ইসরায়েলি আগ্রাসন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার জেরে গাজায় দুই বছর আগে শুরু হয়েছিল ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরপর এই উপত্যকায় ঝরেছে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষের প্রাণ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বাড়িঘর পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, হাসপাতাল মিশে গেছে মাটির সঙ্গে, বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা-চিকিৎসাসহ মৌলিক সেবা। শুধু তা-ই নয়, ত্রাণ সহায়তা আটকে দিয়ে এই উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় আরও প্রকট করেছে ইসরায়েল।
অবশেষে গাজা উপত্যকায় আপাতত শান্তির আভাস পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে মিসরে কয়েকদিন ধরে সব পক্ষের অংশগ্রহণে চলছিল আলোচনা। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে জানান, গাজা যুদ্ধ বন্ধে প্রথম ধাপের শান্তিচুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে সব পক্ষ।
বার্তা সংস্থা এএফপি, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও গার্ডিয়ান এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তথ্যমতে, ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিসরে (স্থানীয় সময়) সকালে প্রথম দফার শান্তিচুক্তির খসড়ায় স্বাক্ষর করেছে সব পক্ষ। এই খসড়ার অন্যতম একটি শর্ত হলো, হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দফার শান্তিচুক্তি এখন পরিষ্কারভাবে দাঁড়িয়ে আছে, ৭২ ঘণ্টা পর হামাস সব জিম্মিকে (জীবিত অথবা মৃত) মুক্তি দেবে এবং তারা আমাদের কাছে আগামী সোমবার ফিরবে।’
বেদ্রোসিয়ান বলেন, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে গ্রিনিচ মান সময় বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা)। এই বৈঠকে গাজা শান্তিচুক্তি অনুমোদন পাওয়ার কথা রয়েছে। এরপর গ্রিনিচ মান সময় বেলা ৩টায় ইসরায়েল সরকারের সব সদস্যের অংশগ্রহণে বৈঠক হবে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মানচিত্রে যেভাবে অঙ্কিত আছে, সে অনুসারে হলুদ লাইনে সরে আসবে।
এরপর জিম্মি মুক্তির ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা শুরু হবে।
গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে গত সোমবার থেকে মিসরের শার্ম আল-শেখে শুরু হয় এই শান্তি আলোচনা। এই আলোচনায় অংশ নেন হামাস, ইসরায়েল, তুরস্ক, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। মিসরের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া এ বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল যুদ্ধবিরতি, বন্দিবিনিময় ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষ হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হোয়াইট হাউসে তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এর জন্য শান্তি আলোচনায় বসতে হবে সব পক্ষকে। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস আলোচনায় রাজি না হলে ইসরায়েল যা খুশি করতে পারে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে।
ট্রাম্পের ওই হুঁশিয়ারির পরপরই হামাসের তরফ থেকে আলোচনায় বসার সম্মতির কথা জানানো হয়। এদিকে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় নেতানিয়াহুর সরকারের সব সদস্যের সম্মতি না থাকলেও আলোচনায় যেতে বাধ্য হয় ইসরায়েলও।
গাজা অভিমুখে ত্রাণবাহী বহর
মিসর রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, শান্তিচুক্তির পর রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ১৫৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে। এসব ট্রাকের মধ্যে ৮০টি জাতিসংঘের, ২১টি কাতার সরকারের এবং ১৭টি মিসর রেড ক্রিসেন্টের ট্রাক রয়েছে।
গাজাচুক্তি পর্যবেক্ষণে টাস্কফোর্সে থাকবে তুরস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গতকাল বলেছেন, গাজা শান্তিচুক্তি ঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই টাস্কফোর্সে তুরস্কও যোগ দেবে।
জেরুজালেম যাচ্ছেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী রোববার জেরুজালেম সফর করবেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। এ সময় ট্রাম্প মিসরও সফর করবেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। তবে সফরের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। এ বিষয়ে বিবিসির সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি হয়তো সফর করব।’
শান্তিচুক্তিতে স্বাগত সবার
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গাজা শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তিনি প্রত্যাশা করেন, এই চুক্তি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ খুলবে।
গাজা শান্তিচুক্তির খবর আসার পরপরই ইরান এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। গতকাল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গণহত্যা বন্ধে, দখলদার বাহিনী প্রত্যাহার, গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির জন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ ও উদ্যোগকে ইরান সমর্থন দিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সব জিম্মিকে মর্যাদার সঙ্গে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ অবশ্যই চিরতরে বন্ধ হতে হবে। তিনি এ সময় গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা নির্বিঘ্নে প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, তাঁর সংস্থা গাজাজুড়ে ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সেরা ওষুধ হলো শান্তি।’
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মুহূর্তকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘এ মুহূর্তটি কেবল যুদ্ধের অধ্যায়ই বন্ধ করল না, পাশাপাশি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য প্রত্যাশার দুয়ারও খুলেছে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত বলেছে, গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধে এই চুক্তি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছে। এই শান্তিচুক্তি সমর্থনকারীদের অন্যতম হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত।
জর্ডান ও সৌদি আরবও শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। জর্ডান বলেছে, দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের শান্তিপূর্ণ পথে অগ্রসর হতে গাজা পুনর্গঠনে তারা প্রস্তুত। আর সৌদি আরব বলেছে, এই চুক্তি গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধ করবে বলে তারা প্রত্যাশা করে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শান্তিচুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন। ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তিচুক্তিকে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, গাজায় যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়। আয়ারল্যান্ডও ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, এই শান্তিচুক্তি যদি সবাই মেনে চলে, তাহলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধ হবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শান্তিচুক্তিকে ‘প্রথম জরুরি পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। রাশিয়া ও চীনও বলেছে, তারা প্রত্যাশা করে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হবে এবং স্থায়ী ও সামগ্রিক যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে শুরু হবে।

ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার জেরে গাজায় দুই বছর আগে শুরু হয়েছিল ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরপর এই উপত্যকায় ঝরেছে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষের প্রাণ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বাড়িঘর পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, হাসপাতাল মিশে গেছে মাটির সঙ্গে, বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা-চিকিৎসাসহ মৌলিক সেবা। শুধু তা-ই নয়, ত্রাণ সহায়তা আটকে দিয়ে এই উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় আরও প্রকট করেছে ইসরায়েল।
অবশেষে গাজা উপত্যকায় আপাতত শান্তির আভাস পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে মিসরে কয়েকদিন ধরে সব পক্ষের অংশগ্রহণে চলছিল আলোচনা। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে জানান, গাজা যুদ্ধ বন্ধে প্রথম ধাপের শান্তিচুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে সব পক্ষ।
বার্তা সংস্থা এএফপি, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও গার্ডিয়ান এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তথ্যমতে, ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিসরে (স্থানীয় সময়) সকালে প্রথম দফার শান্তিচুক্তির খসড়ায় স্বাক্ষর করেছে সব পক্ষ। এই খসড়ার অন্যতম একটি শর্ত হলো, হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দফার শান্তিচুক্তি এখন পরিষ্কারভাবে দাঁড়িয়ে আছে, ৭২ ঘণ্টা পর হামাস সব জিম্মিকে (জীবিত অথবা মৃত) মুক্তি দেবে এবং তারা আমাদের কাছে আগামী সোমবার ফিরবে।’
বেদ্রোসিয়ান বলেন, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে গ্রিনিচ মান সময় বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা)। এই বৈঠকে গাজা শান্তিচুক্তি অনুমোদন পাওয়ার কথা রয়েছে। এরপর গ্রিনিচ মান সময় বেলা ৩টায় ইসরায়েল সরকারের সব সদস্যের অংশগ্রহণে বৈঠক হবে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মানচিত্রে যেভাবে অঙ্কিত আছে, সে অনুসারে হলুদ লাইনে সরে আসবে।
এরপর জিম্মি মুক্তির ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা শুরু হবে।
গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে গত সোমবার থেকে মিসরের শার্ম আল-শেখে শুরু হয় এই শান্তি আলোচনা। এই আলোচনায় অংশ নেন হামাস, ইসরায়েল, তুরস্ক, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। মিসরের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া এ বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল যুদ্ধবিরতি, বন্দিবিনিময় ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষ হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হোয়াইট হাউসে তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এর জন্য শান্তি আলোচনায় বসতে হবে সব পক্ষকে। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস আলোচনায় রাজি না হলে ইসরায়েল যা খুশি করতে পারে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে।
ট্রাম্পের ওই হুঁশিয়ারির পরপরই হামাসের তরফ থেকে আলোচনায় বসার সম্মতির কথা জানানো হয়। এদিকে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় নেতানিয়াহুর সরকারের সব সদস্যের সম্মতি না থাকলেও আলোচনায় যেতে বাধ্য হয় ইসরায়েলও।
গাজা অভিমুখে ত্রাণবাহী বহর
মিসর রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, শান্তিচুক্তির পর রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ১৫৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে। এসব ট্রাকের মধ্যে ৮০টি জাতিসংঘের, ২১টি কাতার সরকারের এবং ১৭টি মিসর রেড ক্রিসেন্টের ট্রাক রয়েছে।
গাজাচুক্তি পর্যবেক্ষণে টাস্কফোর্সে থাকবে তুরস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গতকাল বলেছেন, গাজা শান্তিচুক্তি ঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই টাস্কফোর্সে তুরস্কও যোগ দেবে।
জেরুজালেম যাচ্ছেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী রোববার জেরুজালেম সফর করবেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। এ সময় ট্রাম্প মিসরও সফর করবেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। তবে সফরের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। এ বিষয়ে বিবিসির সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি হয়তো সফর করব।’
শান্তিচুক্তিতে স্বাগত সবার
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গাজা শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তিনি প্রত্যাশা করেন, এই চুক্তি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ খুলবে।
গাজা শান্তিচুক্তির খবর আসার পরপরই ইরান এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। গতকাল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গণহত্যা বন্ধে, দখলদার বাহিনী প্রত্যাহার, গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির জন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ ও উদ্যোগকে ইরান সমর্থন দিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সব জিম্মিকে মর্যাদার সঙ্গে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ অবশ্যই চিরতরে বন্ধ হতে হবে। তিনি এ সময় গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা নির্বিঘ্নে প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, তাঁর সংস্থা গাজাজুড়ে ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সেরা ওষুধ হলো শান্তি।’
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মুহূর্তকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘এ মুহূর্তটি কেবল যুদ্ধের অধ্যায়ই বন্ধ করল না, পাশাপাশি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য প্রত্যাশার দুয়ারও খুলেছে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত বলেছে, গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধে এই চুক্তি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছে। এই শান্তিচুক্তি সমর্থনকারীদের অন্যতম হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত।
জর্ডান ও সৌদি আরবও শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। জর্ডান বলেছে, দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের শান্তিপূর্ণ পথে অগ্রসর হতে গাজা পুনর্গঠনে তারা প্রস্তুত। আর সৌদি আরব বলেছে, এই চুক্তি গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধ করবে বলে তারা প্রত্যাশা করে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শান্তিচুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন। ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তিচুক্তিকে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, গাজায় যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়। আয়ারল্যান্ডও ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, এই শান্তিচুক্তি যদি সবাই মেনে চলে, তাহলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধ হবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শান্তিচুক্তিকে ‘প্রথম জরুরি পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। রাশিয়া ও চীনও বলেছে, তারা প্রত্যাশা করে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হবে এবং স্থায়ী ও সামগ্রিক যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে শুরু হবে।
ইসরায়েলি আগ্রাসন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার জেরে গাজায় দুই বছর আগে শুরু হয়েছিল ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরপর এই উপত্যকায় ঝরেছে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষের প্রাণ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বাড়িঘর পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, হাসপাতাল মিশে গেছে মাটির সঙ্গে, বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা-চিকিৎসাসহ মৌলিক সেবা। শুধু তা-ই নয়, ত্রাণ সহায়তা আটকে দিয়ে এই উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় আরও প্রকট করেছে ইসরায়েল।
অবশেষে গাজা উপত্যকায় আপাতত শান্তির আভাস পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে মিসরে কয়েকদিন ধরে সব পক্ষের অংশগ্রহণে চলছিল আলোচনা। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে জানান, গাজা যুদ্ধ বন্ধে প্রথম ধাপের শান্তিচুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে সব পক্ষ।
বার্তা সংস্থা এএফপি, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও গার্ডিয়ান এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তথ্যমতে, ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিসরে (স্থানীয় সময়) সকালে প্রথম দফার শান্তিচুক্তির খসড়ায় স্বাক্ষর করেছে সব পক্ষ। এই খসড়ার অন্যতম একটি শর্ত হলো, হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দফার শান্তিচুক্তি এখন পরিষ্কারভাবে দাঁড়িয়ে আছে, ৭২ ঘণ্টা পর হামাস সব জিম্মিকে (জীবিত অথবা মৃত) মুক্তি দেবে এবং তারা আমাদের কাছে আগামী সোমবার ফিরবে।’
বেদ্রোসিয়ান বলেন, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে গ্রিনিচ মান সময় বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা)। এই বৈঠকে গাজা শান্তিচুক্তি অনুমোদন পাওয়ার কথা রয়েছে। এরপর গ্রিনিচ মান সময় বেলা ৩টায় ইসরায়েল সরকারের সব সদস্যের অংশগ্রহণে বৈঠক হবে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মানচিত্রে যেভাবে অঙ্কিত আছে, সে অনুসারে হলুদ লাইনে সরে আসবে।
এরপর জিম্মি মুক্তির ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা শুরু হবে।
গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে গত সোমবার থেকে মিসরের শার্ম আল-শেখে শুরু হয় এই শান্তি আলোচনা। এই আলোচনায় অংশ নেন হামাস, ইসরায়েল, তুরস্ক, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। মিসরের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া এ বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল যুদ্ধবিরতি, বন্দিবিনিময় ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষ হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হোয়াইট হাউসে তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এর জন্য শান্তি আলোচনায় বসতে হবে সব পক্ষকে। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস আলোচনায় রাজি না হলে ইসরায়েল যা খুশি করতে পারে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে।
ট্রাম্পের ওই হুঁশিয়ারির পরপরই হামাসের তরফ থেকে আলোচনায় বসার সম্মতির কথা জানানো হয়। এদিকে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় নেতানিয়াহুর সরকারের সব সদস্যের সম্মতি না থাকলেও আলোচনায় যেতে বাধ্য হয় ইসরায়েলও।
গাজা অভিমুখে ত্রাণবাহী বহর
মিসর রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, শান্তিচুক্তির পর রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ১৫৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে। এসব ট্রাকের মধ্যে ৮০টি জাতিসংঘের, ২১টি কাতার সরকারের এবং ১৭টি মিসর রেড ক্রিসেন্টের ট্রাক রয়েছে।
গাজাচুক্তি পর্যবেক্ষণে টাস্কফোর্সে থাকবে তুরস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গতকাল বলেছেন, গাজা শান্তিচুক্তি ঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই টাস্কফোর্সে তুরস্কও যোগ দেবে।
জেরুজালেম যাচ্ছেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী রোববার জেরুজালেম সফর করবেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। এ সময় ট্রাম্প মিসরও সফর করবেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। তবে সফরের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। এ বিষয়ে বিবিসির সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি হয়তো সফর করব।’
শান্তিচুক্তিতে স্বাগত সবার
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গাজা শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তিনি প্রত্যাশা করেন, এই চুক্তি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ খুলবে।
গাজা শান্তিচুক্তির খবর আসার পরপরই ইরান এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। গতকাল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গণহত্যা বন্ধে, দখলদার বাহিনী প্রত্যাহার, গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির জন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ ও উদ্যোগকে ইরান সমর্থন দিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সব জিম্মিকে মর্যাদার সঙ্গে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ অবশ্যই চিরতরে বন্ধ হতে হবে। তিনি এ সময় গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা নির্বিঘ্নে প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, তাঁর সংস্থা গাজাজুড়ে ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সেরা ওষুধ হলো শান্তি।’
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মুহূর্তকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘এ মুহূর্তটি কেবল যুদ্ধের অধ্যায়ই বন্ধ করল না, পাশাপাশি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য প্রত্যাশার দুয়ারও খুলেছে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত বলেছে, গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধে এই চুক্তি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছে। এই শান্তিচুক্তি সমর্থনকারীদের অন্যতম হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত।
জর্ডান ও সৌদি আরবও শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। জর্ডান বলেছে, দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের শান্তিপূর্ণ পথে অগ্রসর হতে গাজা পুনর্গঠনে তারা প্রস্তুত। আর সৌদি আরব বলেছে, এই চুক্তি গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধ করবে বলে তারা প্রত্যাশা করে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শান্তিচুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন। ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তিচুক্তিকে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, গাজায় যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়। আয়ারল্যান্ডও ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, এই শান্তিচুক্তি যদি সবাই মেনে চলে, তাহলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধ হবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শান্তিচুক্তিকে ‘প্রথম জরুরি পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। রাশিয়া ও চীনও বলেছে, তারা প্রত্যাশা করে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হবে এবং স্থায়ী ও সামগ্রিক যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে শুরু হবে।

ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার জেরে গাজায় দুই বছর আগে শুরু হয়েছিল ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরপর এই উপত্যকায় ঝরেছে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষের প্রাণ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বাড়িঘর পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, হাসপাতাল মিশে গেছে মাটির সঙ্গে, বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা-চিকিৎসাসহ মৌলিক সেবা। শুধু তা-ই নয়, ত্রাণ সহায়তা আটকে দিয়ে এই উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় আরও প্রকট করেছে ইসরায়েল।
অবশেষে গাজা উপত্যকায় আপাতত শান্তির আভাস পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে মিসরে কয়েকদিন ধরে সব পক্ষের অংশগ্রহণে চলছিল আলোচনা। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে জানান, গাজা যুদ্ধ বন্ধে প্রথম ধাপের শান্তিচুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে সব পক্ষ।
বার্তা সংস্থা এএফপি, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও গার্ডিয়ান এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তথ্যমতে, ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিসরে (স্থানীয় সময়) সকালে প্রথম দফার শান্তিচুক্তির খসড়ায় স্বাক্ষর করেছে সব পক্ষ। এই খসড়ার অন্যতম একটি শর্ত হলো, হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দফার শান্তিচুক্তি এখন পরিষ্কারভাবে দাঁড়িয়ে আছে, ৭২ ঘণ্টা পর হামাস সব জিম্মিকে (জীবিত অথবা মৃত) মুক্তি দেবে এবং তারা আমাদের কাছে আগামী সোমবার ফিরবে।’
বেদ্রোসিয়ান বলেন, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে গ্রিনিচ মান সময় বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা)। এই বৈঠকে গাজা শান্তিচুক্তি অনুমোদন পাওয়ার কথা রয়েছে। এরপর গ্রিনিচ মান সময় বেলা ৩টায় ইসরায়েল সরকারের সব সদস্যের অংশগ্রহণে বৈঠক হবে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মানচিত্রে যেভাবে অঙ্কিত আছে, সে অনুসারে হলুদ লাইনে সরে আসবে।
এরপর জিম্মি মুক্তির ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা শুরু হবে।
গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে গত সোমবার থেকে মিসরের শার্ম আল-শেখে শুরু হয় এই শান্তি আলোচনা। এই আলোচনায় অংশ নেন হামাস, ইসরায়েল, তুরস্ক, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। মিসরের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া এ বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল যুদ্ধবিরতি, বন্দিবিনিময় ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষ হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হোয়াইট হাউসে তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এর জন্য শান্তি আলোচনায় বসতে হবে সব পক্ষকে। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস আলোচনায় রাজি না হলে ইসরায়েল যা খুশি করতে পারে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে।
ট্রাম্পের ওই হুঁশিয়ারির পরপরই হামাসের তরফ থেকে আলোচনায় বসার সম্মতির কথা জানানো হয়। এদিকে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় নেতানিয়াহুর সরকারের সব সদস্যের সম্মতি না থাকলেও আলোচনায় যেতে বাধ্য হয় ইসরায়েলও।
গাজা অভিমুখে ত্রাণবাহী বহর
মিসর রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, শান্তিচুক্তির পর রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ১৫৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে। এসব ট্রাকের মধ্যে ৮০টি জাতিসংঘের, ২১টি কাতার সরকারের এবং ১৭টি মিসর রেড ক্রিসেন্টের ট্রাক রয়েছে।
গাজাচুক্তি পর্যবেক্ষণে টাস্কফোর্সে থাকবে তুরস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গতকাল বলেছেন, গাজা শান্তিচুক্তি ঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই টাস্কফোর্সে তুরস্কও যোগ দেবে।
জেরুজালেম যাচ্ছেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী রোববার জেরুজালেম সফর করবেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। এ সময় ট্রাম্প মিসরও সফর করবেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। তবে সফরের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। এ বিষয়ে বিবিসির সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি হয়তো সফর করব।’
শান্তিচুক্তিতে স্বাগত সবার
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গাজা শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তিনি প্রত্যাশা করেন, এই চুক্তি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ খুলবে।
গাজা শান্তিচুক্তির খবর আসার পরপরই ইরান এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। গতকাল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গণহত্যা বন্ধে, দখলদার বাহিনী প্রত্যাহার, গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির জন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ ও উদ্যোগকে ইরান সমর্থন দিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সব জিম্মিকে মর্যাদার সঙ্গে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ অবশ্যই চিরতরে বন্ধ হতে হবে। তিনি এ সময় গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা নির্বিঘ্নে প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, তাঁর সংস্থা গাজাজুড়ে ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সেরা ওষুধ হলো শান্তি।’
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মুহূর্তকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘এ মুহূর্তটি কেবল যুদ্ধের অধ্যায়ই বন্ধ করল না, পাশাপাশি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য প্রত্যাশার দুয়ারও খুলেছে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত বলেছে, গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধে এই চুক্তি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছে। এই শান্তিচুক্তি সমর্থনকারীদের অন্যতম হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত।
জর্ডান ও সৌদি আরবও শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। জর্ডান বলেছে, দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের শান্তিপূর্ণ পথে অগ্রসর হতে গাজা পুনর্গঠনে তারা প্রস্তুত। আর সৌদি আরব বলেছে, এই চুক্তি গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধ করবে বলে তারা প্রত্যাশা করে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শান্তিচুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন। ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তিচুক্তিকে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, গাজায় যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়। আয়ারল্যান্ডও ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, এই শান্তিচুক্তি যদি সবাই মেনে চলে, তাহলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধ হবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শান্তিচুক্তিকে ‘প্রথম জরুরি পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। রাশিয়া ও চীনও বলেছে, তারা প্রত্যাশা করে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হবে এবং স্থায়ী ও সামগ্রিক যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে শুরু হবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩১ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার জেরে গাজায় দুই বছর আগে শুরু হয়েছিল ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরপর এই উপত্যকায় ঝরেছে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষের প্রাণ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বাড়িঘর পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, হাসপাতাল মিশে গেছে মাটির সঙ্গে, বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা-চিকিৎসাসহ মৌলিক সেবা। শুধু তা-ই নয়, ত্রাণ সহায়তা আটকে
০৯ অক্টোবর ২০২৫
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার জেরে গাজায় দুই বছর আগে শুরু হয়েছিল ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরপর এই উপত্যকায় ঝরেছে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষের প্রাণ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বাড়িঘর পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, হাসপাতাল মিশে গেছে মাটির সঙ্গে, বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা-চিকিৎসাসহ মৌলিক সেবা। শুধু তা-ই নয়, ত্রাণ সহায়তা আটকে
০৯ অক্টোবর ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩১ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার জেরে গাজায় দুই বছর আগে শুরু হয়েছিল ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরপর এই উপত্যকায় ঝরেছে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষের প্রাণ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বাড়িঘর পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, হাসপাতাল মিশে গেছে মাটির সঙ্গে, বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা-চিকিৎসাসহ মৌলিক সেবা। শুধু তা-ই নয়, ত্রাণ সহায়তা আটকে
০৯ অক্টোবর ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩১ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার জেরে গাজায় দুই বছর আগে শুরু হয়েছিল ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরপর এই উপত্যকায় ঝরেছে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষের প্রাণ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বাড়িঘর পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, হাসপাতাল মিশে গেছে মাটির সঙ্গে, বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা-চিকিৎসাসহ মৌলিক সেবা। শুধু তা-ই নয়, ত্রাণ সহায়তা আটকে
০৯ অক্টোবর ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩১ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে