আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত করার পরিকল্পনার মোকাবিলায় মিসর একটি বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাব অনুসারে, গাজার শাসনভার আর হামাসের থাকবে না। বরং আরব, মুসলিম ও পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত অন্তর্বর্তী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক একটি প্রশাসনের মাধ্যমে গাজা শাসন করা হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা পরিকল্পনার খসড়া দলিল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মিসরের গাজা-সংক্রান্ত এই দৃষ্টিভঙ্গি আজ মঙ্গলবার আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থাপনের কথা আছে। তবে এতে স্পষ্টভাবে বলা হয়নি, এই প্রস্তাব চূড়ান্ত শান্তিচুক্তির আগে কার্যকর হবে, নাকি পরে। যুদ্ধের পর গাজার শাসনব্যবস্থা কেমন হবে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত প্রশ্ন। হামাস এখন পর্যন্ত কোনো বাহ্যিক শক্তির চাপিয়ে দেওয়া পরিকল্পনা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
কায়রোর প্রস্তাবটি গাজা পুনর্গঠনের অর্থায়ন কে করবে বা সেখানকার শাসনব্যবস্থা কীভাবে পরিচালিত হবে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্পষ্ট করেনি। এমনকি শক্তিশালী ও সশস্ত্র হামাসকে কীভাবে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে, সে বিষয়েও কোনো বিবরণ এতে নেই।
মিসরের পরিকল্পনা অনুসারে, ‘গভর্ন্যান্স অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন’ নামে একটি সংস্থা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য হামাসের জায়গায় গাজা শাসনের জায়গা নেবে এবং এটি অঞ্চলটির মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করবে।
প্রস্তাবের ভূমিকায় বলা হয়েছে, ‘যদি হামাস গাজার স্থানীয় প্রশাসনের ওপর আধিপত্য বিস্তারকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে থেকে যায়, তাহলে গাজা পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের জন্য কোনো বড় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন আসবে না।’ এর আগে মিসরের গাজা-সংক্রান্ত প্রস্তাবে এমন কোনো বিশদ তথ্য প্রকাশিত হয়নি।
মিসর, জর্ডান এবং উপসাগরীয় আরব দেশগুলো প্রায় এক মাস ধরে ট্রাম্পের পরিকল্পনার মোকাবিলায় কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। একাধিক বিকল্প পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে, তবে মিসরের প্রস্তাবকেই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে মনে করা হচ্ছে। আরব নেতারা এই প্রস্তাব সমর্থন করবেন কি না, তা রয়টার্স নিশ্চিত করতে পারেনি।
এই পরিকল্পনায় কে ‘গভর্ন্যান্স মিশন’ পরিচালনা করবে, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে এতে বলা হয়েছে, ‘গাজার পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে গাজার ও অন্যান্য স্থানের ফিলিস্তিনি বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে।’ এ ছাড়া এই পরিকল্পনায় মার্কিন প্রস্তাব অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের গণচ্যুতির কড়া বিরোধিতা করা হয়েছে। মিসর ও জর্ডানের মতো দেশগুলো এটি তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে।
এদিকে, হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁরা মিসরের এমন কোনো প্রস্তাবের কথা জানেন না। তিনি বলেন, ‘গাজার ভবিষ্যৎ কেবল ফিলিস্তিনিরাই নির্ধারণ করবে। হামাস কোনো বাহ্যিক শক্তির চাপিয়ে দেওয়া প্রকল্প বা অ-ফিলিস্তিনি প্রশাসন মেনে নেবে না এবং গাজায় কোনো বিদেশি বাহিনীর উপস্থিতিও মেনে নেওয়া হবে না।’
মিসরের খসড়ায় ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা করা হয়নি। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। একইভাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ও কোনো মন্তব্য করেনি, যদিও যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইসরায়েলের সম্মতি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস ২০০৭ সাল থেকে উপকূলীয় গাজা শাসন করছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়, যাতে ১ হাজার ২০০ জনের মতো নিহত হয়। প্রতিক্রিয়ায় সেদিন থেকেই এরপর টানা ১৫ মাসের বেশি ইসরায়েল গাজায় হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যায়। এতে পুরো গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি ৪৮ হাজারে বেশি মানুষ নিহত হয়, আহত হয় ১ লাখ ১১ হাজারের বেশি, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া, এখনো নিখোঁজ প্রায় ১৪ হাজার।
পরে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি এক যুদ্ধবিরতি সাময়িকভাবে সংঘাত থামায়। তবে এই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ গত শনিবার শেষ হয়ে গেছে এবং দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
যাই হোক, হামাস অস্ত্র সংবরণে অস্বীকৃতি জানালে বা রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে না চাইলে কী করা হবে, সে সম্পর্কে খসড়ায় কিছু বলা হয়নি। এই প্রস্তাবে একটি ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা মূলত আরব দেশগুলোর সেনাদের নিয়ে গঠিত হবে এবং এটি হামাসের বদলে গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। পরবর্তীতে নতুন এক স্থানীয় পুলিশ বাহিনী গঠন করা হবে।
নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলো একটি ‘পরিচালনা বোর্ডের’ অধীনে পরিচালিত হবে। মূলত আরব দেশগুলো ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি), যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর সদস্য রাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের সমন্বয়ে গঠিত হবে এই পরিচালনা বোর্ড।
এই পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভূমিকা নির্ধারণ করা হয়নি। জরিপ অনুসারে, গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এই কর্তৃপক্ষের জনপ্রিয়তা খুব কম। এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘গাজা পশ্চিম তীরের মতোই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে পড়ে এবং এটি অবশ্যই ফিলিস্তিনিরাই পরিচালনা করবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মিসরীয়দের সঙ্গে একমত হয়েছি যে, গাজা পরিচালনায় ফিলিস্তিনি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে, যা ছয় মাসের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে। এই কমিটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করবে, তবে কোনো বিদেশি সংস্থার অধীন থাকবে না।’
এর আগে, ২০০৭ সালে হামাস এক সংক্ষিপ্ত গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে গাজা থেকে উৎখাত করে। অঞ্চলটিতে তারা বিরোধীদের কঠোরভাবে দমন করে। ইরানের সমর্থনে তারা একটি বিশাল সামরিক কাঠামো ও বিস্তৃত টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক তৈরি করে, যার বেশির ভাগই ইসরায়েল ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে।
গাজা পুনর্গঠনে কে অর্থায়ন করবে, তা মিসরের পরিকল্পনায় বলা হয়নি। জাতিসংঘের হিসাবে, এই কাজের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রয়োজন। রয়টার্সের দুটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অন্তত ২০ বিলিয়ন ডলার উপসাগরীয় ও আরব দেশগুলোকে দিতে হবে।
মিসরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বোর্ডভুক্ত দেশগুলো একটি তহবিল গঠন করবে এবং দাতা সম্মেলনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থা করবে। তবে কোনো নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি এই পরিকল্পনায় উল্লেখ নেই।
সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ দেশগুলো প্রধান অর্থায়নকারী হতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাত হামাস ও অন্যান্য উগ্র সংগঠনকে অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। ফলে হামাস ক্ষমতায় থাকলে তারা কোনো ধরনের অর্থায়ন করবে না।
এই খসড়ায় একটি ‘সিভিল সোসাইটি অ্যাডভাইজরি বোর্ড’ গঠনের কথাও বলা হয়েছে, যেখানে শিক্ষাবিদ, এনজিও নেতা এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা থাকবেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত করার পরিকল্পনার মোকাবিলায় মিসর একটি বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাব অনুসারে, গাজার শাসনভার আর হামাসের থাকবে না। বরং আরব, মুসলিম ও পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত অন্তর্বর্তী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক একটি প্রশাসনের মাধ্যমে গাজা শাসন করা হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা পরিকল্পনার খসড়া দলিল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মিসরের গাজা-সংক্রান্ত এই দৃষ্টিভঙ্গি আজ মঙ্গলবার আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থাপনের কথা আছে। তবে এতে স্পষ্টভাবে বলা হয়নি, এই প্রস্তাব চূড়ান্ত শান্তিচুক্তির আগে কার্যকর হবে, নাকি পরে। যুদ্ধের পর গাজার শাসনব্যবস্থা কেমন হবে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত প্রশ্ন। হামাস এখন পর্যন্ত কোনো বাহ্যিক শক্তির চাপিয়ে দেওয়া পরিকল্পনা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
কায়রোর প্রস্তাবটি গাজা পুনর্গঠনের অর্থায়ন কে করবে বা সেখানকার শাসনব্যবস্থা কীভাবে পরিচালিত হবে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্পষ্ট করেনি। এমনকি শক্তিশালী ও সশস্ত্র হামাসকে কীভাবে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে, সে বিষয়েও কোনো বিবরণ এতে নেই।
মিসরের পরিকল্পনা অনুসারে, ‘গভর্ন্যান্স অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন’ নামে একটি সংস্থা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য হামাসের জায়গায় গাজা শাসনের জায়গা নেবে এবং এটি অঞ্চলটির মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করবে।
প্রস্তাবের ভূমিকায় বলা হয়েছে, ‘যদি হামাস গাজার স্থানীয় প্রশাসনের ওপর আধিপত্য বিস্তারকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে থেকে যায়, তাহলে গাজা পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের জন্য কোনো বড় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন আসবে না।’ এর আগে মিসরের গাজা-সংক্রান্ত প্রস্তাবে এমন কোনো বিশদ তথ্য প্রকাশিত হয়নি।
মিসর, জর্ডান এবং উপসাগরীয় আরব দেশগুলো প্রায় এক মাস ধরে ট্রাম্পের পরিকল্পনার মোকাবিলায় কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। একাধিক বিকল্প পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে, তবে মিসরের প্রস্তাবকেই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে মনে করা হচ্ছে। আরব নেতারা এই প্রস্তাব সমর্থন করবেন কি না, তা রয়টার্স নিশ্চিত করতে পারেনি।
এই পরিকল্পনায় কে ‘গভর্ন্যান্স মিশন’ পরিচালনা করবে, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে এতে বলা হয়েছে, ‘গাজার পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে গাজার ও অন্যান্য স্থানের ফিলিস্তিনি বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে।’ এ ছাড়া এই পরিকল্পনায় মার্কিন প্রস্তাব অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের গণচ্যুতির কড়া বিরোধিতা করা হয়েছে। মিসর ও জর্ডানের মতো দেশগুলো এটি তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে।
এদিকে, হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁরা মিসরের এমন কোনো প্রস্তাবের কথা জানেন না। তিনি বলেন, ‘গাজার ভবিষ্যৎ কেবল ফিলিস্তিনিরাই নির্ধারণ করবে। হামাস কোনো বাহ্যিক শক্তির চাপিয়ে দেওয়া প্রকল্প বা অ-ফিলিস্তিনি প্রশাসন মেনে নেবে না এবং গাজায় কোনো বিদেশি বাহিনীর উপস্থিতিও মেনে নেওয়া হবে না।’
মিসরের খসড়ায় ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা করা হয়নি। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। একইভাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ও কোনো মন্তব্য করেনি, যদিও যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইসরায়েলের সম্মতি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস ২০০৭ সাল থেকে উপকূলীয় গাজা শাসন করছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়, যাতে ১ হাজার ২০০ জনের মতো নিহত হয়। প্রতিক্রিয়ায় সেদিন থেকেই এরপর টানা ১৫ মাসের বেশি ইসরায়েল গাজায় হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যায়। এতে পুরো গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি ৪৮ হাজারে বেশি মানুষ নিহত হয়, আহত হয় ১ লাখ ১১ হাজারের বেশি, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া, এখনো নিখোঁজ প্রায় ১৪ হাজার।
পরে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি এক যুদ্ধবিরতি সাময়িকভাবে সংঘাত থামায়। তবে এই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ গত শনিবার শেষ হয়ে গেছে এবং দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
যাই হোক, হামাস অস্ত্র সংবরণে অস্বীকৃতি জানালে বা রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে না চাইলে কী করা হবে, সে সম্পর্কে খসড়ায় কিছু বলা হয়নি। এই প্রস্তাবে একটি ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা মূলত আরব দেশগুলোর সেনাদের নিয়ে গঠিত হবে এবং এটি হামাসের বদলে গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। পরবর্তীতে নতুন এক স্থানীয় পুলিশ বাহিনী গঠন করা হবে।
নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলো একটি ‘পরিচালনা বোর্ডের’ অধীনে পরিচালিত হবে। মূলত আরব দেশগুলো ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি), যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর সদস্য রাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের সমন্বয়ে গঠিত হবে এই পরিচালনা বোর্ড।
এই পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভূমিকা নির্ধারণ করা হয়নি। জরিপ অনুসারে, গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এই কর্তৃপক্ষের জনপ্রিয়তা খুব কম। এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘গাজা পশ্চিম তীরের মতোই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে পড়ে এবং এটি অবশ্যই ফিলিস্তিনিরাই পরিচালনা করবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মিসরীয়দের সঙ্গে একমত হয়েছি যে, গাজা পরিচালনায় ফিলিস্তিনি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে, যা ছয় মাসের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে। এই কমিটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করবে, তবে কোনো বিদেশি সংস্থার অধীন থাকবে না।’
এর আগে, ২০০৭ সালে হামাস এক সংক্ষিপ্ত গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে গাজা থেকে উৎখাত করে। অঞ্চলটিতে তারা বিরোধীদের কঠোরভাবে দমন করে। ইরানের সমর্থনে তারা একটি বিশাল সামরিক কাঠামো ও বিস্তৃত টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক তৈরি করে, যার বেশির ভাগই ইসরায়েল ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে।
গাজা পুনর্গঠনে কে অর্থায়ন করবে, তা মিসরের পরিকল্পনায় বলা হয়নি। জাতিসংঘের হিসাবে, এই কাজের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রয়োজন। রয়টার্সের দুটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অন্তত ২০ বিলিয়ন ডলার উপসাগরীয় ও আরব দেশগুলোকে দিতে হবে।
মিসরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বোর্ডভুক্ত দেশগুলো একটি তহবিল গঠন করবে এবং দাতা সম্মেলনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থা করবে। তবে কোনো নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি এই পরিকল্পনায় উল্লেখ নেই।
সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ দেশগুলো প্রধান অর্থায়নকারী হতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাত হামাস ও অন্যান্য উগ্র সংগঠনকে অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। ফলে হামাস ক্ষমতায় থাকলে তারা কোনো ধরনের অর্থায়ন করবে না।
এই খসড়ায় একটি ‘সিভিল সোসাইটি অ্যাডভাইজরি বোর্ড’ গঠনের কথাও বলা হয়েছে, যেখানে শিক্ষাবিদ, এনজিও নেতা এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা থাকবেন।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত করার পরিকল্পনার মোকাবিলায় মিসর একটি বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাব অনুসারে, গাজার শাসনভার আর হামাসের থাকবে না। বরং, আরব, মুসলিম ও পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত...
০৪ মার্চ ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত করার পরিকল্পনার মোকাবিলায় মিসর একটি বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাব অনুসারে, গাজার শাসনভার আর হামাসের থাকবে না। বরং, আরব, মুসলিম ও পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত...
০৪ মার্চ ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত করার পরিকল্পনার মোকাবিলায় মিসর একটি বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাব অনুসারে, গাজার শাসনভার আর হামাসের থাকবে না। বরং, আরব, মুসলিম ও পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত...
০৪ মার্চ ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত করার পরিকল্পনার মোকাবিলায় মিসর একটি বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাব অনুসারে, গাজার শাসনভার আর হামাসের থাকবে না। বরং, আরব, মুসলিম ও পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত...
০৪ মার্চ ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে