
ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন, রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী সের্গেই তসিভিলেভ।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকের ফেডারেল সরকার ও কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকার তাদের তেল সংক্রান্ত বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছে। যার ফলে রুশ কোম্পানিগুলো অঞ্চলটিতে তাদের প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে পারবে।
রাশিয়ার বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রোজেনেফট ছিল সেই কয়েকটি কোম্পানির একটি, যারা অঞ্চলটিতে কাজ স্থগিত করেছিল। সিরিয়া সীমান্তের কাছে কার্যক্রম পরিচালনার সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে এটি কিছু কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। মূলত ইরাকের ফেডারেল সরকারের সঙ্গে কুর্দিস্তান সরকারের সম্পর্কের কারণেই রুশ কোম্পানি সেখানে কাজ বন্ধ রেখেছিল।
ইরাকের তেলমন্ত্রী হায়ান আবদেল-গানি সোমবার বলেছেন, ইরাক কুর্দিস্তান অঞ্চলের তেল প্রবাহ পুনরায় চালুর জন্য তুরস্কের অনুমতির অপেক্ষা করছে, এবং তারা আশা করছে যে, এটি দুই দিনের মধ্যেই পুনরায় শুরু করা যাবে।
রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী তাসিভিলেভ বলেছেন, তিনি কুর্দিস্তান অঞ্চল ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের কোম্পানিগুলো সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং প্রকল্পগুলোতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু পরে, ফেডারেল সরকার ও (ইরাকি) কুর্দিস্তানের মধ্যে মতবিরোধের কারণে এই প্রকল্পগুলো স্থগিত হয়ে যায়।’
তাসিভিলেভ আরও বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি জারুবেজনেফট পুনরায় ইরাকে ফিরে আসতে চায়। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত আক্রমণের পর প্রতিষ্ঠানটি দেশটি ছেড়ে চলে যায়।
এর আগে, রয়টার্স নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আটটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরাকের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, যাতে বাগদাদ দেশটির কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়। অন্যথায় ইরানের মতো ইরাকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে ইরাক সরকারের যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞার হুমকি বা কোনো ধরনের চাপের বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি।
ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু হলে, ইরানি তেল রপ্তানি হ্রাসের সম্ভাব্য প্রভাব কিছুটা লাঘব হবে। ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ইরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নকে ধীর করতে চায়, এ জন্য তারা ইরানের তেল রপ্তানি রাজস্ব বন্ধ করতে চায়।
এর আগে, গত সোমবার ইরাকের তেলমন্ত্রী আকস্মিকভাবে ঘোষণা দেন, আগামী সপ্তাহ থেকে কুর্দিস্তান থেকে তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু হবে। বাগদাদ, ওয়াশিংটন ও ইরাকের কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা আটটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন মার্কিন প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান চাপই সোমবারের ঘোষণার মূল চালিকা শক্তি।
কুর্দিস্থান থেকে প্রতিদিন ৩ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল তুরস্ক হয়ে বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ করে। এর ফলে, এই অঞ্চল থেকে তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রায় দুই বছর ধরে চলা বিরোধের অবসান ঘটাবে। ইরান তার প্রতিবেশী ও মিত্র ইরাককে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দিয়ে নিজের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। তবে বাগদাদ একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র আবার অন্যদিকে ইরানেরও ঘনিষ্ঠ অংশীদার। এ কারণে বাগদান ট্রাম্পের তেহরানকে চাপে রাখার নীতির মাঝে পড়ে বিব্রত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।
ট্রাম্প চান, ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি যেন ইরানের সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। গত সপ্তাহে রয়টার্স জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের অনুরোধে ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংকের ডলারের লেনদেনের সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে ইরাকের পক্ষ থেকে ঘোষণাটি দ্রুত দেওয়া হয়েছে এবং এতে কীভাবে কারিগরি সমস্যাগুলো সমাধান করে রপ্তানি পুনরায় শুরু করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা ছিল না বলে জানিয়েছে চারটি সূত্র।
ইরান ইরাকে শক্তিশালী শিয়া মিলিশিয়া ও বাগদাদে সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে দেশটিতে ব্যাপক সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এমন সময় বাড়ানো হয়েছে যখন ইরান তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের ওপর ইসরায়েলি হামলার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ফারহাদ আলা-আলদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু না হলে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে, এমন কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, ইরাকি পার্লামেন্ট ইতিমধ্যেই তেলের মূল্য নির্ধারণের আইন পাস করেছে এবং এটি কার্যকর করা এখন সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় সম্পদের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ ইরাকি সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেই নেওয়া হয় এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য করা হয়।’

ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন, রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী সের্গেই তসিভিলেভ।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকের ফেডারেল সরকার ও কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকার তাদের তেল সংক্রান্ত বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছে। যার ফলে রুশ কোম্পানিগুলো অঞ্চলটিতে তাদের প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে পারবে।
রাশিয়ার বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রোজেনেফট ছিল সেই কয়েকটি কোম্পানির একটি, যারা অঞ্চলটিতে কাজ স্থগিত করেছিল। সিরিয়া সীমান্তের কাছে কার্যক্রম পরিচালনার সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে এটি কিছু কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। মূলত ইরাকের ফেডারেল সরকারের সঙ্গে কুর্দিস্তান সরকারের সম্পর্কের কারণেই রুশ কোম্পানি সেখানে কাজ বন্ধ রেখেছিল।
ইরাকের তেলমন্ত্রী হায়ান আবদেল-গানি সোমবার বলেছেন, ইরাক কুর্দিস্তান অঞ্চলের তেল প্রবাহ পুনরায় চালুর জন্য তুরস্কের অনুমতির অপেক্ষা করছে, এবং তারা আশা করছে যে, এটি দুই দিনের মধ্যেই পুনরায় শুরু করা যাবে।
রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী তাসিভিলেভ বলেছেন, তিনি কুর্দিস্তান অঞ্চল ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের কোম্পানিগুলো সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং প্রকল্পগুলোতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু পরে, ফেডারেল সরকার ও (ইরাকি) কুর্দিস্তানের মধ্যে মতবিরোধের কারণে এই প্রকল্পগুলো স্থগিত হয়ে যায়।’
তাসিভিলেভ আরও বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি জারুবেজনেফট পুনরায় ইরাকে ফিরে আসতে চায়। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত আক্রমণের পর প্রতিষ্ঠানটি দেশটি ছেড়ে চলে যায়।
এর আগে, রয়টার্স নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আটটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরাকের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, যাতে বাগদাদ দেশটির কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়। অন্যথায় ইরানের মতো ইরাকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে ইরাক সরকারের যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞার হুমকি বা কোনো ধরনের চাপের বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি।
ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু হলে, ইরানি তেল রপ্তানি হ্রাসের সম্ভাব্য প্রভাব কিছুটা লাঘব হবে। ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ইরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নকে ধীর করতে চায়, এ জন্য তারা ইরানের তেল রপ্তানি রাজস্ব বন্ধ করতে চায়।
এর আগে, গত সোমবার ইরাকের তেলমন্ত্রী আকস্মিকভাবে ঘোষণা দেন, আগামী সপ্তাহ থেকে কুর্দিস্তান থেকে তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু হবে। বাগদাদ, ওয়াশিংটন ও ইরাকের কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা আটটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন মার্কিন প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান চাপই সোমবারের ঘোষণার মূল চালিকা শক্তি।
কুর্দিস্থান থেকে প্রতিদিন ৩ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল তুরস্ক হয়ে বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ করে। এর ফলে, এই অঞ্চল থেকে তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রায় দুই বছর ধরে চলা বিরোধের অবসান ঘটাবে। ইরান তার প্রতিবেশী ও মিত্র ইরাককে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দিয়ে নিজের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। তবে বাগদাদ একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র আবার অন্যদিকে ইরানেরও ঘনিষ্ঠ অংশীদার। এ কারণে বাগদান ট্রাম্পের তেহরানকে চাপে রাখার নীতির মাঝে পড়ে বিব্রত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।
ট্রাম্প চান, ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি যেন ইরানের সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। গত সপ্তাহে রয়টার্স জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের অনুরোধে ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংকের ডলারের লেনদেনের সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে ইরাকের পক্ষ থেকে ঘোষণাটি দ্রুত দেওয়া হয়েছে এবং এতে কীভাবে কারিগরি সমস্যাগুলো সমাধান করে রপ্তানি পুনরায় শুরু করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা ছিল না বলে জানিয়েছে চারটি সূত্র।
ইরান ইরাকে শক্তিশালী শিয়া মিলিশিয়া ও বাগদাদে সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে দেশটিতে ব্যাপক সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এমন সময় বাড়ানো হয়েছে যখন ইরান তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের ওপর ইসরায়েলি হামলার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ফারহাদ আলা-আলদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, তেল রপ্তানি পুনরায় শুরু না হলে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে, এমন কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, ইরাকি পার্লামেন্ট ইতিমধ্যেই তেলের মূল্য নির্ধারণের আইন পাস করেছে এবং এটি কার্যকর করা এখন সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় সম্পদের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ ইরাকি সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেই নেওয়া হয় এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য করা হয়।’

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

ইরাকি তেল কিনতে দেশটিকে বাধ্য করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে এমন খবর দিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের পর এবার ইরাকের কুর্দিস্তানে নিজেদের জ্বালানি প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে