Ajker Patrika

শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি-শাহ জুটি

প্রতিনিধি
শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি-শাহ জুটি

কলকাতা: ভারতে মোদি হাওয়া শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে। সাত বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী, বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথাই ছিল ভারতে শেষ কথা। দল ও সরকার পরিচালনায় এই দুজনের উত্থানের পর বাকিরা তাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যান বলে বিজেপির অন্দরেও গুঞ্জন বহুদিনের। দুই গুজরাটি নেতার করপোরেট ঢঙে দল ও সরকার পরিচালনায় বিজেপির অন্য নেতারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন। দলের বাইরে দেশের নির্বাচন কমিশন থেকে অন্যান্য স্বশাসিত সংস্থা, এমনকি বিচার ব্যবস্থাতেও তাঁদের প্রভাব নিয়ে কথা উঠতে শুরু করে। দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আদভানি বা মুরুলি মনোহর যোশিরা অনেক আগেই রাজনৈতিক বাণপ্রস্থে চলে গেছেন। তাঁদের ইমেজ ভাঙিয়ে বিজেপির সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সাত বছর ধরে মোদি-শাহ জুটি ভারতের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগের পর এখন দল ও সরকার পরিচালনায় শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বলে অনেকে মনে করেন।

২০১৪ সালে মনমোহন সিং সরকারের পতনের পর ভারতে শুরু হয় মোদি-রাজ। বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপিরও প্রথমসারির নেতারা কিছুদিন আগেও একান্তে বলতেন, মোদি-শাহের কথাই দলে শেষ কথা। বিজেপির মেন্টর বলে পরিচিত আরএসএস-এও ছিল একই গুঞ্জন। কিন্তু বিরোধীদের মতোই দলের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধমতকে মোটেই আমল দেয়নি এই জুটি। নিজেদের ইচ্ছাই ছিল তাদের কাছে শেষ কথা। বিজেপির দুই সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিং এবং নীতীন গড়কড়ি মোদি–মন্ত্রিসভায় থাকলেও দলে বা সরকারে তাঁদের ভূমিকা ও গুরুত্ব অনেকটাই কম। আরেক সাবেক সভাপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এখন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বিজেপিকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দেওয়ায় এতকাল কোনো সমালোচনাই হজম করতে হয়নি এই দুই নেতাকে। তাঁরাও পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যে প্রভাব বাড়িয়েছেন। অভিযোগ, পাঁচতারা হোটেলের রাজনীতি করতে গিয়ে আরও বেশি করে করপোরেটদের স্বার্থরক্ষা করে চলেছে মোদি সরকার। ভারতে ভোট মানে হয়ে উঠেছে এখন বেসরকারি বিমান আর হেলিকপ্টারের ছড়াছড়ি। ভোটে খরচের কোনো সীমা নেই। দলের সাফল্যে চাপা পড়ে ছিল সমস্ত দলীয় ক্ষোভ।

কিন্তু করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত। আসলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিজেপির হার মোদি-বিরোধীদের শক্তি জোগাতে শুরু করেছে। কংগ্রেসসহ বিজেপি–বিরোধীরা বহুদিন ধরেই বলছেন, দেশে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ জারি হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ‘বিজেপির শাখা সংগঠন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

সমস্ত বিরোধী দল, এমনকি সরকারের শরিক দলেরও বিরোধিতাকে আমল না দিয়ে অ-মুসলিমদের জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে মোদি সরকার। অবসরের পরই প্রথা ভেঙে দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে জাতীয় সংসদের সদস্য মনোনীত করতেও কুণ্ঠিত হয়নি। অভিযোগ, সংসদীয় কোনো শিষ্টাচারকেই তিনি পরোয়া করেননি। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। সেই আন্দোলন বা বিরোধীদের বিভিন্ন বিষয়ে নীতিগত বিরোধিতাকে আমল দিতেই নারাজ তাঁরা। দলের নীতি ভেঙে অন্য দল থেকে ‘দাগি’ নেতাদের ভাঙিয়ে এনে হলেও এই জুটির কাছে সাফল্যই ছিল শেষ কথা। সরকার পরিচালনায় দেখা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার বেপরোয়া মনোভাব। ভারতীয় বিমান সেনার জন্য বেশি দাম দিয়ে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্ক হলেও মোদি সরকার সেই বিতর্ককেও ধামাচাপা দিতে ব্যবহৃত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র। বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহারের এত অভিযোগ আগে ওঠেনি। এমন মত জাতীয় সংসদের বর্ষীয়ান সদস্য সৌগত রায়ের।

পশ্চিমবঙ্গে হারের পর মোদি-শাহ জুটির আগের মতো একচ্ছত্র আধিপত্য আর নেই, এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। বিজেপিরই একটা বড় অংশ এই গুজরাটি জুটির বিরুদ্ধে গুঞ্জন শুরু করে দিয়েছেন। মাস আটেক পরেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোট। সেখানে মোদি-ঘনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের বিরুদ্ধে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল এখন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ঠাকুর সম্প্রদায়ের যোগীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণ এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষিপ্ত। তবু যোগীতেই ভরসা রাখতে গিয়ে ২০১৪-এ প্রথমবারের মতো দলের ভেতরও প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়তে হচ্ছে মোদি শিবিরকে। অনেকে এটিকে দলে মোদি-শাহ জুটির লাগাম আলগা হওয়ার লক্ষণ বলে মনে করছেন।

দলের পাশাপাশি সরকার পরিচালনা নিয়েও সমাজের বিভিন্ন স্তরে মোদি বিরোধিতা বাড়ছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাতে ভারতের অবসরপ্রাপ্ত আমলাকুলকেও কিন্তু মমতার হয়েই কথা বলতে দেখা যায়। বিভিন্ন বিষয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের কটাক্ষও হজম করতে হচ্ছে মোদি সরকারকে। কিছুদিন আগেও মোদির সমালোচনা করলেই দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া হতো। জেলসহ নানা হয়রানি ছিল প্রাপ্য। কিন্তু সম্প্রতি আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচনা করলেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা যাবে না। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার কথাও বলেছেন আদালত।

আসলে ভারতের ৭৪ বছর ধরে লালিত গণতান্ত্রিক পরিবেশ কিছুতেই টোল খেতে পারে না। এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, দেশজুড়ে মোদি বিরোধিতা শুরু হয়েছে আসলে গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জরুরি অবস্থা জারির পরে ইন্দিরা গান্ধীর মতো ব্যক্তিত্বকেও ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কিছুতেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধীদের প্রাপ্য মর্যাদাকে বিন্দুমাত্র টোল খেতে দেননি। কিন্তু মোদির আমলে তাঁরা ‘স্বৈরতান্ত্রিক শাসনকাল’ বলেই মনে করেন।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতে, মোদির নেতৃত্বে দেশ পিছিয়ে পড়ছে সবদিক থেকে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোনো মর্যাদা নেই। মোদিজির কথাই শেষ কথা, এটাই হচ্ছে এই আমলের সারমর্ম।

আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মোদি নির্মম। নিষ্ঠুর। স্বৈরাচারী। বামেরা মোদিকে ‘ফ্যাসিস্ট শক্তি’ বলে বর্ণনা করছে। তবে স্মৃতি ইরানি বা অন্য মোদি ঘনিষ্ঠদের কাছে তিনি এখনও ‘বিকাশ পুরুষ’। মোদিভক্ত বা মোদি বিরোধী সব নেতারই নজর এখন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের দিকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদি-শাহের ‘পাঁচতারা পলিটিকস’ সেখানেও ব্যর্থ হলে বিজেপি থেকেই বাজতে শুরু করবে ‘বিসর্জনের সুর’। বিরোধীরাও সংঘবদ্ধভাবে সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে মরিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘২০২৫’ নিয়ে ১৯৯৮ সালে করা আমেরিকানদের ভবিষ্যদ্বাণী কতটুকু মিলেছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৭
ছবি: সিএনএন
ছবি: সিএনএন

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।

এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।

একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।

তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।

জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।

তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।

গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুতিনের বাসভবনে ড্রোন হামলার অভিযোগ—‘মিথ্যা’ বলছে ইউক্রেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৭
ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।

লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’

জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।

এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।

রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাইওয়ানকে ঘিরে ধরেছে চীনের যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মহড়ায় সরাসরি গুলির অনুশীলনও করা হচ্ছে। ছবি: চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড
মহড়ায় সরাসরি গুলির অনুশীলনও করা হচ্ছে। ছবি: চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।

এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৭ বছরের সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আপিল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। ছবি: এএফপি
ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।

আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।

আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।

আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।

আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।

আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।

এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।

ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত