Ajker Patrika

যে ৫ কারণে বাইডেন-সির ফোনালাপ এত গুরুত্বপূর্ণ

যে ৫ কারণে বাইডেন-সির ফোনালাপ এত গুরুত্বপূর্ণ

ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে প্রথমবারের মতো ফোনালাপ করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ফোনালাপ এমন সংকট সময়ে সিনো-মার্কিন সম্পর্কে একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। 

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা সি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পর্ককে উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে চীনের প্রতিক্রিয়াও এখন পশ্চিমাদের মাথাব্যথার কারণ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই হতে যাচ্ছে সি ও বাইডেনের ফোনালাপ। 

বাইডেন-সির ফোনালাপকে পাঁচটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন। কারণগুলো হলো: 

 ১. রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সংকট মুহূর্তে এই ফোনালাপ 
একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সির সঙ্গে কথা হবে বাইডেনের। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীন রাশিয়াকে সামরিক বা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয় পর্যালোচনা করছে। যদি চীন রাজি হয় তাহলে পশ্চিমাদের সঙ্গে আগামী কয়েক দশক ধরে দেশটির সম্পর্ক খারাপ চলতে পারে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন, কারণ চীন ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে রাশিয়াকে সরাসরি সহায়তা করতে চাইছে। 
 
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র কিছু ন্যাটো মিত্রকে জানিয়েছে যে তাদের বিশ্বাস, চীন রাশিয়াকে সহযোগিতা দিতে ইচ্ছুক। তবে মস্কো এটি অস্বীকার করেছে। বেইজিংও জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা করা হচ্ছে না। 

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রুশ হামলা নিয়ে বিচলিত সি। কারণ চীনের গোয়েন্দারাই বলতে পারছে না কী হবে এই যুদ্ধের পরিণতি। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়েছে, যুদ্ধ আরও বেশ কয়েক সপ্তাহ চলবে। 
 
২. রাশিয়াকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিতে পারে চীন 
মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন না যে, চীন রাশিয়াকে ট্যাংক বা জেটের মতো বড় সমর সরঞ্জাম সরবরাহ করবে। বরং তাঁদের বিশ্বাস, চীন রাশিয়ার জন্য খাবার, গোলাবারুদ, খুচরা যন্ত্রাংশের মতো ছোট রসদ পাঠাবে। 

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, চীন রাশিয়াকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব প্রশমিত করতে সহায়তা করবে। যদিও মার্কিন এবং ইউরোপীয় পদক্ষেপের প্রভাবকে সম্পূর্ণরূপে কমানো চীনের পক্ষে সম্ভব নয়। ধারণা করা হচ্ছে, সির সঙ্গে ফোনালাপে বাইডেন রাশিয়াকে সাহায্য না দেওয়ার জন্য বলবেন। 

এ নিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দেবেন যে, রাশিয়ার আগ্রাসনকে সমর্থন করার জন্য যে কোনো পদক্ষেপের জন্য চীনকে দায়ভার নিতে হবে। 

চলতি বছর বেইজিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টির ২০ তম জাতীয় কংগ্রেসের সি তৃতীয় মেয়াদে চীনের ক্ষমতায় আসীন থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বছরে, পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, সি ছোট নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ঝুঁকি সম্পর্কেও সচেতন থাকবেন। 

বেইজিংয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ৮০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে গত বছর ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। সেখানে গত বছর রাশিয়ার সঙ্গে চীনের বাণিজ্যের পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন ডলার। 

অবশ্য রাশিয়াকে চীন সাহায্য করলে বাইডেন এবং তার প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেবে তা এখনো জানায়নি। 

 ৩. যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে অংশীদারত্বকে ঠেকাতে হবে 
ইউক্রেনে হামলা চালানোর আগেই পুতিন ও সির সম্পর্ক পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক বিল বার্নস গত সপ্তাহে বলেছিলেন, অংশীদারত্বের মূলে রয়েছে অনেক পরিকল্পিত বিষয়। 

গত ফেব্রুয়ারিতে শীতকালীন অলিম্পিক উদ্বোধনের সময় বেইজিং যান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেখানে পুতিন ও সি ঘোষণ দেন যে, তাঁদের সম্পর্কের কোনো সীমা নেই। এরপর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধে সির প্রতিক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে পশ্চিমারা। 

যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মার্কিন কর্মকর্তার চীনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখেছেন। জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল চীন। আবার গত মাসে একজন শীর্ষ চীনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানো উচিত। 

এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ব্লিঙ্কেন বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম ও নীতিগুলোকে রক্ষা করার জন্য চীনা প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তাঁর প্রভাব ব্যবহার করতে পারেন। এর পরিবর্তে চীন নিজেকে একটি নিরপেক্ষ সালিসকারী হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে এই আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে অস্বীকার করে বিপরীত দিকে হাঁটছে। 

 ৪. এশিয়ায় মার্কিন মিত্ররা ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের প্রতিক্রিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ইউরোপকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ নিয়ে পুরো বিশ্বই উদ্বিগ্ন। ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তাইওয়ান। স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন। 

সম্প্রতি দ্বীপটির কাছাকাছি ঘন ঘন সামরিক বিমান উড়িয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিরুদ্ধেও সতর্ক করে দিয়েছে বেইজিং। ইউক্রেন সংঘাতের প্রথম দিকে আশঙ্কা ছিল যে, তাইওয়ানের প্রতি চীন যেমন আচরণ করছে, রাশিয়াও ইউক্রেনের ব্যাপারে একইভাবে পা ফেলবে। 

মার্কিন কর্মকর্তার বলছেন, রাশিয়ার এই যুদ্ধের পরিণতি তাইওয়ানকে নিয়ে পুনরায় ভাবাতে পারে চীনকে। রাশিয়ার এই যুদ্ধের দিকে শুধু পশ্চিমারা কিংবা ন্যাটোই তাকিয়ে নয়, এর প্রভাব এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও পড়েছে। মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা, রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক স্বার্থ এশিয়ার দেশগুলোকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বাধা দেবে। আর এটি নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন না সি। জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়ার কিছু মার্কিন মিত্র রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পরেই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে যে সাড়া দেবে, এমনটি দেখে বিস্মিত বাইডেনের নিজস্ব জাতীয় নিরাপত্তা দল। 

 ৫. বাইডেন এবং সির দীর্ঘ জানাশোনা
ওবামা প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময় জো বাইডেন সির সঙ্গে দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কাটিয়েছেন। তবে করোনা মহামারির কারণে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বাইডেন এখনো সির সঙ্গে সশরীরে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। এ সময়ে তাঁদের বেশির ভাগ বৈঠক হয়েছে ফোনে অথবা ভিডিও কনফারেন্সে। 

ইউক্রেন সংঘাতের আগে, বাইডেন আমেরিকান পররাষ্ট্রনীতিতে এশিয়ার ওপর নজর দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতাকে পরবর্তী শতাব্দীর একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে হোয়াইট হাউস সাম্প্রতিক সময়ে ব্যস্ত থাকলেও তাঁরা অন্যান্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে নজর সরাননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা প্রতিহতের ঘোষণা দিল বিবিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: বিবিসি
ছবি: বিবিসি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া তাঁর ভাষণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করে প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে সম্প্রচার করা হয়েছে।

ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্যিক আচরণবিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবির অঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই অঙ্ক ৫ বিলিয়ন ডলার বলা হলেও, ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাম্প্রতিক নথি ও ব্রিফিং অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, কথিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের ভাষণের দুটি ভিন্ন অংশ সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রে দেখানো হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব... এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়াই করব, দারুণভাবে লড়াই করব।’ তবে বাস্তবে এই দুটি বক্তব্য ভাষণের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল।

বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা গত মাসে দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।

বিবিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আগেও যেমন বলা হয়েছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করব।’ চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তারা বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাজ্যের বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার না হলেও ভিপিএন বা ব্রিটবক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ফ্লোরিডার দর্শকেরা এটি দেখতে পারেন। বিবিসি এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি বিবিসির নিজস্ব আইনি বিষয়। একই সঙ্গে তারা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসির ভূমিকার ওপর আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা জেতা কঠিন হলেও এই মামলা বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৫৪
টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।

সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।

ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।

সরকারি অনুষ্ঠানে নারী চিকিৎসকের মুখ থেকে নিকাব টেনে খোলার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলো।

এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছে।

হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দা করা মুসলিম নারীর নিকাব খুলে ফেলে জেডিও এবং বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কী রাজনীতি করছে, সেটি প্রকাশ করে দিয়েছে।

আরজেডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লিখেছে, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তাঁর মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’

কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’

এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বন্ডাই বিচে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ দম্পতিও!

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
হামলাকারীর সঙ্গে বরিস ও সোফিয়ার লড়াইয়ের এই মুহূর্তটি একটি ড্যাশক্যাম ফুটেজ থেকে নেওয়া
হামলাকারীর সঙ্গে বরিস ও সোফিয়ার লড়াইয়ের এই মুহূর্তটি একটি ড্যাশক্যাম ফুটেজ থেকে নেওয়া

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করে নিহত হয়েছেন এমন এক দম্পতির পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। একটি ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দুকধারীর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন ৬৯ বছরের বরিস গুরম্যান এবং তাঁর স্ত্রী ৬১ বছরের সোফিয়া গুরম্যান। হামলার শুরুর দিকেই তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে প্রাণ হারান।

গত ১৪ ডিসেম্বর বন্ডাই বিচের ওই হামলায় এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বরিস ও সোফিয়া গুরম্যানও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁদের পরিবার। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় বরিস ও সোফিয়াকে হঠাৎ এবং অর্থহীনভাবে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত।’

বরিস গুরম্যান ও তাঁর স্ত্রী সোফিয়া গুরম্যান। ছবি: সংগৃহীত
বরিস গুরম্যান ও তাঁর স্ত্রী সোফিয়া গুরম্যান। ছবি: সংগৃহীত

জানা গেছে, বরিস ও সোফিয়া গুরম্যান ৩৪ বছর ধরে দাম্পত্য জীবনে ছিলেন এবং জানুয়ারিতেই তাঁরা ৩৫ তম বিবাহবার্ষিকী উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে চলতি ডিসেম্বরেই সোফিয়ার ৬২ তম জন্মদিন পালনের কথা ছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, ক্যাম্পবেল প্যারেডে নিজের গাড়ি থেকে নেমে বন্দুকধারী সাজিদ আকরামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বরিস। বেগুনি রঙের শার্ট পরা বরিস বন্দুকধারীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর সহযোগিতায় ধস্তাধস্তিতে এসে যোগ দেন স্ত্রী সোফিয়াও। ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্থানীয় এক বাসিন্দার গাড়ির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের এমন বীরত্ব কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’

পরবর্তী সময়ে ড্রোনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ফুটপাথে পাশাপাশি নিথর হয়ে পড়ে আছেন বরিস ও সোফিয়া। পরিবার জানিয়েছে, বরিস ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেকানিক। তিনি উদার, নীরব শক্তির প্রতীক এবং প্রয়োজনে সবার পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ। সোফিয়া কাজ করতেন অস্ট্রেলিয়া পোস্টে—সহকর্মী ও স্থানীয় কমিউনিটিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়।

পরিবার তাঁদের সাহসিকতার কথাও তুলে ধরে বলেছে, ‘আমরা ফুটেজে দেখেছি, সোফিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বরিস অন্যদের রক্ষা করতে হামলাকারীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই আত্মত্যাগই তাঁদের প্রকৃত পরিচয়।’

এদিকে হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে যাওয়া আহমেদ আল-আহমেদের সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার সময় হামলাকারী সাজিদ আকরামকে শেষ পর্যন্ত গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। অপর হামলাকারী তাঁরই ছেলে নাভিদ আকরাম। গুরুতর আহত অবস্থায় নাভিদ এখন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৭
বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। ছবি: সংগৃহীত
বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।

আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

বাবলি কৌড়ের মেয়ে জ্যোতি জানান, গ্রিন কার্ড আবেদন-সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক স্ক্যানের জন্য ১ ডিসেম্বর বাবলি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে গেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্টরা তাঁকে আটক করেন।

লং বিচ ওয়াচডগ জানিয়েছে, কৌড়ের আরেক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাঁর স্বামী গ্রিন কার্ডধারী। তাঁরা মায়ের পক্ষে গ্রিন কার্ড পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।

জ্যোতি জানান, আইসিই কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে অপেক্ষার সময় কয়েকজন ফেডারেল এজেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কৌড়কে একটি কক্ষে ডাকা হয়, যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তবু তাঁকে আটক রাখা হয়।

পরিবারের সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জানানো হয়নি কৌড়কে কোথায় নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায়, তাঁকে রাতারাতি অ্যাডেলান্টোয় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আগে একটি ফেডারেল কারাগার ছিল এবং বর্তমানে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

দীর্ঘদিনের বসবাস ও পারিবারিক পরিচয়

পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কৌড় প্রথমে লাগুনা বিচে বসবাস শুরু করেন। পরে কাজের প্রয়োজনে তাঁরা লং বিচের বেলমন্ট শোর এলাকায় চলে যান। কৌড় ও তাঁর স্বামীর তিন সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী জ্যোতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বড় ছেলে ও মেয়ে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৌড় ও তাঁর স্বামী দুই দশকের বেশি সময় বেলমন্ট শোরের সেকেন্ড স্ট্রিটে ‘নাটরাজ কুইজিন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর বেলমন্ট শোর রাইট এইড ফার্মেসিতে কাজ করেছেন। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

মুক্তির দাবি

লং বিচের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া বাবলি কৌড়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কৌড়ের পরিবার আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত আবেদন প্রস্তুত করছে।

পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডেলান্টো ডিটেনশন সেন্টারে কৌড়কে বড় ডরমিটরি ধরনের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে আরও বহু বন্দী রয়েছেন। সারা রাত আলো জ্বালানো থাকে এবং উচ্চশব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, কৌড়ের সঙ্গে স্বল্প সময়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও এর জন্য পুরো দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।

মেয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এটা এক দুঃস্বপ্ন। আমরা তাঁকে বের করে আনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করছি। তিনি এখানে থাকার মতো কেউ নন। এটা ভীষণ অমানবিক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত