আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ১১ বছরের শাসনকালের অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। চিরশত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে বিতর্কিত যুদ্ধবিরতি, বয়স নিয়ে নতুন করে সমালোচনা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বহুল প্রচারিত সৌহার্দ্য থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক শীতলতা—সব মিলিয়ে তাঁর নেতৃত্বের জন্য বিরাট পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই চ্যালেঞ্জগুলোর পাশাপাশি মোদিকে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগেরও জবাব দিতে হচ্ছে। এসব কিছুই জটিল আকার ধারণ করেছে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য বিহারে কঠিন নির্বাচনী লড়াইয়ের ঠিক আগে।
আসন্ন বিহার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা একজন নেতার ভাবমূর্তিতে বড় ধরনের আঘাত হানবে।
এই সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। এর ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর সংকটে পড়েছে। অথচ মাত্র ছয় মাস আগেও ট্রাম্প ও মোদি পরস্পরকে আলিঙ্গন করে নিজেদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করছিলেন।
নয়াদিল্লিভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরাতি জেরাথ বলছেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অনেকটাই ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত বোঝাপড়ার ওপর নির্ভর করছিল। তাই এখন যখন সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে, মোদির কাছে কোনো কূটনৈতিক ‘বাফার’ নেই। এমন এক শক্তিশালী নেতা হয়েও তিনি তাঁর প্রচারিত দৃঢ়তা ও সাহসিকতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন—এ নিয়ে হতাশা রয়েছে।
তবে মোদি পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, দেশের কৃষকদের পাশে থাকার জন্য যেকোনো মূল্য চুকাতে তিনি প্রস্তুত। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা বা শুল্ক কমানোর প্রসঙ্গ আনেননি।
মোদি এক জনসভায় বলেন, ‘ভারত কখনোই তার কৃষক, পশুপালক ও জেলেদের স্বার্থে আপস করবে না। আমি ভালোভাবেই জানি, এর জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক বড় মূল্য দিতে হতে পারে, তবে আমি প্রস্তুত।’
বিজেপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি গ্রাফিক চিত্র প্রকাশ করেছে। যেখানে মোদির পিঠে পাথর, ইট ও শুল্ক ছুরির আঘাত করছে। আর তিনি ঢাল হয়ে লাঙল কাঁধে হেঁটে চলা এক কৃষককে রক্ষা করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন বিহারের নির্বাচনে প্রচারণার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক দ্বন্দ্ব। সাম্প্রতিক এক জরিপে ভোটভাইব সংস্থা জানিয়েছে, কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে মোদির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে হিমশিম খাবে।
তবে ভোটভাইবের প্রতিষ্ঠাতা অমিতাভ তিওয়ারি মনে করেন, ট্রাম্পবিরোধী কোনো জাতীয়তাবাদী প্রচারণা ভোটারদের তেমন প্রভাবিত করবে না, কারণ, বিহারের নির্বাচন ‘অত্যন্ত স্থানীয় ইস্যু’-নির্ভর। বেকারত্ব ছাড়া কোনো সর্বজনীন ইস্যু এখানে নেই।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে মোদি আগামী সপ্তাহগুলোতে চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শুল্ক ইস্যু নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গেও মোদি টেলিফোনে কথা বলেছেন। ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এই দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। রাশিয়া, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাও ব্রিকসের অন্য প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
মোদি এখনো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারপ্রধান। ডেটা ইন্টেলিজেন্স সংস্থা মর্নিং কনসাল্টের তথ্যমতে, তাঁর জনপ্রিয়তা ৭৫ শতাংশের বেশি। তবে এ বছর মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে আকস্মিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সমর্থকগোষ্ঠী হতবাক হয়েছে।
এই যুদ্ধবিরতি দেশ-বিদেশে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি মোদি সরকার বারবার অস্বীকার করেছে। ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি বাণিজ্য আলোচনার প্রভাবে এই যুদ্ধবিরতি করাতে পেরেছেন। পরে ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছেন এবং পাকিস্তান প্রকাশ্যে তাঁকে সংঘাত শেষ করার কৃতিত্ব দিয়েছে। বিষয়টি ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও জটিল করেছে।
এদিকে দেশের ভেতরে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দাবি করেছে, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ‘ভোটার তালিকায় ভুয়া নাম যুক্ত করে ভোট কারচুপি ও চুরি’ করেছে। তাদের হাতে এসবের প্রমাণ রয়েছে।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দলের মাধ্যমে এ দেশে একটি বিরাট অপরাধমূলক প্রতারণা চলছে।
বিজেপি এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, কংগ্রেসের বারবার নির্বাচনে পরাজয়ের হতাশা থেকে এমন দাবি করা হচ্ছে। বিজেপি এক্সে লিখেছে, রাহুল গান্ধী যখন প্রতারণা করে ক্ষমতায় যেতে পারেন না, তখনই তিনি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন।
নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীকে ‘অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ও ভারতীয় নাগরিকদের বিভ্রান্ত করা’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
আগামী মাসে ৭৫তম জন্মদিনের দিকে এগোতে থাকা মোদির বয়সও এখন আলোচনায় এসেছে, কারণ, অনেক বিজেপি নেতাকে এই বয়সসীমার পর পদচ্যুত করা হয়েছিল। তবে বিজেপি জানিয়েছে, দলের নেতাদের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক অবসরের বয়স নেই।
সব মিলিয়ে বিশ্লেষকদের মতে, মোদির সামনে এখন কঠিন দায়িত্ব। নয়াদিল্লিভিত্তিক থিংকট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভিজিটিং ফেলো রশিদ কিদওয়াই বলেন, মোদির ব্র্যান্ড ভ্যালু খুব দ্রুত কমছে, তাঁকে নতুনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। বিশেষ করে, যদি বিহার নির্বাচনে তিনি হেরে যান, তবে তাঁর জনপ্রিয়তার জৌলুশ ম্লান হয়ে যাবে। কারণ, ভারতে সবকিছুই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ১১ বছরের শাসনকালের অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। চিরশত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে বিতর্কিত যুদ্ধবিরতি, বয়স নিয়ে নতুন করে সমালোচনা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বহুল প্রচারিত সৌহার্দ্য থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক শীতলতা—সব মিলিয়ে তাঁর নেতৃত্বের জন্য বিরাট পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই চ্যালেঞ্জগুলোর পাশাপাশি মোদিকে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগেরও জবাব দিতে হচ্ছে। এসব কিছুই জটিল আকার ধারণ করেছে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য বিহারে কঠিন নির্বাচনী লড়াইয়ের ঠিক আগে।
আসন্ন বিহার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা একজন নেতার ভাবমূর্তিতে বড় ধরনের আঘাত হানবে।
এই সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। এর ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর সংকটে পড়েছে। অথচ মাত্র ছয় মাস আগেও ট্রাম্প ও মোদি পরস্পরকে আলিঙ্গন করে নিজেদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করছিলেন।
নয়াদিল্লিভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরাতি জেরাথ বলছেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অনেকটাই ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত বোঝাপড়ার ওপর নির্ভর করছিল। তাই এখন যখন সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে, মোদির কাছে কোনো কূটনৈতিক ‘বাফার’ নেই। এমন এক শক্তিশালী নেতা হয়েও তিনি তাঁর প্রচারিত দৃঢ়তা ও সাহসিকতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন—এ নিয়ে হতাশা রয়েছে।
তবে মোদি পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, দেশের কৃষকদের পাশে থাকার জন্য যেকোনো মূল্য চুকাতে তিনি প্রস্তুত। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা বা শুল্ক কমানোর প্রসঙ্গ আনেননি।
মোদি এক জনসভায় বলেন, ‘ভারত কখনোই তার কৃষক, পশুপালক ও জেলেদের স্বার্থে আপস করবে না। আমি ভালোভাবেই জানি, এর জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক বড় মূল্য দিতে হতে পারে, তবে আমি প্রস্তুত।’
বিজেপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি গ্রাফিক চিত্র প্রকাশ করেছে। যেখানে মোদির পিঠে পাথর, ইট ও শুল্ক ছুরির আঘাত করছে। আর তিনি ঢাল হয়ে লাঙল কাঁধে হেঁটে চলা এক কৃষককে রক্ষা করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন বিহারের নির্বাচনে প্রচারণার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক দ্বন্দ্ব। সাম্প্রতিক এক জরিপে ভোটভাইব সংস্থা জানিয়েছে, কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে মোদির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে হিমশিম খাবে।
তবে ভোটভাইবের প্রতিষ্ঠাতা অমিতাভ তিওয়ারি মনে করেন, ট্রাম্পবিরোধী কোনো জাতীয়তাবাদী প্রচারণা ভোটারদের তেমন প্রভাবিত করবে না, কারণ, বিহারের নির্বাচন ‘অত্যন্ত স্থানীয় ইস্যু’-নির্ভর। বেকারত্ব ছাড়া কোনো সর্বজনীন ইস্যু এখানে নেই।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে মোদি আগামী সপ্তাহগুলোতে চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শুল্ক ইস্যু নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গেও মোদি টেলিফোনে কথা বলেছেন। ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এই দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। রাশিয়া, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাও ব্রিকসের অন্য প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
মোদি এখনো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারপ্রধান। ডেটা ইন্টেলিজেন্স সংস্থা মর্নিং কনসাল্টের তথ্যমতে, তাঁর জনপ্রিয়তা ৭৫ শতাংশের বেশি। তবে এ বছর মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে আকস্মিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সমর্থকগোষ্ঠী হতবাক হয়েছে।
এই যুদ্ধবিরতি দেশ-বিদেশে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি মোদি সরকার বারবার অস্বীকার করেছে। ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি বাণিজ্য আলোচনার প্রভাবে এই যুদ্ধবিরতি করাতে পেরেছেন। পরে ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছেন এবং পাকিস্তান প্রকাশ্যে তাঁকে সংঘাত শেষ করার কৃতিত্ব দিয়েছে। বিষয়টি ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও জটিল করেছে।
এদিকে দেশের ভেতরে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দাবি করেছে, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ‘ভোটার তালিকায় ভুয়া নাম যুক্ত করে ভোট কারচুপি ও চুরি’ করেছে। তাদের হাতে এসবের প্রমাণ রয়েছে।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দলের মাধ্যমে এ দেশে একটি বিরাট অপরাধমূলক প্রতারণা চলছে।
বিজেপি এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, কংগ্রেসের বারবার নির্বাচনে পরাজয়ের হতাশা থেকে এমন দাবি করা হচ্ছে। বিজেপি এক্সে লিখেছে, রাহুল গান্ধী যখন প্রতারণা করে ক্ষমতায় যেতে পারেন না, তখনই তিনি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন।
নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীকে ‘অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ও ভারতীয় নাগরিকদের বিভ্রান্ত করা’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
আগামী মাসে ৭৫তম জন্মদিনের দিকে এগোতে থাকা মোদির বয়সও এখন আলোচনায় এসেছে, কারণ, অনেক বিজেপি নেতাকে এই বয়সসীমার পর পদচ্যুত করা হয়েছিল। তবে বিজেপি জানিয়েছে, দলের নেতাদের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক অবসরের বয়স নেই।
সব মিলিয়ে বিশ্লেষকদের মতে, মোদির সামনে এখন কঠিন দায়িত্ব। নয়াদিল্লিভিত্তিক থিংকট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভিজিটিং ফেলো রশিদ কিদওয়াই বলেন, মোদির ব্র্যান্ড ভ্যালু খুব দ্রুত কমছে, তাঁকে নতুনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। বিশেষ করে, যদি বিহার নির্বাচনে তিনি হেরে যান, তবে তাঁর জনপ্রিয়তার জৌলুশ ম্লান হয়ে যাবে। কারণ, ভারতে সবকিছুই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ১১ বছরের শাসনকালের অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। চিরশত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে বিতর্কিত যুদ্ধবিরতি, বয়স নিয়ে নতুন করে সমালোচনা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বহুল প্রচারিত সৌহার্দ্য থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক শীতলতা—সব মিলিয়ে তাঁর নেতৃত্বের জন্য বিরাট পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই চ্যালেঞ্জগুলোর পাশাপাশি মোদিকে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগেরও জবাব দিতে হচ্ছে। এসব কিছুই জটিল আকার ধারণ করেছে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য বিহারে কঠিন নির্বাচনী লড়াইয়ের ঠিক আগে।
আসন্ন বিহার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা একজন নেতার ভাবমূর্তিতে বড় ধরনের আঘাত হানবে।
এই সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। এর ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর সংকটে পড়েছে। অথচ মাত্র ছয় মাস আগেও ট্রাম্প ও মোদি পরস্পরকে আলিঙ্গন করে নিজেদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করছিলেন।
নয়াদিল্লিভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরাতি জেরাথ বলছেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অনেকটাই ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত বোঝাপড়ার ওপর নির্ভর করছিল। তাই এখন যখন সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে, মোদির কাছে কোনো কূটনৈতিক ‘বাফার’ নেই। এমন এক শক্তিশালী নেতা হয়েও তিনি তাঁর প্রচারিত দৃঢ়তা ও সাহসিকতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন—এ নিয়ে হতাশা রয়েছে।
তবে মোদি পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, দেশের কৃষকদের পাশে থাকার জন্য যেকোনো মূল্য চুকাতে তিনি প্রস্তুত। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা বা শুল্ক কমানোর প্রসঙ্গ আনেননি।
মোদি এক জনসভায় বলেন, ‘ভারত কখনোই তার কৃষক, পশুপালক ও জেলেদের স্বার্থে আপস করবে না। আমি ভালোভাবেই জানি, এর জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক বড় মূল্য দিতে হতে পারে, তবে আমি প্রস্তুত।’
বিজেপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি গ্রাফিক চিত্র প্রকাশ করেছে। যেখানে মোদির পিঠে পাথর, ইট ও শুল্ক ছুরির আঘাত করছে। আর তিনি ঢাল হয়ে লাঙল কাঁধে হেঁটে চলা এক কৃষককে রক্ষা করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন বিহারের নির্বাচনে প্রচারণার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক দ্বন্দ্ব। সাম্প্রতিক এক জরিপে ভোটভাইব সংস্থা জানিয়েছে, কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে মোদির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে হিমশিম খাবে।
তবে ভোটভাইবের প্রতিষ্ঠাতা অমিতাভ তিওয়ারি মনে করেন, ট্রাম্পবিরোধী কোনো জাতীয়তাবাদী প্রচারণা ভোটারদের তেমন প্রভাবিত করবে না, কারণ, বিহারের নির্বাচন ‘অত্যন্ত স্থানীয় ইস্যু’-নির্ভর। বেকারত্ব ছাড়া কোনো সর্বজনীন ইস্যু এখানে নেই।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে মোদি আগামী সপ্তাহগুলোতে চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শুল্ক ইস্যু নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গেও মোদি টেলিফোনে কথা বলেছেন। ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এই দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। রাশিয়া, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাও ব্রিকসের অন্য প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
মোদি এখনো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারপ্রধান। ডেটা ইন্টেলিজেন্স সংস্থা মর্নিং কনসাল্টের তথ্যমতে, তাঁর জনপ্রিয়তা ৭৫ শতাংশের বেশি। তবে এ বছর মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে আকস্মিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সমর্থকগোষ্ঠী হতবাক হয়েছে।
এই যুদ্ধবিরতি দেশ-বিদেশে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি মোদি সরকার বারবার অস্বীকার করেছে। ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি বাণিজ্য আলোচনার প্রভাবে এই যুদ্ধবিরতি করাতে পেরেছেন। পরে ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছেন এবং পাকিস্তান প্রকাশ্যে তাঁকে সংঘাত শেষ করার কৃতিত্ব দিয়েছে। বিষয়টি ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও জটিল করেছে।
এদিকে দেশের ভেতরে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দাবি করেছে, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ‘ভোটার তালিকায় ভুয়া নাম যুক্ত করে ভোট কারচুপি ও চুরি’ করেছে। তাদের হাতে এসবের প্রমাণ রয়েছে।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দলের মাধ্যমে এ দেশে একটি বিরাট অপরাধমূলক প্রতারণা চলছে।
বিজেপি এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, কংগ্রেসের বারবার নির্বাচনে পরাজয়ের হতাশা থেকে এমন দাবি করা হচ্ছে। বিজেপি এক্সে লিখেছে, রাহুল গান্ধী যখন প্রতারণা করে ক্ষমতায় যেতে পারেন না, তখনই তিনি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন।
নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীকে ‘অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ও ভারতীয় নাগরিকদের বিভ্রান্ত করা’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
আগামী মাসে ৭৫তম জন্মদিনের দিকে এগোতে থাকা মোদির বয়সও এখন আলোচনায় এসেছে, কারণ, অনেক বিজেপি নেতাকে এই বয়সসীমার পর পদচ্যুত করা হয়েছিল। তবে বিজেপি জানিয়েছে, দলের নেতাদের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক অবসরের বয়স নেই।
সব মিলিয়ে বিশ্লেষকদের মতে, মোদির সামনে এখন কঠিন দায়িত্ব। নয়াদিল্লিভিত্তিক থিংকট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভিজিটিং ফেলো রশিদ কিদওয়াই বলেন, মোদির ব্র্যান্ড ভ্যালু খুব দ্রুত কমছে, তাঁকে নতুনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। বিশেষ করে, যদি বিহার নির্বাচনে তিনি হেরে যান, তবে তাঁর জনপ্রিয়তার জৌলুশ ম্লান হয়ে যাবে। কারণ, ভারতে সবকিছুই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ১১ বছরের শাসনকালের অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। চিরশত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে বিতর্কিত যুদ্ধবিরতি, বয়স নিয়ে নতুন করে সমালোচনা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বহুল প্রচারিত সৌহার্দ্য থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক শীতলতা—সব মিলিয়ে তাঁর নেতৃত্বের জন্য বিরাট পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই চ্যালেঞ্জগুলোর পাশাপাশি মোদিকে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগেরও জবাব দিতে হচ্ছে। এসব কিছুই জটিল আকার ধারণ করেছে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য বিহারে কঠিন নির্বাচনী লড়াইয়ের ঠিক আগে।
আসন্ন বিহার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা একজন নেতার ভাবমূর্তিতে বড় ধরনের আঘাত হানবে।
এই সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। এর ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর সংকটে পড়েছে। অথচ মাত্র ছয় মাস আগেও ট্রাম্প ও মোদি পরস্পরকে আলিঙ্গন করে নিজেদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করছিলেন।
নয়াদিল্লিভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরাতি জেরাথ বলছেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অনেকটাই ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত বোঝাপড়ার ওপর নির্ভর করছিল। তাই এখন যখন সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে, মোদির কাছে কোনো কূটনৈতিক ‘বাফার’ নেই। এমন এক শক্তিশালী নেতা হয়েও তিনি তাঁর প্রচারিত দৃঢ়তা ও সাহসিকতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন—এ নিয়ে হতাশা রয়েছে।
তবে মোদি পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, দেশের কৃষকদের পাশে থাকার জন্য যেকোনো মূল্য চুকাতে তিনি প্রস্তুত। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা বা শুল্ক কমানোর প্রসঙ্গ আনেননি।
মোদি এক জনসভায় বলেন, ‘ভারত কখনোই তার কৃষক, পশুপালক ও জেলেদের স্বার্থে আপস করবে না। আমি ভালোভাবেই জানি, এর জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক বড় মূল্য দিতে হতে পারে, তবে আমি প্রস্তুত।’
বিজেপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি গ্রাফিক চিত্র প্রকাশ করেছে। যেখানে মোদির পিঠে পাথর, ইট ও শুল্ক ছুরির আঘাত করছে। আর তিনি ঢাল হয়ে লাঙল কাঁধে হেঁটে চলা এক কৃষককে রক্ষা করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন বিহারের নির্বাচনে প্রচারণার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক দ্বন্দ্ব। সাম্প্রতিক এক জরিপে ভোটভাইব সংস্থা জানিয়েছে, কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে মোদির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে হিমশিম খাবে।
তবে ভোটভাইবের প্রতিষ্ঠাতা অমিতাভ তিওয়ারি মনে করেন, ট্রাম্পবিরোধী কোনো জাতীয়তাবাদী প্রচারণা ভোটারদের তেমন প্রভাবিত করবে না, কারণ, বিহারের নির্বাচন ‘অত্যন্ত স্থানীয় ইস্যু’-নির্ভর। বেকারত্ব ছাড়া কোনো সর্বজনীন ইস্যু এখানে নেই।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে মোদি আগামী সপ্তাহগুলোতে চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শুল্ক ইস্যু নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গেও মোদি টেলিফোনে কথা বলেছেন। ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এই দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। রাশিয়া, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাও ব্রিকসের অন্য প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
মোদি এখনো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারপ্রধান। ডেটা ইন্টেলিজেন্স সংস্থা মর্নিং কনসাল্টের তথ্যমতে, তাঁর জনপ্রিয়তা ৭৫ শতাংশের বেশি। তবে এ বছর মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে আকস্মিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সমর্থকগোষ্ঠী হতবাক হয়েছে।
এই যুদ্ধবিরতি দেশ-বিদেশে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি মোদি সরকার বারবার অস্বীকার করেছে। ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি বাণিজ্য আলোচনার প্রভাবে এই যুদ্ধবিরতি করাতে পেরেছেন। পরে ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছেন এবং পাকিস্তান প্রকাশ্যে তাঁকে সংঘাত শেষ করার কৃতিত্ব দিয়েছে। বিষয়টি ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও জটিল করেছে।
এদিকে দেশের ভেতরে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দাবি করেছে, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ‘ভোটার তালিকায় ভুয়া নাম যুক্ত করে ভোট কারচুপি ও চুরি’ করেছে। তাদের হাতে এসবের প্রমাণ রয়েছে।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দলের মাধ্যমে এ দেশে একটি বিরাট অপরাধমূলক প্রতারণা চলছে।
বিজেপি এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, কংগ্রেসের বারবার নির্বাচনে পরাজয়ের হতাশা থেকে এমন দাবি করা হচ্ছে। বিজেপি এক্সে লিখেছে, রাহুল গান্ধী যখন প্রতারণা করে ক্ষমতায় যেতে পারেন না, তখনই তিনি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন।
নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীকে ‘অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ও ভারতীয় নাগরিকদের বিভ্রান্ত করা’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
আগামী মাসে ৭৫তম জন্মদিনের দিকে এগোতে থাকা মোদির বয়সও এখন আলোচনায় এসেছে, কারণ, অনেক বিজেপি নেতাকে এই বয়সসীমার পর পদচ্যুত করা হয়েছিল। তবে বিজেপি জানিয়েছে, দলের নেতাদের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক অবসরের বয়স নেই।
সব মিলিয়ে বিশ্লেষকদের মতে, মোদির সামনে এখন কঠিন দায়িত্ব। নয়াদিল্লিভিত্তিক থিংকট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভিজিটিং ফেলো রশিদ কিদওয়াই বলেন, মোদির ব্র্যান্ড ভ্যালু খুব দ্রুত কমছে, তাঁকে নতুনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। বিশেষ করে, যদি বিহার নির্বাচনে তিনি হেরে যান, তবে তাঁর জনপ্রিয়তার জৌলুশ ম্লান হয়ে যাবে। কারণ, ভারতে সবকিছুই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত।
১ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭ তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম...
১ ঘণ্টা আগে
বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত। এমনকি যুদ্ধ কার সঙ্গে কোথায় হয়েছে সেই বিষয়েও কোনো উল্লেখ নেই।
আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমি আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করার সময় তাদের বীরত্ব, নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প দিয়ে বিশ্বজুড়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।’
কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, ‘তাদের অদম্য সাহস, সংগ্রাম এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ সর্বদা প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’
এর আগে, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।
নরেন্দ্র মোদি ইংরেজিতে দেওয়া টুইটের বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি, যাঁদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’
অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মোদি একই ধরনের কাজ করেছেন। ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় বলে দাবি করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈনিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রেখেছিলেন। তাঁদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করেছে এবং আমাদের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দিনটি তাঁদের অসামান্য বীরত্ব এবং অবিচল আত্মার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে অমর হয়ে থাকবে।’
ঐতিহাসিক দলিল বলে, ভারত ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণের দলিলেও পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। অথচ এর আগের প্রায় ৯ মাস পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা।
বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের কমান্ডারও ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা, যাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এ ছাড়া পুরো মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। যেখানে কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা খুবই নগণ্য।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত। এমনকি যুদ্ধ কার সঙ্গে কোথায় হয়েছে সেই বিষয়েও কোনো উল্লেখ নেই।
আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমি আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করার সময় তাদের বীরত্ব, নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প দিয়ে বিশ্বজুড়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।’
কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, ‘তাদের অদম্য সাহস, সংগ্রাম এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ সর্বদা প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’
এর আগে, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।
নরেন্দ্র মোদি ইংরেজিতে দেওয়া টুইটের বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি, যাঁদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’
অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মোদি একই ধরনের কাজ করেছেন। ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় বলে দাবি করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈনিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রেখেছিলেন। তাঁদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করেছে এবং আমাদের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দিনটি তাঁদের অসামান্য বীরত্ব এবং অবিচল আত্মার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে অমর হয়ে থাকবে।’
ঐতিহাসিক দলিল বলে, ভারত ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণের দলিলেও পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। অথচ এর আগের প্রায় ৯ মাস পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা।
বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের কমান্ডারও ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা, যাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এ ছাড়া পুরো মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। যেখানে কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা খুবই নগণ্য।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ১১ বছরের শাসনকালের অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। চিরশত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে বিতর্কিত যুদ্ধবিরতি, বয়স নিয়ে নতুন করে সমালোচনা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বহুল প্রচারিত সৌহার্দ্য থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক শীতলতা—সব মিলিয়ে তাঁর
০৮ আগস্ট ২০২৫
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭ তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম...
১ ঘণ্টা আগে
বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ‘শান্তির জন্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক উন্মুক্ত বিতর্কে জম্মু–কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানের বক্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখকে ভারতের ‘অবিচ্ছেদ্য এবং অনস্বীকার্য অংশ’ বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে নয়াদিল্লি।
জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত হরিশ পর্বতানেনি বলেন, ‘এগুলো অতীতে ভারতের ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’ বিতর্কে পাকিস্তানের প্রতিনিধি যে বক্তব্য দেন, তার প্রেক্ষিতে পর্বতানেনি ভারতের এবং ভারতের জনগণের ক্ষতি করার বিষয়ে ইসলামাবাদের ‘মোহাবিষ্ট মানসিকতা’র কঠোর সমালোচনা করেন।
সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দু’ হিসেবে অভিহিত করেন। পর্বতানেনির ভাষায়, ‘ভারত ৬৫ বছর আগে সদিচ্ছা এবং বন্ধুত্বের মনোভাব নিয়ে সিন্ধু নদ পানিবণ্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। গত সাড়ে ৬ দশকে পাকিস্তান ভারতের ওপর তিনটি যুদ্ধ এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এই চুক্তির মর্যাদা লঙ্ঘন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, গত চার দশকে পাকিস্তানে মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলায় হাজার হাজার ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি চলতি বছরের এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত হামলার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে এক বিদেশি নাগরিকসহ ২৬ বেসামরিক মানুষ নিহত হন।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এই প্রেক্ষাপটেই ভারত ঘোষণা করেছে যে, যতক্ষণ না পাকিস্তান—যা সন্ত্রাসবাদের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দু—বিশ্বাসযোগ্য এবং স্থায়ীভাবে আন্তসীমান্ত ও সব ধরনের সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করছে, ততক্ষণ এই চুক্তি স্থগিত থাকবে।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭ তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরকে আজীবন দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়গুলোকে ‘সাংবিধানিক ক্যু’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানানোর জন্য পাকিস্তানের এক অনন্য উপায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জেল খাটানো, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ২৭ তম সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবিধানিক ক্যু ঘটাতে দেওয়া ও সেনাপ্রধানকে আজীবন দায়মুক্তি প্রদান করা।’
এর পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—ভারত তার সমস্ত শক্তি দিয়ে পাকিস্তান-স্পনসরকৃত সন্ত্রাসবাদের প্রতিটি রূপ ও প্রকাশকে মোকাবিলা করবে।’
পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সমালোচনা করে জম্মু–কাশ্মীরকে ‘অমীমাংসিত বিরোধ’ হিসেবে উল্লেখ করলে তার জবাবেই ভারতের এই বক্তব্য আসে।
আসিম আহমেদ বলেন, ‘পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়, কিন্তু শান্তি কোনো একতরফা প্রচেষ্টা হতে পারে না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘জম্মু–কাশ্মীর নিরাপত্তা পরিষদের এজেন্ডায় থাকা অন্যতম প্রাচীন অমীমাংসিত বিরোধ। এর জন্য জাতিসংঘের সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি ন্যায়সংগত নিষ্পত্তি প্রয়োজন—যা ভারত ক্রমাগত লঙ্ঘন ও অস্বীকার করে চলেছে।’

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ‘শান্তির জন্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক উন্মুক্ত বিতর্কে জম্মু–কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানের বক্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখকে ভারতের ‘অবিচ্ছেদ্য এবং অনস্বীকার্য অংশ’ বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে নয়াদিল্লি।
জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত হরিশ পর্বতানেনি বলেন, ‘এগুলো অতীতে ভারতের ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’ বিতর্কে পাকিস্তানের প্রতিনিধি যে বক্তব্য দেন, তার প্রেক্ষিতে পর্বতানেনি ভারতের এবং ভারতের জনগণের ক্ষতি করার বিষয়ে ইসলামাবাদের ‘মোহাবিষ্ট মানসিকতা’র কঠোর সমালোচনা করেন।
সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দু’ হিসেবে অভিহিত করেন। পর্বতানেনির ভাষায়, ‘ভারত ৬৫ বছর আগে সদিচ্ছা এবং বন্ধুত্বের মনোভাব নিয়ে সিন্ধু নদ পানিবণ্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। গত সাড়ে ৬ দশকে পাকিস্তান ভারতের ওপর তিনটি যুদ্ধ এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এই চুক্তির মর্যাদা লঙ্ঘন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, গত চার দশকে পাকিস্তানে মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলায় হাজার হাজার ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি চলতি বছরের এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত হামলার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে এক বিদেশি নাগরিকসহ ২৬ বেসামরিক মানুষ নিহত হন।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এই প্রেক্ষাপটেই ভারত ঘোষণা করেছে যে, যতক্ষণ না পাকিস্তান—যা সন্ত্রাসবাদের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দু—বিশ্বাসযোগ্য এবং স্থায়ীভাবে আন্তসীমান্ত ও সব ধরনের সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করছে, ততক্ষণ এই চুক্তি স্থগিত থাকবে।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭ তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরকে আজীবন দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়গুলোকে ‘সাংবিধানিক ক্যু’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানানোর জন্য পাকিস্তানের এক অনন্য উপায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জেল খাটানো, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ২৭ তম সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবিধানিক ক্যু ঘটাতে দেওয়া ও সেনাপ্রধানকে আজীবন দায়মুক্তি প্রদান করা।’
এর পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—ভারত তার সমস্ত শক্তি দিয়ে পাকিস্তান-স্পনসরকৃত সন্ত্রাসবাদের প্রতিটি রূপ ও প্রকাশকে মোকাবিলা করবে।’
পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সমালোচনা করে জম্মু–কাশ্মীরকে ‘অমীমাংসিত বিরোধ’ হিসেবে উল্লেখ করলে তার জবাবেই ভারতের এই বক্তব্য আসে।
আসিম আহমেদ বলেন, ‘পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়, কিন্তু শান্তি কোনো একতরফা প্রচেষ্টা হতে পারে না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘জম্মু–কাশ্মীর নিরাপত্তা পরিষদের এজেন্ডায় থাকা অন্যতম প্রাচীন অমীমাংসিত বিরোধ। এর জন্য জাতিসংঘের সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি ন্যায়সংগত নিষ্পত্তি প্রয়োজন—যা ভারত ক্রমাগত লঙ্ঘন ও অস্বীকার করে চলেছে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ১১ বছরের শাসনকালের অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। চিরশত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে বিতর্কিত যুদ্ধবিরতি, বয়স নিয়ে নতুন করে সমালোচনা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বহুল প্রচারিত সৌহার্দ্য থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক শীতলতা—সব মিলিয়ে তাঁর
০৮ আগস্ট ২০২৫
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত।
১ ঘণ্টা আগে
বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
ইমিগ্রেশন ব্যুরোর মুখপাত্র ডানা স্যান্ডোভাল জানান, সাজিদ আকরাম ভারতে ইস্যু করা একটি পাসপোর্ট ব্যবহার করে ফিলিপাইনে যান, অন্যদিকে তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম একটি অস্ট্রেলীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন।
স্যান্ডোভাল আরও বলেন, তাঁরা ফিলিপাইনে তাঁদের চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে দক্ষিণের শহর ডাভাওকে ঘোষণা করেছিলেন এবং তাঁদের অস্ট্রেলিয়া ফেরার ফ্লাইটটি সিডনির জন্য নির্ধারিত ছিল।
ডাভাও হলো ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ মিন্দানাও-এর পূর্বে অবস্থিত একটি বিস্তৃত মহানগরী। উল্লেখ্য, মিন্দানাও-এর কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ-পশ্চিমের দরিদ্র এলাকাগুলোতে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতার খবর পাওয়া যায়।
এদিকে, ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি সে দেশে থাকাকালীন ‘সামরিক ধাঁচের প্রশিক্ষণ’ নিয়েছিলেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তাঁরা এখনো তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:

বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
ইমিগ্রেশন ব্যুরোর মুখপাত্র ডানা স্যান্ডোভাল জানান, সাজিদ আকরাম ভারতে ইস্যু করা একটি পাসপোর্ট ব্যবহার করে ফিলিপাইনে যান, অন্যদিকে তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম একটি অস্ট্রেলীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন।
স্যান্ডোভাল আরও বলেন, তাঁরা ফিলিপাইনে তাঁদের চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে দক্ষিণের শহর ডাভাওকে ঘোষণা করেছিলেন এবং তাঁদের অস্ট্রেলিয়া ফেরার ফ্লাইটটি সিডনির জন্য নির্ধারিত ছিল।
ডাভাও হলো ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ মিন্দানাও-এর পূর্বে অবস্থিত একটি বিস্তৃত মহানগরী। উল্লেখ্য, মিন্দানাও-এর কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ-পশ্চিমের দরিদ্র এলাকাগুলোতে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতার খবর পাওয়া যায়।
এদিকে, ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি সে দেশে থাকাকালীন ‘সামরিক ধাঁচের প্রশিক্ষণ’ নিয়েছিলেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তাঁরা এখনো তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ১১ বছরের শাসনকালের অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। চিরশত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে বিতর্কিত যুদ্ধবিরতি, বয়স নিয়ে নতুন করে সমালোচনা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বহুল প্রচারিত সৌহার্দ্য থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক শীতলতা—সব মিলিয়ে তাঁর
০৮ আগস্ট ২০২৫
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত।
১ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭ তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম...
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা মামলায় ট্রাম্প বলেছেন, বিবিসি তাঁর মানহানি করেছে এবং বাণিজ্যিক আইন ভেঙেছে। তাঁর আইনজীবীদের দাবি, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে ও বিদ্বেষপূর্ণভাবে ট্রাম্পের ভাষণ বিকৃত করেছে।
গত মাসে এই বিষয়ে বিবিসি ট্রাম্পের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। তারা স্বীকার করে যে ভিডিও সম্পাদনার কারণে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে, যেন ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার ডাক দিয়েছিলেন। তবে বিবিসি মানহানির অভিযোগ মানতে রাজি হয়নি এবং ক্ষতিপূরণও দিতে অস্বীকার করেছে।
ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের আগে যুক্তরাজ্যে প্রচারিত এই তথ্যচিত্রের জন্য তিনি বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করবেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিবিসি তাঁর মুখের কথাই পাল্টে দিয়েছে।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার আগে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা ক্যাপিটলে যাবেন এবং সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের সমর্থন জানাবেন। প্রায় ৫০ মিনিট পর তিনি বলেন, ‘আমরা লড়াই করি। আমরা চরমভাবে লড়াই করি।’
কিন্তু প্যানোরমা অনুষ্ঠানে এই দুই বক্তব্য একসঙ্গে জুড়ে দেখানো হয়। এতে মনে হয়েছে, ট্রাম্প একই সঙ্গে ক্যাপিটলে যাওয়া এবং লড়াইয়ের কথা বলছেন। নভেম্বরে বিবিসির এক অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁস হয়। সেখানে এই সম্পাদনার কড়া সমালোচনা করা হয়। এরপর বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং সংবাদ বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেন।
মামলা হওয়ার আগে বিবিসির আইনজীবীরা ট্রাম্পের অভিযোগের জবাব দেন। তাঁরা বলেন, এই সম্পাদনার পেছনে কোনো বিদ্বেষ ছিল না। তাঁরা আরও দাবি করেন, তথ্যচিত্র প্রচারের পরই ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিবিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্যানোরমা অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রচার করার অধিকার তাদের ছিল না এবং তারা সেটি করেনি। তথ্যচিত্রটি বিবিসি আইপ্লেয়ারে থাকলেও তা শুধু যুক্তরাজ্যের দর্শকদের জন্য সীমিত ছিল। তবে ট্রাম্পের মামলায় বলা হয়েছে, বিবিসি তৃতীয় পক্ষের কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল, যাদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বাইরে তথ্যচিত্রটি দেখানো হতে পারে। এ নিয়ে বিবিসি বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কেউই মন্তব্য করেনি।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করে বা ব্রিটবক্স নামের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তথ্যচিত্রটি দেখতে পেরেছেন। ট্রাম্পের দাবি, তথ্যচিত্রটি প্রচারের পর ফ্লোরিডায় ভিপিএন ব্যবহারের হার বেড়ে যায়। এতে বোঝা যায়, অনেক মানুষ তথ্যচিত্রটি দেখার সুযোগ পেয়েছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা মামলায় ট্রাম্প বলেছেন, বিবিসি তাঁর মানহানি করেছে এবং বাণিজ্যিক আইন ভেঙেছে। তাঁর আইনজীবীদের দাবি, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে ও বিদ্বেষপূর্ণভাবে ট্রাম্পের ভাষণ বিকৃত করেছে।
গত মাসে এই বিষয়ে বিবিসি ট্রাম্পের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। তারা স্বীকার করে যে ভিডিও সম্পাদনার কারণে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে, যেন ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার ডাক দিয়েছিলেন। তবে বিবিসি মানহানির অভিযোগ মানতে রাজি হয়নি এবং ক্ষতিপূরণও দিতে অস্বীকার করেছে।
ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের আগে যুক্তরাজ্যে প্রচারিত এই তথ্যচিত্রের জন্য তিনি বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করবেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিবিসি তাঁর মুখের কথাই পাল্টে দিয়েছে।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার আগে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা ক্যাপিটলে যাবেন এবং সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের সমর্থন জানাবেন। প্রায় ৫০ মিনিট পর তিনি বলেন, ‘আমরা লড়াই করি। আমরা চরমভাবে লড়াই করি।’
কিন্তু প্যানোরমা অনুষ্ঠানে এই দুই বক্তব্য একসঙ্গে জুড়ে দেখানো হয়। এতে মনে হয়েছে, ট্রাম্প একই সঙ্গে ক্যাপিটলে যাওয়া এবং লড়াইয়ের কথা বলছেন। নভেম্বরে বিবিসির এক অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁস হয়। সেখানে এই সম্পাদনার কড়া সমালোচনা করা হয়। এরপর বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং সংবাদ বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেন।
মামলা হওয়ার আগে বিবিসির আইনজীবীরা ট্রাম্পের অভিযোগের জবাব দেন। তাঁরা বলেন, এই সম্পাদনার পেছনে কোনো বিদ্বেষ ছিল না। তাঁরা আরও দাবি করেন, তথ্যচিত্র প্রচারের পরই ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিবিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্যানোরমা অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রচার করার অধিকার তাদের ছিল না এবং তারা সেটি করেনি। তথ্যচিত্রটি বিবিসি আইপ্লেয়ারে থাকলেও তা শুধু যুক্তরাজ্যের দর্শকদের জন্য সীমিত ছিল। তবে ট্রাম্পের মামলায় বলা হয়েছে, বিবিসি তৃতীয় পক্ষের কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল, যাদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বাইরে তথ্যচিত্রটি দেখানো হতে পারে। এ নিয়ে বিবিসি বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কেউই মন্তব্য করেনি।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করে বা ব্রিটবক্স নামের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তথ্যচিত্রটি দেখতে পেরেছেন। ট্রাম্পের দাবি, তথ্যচিত্রটি প্রচারের পর ফ্লোরিডায় ভিপিএন ব্যবহারের হার বেড়ে যায়। এতে বোঝা যায়, অনেক মানুষ তথ্যচিত্রটি দেখার সুযোগ পেয়েছিল।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ১১ বছরের শাসনকালের অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। চিরশত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে বিতর্কিত যুদ্ধবিরতি, বয়স নিয়ে নতুন করে সমালোচনা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বহুল প্রচারিত সৌহার্দ্য থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক শীতলতা—সব মিলিয়ে তাঁর
০৮ আগস্ট ২০২৫
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত।
১ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭ তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম...
১ ঘণ্টা আগে
বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
১ ঘণ্টা আগে