আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করা ও সম্ভাব্য নির্বাসন দেওয়া এবং ফিলিস্তিনিদের স্বশাসনের দিকে একটি চূড়ান্ত পথ তৈরি করা। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে গাজাবাসীকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করে সেখানে রিসোর্ট তৈরির জন্য ট্রাম্পের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এর ফলে গাজা থেকে জাতিগতভাবে ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করার ইসরায়েলি স্বপ্নকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
মোটকথা, ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি হলো বহু বছর ধরে আলোচিত কিছু যুক্তিসংগত ধারণার সমষ্টি, যা বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ, সংঘাত নিরসনে উভয় পক্ষেরই কিছু কিছু বিষয়ে গুরুতর আপত্তি ছিল। এখন প্রশ্ন হলো, সেই পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, প্রধান আরব রাষ্ট্রসমূহ, ইসরায়েলি জিম্মি পরিবার ও হামাসের পৃষ্ঠপোষক তুরস্ক ও কাতারের সমর্থন রয়েছে। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও শর্তসাপেক্ষে এতে সমর্থন দিয়েছেন এবং ইসরায়েলের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে প্রশংসা করেন।
এত কিছুর পরেও সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো চুক্তির পরবর্তী পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা। ট্রাম্প এটিকে ‘সম্পন্ন চুক্তি’ হিসেবে উপস্থাপন করলেও আসল কাজ সবে শুরু হয়েছে। প্রশ্ন হলো—ট্রাম্প ও মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর মিত্ররা কি হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের মতো বিষয়ে ছাড় দিতে রাজি করাতে পারবে, যা তারা এখন পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করে আসছে?
এই চুক্তি ইসরায়েলের সংসদে নেতানিয়াহুর চরম ডানপন্থী জোটের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে নেতানিয়াহু চুক্তি থেকে সরেও যেতে পারেন। যদি এমন হয়, তবে কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে আটকাতে পারবেন?
এই পরিকল্পনা সফল করতে হলে ট্রাম্পের প্রয়োজন হবে কাতারের ও তুরস্কের (যেখানে হামাস নেতারা আশ্রয় নেন) বন্ধুদের। তারা হামাসকে চুক্তিতে আনতে বাধ্য করবে। সে সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী যেন তাঁর অঙ্গীকার বজায় রাখেন, সেদিকে ট্রাম্পকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
তাত্ত্বিকভাবে ট্রাম্পের এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। কাতার ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে তাঁর উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং সম্প্রতি তিনি উভয়কেই হোয়াইট হাউসে আতিথেয়তা দিয়েছেন। এ ছাড়া নেতানিয়াহুর ওপর ট্রাম্পের এমন একটি প্রভাব রয়েছে, যা এর আগে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ছিল না।
আগে বারাক ওবামার মতো উদার আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের চাপ থেকে নেতানিয়াহু নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করলেও ট্রাম্পের ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে তাঁর মিত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। ২০২৬ সালে নতুন নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় নেতানিয়াহু এমন একজন নেতার (ট্রাম্প) সঙ্গে বিরোধে যেতে পারবেন না, যাঁর সমর্থন নির্বাচনে তাঁর সফলতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এ কারণেই ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সমর্থন করা ছাড়া নেতানিয়াহুর কোনো উপায় ছিল না।
তবে এই প্রাথমিক সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি চুক্তি সফল হওয়ার নিশ্চয়তা দেয় না। হামাস এখনো প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। তারা আলোচনার সময় দীর্ঘায়িত করতে এবং ব্যর্থতার দায় ইসরায়েলের ওপর চাপানোর উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর জবাব দিতে পারে। অন্যদিকে নেতানিয়াহু তাঁর চরম ডানপন্থী জোটের সদস্যদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হবেন। তাঁরা গাজাকে জাতিগতভাবে নির্মূল করে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করতে চান। ফলে তাঁর সরকার ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকলে তিনি চুক্তি থেকে সরে আসার চেষ্টা করতে পারেন।
ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেন, নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে ‘হ্যাঁ’ বলেন। আর যখন তিনি ইসরায়েলে ফিরে আসেন, তখন ‘না’ বলেন। কারণ, তিনি যখন হোয়াইট হাউসে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান, তখন নিজেকে একজন যুগান্তকারী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অনুভব করেন। আর নিজ দেশে ফিরে তিনি বুঝতে পারেন তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান।
অতীতেও নেতানিয়াহু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে নানা আলোচনা থেকে সরে এসেছেন। তবে সেই চুক্তিতে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট সরাসরি জড়িত ছিলেন না। ট্রাম্পের কাছে নেতানিয়াহুকে বাধ্য করার ক্ষমতা আছে। তবে প্রশ্ন হলো, তিনি সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম কি না।
গাজা যুদ্ধের মর্মান্তিক সত্য হলো, অধিকাংশ ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বহু মাস ধরে এই সংঘাতের অবসান চেয়েছেন, কিন্তু তাঁদের নেতারা অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজেদের আদর্শগত স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ঘোষণার পর গাজা সিটির ৪৭ বছর বয়সী বাসিন্দা মোহাম্মদ আল-বেলতাজি এএফপিকে বলেছিলেন, ‘বরাবরের মতোই, ইসরায়েল প্রথমে রাজি হয়, তারপর হামাস প্রত্যাখ্যান করে—কিংবা উল্টোটা। এটা একটা খেলা আর আমরা সাধারণ মানুষ সেটার মূল্য দিচ্ছি।’
এ প্রস্তাব কার্যকর হবে কি না, তা নির্ভর করছে হামাস ও ইসরায়েলের রাজনৈতিক অবস্থানের ওপর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে তাঁর মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন কি না। তবে এই চুক্তি গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত বন্ধে একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে।
দ্য আটলান্টিক থেকে অনূদিত

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করা ও সম্ভাব্য নির্বাসন দেওয়া এবং ফিলিস্তিনিদের স্বশাসনের দিকে একটি চূড়ান্ত পথ তৈরি করা। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে গাজাবাসীকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করে সেখানে রিসোর্ট তৈরির জন্য ট্রাম্পের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এর ফলে গাজা থেকে জাতিগতভাবে ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করার ইসরায়েলি স্বপ্নকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
মোটকথা, ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি হলো বহু বছর ধরে আলোচিত কিছু যুক্তিসংগত ধারণার সমষ্টি, যা বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ, সংঘাত নিরসনে উভয় পক্ষেরই কিছু কিছু বিষয়ে গুরুতর আপত্তি ছিল। এখন প্রশ্ন হলো, সেই পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, প্রধান আরব রাষ্ট্রসমূহ, ইসরায়েলি জিম্মি পরিবার ও হামাসের পৃষ্ঠপোষক তুরস্ক ও কাতারের সমর্থন রয়েছে। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও শর্তসাপেক্ষে এতে সমর্থন দিয়েছেন এবং ইসরায়েলের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে প্রশংসা করেন।
এত কিছুর পরেও সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো চুক্তির পরবর্তী পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা। ট্রাম্প এটিকে ‘সম্পন্ন চুক্তি’ হিসেবে উপস্থাপন করলেও আসল কাজ সবে শুরু হয়েছে। প্রশ্ন হলো—ট্রাম্প ও মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর মিত্ররা কি হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের মতো বিষয়ে ছাড় দিতে রাজি করাতে পারবে, যা তারা এখন পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করে আসছে?
এই চুক্তি ইসরায়েলের সংসদে নেতানিয়াহুর চরম ডানপন্থী জোটের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে নেতানিয়াহু চুক্তি থেকে সরেও যেতে পারেন। যদি এমন হয়, তবে কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে আটকাতে পারবেন?
এই পরিকল্পনা সফল করতে হলে ট্রাম্পের প্রয়োজন হবে কাতারের ও তুরস্কের (যেখানে হামাস নেতারা আশ্রয় নেন) বন্ধুদের। তারা হামাসকে চুক্তিতে আনতে বাধ্য করবে। সে সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী যেন তাঁর অঙ্গীকার বজায় রাখেন, সেদিকে ট্রাম্পকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
তাত্ত্বিকভাবে ট্রাম্পের এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। কাতার ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে তাঁর উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং সম্প্রতি তিনি উভয়কেই হোয়াইট হাউসে আতিথেয়তা দিয়েছেন। এ ছাড়া নেতানিয়াহুর ওপর ট্রাম্পের এমন একটি প্রভাব রয়েছে, যা এর আগে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ছিল না।
আগে বারাক ওবামার মতো উদার আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের চাপ থেকে নেতানিয়াহু নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করলেও ট্রাম্পের ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে তাঁর মিত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। ২০২৬ সালে নতুন নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় নেতানিয়াহু এমন একজন নেতার (ট্রাম্প) সঙ্গে বিরোধে যেতে পারবেন না, যাঁর সমর্থন নির্বাচনে তাঁর সফলতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এ কারণেই ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সমর্থন করা ছাড়া নেতানিয়াহুর কোনো উপায় ছিল না।
তবে এই প্রাথমিক সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি চুক্তি সফল হওয়ার নিশ্চয়তা দেয় না। হামাস এখনো প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। তারা আলোচনার সময় দীর্ঘায়িত করতে এবং ব্যর্থতার দায় ইসরায়েলের ওপর চাপানোর উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর জবাব দিতে পারে। অন্যদিকে নেতানিয়াহু তাঁর চরম ডানপন্থী জোটের সদস্যদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হবেন। তাঁরা গাজাকে জাতিগতভাবে নির্মূল করে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করতে চান। ফলে তাঁর সরকার ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকলে তিনি চুক্তি থেকে সরে আসার চেষ্টা করতে পারেন।
ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেন, নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে ‘হ্যাঁ’ বলেন। আর যখন তিনি ইসরায়েলে ফিরে আসেন, তখন ‘না’ বলেন। কারণ, তিনি যখন হোয়াইট হাউসে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান, তখন নিজেকে একজন যুগান্তকারী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অনুভব করেন। আর নিজ দেশে ফিরে তিনি বুঝতে পারেন তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান।
অতীতেও নেতানিয়াহু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে নানা আলোচনা থেকে সরে এসেছেন। তবে সেই চুক্তিতে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট সরাসরি জড়িত ছিলেন না। ট্রাম্পের কাছে নেতানিয়াহুকে বাধ্য করার ক্ষমতা আছে। তবে প্রশ্ন হলো, তিনি সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম কি না।
গাজা যুদ্ধের মর্মান্তিক সত্য হলো, অধিকাংশ ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বহু মাস ধরে এই সংঘাতের অবসান চেয়েছেন, কিন্তু তাঁদের নেতারা অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজেদের আদর্শগত স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ঘোষণার পর গাজা সিটির ৪৭ বছর বয়সী বাসিন্দা মোহাম্মদ আল-বেলতাজি এএফপিকে বলেছিলেন, ‘বরাবরের মতোই, ইসরায়েল প্রথমে রাজি হয়, তারপর হামাস প্রত্যাখ্যান করে—কিংবা উল্টোটা। এটা একটা খেলা আর আমরা সাধারণ মানুষ সেটার মূল্য দিচ্ছি।’
এ প্রস্তাব কার্যকর হবে কি না, তা নির্ভর করছে হামাস ও ইসরায়েলের রাজনৈতিক অবস্থানের ওপর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে তাঁর মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন কি না। তবে এই চুক্তি গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত বন্ধে একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে।
দ্য আটলান্টিক থেকে অনূদিত

আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
২ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় এক জেনারেল নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বরাতে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফানিল সারভারভ (৫৬)। তিনি রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় সারভারভকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি সাদা রঙের গাড়ি বিস্ফোরণে দুমড়েমুচড়ে গেছে এবং সেটির যন্ত্রাংশ উড়ে গিয়ে পাশে থাকা অন্য যানবাহনের ওপর পড়েছে।
রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে রুশ কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকতে পারে। তবে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, জেনারেল সারভারভের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তা জানানো হয়েছে।
৫৬ বছর বয়সী ফানিল সারভারভ রুশ সামরিক বাহিনীর অত্যন্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ছিলেন। রুশ গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ফানিল সারভারভ নব্বইয়ের দশক এবং ২০০০ সালের শুরুতে তিনি ওসেটিয়ান-ইঙ্গুশ সংঘাত ও চেচেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৫-১৬ সালে সিরিয়ায় রুশ সামরিক অভিযানেও তিনি নেতৃত্ব দেন।
২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে মস্কোতে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ওপর বেশ কয়েকটি বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র আলেকজান্ডার দুগিনের কন্যা দারিয়া দুগিনা গাড়িবোমা হামলায় নিহত হন।
চলতি বছরের এপ্রিলে জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক ও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জেনারেল ইগর কিরিলভও একই ধরনের হামলায় প্রাণ হারান।
নীতিগত কারণে ইউক্রেন সাধারণত এ ধরনের হামলার দায় স্বীকার করে না। তবে গত বছর জেনারেল কিরিলভ নিহতের ঘটনায় ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল বিবিসির একটি সূত্র।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় এক জেনারেল নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বরাতে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফানিল সারভারভ (৫৬)। তিনি রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় সারভারভকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি সাদা রঙের গাড়ি বিস্ফোরণে দুমড়েমুচড়ে গেছে এবং সেটির যন্ত্রাংশ উড়ে গিয়ে পাশে থাকা অন্য যানবাহনের ওপর পড়েছে।
রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে রুশ কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকতে পারে। তবে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, জেনারেল সারভারভের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তা জানানো হয়েছে।
৫৬ বছর বয়সী ফানিল সারভারভ রুশ সামরিক বাহিনীর অত্যন্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ছিলেন। রুশ গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ফানিল সারভারভ নব্বইয়ের দশক এবং ২০০০ সালের শুরুতে তিনি ওসেটিয়ান-ইঙ্গুশ সংঘাত ও চেচেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৫-১৬ সালে সিরিয়ায় রুশ সামরিক অভিযানেও তিনি নেতৃত্ব দেন।
২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে মস্কোতে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ওপর বেশ কয়েকটি বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র আলেকজান্ডার দুগিনের কন্যা দারিয়া দুগিনা গাড়িবোমা হামলায় নিহত হন।
চলতি বছরের এপ্রিলে জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক ও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জেনারেল ইগর কিরিলভও একই ধরনের হামলায় প্রাণ হারান।
নীতিগত কারণে ইউক্রেন সাধারণত এ ধরনের হামলার দায় স্বীকার করে না। তবে গত বছর জেনারেল কিরিলভ নিহতের ঘটনায় ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল বিবিসির একটি সূত্র।

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ...
০২ অক্টোবর ২০২৫
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
২ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্বদিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘১০০ ব্যাখ্যান মালা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধানে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ শব্দ জোড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বা দাবি সংঘের আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘সূর্য পূর্বদিকে ওঠে; আমরা জানি না কত দিন ধরে এটি ঘটছে। এর জন্য কি আমাদের সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন আছে? হিন্দুস্তান একটি হিন্দু রাষ্ট্র। যারা এই দেশকে মাতৃভূমি মনে করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করে, তারা সবাই এই দর্শনের অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ যদি কখনো সংবিধান সংশোধন করে এই শব্দটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা ভালো। কিন্তু তারা তা করুক বা না করুক—তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। কারণ, সত্য এটাই যে আমাদের দেশ একটি হিন্দু রাষ্ট্র।’
জাতপাত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস প্রধান স্পষ্ট করে বলেন, ‘জন্মভিত্তিক বর্ণপ্রথা বা জাতপাত হিন্দুত্বের বৈশিষ্ট্য নয়।’
আরএসএসকে প্রায়ই মুসলিমবিরোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত মানুষকে সরাসরি সংঘের শাখা বা অফিসগুলো ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছ। আপনারা যেকোনো সময় এসে দেখে যান। যদি আমাদের কার্যক্রমে মুসলিমবিরোধী কিছু খুঁজে পান, তবে আপনাদের ধারণা বজায় রাখুন। কিন্তু যদি তা না দেখেন, তবে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন।’
তিনি দাবি করেন, মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে আরএসএস হিন্দুদের সুরক্ষার কথা বলে এবং তারা কট্টর জাতীয়তাবাদী, কিন্তু তারা ‘মুসলিমবিরোধী’ নয়।
উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ (Secular) শব্দটি ছিল না। ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আনা ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে, আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, ভারতের সংস্কৃতি এবং জনতাত্ত্বিক কাঠামোর কারণেই এটি প্রাকৃতিকভাবে একটি হিন্দু রাষ্ট্র।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্বদিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘১০০ ব্যাখ্যান মালা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধানে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ শব্দ জোড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বা দাবি সংঘের আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘সূর্য পূর্বদিকে ওঠে; আমরা জানি না কত দিন ধরে এটি ঘটছে। এর জন্য কি আমাদের সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন আছে? হিন্দুস্তান একটি হিন্দু রাষ্ট্র। যারা এই দেশকে মাতৃভূমি মনে করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করে, তারা সবাই এই দর্শনের অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ যদি কখনো সংবিধান সংশোধন করে এই শব্দটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা ভালো। কিন্তু তারা তা করুক বা না করুক—তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। কারণ, সত্য এটাই যে আমাদের দেশ একটি হিন্দু রাষ্ট্র।’
জাতপাত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস প্রধান স্পষ্ট করে বলেন, ‘জন্মভিত্তিক বর্ণপ্রথা বা জাতপাত হিন্দুত্বের বৈশিষ্ট্য নয়।’
আরএসএসকে প্রায়ই মুসলিমবিরোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত মানুষকে সরাসরি সংঘের শাখা বা অফিসগুলো ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছ। আপনারা যেকোনো সময় এসে দেখে যান। যদি আমাদের কার্যক্রমে মুসলিমবিরোধী কিছু খুঁজে পান, তবে আপনাদের ধারণা বজায় রাখুন। কিন্তু যদি তা না দেখেন, তবে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন।’
তিনি দাবি করেন, মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে আরএসএস হিন্দুদের সুরক্ষার কথা বলে এবং তারা কট্টর জাতীয়তাবাদী, কিন্তু তারা ‘মুসলিমবিরোধী’ নয়।
উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ (Secular) শব্দটি ছিল না। ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আনা ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে, আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, ভারতের সংস্কৃতি এবং জনতাত্ত্বিক কাঠামোর কারণেই এটি প্রাকৃতিকভাবে একটি হিন্দু রাষ্ট্র।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ...
০২ অক্টোবর ২০২৫
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার।
গত ২১ নভেম্বর পাপিরির সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক স্কুল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং কর্মী অপহৃত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশুকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অবশিষ্ট ১৩০ জন শিশু ও কর্মীকে উদ্ধারের’ বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘একজন শিক্ষার্থীও আর বন্দিদশায় নেই।’
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র বায়ো ওনানুগা জানান, মুক্ত শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা এখন ২৩০ জন। অপহরণের পর থেকে ঠিক কতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং কতজন বন্দিদশায় ছিল, সে বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। সরকার কীভাবে সর্বশেষ এই মুক্তি নিশ্চিত করেছে বা কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ওনানুগা আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, মুক্ত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার নাইজারের রাজধানী মিন্নায় পৌঁছাবে।
গত নভেম্বরে ঘটে যাওয়া এ অপহরণের ঘটনাটি উত্তর ও মধ্য নাইজেরিয়ার স্কুল এবং উপাসনালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান লক্ষ্যবস্তু হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ অপহরণের সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায় ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া।
এর আগে ১৮ নভেম্বর সেন্ট মেরি’স-এ হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে আরও কিছু গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কোয়ারা রাজ্যের ক্রাইস্ট অ্যাপোস্টোলিক চার্চে এক হামলায় দুজন নিহত এবং ৩৮ জন অপহৃত হন। এর আগের দিন কেব্বি রাজ্যের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দুজন নিহত এবং ২৫ জন মুসলিম শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছিল। কোয়ারা এবং কেব্বি হামলার ঘটনায় যাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
এই অপহরণগুলোর পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপরাধী চক্রগুলো এই কাজ করছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেছিলেন, তাঁর সরকার আমাদের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করতে এবং ছোটদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও অনুকূল করতে নাইজার এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার।
গত ২১ নভেম্বর পাপিরির সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক স্কুল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং কর্মী অপহৃত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশুকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অবশিষ্ট ১৩০ জন শিশু ও কর্মীকে উদ্ধারের’ বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘একজন শিক্ষার্থীও আর বন্দিদশায় নেই।’
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র বায়ো ওনানুগা জানান, মুক্ত শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা এখন ২৩০ জন। অপহরণের পর থেকে ঠিক কতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং কতজন বন্দিদশায় ছিল, সে বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। সরকার কীভাবে সর্বশেষ এই মুক্তি নিশ্চিত করেছে বা কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ওনানুগা আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, মুক্ত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার নাইজারের রাজধানী মিন্নায় পৌঁছাবে।
গত নভেম্বরে ঘটে যাওয়া এ অপহরণের ঘটনাটি উত্তর ও মধ্য নাইজেরিয়ার স্কুল এবং উপাসনালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান লক্ষ্যবস্তু হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ অপহরণের সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায় ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া।
এর আগে ১৮ নভেম্বর সেন্ট মেরি’স-এ হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে আরও কিছু গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কোয়ারা রাজ্যের ক্রাইস্ট অ্যাপোস্টোলিক চার্চে এক হামলায় দুজন নিহত এবং ৩৮ জন অপহৃত হন। এর আগের দিন কেব্বি রাজ্যের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দুজন নিহত এবং ২৫ জন মুসলিম শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছিল। কোয়ারা এবং কেব্বি হামলার ঘটনায় যাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
এই অপহরণগুলোর পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপরাধী চক্রগুলো এই কাজ করছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেছিলেন, তাঁর সরকার আমাদের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করতে এবং ছোটদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও অনুকূল করতে নাইজার এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ...
০২ অক্টোবর ২০২৫
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
গতকাল রোববার এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। এর মাত্র একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশিত এক ‘ব্লকেডের’ অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় জাহাজ জব্দ করে মার্কিন কোস্ট গার্ড।
আল জাজিরাকে ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জাহাজটিকে “সক্রিয়ভাবে ধাওয়া” করছে আমাদের কোস্ট গার্ড। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, জাহাজটি ভেনেজুয়েলার সেই “ডার্ক ফ্লিট”-এর অংশ, যা লাতিন আমেরিকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তেল খাতের ওপর ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা করছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জাহাজটি ‘ভুয়া পতাকা’ ব্যবহার করছিল। একই সঙ্গে এটি একটি ‘বিচারিক জব্দাদেশ’-এর আওতাভুক্ত।
এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ট্যাঙ্কারটি নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। তবে এখন পর্যন্ত জাহাজটিতে কেউ আরোহণ করেনি। জাহাজটির গতিরোধের প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে সন্দেহভাজন জাহাজের খুব কাছ দিয়ে নৌযান চালানো বা ওপর দিয়ে বিমান ওড়ানোও অন্তর্ভুক্ত।
অভিযানটি কোথায় চলছে বা কোন জাহাজের পিছু নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি ওই কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ সামুদ্রিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংস্থা ভ্যানগার্ড ওই জাহাজটিকে ‘বেলা ১’ হিসেবে শনাক্ত করেছে। এটি একটি বিশাল আকারের অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ, যা গত বছর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় যুক্ত করা হয়। জাহাজটির সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র রয়েছে বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি।
ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার ভেনেজুয়েলার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বেলা ১ খালি ছিল।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ (PDVSA)-র অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ২০২১ সালে ভেনেজুয়েলার তেল চীনে পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছিল এই জাহাজটি। একই সঙ্গে, একটি জাহাজ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি আরও জানায় যে, জাহাজটি এর আগে ইরানের অপরিশোধিত তেলও বহন করেছিল।
ভেনেজুয়েলার তেল খাতকে লক্ষ্য করে এই অভিযানটি এমন এক সময়ে পরিচালিত হচ্ছে যখন এই অঞ্চলে বৃহৎ আকারে মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়ানো হয়েছে। এর ঘোষিত লক্ষ্য হলো মাদক পাচার মোকাবিলা করা। এছাড়াও, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির নিকটবর্তী প্রশান্ত মহাসাগর এবং ক্যারিবীয় সাগরে কথিত মাদক পাচারকারী জাহাজগুলোর ওপর দুই ডজনেরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে।
সমালোচকেরা এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির দাবি, বিশ্বের বৃহত্তম তেল মজুত দখলের উদ্দেশ্যেই ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ জব্দের ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা।
এ প্রসঙ্গে গতকাল হোয়াইট হাউস বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা প্রথম দুটি তেলের ট্যাঙ্কার কালোবাজারে পরিচালিত হচ্ছিল এবং নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করছিল।
শনিবার জব্দ করা দ্বিতীয় জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী ‘সেঞ্চুরিজ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। জাহাজটিতে প্রায় ১৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছিল। ভেনেজুয়েলার এই তেলগুলো চীনে নেওয়ার কথা ছিল।
প্রথম জব্দ জাহাজ ‘স্কিপার’ বর্তমানে টেক্সাস উপকূলে নোঙর করা আছে। জাহাজটিতে থাকা ১৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সেখানে খালাস করে যুক্তরাষ্ট্রে পরিশোধনের প্রস্তুতি চলছে।
এই জাহাজ জব্দের ঘটনায় ভেনেজুয়েলা সরকার অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের তেল চুরি করছে।

ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
গতকাল রোববার এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। এর মাত্র একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশিত এক ‘ব্লকেডের’ অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় জাহাজ জব্দ করে মার্কিন কোস্ট গার্ড।
আল জাজিরাকে ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জাহাজটিকে “সক্রিয়ভাবে ধাওয়া” করছে আমাদের কোস্ট গার্ড। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, জাহাজটি ভেনেজুয়েলার সেই “ডার্ক ফ্লিট”-এর অংশ, যা লাতিন আমেরিকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তেল খাতের ওপর ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা করছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জাহাজটি ‘ভুয়া পতাকা’ ব্যবহার করছিল। একই সঙ্গে এটি একটি ‘বিচারিক জব্দাদেশ’-এর আওতাভুক্ত।
এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ট্যাঙ্কারটি নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। তবে এখন পর্যন্ত জাহাজটিতে কেউ আরোহণ করেনি। জাহাজটির গতিরোধের প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে সন্দেহভাজন জাহাজের খুব কাছ দিয়ে নৌযান চালানো বা ওপর দিয়ে বিমান ওড়ানোও অন্তর্ভুক্ত।
অভিযানটি কোথায় চলছে বা কোন জাহাজের পিছু নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি ওই কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ সামুদ্রিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংস্থা ভ্যানগার্ড ওই জাহাজটিকে ‘বেলা ১’ হিসেবে শনাক্ত করেছে। এটি একটি বিশাল আকারের অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ, যা গত বছর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় যুক্ত করা হয়। জাহাজটির সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র রয়েছে বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি।
ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার ভেনেজুয়েলার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বেলা ১ খালি ছিল।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ (PDVSA)-র অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ২০২১ সালে ভেনেজুয়েলার তেল চীনে পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছিল এই জাহাজটি। একই সঙ্গে, একটি জাহাজ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি আরও জানায় যে, জাহাজটি এর আগে ইরানের অপরিশোধিত তেলও বহন করেছিল।
ভেনেজুয়েলার তেল খাতকে লক্ষ্য করে এই অভিযানটি এমন এক সময়ে পরিচালিত হচ্ছে যখন এই অঞ্চলে বৃহৎ আকারে মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়ানো হয়েছে। এর ঘোষিত লক্ষ্য হলো মাদক পাচার মোকাবিলা করা। এছাড়াও, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির নিকটবর্তী প্রশান্ত মহাসাগর এবং ক্যারিবীয় সাগরে কথিত মাদক পাচারকারী জাহাজগুলোর ওপর দুই ডজনেরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে।
সমালোচকেরা এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির দাবি, বিশ্বের বৃহত্তম তেল মজুত দখলের উদ্দেশ্যেই ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ জব্দের ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা।
এ প্রসঙ্গে গতকাল হোয়াইট হাউস বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা প্রথম দুটি তেলের ট্যাঙ্কার কালোবাজারে পরিচালিত হচ্ছিল এবং নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করছিল।
শনিবার জব্দ করা দ্বিতীয় জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী ‘সেঞ্চুরিজ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। জাহাজটিতে প্রায় ১৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছিল। ভেনেজুয়েলার এই তেলগুলো চীনে নেওয়ার কথা ছিল।
প্রথম জব্দ জাহাজ ‘স্কিপার’ বর্তমানে টেক্সাস উপকূলে নোঙর করা আছে। জাহাজটিতে থাকা ১৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সেখানে খালাস করে যুক্তরাষ্ট্রে পরিশোধনের প্রস্তুতি চলছে।
এই জাহাজ জব্দের ঘটনায় ভেনেজুয়েলা সরকার অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের তেল চুরি করছে।

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ...
০২ অক্টোবর ২০২৫
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
২ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৭ ঘণ্টা আগে