Ajker Patrika

বাংলাদেশি পর্যটক ছাড়া প্রথম রমজান কলকাতার মিনি বাংলায়, বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে

অনলাইন ডেস্ক
প্রতি বছরের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কলকাতা বাংলাদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে থাকত। অথচ, এখন তা জনশূন্য হয়ে খাঁ খাঁ করছে। ছবি: সংগৃহীত
প্রতি বছরের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কলকাতা বাংলাদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে থাকত। অথচ, এখন তা জনশূন্য হয়ে খাঁ খাঁ করছে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কলকাতায় দেশটির পর্যটক উপস্থিতি একেবারেই নগণ্য। আর এবারের রমজানে বাংলাদেশি পর্যটকের অনুপস্থিতি কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। অনেক খুচরা বিক্রেতা বিক্রয়ে ব্যাপক পতনের কথা জানাচ্ছেন। মহামারির পর এবারই প্রথম বাংলাদেশি পর্যটকেরা এই বিপণি এলাকার কেনাকাটার দৃশ্যপটে হাজির নেই।

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউমার্কেট, ট্রেজার আইল্যান্ড, সিমপার্ক মল ও আশপাশের অন্যান্য বাজারের দোকান মালিকদের মতে, তাদের মোট ব্যবসার প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশই বাংলাদেশি ক্রেতাদের ওপর নির্ভরশীল।

এই বিষয়ে ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী খান বলেন, ‘রমজানে এই সংখ্যা আরও বেড়ে যায়, কারণ বাংলাদেশিরা রমজানের আগেই ঈদের কেনাকাটা শুরু করেন। রোজার প্রথম সপ্তাহেই কেনাকাটার চূড়ান্ত পর্যায় শুরু হয় এবং ঈদের কয়েক দিন আগে পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকে। কিন্তু এ বছর বাংলাদেশি পর্যটকেরা প্রায় আসেনইনি, যা আমাদের ব্যবসার জন্য বড় ধাক্কা।’

বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর এই অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণ নিউমার্কেট এলাকায় পার্কিং সংকট ও দখলদারত্বের সমস্যা। যার ফলে অনেক কলকাতাবাসী এখানে কেনাকাটায় অনাগ্রহী। কিন্তু পর্যটকেরা আশপাশের হোটেলে থাকেন বলে তাদের এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।

গত বছরের জুন থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতায় আসা পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গেছে। শ্রীরাম আর্কেডের পোশাক ব্যবসায়ী মাকসুদ আহমেদ, ‘যেসব পর্যটক এখন কলকাতায় আসছেন, তাদের বেশির ভাগই মূলত চিকিৎসার জন্য আসছেন।’

বাংলাদেশের এই অস্থিরতা কেবল পর্যটন খাতেই প্রভাব ফেলেনি, বরং যারা বাংলাদেশি ক্রেতাদের ওপর নির্ভরশীল, সেই খুচরা বিক্রেতারাও বিপাকে পড়েছেন। সিমপার্ক মলেও একই অবস্থা। সেখানকার দোকান মালিক আফরোজ খান বলেন, ‘দুর্গাপূজা ও রমজান আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো মৌসুম। বাংলাদেশি পর্যটকরাই ঈদের কেনাকাটার মূল ক্রেতা। এ বছর ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম, যার ফলে লোকসান কাটিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে পড়েছে।’

ট্রেজার আইল্যান্ডের খুচরা বিক্রেতা ললিত আগরওয়াল বলেন, ‘২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মহামারির কারণে বাংলাদেশ থেকে পর্যটকেরা আসেননি। গত দুই বছর ব্যবসা ভালোই হয়েছিল, কারণ পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছিল। কিন্তু এবার আবার সেই মন্দা পরিস্থিতি ফিরে এসেছে।’

এসএস হগ মার্কেট ও বার্ট্রাম স্ট্রিটের ব্যবসায়ীরাও একই সংকটে পড়েছেন। এসএস হগ মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী সরফরাজ আহমেদ বলেন, ‘নিউমার্কেটের অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের জন্য এটি ভালো সংকেত নয়। স্থানীয় ব্যবসাগুলো, যেগুলো ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক-রাজনৈতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত, ক্রেতার সংখ্যা হ্রাসের কারণে আরও সংকটে পড়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চূড়ান্ত হচ্ছে সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, শিগগির ঘোষণা

প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ধরা পড়া সেই নেতাকে বহিষ্কার করল ছাত্রশিবির

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজির অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ফ্রিতে নৌকা না পেয়ে ভূমি অফিস সহকারীকে মারধর এসপির

এশিয়ার ১০টিসহ ৪৩ দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত