মারুফ ইসলাম

বিরল রোগ অ্যামাইলয়েডোসিসে দীর্ঘদিন যুদ্ধ করার পর অবশেষে পৃথিবীর মায়া ছাড়লেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। ৭৯ বছর বয়সে থামল তাঁর জীবনযাত্রা। আজ রোববার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি।
দীর্ঘ ৯ বছর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। ২০০১ সালে তিনি দেশটির দশম প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন এবং ২০০৮ সালের শুরু পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
মোশাররফের জন্ম অবিভক্ত ভারতের দিল্লিতে, ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তাঁর পরিবার পাকিস্তানের করাচিতে পাড়ি জমিয়েছিল। সেখানে সেন্ট প্যাট্রিক স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল তাঁর। পরে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুলে যোগ দেন এবং ১৯৬৪ সালে সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন পারভেজ মোশাররফ।
পারভেজ মোশাররফের প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা হয় ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়। তিনি ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত এলিট স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের যুদ্ধের সময় তিনি একটি এসএসজি কমান্ডো ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। পরে তিনি ক্রমশ সামরিক কাজে দক্ষতা অর্জন করতে থাকেন এবং সেনাবাহিনীতে দ্রুত পদোন্নতি লাভ করেন।
১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তাঁকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। এর পরের বছরই তিনি একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শরিফ সরকারকে উৎখাত করে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন।
১৯৯৯ সালের রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান
১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর পাকিস্তানের কতিপয় সেনাসদস্য প্রধানমন্ত্রীর হাউস দখল করে নেন। প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফ তখন শ্রীলঙ্কা সফরে ছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফেরার পথে পাকিস্তানের বিমানবন্দরে তাঁকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে পারভেজ মোশাররফ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, সংবিধান স্থগিত করেন এবং প্রধান নির্বাহীর ভূমিকা গ্রহণ করেন। এরপর ২০০১ সালে মোশাররফ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোশাররফের চ্যালেঞ্জ
মোশাররফ প্রেসিডেন্ট হওয়ার মাত্র কয়েক মাস পরেই যুক্তরাষ্ট্রে ভয়ংকর ৯/১১ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন করেন পারভেজ মোশাররফ। পরবর্তী সময়েও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।
২০০২ সালে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময়ে তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ), মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট, মুত্তাহিদা মজলিশ-ই-আমলসহ ছয়টি ধর্মীয় দলের জোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হন। ওই নির্বাচনে তিনি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন এবং পরে ১৭তম সংশোধনী পাস করে ১৯৯৯ সালের অভ্যুত্থান ও তাঁর নেওয়া অন্যান্য পদক্ষেপকে বৈধতা দেন।
২০০৪ সালের জানুয়ারিতে মোশাররফ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ এবং চারটি প্রাদেশিক পরিষদে ৫৬ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি আস্থা ভোটে উতরে যান। ২০০৬ সালে মোশাররফ ‘ইন দ্য লাইন অব ফায়ার’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন।
২০০৭ সালের মার্চে এই সেনাশাসক তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মুহাম্মদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘পদের অপব্যবহারের’ অভিযোগ তুলে তাঁকে বরখাস্ত করেন। ঘটনাটি আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। মোশাররফের চেয়ার নড়বড়ে হয়ে ওঠে। ওই বছরের ২০ জুন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি ইফতিখার মুহাম্মদ চৌধুরীকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করেন এবং মোশাররফের বরখাস্তের আদেশ বাতিল করেন।
২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর পারভেজ মোশাররফ আবার দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং বিচারপতিকে পদচ্যুত করেন। জরুরি অবস্থা জারির ২৫ দিনের মাথায় তিনি জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানিকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেন। পরে ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর তিনি জরুরি অবস্থা তুলে নেন।
অভিশংসনের আগেই পদত্যাগ
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠন করে এবং মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিশংসনের সংসদীয় প্রক্রিয়া শুরু করে। মোশাররফ প্রথমে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে অভিশংসন চূড়ান্ত হওয়ার আগেই তিনি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
এরপর মোশাররফের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়। বেনজির ভুট্টো হত্যা, নবাব আকবর বাগতির হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৭ সালের নভেম্বরে জরুরি অবস্থা জারির পর ৬২ জন বিচারকের ‘অবৈধ বন্দী’ সংক্রান্ত মামলায়ও তাঁর নাম ছিল। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ২০১০ সালে তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এপিএমএল) নামে রাজনৈতিক দল খোলেন।
স্বেচ্ছা নির্বাসন ও অসুস্থতা
২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল মোশাররফের বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ তালিকা (ইসিএল) থেকে মোশাররফের নাম বাদ দেয়। এরপর মোশাররফ চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালের ১৭ মার্চে দুবাই যান। দুবাইয়ে তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসন নেন এবং আর কখনোই পাকিস্তানে ফিরে আসেননি।
পিএমএল-এন সরকার ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর দেশে জরুরি অবস্থা জারির সময় সংবিধান স্থগিত করার জন্য মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। সেই মামলায় ২০১৯ সালে পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশের এক মাস পরে লাহোর হাইকোর্ট মোশাররফের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী সরকারের গৃহীত সমস্ত পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। ফলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড বাতিল হয়ে যায়। তার পরও তিনি দেশে ফেরেননি।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো পারভেজ মোশাররফের অসুস্থতার কথা জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়। তখন তাঁর রাজনৈতিক দল জানিয়েছিল, তিনি বিরল রোগ অ্যামাইলয়েডোসিসে ভুগছেন।
গত বছরের জুনে পারভেজ মোশাররফ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় তিনি ভেন্টিলেটরে ছিলেন বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকি তাঁর মৃত্যুর গুজবও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়।
মোশাররফের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাঁর পরিবার তখন একটি বিবৃতি দিয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি ভেন্টিলেটরে নেই। অসুস্থতাজনিত (অ্যামাইলয়েডোসিস) জটিলতার কারণে তিনি তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন। শারীরিক অবস্থা ক্রমশ জটিলতর হচ্ছে এবং বিভিন্ন অঙ্গ অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। সেই সব অঙ্গ আর কার্যকর করে তোলা সম্ভব নয়। আপনারা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবেন।
মানবশরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও টিস্যুতে অ্যামাইলয়েড নামক একটি অস্বাভাবিক প্রোটিন তৈরির কারণে অ্যামাইলয়েডোসিস রোগ হয়। এই রোগ হলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও টিস্যুগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
অবশেষে সেই রোগের কাছেই তিনি পরাস্ত হলেন। জীবনাবসান হলো সেনাশাসক থেকে রাজনীতিতে আসা এক নেতার। যদিও পরবর্তী সময়ে তাঁর নাম রাজনীতি থেকে ক্রমশ বিস্মৃতই হয়েছে।
সূত্র: ডন, জিও নিউজ, বিবিসি ও রয়টার্স

বিরল রোগ অ্যামাইলয়েডোসিসে দীর্ঘদিন যুদ্ধ করার পর অবশেষে পৃথিবীর মায়া ছাড়লেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। ৭৯ বছর বয়সে থামল তাঁর জীবনযাত্রা। আজ রোববার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি।
দীর্ঘ ৯ বছর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। ২০০১ সালে তিনি দেশটির দশম প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন এবং ২০০৮ সালের শুরু পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
মোশাররফের জন্ম অবিভক্ত ভারতের দিল্লিতে, ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তাঁর পরিবার পাকিস্তানের করাচিতে পাড়ি জমিয়েছিল। সেখানে সেন্ট প্যাট্রিক স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল তাঁর। পরে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুলে যোগ দেন এবং ১৯৬৪ সালে সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন পারভেজ মোশাররফ।
পারভেজ মোশাররফের প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা হয় ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়। তিনি ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত এলিট স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের যুদ্ধের সময় তিনি একটি এসএসজি কমান্ডো ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। পরে তিনি ক্রমশ সামরিক কাজে দক্ষতা অর্জন করতে থাকেন এবং সেনাবাহিনীতে দ্রুত পদোন্নতি লাভ করেন।
১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তাঁকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। এর পরের বছরই তিনি একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শরিফ সরকারকে উৎখাত করে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন।
১৯৯৯ সালের রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান
১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর পাকিস্তানের কতিপয় সেনাসদস্য প্রধানমন্ত্রীর হাউস দখল করে নেন। প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফ তখন শ্রীলঙ্কা সফরে ছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফেরার পথে পাকিস্তানের বিমানবন্দরে তাঁকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে পারভেজ মোশাররফ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, সংবিধান স্থগিত করেন এবং প্রধান নির্বাহীর ভূমিকা গ্রহণ করেন। এরপর ২০০১ সালে মোশাররফ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোশাররফের চ্যালেঞ্জ
মোশাররফ প্রেসিডেন্ট হওয়ার মাত্র কয়েক মাস পরেই যুক্তরাষ্ট্রে ভয়ংকর ৯/১১ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন করেন পারভেজ মোশাররফ। পরবর্তী সময়েও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।
২০০২ সালে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময়ে তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ), মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট, মুত্তাহিদা মজলিশ-ই-আমলসহ ছয়টি ধর্মীয় দলের জোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হন। ওই নির্বাচনে তিনি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন এবং পরে ১৭তম সংশোধনী পাস করে ১৯৯৯ সালের অভ্যুত্থান ও তাঁর নেওয়া অন্যান্য পদক্ষেপকে বৈধতা দেন।
২০০৪ সালের জানুয়ারিতে মোশাররফ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ এবং চারটি প্রাদেশিক পরিষদে ৫৬ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি আস্থা ভোটে উতরে যান। ২০০৬ সালে মোশাররফ ‘ইন দ্য লাইন অব ফায়ার’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন।
২০০৭ সালের মার্চে এই সেনাশাসক তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মুহাম্মদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘পদের অপব্যবহারের’ অভিযোগ তুলে তাঁকে বরখাস্ত করেন। ঘটনাটি আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। মোশাররফের চেয়ার নড়বড়ে হয়ে ওঠে। ওই বছরের ২০ জুন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি ইফতিখার মুহাম্মদ চৌধুরীকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করেন এবং মোশাররফের বরখাস্তের আদেশ বাতিল করেন।
২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর পারভেজ মোশাররফ আবার দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং বিচারপতিকে পদচ্যুত করেন। জরুরি অবস্থা জারির ২৫ দিনের মাথায় তিনি জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানিকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেন। পরে ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর তিনি জরুরি অবস্থা তুলে নেন।
অভিশংসনের আগেই পদত্যাগ
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠন করে এবং মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিশংসনের সংসদীয় প্রক্রিয়া শুরু করে। মোশাররফ প্রথমে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে অভিশংসন চূড়ান্ত হওয়ার আগেই তিনি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
এরপর মোশাররফের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়। বেনজির ভুট্টো হত্যা, নবাব আকবর বাগতির হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৭ সালের নভেম্বরে জরুরি অবস্থা জারির পর ৬২ জন বিচারকের ‘অবৈধ বন্দী’ সংক্রান্ত মামলায়ও তাঁর নাম ছিল। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ২০১০ সালে তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এপিএমএল) নামে রাজনৈতিক দল খোলেন।
স্বেচ্ছা নির্বাসন ও অসুস্থতা
২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল মোশাররফের বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ তালিকা (ইসিএল) থেকে মোশাররফের নাম বাদ দেয়। এরপর মোশাররফ চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালের ১৭ মার্চে দুবাই যান। দুবাইয়ে তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসন নেন এবং আর কখনোই পাকিস্তানে ফিরে আসেননি।
পিএমএল-এন সরকার ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর দেশে জরুরি অবস্থা জারির সময় সংবিধান স্থগিত করার জন্য মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। সেই মামলায় ২০১৯ সালে পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশের এক মাস পরে লাহোর হাইকোর্ট মোশাররফের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী সরকারের গৃহীত সমস্ত পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। ফলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড বাতিল হয়ে যায়। তার পরও তিনি দেশে ফেরেননি।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো পারভেজ মোশাররফের অসুস্থতার কথা জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়। তখন তাঁর রাজনৈতিক দল জানিয়েছিল, তিনি বিরল রোগ অ্যামাইলয়েডোসিসে ভুগছেন।
গত বছরের জুনে পারভেজ মোশাররফ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় তিনি ভেন্টিলেটরে ছিলেন বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকি তাঁর মৃত্যুর গুজবও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়।
মোশাররফের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাঁর পরিবার তখন একটি বিবৃতি দিয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি ভেন্টিলেটরে নেই। অসুস্থতাজনিত (অ্যামাইলয়েডোসিস) জটিলতার কারণে তিনি তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন। শারীরিক অবস্থা ক্রমশ জটিলতর হচ্ছে এবং বিভিন্ন অঙ্গ অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। সেই সব অঙ্গ আর কার্যকর করে তোলা সম্ভব নয়। আপনারা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবেন।
মানবশরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও টিস্যুতে অ্যামাইলয়েড নামক একটি অস্বাভাবিক প্রোটিন তৈরির কারণে অ্যামাইলয়েডোসিস রোগ হয়। এই রোগ হলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও টিস্যুগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
অবশেষে সেই রোগের কাছেই তিনি পরাস্ত হলেন। জীবনাবসান হলো সেনাশাসক থেকে রাজনীতিতে আসা এক নেতার। যদিও পরবর্তী সময়ে তাঁর নাম রাজনীতি থেকে ক্রমশ বিস্মৃতই হয়েছে।
সূত্র: ডন, জিও নিউজ, বিবিসি ও রয়টার্স

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
৫ মিনিট আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দীর্ঘদিন নজরদারির পর শুক্রবার রাতে কুলেন্দ্র শর্মাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলেন্দ্র শর্মা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তাঁদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতেন। তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ল্যাপটপ থেকে কিছু ডেটা মুছে ফেলা হয়েছে।
আসামের শোণিতপুর জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) হরিচরণ ভূমিজ জানিয়েছেন, কুলেন্দ্র শর্মার সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের সন্দেহ প্রবল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু বলা যাবে না।
জানা গেছে, অবসরের আগে কুলেন্দ্র শর্মা তেজপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই স্টেশনে সুখোই-৩০ স্কোয়াড্রনসহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। তিনি ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং এরপর অল্প সময়ের জন্য তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কুলেন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দীর্ঘদিন নজরদারির পর শুক্রবার রাতে কুলেন্দ্র শর্মাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলেন্দ্র শর্মা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তাঁদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতেন। তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ল্যাপটপ থেকে কিছু ডেটা মুছে ফেলা হয়েছে।
আসামের শোণিতপুর জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) হরিচরণ ভূমিজ জানিয়েছেন, কুলেন্দ্র শর্মার সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের সন্দেহ প্রবল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু বলা যাবে না।
জানা গেছে, অবসরের আগে কুলেন্দ্র শর্মা তেজপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই স্টেশনে সুখোই-৩০ স্কোয়াড্রনসহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। তিনি ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং এরপর অল্প সময়ের জন্য তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কুলেন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

বিরল রোগ অ্যামাইলয়েডোসিসে দীর্ঘদিন যুদ্ধ করার পর অবশেষে পৃথিবীর মায়া ছাড়লেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। ৭৯ বছর বয়সে থামল তাঁর জীবনযাত্রা। আজ রোববার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

বিরল রোগ অ্যামাইলয়েডোসিসে দীর্ঘদিন যুদ্ধ করার পর অবশেষে পৃথিবীর মায়া ছাড়লেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। ৭৯ বছর বয়সে থামল তাঁর জীবনযাত্রা। আজ রোববার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
৫ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

বিরল রোগ অ্যামাইলয়েডোসিসে দীর্ঘদিন যুদ্ধ করার পর অবশেষে পৃথিবীর মায়া ছাড়লেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। ৭৯ বছর বয়সে থামল তাঁর জীবনযাত্রা। আজ রোববার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
৫ মিনিট আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

বিরল রোগ অ্যামাইলয়েডোসিসে দীর্ঘদিন যুদ্ধ করার পর অবশেষে পৃথিবীর মায়া ছাড়লেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। ৭৯ বছর বয়সে থামল তাঁর জীবনযাত্রা। আজ রোববার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
৫ মিনিট আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে