জাহাঙ্গীর আলম

এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি। যেমন বঙ্গদেশে ‘মাগি’ শব্দ নিয়ে একটা জটিলতা আছে। তেমনি ভুটানে মেয়েদের অতি সাধারণ নামটি শুনলে বাংলাভাষীদের লজ্জায় কান লাল হয়ে যাবে! এমন নাম নিয়েই বিপাকে পড়তে হয় আসামের এক জনগোষ্ঠীর মানুষদের।
২০০৪ সালে উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও নানামুখী চাপের মুখে পরবর্তীতে কঠোর কমিউনিটি গাইডলাইন করতে বাধ্য হয় ফেসবুক। তবে এ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি! এই গাইডলাইনের আলোকে নানা সময় ফেসবুকের পদক্ষেপ কখনো ক্রোধ, ক্ষোভ আবার কখনো হাস্যরসের জন্ম দিয়ে চলেছে। ২০১২ সালের দিকে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। এতে ভারতের আসাম রাজ্যের একটি জনগোষ্ঠী বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। কারণ, নামের পদবির কারণে কমিউনিটি গাইডলাইনের দোহাই দিয়ে ফেসবুক তাঁদের অ্যাকাউন্ট বারবার বাতিল করছিল।
এমনকি ২০২০ সালে খোদ ভারতে ওই জনগোষ্ঠীর এক উচ্চশিক্ষিত নারী চাকরির আবেদন করতে গিয়ে নামের পদবির কারণে বিপাকে পড়েন। এ নিয়ে তখন ভারতজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। কারণ, ভারতেরই একটি জনগোষ্ঠী সম্পর্কে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এমন অজ্ঞ থাকতে পারে, সেটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় বলে মনে করেছেন সাধারণ নাগরিকরেরা।
কী সেই পদবি, যার জন্য আসামের ওই জনগোষ্ঠীকে বারবার এমন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে? তাঁরা হলেন ‘চুতিয়া’। মূর্খ, নির্বোধ, বলদ...ইত্যাদি গালির বিকল্প হিসেবে ভারতে চুতিয়া শব্দটি ব্যাপক জনপ্রিয়।
মজার ব্যাপার হলো এই জনগোষ্ঠী এখন এসে এতটা অবহেলিত হলেও প্রায় পাঁচ শ বছর তাদের একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। অথচ ভারতে হিন্দিভাষীদের কাছে এটি এখন একটা গালি। এমনকি ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেম এটিকে আপত্তিকর শব্দ হিসেবে চিহ্নিত করে।
চুতিয়া সম্প্রদায়ের অবস্থান
১৫১২-১৫২৪ সালের দিকে চুতিয়া এবং আসামিদের দ্বন্দ্ব শুরুর আগে তাদের একটি সমৃদ্ধ রাজ্য ছিল। ১৪ শতকের শুরু থেকে ১৫ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত চুতিয়া রাজাদের রাজত্ব ছিল। ১৪ শতক থেকে ১৫ শতকের শেষ পর্যন্ত তাঁদের প্রায় ১০ জন রাজার নাম জানা যায়। তাঁরা হলেন—নন্দীশ্বর, সত্যনারায়ণ, লক্ষ্মীনারায়ণ, ধর্মনারায়ণ, দুর্লভ নারায়ণ, মুক্তধর্ম নারায়ণ, প্রত্যক্ষণ নারায়ণ, যশ নারায়ণ, পুরন্দর নারায়ণ ও ধীর নারায়ণ।
প্রায় ৫০০ বছরের স্বাধীন চুতিয়া রাজ্যের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে আশপাশের নানা জনজাতির সঙ্গে বহু যুদ্ধে জয়লাভ করতে হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চুতিয়া রাজ্যের বিস্তার ছিল বর্তমান আসামের লক্ষীমপুর, ধেমাজি, তিনসুকিয়া ও ডিব্রুগড় জেলায়।
তাঁদের বীরাঙ্গনার নাম সতী সাধনী। বহুদিন ধরেই চুতিয়া জাতি ডিব্রুগড়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত ভারতের সর্ববৃহৎ দোতলা সেতুর (বগীবিল সেতু) নামকরণ সতী সাধনী সেতু করার দাবি করে আসছেন।
চুতিয়া রাজবংশের পতনের পর এই জনগোষ্ঠী বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন বনাঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করতে থাকে। সাংস্কৃতিক নানা দিক এবং জীবনাচারণের ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে এখন অভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বর্তমানে তাঁদের মধ্যে প্রধান চারটি ভাগ দেখা যায়—হিন্দু চুতিয়া, অহম চুতিয়া, বোরাহি চুতিয়া ও মিরি চুতিয়া।
অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের মতো চুতিয়াদেরও আলাদা ঐতিহ্যবাহী পোশাক রয়েছে। চুতিয়া ছেলেদের ঐতিহ্যবাহী পরিধেয় চুতিয়া পাগুরি, চুরিয়া বা চুরুলসা, গামুসা ও বিশুবান, তাঙ্গালি এবং ছেলেংশা বা ছেলেঙ্গ চাদর।
চুতিয়া মেয়েদের পোশাক অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ ও রঙিন। উৎসবে ঝলমলে পোশাক আর দৈনন্দিন জীবনে তাঁরা পরেন সাদামাটা পোশাক। চুতিয়া মেয়েরা মূলত মেখেলা বা ইগু, রিহা বা রিশা, গাথিগি, দুকোতিয়া, চাদর ও কোকালমোরা, হাসোতি ও দাবুয়া কাতারি এবং হারুদাই জাপি পরে থাকেন।
বর্তমানে চুতিয়ারা বাস করেন মধ্য আসাম ও অরুণাচলের কাছাকাছি উত্তর আসামে। ডিব্রুগড়, শোণিতপুর, জোড়হাট, সাদিয়া ও তিনশুকিয়াতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ চুতিয়ার বাস।
চুতিয়া জনজাতির ইতিহাস
আসামের ‘অসমিয়া ক্রনিকল’-এ চুতিয়া জাতির ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে। সেখানকার তথ্য অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের নাম চুতিয়া রাজা অসম্ভিনার নামে রাখা হয়েছিল। তিনি সপ্তম শতকের গোড়ার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বাস করতেন। সেই সময়ে চুতিয়া রাজবংশের লোকেরা বর্তমান ভারতের আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে সাম্রাজ্য গঠন করেছিল। ১১৮৭ থেকে ১৬৭৩ সাল পর্যন্ত সেখানে রাজত্ব করেছিল।
এই সম্প্রদায়ের লোকদের দেহের গঠন পূর্ব এশীয় এবং ইন্দো-আরিয়ানের মিশ্র রূপ। আসামে বসবাসকারী এই গোষ্ঠী দক্ষিণ চীন (বর্তমান তিব্বত ও সিচুয়ান) থেকে আসা প্রথম জনগোষ্ঠী বলে ধারণা করা হয়।
চুতিয়াদের রাজত্ব ছিল লক্ষীমপুর ও সুবানসিরী নদীর পেছনের দিকের অংশে। তাঁরা ব্রহ্মপুত্রের উত্তর প্রান্ত থেকে সমগ্র জাতিকে শাসন করতেন। এর আগে তাঁরা তিব্বতি-বর্মণ উৎসের একটি ভাষায় কথা বলতেন। তবে ধীরে ধীরে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের সঙ্গে অসমিয়া ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন।
ভারত সরকারের নথিতে চুতিয়া
চুতিয়া সম্প্রদায়কে সরকার ওবিসি বা অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণিতে রাখে। মূলত অসমিয়া ভাষা বলার লোক হিসেবে তাঁরা বিবেচিত হন।
গবেষণায় চুতিয়া
বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা, ডব্লিউবি ব্রাউন এবং পবনচন্দ্র সাইকিয়া তাঁদের বইয়ে লিখেছেন চু-তি-য়া মূলত ‘দেওরি চুতিয়া’ শব্দবন্ধটি থেকে এসেছে। এর অর্থ খাঁটি জলের কাছাকাছি বাস করা মানুষ। এখানে ‘চু’ অর্থ খাঁটি, শুদ্ধ বা ভালো। ‘তি’ অর্থ পানি এবং ‘য়া’-এর অর্থ ওই ভূমিতে বাস করা লোক।
আরএম নাথ ‘ব্যাকগ্রাউন্ড অব আসামিজ কালচার’ বইয়ের পটভূমিতে দাবি করেছেন, এখানকার ভাষায় পর্বতশৃঙ্গ (যাকে এখানে চুত বলা হয়) থেকে চুতিয়া শব্দের উত্পত্তি। উচ্চ আসামের সমভূমিতে আসার আগে এই লোকেরা পাহাড়ে বাস করতেন। এই সম্প্রদায়ের অনেকগুলো লোকসংগীত রয়েছে, যার মাধ্যমে তাঁরা বলেন যে, তাঁরা ভূমিক্কা এবং সুবাহু চুতনের বংশধর।
চুতিয়াদের ধর্ম
চুতিয়ারা এক আদি পুরুষ দেবতা এবং এক দেবীর উপাসনা করেন। দেবতার নাম কুন্ডিমামা, বালিয়া বাবা অথবা পিশা ডেমা নামেও ডাকেন তাঁরা। কাছারিদের কাছে আবার এই দেবতা বাথাউ বা বাথাউ ব্রাই। আর দেবীকে ডাকা হয় কেচাইখাতি বা পিশাচী-সাই নামে। এ ছাড়া অন্যান্য বড়ো-কাছারি গোষ্ঠীর মধ্যে উপজাতীয় দেবী খেসাই খাইতির উপাসনা দেখা যায়।
অবশ্য চুতিয়াদের অনেকে কালীর বিভিন্ন অবতারের পূজা করেন। আজকাল এই সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ লোকই একসারনা ধর্মের অনুসারী, যা ১৫ শতাব্দীতে আসামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে চুতিয়া সম্প্রদায়ের প্রচুর লোক হিন্দু ধর্মও অনুসরণ করে। এরা অনেক ছোট ছোট সম্প্রদায়েও বিভক্ত।

এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি। যেমন বঙ্গদেশে ‘মাগি’ শব্দ নিয়ে একটা জটিলতা আছে। তেমনি ভুটানে মেয়েদের অতি সাধারণ নামটি শুনলে বাংলাভাষীদের লজ্জায় কান লাল হয়ে যাবে! এমন নাম নিয়েই বিপাকে পড়তে হয় আসামের এক জনগোষ্ঠীর মানুষদের।
২০০৪ সালে উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও নানামুখী চাপের মুখে পরবর্তীতে কঠোর কমিউনিটি গাইডলাইন করতে বাধ্য হয় ফেসবুক। তবে এ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি! এই গাইডলাইনের আলোকে নানা সময় ফেসবুকের পদক্ষেপ কখনো ক্রোধ, ক্ষোভ আবার কখনো হাস্যরসের জন্ম দিয়ে চলেছে। ২০১২ সালের দিকে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। এতে ভারতের আসাম রাজ্যের একটি জনগোষ্ঠী বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। কারণ, নামের পদবির কারণে কমিউনিটি গাইডলাইনের দোহাই দিয়ে ফেসবুক তাঁদের অ্যাকাউন্ট বারবার বাতিল করছিল।
এমনকি ২০২০ সালে খোদ ভারতে ওই জনগোষ্ঠীর এক উচ্চশিক্ষিত নারী চাকরির আবেদন করতে গিয়ে নামের পদবির কারণে বিপাকে পড়েন। এ নিয়ে তখন ভারতজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। কারণ, ভারতেরই একটি জনগোষ্ঠী সম্পর্কে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এমন অজ্ঞ থাকতে পারে, সেটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় বলে মনে করেছেন সাধারণ নাগরিকরেরা।
কী সেই পদবি, যার জন্য আসামের ওই জনগোষ্ঠীকে বারবার এমন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে? তাঁরা হলেন ‘চুতিয়া’। মূর্খ, নির্বোধ, বলদ...ইত্যাদি গালির বিকল্প হিসেবে ভারতে চুতিয়া শব্দটি ব্যাপক জনপ্রিয়।
মজার ব্যাপার হলো এই জনগোষ্ঠী এখন এসে এতটা অবহেলিত হলেও প্রায় পাঁচ শ বছর তাদের একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। অথচ ভারতে হিন্দিভাষীদের কাছে এটি এখন একটা গালি। এমনকি ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেম এটিকে আপত্তিকর শব্দ হিসেবে চিহ্নিত করে।
চুতিয়া সম্প্রদায়ের অবস্থান
১৫১২-১৫২৪ সালের দিকে চুতিয়া এবং আসামিদের দ্বন্দ্ব শুরুর আগে তাদের একটি সমৃদ্ধ রাজ্য ছিল। ১৪ শতকের শুরু থেকে ১৫ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত চুতিয়া রাজাদের রাজত্ব ছিল। ১৪ শতক থেকে ১৫ শতকের শেষ পর্যন্ত তাঁদের প্রায় ১০ জন রাজার নাম জানা যায়। তাঁরা হলেন—নন্দীশ্বর, সত্যনারায়ণ, লক্ষ্মীনারায়ণ, ধর্মনারায়ণ, দুর্লভ নারায়ণ, মুক্তধর্ম নারায়ণ, প্রত্যক্ষণ নারায়ণ, যশ নারায়ণ, পুরন্দর নারায়ণ ও ধীর নারায়ণ।
প্রায় ৫০০ বছরের স্বাধীন চুতিয়া রাজ্যের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে আশপাশের নানা জনজাতির সঙ্গে বহু যুদ্ধে জয়লাভ করতে হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চুতিয়া রাজ্যের বিস্তার ছিল বর্তমান আসামের লক্ষীমপুর, ধেমাজি, তিনসুকিয়া ও ডিব্রুগড় জেলায়।
তাঁদের বীরাঙ্গনার নাম সতী সাধনী। বহুদিন ধরেই চুতিয়া জাতি ডিব্রুগড়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত ভারতের সর্ববৃহৎ দোতলা সেতুর (বগীবিল সেতু) নামকরণ সতী সাধনী সেতু করার দাবি করে আসছেন।
চুতিয়া রাজবংশের পতনের পর এই জনগোষ্ঠী বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন বনাঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করতে থাকে। সাংস্কৃতিক নানা দিক এবং জীবনাচারণের ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে এখন অভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বর্তমানে তাঁদের মধ্যে প্রধান চারটি ভাগ দেখা যায়—হিন্দু চুতিয়া, অহম চুতিয়া, বোরাহি চুতিয়া ও মিরি চুতিয়া।
অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের মতো চুতিয়াদেরও আলাদা ঐতিহ্যবাহী পোশাক রয়েছে। চুতিয়া ছেলেদের ঐতিহ্যবাহী পরিধেয় চুতিয়া পাগুরি, চুরিয়া বা চুরুলসা, গামুসা ও বিশুবান, তাঙ্গালি এবং ছেলেংশা বা ছেলেঙ্গ চাদর।
চুতিয়া মেয়েদের পোশাক অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ ও রঙিন। উৎসবে ঝলমলে পোশাক আর দৈনন্দিন জীবনে তাঁরা পরেন সাদামাটা পোশাক। চুতিয়া মেয়েরা মূলত মেখেলা বা ইগু, রিহা বা রিশা, গাথিগি, দুকোতিয়া, চাদর ও কোকালমোরা, হাসোতি ও দাবুয়া কাতারি এবং হারুদাই জাপি পরে থাকেন।
বর্তমানে চুতিয়ারা বাস করেন মধ্য আসাম ও অরুণাচলের কাছাকাছি উত্তর আসামে। ডিব্রুগড়, শোণিতপুর, জোড়হাট, সাদিয়া ও তিনশুকিয়াতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ চুতিয়ার বাস।
চুতিয়া জনজাতির ইতিহাস
আসামের ‘অসমিয়া ক্রনিকল’-এ চুতিয়া জাতির ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে। সেখানকার তথ্য অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের নাম চুতিয়া রাজা অসম্ভিনার নামে রাখা হয়েছিল। তিনি সপ্তম শতকের গোড়ার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বাস করতেন। সেই সময়ে চুতিয়া রাজবংশের লোকেরা বর্তমান ভারতের আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে সাম্রাজ্য গঠন করেছিল। ১১৮৭ থেকে ১৬৭৩ সাল পর্যন্ত সেখানে রাজত্ব করেছিল।
এই সম্প্রদায়ের লোকদের দেহের গঠন পূর্ব এশীয় এবং ইন্দো-আরিয়ানের মিশ্র রূপ। আসামে বসবাসকারী এই গোষ্ঠী দক্ষিণ চীন (বর্তমান তিব্বত ও সিচুয়ান) থেকে আসা প্রথম জনগোষ্ঠী বলে ধারণা করা হয়।
চুতিয়াদের রাজত্ব ছিল লক্ষীমপুর ও সুবানসিরী নদীর পেছনের দিকের অংশে। তাঁরা ব্রহ্মপুত্রের উত্তর প্রান্ত থেকে সমগ্র জাতিকে শাসন করতেন। এর আগে তাঁরা তিব্বতি-বর্মণ উৎসের একটি ভাষায় কথা বলতেন। তবে ধীরে ধীরে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের সঙ্গে অসমিয়া ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন।
ভারত সরকারের নথিতে চুতিয়া
চুতিয়া সম্প্রদায়কে সরকার ওবিসি বা অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণিতে রাখে। মূলত অসমিয়া ভাষা বলার লোক হিসেবে তাঁরা বিবেচিত হন।
গবেষণায় চুতিয়া
বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা, ডব্লিউবি ব্রাউন এবং পবনচন্দ্র সাইকিয়া তাঁদের বইয়ে লিখেছেন চু-তি-য়া মূলত ‘দেওরি চুতিয়া’ শব্দবন্ধটি থেকে এসেছে। এর অর্থ খাঁটি জলের কাছাকাছি বাস করা মানুষ। এখানে ‘চু’ অর্থ খাঁটি, শুদ্ধ বা ভালো। ‘তি’ অর্থ পানি এবং ‘য়া’-এর অর্থ ওই ভূমিতে বাস করা লোক।
আরএম নাথ ‘ব্যাকগ্রাউন্ড অব আসামিজ কালচার’ বইয়ের পটভূমিতে দাবি করেছেন, এখানকার ভাষায় পর্বতশৃঙ্গ (যাকে এখানে চুত বলা হয়) থেকে চুতিয়া শব্দের উত্পত্তি। উচ্চ আসামের সমভূমিতে আসার আগে এই লোকেরা পাহাড়ে বাস করতেন। এই সম্প্রদায়ের অনেকগুলো লোকসংগীত রয়েছে, যার মাধ্যমে তাঁরা বলেন যে, তাঁরা ভূমিক্কা এবং সুবাহু চুতনের বংশধর।
চুতিয়াদের ধর্ম
চুতিয়ারা এক আদি পুরুষ দেবতা এবং এক দেবীর উপাসনা করেন। দেবতার নাম কুন্ডিমামা, বালিয়া বাবা অথবা পিশা ডেমা নামেও ডাকেন তাঁরা। কাছারিদের কাছে আবার এই দেবতা বাথাউ বা বাথাউ ব্রাই। আর দেবীকে ডাকা হয় কেচাইখাতি বা পিশাচী-সাই নামে। এ ছাড়া অন্যান্য বড়ো-কাছারি গোষ্ঠীর মধ্যে উপজাতীয় দেবী খেসাই খাইতির উপাসনা দেখা যায়।
অবশ্য চুতিয়াদের অনেকে কালীর বিভিন্ন অবতারের পূজা করেন। আজকাল এই সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ লোকই একসারনা ধর্মের অনুসারী, যা ১৫ শতাব্দীতে আসামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে চুতিয়া সম্প্রদায়ের প্রচুর লোক হিন্দু ধর্মও অনুসরণ করে। এরা অনেক ছোট ছোট সম্প্রদায়েও বিভক্ত।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪৩ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

নাম নিয়েই বিপাকে পড়তে হয় আসামের এক জনগোষ্ঠীর মানুষদের। তাঁরা হলেন ‘চুতিয়া’। মূর্খ, নির্বোধ, বলদ...ইত্যাদি গালির বিকল্প হিসেবে ভারতে চুতিয়া শব্দটি ব্যাপক জনপ্রিয়। যদিও চু-তি-য়া মূলত ‘দেওরি চুতিয়া’ শব্দবন্ধটি থেকে এসেছে। এর অর্থ খাঁটি জলের কাছাকাছি বাস করা মানুষ।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

নাম নিয়েই বিপাকে পড়তে হয় আসামের এক জনগোষ্ঠীর মানুষদের। তাঁরা হলেন ‘চুতিয়া’। মূর্খ, নির্বোধ, বলদ...ইত্যাদি গালির বিকল্প হিসেবে ভারতে চুতিয়া শব্দটি ব্যাপক জনপ্রিয়। যদিও চু-তি-য়া মূলত ‘দেওরি চুতিয়া’ শব্দবন্ধটি থেকে এসেছে। এর অর্থ খাঁটি জলের কাছাকাছি বাস করা মানুষ।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪৩ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

নাম নিয়েই বিপাকে পড়তে হয় আসামের এক জনগোষ্ঠীর মানুষদের। তাঁরা হলেন ‘চুতিয়া’। মূর্খ, নির্বোধ, বলদ...ইত্যাদি গালির বিকল্প হিসেবে ভারতে চুতিয়া শব্দটি ব্যাপক জনপ্রিয়। যদিও চু-তি-য়া মূলত ‘দেওরি চুতিয়া’ শব্দবন্ধটি থেকে এসেছে। এর অর্থ খাঁটি জলের কাছাকাছি বাস করা মানুষ।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪৩ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

নাম নিয়েই বিপাকে পড়তে হয় আসামের এক জনগোষ্ঠীর মানুষদের। তাঁরা হলেন ‘চুতিয়া’। মূর্খ, নির্বোধ, বলদ...ইত্যাদি গালির বিকল্প হিসেবে ভারতে চুতিয়া শব্দটি ব্যাপক জনপ্রিয়। যদিও চু-তি-য়া মূলত ‘দেওরি চুতিয়া’ শব্দবন্ধটি থেকে এসেছে। এর অর্থ খাঁটি জলের কাছাকাছি বাস করা মানুষ।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪৩ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে