
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুরুতেই ধারণা করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন তেমন কোনো কৌশলগত অর্জন বা অগ্রগতি ছাড়াই ইতি টেনেছে।
সম্মেলনে আরব বিশ্বের নেতারা গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং অংশগ্রহণকারী ইউরোপের কূটনীতিকেরা সংঘাতের সময় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার ওপর জোর দেন। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি সবাইকে হতাশ করেছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহ পর এই সম্মেলনের ডাক দেয় মিসর। চলমান এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি ও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে বন্দী আরও ২০০ ইসরায়েলি।
সম্মেলন সফল না হলেও গতকাল জাতিসংঘের ২০ ট্রাক ত্রাণ মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, এই সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। এটি মরুভূমিতে একবিন্দু জলের মতো। আর এসব ট্রাকে কোনো জ্বালানিও ছিল না, যা হাসপাতালের জেনারেটর চালানোর জন্য জরুরি। যেখানে আগে গাজায় ২০ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিন ১০০টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউরোপীয় নেতারা একদিকে ইসরায়েলকে শক্ত রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে গাজায় মানবিক ত্রাণ অনুদান দিচ্ছে। ফলে তাদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় আগে থেকেই ছিল।
কায়রোর শান্তি সম্মেলনে কারা যোগ দিয়েছিলেন
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পাশাপাশি জর্ডান, ইরাকসহ বেশির ভাগ উপসাগরীয় দেশের নেতারা এ সম্মেলনে অংশ নেন। অনেক ইউরোপীয় দেশের প্রধান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি পাঠায়। রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন ও জাপান থেকেও প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতির জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের আগের দিন মিসরের সীমান্ত পরিদর্শন করেছিলেন। তিনিও সম্মেলনে যোগ দেন।
তবে এ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিল মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও হামাস-হিজবুল্লাহর অর্থদাতা ইরান। তবে লেবাননের এক রাজনীতিবিদ আমেরিকান সংবাদ সংস্থা পলিটিকোকে বলেন, ইরানের অনুপস্থিতি এই সম্মেলন তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
যুক্তরাষ্ট্র মিসর দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পাঠায়। তবে বাইডেন প্রশাসনের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়নি। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের মিত্র বাইডেন। হামাসের আক্রমণের পরে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে ওকালতি করেছেন তিনি। তবে ইসরায়েলকে ক্রোধ থেকে বেশি আগ্রাসী না হওয়ার জন্যও সতর্ক করেছেন।
গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন এক মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে।
সম্মেলনে কী বললেন বিশ্বনেতারা?
সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা মূলত যুদ্ধ বন্ধ, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা, জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অভিযোগ বৈধ এবং দীর্ঘ। তবে কোনো কিছুই হামাসের নিন্দনীয় আক্রমণকে ন্যায্যতা দিতে পারে না। আর এই আক্রমণের ফলে কখনোই সব ফিলিস্তিনিকে ভোগান্তিতে ফেলাও ন্যায্য হতে পারে না।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহসহ আরব নেতারা ইসরায়েলের গাজা অবরোধ এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার কঠোর সমালোচনা করেন।
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ গাজা ও পশ্চিম তীরে সমস্ত বেসামরিক নাগরিকের ওপর ইসরায়েলের সহিংসতার নিন্দা জানান। তিনি গাজায় বোমা হামলাকে ‘নিষ্ঠুর এবং অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেন।
রাজা আবদুল্লাহ বলেন, ‘অবরুদ্ধ ও অসহায় মানুষদের সামষ্টিকভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা যুদ্ধাপরাধ।’
তবে সম্মেলনে বেসামরিক নাগরিক এবং মানবিক সংকট নিয়ে পশ্চিমা নেতারা উদ্বেগ প্রকাশের সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন।
এদিকে গাজাকে মুক্ত করার দাবিতে প্রায় এক লাখ মানুষ লন্ডনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি সম্মেলনে জানান, তিনি আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান এবং গাজায় নাগরিকদের জীবন রক্ষার দায়িত্ব সম্পর্কে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন।
জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে শৃঙ্খলা, পেশাদারি এবং সংযমের আহ্বান জানিয়েছি।’
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি।’
জোলিসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতা এই যুদ্ধ ইসরায়েল এবং গাজা থেকে আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন। চলমান যুদ্ধে ইরানের সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।
এদিকে টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা ‘আগ্রহের সঙ্গে’ শীর্ষ শান্তি সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে সমস্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও প্রতিরোধকে সমর্থন দেওয়া সব দেশের প্রশংসা করি।’
যুক্তরাজ্যর সংবাদমাধ্যম টাইম শীর্ষ এ সম্মেলনে ইসরায়েলের অনুপস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য ই-মেইলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া মেলেনি।
শীর্ষ সম্মেলনের অর্জন কী?
যুদ্ধরত দুটি পক্ষ (হামাস-ইসরায়েল) এবং তাদের সমর্থকেরা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না। বিশ্বনেতারা শীর্ষ সম্মেলনের শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেননি, ফলে বিভাজন স্পষ্ট। অর্থাৎ, সম্মেলনে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়নি। দুই পক্ষকে চাপ দেওয়ার মতো কেউ সম্মেলনে ছিলেন না! ফলে এই সংঘাত এখন অবধি সামরিক লড়াইয়ের মাঠেই থেকে গেল, যা বিশ্বের তথাকথিত শান্তিবাদী রাজনীতিবিদদের জন্য লজ্জাকর।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুরুতেই ধারণা করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন তেমন কোনো কৌশলগত অর্জন বা অগ্রগতি ছাড়াই ইতি টেনেছে।
সম্মেলনে আরব বিশ্বের নেতারা গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং অংশগ্রহণকারী ইউরোপের কূটনীতিকেরা সংঘাতের সময় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার ওপর জোর দেন। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি সবাইকে হতাশ করেছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহ পর এই সম্মেলনের ডাক দেয় মিসর। চলমান এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি ও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে বন্দী আরও ২০০ ইসরায়েলি।
সম্মেলন সফল না হলেও গতকাল জাতিসংঘের ২০ ট্রাক ত্রাণ মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, এই সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। এটি মরুভূমিতে একবিন্দু জলের মতো। আর এসব ট্রাকে কোনো জ্বালানিও ছিল না, যা হাসপাতালের জেনারেটর চালানোর জন্য জরুরি। যেখানে আগে গাজায় ২০ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিন ১০০টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউরোপীয় নেতারা একদিকে ইসরায়েলকে শক্ত রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে গাজায় মানবিক ত্রাণ অনুদান দিচ্ছে। ফলে তাদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় আগে থেকেই ছিল।
কায়রোর শান্তি সম্মেলনে কারা যোগ দিয়েছিলেন
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পাশাপাশি জর্ডান, ইরাকসহ বেশির ভাগ উপসাগরীয় দেশের নেতারা এ সম্মেলনে অংশ নেন। অনেক ইউরোপীয় দেশের প্রধান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি পাঠায়। রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন ও জাপান থেকেও প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতির জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের আগের দিন মিসরের সীমান্ত পরিদর্শন করেছিলেন। তিনিও সম্মেলনে যোগ দেন।
তবে এ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিল মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও হামাস-হিজবুল্লাহর অর্থদাতা ইরান। তবে লেবাননের এক রাজনীতিবিদ আমেরিকান সংবাদ সংস্থা পলিটিকোকে বলেন, ইরানের অনুপস্থিতি এই সম্মেলন তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
যুক্তরাষ্ট্র মিসর দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পাঠায়। তবে বাইডেন প্রশাসনের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়নি। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের মিত্র বাইডেন। হামাসের আক্রমণের পরে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে ওকালতি করেছেন তিনি। তবে ইসরায়েলকে ক্রোধ থেকে বেশি আগ্রাসী না হওয়ার জন্যও সতর্ক করেছেন।
গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন এক মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে।
সম্মেলনে কী বললেন বিশ্বনেতারা?
সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা মূলত যুদ্ধ বন্ধ, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা, জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অভিযোগ বৈধ এবং দীর্ঘ। তবে কোনো কিছুই হামাসের নিন্দনীয় আক্রমণকে ন্যায্যতা দিতে পারে না। আর এই আক্রমণের ফলে কখনোই সব ফিলিস্তিনিকে ভোগান্তিতে ফেলাও ন্যায্য হতে পারে না।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহসহ আরব নেতারা ইসরায়েলের গাজা অবরোধ এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার কঠোর সমালোচনা করেন।
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ গাজা ও পশ্চিম তীরে সমস্ত বেসামরিক নাগরিকের ওপর ইসরায়েলের সহিংসতার নিন্দা জানান। তিনি গাজায় বোমা হামলাকে ‘নিষ্ঠুর এবং অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেন।
রাজা আবদুল্লাহ বলেন, ‘অবরুদ্ধ ও অসহায় মানুষদের সামষ্টিকভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা যুদ্ধাপরাধ।’
তবে সম্মেলনে বেসামরিক নাগরিক এবং মানবিক সংকট নিয়ে পশ্চিমা নেতারা উদ্বেগ প্রকাশের সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন।
এদিকে গাজাকে মুক্ত করার দাবিতে প্রায় এক লাখ মানুষ লন্ডনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি সম্মেলনে জানান, তিনি আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান এবং গাজায় নাগরিকদের জীবন রক্ষার দায়িত্ব সম্পর্কে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন।
জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে শৃঙ্খলা, পেশাদারি এবং সংযমের আহ্বান জানিয়েছি।’
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি।’
জোলিসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতা এই যুদ্ধ ইসরায়েল এবং গাজা থেকে আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন। চলমান যুদ্ধে ইরানের সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।
এদিকে টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা ‘আগ্রহের সঙ্গে’ শীর্ষ শান্তি সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে সমস্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও প্রতিরোধকে সমর্থন দেওয়া সব দেশের প্রশংসা করি।’
যুক্তরাজ্যর সংবাদমাধ্যম টাইম শীর্ষ এ সম্মেলনে ইসরায়েলের অনুপস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য ই-মেইলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া মেলেনি।
শীর্ষ সম্মেলনের অর্জন কী?
যুদ্ধরত দুটি পক্ষ (হামাস-ইসরায়েল) এবং তাদের সমর্থকেরা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না। বিশ্বনেতারা শীর্ষ সম্মেলনের শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেননি, ফলে বিভাজন স্পষ্ট। অর্থাৎ, সম্মেলনে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়নি। দুই পক্ষকে চাপ দেওয়ার মতো কেউ সম্মেলনে ছিলেন না! ফলে এই সংঘাত এখন অবধি সামরিক লড়াইয়ের মাঠেই থেকে গেল, যা বিশ্বের তথাকথিত শান্তিবাদী রাজনীতিবিদদের জন্য লজ্জাকর।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুরুতেই ধারণা করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন তেমন কোনো কৌশলগত অর্জন বা অগ্রগতি ছাড়াই ইতি টেনেছে।
সম্মেলনে আরব বিশ্বের নেতারা গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং অংশগ্রহণকারী ইউরোপের কূটনীতিকেরা সংঘাতের সময় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার ওপর জোর দেন। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি সবাইকে হতাশ করেছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহ পর এই সম্মেলনের ডাক দেয় মিসর। চলমান এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি ও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে বন্দী আরও ২০০ ইসরায়েলি।
সম্মেলন সফল না হলেও গতকাল জাতিসংঘের ২০ ট্রাক ত্রাণ মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, এই সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। এটি মরুভূমিতে একবিন্দু জলের মতো। আর এসব ট্রাকে কোনো জ্বালানিও ছিল না, যা হাসপাতালের জেনারেটর চালানোর জন্য জরুরি। যেখানে আগে গাজায় ২০ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিন ১০০টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউরোপীয় নেতারা একদিকে ইসরায়েলকে শক্ত রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে গাজায় মানবিক ত্রাণ অনুদান দিচ্ছে। ফলে তাদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় আগে থেকেই ছিল।
কায়রোর শান্তি সম্মেলনে কারা যোগ দিয়েছিলেন
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পাশাপাশি জর্ডান, ইরাকসহ বেশির ভাগ উপসাগরীয় দেশের নেতারা এ সম্মেলনে অংশ নেন। অনেক ইউরোপীয় দেশের প্রধান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি পাঠায়। রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন ও জাপান থেকেও প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতির জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের আগের দিন মিসরের সীমান্ত পরিদর্শন করেছিলেন। তিনিও সম্মেলনে যোগ দেন।
তবে এ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিল মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও হামাস-হিজবুল্লাহর অর্থদাতা ইরান। তবে লেবাননের এক রাজনীতিবিদ আমেরিকান সংবাদ সংস্থা পলিটিকোকে বলেন, ইরানের অনুপস্থিতি এই সম্মেলন তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
যুক্তরাষ্ট্র মিসর দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পাঠায়। তবে বাইডেন প্রশাসনের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়নি। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের মিত্র বাইডেন। হামাসের আক্রমণের পরে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে ওকালতি করেছেন তিনি। তবে ইসরায়েলকে ক্রোধ থেকে বেশি আগ্রাসী না হওয়ার জন্যও সতর্ক করেছেন।
গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন এক মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে।
সম্মেলনে কী বললেন বিশ্বনেতারা?
সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা মূলত যুদ্ধ বন্ধ, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা, জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অভিযোগ বৈধ এবং দীর্ঘ। তবে কোনো কিছুই হামাসের নিন্দনীয় আক্রমণকে ন্যায্যতা দিতে পারে না। আর এই আক্রমণের ফলে কখনোই সব ফিলিস্তিনিকে ভোগান্তিতে ফেলাও ন্যায্য হতে পারে না।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহসহ আরব নেতারা ইসরায়েলের গাজা অবরোধ এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার কঠোর সমালোচনা করেন।
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ গাজা ও পশ্চিম তীরে সমস্ত বেসামরিক নাগরিকের ওপর ইসরায়েলের সহিংসতার নিন্দা জানান। তিনি গাজায় বোমা হামলাকে ‘নিষ্ঠুর এবং অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেন।
রাজা আবদুল্লাহ বলেন, ‘অবরুদ্ধ ও অসহায় মানুষদের সামষ্টিকভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা যুদ্ধাপরাধ।’
তবে সম্মেলনে বেসামরিক নাগরিক এবং মানবিক সংকট নিয়ে পশ্চিমা নেতারা উদ্বেগ প্রকাশের সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন।
এদিকে গাজাকে মুক্ত করার দাবিতে প্রায় এক লাখ মানুষ লন্ডনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি সম্মেলনে জানান, তিনি আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান এবং গাজায় নাগরিকদের জীবন রক্ষার দায়িত্ব সম্পর্কে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন।
জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে শৃঙ্খলা, পেশাদারি এবং সংযমের আহ্বান জানিয়েছি।’
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি।’
জোলিসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতা এই যুদ্ধ ইসরায়েল এবং গাজা থেকে আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন। চলমান যুদ্ধে ইরানের সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।
এদিকে টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা ‘আগ্রহের সঙ্গে’ শীর্ষ শান্তি সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে সমস্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও প্রতিরোধকে সমর্থন দেওয়া সব দেশের প্রশংসা করি।’
যুক্তরাজ্যর সংবাদমাধ্যম টাইম শীর্ষ এ সম্মেলনে ইসরায়েলের অনুপস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য ই-মেইলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া মেলেনি।
শীর্ষ সম্মেলনের অর্জন কী?
যুদ্ধরত দুটি পক্ষ (হামাস-ইসরায়েল) এবং তাদের সমর্থকেরা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না। বিশ্বনেতারা শীর্ষ সম্মেলনের শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেননি, ফলে বিভাজন স্পষ্ট। অর্থাৎ, সম্মেলনে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়নি। দুই পক্ষকে চাপ দেওয়ার মতো কেউ সম্মেলনে ছিলেন না! ফলে এই সংঘাত এখন অবধি সামরিক লড়াইয়ের মাঠেই থেকে গেল, যা বিশ্বের তথাকথিত শান্তিবাদী রাজনীতিবিদদের জন্য লজ্জাকর।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুরুতেই ধারণা করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন তেমন কোনো কৌশলগত অর্জন বা অগ্রগতি ছাড়াই ইতি টেনেছে।
সম্মেলনে আরব বিশ্বের নেতারা গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং অংশগ্রহণকারী ইউরোপের কূটনীতিকেরা সংঘাতের সময় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার ওপর জোর দেন। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি সবাইকে হতাশ করেছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহ পর এই সম্মেলনের ডাক দেয় মিসর। চলমান এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি ও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে বন্দী আরও ২০০ ইসরায়েলি।
সম্মেলন সফল না হলেও গতকাল জাতিসংঘের ২০ ট্রাক ত্রাণ মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, এই সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। এটি মরুভূমিতে একবিন্দু জলের মতো। আর এসব ট্রাকে কোনো জ্বালানিও ছিল না, যা হাসপাতালের জেনারেটর চালানোর জন্য জরুরি। যেখানে আগে গাজায় ২০ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিন ১০০টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউরোপীয় নেতারা একদিকে ইসরায়েলকে শক্ত রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে গাজায় মানবিক ত্রাণ অনুদান দিচ্ছে। ফলে তাদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় আগে থেকেই ছিল।
কায়রোর শান্তি সম্মেলনে কারা যোগ দিয়েছিলেন
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পাশাপাশি জর্ডান, ইরাকসহ বেশির ভাগ উপসাগরীয় দেশের নেতারা এ সম্মেলনে অংশ নেন। অনেক ইউরোপীয় দেশের প্রধান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি পাঠায়। রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন ও জাপান থেকেও প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতির জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের আগের দিন মিসরের সীমান্ত পরিদর্শন করেছিলেন। তিনিও সম্মেলনে যোগ দেন।
তবে এ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিল মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও হামাস-হিজবুল্লাহর অর্থদাতা ইরান। তবে লেবাননের এক রাজনীতিবিদ আমেরিকান সংবাদ সংস্থা পলিটিকোকে বলেন, ইরানের অনুপস্থিতি এই সম্মেলন তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
যুক্তরাষ্ট্র মিসর দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পাঠায়। তবে বাইডেন প্রশাসনের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়নি। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের মিত্র বাইডেন। হামাসের আক্রমণের পরে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে ওকালতি করেছেন তিনি। তবে ইসরায়েলকে ক্রোধ থেকে বেশি আগ্রাসী না হওয়ার জন্যও সতর্ক করেছেন।
গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন এক মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে।
সম্মেলনে কী বললেন বিশ্বনেতারা?
সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা মূলত যুদ্ধ বন্ধ, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা, জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অভিযোগ বৈধ এবং দীর্ঘ। তবে কোনো কিছুই হামাসের নিন্দনীয় আক্রমণকে ন্যায্যতা দিতে পারে না। আর এই আক্রমণের ফলে কখনোই সব ফিলিস্তিনিকে ভোগান্তিতে ফেলাও ন্যায্য হতে পারে না।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহসহ আরব নেতারা ইসরায়েলের গাজা অবরোধ এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার কঠোর সমালোচনা করেন।
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ গাজা ও পশ্চিম তীরে সমস্ত বেসামরিক নাগরিকের ওপর ইসরায়েলের সহিংসতার নিন্দা জানান। তিনি গাজায় বোমা হামলাকে ‘নিষ্ঠুর এবং অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেন।
রাজা আবদুল্লাহ বলেন, ‘অবরুদ্ধ ও অসহায় মানুষদের সামষ্টিকভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা যুদ্ধাপরাধ।’
তবে সম্মেলনে বেসামরিক নাগরিক এবং মানবিক সংকট নিয়ে পশ্চিমা নেতারা উদ্বেগ প্রকাশের সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন।
এদিকে গাজাকে মুক্ত করার দাবিতে প্রায় এক লাখ মানুষ লন্ডনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি সম্মেলনে জানান, তিনি আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান এবং গাজায় নাগরিকদের জীবন রক্ষার দায়িত্ব সম্পর্কে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন।
জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে শৃঙ্খলা, পেশাদারি এবং সংযমের আহ্বান জানিয়েছি।’
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি।’
জোলিসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতা এই যুদ্ধ ইসরায়েল এবং গাজা থেকে আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন। চলমান যুদ্ধে ইরানের সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।
এদিকে টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা ‘আগ্রহের সঙ্গে’ শীর্ষ শান্তি সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে সমস্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও প্রতিরোধকে সমর্থন দেওয়া সব দেশের প্রশংসা করি।’
যুক্তরাজ্যর সংবাদমাধ্যম টাইম শীর্ষ এ সম্মেলনে ইসরায়েলের অনুপস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য ই-মেইলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া মেলেনি।
শীর্ষ সম্মেলনের অর্জন কী?
যুদ্ধরত দুটি পক্ষ (হামাস-ইসরায়েল) এবং তাদের সমর্থকেরা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না। বিশ্বনেতারা শীর্ষ সম্মেলনের শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেননি, ফলে বিভাজন স্পষ্ট। অর্থাৎ, সম্মেলনে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়নি। দুই পক্ষকে চাপ দেওয়ার মতো কেউ সম্মেলনে ছিলেন না! ফলে এই সংঘাত এখন অবধি সামরিক লড়াইয়ের মাঠেই থেকে গেল, যা বিশ্বের তথাকথিত শান্তিবাদী রাজনীতিবিদদের জন্য লজ্জাকর।

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
১ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুর
২২ অক্টোবর ২০২৩
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুর
২২ অক্টোবর ২০২৩
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
১ ঘণ্টা আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক মাহভাশ সিদ্দিকি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতীয়রা এইচ-১বি ভিসা পেতে জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেন করছেন। তাঁর মতে, অযোগ্য প্রার্থীরা এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মার্কিন কর্মীদের কর্মসংস্থান দখল করছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যান্টি ইমিগ্রেশন থিংকট্যাংক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজে (সিআইএস) লেখা এক নিবন্ধে মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এর আগে এক পডকাস্টে মাহভাশ সিদ্দিকি বলেন, চেন্নাইয়ে তিনি ১৫ জন জুনিয়র ভিসা কর্মকর্তার একজন ছিলেন। তিনি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত, এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মাহভাশ সিদ্দিকি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ আবেদনকারীর কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি থাকলেও তাঁদের মৌলিক কোডিং জ্ঞান নেই। হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকায় জাল ডিগ্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও জাল ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিক্রির একটি ‘শিল্প’ গড়ে উঠেছে বলে তিনি দাবি করেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উভয় স্থানেই দুর্নীতিবাজ এইচআর কর্মকর্তারা জাল চাকরির চিঠি তৈরি করতে সহায়তা করেন। তিনি একে একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি অনুযায়ী, এই ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন—ভারতীয়দের জালিয়াতির ফলে যোগ্য মার্কিন আইটি গ্র্যাজুয়েটদের সরিয়ে কম যোগ্য এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় লবিস্ট ও সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মাহভাশ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তাঁরা মার্কিন কর্মীদের অদক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক সময়ই অবগত নয় এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
যদিও এইচ-১বি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ দেওয়া, মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, এটি কার্যত একটি দেশের আধিপত্যে পরিণত হয়ে অভিবাসনের শর্টকাটে রূপ নিয়েছে।
তবে কেবল আইটি সেক্টরেই নয়, বরং চিকিৎসাক্ষেত্রের ভিসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি, ভারতের অনেক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট কোটা বা ঘুষের মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে জে-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন এবং মার্কিন চিকিৎসকদের তুলনায় নিম্নমানের দক্ষতা নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মার্কিন সরকারকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশ হিসেবে তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় নতুন ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, ডিগ্রি ও দক্ষতা যাচাই, পর্যাপ্ত আমেরিকান কর্মী থাকলে সেই সেক্টরে বিদেশি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও জালিয়াতি ধরা পড়লে জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক মাহভাশ সিদ্দিকি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতীয়রা এইচ-১বি ভিসা পেতে জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেন করছেন। তাঁর মতে, অযোগ্য প্রার্থীরা এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মার্কিন কর্মীদের কর্মসংস্থান দখল করছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যান্টি ইমিগ্রেশন থিংকট্যাংক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজে (সিআইএস) লেখা এক নিবন্ধে মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এর আগে এক পডকাস্টে মাহভাশ সিদ্দিকি বলেন, চেন্নাইয়ে তিনি ১৫ জন জুনিয়র ভিসা কর্মকর্তার একজন ছিলেন। তিনি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত, এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মাহভাশ সিদ্দিকি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ আবেদনকারীর কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি থাকলেও তাঁদের মৌলিক কোডিং জ্ঞান নেই। হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকায় জাল ডিগ্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও জাল ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিক্রির একটি ‘শিল্প’ গড়ে উঠেছে বলে তিনি দাবি করেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উভয় স্থানেই দুর্নীতিবাজ এইচআর কর্মকর্তারা জাল চাকরির চিঠি তৈরি করতে সহায়তা করেন। তিনি একে একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি অনুযায়ী, এই ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন—ভারতীয়দের জালিয়াতির ফলে যোগ্য মার্কিন আইটি গ্র্যাজুয়েটদের সরিয়ে কম যোগ্য এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় লবিস্ট ও সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মাহভাশ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তাঁরা মার্কিন কর্মীদের অদক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক সময়ই অবগত নয় এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
যদিও এইচ-১বি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ দেওয়া, মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, এটি কার্যত একটি দেশের আধিপত্যে পরিণত হয়ে অভিবাসনের শর্টকাটে রূপ নিয়েছে।
তবে কেবল আইটি সেক্টরেই নয়, বরং চিকিৎসাক্ষেত্রের ভিসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি, ভারতের অনেক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট কোটা বা ঘুষের মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে জে-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন এবং মার্কিন চিকিৎসকদের তুলনায় নিম্নমানের দক্ষতা নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মার্কিন সরকারকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশ হিসেবে তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় নতুন ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, ডিগ্রি ও দক্ষতা যাচাই, পর্যাপ্ত আমেরিকান কর্মী থাকলে সেই সেক্টরে বিদেশি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও জালিয়াতি ধরা পড়লে জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুর
২২ অক্টোবর ২০২৩
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
১ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। অ্যাসাঞ্জের দাবি, এই পুরস্কার দিয়ে নোবেল তহবিলের ‘চরম অপব্যবহার’ করা হয়েছে এবং সুইডিশ আইনের আওতায় এটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তার শামিল।
অভিযোগে অ্যাসাঞ্জ বলেন, শান্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নোবেল পুরস্কারকে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘যুদ্ধের হাতিয়ারে’ পরিণত করা হয়েছে। তিনি মাচাদোর হাতে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে বরাদ্দ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা) হস্তান্তর স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে নোবেল ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জনের বিরুদ্ধে তহবিল অপব্যবহার, যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসী অপরাধে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে নোবেল কমিটি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল—মাচাদো ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কাজ করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতি মাচাদোর প্রকাশ্য সমর্থন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। মাচাদো ক্ষমতায় গেলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের অঙ্গীকারও করেছেন।
অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের যে নীতিকে মাচাদো সমর্থন করেছেন, তা তাঁকে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা থেকে ‘সম্পূর্ণভাবে বাদ’ দেয়। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এই সামরিক অভিযানে ইতিমধ্যে বহু প্রাণহানি ঘটেছে এবং ভেনেজুয়েলায় আগ্রাসনের আশঙ্কা বাড়ছে।
আলফ্রেড নোবেলের উইলের কথা উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন—শান্তিতে নোবেল পুরস্কার সেই ব্যক্তিকে দিতে হবে, যিনি মানবজাতির কল্যাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এবং জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। উইকিলিকসের পক্ষ থেকেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পুরস্কারের অর্থ মানবিক উদ্দেশ্যের বদলে আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধে ব্যবহৃত হতে পারে।
নরওয়ের অসলোতে একটি কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিলেও অ্যাসাঞ্জ যুক্তি দিয়েছেন—সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশনকেই এই পুরস্কারের আর্থিক দায়ভার নিতে হবে। সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। অ্যাসাঞ্জের দাবি, এই পুরস্কার দিয়ে নোবেল তহবিলের ‘চরম অপব্যবহার’ করা হয়েছে এবং সুইডিশ আইনের আওতায় এটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তার শামিল।
অভিযোগে অ্যাসাঞ্জ বলেন, শান্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নোবেল পুরস্কারকে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘যুদ্ধের হাতিয়ারে’ পরিণত করা হয়েছে। তিনি মাচাদোর হাতে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে বরাদ্দ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা) হস্তান্তর স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে নোবেল ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জনের বিরুদ্ধে তহবিল অপব্যবহার, যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসী অপরাধে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে নোবেল কমিটি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল—মাচাদো ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কাজ করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতি মাচাদোর প্রকাশ্য সমর্থন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। মাচাদো ক্ষমতায় গেলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের অঙ্গীকারও করেছেন।
অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের যে নীতিকে মাচাদো সমর্থন করেছেন, তা তাঁকে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা থেকে ‘সম্পূর্ণভাবে বাদ’ দেয়। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এই সামরিক অভিযানে ইতিমধ্যে বহু প্রাণহানি ঘটেছে এবং ভেনেজুয়েলায় আগ্রাসনের আশঙ্কা বাড়ছে।
আলফ্রেড নোবেলের উইলের কথা উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন—শান্তিতে নোবেল পুরস্কার সেই ব্যক্তিকে দিতে হবে, যিনি মানবজাতির কল্যাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এবং জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। উইকিলিকসের পক্ষ থেকেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পুরস্কারের অর্থ মানবিক উদ্দেশ্যের বদলে আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধে ব্যবহৃত হতে পারে।
নরওয়ের অসলোতে একটি কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিলেও অ্যাসাঞ্জ যুক্তি দিয়েছেন—সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশনকেই এই পুরস্কারের আর্থিক দায়ভার নিতে হবে। সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুর
২২ অক্টোবর ২০২৩
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
১ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে