আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন মোড় নিল যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণের পর। গতকাল রোববার ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর এখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যেন পরিণত হয়েছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সরাসরি আক্রমণের বিপরীতে ইরান কী জবাব দেবে সেটা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব। তবে এই বৈরিতা নতুন নয়। ১৯৫০-এর দশক থেকে বিশ্ব দেখে এসেছে এই দুই দেশের দ্বন্দ্ব। ইরানে মার্কিন হস্তক্ষেপ, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপ ও পারমাণবিক কর্মসূচি—ধাপে ধাপে দুই দেশের মধ্যে বিবাদের উৎস যেন বেড়েই চলেছে। আর এখন তা পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি। তবে এই বিপ্লবের আছে এক লম্বা ইতিহাস। একদিনের পশ্চিমা প্রভাবে ইরান উত্তাল হয়ে ওঠেনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গর্জন উঠেছিল দীর্ঘ এক সময়ের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সাত দশকের দ্বৈরথ—
১৯৫৩: মার্কিন-সমর্থিত অভ্যুত্থান ও শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির ক্ষমতায় ফেরা
১৯০০-এর দশকের প্রথম দিকে ইরানে তেল আবিষ্কার হয়। এরপর থেকে ব্রিটিশ-নিয়ন্ত্রিত অ্যাংলো-ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (বর্তমানে বিপি) নামে যৌথ উদ্যোগের কোম্পানির মাধ্যমে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি তেল উত্তোলনে সিংহভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ করত। ১৯৫১ সালের নির্বাচনের পর দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক কোম্পানিটি জাতীয়করণের উদ্যোগ নেন। এই উদ্যোগ ক্ষুব্ধ হয় ব্রিটিশেরা। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাহায্য নিয়ে ইরানে অভ্যুত্থান ঘটানো হয় আর ক্ষমতায় ফেরেন পূর্বে ক্ষমতাচ্যুত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। যিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিয়ভাজন। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সম্পর্কের টানাপোড়েন।
১৯৫৭: পারমাণবিক কর্মসূচি ‘অ্যাটমস ফর পিস’
পারমাণবিক শক্তিধর ইরান গড়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখেছিলেন শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। তাঁর এই স্বপ্নে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররা। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ারের ‘অ্যাটমস ফর পিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বেসামরিক পারমাণবিক চুক্তি হয়। এর এক দশক পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে একটি পারমাণবিক চুল্লি ও জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম সরবরাহ করে। এই পারমাণবিক সহযোগিতাই পরবর্তী সময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে বর্তমান উত্তেজনার ভিত্তি গড়ে দেয়।
১৯৭৯: ইসলামি বিপ্লব
তেহরান-ওয়াশিংটনের সুসম্পর্কের বাতাস বইলেও ইরানের জনগণের মনে বাসা বাঁধছিল পাহলভির স্বৈরশাসন ও পশ্চিমা প্রভাবের জাঁতাকলে পিষ্ট হওয়ার ক্ষোভ। এই ক্ষোভ ১৯৭৮ সালের শেষ দিকে এসে পরিণত হলো বিপ্লবী আন্দোলনে। এই আন্দোলনে সমাপ্তি হলো ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে, পাহলভিকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করার মাধ্যমে। বিপ্লবে সফর ইরানে ফিরলেন নির্বাসিত ইসলামি নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি। দেশে ফিরে এসে কাঁধে তুলে নিলেন নতুন ইসলামি প্রজাতন্ত্রের শাসনভার। নতুন রূপ নিল যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কের বৈরিতা।
১৯৮০: যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন
দেশ ছেড়ে পালানো শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়া হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরান। ইরানি ছাত্ররা তেহরানের মার্কিন দূতাবাসে ঢুকে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে টানা ৪৪৪ দিন জিম্মি করে রাখে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। দেশটির ওপর আরোপ করে নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে নির্বাসিত অবস্থায়ই মৃত্যু হয় পাহলভির।
১৯৮০–৮৮: ইরাক-ইরান যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক প্রীতি
সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ইরাক আক্রমণ চালায় ইরানে। খোমেনির ইসলামি মতাদর্শ প্রতিহত করতে আগ্রহী সাদ্দাম এ সময় পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন। আর এই সমর্থন ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটায়। আট বছরব্যাপী এই যুদ্ধে প্রাণ হারায় ইরান-ইরাকের হাজার হাজার মানুষ।
১৯৮৪: ইরানকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক’ ঘোষণা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ইরানকে ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষক’ ঘোষণা করেন। লেবাননে ইসরায়েলের হামলা এবং এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ার পরিণতিতে এই আখ্যা পায় ইরান। বৈরুতের একটি সামরিক ঘাঁটিতে এক হামলায় ২৪১ জন মার্কিন সেনা নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হিজবুল্লাহ এই হামলা চালিয়েছিল, আর তাদের সমর্থন দিয়েছিল ইরান।
তবে পরবর্তীতে রিগ্যান প্রশাসন হিজবুল্লাহর হাতে আটক মার্কিন জিম্মিদের মুক্ত করতে গোপনে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই গোপন যোগাযোগ প্রকাশ হয়ে গেলে এই ‘ইরান-কন্ট্রা অ্যাফেয়ার’-এর কারণে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট রিগ্যান।
১৯৮৮: ইরান এয়ার ফ্লাইট ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র
ইরাকের সঙ্গে তখন তুমুল যুদ্ধ চলছিল ইরানের। এমন উত্তেজনার মধ্যেই পারস্য উপসাগরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে একাধিক সরাসরি সংঘর্ষ ঘটে। ১৯৮৮ সালের ৮ জুলাই একটি মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ইরানের জলসীমায় প্রবেশ করে দুবাইগামী বেসামরিক ইরান এয়ারের ফ্লাইট (আইআর ৬৫৫) লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিমানে থাকা ২৯০ জন যাত্রীর সবাই মারা যান।
এ ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ভুল’ বলে দাবি করে নিহতদের পরিবারকে ৬১.৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ বা দায় স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৯৫: কঠোর নিষেধাজ্ঞার খড়্গ
১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর একাধিক নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ইরানের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। একই সময় মার্কিন কংগ্রেস একটি আইন পাস করে, যাতে বলা হয় কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান যদি ইরানের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করে বা দেশটিকে উন্নত অস্ত্র বিক্রি করে, তাহলে তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং হিজবুল্লাহ, হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের মতো গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থনের অভিযোগ তুলে এসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
২০০২: ৯/১১-পরবর্তী উত্তেজনা
২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তাঁর স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ইরাক ও উত্তর কোরিয়ার পাশাপাশি ইরানকেও ‘অশুভ অক্ষ’ (Axis of Evil)-এর অংশ বলে উল্লেখ করেন। অথচ সেই সময় আফগানিস্তানে তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছিল ইরান। বুশের এ মন্তব্যের পর এই আলোচনা ভেস্তে যায়। ২০০২ সালের শেষে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা ইরানে উচ্চ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম খুঁজে পান, যার ফলে ইরানের ওপর আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০১৩: পারমাণবিক চুক্তি জেসিপিওএ
২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু করেন। যার পরিণতিতে ২০১৫ সালে ইরান জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করে। এই চুক্তির আওতায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিনিময়ে পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করতে রাজি হয় ইরান। চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অংশ নেয়।
২০১৮: পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে জেসিপিওএ চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবারও ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ট্রাম্প সরে যাওয়ার পর ইরানও চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে দূরে সরে আসে। চুক্তিতে আরোপিত সীমা অতিক্রম করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে দেশটি।
২০২০: কাসেম সোলাইমানির মৃত্যু
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এর এক বছর আগে ট্রাম্প প্রশাসন কুদস ফোর্সকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
২০২৫: ট্রাম্পের চিঠি ও আলোচনার প্রস্তাব
পাঁচ বছর পর চলতি বছরের মার্চ মাসে এই সম্পর্কের পালে লাগে নতুন হাওয়া। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠান। চিঠিতে নতুন একটি পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। আর এ নিয়ে আলোচনার জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। তবে খামেনির কাছে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হয়। খামেনি বলেন, আলোচনার নামে ইরানের ওপর শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরও ওমানের মধ্যস্থতায় ওমান ও ইতালিতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়।
কয়েক দফা বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেন, চুক্তির খুব কাছাকাছি আছেন তাঁরা। ইরানও আশাবাদ প্রকাশ করে তবে তারা এটাও জানায়, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার অধিকার থেকে একচুলও পিছিয়ে না আসার ইচ্ছে নেই তাদের। যা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকলেও ষষ্ঠ দফা বৈঠকের আগের দিন ইরানজুড়ে হামলা চালায় ইসরায়েল।
২০২৫: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
ইসরায়েলের এই হামলার জবাবে ইরানও ইসরায়েলে হামলা চালায়। এরপর গত রোববার ‘নিরাপত্তা হুমকি’ ও ‘ইসরায়েলের রক্ষা’র যুক্তি দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। আবারও সরাসরি ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের আগুনে ইরান পুড়বে না কি ইরান থেকে যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটবে—সেটি দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন মোড় নিল যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণের পর। গতকাল রোববার ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর এখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যেন পরিণত হয়েছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সরাসরি আক্রমণের বিপরীতে ইরান কী জবাব দেবে সেটা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব। তবে এই বৈরিতা নতুন নয়। ১৯৫০-এর দশক থেকে বিশ্ব দেখে এসেছে এই দুই দেশের দ্বন্দ্ব। ইরানে মার্কিন হস্তক্ষেপ, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপ ও পারমাণবিক কর্মসূচি—ধাপে ধাপে দুই দেশের মধ্যে বিবাদের উৎস যেন বেড়েই চলেছে। আর এখন তা পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি। তবে এই বিপ্লবের আছে এক লম্বা ইতিহাস। একদিনের পশ্চিমা প্রভাবে ইরান উত্তাল হয়ে ওঠেনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গর্জন উঠেছিল দীর্ঘ এক সময়ের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সাত দশকের দ্বৈরথ—
১৯৫৩: মার্কিন-সমর্থিত অভ্যুত্থান ও শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির ক্ষমতায় ফেরা
১৯০০-এর দশকের প্রথম দিকে ইরানে তেল আবিষ্কার হয়। এরপর থেকে ব্রিটিশ-নিয়ন্ত্রিত অ্যাংলো-ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (বর্তমানে বিপি) নামে যৌথ উদ্যোগের কোম্পানির মাধ্যমে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি তেল উত্তোলনে সিংহভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ করত। ১৯৫১ সালের নির্বাচনের পর দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক কোম্পানিটি জাতীয়করণের উদ্যোগ নেন। এই উদ্যোগ ক্ষুব্ধ হয় ব্রিটিশেরা। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাহায্য নিয়ে ইরানে অভ্যুত্থান ঘটানো হয় আর ক্ষমতায় ফেরেন পূর্বে ক্ষমতাচ্যুত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। যিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিয়ভাজন। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সম্পর্কের টানাপোড়েন।
১৯৫৭: পারমাণবিক কর্মসূচি ‘অ্যাটমস ফর পিস’
পারমাণবিক শক্তিধর ইরান গড়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখেছিলেন শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। তাঁর এই স্বপ্নে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররা। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ারের ‘অ্যাটমস ফর পিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বেসামরিক পারমাণবিক চুক্তি হয়। এর এক দশক পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে একটি পারমাণবিক চুল্লি ও জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম সরবরাহ করে। এই পারমাণবিক সহযোগিতাই পরবর্তী সময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে বর্তমান উত্তেজনার ভিত্তি গড়ে দেয়।
১৯৭৯: ইসলামি বিপ্লব
তেহরান-ওয়াশিংটনের সুসম্পর্কের বাতাস বইলেও ইরানের জনগণের মনে বাসা বাঁধছিল পাহলভির স্বৈরশাসন ও পশ্চিমা প্রভাবের জাঁতাকলে পিষ্ট হওয়ার ক্ষোভ। এই ক্ষোভ ১৯৭৮ সালের শেষ দিকে এসে পরিণত হলো বিপ্লবী আন্দোলনে। এই আন্দোলনে সমাপ্তি হলো ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে, পাহলভিকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করার মাধ্যমে। বিপ্লবে সফর ইরানে ফিরলেন নির্বাসিত ইসলামি নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি। দেশে ফিরে এসে কাঁধে তুলে নিলেন নতুন ইসলামি প্রজাতন্ত্রের শাসনভার। নতুন রূপ নিল যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কের বৈরিতা।
১৯৮০: যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন
দেশ ছেড়ে পালানো শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়া হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরান। ইরানি ছাত্ররা তেহরানের মার্কিন দূতাবাসে ঢুকে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে টানা ৪৪৪ দিন জিম্মি করে রাখে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। দেশটির ওপর আরোপ করে নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে নির্বাসিত অবস্থায়ই মৃত্যু হয় পাহলভির।
১৯৮০–৮৮: ইরাক-ইরান যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক প্রীতি
সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ইরাক আক্রমণ চালায় ইরানে। খোমেনির ইসলামি মতাদর্শ প্রতিহত করতে আগ্রহী সাদ্দাম এ সময় পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন। আর এই সমর্থন ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটায়। আট বছরব্যাপী এই যুদ্ধে প্রাণ হারায় ইরান-ইরাকের হাজার হাজার মানুষ।
১৯৮৪: ইরানকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক’ ঘোষণা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ইরানকে ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষক’ ঘোষণা করেন। লেবাননে ইসরায়েলের হামলা এবং এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ার পরিণতিতে এই আখ্যা পায় ইরান। বৈরুতের একটি সামরিক ঘাঁটিতে এক হামলায় ২৪১ জন মার্কিন সেনা নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হিজবুল্লাহ এই হামলা চালিয়েছিল, আর তাদের সমর্থন দিয়েছিল ইরান।
তবে পরবর্তীতে রিগ্যান প্রশাসন হিজবুল্লাহর হাতে আটক মার্কিন জিম্মিদের মুক্ত করতে গোপনে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই গোপন যোগাযোগ প্রকাশ হয়ে গেলে এই ‘ইরান-কন্ট্রা অ্যাফেয়ার’-এর কারণে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট রিগ্যান।
১৯৮৮: ইরান এয়ার ফ্লাইট ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র
ইরাকের সঙ্গে তখন তুমুল যুদ্ধ চলছিল ইরানের। এমন উত্তেজনার মধ্যেই পারস্য উপসাগরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে একাধিক সরাসরি সংঘর্ষ ঘটে। ১৯৮৮ সালের ৮ জুলাই একটি মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ইরানের জলসীমায় প্রবেশ করে দুবাইগামী বেসামরিক ইরান এয়ারের ফ্লাইট (আইআর ৬৫৫) লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিমানে থাকা ২৯০ জন যাত্রীর সবাই মারা যান।
এ ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ভুল’ বলে দাবি করে নিহতদের পরিবারকে ৬১.৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ বা দায় স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৯৫: কঠোর নিষেধাজ্ঞার খড়্গ
১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর একাধিক নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ইরানের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। একই সময় মার্কিন কংগ্রেস একটি আইন পাস করে, যাতে বলা হয় কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান যদি ইরানের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করে বা দেশটিকে উন্নত অস্ত্র বিক্রি করে, তাহলে তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং হিজবুল্লাহ, হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের মতো গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থনের অভিযোগ তুলে এসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
২০০২: ৯/১১-পরবর্তী উত্তেজনা
২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তাঁর স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ইরাক ও উত্তর কোরিয়ার পাশাপাশি ইরানকেও ‘অশুভ অক্ষ’ (Axis of Evil)-এর অংশ বলে উল্লেখ করেন। অথচ সেই সময় আফগানিস্তানে তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছিল ইরান। বুশের এ মন্তব্যের পর এই আলোচনা ভেস্তে যায়। ২০০২ সালের শেষে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা ইরানে উচ্চ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম খুঁজে পান, যার ফলে ইরানের ওপর আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০১৩: পারমাণবিক চুক্তি জেসিপিওএ
২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু করেন। যার পরিণতিতে ২০১৫ সালে ইরান জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করে। এই চুক্তির আওতায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিনিময়ে পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করতে রাজি হয় ইরান। চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অংশ নেয়।
২০১৮: পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে জেসিপিওএ চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবারও ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ট্রাম্প সরে যাওয়ার পর ইরানও চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে দূরে সরে আসে। চুক্তিতে আরোপিত সীমা অতিক্রম করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে দেশটি।
২০২০: কাসেম সোলাইমানির মৃত্যু
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এর এক বছর আগে ট্রাম্প প্রশাসন কুদস ফোর্সকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
২০২৫: ট্রাম্পের চিঠি ও আলোচনার প্রস্তাব
পাঁচ বছর পর চলতি বছরের মার্চ মাসে এই সম্পর্কের পালে লাগে নতুন হাওয়া। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠান। চিঠিতে নতুন একটি পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। আর এ নিয়ে আলোচনার জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। তবে খামেনির কাছে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হয়। খামেনি বলেন, আলোচনার নামে ইরানের ওপর শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরও ওমানের মধ্যস্থতায় ওমান ও ইতালিতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়।
কয়েক দফা বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেন, চুক্তির খুব কাছাকাছি আছেন তাঁরা। ইরানও আশাবাদ প্রকাশ করে তবে তারা এটাও জানায়, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার অধিকার থেকে একচুলও পিছিয়ে না আসার ইচ্ছে নেই তাদের। যা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকলেও ষষ্ঠ দফা বৈঠকের আগের দিন ইরানজুড়ে হামলা চালায় ইসরায়েল।
২০২৫: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
ইসরায়েলের এই হামলার জবাবে ইরানও ইসরায়েলে হামলা চালায়। এরপর গত রোববার ‘নিরাপত্তা হুমকি’ ও ‘ইসরায়েলের রক্ষা’র যুক্তি দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। আবারও সরাসরি ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের আগুনে ইরান পুড়বে না কি ইরান থেকে যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটবে—সেটি দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, মেক্সিকো উপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী রুটে চলাচল করে ওই ট্রেন। ট্রেনটিতে ২৪১ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু ছিলেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নিজান্দা শহরের কাছে একটি বাঁক ঘোরার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও জানান, নেভির সেক্রেটারিসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা লাইনচ্যুত ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামতে সহায়তা করছেন। ট্রেনটি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে আংশিকভাবে একটি খাদের পাশে কাত হয়ে যায়।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের বন্দর সালিনা ক্রুজকে উপসাগরীয় উপকূলের কোয়াটজাকোয়ালকোসের সঙ্গে যুক্ত করা ‘ইন্টারওশেনিক’ (Interoceanic) ট্রেনটিতে দুটি লোকোমোটিভ ও চারটি যাত্রীবাহী বগি ছিল। মেক্সিকোর নৌবাহিনী দেশটির রেলওয়ে নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে।
ওয়াহাকা রাজ্যের গভর্নর সলোমোন জারা ক্রুজ এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় রাজ্য সরকার ফেডারেল সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
আঞ্চলিক অর্থনীতি চাঙা করতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের উদ্যোগে দুই বছর আগে ইন্টারওশেনিক রেলসংযোগটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী দূরত্ব কমিয়ে আনতে তেহুয়ান্তেপেক ইস্থমাস এলাকাজুড়ে রেল যোগাযোগ আধুনিকায়নের লক্ষ্যে অঞ্চলটিকে একটি কৌশলগত বাণিজ্য করিডোরে রূপ দিতে চেয়েছে মেক্সিকো সরকার। এর অংশ হিসেবে বন্দর, রেলপথ ও শিল্প অবকাঠামো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এই রেল পরিষেবাটি দক্ষিণ মেক্সিকোতে যাত্রী ও পণ্যবাহী রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় অংশ।

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, মেক্সিকো উপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী রুটে চলাচল করে ওই ট্রেন। ট্রেনটিতে ২৪১ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু ছিলেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নিজান্দা শহরের কাছে একটি বাঁক ঘোরার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও জানান, নেভির সেক্রেটারিসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা লাইনচ্যুত ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামতে সহায়তা করছেন। ট্রেনটি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে আংশিকভাবে একটি খাদের পাশে কাত হয়ে যায়।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের বন্দর সালিনা ক্রুজকে উপসাগরীয় উপকূলের কোয়াটজাকোয়ালকোসের সঙ্গে যুক্ত করা ‘ইন্টারওশেনিক’ (Interoceanic) ট্রেনটিতে দুটি লোকোমোটিভ ও চারটি যাত্রীবাহী বগি ছিল। মেক্সিকোর নৌবাহিনী দেশটির রেলওয়ে নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে।
ওয়াহাকা রাজ্যের গভর্নর সলোমোন জারা ক্রুজ এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় রাজ্য সরকার ফেডারেল সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
আঞ্চলিক অর্থনীতি চাঙা করতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের উদ্যোগে দুই বছর আগে ইন্টারওশেনিক রেলসংযোগটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী দূরত্ব কমিয়ে আনতে তেহুয়ান্তেপেক ইস্থমাস এলাকাজুড়ে রেল যোগাযোগ আধুনিকায়নের লক্ষ্যে অঞ্চলটিকে একটি কৌশলগত বাণিজ্য করিডোরে রূপ দিতে চেয়েছে মেক্সিকো সরকার। এর অংশ হিসেবে বন্দর, রেলপথ ও শিল্প অবকাঠামো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এই রেল পরিষেবাটি দক্ষিণ মেক্সিকোতে যাত্রী ও পণ্যবাহী রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় অংশ।

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
২৩ জুন ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
শহরটির ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, নার্সিং হোমটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
জিমি জানান, ভুক্তভোগীদের অনেক দেহ তাঁদের ঘরের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সন্ধ্যায় যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন বয়স্ক বাসিন্দাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের নিজ নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম মেট্রো টিভি-তে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন নার্সিং হোমটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয়রা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
শহরটির ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, নার্সিং হোমটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
জিমি জানান, ভুক্তভোগীদের অনেক দেহ তাঁদের ঘরের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সন্ধ্যায় যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন বয়স্ক বাসিন্দাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের নিজ নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম মেট্রো টিভি-তে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন নার্সিং হোমটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয়রা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
২৩ জুন ২০২৫
মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
২৩ জুন ২০২৫
মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
২৩ জুন ২০২৫
মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে