
অবশেষে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হলো ইমরান খানকে। গতকাল শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অবসান হলো ইমরান খানের সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্ব।
প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান হলেও ইমরানকে নিয়ে আলোচনার অবসান হয়নি। ইতিমধ্যে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। এটি খুবই সংগত যে, সামনের দিনগুলোতে তাঁকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলতেই থাকবে।
৬৯ বছরের বহু বর্ণিল জীবনে নানাভাবে আলোচনায় ছিলেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার কাম রাজনীতিবিদ। মা-বাবার দেওয়া নাম ‘আহমেদ খান নিয়াজি ইমরান’ থেকে হয়ে উঠেছেন শুধুই ‘ইমরান খান’। পাকিস্তানকে এনে দিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মান—বিশ্বকাপ! যখন ছাত্র ছিলেন অক্সফোর্ডের, তখনো আলোচিত ছিলেন ‘মেধাবী ছাত্র’ হিসেবে। ২২ গজে ছিলেন খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ক্রিকেটার। আর যখন খেলা ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নামলেন, তখনো দুর্নীতিবিরোধী কথা বলে জায়গা করে নেন তরুণদের মনে। হয়ে ওঠেন ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান’।
আদতে সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বই তাঁর রাজনৈতিক জীবন নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ২৬ বছরের লম্বা সংগ্রাম। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে ওই বছরই ইতি টানেন দীর্ঘ ২১ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের। তারপর পা রাখেন রাজনীতির মাঠে।
১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) গঠন করে সবাইকে চমকে দেন ইমরান খান। কারণ ক্রিকেটার হিসেবে অবসর নেওয়ার আগেই তাঁর কাছে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল বেশ কয়েকটি দল থেকে। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান মুসলিম লিগে (পিএমএল) যোগ দেওয়ার ডাক পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি নওয়াজ শরিফও তাঁকে নিজ দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পরে নিজেই দল খুলে বসেন ‘আনপ্রেডিকটেবল’ ইমরান।
দল গঠনের পরের বছরই পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। সেই থেকে নানাভাবে আছেন রাজনৈতিক আলোচনায়। তাঁর রাজনৈতিক পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। ১৯৯৭ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। একটি আসনেও জয়ের দেখা পাননি। এরপর ২০০২ সালের নির্বাচনেও খুব বাজেভাবে হেরে যায় ইমরানের দল। ২০০৮ সালের নির্বাচন বয়কট করেছিলেন ইমরান। তবে ২০১৩ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল ইমরানের দল। ভোটের হিসাবে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এবং জয়ী আসনের হিসাবে তৃতীয় বৃহত্তম দল ছিল ইমরানের পিটিআই। কিন্তু সে বছরও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে প্রতিবাদের ডাক দেন ইমরান। ২০১৪ সালে সাধারণ মানুষের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে ‘আজাদি মার্চ’ শুরু করেছিলেন তিনি। প্রায় ১২৬ দিন ধরে ইসলামাবাদে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছিলেন ইমরান ও তাঁর দল।
এসব কর্মসূচি ইমরানকে নাটকীয়ভাবে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ফলশ্রুতিতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৪৯টি আসনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জনগণের সামনে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল পাকিস্তানকে একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা, বেকারত্ব হ্রাস করা ইত্যাদি।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান দায়িত্ব নেওয়ার পর পাকিস্তানের অর্থনীতি ধসে পড়ে, মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে, নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়, বাড়তে থাকে বেকারত্ব। তাঁর সময়ে জঙ্গি কার্যকলাপও বাড়তে থাকে। জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে বিতর্কে জড়ান তিনি। আফগানিস্তানের পালাবদলের সময় তিনি তালেবানদের পক্ষ নেন।
এসব কারণে পশ্চিমা নেতাদের কাছে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরাগভাজন হন ইমরান খান। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত তিনি সে ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছেন।
এই সবকিছু মিলিয়ে নড়বড়ে হয়ে পড়ে ইমরানের গদি। বিরোধীরা অর্থনৈতিক সমস্যার অভিযোগ তুলে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। তবে গত ৩ এপ্রিল ইমরানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। পরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
এরপর আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। গত ৭ এপ্রিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ভেঙে দেওয়া জাতীয় পরিষদ পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ৯ এপ্রিল শনিবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের নির্দেশ দেন আদালত।
অবশেষে গতকাল শনিবার সারা দিন নানা নাটকীয়তার পর স্থানীয় সময় মধ্যরাতে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয় এবং ১৭৪-০ ব্যবধানে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান।
ইমরান খানের জন্ম ১৯৫২ সালের ৫ অক্টোবর পাঞ্জাবে। মামাতো ভাইদের উৎসাহে ভর্তি হয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর আগে পড়েছেন লাহোরের অ্যাটকিনসন কলেজ, ক্যাথেড্রাল স্কুল ও অরচেস্টারের রয়্যাল গ্রামার স্কুলে। ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। ১৯৭০ সালে যখন জাতীয় দলে ডাক পান, তখনো তাঁর পড়াশোনাই শেষ হয়নি। ৮৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলা ইমরান ছিলেন তৎকালীন সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
ক্রিকেটে ব্যাট-বল দুটোতেই ইমরান ছিলেন সব্যসাচী। তবে রাজনীতির মাঠে সেই নৈপুণ্য ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। বিরোধীদের লাগাতার বাউন্সারে অবশেষে নাকাল হয়েই তাঁকে ফিরতে হলো সাজঘরে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ডন, জিও নিউজ, এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া

অবশেষে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হলো ইমরান খানকে। গতকাল শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অবসান হলো ইমরান খানের সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্ব।
প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান হলেও ইমরানকে নিয়ে আলোচনার অবসান হয়নি। ইতিমধ্যে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। এটি খুবই সংগত যে, সামনের দিনগুলোতে তাঁকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলতেই থাকবে।
৬৯ বছরের বহু বর্ণিল জীবনে নানাভাবে আলোচনায় ছিলেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার কাম রাজনীতিবিদ। মা-বাবার দেওয়া নাম ‘আহমেদ খান নিয়াজি ইমরান’ থেকে হয়ে উঠেছেন শুধুই ‘ইমরান খান’। পাকিস্তানকে এনে দিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মান—বিশ্বকাপ! যখন ছাত্র ছিলেন অক্সফোর্ডের, তখনো আলোচিত ছিলেন ‘মেধাবী ছাত্র’ হিসেবে। ২২ গজে ছিলেন খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ক্রিকেটার। আর যখন খেলা ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নামলেন, তখনো দুর্নীতিবিরোধী কথা বলে জায়গা করে নেন তরুণদের মনে। হয়ে ওঠেন ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান’।
আদতে সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বই তাঁর রাজনৈতিক জীবন নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ২৬ বছরের লম্বা সংগ্রাম। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে ওই বছরই ইতি টানেন দীর্ঘ ২১ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের। তারপর পা রাখেন রাজনীতির মাঠে।
১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) গঠন করে সবাইকে চমকে দেন ইমরান খান। কারণ ক্রিকেটার হিসেবে অবসর নেওয়ার আগেই তাঁর কাছে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল বেশ কয়েকটি দল থেকে। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান মুসলিম লিগে (পিএমএল) যোগ দেওয়ার ডাক পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি নওয়াজ শরিফও তাঁকে নিজ দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পরে নিজেই দল খুলে বসেন ‘আনপ্রেডিকটেবল’ ইমরান।
দল গঠনের পরের বছরই পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। সেই থেকে নানাভাবে আছেন রাজনৈতিক আলোচনায়। তাঁর রাজনৈতিক পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। ১৯৯৭ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। একটি আসনেও জয়ের দেখা পাননি। এরপর ২০০২ সালের নির্বাচনেও খুব বাজেভাবে হেরে যায় ইমরানের দল। ২০০৮ সালের নির্বাচন বয়কট করেছিলেন ইমরান। তবে ২০১৩ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল ইমরানের দল। ভোটের হিসাবে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এবং জয়ী আসনের হিসাবে তৃতীয় বৃহত্তম দল ছিল ইমরানের পিটিআই। কিন্তু সে বছরও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে প্রতিবাদের ডাক দেন ইমরান। ২০১৪ সালে সাধারণ মানুষের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে ‘আজাদি মার্চ’ শুরু করেছিলেন তিনি। প্রায় ১২৬ দিন ধরে ইসলামাবাদে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছিলেন ইমরান ও তাঁর দল।
এসব কর্মসূচি ইমরানকে নাটকীয়ভাবে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ফলশ্রুতিতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৪৯টি আসনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জনগণের সামনে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল পাকিস্তানকে একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা, বেকারত্ব হ্রাস করা ইত্যাদি।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান দায়িত্ব নেওয়ার পর পাকিস্তানের অর্থনীতি ধসে পড়ে, মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে, নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়, বাড়তে থাকে বেকারত্ব। তাঁর সময়ে জঙ্গি কার্যকলাপও বাড়তে থাকে। জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে বিতর্কে জড়ান তিনি। আফগানিস্তানের পালাবদলের সময় তিনি তালেবানদের পক্ষ নেন।
এসব কারণে পশ্চিমা নেতাদের কাছে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরাগভাজন হন ইমরান খান। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত তিনি সে ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছেন।
এই সবকিছু মিলিয়ে নড়বড়ে হয়ে পড়ে ইমরানের গদি। বিরোধীরা অর্থনৈতিক সমস্যার অভিযোগ তুলে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। তবে গত ৩ এপ্রিল ইমরানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। পরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
এরপর আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। গত ৭ এপ্রিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ভেঙে দেওয়া জাতীয় পরিষদ পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ৯ এপ্রিল শনিবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের নির্দেশ দেন আদালত।
অবশেষে গতকাল শনিবার সারা দিন নানা নাটকীয়তার পর স্থানীয় সময় মধ্যরাতে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয় এবং ১৭৪-০ ব্যবধানে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান।
ইমরান খানের জন্ম ১৯৫২ সালের ৫ অক্টোবর পাঞ্জাবে। মামাতো ভাইদের উৎসাহে ভর্তি হয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর আগে পড়েছেন লাহোরের অ্যাটকিনসন কলেজ, ক্যাথেড্রাল স্কুল ও অরচেস্টারের রয়্যাল গ্রামার স্কুলে। ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। ১৯৭০ সালে যখন জাতীয় দলে ডাক পান, তখনো তাঁর পড়াশোনাই শেষ হয়নি। ৮৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলা ইমরান ছিলেন তৎকালীন সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
ক্রিকেটে ব্যাট-বল দুটোতেই ইমরান ছিলেন সব্যসাচী। তবে রাজনীতির মাঠে সেই নৈপুণ্য ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। বিরোধীদের লাগাতার বাউন্সারে অবশেষে নাকাল হয়েই তাঁকে ফিরতে হলো সাজঘরে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ডন, জিও নিউজ, এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

অবশেষে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হলো ইমরান খানকে। গতকাল শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অবসান হলো ইমরান খানের সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের।
১০ এপ্রিল ২০২২
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

অবশেষে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হলো ইমরান খানকে। গতকাল শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অবসান হলো ইমরান খানের সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের।
১০ এপ্রিল ২০২২
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

অবশেষে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হলো ইমরান খানকে। গতকাল শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অবসান হলো ইমরান খানের সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের।
১০ এপ্রিল ২০২২
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

অবশেষে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হলো ইমরান খানকে। গতকাল শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অবসান হলো ইমরান খানের সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের।
১০ এপ্রিল ২০২২
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ ঘণ্টা আগে