Ajker Patrika

নেভাদা ও ভার্জিন আইল্যান্ডে জয়, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আরও কাছে ট্রাম্প

আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ২৫
নেভাদা ও ভার্জিন আইল্যান্ডে জয়, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আরও কাছে ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নের দৌড়ে আরও এগিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার নেভাদা ও ভার্জিন আইল্যান্ডের ককাসে জয় পেয়েছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে ট্রাম্পের জয়ের খবরটি দিয়েছে।

রিপাবলিকান পার্টির নেভাদা ককাসে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একমাত্র প্রধান প্রার্থীই ছিলেন ট্রাম্প। আগামী জুন মাসে পার্টির সম্মেলনে মনোনয়নপ্রাপ্তির জন্য নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ২৬ জন প্রতিনিধির সমর্থন অর্জনের ক্ষেত্রে একপ্রকার প্রস্তুতই ছিল তার জন্য।

বৃহস্পতিবার ভার্জিন আইল্যান্ডের ককাসেও সহজ জয় পান ট্রাম্প। সেখান থেকেও নিজ ঝুলিতে তিনি ভরেছেন চারজন প্রতিনিধির সমর্থন। ২৪৬ ভোটের ৭৪ শতাংশ অর্থাৎ, ১৮২ ভোট পেয়েছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রিপাবলিকানদের মনোনয়নের দৌড়ে ট্রাম্পের অবশিষ্ট শেষ প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি পেয়েছেন ৬৪ ভোট।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ নেভাদা রিপাবলিকান পার্টি আয়োজন করেছিল নেভাদা ককাস। এর দুই দিন আগেই অঙ্গরাজ্যটির পরিচালিত রিপাবলিকান প্রাইমারিতে শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল নিকি হ্যালির। সেখানে একমাত্র সক্রিয় প্রার্থী হয়েও হেরে গেছেন হ্যালি।

ব্যালট পেপারে ‘এই প্রার্থীদের কেউই নয়’ (নান অব দিজ ক্যান্ডিডেটস) লেখা একটি ঘর ছিল। আর সেই ঘরের কাছেই বিব্রতকর পরাজয় জুটেছে হ্যালির। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোট গণনায় দেখা গেছে, ‘এই প্রার্থীদের কেউই নয়’-এর ঘরে ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ। আর হ্যালি পেয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোট।

এর আগে, আইওয়া ককাস আর নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রাইমারিতে জয় পেয়ে ট্রাম্প তার রিপাবলিকান প্রার্থিতার আসন শক্ত করে ফেলেছেন। জয়ের পর লাস ভেগাসে সমর্থকদের সামনে হাজির হন ট্রাম্প। উল্লসিত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি নেভাদার মহান মানুষদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে মূলত প্রধান দুটি দলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনীত করা হয়। প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দুটি পদ্ধতিতে। একটি হলো ককাস, অপরটি প্রাইমারি। ককাস হলো নির্বাচনের এমন এক পদ্ধতি, যেখানে রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেটিক পার্টি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে একটি খোলা ভোটের আয়োজনের মাধ্যমে তাদের দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ করে।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত থাকার মামলায় ট্রাম্পকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করে রায় দেয় কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের করা শুনানি অনুষ্ঠিত হয় গতকাল বৃহস্পতিবার। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্প প্রার্থী হতে পারবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সময়মতো পৌঁছাননি মাচাদো, নোবেল শান্তি পুরস্কার নিলেন তাঁর মেয়ে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদো। ছবি: বিবিসি
এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদো। ছবি: বিবিসি

এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোর পক্ষে তাঁর মেয়ে আনা করিনা সোসা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নরওয়ের রাজধানী অসলো সিটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোসা তাঁর মায়ের পক্ষ থেকে লেখা একটি বক্তব্যও পড়ে শোনান।

নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মাচাদো বর্তমানে নিরাপদে আছেন এবং অসলোর পথে রয়েছেন। তবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। নোবেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিস্টিয়ান বার্গ হার্পভিকেন আশা করছেন, তিনি বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল—এই সময়ের মধ্যে অসলো পৌঁছাবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় মাচাদোর কন্যা আনা করিনা সোসা জানান, তাঁর মা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলার স্বপ্ন দেখেন এবং সেই লক্ষ্য থেকে কখনো সরে দাঁড়াবেন না। মায়ের সম্পর্কে সোসা বলেন, ‘তিনি জানেন, তার সংগ্রাম শুধুমাত্র রাজনীতি নয়—এটা তার দেশের মানুষের মর্যাদা রক্ষার লড়াই।’

নোবেল কমিটি মাচাদোকে এবার পুরস্কৃত করেছে ভেনেজুয়েলায় ‘স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণের লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকার’ স্বীকৃতি হিসেবে।

বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মাচাদো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নানা জল্পনা ছিল। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। নির্বাচনটি দেশীয় বিরোধী দল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জালিয়াতিপূর্ণ বলে প্রত্যাখ্যান করে।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর শপথগ্রহণের বিরুদ্ধে গত ৯ জানুয়ারি এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার পর থেকেই মাচাদো আর জনসমক্ষে দেখা দেননি। নির্বাচনের পর দেশজুড়ে সহিংসতা ও দমন-পীড়নে প্রায় দুই হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে মাচাদোর জোটের অনেক নেতা কর্মীও আছেন।

তবে লুকিয়ে থাকলেও সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তা ও সাক্ষাৎকার দিয়ে সমর্থকদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে আসছিলেন মাচাদো। নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা তাঁর সমর্থকদের নতুন করে উজ্জীবিত করেছে। তবে এখনো সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়েছে—তিনি কীভাবে আত্মগোপন থেকে বের হলেন এবং কোন পথে ইউরোপে পৌঁছালেন। তাঁর মা ও দুই সন্তান ইতিমধ্যেই অসলোতে অবস্থান করছেন—আবার দেখা হওয়ার অপেক্ষায়। সম্প্রতি তাঁর ছেলে দাবি করেছিলেন, মায়ের সঙ্গে তাঁর প্রায় দুই বছর দেখা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আফগানিস্তানে ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’ চরিত্র সাজায় চার যুবককে গ্রেপ্তার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ১০
ক্রাইম ড্রামা ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’-এর চরিত্রের বেশে এভাবেই ঘুরছিলেন যুবকেরা। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
ক্রাইম ড্রামা ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’-এর চরিত্রের বেশে এভাবেই ঘুরছিলেন যুবকেরা। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

আফগানিস্তানে কঠোর পোশাকবিধি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ভঙ্গের অভিযোগে ব্রিটিশ জনপ্রিয় ক্রাইম ড্রামা ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’-এর চরিত্রের মতো পোশাক পরার কারণে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে তালেবান। ওই যুবকেরা হেরাত প্রদেশের জেবরাইল টাউনশিপে নিজেদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছিলেন এবং এগুলো দ্রুত ভাইরাল হচ্ছিল।

ভিডিওতে দেখা যায়—চার যুবক স্যুট, ওয়েস্টকোট, ওভারকোট, ফ্ল্যাট ক্যাপ পরে শহরে ঘুরছেন। তাঁরা সিগার সদৃশ সিগারেটও হাতে রেখেছিলেন। এই পোশাক ও আচরণকে ‘বিদেশি সংস্কৃতি প্রচার’ এবং ‘ইসলামিক মূল্যবোধের পরিপন্থী’ বলে অভিযুক্ত করেছে তালেবান। পরে ওই যুবকদের গ্রেপ্তার করে একটি সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

এই বিষয়ে তালেবানের নৈতিকতা ও শালীনতা রক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফ খাইবার বলেছেন, ‘আমরা মুসলমান এবং আফগান; আমাদের নিজস্ব ধর্ম, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ আছে। বিদেশি সংস্কৃতি ও নষ্টাচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে আমরা বড় ত্যাগ স্বীকার করেছি এবং আবারও করব।’

তালেবান দাবি করেছে, সংশ্লিষ্ট চারজনকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে এবং তাঁরা ‘অনুশোচনা’ প্রকাশ করেছেন। তবে ক্ষমা আদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দা অব্যাহত আছে। চার বছর ক্ষমতায় থাকলেও এখনো কোনো রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।

২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তালেবান সরকার আফগান পুরুষদের দাড়ি রাখা এবং ঐতিহ্যবাহী কাবুলি পোশাক ও পাগড়ি বা টুপি পরাকে বাধ্যতামূলক করেছে। আর পাশ্চাত্য পোশাক, বিনোদন, সংগীত, টেলিভিশন ও নারীশিক্ষাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোনা খুঁজতে গিয়েছিল দুই কিশোর, খনি ধসে চাপা পড়ে হলো মৃত্যু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছেলে ইয়ায়াহ জেন্নেহকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা নামিনা জেন্নেহ। ছবি: বিবিসি
ছেলে ইয়ায়াহ জেন্নেহকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা নামিনা জেন্নেহ। ছবি: বিবিসি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের এক গ্রামে সাদা কাপড়ে মোড়ানো দুই কিশোরের নিথর দেহের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। কাঁদছে সবাই। কেউ বিশ্বাসই করতে চাইছে না, কিশোর দুটি তাদের মাঝে আর নেই।

সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য, পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।

শেষ পর্যন্ত তাদের আর ফেরা হলো না। সোনার জন্য যে গর্ত তারা খুঁড়ছিল, সেটি ধসে তাদের ওপর পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়।

ওই অঞ্চলে গত চার বছরে এ নিয়ে তিনটি খনি দুর্ঘটনা ঘটল, যাতে প্রাণ হারায় কমপক্ষে পাঁচটি শিশু।

এলাকার হেডটিচার ও স্থানীয় কর্মীদের মতে, বাঙ্গুরা ও জেন্নেহর মতো সিয়েরা লিওনের আরও অনেক শিশু স্কুল ফেলে ঝুঁকিপূর্ণ খনিতে সোনা তুলতে যায়। এ প্রবণতা সেখানে ক্রমেই বাড়ছে।

বিবিসি আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিয়েরা লিয়নের পূর্বাঞ্চল হীরার খনির জন্য বিখ্যাত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হীরার মজুত ফুরিয়ে আসায় সোনা খনন বেড়েছে।

প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা অঞ্চলটিতে স্থানীয় মানুষজন যেখানেই কোনো কিছুর মজুত খুঁজে পায়, সেখানেই খনির কাজ শুরু হয়ে যায়। তা চাষের জমি, পুরোনো কবরস্থান বা নদীর তীর—যাই হোক না কেন।

অঞ্চলটিতে নামীদামি কোনো খনন কোম্পানি নেই বললেই চলে। যেসব এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে খনি চালানো লাভজনক নয়, সেসব জায়গায় ছড়িয়ে আছে এসব অনিয়ন্ত্রিত খনি; যার গভীরতা কখনো কখনো ৪ মিটারও (১৩ ফুট) হয়।

আফ্রিকার আরও বহু দেশে এমন খনির দেখা মেলে, যেখান থেকে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়।

নিমবাদুর অধিকাংশ পরিবারের জীবিকা চাষাবাদ আর ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। বিকল্প কর্মসংস্থান খুব কম। তাই বাড়তি আয়ের সুযোগ লোভনীয় মনে হয় গ্রামবাসীর।

তবে গ্রামের মানুষ এও জানে, এই আয় কখনো কখনো মূল্য দাবি করে। এবার সেই মূল্য দিতে হয়েছে সম্ভাবনাময় দুই কিশোরকে।

ইয়ায়াহ জেন্নেহর মা নামিনা জেন্নেহর স্বামী মারা গেছেন। পাঁচ সন্তানের সংসার চালাতে কিশোর ছেলেটির ওপরই ভরসা ছিল তাঁর।

একসময় এসব খনিতে কাজ করতেন নামিনা। বিবিসির কাছে তিনি স্বীকার করেন, ছেলেকে তিনিই খনির কাজে অভ্যস্ত করেছিলেন। তবে বলেন, ‘ও আমাকে বলেনি, ওই জায়গায় যাবে। জানলে আমি যেতে দিতাম না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে ৪২ দেশের নাগরিকদের দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার ৫ বছরের রেকর্ড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৩
ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনের জেরে সেই সব পর্যটকেরা প্রভাবিত হবেন, যারা ভিসা মওকুফ কর্মসূচির যোগ্য। এই কর্মসূচি অনুযায়ী ৪২টি দেশের নাগরিকেরা ইলেকট্রনিক ভ্রমণ অনুমোদন পেলে ভিসা ছাড়াই ৯০ দিন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারেন।

ফেডারেল রেজিস্ট্রারে মঙ্গলবার পেশ করা একটি নথিতে সিবিপি জানিয়েছে, তারা আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের একটি লম্বা তালিকা চাইবে, যার মধ্যে থাকবে সামাজিকমাধ্যম, গত দশ বছরজুড়ে ব্যবহার করা ই–মেইল ঠিকানা এবং বাবা-মা, জীবনসঙ্গী, ভাই-বোন ও সন্তানদের নাম, জন্মতারিখ, বাসস্থান ও জন্মস্থান।

বর্তমানে ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশগুলোর আবেদনকারীদের ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথোরাইজেশন কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। তাঁরা ৪০ ডলার দিয়ে একটি ই-মেইল ঠিকানা, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং জরুরি যোগাযোগের তথ্য জমা দেন। এই অনুমোদনের মেয়াদ থাকে দুই বছর।

সিবিপির এই পদক্ষেপ মার্কিন সরকারের পূর্বের অনুরূপ কার্যক্রমের মতোই। সরকার ইতিমধ্যে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য এইচ১–বি ভিসা এবং শিক্ষার্থী ও গবেষক ভিসার আবেদনকারীদের জন্য সামাজিকমাধ্যম পর্যালোচনার ব্যবস্থা চালু করেছে। এ ছাড়া সরকারের একটি নতুন ২৫০ ডলারের ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে, যা অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, যদিও ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশের ভ্রমণকারীরা সেই ফি থেকে ছাড় পাবেন।

ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি নিয়ে ট্রাভেল বা পর্যটন শিল্প আপত্তি জানিয়েছে। গত নভেম্বরে ২০ টিরও বেশি পর্যটন ও ভ্রমণ ব্যবসার একটি জোট বিরোধিতা করে একটি চিঠি স্বাক্ষর করে। তাঁদের উদ্বেগের কারণ, এই ফি আরোপের ফলে আগামী বছরের বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইচ্ছুক কোটি কোটি আন্তর্জাতিক পর্যটককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করবে।

এক পর্যটন কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রেখে কথা বলেছেন, সিবিপি এই পরিকল্পনা নিয়ে শিল্পের অংশীজনদের কিছু জানায়নি। তিনি একে যাত্রী যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ বাড়াবাড়ি’ বলে অভিহিত করেছেন। নোটিশে সিবিপি জানিয়েছে যে, তারা এই প্রস্তাবের ওপর ৬০ দিনের জন্য জনসাধারণের মন্তব্য গ্রহণ করবে।

যদি এই পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়, তবে সিবিপি কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে পরিবর্তনগুলি কার্যকর করতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে ইমিগ্রেশন আইন সংস্থা ফ্রাগোমেন (Fragomen) . ফ্রাগোমেন-এর অংশীদার বো কুপার সরকারের সামাজিক মাধ্যম পর্যালোচনার নতুন এই পদ্ধতিকে ‘প্যারাডাইম শিফট বা ধারণার আমূল পরিবর্তন’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ এর আগে সংস্থাগুলি নির্দিষ্ট তথ্য, যেমন অপরাধমূলক কার্যকলাপ, যাচাইয়ের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করত।

কুপার বলেন, ‘নতুন পদ্ধতিতে অনলাইন আলাপ-আলোচনা দেখা হবে এবং কী ধরনের কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে নিজস্ব বিবেচনা ও নীতির ভিত্তিতে ভ্রমণ বাতিল করা হবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘পর্যটন সংখ্যা কেমন থাকে, তা দেখতে বেশ আগ্রহ থাকবে।’

ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠী ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি সোফিয়া কোপ বিবৃতিতে বলেন, সামাজিক মাধ্যমের বাধ্যতামূলক প্রকাশ ও নজরদারি ‘নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্য বাজে লোককে খুঁজে বার করতে এটা কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়নি। তবে এটি নিরপরাধ ভ্রমণকারী এবং তাদের আমেরিকান পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের বাক্‌স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করেছে এবং তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে।’

সিবিপি এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত