আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন মোড় নিল যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণের পর। গতকাল রোববার ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর এখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যেন পরিণত হয়েছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সরাসরি আক্রমণের বিপরীতে ইরান কী জবাব দেবে সেটা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব। তবে এই বৈরিতা নতুন নয়। ১৯৫০-এর দশক থেকে বিশ্ব দেখে এসেছে এই দুই দেশের দ্বন্দ্ব। ইরানে মার্কিন হস্তক্ষেপ, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপ ও পারমাণবিক কর্মসূচি—ধাপে ধাপে দুই দেশের মধ্যে বিবাদের উৎস যেন বেড়েই চলেছে। আর এখন তা পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি। তবে এই বিপ্লবের আছে এক লম্বা ইতিহাস। একদিনের পশ্চিমা প্রভাবে ইরান উত্তাল হয়ে ওঠেনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গর্জন উঠেছিল দীর্ঘ এক সময়ের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সাত দশকের দ্বৈরথ—
১৯৫৩: মার্কিন-সমর্থিত অভ্যুত্থান ও শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির ক্ষমতায় ফেরা
১৯০০-এর দশকের প্রথম দিকে ইরানে তেল আবিষ্কার হয়। এরপর থেকে ব্রিটিশ-নিয়ন্ত্রিত অ্যাংলো-ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (বর্তমানে বিপি) নামে যৌথ উদ্যোগের কোম্পানির মাধ্যমে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি তেল উত্তোলনে সিংহভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ করত। ১৯৫১ সালের নির্বাচনের পর দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক কোম্পানিটি জাতীয়করণের উদ্যোগ নেন। এই উদ্যোগ ক্ষুব্ধ হয় ব্রিটিশেরা। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাহায্য নিয়ে ইরানে অভ্যুত্থান ঘটানো হয় আর ক্ষমতায় ফেরেন পূর্বে ক্ষমতাচ্যুত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। যিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিয়ভাজন। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সম্পর্কের টানাপোড়েন।
১৯৫৭: পারমাণবিক কর্মসূচি ‘অ্যাটমস ফর পিস’
পারমাণবিক শক্তিধর ইরান গড়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখেছিলেন শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। তাঁর এই স্বপ্নে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররা। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ারের ‘অ্যাটমস ফর পিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বেসামরিক পারমাণবিক চুক্তি হয়। এর এক দশক পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে একটি পারমাণবিক চুল্লি ও জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম সরবরাহ করে। এই পারমাণবিক সহযোগিতাই পরবর্তী সময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে বর্তমান উত্তেজনার ভিত্তি গড়ে দেয়।
১৯৭৯: ইসলামি বিপ্লব
তেহরান-ওয়াশিংটনের সুসম্পর্কের বাতাস বইলেও ইরানের জনগণের মনে বাসা বাঁধছিল পাহলভির স্বৈরশাসন ও পশ্চিমা প্রভাবের জাঁতাকলে পিষ্ট হওয়ার ক্ষোভ। এই ক্ষোভ ১৯৭৮ সালের শেষ দিকে এসে পরিণত হলো বিপ্লবী আন্দোলনে। এই আন্দোলনে সমাপ্তি হলো ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে, পাহলভিকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করার মাধ্যমে। বিপ্লবে সফর ইরানে ফিরলেন নির্বাসিত ইসলামি নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি। দেশে ফিরে এসে কাঁধে তুলে নিলেন নতুন ইসলামি প্রজাতন্ত্রের শাসনভার। নতুন রূপ নিল যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কের বৈরিতা।
১৯৮০: যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন
দেশ ছেড়ে পালানো শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়া হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরান। ইরানি ছাত্ররা তেহরানের মার্কিন দূতাবাসে ঢুকে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে টানা ৪৪৪ দিন জিম্মি করে রাখে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। দেশটির ওপর আরোপ করে নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে নির্বাসিত অবস্থায়ই মৃত্যু হয় পাহলভির।
১৯৮০–৮৮: ইরাক-ইরান যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক প্রীতি
সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ইরাক আক্রমণ চালায় ইরানে। খোমেনির ইসলামি মতাদর্শ প্রতিহত করতে আগ্রহী সাদ্দাম এ সময় পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন। আর এই সমর্থন ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটায়। আট বছরব্যাপী এই যুদ্ধে প্রাণ হারায় ইরান-ইরাকের হাজার হাজার মানুষ।
১৯৮৪: ইরানকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক’ ঘোষণা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ইরানকে ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষক’ ঘোষণা করেন। লেবাননে ইসরায়েলের হামলা এবং এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ার পরিণতিতে এই আখ্যা পায় ইরান। বৈরুতের একটি সামরিক ঘাঁটিতে এক হামলায় ২৪১ জন মার্কিন সেনা নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হিজবুল্লাহ এই হামলা চালিয়েছিল, আর তাদের সমর্থন দিয়েছিল ইরান।
তবে পরবর্তীতে রিগ্যান প্রশাসন হিজবুল্লাহর হাতে আটক মার্কিন জিম্মিদের মুক্ত করতে গোপনে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই গোপন যোগাযোগ প্রকাশ হয়ে গেলে এই ‘ইরান-কন্ট্রা অ্যাফেয়ার’-এর কারণে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট রিগ্যান।
১৯৮৮: ইরান এয়ার ফ্লাইট ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র
ইরাকের সঙ্গে তখন তুমুল যুদ্ধ চলছিল ইরানের। এমন উত্তেজনার মধ্যেই পারস্য উপসাগরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে একাধিক সরাসরি সংঘর্ষ ঘটে। ১৯৮৮ সালের ৮ জুলাই একটি মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ইরানের জলসীমায় প্রবেশ করে দুবাইগামী বেসামরিক ইরান এয়ারের ফ্লাইট (আইআর ৬৫৫) লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিমানে থাকা ২৯০ জন যাত্রীর সবাই মারা যান।
এ ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ভুল’ বলে দাবি করে নিহতদের পরিবারকে ৬১.৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ বা দায় স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৯৫: কঠোর নিষেধাজ্ঞার খড়্গ
১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর একাধিক নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ইরানের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। একই সময় মার্কিন কংগ্রেস একটি আইন পাস করে, যাতে বলা হয় কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান যদি ইরানের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করে বা দেশটিকে উন্নত অস্ত্র বিক্রি করে, তাহলে তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং হিজবুল্লাহ, হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের মতো গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থনের অভিযোগ তুলে এসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
২০০২: ৯/১১-পরবর্তী উত্তেজনা
২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তাঁর স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ইরাক ও উত্তর কোরিয়ার পাশাপাশি ইরানকেও ‘অশুভ অক্ষ’ (Axis of Evil)-এর অংশ বলে উল্লেখ করেন। অথচ সেই সময় আফগানিস্তানে তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছিল ইরান। বুশের এ মন্তব্যের পর এই আলোচনা ভেস্তে যায়। ২০০২ সালের শেষে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা ইরানে উচ্চ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম খুঁজে পান, যার ফলে ইরানের ওপর আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০১৩: পারমাণবিক চুক্তি জেসিপিওএ
২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু করেন। যার পরিণতিতে ২০১৫ সালে ইরান জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করে। এই চুক্তির আওতায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিনিময়ে পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করতে রাজি হয় ইরান। চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অংশ নেয়।
২০১৮: পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে জেসিপিওএ চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবারও ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ট্রাম্প সরে যাওয়ার পর ইরানও চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে দূরে সরে আসে। চুক্তিতে আরোপিত সীমা অতিক্রম করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে দেশটি।
২০২০: কাসেম সোলাইমানির মৃত্যু
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এর এক বছর আগে ট্রাম্প প্রশাসন কুদস ফোর্সকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
২০২৫: ট্রাম্পের চিঠি ও আলোচনার প্রস্তাব
পাঁচ বছর পর চলতি বছরের মার্চ মাসে এই সম্পর্কের পালে লাগে নতুন হাওয়া। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠান। চিঠিতে নতুন একটি পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। আর এ নিয়ে আলোচনার জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। তবে খামেনির কাছে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হয়। খামেনি বলেন, আলোচনার নামে ইরানের ওপর শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরও ওমানের মধ্যস্থতায় ওমান ও ইতালিতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়।
কয়েক দফা বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেন, চুক্তির খুব কাছাকাছি আছেন তাঁরা। ইরানও আশাবাদ প্রকাশ করে তবে তারা এটাও জানায়, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার অধিকার থেকে একচুলও পিছিয়ে না আসার ইচ্ছে নেই তাদের। যা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকলেও ষষ্ঠ দফা বৈঠকের আগের দিন ইরানজুড়ে হামলা চালায় ইসরায়েল।
২০২৫: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
ইসরায়েলের এই হামলার জবাবে ইরানও ইসরায়েলে হামলা চালায়। এরপর গত রোববার ‘নিরাপত্তা হুমকি’ ও ‘ইসরায়েলের রক্ষা’র যুক্তি দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। আবারও সরাসরি ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের আগুনে ইরান পুড়বে না কি ইরান থেকে যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটবে—সেটি দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন মোড় নিল যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণের পর। গতকাল রোববার ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর এখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যেন পরিণত হয়েছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সরাসরি আক্রমণের বিপরীতে ইরান কী জবাব দেবে সেটা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব। তবে এই বৈরিতা নতুন নয়। ১৯৫০-এর দশক থেকে বিশ্ব দেখে এসেছে এই দুই দেশের দ্বন্দ্ব। ইরানে মার্কিন হস্তক্ষেপ, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপ ও পারমাণবিক কর্মসূচি—ধাপে ধাপে দুই দেশের মধ্যে বিবাদের উৎস যেন বেড়েই চলেছে। আর এখন তা পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি। তবে এই বিপ্লবের আছে এক লম্বা ইতিহাস। একদিনের পশ্চিমা প্রভাবে ইরান উত্তাল হয়ে ওঠেনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গর্জন উঠেছিল দীর্ঘ এক সময়ের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সাত দশকের দ্বৈরথ—
১৯৫৩: মার্কিন-সমর্থিত অভ্যুত্থান ও শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির ক্ষমতায় ফেরা
১৯০০-এর দশকের প্রথম দিকে ইরানে তেল আবিষ্কার হয়। এরপর থেকে ব্রিটিশ-নিয়ন্ত্রিত অ্যাংলো-ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (বর্তমানে বিপি) নামে যৌথ উদ্যোগের কোম্পানির মাধ্যমে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি তেল উত্তোলনে সিংহভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ করত। ১৯৫১ সালের নির্বাচনের পর দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক কোম্পানিটি জাতীয়করণের উদ্যোগ নেন। এই উদ্যোগ ক্ষুব্ধ হয় ব্রিটিশেরা। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাহায্য নিয়ে ইরানে অভ্যুত্থান ঘটানো হয় আর ক্ষমতায় ফেরেন পূর্বে ক্ষমতাচ্যুত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। যিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিয়ভাজন। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সম্পর্কের টানাপোড়েন।
১৯৫৭: পারমাণবিক কর্মসূচি ‘অ্যাটমস ফর পিস’
পারমাণবিক শক্তিধর ইরান গড়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখেছিলেন শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। তাঁর এই স্বপ্নে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররা। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ারের ‘অ্যাটমস ফর পিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বেসামরিক পারমাণবিক চুক্তি হয়। এর এক দশক পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে একটি পারমাণবিক চুল্লি ও জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম সরবরাহ করে। এই পারমাণবিক সহযোগিতাই পরবর্তী সময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে বর্তমান উত্তেজনার ভিত্তি গড়ে দেয়।
১৯৭৯: ইসলামি বিপ্লব
তেহরান-ওয়াশিংটনের সুসম্পর্কের বাতাস বইলেও ইরানের জনগণের মনে বাসা বাঁধছিল পাহলভির স্বৈরশাসন ও পশ্চিমা প্রভাবের জাঁতাকলে পিষ্ট হওয়ার ক্ষোভ। এই ক্ষোভ ১৯৭৮ সালের শেষ দিকে এসে পরিণত হলো বিপ্লবী আন্দোলনে। এই আন্দোলনে সমাপ্তি হলো ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে, পাহলভিকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করার মাধ্যমে। বিপ্লবে সফর ইরানে ফিরলেন নির্বাসিত ইসলামি নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি। দেশে ফিরে এসে কাঁধে তুলে নিলেন নতুন ইসলামি প্রজাতন্ত্রের শাসনভার। নতুন রূপ নিল যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কের বৈরিতা।
১৯৮০: যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন
দেশ ছেড়ে পালানো শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়া হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরান। ইরানি ছাত্ররা তেহরানের মার্কিন দূতাবাসে ঢুকে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে টানা ৪৪৪ দিন জিম্মি করে রাখে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। দেশটির ওপর আরোপ করে নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে নির্বাসিত অবস্থায়ই মৃত্যু হয় পাহলভির।
১৯৮০–৮৮: ইরাক-ইরান যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক প্রীতি
সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ইরাক আক্রমণ চালায় ইরানে। খোমেনির ইসলামি মতাদর্শ প্রতিহত করতে আগ্রহী সাদ্দাম এ সময় পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন। আর এই সমর্থন ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটায়। আট বছরব্যাপী এই যুদ্ধে প্রাণ হারায় ইরান-ইরাকের হাজার হাজার মানুষ।
১৯৮৪: ইরানকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক’ ঘোষণা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ইরানকে ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষক’ ঘোষণা করেন। লেবাননে ইসরায়েলের হামলা এবং এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ার পরিণতিতে এই আখ্যা পায় ইরান। বৈরুতের একটি সামরিক ঘাঁটিতে এক হামলায় ২৪১ জন মার্কিন সেনা নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হিজবুল্লাহ এই হামলা চালিয়েছিল, আর তাদের সমর্থন দিয়েছিল ইরান।
তবে পরবর্তীতে রিগ্যান প্রশাসন হিজবুল্লাহর হাতে আটক মার্কিন জিম্মিদের মুক্ত করতে গোপনে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই গোপন যোগাযোগ প্রকাশ হয়ে গেলে এই ‘ইরান-কন্ট্রা অ্যাফেয়ার’-এর কারণে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট রিগ্যান।
১৯৮৮: ইরান এয়ার ফ্লাইট ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র
ইরাকের সঙ্গে তখন তুমুল যুদ্ধ চলছিল ইরানের। এমন উত্তেজনার মধ্যেই পারস্য উপসাগরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে একাধিক সরাসরি সংঘর্ষ ঘটে। ১৯৮৮ সালের ৮ জুলাই একটি মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ইরানের জলসীমায় প্রবেশ করে দুবাইগামী বেসামরিক ইরান এয়ারের ফ্লাইট (আইআর ৬৫৫) লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিমানে থাকা ২৯০ জন যাত্রীর সবাই মারা যান।
এ ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ভুল’ বলে দাবি করে নিহতদের পরিবারকে ৬১.৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ বা দায় স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৯৫: কঠোর নিষেধাজ্ঞার খড়্গ
১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর একাধিক নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ইরানের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। একই সময় মার্কিন কংগ্রেস একটি আইন পাস করে, যাতে বলা হয় কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান যদি ইরানের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করে বা দেশটিকে উন্নত অস্ত্র বিক্রি করে, তাহলে তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং হিজবুল্লাহ, হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের মতো গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থনের অভিযোগ তুলে এসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
২০০২: ৯/১১-পরবর্তী উত্তেজনা
২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তাঁর স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ইরাক ও উত্তর কোরিয়ার পাশাপাশি ইরানকেও ‘অশুভ অক্ষ’ (Axis of Evil)-এর অংশ বলে উল্লেখ করেন। অথচ সেই সময় আফগানিস্তানে তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছিল ইরান। বুশের এ মন্তব্যের পর এই আলোচনা ভেস্তে যায়। ২০০২ সালের শেষে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা ইরানে উচ্চ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম খুঁজে পান, যার ফলে ইরানের ওপর আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০১৩: পারমাণবিক চুক্তি জেসিপিওএ
২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু করেন। যার পরিণতিতে ২০১৫ সালে ইরান জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করে। এই চুক্তির আওতায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিনিময়ে পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করতে রাজি হয় ইরান। চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অংশ নেয়।
২০১৮: পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে জেসিপিওএ চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবারও ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ট্রাম্প সরে যাওয়ার পর ইরানও চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে দূরে সরে আসে। চুক্তিতে আরোপিত সীমা অতিক্রম করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে দেশটি।
২০২০: কাসেম সোলাইমানির মৃত্যু
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এর এক বছর আগে ট্রাম্প প্রশাসন কুদস ফোর্সকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
২০২৫: ট্রাম্পের চিঠি ও আলোচনার প্রস্তাব
পাঁচ বছর পর চলতি বছরের মার্চ মাসে এই সম্পর্কের পালে লাগে নতুন হাওয়া। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠান। চিঠিতে নতুন একটি পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। আর এ নিয়ে আলোচনার জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। তবে খামেনির কাছে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হয়। খামেনি বলেন, আলোচনার নামে ইরানের ওপর শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরও ওমানের মধ্যস্থতায় ওমান ও ইতালিতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়।
কয়েক দফা বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেন, চুক্তির খুব কাছাকাছি আছেন তাঁরা। ইরানও আশাবাদ প্রকাশ করে তবে তারা এটাও জানায়, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার অধিকার থেকে একচুলও পিছিয়ে না আসার ইচ্ছে নেই তাদের। যা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকলেও ষষ্ঠ দফা বৈঠকের আগের দিন ইরানজুড়ে হামলা চালায় ইসরায়েল।
২০২৫: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
ইসরায়েলের এই হামলার জবাবে ইরানও ইসরায়েলে হামলা চালায়। এরপর গত রোববার ‘নিরাপত্তা হুমকি’ ও ‘ইসরায়েলের রক্ষা’র যুক্তি দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। আবারও সরাসরি ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের আগুনে ইরান পুড়বে না কি ইরান থেকে যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটবে—সেটি দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
২৩ জুন ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
২৩ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
২৩ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
২৩ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে