প্রতিনিধি

কলকাতা: ভারতে মোদি হাওয়া শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে। সাত বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী, বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথাই ছিল ভারতে শেষ কথা। দল ও সরকার পরিচালনায় এই দুজনের উত্থানের পর বাকিরা তাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যান বলে বিজেপির অন্দরেও গুঞ্জন বহুদিনের। দুই গুজরাটি নেতার করপোরেট ঢঙে দল ও সরকার পরিচালনায় বিজেপির অন্য নেতারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন। দলের বাইরে দেশের নির্বাচন কমিশন থেকে অন্যান্য স্বশাসিত সংস্থা, এমনকি বিচার ব্যবস্থাতেও তাঁদের প্রভাব নিয়ে কথা উঠতে শুরু করে। দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আদভানি বা মুরুলি মনোহর যোশিরা অনেক আগেই রাজনৈতিক বাণপ্রস্থে চলে গেছেন। তাঁদের ইমেজ ভাঙিয়ে বিজেপির সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সাত বছর ধরে মোদি-শাহ জুটি ভারতের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগের পর এখন দল ও সরকার পরিচালনায় শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বলে অনেকে মনে করেন।
২০১৪ সালে মনমোহন সিং সরকারের পতনের পর ভারতে শুরু হয় মোদি-রাজ। বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপিরও প্রথমসারির নেতারা কিছুদিন আগেও একান্তে বলতেন, মোদি-শাহের কথাই দলে শেষ কথা। বিজেপির মেন্টর বলে পরিচিত আরএসএস-এও ছিল একই গুঞ্জন। কিন্তু বিরোধীদের মতোই দলের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধমতকে মোটেই আমল দেয়নি এই জুটি। নিজেদের ইচ্ছাই ছিল তাদের কাছে শেষ কথা। বিজেপির দুই সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিং এবং নীতীন গড়কড়ি মোদি–মন্ত্রিসভায় থাকলেও দলে বা সরকারে তাঁদের ভূমিকা ও গুরুত্ব অনেকটাই কম। আরেক সাবেক সভাপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এখন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বিজেপিকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দেওয়ায় এতকাল কোনো সমালোচনাই হজম করতে হয়নি এই দুই নেতাকে। তাঁরাও পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যে প্রভাব বাড়িয়েছেন। অভিযোগ, পাঁচতারা হোটেলের রাজনীতি করতে গিয়ে আরও বেশি করে করপোরেটদের স্বার্থরক্ষা করে চলেছে মোদি সরকার। ভারতে ভোট মানে হয়ে উঠেছে এখন বেসরকারি বিমান আর হেলিকপ্টারের ছড়াছড়ি। ভোটে খরচের কোনো সীমা নেই। দলের সাফল্যে চাপা পড়ে ছিল সমস্ত দলীয় ক্ষোভ।
কিন্তু করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত। আসলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিজেপির হার মোদি-বিরোধীদের শক্তি জোগাতে শুরু করেছে। কংগ্রেসসহ বিজেপি–বিরোধীরা বহুদিন ধরেই বলছেন, দেশে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ জারি হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ‘বিজেপির শাখা সংগঠন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সমস্ত বিরোধী দল, এমনকি সরকারের শরিক দলেরও বিরোধিতাকে আমল না দিয়ে অ-মুসলিমদের জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে মোদি সরকার। অবসরের পরই প্রথা ভেঙে দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে জাতীয় সংসদের সদস্য মনোনীত করতেও কুণ্ঠিত হয়নি। অভিযোগ, সংসদীয় কোনো শিষ্টাচারকেই তিনি পরোয়া করেননি। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। সেই আন্দোলন বা বিরোধীদের বিভিন্ন বিষয়ে নীতিগত বিরোধিতাকে আমল দিতেই নারাজ তাঁরা। দলের নীতি ভেঙে অন্য দল থেকে ‘দাগি’ নেতাদের ভাঙিয়ে এনে হলেও এই জুটির কাছে সাফল্যই ছিল শেষ কথা। সরকার পরিচালনায় দেখা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার বেপরোয়া মনোভাব। ভারতীয় বিমান সেনার জন্য বেশি দাম দিয়ে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্ক হলেও মোদি সরকার সেই বিতর্ককেও ধামাচাপা দিতে ব্যবহৃত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র। বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহারের এত অভিযোগ আগে ওঠেনি। এমন মত জাতীয় সংসদের বর্ষীয়ান সদস্য সৌগত রায়ের।
পশ্চিমবঙ্গে হারের পর মোদি-শাহ জুটির আগের মতো একচ্ছত্র আধিপত্য আর নেই, এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। বিজেপিরই একটা বড় অংশ এই গুজরাটি জুটির বিরুদ্ধে গুঞ্জন শুরু করে দিয়েছেন। মাস আটেক পরেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোট। সেখানে মোদি-ঘনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের বিরুদ্ধে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল এখন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ঠাকুর সম্প্রদায়ের যোগীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণ এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষিপ্ত। তবু যোগীতেই ভরসা রাখতে গিয়ে ২০১৪-এ প্রথমবারের মতো দলের ভেতরও প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়তে হচ্ছে মোদি শিবিরকে। অনেকে এটিকে দলে মোদি-শাহ জুটির লাগাম আলগা হওয়ার লক্ষণ বলে মনে করছেন।
দলের পাশাপাশি সরকার পরিচালনা নিয়েও সমাজের বিভিন্ন স্তরে মোদি বিরোধিতা বাড়ছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাতে ভারতের অবসরপ্রাপ্ত আমলাকুলকেও কিন্তু মমতার হয়েই কথা বলতে দেখা যায়। বিভিন্ন বিষয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের কটাক্ষও হজম করতে হচ্ছে মোদি সরকারকে। কিছুদিন আগেও মোদির সমালোচনা করলেই দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া হতো। জেলসহ নানা হয়রানি ছিল প্রাপ্য। কিন্তু সম্প্রতি আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচনা করলেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা যাবে না। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার কথাও বলেছেন আদালত।
আসলে ভারতের ৭৪ বছর ধরে লালিত গণতান্ত্রিক পরিবেশ কিছুতেই টোল খেতে পারে না। এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, দেশজুড়ে মোদি বিরোধিতা শুরু হয়েছে আসলে গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জরুরি অবস্থা জারির পরে ইন্দিরা গান্ধীর মতো ব্যক্তিত্বকেও ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কিছুতেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধীদের প্রাপ্য মর্যাদাকে বিন্দুমাত্র টোল খেতে দেননি। কিন্তু মোদির আমলে তাঁরা ‘স্বৈরতান্ত্রিক শাসনকাল’ বলেই মনে করেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতে, মোদির নেতৃত্বে দেশ পিছিয়ে পড়ছে সবদিক থেকে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোনো মর্যাদা নেই। মোদিজির কথাই শেষ কথা, এটাই হচ্ছে এই আমলের সারমর্ম।
আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মোদি নির্মম। নিষ্ঠুর। স্বৈরাচারী। বামেরা মোদিকে ‘ফ্যাসিস্ট শক্তি’ বলে বর্ণনা করছে। তবে স্মৃতি ইরানি বা অন্য মোদি ঘনিষ্ঠদের কাছে তিনি এখনও ‘বিকাশ পুরুষ’। মোদিভক্ত বা মোদি বিরোধী সব নেতারই নজর এখন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের দিকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদি-শাহের ‘পাঁচতারা পলিটিকস’ সেখানেও ব্যর্থ হলে বিজেপি থেকেই বাজতে শুরু করবে ‘বিসর্জনের সুর’। বিরোধীরাও সংঘবদ্ধভাবে সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে মরিয়া।

কলকাতা: ভারতে মোদি হাওয়া শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে। সাত বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী, বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথাই ছিল ভারতে শেষ কথা। দল ও সরকার পরিচালনায় এই দুজনের উত্থানের পর বাকিরা তাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যান বলে বিজেপির অন্দরেও গুঞ্জন বহুদিনের। দুই গুজরাটি নেতার করপোরেট ঢঙে দল ও সরকার পরিচালনায় বিজেপির অন্য নেতারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন। দলের বাইরে দেশের নির্বাচন কমিশন থেকে অন্যান্য স্বশাসিত সংস্থা, এমনকি বিচার ব্যবস্থাতেও তাঁদের প্রভাব নিয়ে কথা উঠতে শুরু করে। দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আদভানি বা মুরুলি মনোহর যোশিরা অনেক আগেই রাজনৈতিক বাণপ্রস্থে চলে গেছেন। তাঁদের ইমেজ ভাঙিয়ে বিজেপির সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সাত বছর ধরে মোদি-শাহ জুটি ভারতের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগের পর এখন দল ও সরকার পরিচালনায় শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বলে অনেকে মনে করেন।
২০১৪ সালে মনমোহন সিং সরকারের পতনের পর ভারতে শুরু হয় মোদি-রাজ। বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপিরও প্রথমসারির নেতারা কিছুদিন আগেও একান্তে বলতেন, মোদি-শাহের কথাই দলে শেষ কথা। বিজেপির মেন্টর বলে পরিচিত আরএসএস-এও ছিল একই গুঞ্জন। কিন্তু বিরোধীদের মতোই দলের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধমতকে মোটেই আমল দেয়নি এই জুটি। নিজেদের ইচ্ছাই ছিল তাদের কাছে শেষ কথা। বিজেপির দুই সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিং এবং নীতীন গড়কড়ি মোদি–মন্ত্রিসভায় থাকলেও দলে বা সরকারে তাঁদের ভূমিকা ও গুরুত্ব অনেকটাই কম। আরেক সাবেক সভাপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এখন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বিজেপিকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দেওয়ায় এতকাল কোনো সমালোচনাই হজম করতে হয়নি এই দুই নেতাকে। তাঁরাও পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যে প্রভাব বাড়িয়েছেন। অভিযোগ, পাঁচতারা হোটেলের রাজনীতি করতে গিয়ে আরও বেশি করে করপোরেটদের স্বার্থরক্ষা করে চলেছে মোদি সরকার। ভারতে ভোট মানে হয়ে উঠেছে এখন বেসরকারি বিমান আর হেলিকপ্টারের ছড়াছড়ি। ভোটে খরচের কোনো সীমা নেই। দলের সাফল্যে চাপা পড়ে ছিল সমস্ত দলীয় ক্ষোভ।
কিন্তু করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত। আসলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিজেপির হার মোদি-বিরোধীদের শক্তি জোগাতে শুরু করেছে। কংগ্রেসসহ বিজেপি–বিরোধীরা বহুদিন ধরেই বলছেন, দেশে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ জারি হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ‘বিজেপির শাখা সংগঠন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সমস্ত বিরোধী দল, এমনকি সরকারের শরিক দলেরও বিরোধিতাকে আমল না দিয়ে অ-মুসলিমদের জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে মোদি সরকার। অবসরের পরই প্রথা ভেঙে দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে জাতীয় সংসদের সদস্য মনোনীত করতেও কুণ্ঠিত হয়নি। অভিযোগ, সংসদীয় কোনো শিষ্টাচারকেই তিনি পরোয়া করেননি। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। সেই আন্দোলন বা বিরোধীদের বিভিন্ন বিষয়ে নীতিগত বিরোধিতাকে আমল দিতেই নারাজ তাঁরা। দলের নীতি ভেঙে অন্য দল থেকে ‘দাগি’ নেতাদের ভাঙিয়ে এনে হলেও এই জুটির কাছে সাফল্যই ছিল শেষ কথা। সরকার পরিচালনায় দেখা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার বেপরোয়া মনোভাব। ভারতীয় বিমান সেনার জন্য বেশি দাম দিয়ে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্ক হলেও মোদি সরকার সেই বিতর্ককেও ধামাচাপা দিতে ব্যবহৃত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র। বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহারের এত অভিযোগ আগে ওঠেনি। এমন মত জাতীয় সংসদের বর্ষীয়ান সদস্য সৌগত রায়ের।
পশ্চিমবঙ্গে হারের পর মোদি-শাহ জুটির আগের মতো একচ্ছত্র আধিপত্য আর নেই, এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। বিজেপিরই একটা বড় অংশ এই গুজরাটি জুটির বিরুদ্ধে গুঞ্জন শুরু করে দিয়েছেন। মাস আটেক পরেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোট। সেখানে মোদি-ঘনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের বিরুদ্ধে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল এখন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ঠাকুর সম্প্রদায়ের যোগীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণ এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষিপ্ত। তবু যোগীতেই ভরসা রাখতে গিয়ে ২০১৪-এ প্রথমবারের মতো দলের ভেতরও প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়তে হচ্ছে মোদি শিবিরকে। অনেকে এটিকে দলে মোদি-শাহ জুটির লাগাম আলগা হওয়ার লক্ষণ বলে মনে করছেন।
দলের পাশাপাশি সরকার পরিচালনা নিয়েও সমাজের বিভিন্ন স্তরে মোদি বিরোধিতা বাড়ছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাতে ভারতের অবসরপ্রাপ্ত আমলাকুলকেও কিন্তু মমতার হয়েই কথা বলতে দেখা যায়। বিভিন্ন বিষয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের কটাক্ষও হজম করতে হচ্ছে মোদি সরকারকে। কিছুদিন আগেও মোদির সমালোচনা করলেই দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া হতো। জেলসহ নানা হয়রানি ছিল প্রাপ্য। কিন্তু সম্প্রতি আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচনা করলেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা যাবে না। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার কথাও বলেছেন আদালত।
আসলে ভারতের ৭৪ বছর ধরে লালিত গণতান্ত্রিক পরিবেশ কিছুতেই টোল খেতে পারে না। এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, দেশজুড়ে মোদি বিরোধিতা শুরু হয়েছে আসলে গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জরুরি অবস্থা জারির পরে ইন্দিরা গান্ধীর মতো ব্যক্তিত্বকেও ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কিছুতেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধীদের প্রাপ্য মর্যাদাকে বিন্দুমাত্র টোল খেতে দেননি। কিন্তু মোদির আমলে তাঁরা ‘স্বৈরতান্ত্রিক শাসনকাল’ বলেই মনে করেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতে, মোদির নেতৃত্বে দেশ পিছিয়ে পড়ছে সবদিক থেকে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোনো মর্যাদা নেই। মোদিজির কথাই শেষ কথা, এটাই হচ্ছে এই আমলের সারমর্ম।
আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মোদি নির্মম। নিষ্ঠুর। স্বৈরাচারী। বামেরা মোদিকে ‘ফ্যাসিস্ট শক্তি’ বলে বর্ণনা করছে। তবে স্মৃতি ইরানি বা অন্য মোদি ঘনিষ্ঠদের কাছে তিনি এখনও ‘বিকাশ পুরুষ’। মোদিভক্ত বা মোদি বিরোধী সব নেতারই নজর এখন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের দিকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদি-শাহের ‘পাঁচতারা পলিটিকস’ সেখানেও ব্যর্থ হলে বিজেপি থেকেই বাজতে শুরু করবে ‘বিসর্জনের সুর’। বিরোধীরাও সংঘবদ্ধভাবে সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে মরিয়া।

এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৯ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত।
০৪ জুন ২০২১
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৯ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত।
০৪ জুন ২০২১
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত।
০৪ জুন ২০২১
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৯ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত।
০৪ জুন ২০২১
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৯ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে