
ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন, রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী সের্গেই তসিভিলেভ।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকের ফেডারেল সরকার ও কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকার তাদের তেল সংক্রান্ত বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছে। যার ফলে রুশ কোম্পানিগুলো অঞ্চলটিতে তাদের প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে পারবে।
রাশিয়ার বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রোজেনেফট ছিল সেই কয়েকটি কোম্পানির একটি, যারা অঞ্চলটিতে কাজ স্থগিত করেছিল। সিরিয়া সীমান্তের কাছে কার্যক্রম পরিচালনার সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে এটি কিছু কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। মূলত ইরাকের ফেডারেল সরকারের সঙ্গে কুর্দিস্তান সরকারের সম্পর্কের কারণেই রুশ কোম্পানি সেখানে কাজ বন্ধ রেখেছিল।
ইরাকের তেলমন্ত্রী হায়ান আবদেল-গানি সোমবার বলেছেন, ইরাক কুর্দিস্তান অঞ্চলের তেল প্রবাহ পুনরায় চালুর জন্য তুরস্কের অনুমতির অপেক্ষা করছে, এবং তারা আশা করছে যে, এটি দুই দিনের মধ্যেই পুনরায় শুরু করা যাবে।
রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী তাসিভিলেভ বলেছেন, তিনি কুর্দিস্তান অঞ্চল ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের কোম্পানিগুলো সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং প্রকল্পগুলোতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু পরে, ফেডারেল সরকার ও (ইরাকি) কুর্দিস্তানের মধ্যে মতবিরোধের কারণে এই প্রকল্পগুলো স্থগিত হয়ে যায়।’
তাসিভিলেভ আরও বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি জারুবেজনেফট পুনরায় ইরাকে ফিরে আসতে চায়। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত আক্রমণের পর প্রতিষ্ঠানটি দেশটি ছেড়ে চলে যায়।
এর আগে, রয়টার্স নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আটটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরাকের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, যাতে বাগদাদ দেশটির কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়। অন্যথায় ইরানের মতো ইরাকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে ইরাক সরকারের যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞার হুমকি বা কোনো ধরনের চাপের বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি।
ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু হলে, ইরানি তেল রপ্তানি হ্রাসের সম্ভাব্য প্রভাব কিছুটা লাঘব হবে। ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ইরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নকে ধীর করতে চায়, এ জন্য তারা ইরানের তেল রপ্তানি রাজস্ব বন্ধ করতে চায়।
এর আগে, গত সোমবার ইরাকের তেলমন্ত্রী আকস্মিকভাবে ঘোষণা দেন, আগামী সপ্তাহ থেকে কুর্দিস্তান থেকে তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু হবে। বাগদাদ, ওয়াশিংটন ও ইরাকের কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা আটটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন মার্কিন প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান চাপই সোমবারের ঘোষণার মূল চালিকা শক্তি।
কুর্দিস্থান থেকে প্রতিদিন ৩ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল তুরস্ক হয়ে বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ করে। এর ফলে, এই অঞ্চল থেকে তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রায় দুই বছর ধরে চলা বিরোধের অবসান ঘটাবে। ইরান তার প্রতিবেশী ও মিত্র ইরাককে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দিয়ে নিজের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। তবে বাগদাদ একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র আবার অন্যদিকে ইরানেরও ঘনিষ্ঠ অংশীদার। এ কারণে বাগদান ট্রাম্পের তেহরানকে চাপে রাখার নীতির মাঝে পড়ে বিব্রত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।
ট্রাম্প চান, ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি যেন ইরানের সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। গত সপ্তাহে রয়টার্স জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের অনুরোধে ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংকের ডলারের লেনদেনের সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে ইরাকের পক্ষ থেকে ঘোষণাটি দ্রুত দেওয়া হয়েছে এবং এতে কীভাবে কারিগরি সমস্যাগুলো সমাধান করে রপ্তানি পুনরায় শুরু করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা ছিল না বলে জানিয়েছে চারটি সূত্র।
ইরান ইরাকে শক্তিশালী শিয়া মিলিশিয়া ও বাগদাদে সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে দেশটিতে ব্যাপক সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এমন সময় বাড়ানো হয়েছে যখন ইরান তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের ওপর ইসরায়েলি হামলার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ফারহাদ আলা-আলদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু না হলে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে, এমন কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, ইরাকি পার্লামেন্ট ইতিমধ্যেই তেলের মূল্য নির্ধারণের আইন পাস করেছে এবং এটি কার্যকর করা এখন সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় সম্পদের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ ইরাকি সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেই নেওয়া হয় এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য করা হয়।’

ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন, রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী সের্গেই তসিভিলেভ।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকের ফেডারেল সরকার ও কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকার তাদের তেল সংক্রান্ত বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছে। যার ফলে রুশ কোম্পানিগুলো অঞ্চলটিতে তাদের প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে পারবে।
রাশিয়ার বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রোজেনেফট ছিল সেই কয়েকটি কোম্পানির একটি, যারা অঞ্চলটিতে কাজ স্থগিত করেছিল। সিরিয়া সীমান্তের কাছে কার্যক্রম পরিচালনার সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে এটি কিছু কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। মূলত ইরাকের ফেডারেল সরকারের সঙ্গে কুর্দিস্তান সরকারের সম্পর্কের কারণেই রুশ কোম্পানি সেখানে কাজ বন্ধ রেখেছিল।
ইরাকের তেলমন্ত্রী হায়ান আবদেল-গানি সোমবার বলেছেন, ইরাক কুর্দিস্তান অঞ্চলের তেল প্রবাহ পুনরায় চালুর জন্য তুরস্কের অনুমতির অপেক্ষা করছে, এবং তারা আশা করছে যে, এটি দুই দিনের মধ্যেই পুনরায় শুরু করা যাবে।
রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী তাসিভিলেভ বলেছেন, তিনি কুর্দিস্তান অঞ্চল ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের কোম্পানিগুলো সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং প্রকল্পগুলোতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু পরে, ফেডারেল সরকার ও (ইরাকি) কুর্দিস্তানের মধ্যে মতবিরোধের কারণে এই প্রকল্পগুলো স্থগিত হয়ে যায়।’
তাসিভিলেভ আরও বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি জারুবেজনেফট পুনরায় ইরাকে ফিরে আসতে চায়। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত আক্রমণের পর প্রতিষ্ঠানটি দেশটি ছেড়ে চলে যায়।
এর আগে, রয়টার্স নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আটটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরাকের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, যাতে বাগদাদ দেশটির কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়। অন্যথায় ইরানের মতো ইরাকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে ইরাক সরকারের যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞার হুমকি বা কোনো ধরনের চাপের বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি।
ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু হলে, ইরানি তেল রপ্তানি হ্রাসের সম্ভাব্য প্রভাব কিছুটা লাঘব হবে। ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ইরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নকে ধীর করতে চায়, এ জন্য তারা ইরানের তেল রপ্তানি রাজস্ব বন্ধ করতে চায়।
এর আগে, গত সোমবার ইরাকের তেলমন্ত্রী আকস্মিকভাবে ঘোষণা দেন, আগামী সপ্তাহ থেকে কুর্দিস্তান থেকে তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু হবে। বাগদাদ, ওয়াশিংটন ও ইরাকের কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা আটটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন মার্কিন প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান চাপই সোমবারের ঘোষণার মূল চালিকা শক্তি।
কুর্দিস্থান থেকে প্রতিদিন ৩ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল তুরস্ক হয়ে বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ করে। এর ফলে, এই অঞ্চল থেকে তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রায় দুই বছর ধরে চলা বিরোধের অবসান ঘটাবে। ইরান তার প্রতিবেশী ও মিত্র ইরাককে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দিয়ে নিজের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। তবে বাগদাদ একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র আবার অন্যদিকে ইরানেরও ঘনিষ্ঠ অংশীদার। এ কারণে বাগদান ট্রাম্পের তেহরানকে চাপে রাখার নীতির মাঝে পড়ে বিব্রত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।
ট্রাম্প চান, ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি যেন ইরানের সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। গত সপ্তাহে রয়টার্স জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের অনুরোধে ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংকের ডলারের লেনদেনের সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে ইরাকের পক্ষ থেকে ঘোষণাটি দ্রুত দেওয়া হয়েছে এবং এতে কীভাবে কারিগরি সমস্যাগুলো সমাধান করে রপ্তানি পুনরায় শুরু করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা ছিল না বলে জানিয়েছে চারটি সূত্র।
ইরান ইরাকে শক্তিশালী শিয়া মিলিশিয়া ও বাগদাদে সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে দেশটিতে ব্যাপক সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এমন সময় বাড়ানো হয়েছে যখন ইরান তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের ওপর ইসরায়েলি হামলার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ফারহাদ আলা-আলদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু না হলে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে, এমন কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, ইরাকি পার্লামেন্ট ইতিমধ্যেই তেলের মূল্য নির্ধারণের আইন পাস করেছে এবং এটি কার্যকর করা এখন সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় সম্পদের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ ইরাকি সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেই নেওয়া হয় এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য করা হয়।’

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৯ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৯ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৯ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৮ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৯ ঘণ্টা আগে