আজকের পত্রিকা ডেস্ক

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষমতা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় জানান, হার্ভার্ড ‘আইন মেনে না চলায়’ তাদের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম সনদ বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, ‘এটি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হোক।’
এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রশাসনের দ্বন্দ্ব আরও গভীর হলো।
এদিকে এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের চাই। এ ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে তাঁরা। হার্ভার্ড ও এই দেশকে অসামান্যভাবে সমৃদ্ধ করে এই শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা।’
হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘আমরা দ্রুত আমাদের কমিউনিটির সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহায়তা দিতে কাজ করছি। এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হার্ভার্ড কমিউনিটি ও আমাদের দেশের ওপর গভীর ক্ষতির হুমকি তৈরি করেছে। পাশাপাশি, হার্ভার্ডের শিক্ষা ও গবেষণা মিশনকেও দুর্বল করছে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে সেখানে ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল, যা শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যার ২৭ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা তৈরি হয়। কারণ, এই সিদ্ধান্তে তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী সারা ডেভিস বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে আছি। খবরটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন আমরা অনেকেই মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে হার্ভার্ড থেকে গ্র্যাজুয়েশন করতে যাচ্ছি। এখন স্পষ্টতই আমরা কেউই নিশ্চিত নই, যুক্তরাষ্ট্রে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে পারব কি না।
হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ককাসের প্রেসিডেন্ট সারা আরও বলেন, ‘আমরা সবাই শুধু বসে আছি, দেখছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আদৌ কোনো বার্তা আসে কি না।’
সুইডেন থেকে আসা স্নাতক শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী লিও গারডেন বলেন, হার্ভার্ডে ভর্তির চিঠি পাওয়ার দিনটি ছিল তাঁর জীবনের সেরা দিন। এখন গ্র্যাজুয়েশন মাত্র কয়েক দিন দূরে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হবে—তিনি তা কল্পনাও করেননি।
গারডেন বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের এখন হোয়াইট হাউজ ও হার্ভার্ডের দ্বন্দ্বে জুয়া খেলার মোহরার মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা ভীষণ অবমাননাকর।’
দেশজুড়ে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ছাড়ও আদায় করেছে তারা। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই চাপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা জানায়, প্রশাসনের পাঠানো একটি দীর্ঘ দাবির তালিকার পর তারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করবে। পরবর্তীতে হোয়াইট হাউজ দাবি করে, তালিকাটি ‘ভুলবশত’ পাঠানো হয়েছিল।
প্রশাসন হার্ভার্ডের নিয়োগ, ভর্তি ও পাঠদানের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার দাবি জানায়, যাতে ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ করা যায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের করমুক্ত মর্যাদা বাতিলের হুমকি দেয় এবং সরকারি অনুদানের বিলিয়ন ডলার ফান্ড স্থগিত করার কথাও জানায়।
হার্ভার্ড জানিয়েছিল, তারা ইতিমধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, সরকারের এসব দাবি আসলে তাদের ‘বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশ’ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।
তবে এই দ্বন্দ্ব থেমে থাকেনি। বরং তা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিএইচএস) এরপর হার্ভার্ডকে সতর্ক করে জানায়, যদি তারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশি শিক্ষার্থীবিষয়ক নিয়মনীতি মেনে না চলে, তবে তাদের বিদেশি শিক্ষার্থী রাখার অনুমতি বাতিল করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে সেই হুমকি বাস্তবায়ন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, হার্ভার্ডের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (এসইভিপি) অ্যাক্সেস বাতিল করা হয়েছে। এর মানে হলো, ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ড আর ‘এফ’ বা ‘জে’ শ্রেণির নন-ইমিগ্রান্ট ভিসাধারী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। এ ধরনের ভিসায় থাকা শিক্ষার্থীদের বৈধতা বজায় রাখতে হলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর হতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, হার্ভার্ডকে ৭২ ঘণ্টার সময় দেওয়া হচ্ছে—প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী তালিকা পূরণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় আবার বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার ‘সুযোগ’ পেতে পারে।
এই তালিকায় রয়েছে—গত পাঁচ বছরে হার্ভার্ডে ভর্তি থাকা নন-ইমিগ্রান্ট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নথি সরকারকে দিতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নন-ইমিগ্রান্ট শিক্ষার্থীদের দ্বারা সংঘটিত কোনো ‘অবৈধ’, ‘বিপজ্জনক’ বা ‘হিংসাত্মক’ কর্মকাণ্ডের ভিডিও, অডিও বা ইলেকট্রনিক রেকর্ডও চাওয়া হয়েছে।
সুইডেন থেকে আসা লিও গার্ডেন বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি কারণ আমেরিকা যে মূল্যবোধে বিশ্বাস করে—মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শিক্ষাগত স্বাধীনতা এবং একটি প্রাণবন্ত বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ—সেগুলোর প্রতি আমাদের আস্থা ছিল। আর এখন ট্রাম্প এসব মূল্যবোধের ওপরই হুমকি সৃষ্টি করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থী ছাড়া হার্ভার্ড আর হার্ভার্ড থাকে না।’

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষমতা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় জানান, হার্ভার্ড ‘আইন মেনে না চলায়’ তাদের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম সনদ বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, ‘এটি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হোক।’
এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রশাসনের দ্বন্দ্ব আরও গভীর হলো।
এদিকে এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের চাই। এ ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে তাঁরা। হার্ভার্ড ও এই দেশকে অসামান্যভাবে সমৃদ্ধ করে এই শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা।’
হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘আমরা দ্রুত আমাদের কমিউনিটির সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহায়তা দিতে কাজ করছি। এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হার্ভার্ড কমিউনিটি ও আমাদের দেশের ওপর গভীর ক্ষতির হুমকি তৈরি করেছে। পাশাপাশি, হার্ভার্ডের শিক্ষা ও গবেষণা মিশনকেও দুর্বল করছে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে সেখানে ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল, যা শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যার ২৭ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা তৈরি হয়। কারণ, এই সিদ্ধান্তে তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী সারা ডেভিস বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে আছি। খবরটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন আমরা অনেকেই মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে হার্ভার্ড থেকে গ্র্যাজুয়েশন করতে যাচ্ছি। এখন স্পষ্টতই আমরা কেউই নিশ্চিত নই, যুক্তরাষ্ট্রে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে পারব কি না।
হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ককাসের প্রেসিডেন্ট সারা আরও বলেন, ‘আমরা সবাই শুধু বসে আছি, দেখছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আদৌ কোনো বার্তা আসে কি না।’
সুইডেন থেকে আসা স্নাতক শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী লিও গারডেন বলেন, হার্ভার্ডে ভর্তির চিঠি পাওয়ার দিনটি ছিল তাঁর জীবনের সেরা দিন। এখন গ্র্যাজুয়েশন মাত্র কয়েক দিন দূরে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হবে—তিনি তা কল্পনাও করেননি।
গারডেন বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের এখন হোয়াইট হাউজ ও হার্ভার্ডের দ্বন্দ্বে জুয়া খেলার মোহরার মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা ভীষণ অবমাননাকর।’
দেশজুড়ে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ছাড়ও আদায় করেছে তারা। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই চাপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা জানায়, প্রশাসনের পাঠানো একটি দীর্ঘ দাবির তালিকার পর তারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করবে। পরবর্তীতে হোয়াইট হাউজ দাবি করে, তালিকাটি ‘ভুলবশত’ পাঠানো হয়েছিল।
প্রশাসন হার্ভার্ডের নিয়োগ, ভর্তি ও পাঠদানের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার দাবি জানায়, যাতে ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ করা যায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের করমুক্ত মর্যাদা বাতিলের হুমকি দেয় এবং সরকারি অনুদানের বিলিয়ন ডলার ফান্ড স্থগিত করার কথাও জানায়।
হার্ভার্ড জানিয়েছিল, তারা ইতিমধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, সরকারের এসব দাবি আসলে তাদের ‘বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশ’ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।
তবে এই দ্বন্দ্ব থেমে থাকেনি। বরং তা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিএইচএস) এরপর হার্ভার্ডকে সতর্ক করে জানায়, যদি তারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশি শিক্ষার্থীবিষয়ক নিয়মনীতি মেনে না চলে, তবে তাদের বিদেশি শিক্ষার্থী রাখার অনুমতি বাতিল করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে সেই হুমকি বাস্তবায়ন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, হার্ভার্ডের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (এসইভিপি) অ্যাক্সেস বাতিল করা হয়েছে। এর মানে হলো, ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ড আর ‘এফ’ বা ‘জে’ শ্রেণির নন-ইমিগ্রান্ট ভিসাধারী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। এ ধরনের ভিসায় থাকা শিক্ষার্থীদের বৈধতা বজায় রাখতে হলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর হতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, হার্ভার্ডকে ৭২ ঘণ্টার সময় দেওয়া হচ্ছে—প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী তালিকা পূরণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় আবার বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার ‘সুযোগ’ পেতে পারে।
এই তালিকায় রয়েছে—গত পাঁচ বছরে হার্ভার্ডে ভর্তি থাকা নন-ইমিগ্রান্ট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নথি সরকারকে দিতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নন-ইমিগ্রান্ট শিক্ষার্থীদের দ্বারা সংঘটিত কোনো ‘অবৈধ’, ‘বিপজ্জনক’ বা ‘হিংসাত্মক’ কর্মকাণ্ডের ভিডিও, অডিও বা ইলেকট্রনিক রেকর্ডও চাওয়া হয়েছে।
সুইডেন থেকে আসা লিও গার্ডেন বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি কারণ আমেরিকা যে মূল্যবোধে বিশ্বাস করে—মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শিক্ষাগত স্বাধীনতা এবং একটি প্রাণবন্ত বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ—সেগুলোর প্রতি আমাদের আস্থা ছিল। আর এখন ট্রাম্প এসব মূল্যবোধের ওপরই হুমকি সৃষ্টি করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থী ছাড়া হার্ভার্ড আর হার্ভার্ড থাকে না।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষমতা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় জানান, হার্ভার্ড ‘আইন মেনে না চলায়’ তাদের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম সনদ বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, ‘এটি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হোক।’
এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রশাসনের দ্বন্দ্ব আরও গভীর হলো।
এদিকে এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের চাই। এ ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে তাঁরা। হার্ভার্ড ও এই দেশকে অসামান্যভাবে সমৃদ্ধ করে এই শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা।’
হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘আমরা দ্রুত আমাদের কমিউনিটির সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহায়তা দিতে কাজ করছি। এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হার্ভার্ড কমিউনিটি ও আমাদের দেশের ওপর গভীর ক্ষতির হুমকি তৈরি করেছে। পাশাপাশি, হার্ভার্ডের শিক্ষা ও গবেষণা মিশনকেও দুর্বল করছে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে সেখানে ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল, যা শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যার ২৭ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা তৈরি হয়। কারণ, এই সিদ্ধান্তে তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী সারা ডেভিস বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে আছি। খবরটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন আমরা অনেকেই মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে হার্ভার্ড থেকে গ্র্যাজুয়েশন করতে যাচ্ছি। এখন স্পষ্টতই আমরা কেউই নিশ্চিত নই, যুক্তরাষ্ট্রে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে পারব কি না।
হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ককাসের প্রেসিডেন্ট সারা আরও বলেন, ‘আমরা সবাই শুধু বসে আছি, দেখছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আদৌ কোনো বার্তা আসে কি না।’
সুইডেন থেকে আসা স্নাতক শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী লিও গারডেন বলেন, হার্ভার্ডে ভর্তির চিঠি পাওয়ার দিনটি ছিল তাঁর জীবনের সেরা দিন। এখন গ্র্যাজুয়েশন মাত্র কয়েক দিন দূরে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হবে—তিনি তা কল্পনাও করেননি।
গারডেন বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের এখন হোয়াইট হাউজ ও হার্ভার্ডের দ্বন্দ্বে জুয়া খেলার মোহরার মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা ভীষণ অবমাননাকর।’
দেশজুড়ে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ছাড়ও আদায় করেছে তারা। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই চাপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা জানায়, প্রশাসনের পাঠানো একটি দীর্ঘ দাবির তালিকার পর তারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করবে। পরবর্তীতে হোয়াইট হাউজ দাবি করে, তালিকাটি ‘ভুলবশত’ পাঠানো হয়েছিল।
প্রশাসন হার্ভার্ডের নিয়োগ, ভর্তি ও পাঠদানের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার দাবি জানায়, যাতে ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ করা যায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের করমুক্ত মর্যাদা বাতিলের হুমকি দেয় এবং সরকারি অনুদানের বিলিয়ন ডলার ফান্ড স্থগিত করার কথাও জানায়।
হার্ভার্ড জানিয়েছিল, তারা ইতিমধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, সরকারের এসব দাবি আসলে তাদের ‘বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশ’ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।
তবে এই দ্বন্দ্ব থেমে থাকেনি। বরং তা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিএইচএস) এরপর হার্ভার্ডকে সতর্ক করে জানায়, যদি তারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশি শিক্ষার্থীবিষয়ক নিয়মনীতি মেনে না চলে, তবে তাদের বিদেশি শিক্ষার্থী রাখার অনুমতি বাতিল করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে সেই হুমকি বাস্তবায়ন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, হার্ভার্ডের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (এসইভিপি) অ্যাক্সেস বাতিল করা হয়েছে। এর মানে হলো, ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ড আর ‘এফ’ বা ‘জে’ শ্রেণির নন-ইমিগ্রান্ট ভিসাধারী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। এ ধরনের ভিসায় থাকা শিক্ষার্থীদের বৈধতা বজায় রাখতে হলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর হতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, হার্ভার্ডকে ৭২ ঘণ্টার সময় দেওয়া হচ্ছে—প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী তালিকা পূরণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় আবার বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার ‘সুযোগ’ পেতে পারে।
এই তালিকায় রয়েছে—গত পাঁচ বছরে হার্ভার্ডে ভর্তি থাকা নন-ইমিগ্রান্ট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নথি সরকারকে দিতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নন-ইমিগ্রান্ট শিক্ষার্থীদের দ্বারা সংঘটিত কোনো ‘অবৈধ’, ‘বিপজ্জনক’ বা ‘হিংসাত্মক’ কর্মকাণ্ডের ভিডিও, অডিও বা ইলেকট্রনিক রেকর্ডও চাওয়া হয়েছে।
সুইডেন থেকে আসা লিও গার্ডেন বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি কারণ আমেরিকা যে মূল্যবোধে বিশ্বাস করে—মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শিক্ষাগত স্বাধীনতা এবং একটি প্রাণবন্ত বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ—সেগুলোর প্রতি আমাদের আস্থা ছিল। আর এখন ট্রাম্প এসব মূল্যবোধের ওপরই হুমকি সৃষ্টি করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থী ছাড়া হার্ভার্ড আর হার্ভার্ড থাকে না।’

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষমতা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় জানান, হার্ভার্ড ‘আইন মেনে না চলায়’ তাদের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম সনদ বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, ‘এটি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হোক।’
এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রশাসনের দ্বন্দ্ব আরও গভীর হলো।
এদিকে এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের চাই। এ ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে তাঁরা। হার্ভার্ড ও এই দেশকে অসামান্যভাবে সমৃদ্ধ করে এই শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা।’
হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘আমরা দ্রুত আমাদের কমিউনিটির সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহায়তা দিতে কাজ করছি। এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হার্ভার্ড কমিউনিটি ও আমাদের দেশের ওপর গভীর ক্ষতির হুমকি তৈরি করেছে। পাশাপাশি, হার্ভার্ডের শিক্ষা ও গবেষণা মিশনকেও দুর্বল করছে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে সেখানে ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল, যা শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যার ২৭ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা তৈরি হয়। কারণ, এই সিদ্ধান্তে তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী সারা ডেভিস বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে আছি। খবরটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন আমরা অনেকেই মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে হার্ভার্ড থেকে গ্র্যাজুয়েশন করতে যাচ্ছি। এখন স্পষ্টতই আমরা কেউই নিশ্চিত নই, যুক্তরাষ্ট্রে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে পারব কি না।
হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ককাসের প্রেসিডেন্ট সারা আরও বলেন, ‘আমরা সবাই শুধু বসে আছি, দেখছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আদৌ কোনো বার্তা আসে কি না।’
সুইডেন থেকে আসা স্নাতক শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী লিও গারডেন বলেন, হার্ভার্ডে ভর্তির চিঠি পাওয়ার দিনটি ছিল তাঁর জীবনের সেরা দিন। এখন গ্র্যাজুয়েশন মাত্র কয়েক দিন দূরে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হবে—তিনি তা কল্পনাও করেননি।
গারডেন বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের এখন হোয়াইট হাউজ ও হার্ভার্ডের দ্বন্দ্বে জুয়া খেলার মোহরার মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা ভীষণ অবমাননাকর।’
দেশজুড়ে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ছাড়ও আদায় করেছে তারা। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই চাপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা জানায়, প্রশাসনের পাঠানো একটি দীর্ঘ দাবির তালিকার পর তারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করবে। পরবর্তীতে হোয়াইট হাউজ দাবি করে, তালিকাটি ‘ভুলবশত’ পাঠানো হয়েছিল।
প্রশাসন হার্ভার্ডের নিয়োগ, ভর্তি ও পাঠদানের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার দাবি জানায়, যাতে ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ করা যায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের করমুক্ত মর্যাদা বাতিলের হুমকি দেয় এবং সরকারি অনুদানের বিলিয়ন ডলার ফান্ড স্থগিত করার কথাও জানায়।
হার্ভার্ড জানিয়েছিল, তারা ইতিমধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, সরকারের এসব দাবি আসলে তাদের ‘বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশ’ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।
তবে এই দ্বন্দ্ব থেমে থাকেনি। বরং তা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিএইচএস) এরপর হার্ভার্ডকে সতর্ক করে জানায়, যদি তারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশি শিক্ষার্থীবিষয়ক নিয়মনীতি মেনে না চলে, তবে তাদের বিদেশি শিক্ষার্থী রাখার অনুমতি বাতিল করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে সেই হুমকি বাস্তবায়ন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, হার্ভার্ডের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (এসইভিপি) অ্যাক্সেস বাতিল করা হয়েছে। এর মানে হলো, ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ড আর ‘এফ’ বা ‘জে’ শ্রেণির নন-ইমিগ্রান্ট ভিসাধারী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। এ ধরনের ভিসায় থাকা শিক্ষার্থীদের বৈধতা বজায় রাখতে হলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর হতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, হার্ভার্ডকে ৭২ ঘণ্টার সময় দেওয়া হচ্ছে—প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী তালিকা পূরণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় আবার বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার ‘সুযোগ’ পেতে পারে।
এই তালিকায় রয়েছে—গত পাঁচ বছরে হার্ভার্ডে ভর্তি থাকা নন-ইমিগ্রান্ট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নথি সরকারকে দিতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নন-ইমিগ্রান্ট শিক্ষার্থীদের দ্বারা সংঘটিত কোনো ‘অবৈধ’, ‘বিপজ্জনক’ বা ‘হিংসাত্মক’ কর্মকাণ্ডের ভিডিও, অডিও বা ইলেকট্রনিক রেকর্ডও চাওয়া হয়েছে।
সুইডেন থেকে আসা লিও গার্ডেন বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি কারণ আমেরিকা যে মূল্যবোধে বিশ্বাস করে—মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শিক্ষাগত স্বাধীনতা এবং একটি প্রাণবন্ত বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ—সেগুলোর প্রতি আমাদের আস্থা ছিল। আর এখন ট্রাম্প এসব মূল্যবোধের ওপরই হুমকি সৃষ্টি করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থী ছাড়া হার্ভার্ড আর হার্ভার্ড থাকে না।’

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
১ ঘণ্টা আগে
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
৩ ঘণ্টা আগে
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৬ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীন তাদের সবচেয়ে দ্রুতগতির ম্যাগলেভ ট্রেনের মাধ্যমে নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। মাত্র দুই সেকেন্ডেই ট্রেনটির গতি উঠেছে ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটার। গতি এতটাই দ্রুত যে চোখের পলক ফেলতেই তা দৃষ্টির বাইরে চলে যায়।
চীনের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির গবেষকেরা এই ম্যাগনেটিক লেভিটেশন (ম্যাগলেভ) ট্রেনের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে প্রায় এক টন ওজনের যানকে এই অবিশ্বাস্য গতিতে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, ৪০০ মিটার (প্রায় ১ হাজার ৩১০ ফুট) দীর্ঘ ম্যাগলেভ ট্র্যাকে এই পরীক্ষা চালানো হয়। সর্বোচ্চ গতি অর্জনের পর ট্রেনটিকে নিরাপদে থামানো হয়। এর মধ্য দিয়ে এটি বিশ্বের দ্রুততম সুপারকন্ডাক্টিং বৈদ্যুতিক ম্যাগলেভ ট্রেন হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
পরীক্ষার ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রেনটি অনেকটা রুপালি বিদ্যুতের ঝলকের মতো চোখের নিমেষে বেরিয়ে যাচ্ছে। খালি চোখে এর গতি অনুসরণ করা প্রায় অসম্ভব এবং এটি পেছনে একটি হালকা কুয়াশার রেখা রেখে যায়। পুরো বিষয়টি দেখতে অনেকটা সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মতো মনে হয়।
ট্রেনটি সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগনেট বা শক্তিশালী চৌম্বক শক্তির সাহায্যে ট্র্যাকের ওপর ভেসে থাকে। কোনো স্পর্শ ছাড়াই এই চৌম্বক শক্তি ট্রেনটিকে ওপরে তুলে ধরে এবং সামনের দিকে ঠেলে দেয়।
এর ত্বরণ এতটাই শক্তিশালী যে এটি রকেট উৎক্ষেপণেও সক্ষম। এই গতিতে চললে ম্যাগলেভ ট্রেনগুলো দূরবর্তী শহরগুলোকে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সংযুক্ত করতে পারবে।
এই প্রযুক্তি হাইপারলুপের মতো ভবিষ্যৎ যাতায়াত ব্যবস্থার পথ প্রশস্ত করছে, যেখানে ট্রেনগুলো শূন্যস্থান বা ভ্যাকুয়াম টিউবের ভেতর দিয়ে অতি উচ্চগতিতে চলাচল করবে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, এই সাফল্য অতি উচ্চগতির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রপালশন, ইলেকট্রিক সাসপেনশন গাইডেন্স ও হাই-ফিল্ড সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগনেটের মতো জটিল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করেছে।
এই প্রযুক্তি শুধু ট্রেন চলাচলেই নয়, বরং মহাকাশবিজ্ঞান এবং বিমান চালনার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে রকেট বা প্লেন অনেক কম জ্বালানি খরচ করে আরও সহজে এবং দ্রুত উড্ডয়ন করতে পারবে।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
গবেষণা দলটি ১০ বছর ধরে এই প্রজেক্টে কাজ করছে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে একই ট্র্যাকে পরীক্ষা চালিয়ে তারা ৬৪৮ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ অর্জন করেছিল।
প্রায় তিন দশক আগে এই একই বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রথম যাত্রীবাহী ম্যাগলেভ ট্রেন তৈরি করে, যা চীনকে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে এই প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলে।

চীন তাদের সবচেয়ে দ্রুতগতির ম্যাগলেভ ট্রেনের মাধ্যমে নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। মাত্র দুই সেকেন্ডেই ট্রেনটির গতি উঠেছে ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটার। গতি এতটাই দ্রুত যে চোখের পলক ফেলতেই তা দৃষ্টির বাইরে চলে যায়।
চীনের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির গবেষকেরা এই ম্যাগনেটিক লেভিটেশন (ম্যাগলেভ) ট্রেনের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে প্রায় এক টন ওজনের যানকে এই অবিশ্বাস্য গতিতে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, ৪০০ মিটার (প্রায় ১ হাজার ৩১০ ফুট) দীর্ঘ ম্যাগলেভ ট্র্যাকে এই পরীক্ষা চালানো হয়। সর্বোচ্চ গতি অর্জনের পর ট্রেনটিকে নিরাপদে থামানো হয়। এর মধ্য দিয়ে এটি বিশ্বের দ্রুততম সুপারকন্ডাক্টিং বৈদ্যুতিক ম্যাগলেভ ট্রেন হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
পরীক্ষার ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রেনটি অনেকটা রুপালি বিদ্যুতের ঝলকের মতো চোখের নিমেষে বেরিয়ে যাচ্ছে। খালি চোখে এর গতি অনুসরণ করা প্রায় অসম্ভব এবং এটি পেছনে একটি হালকা কুয়াশার রেখা রেখে যায়। পুরো বিষয়টি দেখতে অনেকটা সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মতো মনে হয়।
ট্রেনটি সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগনেট বা শক্তিশালী চৌম্বক শক্তির সাহায্যে ট্র্যাকের ওপর ভেসে থাকে। কোনো স্পর্শ ছাড়াই এই চৌম্বক শক্তি ট্রেনটিকে ওপরে তুলে ধরে এবং সামনের দিকে ঠেলে দেয়।
এর ত্বরণ এতটাই শক্তিশালী যে এটি রকেট উৎক্ষেপণেও সক্ষম। এই গতিতে চললে ম্যাগলেভ ট্রেনগুলো দূরবর্তী শহরগুলোকে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সংযুক্ত করতে পারবে।
এই প্রযুক্তি হাইপারলুপের মতো ভবিষ্যৎ যাতায়াত ব্যবস্থার পথ প্রশস্ত করছে, যেখানে ট্রেনগুলো শূন্যস্থান বা ভ্যাকুয়াম টিউবের ভেতর দিয়ে অতি উচ্চগতিতে চলাচল করবে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, এই সাফল্য অতি উচ্চগতির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রপালশন, ইলেকট্রিক সাসপেনশন গাইডেন্স ও হাই-ফিল্ড সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগনেটের মতো জটিল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করেছে।
এই প্রযুক্তি শুধু ট্রেন চলাচলেই নয়, বরং মহাকাশবিজ্ঞান এবং বিমান চালনার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে রকেট বা প্লেন অনেক কম জ্বালানি খরচ করে আরও সহজে এবং দ্রুত উড্ডয়ন করতে পারবে।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
গবেষণা দলটি ১০ বছর ধরে এই প্রজেক্টে কাজ করছে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে একই ট্র্যাকে পরীক্ষা চালিয়ে তারা ৬৪৮ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ অর্জন করেছিল।
প্রায় তিন দশক আগে এই একই বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রথম যাত্রীবাহী ম্যাগলেভ ট্রেন তৈরি করে, যা চীনকে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে এই প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে সেখানে ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল, যা শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যার ২৭ শতাংশ। এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছে
২৩ মে ২০২৫
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
৩ ঘণ্টা আগে
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৬ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
গত সোমবার মনোজকে গ্রেপ্তার করে ফ্রিস্কো পুলিশ। পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যরা মনোজের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগ নিয়ে ফোন করলে তারা ওই বাড়িতে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর কয়েক দিন আগে বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
মনোজ সাই লেল্লার বিরুদ্ধে বসবাসযোগ্য স্থান বা উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি প্রথম ডিগ্রির একটি গুরুতর অপরাধ। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য বা একই গৃহের বাসিন্দার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগও রয়েছে, যা ক্লাস ‘এ’ মিসডিমিনার হিসেবে বিবেচিত।
তবে কোনো উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদালতের নথি অনুযায়ী, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মনোজের জামিনের জন্য দিতে হবে এক লাখ মার্কিন ডলার। আর সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগে জামিনে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার।

বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
গত সোমবার মনোজকে গ্রেপ্তার করে ফ্রিস্কো পুলিশ। পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যরা মনোজের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগ নিয়ে ফোন করলে তারা ওই বাড়িতে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর কয়েক দিন আগে বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
মনোজ সাই লেল্লার বিরুদ্ধে বসবাসযোগ্য স্থান বা উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি প্রথম ডিগ্রির একটি গুরুতর অপরাধ। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য বা একই গৃহের বাসিন্দার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগও রয়েছে, যা ক্লাস ‘এ’ মিসডিমিনার হিসেবে বিবেচিত।
তবে কোনো উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদালতের নথি অনুযায়ী, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মনোজের জামিনের জন্য দিতে হবে এক লাখ মার্কিন ডলার। আর সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগে জামিনে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ ডলার।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে সেখানে ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল, যা শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যার ২৭ শতাংশ। এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছে
২৩ মে ২০২৫
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
১ ঘণ্টা আগে
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৬ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে সেখানে ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল, যা শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যার ২৭ শতাংশ। এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছে
২৩ মে ২০২৫
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
১ ঘণ্টা আগে
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
৩ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে সেখানে ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল, যা শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যার ২৭ শতাংশ। এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছে
২৩ মে ২০২৫
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির প্রফেসর লি জি বলেন, অতি উচ্চগতির সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক ম্যাগলেভ সিস্টেমের এই সফল উদ্ভাবন চীনের পরিবহনব্যবস্থার গবেষণাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে।
১ ঘণ্টা আগে
বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মনোজ সাই লেল্লা। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট ডালাসের সিনিয়র শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী মনোজ।
৩ ঘণ্টা আগে
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
১৬ ঘণ্টা আগে