙ্ক সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন। এই ব্যক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক সরঞ্জাম ও স্থাপনার ছবি বিক্রি করতেন।
নতুন প্রকাশিত নথিগুলো লি হার্ভে ওসওয়াল্ডের ভূমিকা নিয়ে আগের সন্দেহগুলোকেই আরও জোরদার করেছে। সরকারিভাবে বলা হয়, ওসওয়াল্ড একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। কিন্তু এই বক্তব্যের অসংগতি আছে। গুলির সময়কাল, বুলেটের গতিপথ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য থেকে দ্বিতীয় একজন বন্দুকধারীর সম্ভাবনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
ডালাসের ডিলে প্লাজায় প্রেসিডেন্ট কেনেডি ও তাঁর গাড়িবহরের ওপর হামলার মুহূর্ত ধারণকারী কোম্পানি জাপ্রুডার ফিল্মের চিত্র থেকে দেখা যায় যে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কেনেডির মাথা পেছনের দিকে নড়ে যায়। অথচ, প্রচলিত ধারণা, গুলিগুলো পেছন থেকে করা হয়েছিল।
ওসওয়াল্ডের অতীত রহস্য আরও ঘনীভূত করে। সাবেক মেরিন সদস্য ওসওয়াল্ড ১৯৫৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালিয়ে যান। পরে তিনি এক রুশ নারীকে বিয়ে করে তাঁকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন। তাঁর সঙ্গে কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোপন্থী ও বিরোধী উভয় গোষ্ঠীর যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ আছে। পাশাপাশি কেনেডি হত্যাকাণ্ডের আগে থেকেই তাঁকে সিআইএ ও এফবিআই নজরদারিতে রেখেছিল। এসব কারণেই অনেকে সন্দেহ করেন যে, তিনি একা কাজ করেননি।
সম্প্রতি নবগঠিত টাস্কফোর্স অন দ্য ডিক্লাসিফিকেশন অব ফেডারেল সিক্রেটসের প্রধান আনা পলিনা লুনা ‘দুজন বন্দুকধারী’ তত্ত্বকে সমর্থন করেছেন। তাঁর এই অবস্থান বহুদিন ধরে প্রচলিত ওয়ারেন কমিশনের উপসংহারকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।
প্রকাশিত নথিপত্রে স্যামুয়েল জর্জ কামিংস নামে এক ব্যক্তির বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। কামিংস অস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সংযোগ ছিল। তিনি সিআইএ-তে অস্ত্র বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন এবং বিদেশি অস্ত্র কেনা ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নথিপত্রে উল্লেখ আছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতেন, যার মধ্যে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থা বিএনডি অন্যতম। এমনকি তিনি কিউবা বিরোধী গোপন অস্ত্র চুক্তির সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
কামিংসের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল আর্মামেন্ট করপোরেশন (ইন্টারার্মকো) বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করত। যদিও জন এফ. কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সরাসরি কোনো সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে তাঁর কার্যক্রম ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বরের একটি ঘটনার পটভূমি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আরেকটি দীর্ঘদিনের রহস্য হলো কেন জ্যাক রুবি। তিনি ডালাসের এক নাইটক্লাব মালিক। তাঁর সংগঠিত অপরাধচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ছিল। কেনেডি হত্যার দুই দিন পর তিনি ওসওয়াল্ডকে গুলি করেছেন। যদিও রুবি দাবি করেছিলেন, তিনি শোকের বশে এটি করেছেন, তবে সন্দেহবাদীরা মনে করেন, তিনি ওসওয়াল্ডকে চুপ করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, যাতে সে আরও তথ্য প্রকাশ করতে না পারে।
রুবির বিচার এবং কারাগারে থাকার সময় ক্যানসারে তাঁর মৃত্যুর ঘটনা সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। রহস্য আরও ঘনীভূত হয় যখন জানা যায় যে, কারাগারে রুবির চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ডাক্তারদের একজন লুইস জোলিয়ন ওয়েস্ট ছিলেন সিআইএ-এর মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প ‘এমকেআল্ট্রা’—এর সঙ্গে জড়িত গবেষক।
জেএফকে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বস্তুগত প্রমাণ এখনো বিতর্কিত রয়ে গেছে। বিশেষ করে ‘ম্যাজিক বুলেট’ তত্ত্ব। যেখানে দাবি করা হয় যে, একটি মাত্র গুলি প্রেসিডেন্ট কেনেডি এবং টেক্সাসের গভর্নর জন কনেলিকে একসঙ্গে আঘাত করেছিল—এই ধারণাকে বহু বিশ্লেষক অবিশ্বাস্য বলে মনে করেন।
এনডিটিভি থেকে অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহ-সম্পাদক আব্দুর রহমান

জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড মার্কিন মানসে এক দগদগে ক্ষত হয়ে রয়ে গেছে। সেই মুহূর্তের প্রচণ্ড ধাক্কা রিচার্ড ও’কনেলের কবিতা ‘নেক্রোসে’ চিত্রিত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘মাথাটি পেছনের দিকে ঝুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, রক্তে ভেসে যাচ্ছে খুলি...।’ ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বরের ডালাসের ডিলি প্লাজায় সেই ভয়াবহ কয়েক সেকেন্ড এক রহস্য রেখে গেছে, যা এখনো সমাধান হয়নি। এমনকি সদ্য প্রকাশিত ৮০ হাজার নথির পরও সেই রহস্য অনুদ্ঘাটিত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত নথির প্রকাশ নতুন করে সেদিনের ঘটনাগুলো নিয়ে জল্পনা-কল্পনা উসকে দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জেএফকে সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস সফরকালে ট্রাম্প আমেরিকানদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের জানার জন্য অনেক কিছুই আছে এতে।’ এবং তিনি জানান, তাঁর প্রশাসন কোনো তথ্য গোপন রাখবে না।
এর আগে, ২০১৭ সালে ট্রাম্প অতিরিক্ত নথি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে হাজারো নথির কিছু অংশ অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কেনেডি হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি রবার্ট এফ. কেনেডি ও মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত বাকি সব নথি প্রকাশের নির্দেশ দেন।
সর্বশেষ প্রকাশিত নথিপত্রের অংশ হিসেবে নতুনভাবে চিহ্নিত ১ হাজার ১২৩টি ফাইল প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষক ও বিশ্লেষকেরা এখন এসব নথি পর্যালোচনা করে নতুন তথ্য অনুসন্ধান করছেন।
জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের রাতেই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জে গ্যারেট আন্ডারহিল আতঙ্কিত অবস্থায় ওয়াশিংটন ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি নিউজার্সিতে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি স্পষ্টতই ভীত ও বিচলিত ছিলেন। প্রকাশিত নথিতে পাওয়া এক মেমো অনুযায়ী, আন্ডারহিল অভিযোগ করেন যে, সিআইএর ভেতরের একটি ‘ছোট গোষ্ঠী’ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।
প্রকাশিত নথির তথ্য অনুসারে, আন্ডারহিল নাকি তাঁর বন্ধু শার্লিন ফিটসিমন্সকে বলেছিলেন, জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের পেছনে সিআইএ যুক্ত ছিল। তিনি বলেন, ‘(লি হার্ভে) অসওয়াল্ড স্রেফ বলির পাঁঠা।’ আন্ডারহিল দাবি করেন, প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীরা ‘ভয়ংকর কিছু একটা করেছে’ এবং তাঁরা অস্ত্র চোরাচালান, মাদক ব্যবসা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
পরিচিত সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, পরামর্শক এবং সামরিক বিষয়ে লেখক হিসেবে আন্ডারহিলের অতীত তাঁর আশঙ্কাকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। ১৯৬৭ সালের ১৯ জুলাই তারিখের এক নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যেসব বন্ধুর কাছে আন্ডারহিল গিয়েছিলেন, তারা বলেছেন, তিনি তখন নেশাগ্রস্ত ছিলেন না, কিন্তু প্রবলভাবে আতঙ্কিত ছিলেন। তাঁরা জানান, আন্ডারহিল দাবি করেছিলেন যে, অস্ত্র চোরাচালান, মাদক ব্যবসা এবং অন্যান্য অবৈধ কাজে জড়িত সিআইএর একটি চক্র, যারা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছিল, তারাই কেনেডিকে হত্যা করেছে। নাকি কেনেডি এই অনিয়মের কথা জানতে পেরেছিলেন এবং এ সম্পর্কে প্রকাশ্যে বলার আগেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল।’
যদিও বন্ধুরা সব সময় আন্ডারহিলকে সম্পূর্ণ বাস্তববাদী ও যুক্তিবাদী বলে চিনতেন, প্রথমে তারা তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দেননি। এ বিষয়ে নথিতে বলা হয়, তাঁর এক বন্ধু বলেন, ‘আমার মনে হয়, এর প্রধান কারণ ছিল—আমরা বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে, সিআইএর ভেতরে এমন একটি দুর্নীতিগ্রস্ত গোষ্ঠী থাকতে পারে, যারা মাফিয়ার মতোই নির্মম এবং আরও দক্ষ।’
প্রাণের ভয়ে আন্ডারহিল কেনেডি হত্যাকাণ্ডের পরপরই ওয়াশিংটন ছেড়ে পালিয়ে যান এবং তাঁর বন্ধুদের জানান, তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হতে পারেন। তবে এর ছয় মাসেরও কম সময় পর ১৯৬৪ সালের ৮ মে আন্ডারহিলকে ওয়াশিংটনে তাঁর নিজ অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর মাথা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছিল। সরকারিভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ঘোষণা করা হলেও বেশ কিছু অসংগতি নানা গুজবকে উসকে দিয়েছে। যেমন— তিনি ডানহাতি হওয়া সত্ত্বেও তাঁর মাথার বাম কানের পেছনে গুলি কীভাবে হলো?
আন্ডারহিলের মৃতদেহ প্রথম দেখতে পান দ্য নিউ রিপাবলিকের এক ব্যক্তি—অ্যাশার ব্রাইনস। প্রকাশিত গোপন নথিতে বলা হয়েছে, ‘আন্ডারহিলের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ঘোষণা দেওয়া মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাঁর দেহ আবিষ্কার করেন তাঁর লেখালেখির সহযোগী দ্য নিউ রিপাবলিকে অ্যাশার ব্রাইনস।’
নথিতে বলা হয়, ‘তাঁর (আন্ডারহিল) মাথার বাঁ কানের পেছনে গুলি লেগেছিল, আর একটি অটোমেটিক পিস্তল পাওয়া যায় তাঁর শরীরের বাঁ পাশে। বিষয়টি অদ্ভুত। কারণ ব্রাইনস জানান, আন্ডারহিল ছিলেন ডানহাতি। ব্রাইনসের ধারণা, ওই পিস্তলে সাইলেন্সার লাগানো ছিল, কারণ ওই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বাসিন্দারা কোনো গুলির শব্দ শোনেননি। দেখা যাচ্ছে, আন্ডারহিল কয়েক দিন আগেই মারা গিয়েছিলেন।’
১৯১৫ সালে ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণ করা আন্ডারহিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোয়েন্দা জগতে প্রবেশ করেন। সামরিক গোয়েন্দা বিভাগে (এমআইএস) তাঁর কাজের জন্য তাঁকে যুদ্ধ বিভাগ থেকে দক্ষতার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। যুদ্ধের পর সিআইএ তাঁকে নিয়োগের বিষয়ে বিবেচনা করলেও নথিপত্রে দেখা যায়, তাঁকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয় এবং সীমিত মাত্রায় গোপন তথ্যের প্রবেশাধিকার দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি আন্ডারহিল সাংবাদিক ও পরামর্শক হিসেবে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি ‘লাইফ’ ও ‘এসকোয়ার’ পত্রিকায় লিখতেন এবং প্রায়শই মার্কিন সামরিক প্রস্তুতির সমালোচনা করতেন। তাঁর সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর যোগাযোগ অব্যাহত ছিল, বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে। তিনি একবার এফবিআই এবং সিআইএকে হারমান অ্যাক্সেলব্যাঙ্ক সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন। এই ব্যক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক সরঞ্জাম ও স্থাপনার ছবি বিক্রি করতেন।
নতুন প্রকাশিত নথিগুলো লি হার্ভে ওসওয়াল্ডের ভূমিকা নিয়ে আগের সন্দেহগুলোকেই আরও জোরদার করেছে। সরকারিভাবে বলা হয়, ওসওয়াল্ড একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। কিন্তু এই বক্তব্যের অসংগতি আছে। গুলির সময়কাল, বুলেটের গতিপথ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য থেকে দ্বিতীয় একজন বন্দুকধারীর সম্ভাবনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
ডালাসের ডিলে প্লাজায় প্রেসিডেন্ট কেনেডি ও তাঁর গাড়িবহরের ওপর হামলার মুহূর্ত ধারণকারী কোম্পানি জাপ্রুডার ফিল্মের চিত্র থেকে দেখা যায় যে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কেনেডির মাথা পেছনের দিকে নড়ে যায়। অথচ, প্রচলিত ধারণা, গুলিগুলো পেছন থেকে করা হয়েছিল।
ওসওয়াল্ডের অতীত রহস্য আরও ঘনীভূত করে। সাবেক মেরিন সদস্য ওসওয়াল্ড ১৯৫৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালিয়ে যান। পরে তিনি এক রুশ নারীকে বিয়ে করে তাঁকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন। তাঁর সঙ্গে কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোপন্থী ও বিরোধী উভয় গোষ্ঠীর যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ আছে। পাশাপাশি কেনেডি হত্যাকাণ্ডের আগে থেকেই তাঁকে সিআইএ ও এফবিআই নজরদারিতে রেখেছিল। এসব কারণেই অনেকে সন্দেহ করেন যে, তিনি একা কাজ করেননি।
সম্প্রতি নবগঠিত টাস্কফোর্স অন দ্য ডিক্লাসিফিকেশন অব ফেডারেল সিক্রেটসের প্রধান আনা পলিনা লুনা ‘দুজন বন্দুকধারী’ তত্ত্বকে সমর্থন করেছেন। তাঁর এই অবস্থান বহুদিন ধরে প্রচলিত ওয়ারেন কমিশনের উপসংহারকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।
প্রকাশিত নথিপত্রে স্যামুয়েল জর্জ কামিংস নামে এক ব্যক্তির বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। কামিংস অস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সংযোগ ছিল। তিনি সিআইএ-তে অস্ত্র বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন এবং বিদেশি অস্ত্র কেনা ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নথিপত্রে উল্লেখ আছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতেন, যার মধ্যে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থা বিএনডি অন্যতম। এমনকি তিনি কিউবা বিরোধী গোপন অস্ত্র চুক্তির সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
কামিংসের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল আর্মামেন্ট করপোরেশন (ইন্টারার্মকো) বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করত। যদিও জন এফ. কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সরাসরি কোনো সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে তাঁর কার্যক্রম ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বরের একটি ঘটনার পটভূমি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আরেকটি দীর্ঘদিনের রহস্য হলো কেন জ্যাক রুবি। তিনি ডালাসের এক নাইটক্লাব মালিক। তাঁর সংগঠিত অপরাধচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ছিল। কেনেডি হত্যার দুই দিন পর তিনি ওসওয়াল্ডকে গুলি করেছেন। যদিও রুবি দাবি করেছিলেন, তিনি শোকের বশে এটি করেছেন, তবে সন্দেহবাদীরা মনে করেন, তিনি ওসওয়াল্ডকে চুপ করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, যাতে সে আরও তথ্য প্রকাশ করতে না পারে।
রুবির বিচার এবং কারাগারে থাকার সময় ক্যানসারে তাঁর মৃত্যুর ঘটনা সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। রহস্য আরও ঘনীভূত হয় যখন জানা যায় যে, কারাগারে রুবির চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ডাক্তারদের একজন লুইস জোলিয়ন ওয়েস্ট ছিলেন সিআইএ-এর মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প ‘এমকেআল্ট্রা’—এর সঙ্গে জড়িত গবেষক।
জেএফকে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বস্তুগত প্রমাণ এখনো বিতর্কিত রয়ে গেছে। বিশেষ করে ‘ম্যাজিক বুলেট’ তত্ত্ব। যেখানে দাবি করা হয় যে, একটি মাত্র গুলি প্রেসিডেন্ট কেনেডি এবং টেক্সাসের গভর্নর জন কনেলিকে একসঙ্গে আঘাত করেছিল—এই ধারণাকে বহু বিশ্লেষক অবিশ্বাস্য বলে মনে করেন।
এনডিটিভি থেকে অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহ-সম্পাদক আব্দুর রহমান

প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
৩৭ মিনিট আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
২ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবালক হওয়ার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব (খতনা) পালন করতে গিয়ে গত দুই মাসে অন্তত ৪১ জন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত তরুণদের অধিকাংশই খতনাপরবর্তী সংক্রমণ ও ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪১ তরুণের মৃত্যুর পেছনে স্কুলগুলোর চরম অবহেলা ও অভিভাবকদের অসচেতনতাই দায়ী। তিনি জানান, যেসব স্কুলে খতনার অনুষ্ঠান হয়, তারা অনেক সময় তরুণদের পানি পান করতে বাধা দেয়। তাদের ধারণা, পানি না খেলে ক্ষত দ্রুত শুকাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে এটি মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী, যেসব স্কুলে খতনা করানো হয়, তাদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশটিতে প্রচুর অবৈধ স্কুল গড়ে উঠেছে, যেখানে ১৬ বছরের নিচেও খতনা করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর অধিকাংশ মৃত্যু এসব অনিবন্ধিত স্কুলেই ঘটেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আর কোনো খোঁজ নেন না বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা-ও তদারকি করেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশকে এই মৃত্যুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২১ জন তরুণ মারা গেছে। এ ছাড়া ফ্রি স্টেট প্রদেশে ১৩ জন এবং অন্যান্য এলাকায় আরও সাতজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা আরও জানান, অবৈধ স্কুলগুলোতে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সংক্রমণের শিকার হয়ে আরও প্রায় ২০০ জন তরুণ বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আফ্রিকান সংস্কৃতিতে ছেলেদের ঘর থেকে দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো অস্ত্রোপচার ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খতনা। উৎসব শেষে তরুণেরা যখন বাড়ি ফেরে, তখন বড় ধরনের উদ্যাপন করা হয়। তবে প্রতিবছরই এই ‘ম্যানহুড’ বা পুরুষত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় শত শত তরুণ পঙ্গুত্ববরণ করে কিংবা প্রাণ হারায়।
তবে দেশটির সরকার এবার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব অংশীদারকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন ডাকা হবে, যাতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবালক হওয়ার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব (খতনা) পালন করতে গিয়ে গত দুই মাসে অন্তত ৪১ জন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত তরুণদের অধিকাংশই খতনাপরবর্তী সংক্রমণ ও ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪১ তরুণের মৃত্যুর পেছনে স্কুলগুলোর চরম অবহেলা ও অভিভাবকদের অসচেতনতাই দায়ী। তিনি জানান, যেসব স্কুলে খতনার অনুষ্ঠান হয়, তারা অনেক সময় তরুণদের পানি পান করতে বাধা দেয়। তাদের ধারণা, পানি না খেলে ক্ষত দ্রুত শুকাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে এটি মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী, যেসব স্কুলে খতনা করানো হয়, তাদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশটিতে প্রচুর অবৈধ স্কুল গড়ে উঠেছে, যেখানে ১৬ বছরের নিচেও খতনা করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর অধিকাংশ মৃত্যু এসব অনিবন্ধিত স্কুলেই ঘটেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আর কোনো খোঁজ নেন না বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা-ও তদারকি করেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশকে এই মৃত্যুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২১ জন তরুণ মারা গেছে। এ ছাড়া ফ্রি স্টেট প্রদেশে ১৩ জন এবং অন্যান্য এলাকায় আরও সাতজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা আরও জানান, অবৈধ স্কুলগুলোতে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সংক্রমণের শিকার হয়ে আরও প্রায় ২০০ জন তরুণ বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আফ্রিকান সংস্কৃতিতে ছেলেদের ঘর থেকে দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো অস্ত্রোপচার ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খতনা। উৎসব শেষে তরুণেরা যখন বাড়ি ফেরে, তখন বড় ধরনের উদ্যাপন করা হয়। তবে প্রতিবছরই এই ‘ম্যানহুড’ বা পুরুষত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় শত শত তরুণ পঙ্গুত্ববরণ করে কিংবা প্রাণ হারায়।
তবে দেশটির সরকার এবার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব অংশীদারকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন ডাকা হবে, যাতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডের রাতেই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জে গ্যারেট আন্ডারহিল আতঙ্কিত অবস্থায় ওয়াশিংটন ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি নিউজার্সিতে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি স্পষ্টতই ভীত ও বিচলিত ছিলেন। প্রকাশিত নথিতে পাওয়া এক মেমো অনুযায়ী, আন্ডারহিল অভিযোগ করেন যে, সিআইএ-এর ভেতরের একটি ‘ছোট গোষ্ঠী’ ক
১৯ মার্চ ২০২৫
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
২ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডের রাতেই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জে গ্যারেট আন্ডারহিল আতঙ্কিত অবস্থায় ওয়াশিংটন ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি নিউজার্সিতে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি স্পষ্টতই ভীত ও বিচলিত ছিলেন। প্রকাশিত নথিতে পাওয়া এক মেমো অনুযায়ী, আন্ডারহিল অভিযোগ করেন যে, সিআইএ-এর ভেতরের একটি ‘ছোট গোষ্ঠী’ ক
১৯ মার্চ ২০২৫
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
৩৭ মিনিট আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
২ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডের রাতেই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জে গ্যারেট আন্ডারহিল আতঙ্কিত অবস্থায় ওয়াশিংটন ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি নিউজার্সিতে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি স্পষ্টতই ভীত ও বিচলিত ছিলেন। প্রকাশিত নথিতে পাওয়া এক মেমো অনুযায়ী, আন্ডারহিল অভিযোগ করেন যে, সিআইএ-এর ভেতরের একটি ‘ছোট গোষ্ঠী’ ক
১৯ মার্চ ২০২৫
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
৩৭ মিনিট আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে চলন্ত গাড়িতে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহিত ওই নারী রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় একটি গাড়ি থামে এবং দুজন যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু গাড়িটি তাঁর গন্তব্যের বদলে গুড়গাঁও সড়কের দিকে যেতে শুরু করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী নারী বারবার তাঁর বোনকে ফোন করছিলেন। পরে তাঁর বোন যখন ফিরতি ফোন করেন, তখন তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ট্রমায় ভুগছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীর বোন অভিযোগে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।
পুলিশ এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার ও অপরাধে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করেছে।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে চলন্ত গাড়িতে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহিত ওই নারী রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় একটি গাড়ি থামে এবং দুজন যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু গাড়িটি তাঁর গন্তব্যের বদলে গুড়গাঁও সড়কের দিকে যেতে শুরু করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী নারী বারবার তাঁর বোনকে ফোন করছিলেন। পরে তাঁর বোন যখন ফিরতি ফোন করেন, তখন তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ট্রমায় ভুগছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীর বোন অভিযোগে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।
পুলিশ এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার ও অপরাধে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করেছে।

জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডের রাতেই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জে গ্যারেট আন্ডারহিল আতঙ্কিত অবস্থায় ওয়াশিংটন ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি নিউজার্সিতে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি স্পষ্টতই ভীত ও বিচলিত ছিলেন। প্রকাশিত নথিতে পাওয়া এক মেমো অনুযায়ী, আন্ডারহিল অভিযোগ করেন যে, সিআইএ-এর ভেতরের একটি ‘ছোট গোষ্ঠী’ ক
১৯ মার্চ ২০২৫
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
৩৭ মিনিট আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
২ ঘণ্টা আগে