আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ বেশ কিছু শহরে বেসরকারি স্কুলের অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, এই বেতন বৃদ্ধি পরিবারের বাজেটের ওপর মারাত্মক চাপ ফেলছে। যার প্রভাব পড়ছে সন্তানদের ওপরও।
দিল্লির বাসিন্দা ১৪ বছরের আদিত্য মাত্তের ঘটনা এই সংকটকে আরও প্রকট করে তুলেছে। গত ৯ মে ইংরেজি পরীক্ষার দিন আদিত্য আত্মবিশ্বাস নিয়েই স্কুলে যায়। তার বাবা তাকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। কিন্তু আদিত্য আর পরীক্ষা দিতে পারেনি।
আদিত্য বলেছে, ‘দু-তিন মিনিটের মধ্যেই নিরাপত্তাকর্মী আর বাউন্সার এসে আমাকে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলে।’ তার বাবা তখনো স্কুলের বাইরে ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আদিত্যসহ আরও কয়েকজন ছাত্রকে স্কুলবাসে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আদিত্যর নাম ‘দিল্লি পাবলিক স্কুল, দ্বারকার’ তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয়। কারণ, তার বাবা স্কুলের নতুন বেতন কাঠামোকে অবৈধ ও অন্যায্য বলে বেতন পরিশোধ করেননি। এ ঘটনায় দিল্লি পাবলিক স্কুল বা তাদের পরিচালনাকারী দিল্লি পাবলিক স্কুল সোসাইটি কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আদিত্যর ঘটনা অবশ্য বিচ্ছিন্ন নয়। দিল্লি, পুনে, হায়দরাবাদসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে গত দুই মাস ধরে বেসরকারি স্কুলের অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিভাবকেরা বিক্ষোভ করছেন। বিশেষ করে দিল্লিতে আন্দোলন তীব্র হয়েছে। অভিযোগ, দিল্লি পাবলিক স্কুল, দ্বারকা বকেয়া বেতনের কারণে ছাত্রদের শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে দেয়নি, লাইব্রেরিতে আটকে রেখেছে এবং শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারও করেছে। অভিভাবকেরা বলছেন, পরিবারের আর্থিক সিদ্ধান্তের জন্য শিশুদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি স্কুল থাকলেও সেগুলোর মান ভালো না হওয়ায় নিম্নআয়ের পরিবারও বেসরকারি স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করান। দিল্লিতে নিয়ম রয়েছে, যারা সরকারি জমিতে স্কুল চালায়, তাদের বেতন বাড়াতে হলে শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়। পাশাপাশি, ২৫ শতাংশ আসন আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হয়।
স্কুলগুলো বেতন বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিচ্ছে। তারা বলছে, মুদ্রাস্ফীতি, শিক্ষক-শিক্ষিকার বেতন বৃদ্ধি, সরকার প্রদত্ত ভর্তুকি বিলম্বে পাওয়া এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বেতন বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।
আদিত্যর বাবা দিব্য মাত্তে বলেন, ২০২০ সালে আদিত্যর বার্ষিক বেতন ছিল ৯৩ হাজার ৪০০ রুপি, যা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬ রুপি। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভাবিনি, এমন মর্যাদাসম্পন্ন স্কুল এভাবে ছাত্রদের সঙ্গে আচরণ করবে—শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে দেবে না, বাউন্সার লেলিয়ে দেবে, দিনের পর দিন লাইব্রেরিতে বসিয়ে রাখবে।’
বিবিসির প্রশ্নের উত্তর না দিলেও আদালতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, বেতন না দিলে ছাত্রদের ধরে রাখার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা তাদের নেই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলটি দাবি করেছে, তারা গত বছর ৪৯ কোটি টাকার লোকসান দিয়েছে। স্কুলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক নোটিশে ‘একটি ছোট অভিভাবক গোষ্ঠীকে’ অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তারা ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য’ ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতের ৮০ শতাংশের বেশি অভিভাবক জানিয়েছেন, এ বছর বেসরকারি স্কুলের বেতন ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরুতে কোথাও কোথাও বৃদ্ধির হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। দেশে বেসরকারি স্কুলের ওপর কেন্দ্রীয় কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। মহারাষ্ট্রে প্রতি দুই বছরে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানো যায়, তবে ২৫ শতাংশ অভিভাবক আপত্তি তুললে তা পর্যালোচনা হয়। কর্ণাটকে বছরে ১০ শতাংশ বাড়ানোর অনুমতি রয়েছে, তবে তার জন্য নিরীক্ষার কাগজ দেখাতে হয়। বাস্তবে এসব নিয়মের প্রয়োগ দুর্বল। ফলে আইনি লড়াই বছরের পর বছর চলে, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না।
পশ্চিম দিল্লির মীরা মডেল স্কুলের এক ছাত্রের বাবা গগনদীপ সিং জানান, গত বছর তাঁর সন্তানের স্কুলের বেতন ৪৫ শতাংশ বেড়েছে, এ বছরও ১০ শতাংশ বেড়েছে। তিনি আগের অনুমোদিত বেতন দিতে রাজি ছিলেন। কিন্তু স্কুল নতুন সেশনের জন্য তাঁর চেক গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, ‘স্কুল নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের কাজ নয়। সেটা সরকারের দায়িত্ব।’
অনেক অভিভাবক দিল্লি পাবলিক স্কুলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি নিয়ে শঙ্কিত। দিল্লির মহারাজা আগরসেন পাবলিক স্কুলের অভিভাবক পঙ্কজ গুপ্ত জানান, তাঁদের স্কুল এ বছর কোনো নোটিশ ছাড়াই ২৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে বেতন দিয়েছি।’
পঙ্কজ গুপ্তর ছোট দোকান রয়েছে। মহামারির পর ব্যবসা খারাপ। অনলাইন শপিংয়ের কারণে আরও বিপদে পড়েছেন। এখন স্কুলের বেতন তাঁদের পরিবারকে বিপদে ফেলছে। আরেক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে ছোটবেলা থেকে যে স্কুলে পড়ে, সেখান থেকে হয়তো বের করতে হবে। কারণ এ বছর ৩০ শতাংশ বেতন বেড়েছে, যা টানা সম্ভব নয়। তবে স্কুল বদল করাও নিরাপদ নয়। সব জায়গায় একই অবস্থা।’
এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার ১০ জুন ‘দিল্লি স্কুল এডুকেশন (ফি নির্ধারণে স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুমোদন করেছে। এটি কার্যকর হতে রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন। রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী আশিস সূদ জানিয়েছেন, নতুন আইনে বেসরকারি স্কুলের বেতন নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হবে। তবে অভিভাবকেরা বলছেন, তাঁদের মতামত নিয়েই আইন তৈরি করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিখা শর্মা বাগ্গা বলেন, ‘প্রতি বছর শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে স্কুলের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা করা উচিত। তাহলে অভিভাবকেরা বুঝবেন, তাঁরা কী কারণে টাকা দিচ্ছেন।’
এদিকে, দ্বারকায় আদিত্য এখনো স্কুলে ফেরার অপেক্ষায়। যদিও খবরে বলা হয়েছে, দিল্লি পাবলিক স্কুল বহিষ্কৃত ছাত্রদের ফিরিয়ে নেবে। তবে আদিত্যর বাবা দিব্য মাত্তে বলেন, ‘স্কুল কিছুটা ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। কিন্তু এখনো আমার ছেলের নাম তালিকায় ওঠেনি। কোনো অ্যাসাইনমেন্টও দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে মাত্র ১৪ বছরের। তার এখন শুধু পড়াশোনার চিন্তা করার কথা। কিন্তু ওকে ভাবতে হচ্ছে, কাল ক্লাসে বসতে পারবে কি না।’

ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ বেশ কিছু শহরে বেসরকারি স্কুলের অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, এই বেতন বৃদ্ধি পরিবারের বাজেটের ওপর মারাত্মক চাপ ফেলছে। যার প্রভাব পড়ছে সন্তানদের ওপরও।
দিল্লির বাসিন্দা ১৪ বছরের আদিত্য মাত্তের ঘটনা এই সংকটকে আরও প্রকট করে তুলেছে। গত ৯ মে ইংরেজি পরীক্ষার দিন আদিত্য আত্মবিশ্বাস নিয়েই স্কুলে যায়। তার বাবা তাকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। কিন্তু আদিত্য আর পরীক্ষা দিতে পারেনি।
আদিত্য বলেছে, ‘দু-তিন মিনিটের মধ্যেই নিরাপত্তাকর্মী আর বাউন্সার এসে আমাকে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলে।’ তার বাবা তখনো স্কুলের বাইরে ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আদিত্যসহ আরও কয়েকজন ছাত্রকে স্কুলবাসে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আদিত্যর নাম ‘দিল্লি পাবলিক স্কুল, দ্বারকার’ তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয়। কারণ, তার বাবা স্কুলের নতুন বেতন কাঠামোকে অবৈধ ও অন্যায্য বলে বেতন পরিশোধ করেননি। এ ঘটনায় দিল্লি পাবলিক স্কুল বা তাদের পরিচালনাকারী দিল্লি পাবলিক স্কুল সোসাইটি কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আদিত্যর ঘটনা অবশ্য বিচ্ছিন্ন নয়। দিল্লি, পুনে, হায়দরাবাদসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে গত দুই মাস ধরে বেসরকারি স্কুলের অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিভাবকেরা বিক্ষোভ করছেন। বিশেষ করে দিল্লিতে আন্দোলন তীব্র হয়েছে। অভিযোগ, দিল্লি পাবলিক স্কুল, দ্বারকা বকেয়া বেতনের কারণে ছাত্রদের শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে দেয়নি, লাইব্রেরিতে আটকে রেখেছে এবং শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারও করেছে। অভিভাবকেরা বলছেন, পরিবারের আর্থিক সিদ্ধান্তের জন্য শিশুদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি স্কুল থাকলেও সেগুলোর মান ভালো না হওয়ায় নিম্নআয়ের পরিবারও বেসরকারি স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করান। দিল্লিতে নিয়ম রয়েছে, যারা সরকারি জমিতে স্কুল চালায়, তাদের বেতন বাড়াতে হলে শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়। পাশাপাশি, ২৫ শতাংশ আসন আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হয়।
স্কুলগুলো বেতন বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিচ্ছে। তারা বলছে, মুদ্রাস্ফীতি, শিক্ষক-শিক্ষিকার বেতন বৃদ্ধি, সরকার প্রদত্ত ভর্তুকি বিলম্বে পাওয়া এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বেতন বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।
আদিত্যর বাবা দিব্য মাত্তে বলেন, ২০২০ সালে আদিত্যর বার্ষিক বেতন ছিল ৯৩ হাজার ৪০০ রুপি, যা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬ রুপি। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভাবিনি, এমন মর্যাদাসম্পন্ন স্কুল এভাবে ছাত্রদের সঙ্গে আচরণ করবে—শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে দেবে না, বাউন্সার লেলিয়ে দেবে, দিনের পর দিন লাইব্রেরিতে বসিয়ে রাখবে।’
বিবিসির প্রশ্নের উত্তর না দিলেও আদালতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, বেতন না দিলে ছাত্রদের ধরে রাখার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা তাদের নেই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলটি দাবি করেছে, তারা গত বছর ৪৯ কোটি টাকার লোকসান দিয়েছে। স্কুলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক নোটিশে ‘একটি ছোট অভিভাবক গোষ্ঠীকে’ অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তারা ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য’ ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতের ৮০ শতাংশের বেশি অভিভাবক জানিয়েছেন, এ বছর বেসরকারি স্কুলের বেতন ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরুতে কোথাও কোথাও বৃদ্ধির হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। দেশে বেসরকারি স্কুলের ওপর কেন্দ্রীয় কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। মহারাষ্ট্রে প্রতি দুই বছরে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানো যায়, তবে ২৫ শতাংশ অভিভাবক আপত্তি তুললে তা পর্যালোচনা হয়। কর্ণাটকে বছরে ১০ শতাংশ বাড়ানোর অনুমতি রয়েছে, তবে তার জন্য নিরীক্ষার কাগজ দেখাতে হয়। বাস্তবে এসব নিয়মের প্রয়োগ দুর্বল। ফলে আইনি লড়াই বছরের পর বছর চলে, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না।
পশ্চিম দিল্লির মীরা মডেল স্কুলের এক ছাত্রের বাবা গগনদীপ সিং জানান, গত বছর তাঁর সন্তানের স্কুলের বেতন ৪৫ শতাংশ বেড়েছে, এ বছরও ১০ শতাংশ বেড়েছে। তিনি আগের অনুমোদিত বেতন দিতে রাজি ছিলেন। কিন্তু স্কুল নতুন সেশনের জন্য তাঁর চেক গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, ‘স্কুল নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের কাজ নয়। সেটা সরকারের দায়িত্ব।’
অনেক অভিভাবক দিল্লি পাবলিক স্কুলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি নিয়ে শঙ্কিত। দিল্লির মহারাজা আগরসেন পাবলিক স্কুলের অভিভাবক পঙ্কজ গুপ্ত জানান, তাঁদের স্কুল এ বছর কোনো নোটিশ ছাড়াই ২৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে বেতন দিয়েছি।’
পঙ্কজ গুপ্তর ছোট দোকান রয়েছে। মহামারির পর ব্যবসা খারাপ। অনলাইন শপিংয়ের কারণে আরও বিপদে পড়েছেন। এখন স্কুলের বেতন তাঁদের পরিবারকে বিপদে ফেলছে। আরেক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে ছোটবেলা থেকে যে স্কুলে পড়ে, সেখান থেকে হয়তো বের করতে হবে। কারণ এ বছর ৩০ শতাংশ বেতন বেড়েছে, যা টানা সম্ভব নয়। তবে স্কুল বদল করাও নিরাপদ নয়। সব জায়গায় একই অবস্থা।’
এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার ১০ জুন ‘দিল্লি স্কুল এডুকেশন (ফি নির্ধারণে স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুমোদন করেছে। এটি কার্যকর হতে রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন। রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী আশিস সূদ জানিয়েছেন, নতুন আইনে বেসরকারি স্কুলের বেতন নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হবে। তবে অভিভাবকেরা বলছেন, তাঁদের মতামত নিয়েই আইন তৈরি করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিখা শর্মা বাগ্গা বলেন, ‘প্রতি বছর শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে স্কুলের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা করা উচিত। তাহলে অভিভাবকেরা বুঝবেন, তাঁরা কী কারণে টাকা দিচ্ছেন।’
এদিকে, দ্বারকায় আদিত্য এখনো স্কুলে ফেরার অপেক্ষায়। যদিও খবরে বলা হয়েছে, দিল্লি পাবলিক স্কুল বহিষ্কৃত ছাত্রদের ফিরিয়ে নেবে। তবে আদিত্যর বাবা দিব্য মাত্তে বলেন, ‘স্কুল কিছুটা ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। কিন্তু এখনো আমার ছেলের নাম তালিকায় ওঠেনি। কোনো অ্যাসাইনমেন্টও দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে মাত্র ১৪ বছরের। তার এখন শুধু পড়াশোনার চিন্তা করার কথা। কিন্তু ওকে ভাবতে হচ্ছে, কাল ক্লাসে বসতে পারবে কি না।’

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৪ মিনিট আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ বেশ কিছু শহরে বেসরকারি স্কুলের অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, এই বেতন বৃদ্ধি পরিবারের বাজেটের ওপর মারাত্মক চাপ ফেলছে। যার প্রভাব পড়ছে সন্তানদের ওপরও।
২৭ জুন ২০২৫
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ বেশ কিছু শহরে বেসরকারি স্কুলের অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, এই বেতন বৃদ্ধি পরিবারের বাজেটের ওপর মারাত্মক চাপ ফেলছে। যার প্রভাব পড়ছে সন্তানদের ওপরও।
২৭ জুন ২০২৫
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৪ মিনিট আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ বেশ কিছু শহরে বেসরকারি স্কুলের অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, এই বেতন বৃদ্ধি পরিবারের বাজেটের ওপর মারাত্মক চাপ ফেলছে। যার প্রভাব পড়ছে সন্তানদের ওপরও।
২৭ জুন ২০২৫
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৪ মিনিট আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ বেশ কিছু শহরে বেসরকারি স্কুলের অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, এই বেতন বৃদ্ধি পরিবারের বাজেটের ওপর মারাত্মক চাপ ফেলছে। যার প্রভাব পড়ছে সন্তানদের ওপরও।
২৭ জুন ২০২৫
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৪ মিনিট আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে