আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তি ইরান ও ইসরায়েল। যুগের পর যুগ ধরে চরম বৈরী সম্পর্ক এই দুই শক্তির মধ্যে। গত কয়েক দিনে যা আরও বেড়েছে। ১৯৭৯ সালের পর দুই পক্ষের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ চললেও সরাসরি লড়াই ছিল না। এর আগে গত বছর দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলা হলেও খুব বড় আকার ধারণ করেনি। তবে এবার ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার পর উত্তেজনা চরমে উঠেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, পুরোপুরি সংঘাতে জড়াবে দুপক্ষ। কিন্তু সামরিক সক্ষমতায় কে এগিয়ে?
তিন বাহিনীর সক্ষমতা
যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিংকট্যাংক দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রকাশিত ‘দ্য মিলিটারি ব্যালেন্স’-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, সেনাসংখ্যার হিসাবে এগিয়ে আছে ইরান। ইরানের সক্রিয় সেনাসদস্য ৬ লাখ ১০ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ ৩ লাখ ৫০ হাজার জন রয়েছেন মূল সেনাবাহিনীতে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসিতে আছেন ১ লাখ ৯০ হাজার জন সদস্য। নৌবাহিনীতে ১৮ হাজার, বিমানবাহিনীতে ৩৭ হাজার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটে রয়েছেন ১৫ হাজার সেনাসদস্য।
অন্যদিকে ইসরায়েলের সক্রিয় সেনাসদস্য প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে আছেন ১ লাখ ২৬ হাজার, নৌবাহিনীতে ৯ হাজার ৫০০ ও বিমানবাহিনীতে ৩৪ হাজার জন। তবে রিজার্ভ সেনার সংখ্যায় এগিয়ে আছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনা ৪ লাখ ৬৫ হাজার সদস্য নিয়ে গঠিত। আর ইরানের রিজার্ভ সেনা রয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার জন।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, সামরিক খাতে ইরানের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ব্যয় করে ইসরায়েল। ২০২৩ সালে ইসরায়েল সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ইরান ব্যয় করেছে মাত্র ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
অস্ত্রশস্ত্রের হিসাবেও এগিয়ে আছে ইরান। দ্য মিলিটারি ব্যালেন্সের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ট্যাংক আছে ১০ হাজার ৫১৩টি, ভারী অস্ত্র আছে ৬ হাজার ৭৯৮ ও সাঁজোয়া যান আছে ৬৪০টি। ইরানের প্রধান সামরিক বাহিনীর ভান্ডারে ৫০টি হেলিকপ্টার আছে। আর ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর আছে পাঁচটি। অন্যদিকে ইসরায়েলের অস্ত্রভান্ডারে ট্যাংক আছে ৪০০টি, ভারী অস্ত্র আছে ৫৩০টি এবং সাঁজোয়া যান আছে ১ হাজার ১৯০টি।
নৌবাহিনীর সক্ষমতার দিক দিয়েও এগিয়ে আছে ইরান। ইরানের নৌবহরে আছে ১৭টি ট্যাকটিক্যাল সাবমেরিন (ছোট ও দ্রুত হামলার উপযোগী ডুবোজাহাজ), ৬৮টি টহল ও যুদ্ধজাহাজ, সাতটি করভেট (ছোট আকারের যুদ্ধজাহাজ), ১২টি ল্যান্ডিং শিপ (সৈন্য ও যানবাহন পরিবহনের জন্য), ১১টি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট (সৈন্য নামানোর ছোট জাহাজ) এবং ১৮টি লজিস্টিক ও সাপোর্ট যান (সহায়ক সরঞ্জাম ও জাহাজ)। বিপরীতে ইরানের আছে কেবল পাঁচটি সাবমেরিন এবং ৪৯টি টহল ও যুদ্ধজাহাজ।
বিমানবাহিনীর সক্ষমতার হিসাবে কিছুটা এগিয়ে আছে ইসরায়েল। দ্য মিলিটারি ব্যালেন্সের সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, ইরানের বিমানবাহিনীর ৩১২টি যুদ্ধবিমান রয়েছে, অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে দুটি। এর পাশাপাশি ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কাছে যুদ্ধবিমান আছে ২৩টি আর অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে পাঁচটি। এ ছাড়া ইরানের প্রধান সামরিক বাহিনীর কাছে অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে ৫০টি। অন্যদিকে ইসরায়েলের ভান্ডারে যুদ্ধবিমান আছে ৩৪৫টি আর অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ৪৩টি।
আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা
আকাশ প্রতিরক্ষার দিক থেকে এগিয়ে আছে ইসরায়েল। তেল আবিবের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’কে বিশ্বের সেরা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবেও অভিহিত করেন কেউ কেউ। এটি এমন একটি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, যা শত্রুপক্ষের ছোড়া রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথেই শনাক্ত করে ধ্বংস করতে পারে। আয়রন ডোমে একটি রাডার থাকে, যা ইসরায়েলের দিকে আসন্ন রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্রের গতি ও দিক নির্ণয় করে। এরপর নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র হিসাব করে দেখে—এই রকেট জনবসতির জন্য হুমকি কি না। যদি হুমকি না হয়, তাহলে সেটিকে ধ্বংস করা হয় না, বরং ফাঁকা জায়গায় পড়তে দেওয়া হয়। কিন্তু হুমকি হলে লাঞ্চার থেকে প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সেটিকে আকাশেই ধ্বংস করা হয়। একটি লাঞ্চারে (ব্যাটারি) থাকে ২০টি করে ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরায়েলজুড়ে ১০টি আয়রন ডোম ব্যাটারি মোতায়েন রয়েছে।
এর পাশাপাশি ইসরায়েলের কাছে রয়েছে আরও দুটি দূরপাল্লার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। একটি হলো ডেভিডস স্লিং, যেটি ৪০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পারে। আরেকটি হলো অ্যারো সিস্টেম, যা ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম।
অন্যদিকে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইরান আজারাখশ নামের একটি স্বল্পপাল্লা ও নিচ দিয়ে উড়তে থাকা লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকারী প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করে। এটি রাডার, ইনফ্রারেড ও ইলেকট্রো অপটিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত এবং যানবাহনের ওপর বসিয়ে ব্যবহার করা যায়।
ইরানের অন্যান্য প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে ৪২টির বেশি দূরপাল্লার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা—যেমন রাশিয়ার এস-২০০, এস-৩০০ ও স্থানীয়ভাবে তৈরি বাভার-৩৭৩। মাঝারিপাল্লায় রয়েছে ৫৯টির বেশি। এর মধ্যে অন্যতম মিম-২৩ হক, এইচকিউ-টু ও খোরদাদ-১৫। আর স্বল্পপাল্লার জন্য রয়েছে ২৭৯টি সিস্টেম, যার মধ্যে রয়েছে চীনের সিএইচ-এসএ-৪ এবং রাশিয়ার নাইনকে ৩১ টোর-এম১।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক সক্ষমতা
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের কাছে অন্তত ১২ ধরনের স্বল্প ও মাঝারিপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তোন্দার-৬৯, যার সর্বোচ্চ পাল্লা ১৫০ কিলোমিটার এবং আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র যেমন খোররামশহর ও সেজজিল, যেগুলোর পাল্লা প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত।
অন্যদিকে ইসরায়েলের কাছে অন্তত চার ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে—যেমন লোরা, যার পাল্লা ২৮০ কিলোমিটার এবং জেরিকো-৩, যার পাল্লা ৪ হাজার ৮০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
পারমাণবিক অস্ত্রের দিক থেকে ইসরায়েল অনেক এগিয়ে। আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের কাছে প্রায় ৯০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। বিপরীতে ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই বলে ধারণা করা হয়। তবে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। দেশটিতে একাধিক পারমাণবিক স্থাপনা ও গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তি ইরান ও ইসরায়েল। যুগের পর যুগ ধরে চরম বৈরী সম্পর্ক এই দুই শক্তির মধ্যে। গত কয়েক দিনে যা আরও বেড়েছে। ১৯৭৯ সালের পর দুই পক্ষের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ চললেও সরাসরি লড়াই ছিল না। এর আগে গত বছর দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলা হলেও খুব বড় আকার ধারণ করেনি। তবে এবার ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার পর উত্তেজনা চরমে উঠেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, পুরোপুরি সংঘাতে জড়াবে দুপক্ষ। কিন্তু সামরিক সক্ষমতায় কে এগিয়ে?
তিন বাহিনীর সক্ষমতা
যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিংকট্যাংক দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রকাশিত ‘দ্য মিলিটারি ব্যালেন্স’-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, সেনাসংখ্যার হিসাবে এগিয়ে আছে ইরান। ইরানের সক্রিয় সেনাসদস্য ৬ লাখ ১০ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ ৩ লাখ ৫০ হাজার জন রয়েছেন মূল সেনাবাহিনীতে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসিতে আছেন ১ লাখ ৯০ হাজার জন সদস্য। নৌবাহিনীতে ১৮ হাজার, বিমানবাহিনীতে ৩৭ হাজার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটে রয়েছেন ১৫ হাজার সেনাসদস্য।
অন্যদিকে ইসরায়েলের সক্রিয় সেনাসদস্য প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে আছেন ১ লাখ ২৬ হাজার, নৌবাহিনীতে ৯ হাজার ৫০০ ও বিমানবাহিনীতে ৩৪ হাজার জন। তবে রিজার্ভ সেনার সংখ্যায় এগিয়ে আছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনা ৪ লাখ ৬৫ হাজার সদস্য নিয়ে গঠিত। আর ইরানের রিজার্ভ সেনা রয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার জন।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, সামরিক খাতে ইরানের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ব্যয় করে ইসরায়েল। ২০২৩ সালে ইসরায়েল সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ইরান ব্যয় করেছে মাত্র ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
অস্ত্রশস্ত্রের হিসাবেও এগিয়ে আছে ইরান। দ্য মিলিটারি ব্যালেন্সের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ট্যাংক আছে ১০ হাজার ৫১৩টি, ভারী অস্ত্র আছে ৬ হাজার ৭৯৮ ও সাঁজোয়া যান আছে ৬৪০টি। ইরানের প্রধান সামরিক বাহিনীর ভান্ডারে ৫০টি হেলিকপ্টার আছে। আর ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর আছে পাঁচটি। অন্যদিকে ইসরায়েলের অস্ত্রভান্ডারে ট্যাংক আছে ৪০০টি, ভারী অস্ত্র আছে ৫৩০টি এবং সাঁজোয়া যান আছে ১ হাজার ১৯০টি।
নৌবাহিনীর সক্ষমতার দিক দিয়েও এগিয়ে আছে ইরান। ইরানের নৌবহরে আছে ১৭টি ট্যাকটিক্যাল সাবমেরিন (ছোট ও দ্রুত হামলার উপযোগী ডুবোজাহাজ), ৬৮টি টহল ও যুদ্ধজাহাজ, সাতটি করভেট (ছোট আকারের যুদ্ধজাহাজ), ১২টি ল্যান্ডিং শিপ (সৈন্য ও যানবাহন পরিবহনের জন্য), ১১টি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট (সৈন্য নামানোর ছোট জাহাজ) এবং ১৮টি লজিস্টিক ও সাপোর্ট যান (সহায়ক সরঞ্জাম ও জাহাজ)। বিপরীতে ইরানের আছে কেবল পাঁচটি সাবমেরিন এবং ৪৯টি টহল ও যুদ্ধজাহাজ।
বিমানবাহিনীর সক্ষমতার হিসাবে কিছুটা এগিয়ে আছে ইসরায়েল। দ্য মিলিটারি ব্যালেন্সের সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, ইরানের বিমানবাহিনীর ৩১২টি যুদ্ধবিমান রয়েছে, অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে দুটি। এর পাশাপাশি ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কাছে যুদ্ধবিমান আছে ২৩টি আর অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে পাঁচটি। এ ছাড়া ইরানের প্রধান সামরিক বাহিনীর কাছে অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে ৫০টি। অন্যদিকে ইসরায়েলের ভান্ডারে যুদ্ধবিমান আছে ৩৪৫টি আর অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ৪৩টি।
আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা
আকাশ প্রতিরক্ষার দিক থেকে এগিয়ে আছে ইসরায়েল। তেল আবিবের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’কে বিশ্বের সেরা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবেও অভিহিত করেন কেউ কেউ। এটি এমন একটি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, যা শত্রুপক্ষের ছোড়া রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথেই শনাক্ত করে ধ্বংস করতে পারে। আয়রন ডোমে একটি রাডার থাকে, যা ইসরায়েলের দিকে আসন্ন রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্রের গতি ও দিক নির্ণয় করে। এরপর নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র হিসাব করে দেখে—এই রকেট জনবসতির জন্য হুমকি কি না। যদি হুমকি না হয়, তাহলে সেটিকে ধ্বংস করা হয় না, বরং ফাঁকা জায়গায় পড়তে দেওয়া হয়। কিন্তু হুমকি হলে লাঞ্চার থেকে প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সেটিকে আকাশেই ধ্বংস করা হয়। একটি লাঞ্চারে (ব্যাটারি) থাকে ২০টি করে ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরায়েলজুড়ে ১০টি আয়রন ডোম ব্যাটারি মোতায়েন রয়েছে।
এর পাশাপাশি ইসরায়েলের কাছে রয়েছে আরও দুটি দূরপাল্লার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। একটি হলো ডেভিডস স্লিং, যেটি ৪০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পারে। আরেকটি হলো অ্যারো সিস্টেম, যা ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম।
অন্যদিকে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইরান আজারাখশ নামের একটি স্বল্পপাল্লা ও নিচ দিয়ে উড়তে থাকা লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকারী প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করে। এটি রাডার, ইনফ্রারেড ও ইলেকট্রো অপটিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত এবং যানবাহনের ওপর বসিয়ে ব্যবহার করা যায়।
ইরানের অন্যান্য প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে ৪২টির বেশি দূরপাল্লার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা—যেমন রাশিয়ার এস-২০০, এস-৩০০ ও স্থানীয়ভাবে তৈরি বাভার-৩৭৩। মাঝারিপাল্লায় রয়েছে ৫৯টির বেশি। এর মধ্যে অন্যতম মিম-২৩ হক, এইচকিউ-টু ও খোরদাদ-১৫। আর স্বল্পপাল্লার জন্য রয়েছে ২৭৯টি সিস্টেম, যার মধ্যে রয়েছে চীনের সিএইচ-এসএ-৪ এবং রাশিয়ার নাইনকে ৩১ টোর-এম১।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক সক্ষমতা
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের কাছে অন্তত ১২ ধরনের স্বল্প ও মাঝারিপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তোন্দার-৬৯, যার সর্বোচ্চ পাল্লা ১৫০ কিলোমিটার এবং আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র যেমন খোররামশহর ও সেজজিল, যেগুলোর পাল্লা প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত।
অন্যদিকে ইসরায়েলের কাছে অন্তত চার ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে—যেমন লোরা, যার পাল্লা ২৮০ কিলোমিটার এবং জেরিকো-৩, যার পাল্লা ৪ হাজার ৮০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
পারমাণবিক অস্ত্রের দিক থেকে ইসরায়েল অনেক এগিয়ে। আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের কাছে প্রায় ৯০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। বিপরীতে ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই বলে ধারণা করা হয়। তবে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। দেশটিতে একাধিক পারমাণবিক স্থাপনা ও গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তি ইরান ও ইসরায়েল। যুগের পর যুগ ধরে চরম বৈরী সম্পর্ক এই দুই শক্তির মধ্যে। গত কয়েক দিনে যা আরও বেড়েছে। ১৯৭৯ সালের পর দুই পক্ষের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ চললেও সরাসরি লড়াই ছিল না। এর আগে গত বছর দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলা হলেও খুব বড় আকার ধারণ করেনি।
১৩ জুন ২০২৫
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তি ইরান ও ইসরায়েল। যুগের পর যুগ ধরে চরম বৈরী সম্পর্ক এই দুই শক্তির মধ্যে। গত কয়েক দিনে যা আরও বেড়েছে। ১৯৭৯ সালের পর দুই পক্ষের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ চললেও সরাসরি লড়াই ছিল না। এর আগে গত বছর দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলা হলেও খুব বড় আকার ধারণ করেনি।
১৩ জুন ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তি ইরান ও ইসরায়েল। যুগের পর যুগ ধরে চরম বৈরী সম্পর্ক এই দুই শক্তির মধ্যে। গত কয়েক দিনে যা আরও বেড়েছে। ১৯৭৯ সালের পর দুই পক্ষের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ চললেও সরাসরি লড়াই ছিল না। এর আগে গত বছর দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলা হলেও খুব বড় আকার ধারণ করেনি।
১৩ জুন ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
২ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তি ইরান ও ইসরায়েল। যুগের পর যুগ ধরে চরম বৈরী সম্পর্ক এই দুই শক্তির মধ্যে। গত কয়েক দিনে যা আরও বেড়েছে। ১৯৭৯ সালের পর দুই পক্ষের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ চললেও সরাসরি লড়াই ছিল না। এর আগে গত বছর দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলা হলেও খুব বড় আকার ধারণ করেনি।
১৩ জুন ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৩ ঘণ্টা আগে