
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন জানানোয় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ১৯১৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেন একত্রীকরণ স্মরণে সংসদে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান প্রণয়নের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল সোমবার জেলেনস্কি রাশিয়ায় অবস্থিত প্রায় ৪০ লাখ জাতিগত ইউক্রেনীয়দের অধিকার ও আত্মপরিচয় সুরক্ষায় একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এটিই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় ডায়াসপোরা গ্রুপ।
কোনো দেশের নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠী যদি নিজেদের আচার-সংস্কৃতি অক্ষত রেখে অন্য কোনো দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে, তাদের ডায়াসপোরা বলা হয়।
ইউক্রেনের সংবিধান অনুসারে, ইউক্রেন নাগরিকদের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার অনুমতি দেয় না। তাই ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত লাখ লাখ মানুষ যাঁরা অন্যান্য দেশে বসবাস করছেন তাঁরা ইউক্রেনের পাসপোর্ট ধারণ করতে পারেন না।
এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমি ভারখোভনা রাদাতে (ইউক্রেনের এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদ) এমন এক আইনের খসড়া জমা দিচ্ছি, যার মাধ্যমে বিস্তৃত আইনি সংশোধন করা যাবে এবং একাধিক নাগরিকত্ব গ্রহণের অনুমতি পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ আইনের মাধ্যমে জাতিগত ইউক্রেনীয় ও বিশ্বব্যাপী তাঁদের বংশধরেরা ইউক্রেনের নাগরিকত্ব নিতে পারবেন। অবশ্য আক্রমণকারী দেশের নাগরিক ছাড়া।’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রায়ই রাশিয়াকে ‘আক্রমণকারী’ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে আসছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে থাকায় জাতীয় ঐক্যের ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়ে আসছেন জেলেনস্কি। কারণ এ যুদ্ধে টিকে থাকতে প্রয়োজনীয় সামরিক ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য কিয়েভ বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল।
ইউক্রেনের জন্য যাঁরা যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন তাঁদেরসহ এ যুদ্ধে সমর্থনকারী ডায়াসপোরাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আমি ইউক্রেনীয়—এ শব্দগুলো বিশেষ অর্থ বহন করে।’ তিনি ইউক্রেনীয়দের অদম্যতারও প্রশংসা করেন।
সংবিধানে সংশোধনের জন্য সংসদের অনুমতি প্রয়োজন। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার জন্য এক বছর লেগে যেতে পারে। এর জন্য সাংবিধানিক আদালতের অনুমোদনও প্রয়োজন।
রাশিয়ায় অবস্থিত জাতিগত ইউক্রেনীয়দের আত্মপরিচয় সুরক্ষায় জারি করা অধ্যাদেশে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব অপরাধ এবং অপপ্রচার নথিভুক্ত করে রাখা হবে।
এই ডিক্রিতে রাশিয়ার এমন সব অংশ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে ঐতিহাসিকভাবেই ইউক্রেনীয়দের বাস। এর মধ্যে সাধারণ সীমান্ত এলাকা এবং কৃষ্ণসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের ক্রাসনোদার ও এর আশপাশের এলাকা রয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, রাশিয়ায় স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে প্রায় ৪০ লাখ জাতিগত ইউক্রেনীয় বসবাস করেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন জানানোয় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ১৯১৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেন একত্রীকরণ স্মরণে সংসদে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান প্রণয়নের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল সোমবার জেলেনস্কি রাশিয়ায় অবস্থিত প্রায় ৪০ লাখ জাতিগত ইউক্রেনীয়দের অধিকার ও আত্মপরিচয় সুরক্ষায় একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এটিই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় ডায়াসপোরা গ্রুপ।
কোনো দেশের নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠী যদি নিজেদের আচার-সংস্কৃতি অক্ষত রেখে অন্য কোনো দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে, তাদের ডায়াসপোরা বলা হয়।
ইউক্রেনের সংবিধান অনুসারে, ইউক্রেন নাগরিকদের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার অনুমতি দেয় না। তাই ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত লাখ লাখ মানুষ যাঁরা অন্যান্য দেশে বসবাস করছেন তাঁরা ইউক্রেনের পাসপোর্ট ধারণ করতে পারেন না।
এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমি ভারখোভনা রাদাতে (ইউক্রেনের এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদ) এমন এক আইনের খসড়া জমা দিচ্ছি, যার মাধ্যমে বিস্তৃত আইনি সংশোধন করা যাবে এবং একাধিক নাগরিকত্ব গ্রহণের অনুমতি পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ আইনের মাধ্যমে জাতিগত ইউক্রেনীয় ও বিশ্বব্যাপী তাঁদের বংশধরেরা ইউক্রেনের নাগরিকত্ব নিতে পারবেন। অবশ্য আক্রমণকারী দেশের নাগরিক ছাড়া।’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রায়ই রাশিয়াকে ‘আক্রমণকারী’ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে আসছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে থাকায় জাতীয় ঐক্যের ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়ে আসছেন জেলেনস্কি। কারণ এ যুদ্ধে টিকে থাকতে প্রয়োজনীয় সামরিক ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য কিয়েভ বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল।
ইউক্রেনের জন্য যাঁরা যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন তাঁদেরসহ এ যুদ্ধে সমর্থনকারী ডায়াসপোরাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আমি ইউক্রেনীয়—এ শব্দগুলো বিশেষ অর্থ বহন করে।’ তিনি ইউক্রেনীয়দের অদম্যতারও প্রশংসা করেন।
সংবিধানে সংশোধনের জন্য সংসদের অনুমতি প্রয়োজন। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার জন্য এক বছর লেগে যেতে পারে। এর জন্য সাংবিধানিক আদালতের অনুমোদনও প্রয়োজন।
রাশিয়ায় অবস্থিত জাতিগত ইউক্রেনীয়দের আত্মপরিচয় সুরক্ষায় জারি করা অধ্যাদেশে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব অপরাধ এবং অপপ্রচার নথিভুক্ত করে রাখা হবে।
এই ডিক্রিতে রাশিয়ার এমন সব অংশ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে ঐতিহাসিকভাবেই ইউক্রেনীয়দের বাস। এর মধ্যে সাধারণ সীমান্ত এলাকা এবং কৃষ্ণসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের ক্রাসনোদার ও এর আশপাশের এলাকা রয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, রাশিয়ায় স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে প্রায় ৪০ লাখ জাতিগত ইউক্রেনীয় বসবাস করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
৩৫ মিনিট আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের বন্দিশিবিরে ফিলিস্তিনি কয়েদিদের ওপর কেমন অকথ্য নির্যাতন আর যৌন নিগ্রহ চলছে, তার প্রমাণ মিলল দুজনের অভিজ্ঞতায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে বন্দী নির্যাতনের যে হাড় হিম করা বিবরণ উঠে এসেছে, তাঁরা নিজেরাই তার শিকার।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার সব দুয়ারই যখন রুদ্ধ, তখন প্রতিবাদের রাজপথই দলের একমাত্র ভরসা। তাই তিনি কর্মী-সমর্থকদের রাজপথের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিল ক্লিনটনের মুখপাত্র গত শুক্রবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ তুলেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইন ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ছবি, এমনকি সুইমিং পুলে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর কিছু স্থিরচিত্র কংগ্রেসের নির্দেশে সরকারি ফাইল হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে এই রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ।
এক্সে শেয়ার করা বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র বলেন, ‘হোয়াইট হাউস মাসের পর মাস এই ফাইলগুলো লুকিয়ে রেখে শুক্রবার রাতে বিল ক্লিনটনকে রক্ষা করার জন্য করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে এরপর যা আসছে, তা থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই এই আয়োজন। কিংবা তারা যা চিরতরে লুকিয়ে রাখতে চায়, তা ঢাকতেই এই চেষ্টা। সুতরাং, তারা ২০ বছরের পুরোনো যত খুশি ঝাপসা ছবি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু এটি বিল ক্লিনটনকে নিয়ে নয়। কখনোই ছিল না, আর হবেও না।’
মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘এমনকি সুজি ওয়াইলসও বলেছিলেন, বিল ক্লিনটন সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল ছিলেন।’ এখানে তিনি ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফের মন্তব্যের কথা বুঝিয়েছেন। সেই মন্তব্যে ওয়াইলস স্বীকার করেছিলেন, ট্রাম্প বারবার দাবি করলেও ক্লিনটন কখনোই এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে যাননি।
ক্লিনটন দীর্ঘকাল ধরেই দাবি করে আসছেন, ২০০৫ সালের দিকেই তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ফ্লোরিডায় এক অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌনকাজে প্ররোচিত করার দায়ে এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই ক্লিনটন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। প্রথম দল যারা কিছুই জানত না এবং এপস্টেইনের অপরাধ সামনে আসার আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। দ্বিতীয় দল যারা তাঁর অপরাধ জানার পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা প্রথম দলে আছি। দ্বিতীয় দলের লোকজন সময়ক্ষেপণ করে সত্য বদলাতে পারবে না। সবাই, বিশেষ করে মাগা সমর্থকেরা উত্তর চায়, বলির পাঁঠা নয়।’
গত শুক্রবার প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, ক্লিনটন একটি ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুলে ম্যাক্সওয়েল ও মুখমণ্ডল অস্পষ্ট করা এক নারীর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া মিক জ্যাগার, এপস্টেইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজেও তাঁকে দেখা গেছে। সুইমিং পুলে ক্লিনটনের ওই ছবি পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওহ মাই গড!’ সঙ্গে ছিল একটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার ইমোজি।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং এক পোস্টে লেখেন, ‘স্লিক উইলি! বিল ক্লিনটন কেবল চিল করছেন, দুনিয়ার কোনো চিন্তা নেই। তিনি কি তখন জানতেন...।’
সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সির শুরুর বছরগুলোতে এপস্টেইন অন্তত ১৭ বার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ক্লিনটন এপস্টেইনের ব্যক্তিগত জেটে চড়ে এশিয়া ও আফ্রিকা সফর করেন, যা ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এপস্টেইনকাণ্ডে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ক্লিনটন ও এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত মাসে তিনি বিচার বিভাগ ও এফবিআইকে ‘জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিনটনের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্ক তদন্ত’ করার আহ্বান জানান। মূলত এপস্টেইন কেলেঙ্কারিকে কেবল ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা হিসেবে তুলে ধরার দীর্ঘকালীন প্রচারণার অংশ এটি।
বিচার বিভাগের এই ছবি প্রকাশের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে এপস্টেইনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে হাউস ওভারসাইট কমিটির কাছে জবানবন্দি দিতে হবে।
জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে, তবে তা পিছিয়ে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পলিটিকো জানিয়েছে, কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কোমার হুমকি দিয়েছেন, এই দম্পতি যদি নির্দিষ্ট তারিখে জবানবন্দি না দেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিল ক্লিনটনের মুখপাত্র গত শুক্রবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ তুলেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইন ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ছবি, এমনকি সুইমিং পুলে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর কিছু স্থিরচিত্র কংগ্রেসের নির্দেশে সরকারি ফাইল হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে এই রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ।
এক্সে শেয়ার করা বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র বলেন, ‘হোয়াইট হাউস মাসের পর মাস এই ফাইলগুলো লুকিয়ে রেখে শুক্রবার রাতে বিল ক্লিনটনকে রক্ষা করার জন্য করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে এরপর যা আসছে, তা থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই এই আয়োজন। কিংবা তারা যা চিরতরে লুকিয়ে রাখতে চায়, তা ঢাকতেই এই চেষ্টা। সুতরাং, তারা ২০ বছরের পুরোনো যত খুশি ঝাপসা ছবি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু এটি বিল ক্লিনটনকে নিয়ে নয়। কখনোই ছিল না, আর হবেও না।’
মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘এমনকি সুজি ওয়াইলসও বলেছিলেন, বিল ক্লিনটন সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল ছিলেন।’ এখানে তিনি ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফের মন্তব্যের কথা বুঝিয়েছেন। সেই মন্তব্যে ওয়াইলস স্বীকার করেছিলেন, ট্রাম্প বারবার দাবি করলেও ক্লিনটন কখনোই এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে যাননি।
ক্লিনটন দীর্ঘকাল ধরেই দাবি করে আসছেন, ২০০৫ সালের দিকেই তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ফ্লোরিডায় এক অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌনকাজে প্ররোচিত করার দায়ে এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই ক্লিনটন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। প্রথম দল যারা কিছুই জানত না এবং এপস্টেইনের অপরাধ সামনে আসার আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। দ্বিতীয় দল যারা তাঁর অপরাধ জানার পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা প্রথম দলে আছি। দ্বিতীয় দলের লোকজন সময়ক্ষেপণ করে সত্য বদলাতে পারবে না। সবাই, বিশেষ করে মাগা সমর্থকেরা উত্তর চায়, বলির পাঁঠা নয়।’
গত শুক্রবার প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, ক্লিনটন একটি ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুলে ম্যাক্সওয়েল ও মুখমণ্ডল অস্পষ্ট করা এক নারীর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া মিক জ্যাগার, এপস্টেইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজেও তাঁকে দেখা গেছে। সুইমিং পুলে ক্লিনটনের ওই ছবি পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওহ মাই গড!’ সঙ্গে ছিল একটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার ইমোজি।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং এক পোস্টে লেখেন, ‘স্লিক উইলি! বিল ক্লিনটন কেবল চিল করছেন, দুনিয়ার কোনো চিন্তা নেই। তিনি কি তখন জানতেন...।’
সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সির শুরুর বছরগুলোতে এপস্টেইন অন্তত ১৭ বার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ক্লিনটন এপস্টেইনের ব্যক্তিগত জেটে চড়ে এশিয়া ও আফ্রিকা সফর করেন, যা ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এপস্টেইনকাণ্ডে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ক্লিনটন ও এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত মাসে তিনি বিচার বিভাগ ও এফবিআইকে ‘জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিনটনের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্ক তদন্ত’ করার আহ্বান জানান। মূলত এপস্টেইন কেলেঙ্কারিকে কেবল ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা হিসেবে তুলে ধরার দীর্ঘকালীন প্রচারণার অংশ এটি।
বিচার বিভাগের এই ছবি প্রকাশের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে এপস্টেইনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে হাউস ওভারসাইট কমিটির কাছে জবানবন্দি দিতে হবে।
জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে, তবে তা পিছিয়ে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পলিটিকো জানিয়েছে, কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কোমার হুমকি দিয়েছেন, এই দম্পতি যদি নির্দিষ্ট তারিখে জবানবন্দি না দেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন জানানোয় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ১৯১৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেন একত্রীকরণ স্মরণে সংসদে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান প্রণয়নের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের বন্দিশিবিরে ফিলিস্তিনি কয়েদিদের ওপর কেমন অকথ্য নির্যাতন আর যৌন নিগ্রহ চলছে, তার প্রমাণ মিলল দুজনের অভিজ্ঞতায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে বন্দী নির্যাতনের যে হাড় হিম করা বিবরণ উঠে এসেছে, তাঁরা নিজেরাই তার শিকার।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার সব দুয়ারই যখন রুদ্ধ, তখন প্রতিবাদের রাজপথই দলের একমাত্র ভরসা। তাই তিনি কর্মী-সমর্থকদের রাজপথের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ প্রথমে ১০ জন নিহতের কথা বললেও পরে সংখ্যাটি সংশোধন করে ৯ জনের কথা জানায়। জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বেকার্সডাল এলাকায় এই হামলার উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রাস্তায় সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হামলাকারীরা দুটি গাড়িতে করে এসে প্রথমে একটি পানশালার ক্রেতাদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং পালানোর সময়ও পথে যাকে পেয়েছে, তাকেই লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
প্রাদেশিক পুলিশের কমিশনার মেজর জেনারেল ফ্রেড কেকানা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনলাইন গাড়ি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন চালকও রয়েছেন, যিনি ওই সময় পানশালার বাইরে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বড় কয়েকটি সোনার খনির কাছে দরিদ্র এলাকা বেকার্সডালের একটি অনানুষ্ঠানিক পানশালার পাশে এই গুলির ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে সংগঠিত অপরাধী চক্র এবং দুর্নীতির এক ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে গোলাগুলি এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত গ্যাংস্টারদের সংঘাত এবং অনানুষ্ঠানিক ব্যবসাগুলোর মধ্যকার প্রতিযোগিতার কারণেই এই সহিংসতা বাড়ছে, যা দেশটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ খুনের হারের তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর রাজধানী প্রিটোরিয়ার কাছে একটি হোটেলে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে তিন বছরের এক শিশুসহ ১২ জনকে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্থানে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হতো। সে সময় পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার আথলেন্দা ম্যাথে বলেন, ‘ওই হোটেলে একদল লোক মদ্যপান করছিল। হঠাৎ তিনজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী সেখানে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।’
তিনি নিশ্চিত করেন, ২৫ জনকে গুলি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১০ জন এবং হাসপাতালে আরও একজন মারা যায়। আহত ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ প্রথমে ১০ জন নিহতের কথা বললেও পরে সংখ্যাটি সংশোধন করে ৯ জনের কথা জানায়। জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বেকার্সডাল এলাকায় এই হামলার উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রাস্তায় সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হামলাকারীরা দুটি গাড়িতে করে এসে প্রথমে একটি পানশালার ক্রেতাদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং পালানোর সময়ও পথে যাকে পেয়েছে, তাকেই লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
প্রাদেশিক পুলিশের কমিশনার মেজর জেনারেল ফ্রেড কেকানা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনলাইন গাড়ি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন চালকও রয়েছেন, যিনি ওই সময় পানশালার বাইরে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বড় কয়েকটি সোনার খনির কাছে দরিদ্র এলাকা বেকার্সডালের একটি অনানুষ্ঠানিক পানশালার পাশে এই গুলির ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে সংগঠিত অপরাধী চক্র এবং দুর্নীতির এক ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে গোলাগুলি এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত গ্যাংস্টারদের সংঘাত এবং অনানুষ্ঠানিক ব্যবসাগুলোর মধ্যকার প্রতিযোগিতার কারণেই এই সহিংসতা বাড়ছে, যা দেশটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ খুনের হারের তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর রাজধানী প্রিটোরিয়ার কাছে একটি হোটেলে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে তিন বছরের এক শিশুসহ ১২ জনকে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্থানে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হতো। সে সময় পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার আথলেন্দা ম্যাথে বলেন, ‘ওই হোটেলে একদল লোক মদ্যপান করছিল। হঠাৎ তিনজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী সেখানে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।’
তিনি নিশ্চিত করেন, ২৫ জনকে গুলি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১০ জন এবং হাসপাতালে আরও একজন মারা যায়। আহত ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন জানানোয় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ১৯১৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেন একত্রীকরণ স্মরণে সংসদে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান প্রণয়নের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
৩৫ মিনিট আগে
ইসরায়েলের বন্দিশিবিরে ফিলিস্তিনি কয়েদিদের ওপর কেমন অকথ্য নির্যাতন আর যৌন নিগ্রহ চলছে, তার প্রমাণ মিলল দুজনের অভিজ্ঞতায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে বন্দী নির্যাতনের যে হাড় হিম করা বিবরণ উঠে এসেছে, তাঁরা নিজেরাই তার শিকার।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার সব দুয়ারই যখন রুদ্ধ, তখন প্রতিবাদের রাজপথই দলের একমাত্র ভরসা। তাই তিনি কর্মী-সমর্থকদের রাজপথের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলের বন্দিশিবিরে ফিলিস্তিনি কয়েদিদের ওপর কেমন অকথ্য নির্যাতন আর যৌন নিগ্রহ চলছে, তার প্রমাণ মিলল দুজনের অভিজ্ঞতায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে বন্দী নির্যাতনের যে হাড় হিম করা বিবরণ উঠে এসেছে, তাঁরা নিজেরাই তার শিকার।
গত মাসে জাতিসংঘের কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চার তাদের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল। তাদের মতে, ইসরায়েলি জেলগুলোতে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর যে সুপরিকল্পিত এবং ব্যাপক নির্যাতন চলছে, তা এখন কার্যত ‘রাষ্ট্রীয় নীতিতে’ পরিণত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে হামলার পর থেকে এই পরিস্থিতির ভয়াবহতা বেড়েছে বহুগুণ। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠনগুলোও একে একটি ‘পদ্ধতিগত’ প্রথা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ইসরায়েল অবশ্য সরকারিভাবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু অধিকারকর্মীদের দাবি, ৭ অক্টোবরের সেই রক্তক্ষয়ী হামলা আর গাজায় আটকে থাকা জিম্মিদের দুরবস্থা নিয়ে ইসরায়েলি নাগরিকদের ভেতর যে তীব্র আক্রোশ জন্মেছে, তার সুযোগ নিচ্ছে ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ। একধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি সেখানে জেঁকে বসেছে, বিশেষ করে যারা হামাসকে সামান্যতম সমর্থন জুগিয়েছে, তাদের ওপর নেমে আসছে পৈশাচিক নিগ্রহ।
গত বছর একটি সামরিক কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়। সেখানে দেখা যায়, গাজার এক ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে রক্ষীরা যৌন নির্যাতন করছে। সেই ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক ও রাজনৈতিক মহলে ছি ছি রব পড়ে যায়, পদত্যাগ করেন বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
৪৬ বছরের সামি আল-সাইয়ি এখন একটি আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করেন। কিন্তু একসময় তাঁর পরিচয় ছিল অন্য। অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহরে তিনি সাংবাদিকতা করতেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইসরায়েলি সেনারা তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর অপরাধ? তিনি বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে হামাস বা অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে দিতেন।

কোনো চার্জশিট বা অভিযোগ ছাড়াই সামিকে ১৬ মাস বন্দী করে রাখা হয়। ইসরায়েলের কুখ্যাত ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিটেনশন’ বা প্রশাসনিক আটক ব্যবস্থার জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে এ বছরের গ্রীষ্মে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। উত্তর ইসরায়েলের মেগিদ্দো কারাগারে থাকাকালে ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ তাঁর ওপর যে অকথ্য নির্যাতন চলে, তার বিবরণ দিতে গিয়ে সামির গলা বন্ধ হয়ে আসে।
সামি জানান, রক্ষীরা তাঁকে বিবস্ত্র করে একটি ব্যাটন বা লাঠি দিয়ে ধর্ষণ করে। রক্ষণশীল ফিলিস্তিনি সমাজে এমন নির্যাতনের কথা স্বীকার করা সামাজিকভাবে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা জেনেও তিনি মুখ খুলেছেন। সামি বলেন, ‘সেখানে পাঁচ-ছয়জন রক্ষী ছিল। তারা অট্টহাসি দিচ্ছিল। এক রক্ষী আমাকে টিটকারি দিয়ে জিজ্ঞেস করল—‘কেমন লাগছে? মজা পাচ্ছো তো? দাঁড়াও, তোমার বউ, বোন, মা আর বন্ধুদেরও এখানে নিয়ে আসব, তাদের সঙ্গেও খেলব আমরা।’
যন্ত্রণায় কুঁকড়ে থাকা সামি তখন মনে মনে শুধু মৃত্যু কামনা করছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমার কেবলই মনে হচ্ছিল, মরে গেলেই তো সব শেষ হয়ে যায়। সেই ব্যাটন দিয়ে ধর্ষণের শারীরিক যন্ত্রণার চেয়েও মনের ভেতর যে ধিক্কার জন্মাচ্ছিল, তা সহ্য করা কঠিন ছিল। সঙ্গে ছিল জান্তব নির্যাতন।’
প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলা সেই নারকীয় উল্লাসের সময় রক্ষীরা তাঁর যৌনাঙ্গেও প্রচণ্ড আঘাত করেছিল। সামি জানান, জেলের ভেতরে মারধর চলত প্রায় প্রতিদিন, তবে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছিল ওই একবার। বিবিসি ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিসের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে, তারা একটি দায়সারা বিবৃতি পাঠায়। সেখানে বলা হয়, তারা আইন মেনেই বন্দীদের দেখাশোনা করে এবং সামির এসব অভিযোগ সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এমনকি এই ঘটনার কোনো তদন্ত হয়েছে কি না বা সামির কোনো চিকিৎসা-সংক্রান্ত নথি আছে কি না, সেসব প্রশ্নেও তারা নীরব থেকেছে।

বন্দী নির্যাতনের অভিযোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি সদে তিমান সামরিক কারাগারের একটি ঘটনা গোটা ইসরায়েলকে বিভক্ত করে দিয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গাজার এক বন্দীকে ধারালো কোনো বস্তু দিয়ে যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। এতে ওই ব্যক্তির মলদ্বার মারাত্মকভাবে জখম হয়।
এই ঘটনায় পাঁচজন ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গত মাসে তারা টেলিভিশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকও করে, যেখানে চারজন সেনা কালো মুখোশ পরে এসেছিল। কেবল একজন তার মুখোশ খুলে বলে, তার কোনো ভয় নেই। তারা সবাই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে।
এই ভিডিওটি ফাঁস করেছিলেন খোদ ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ আইনজীবী মেজর জেনারেল ইফাত তোমের-ইয়েরুশালমি। পরে অবশ্য তিনি পদত্যাগ করেন। তিনি বলেছিলেন, বন্দীদের নিয়ে যারা মিথ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদের স্বরূপ উন্মোচনের জন্যই তিনি এটা করেছিলেন।
তবে এই ঘটনা নিয়ে ইসরায়েলি রাজনীতির অন্দরমহলে এখন অন্য হাওয়া বইছে। কট্টর-ডানপন্থীরা ওই অভিযুক্ত পাঁচ সেনার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছে। এমনকি পার্লামেন্ট বা নেসেটেও এই নিয়ে হয়েছে তুলকালাম। লিকুদ পার্টির নেতা হ্যানোক মিলউইডস্কিকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, বন্দীকে ধর্ষণ করা কি কোনোভাবেই বৈধ হতে পারে? তিনি তখন চিৎকার করে বলেছিলেন, ‘চুপ করো! হামাসের ওই খুনিদের (নুখবা) ওপর সবকিছুই বৈধ। সবকিছুই জায়েজ।’
এক জনমত জরিপেও উঠে এসেছে এক ভয়ংকর তথ্য। অধিকাংশ ইসরায়েলি নাগরিক মনে করেন, গাজার বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালালেও সৈন্যদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করা উচিত নয়।
পশ্চিম তীরের বাসিন্দা আহমেদ (ছদ্মনাম) ১১ সন্তানের বাবা। ৭ অক্টোবরের হামলার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়ার অপরাধে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারে তাঁর এক বছরের জেল আর ৩ হাজার শেকেল জরিমানা হয়। মুক্তির পর তিনি শুনিয়েছেন এক অকল্পনীয় লাঞ্ছনার কথা।
আহমেদ বলেন, ‘তিনজন রক্ষী আমাকে বাথরুমে নিয়ে গেল। পুরো নগ্ন করে আমাকে মেঝেতে শুইয়ে দিল। একজন বিশালদেহী রক্ষী আমার মাথার ওপর দাঁড়িয়ে ছিল, পাছে আমি নড়াচড়া করি। তারপর আমি শুনলাম কেউ একজন একটা কুকুরের সঙ্গে কথা বলছে। কুকুরটার নাম তারা রেখেছিল মেসি।’
আহমেদ এরপর যা বর্ণনা করলেন, তা যেকোনো সভ্য মানুষকে শিউরে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। রক্ষীরা সেই কুকুরটিকে আহমেদের ওপর লেলিয়ে দিয়ে তাঁকে যৌন লাঞ্ছনা ও অপমানিত করে। আহমেদ বলেন, ‘আমি যত চিৎকার করছিলাম, তারা তত বেশি আমাকে মারছিল। আমি প্রায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম।’ মুক্তি পাওয়ার ১২ দিন আগে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। আহমেদ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনো মেডিকেল রিপোর্ট নেই। কারণ, কারাগারের ভেতরে তাদের কোনো চিকিৎসা দেওয়া হতো না।
বর্তমানে ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে বন্দী ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যা ৭ অক্টোবরের আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এদের অনেকের বিরুদ্ধেই কোনো আনুষ্ঠানিক চার্জশিট নেই। জাতিসংঘের রিপোর্টে হামাসের হামলার যেমন নিন্দা করা হয়েছে, তেমনি গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে ইসরায়েলের গাজায় চালানো হত্যাযজ্ঞ ও বন্দী নির্যাতনের বিষয়ে।
অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান

ইসরায়েলের বন্দিশিবিরে ফিলিস্তিনি কয়েদিদের ওপর কেমন অকথ্য নির্যাতন আর যৌন নিগ্রহ চলছে, তার প্রমাণ মিলল দুজনের অভিজ্ঞতায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে বন্দী নির্যাতনের যে হাড় হিম করা বিবরণ উঠে এসেছে, তাঁরা নিজেরাই তার শিকার।
গত মাসে জাতিসংঘের কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চার তাদের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল। তাদের মতে, ইসরায়েলি জেলগুলোতে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর যে সুপরিকল্পিত এবং ব্যাপক নির্যাতন চলছে, তা এখন কার্যত ‘রাষ্ট্রীয় নীতিতে’ পরিণত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে হামলার পর থেকে এই পরিস্থিতির ভয়াবহতা বেড়েছে বহুগুণ। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠনগুলোও একে একটি ‘পদ্ধতিগত’ প্রথা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ইসরায়েল অবশ্য সরকারিভাবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু অধিকারকর্মীদের দাবি, ৭ অক্টোবরের সেই রক্তক্ষয়ী হামলা আর গাজায় আটকে থাকা জিম্মিদের দুরবস্থা নিয়ে ইসরায়েলি নাগরিকদের ভেতর যে তীব্র আক্রোশ জন্মেছে, তার সুযোগ নিচ্ছে ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ। একধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি সেখানে জেঁকে বসেছে, বিশেষ করে যারা হামাসকে সামান্যতম সমর্থন জুগিয়েছে, তাদের ওপর নেমে আসছে পৈশাচিক নিগ্রহ।
গত বছর একটি সামরিক কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়। সেখানে দেখা যায়, গাজার এক ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে রক্ষীরা যৌন নির্যাতন করছে। সেই ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক ও রাজনৈতিক মহলে ছি ছি রব পড়ে যায়, পদত্যাগ করেন বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
৪৬ বছরের সামি আল-সাইয়ি এখন একটি আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করেন। কিন্তু একসময় তাঁর পরিচয় ছিল অন্য। অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহরে তিনি সাংবাদিকতা করতেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইসরায়েলি সেনারা তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর অপরাধ? তিনি বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে হামাস বা অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে দিতেন।

কোনো চার্জশিট বা অভিযোগ ছাড়াই সামিকে ১৬ মাস বন্দী করে রাখা হয়। ইসরায়েলের কুখ্যাত ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিটেনশন’ বা প্রশাসনিক আটক ব্যবস্থার জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে এ বছরের গ্রীষ্মে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। উত্তর ইসরায়েলের মেগিদ্দো কারাগারে থাকাকালে ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ তাঁর ওপর যে অকথ্য নির্যাতন চলে, তার বিবরণ দিতে গিয়ে সামির গলা বন্ধ হয়ে আসে।
সামি জানান, রক্ষীরা তাঁকে বিবস্ত্র করে একটি ব্যাটন বা লাঠি দিয়ে ধর্ষণ করে। রক্ষণশীল ফিলিস্তিনি সমাজে এমন নির্যাতনের কথা স্বীকার করা সামাজিকভাবে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা জেনেও তিনি মুখ খুলেছেন। সামি বলেন, ‘সেখানে পাঁচ-ছয়জন রক্ষী ছিল। তারা অট্টহাসি দিচ্ছিল। এক রক্ষী আমাকে টিটকারি দিয়ে জিজ্ঞেস করল—‘কেমন লাগছে? মজা পাচ্ছো তো? দাঁড়াও, তোমার বউ, বোন, মা আর বন্ধুদেরও এখানে নিয়ে আসব, তাদের সঙ্গেও খেলব আমরা।’
যন্ত্রণায় কুঁকড়ে থাকা সামি তখন মনে মনে শুধু মৃত্যু কামনা করছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমার কেবলই মনে হচ্ছিল, মরে গেলেই তো সব শেষ হয়ে যায়। সেই ব্যাটন দিয়ে ধর্ষণের শারীরিক যন্ত্রণার চেয়েও মনের ভেতর যে ধিক্কার জন্মাচ্ছিল, তা সহ্য করা কঠিন ছিল। সঙ্গে ছিল জান্তব নির্যাতন।’
প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলা সেই নারকীয় উল্লাসের সময় রক্ষীরা তাঁর যৌনাঙ্গেও প্রচণ্ড আঘাত করেছিল। সামি জানান, জেলের ভেতরে মারধর চলত প্রায় প্রতিদিন, তবে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছিল ওই একবার। বিবিসি ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিসের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে, তারা একটি দায়সারা বিবৃতি পাঠায়। সেখানে বলা হয়, তারা আইন মেনেই বন্দীদের দেখাশোনা করে এবং সামির এসব অভিযোগ সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এমনকি এই ঘটনার কোনো তদন্ত হয়েছে কি না বা সামির কোনো চিকিৎসা-সংক্রান্ত নথি আছে কি না, সেসব প্রশ্নেও তারা নীরব থেকেছে।

বন্দী নির্যাতনের অভিযোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি সদে তিমান সামরিক কারাগারের একটি ঘটনা গোটা ইসরায়েলকে বিভক্ত করে দিয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গাজার এক বন্দীকে ধারালো কোনো বস্তু দিয়ে যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। এতে ওই ব্যক্তির মলদ্বার মারাত্মকভাবে জখম হয়।
এই ঘটনায় পাঁচজন ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গত মাসে তারা টেলিভিশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকও করে, যেখানে চারজন সেনা কালো মুখোশ পরে এসেছিল। কেবল একজন তার মুখোশ খুলে বলে, তার কোনো ভয় নেই। তারা সবাই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে।
এই ভিডিওটি ফাঁস করেছিলেন খোদ ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ আইনজীবী মেজর জেনারেল ইফাত তোমের-ইয়েরুশালমি। পরে অবশ্য তিনি পদত্যাগ করেন। তিনি বলেছিলেন, বন্দীদের নিয়ে যারা মিথ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদের স্বরূপ উন্মোচনের জন্যই তিনি এটা করেছিলেন।
তবে এই ঘটনা নিয়ে ইসরায়েলি রাজনীতির অন্দরমহলে এখন অন্য হাওয়া বইছে। কট্টর-ডানপন্থীরা ওই অভিযুক্ত পাঁচ সেনার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছে। এমনকি পার্লামেন্ট বা নেসেটেও এই নিয়ে হয়েছে তুলকালাম। লিকুদ পার্টির নেতা হ্যানোক মিলউইডস্কিকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, বন্দীকে ধর্ষণ করা কি কোনোভাবেই বৈধ হতে পারে? তিনি তখন চিৎকার করে বলেছিলেন, ‘চুপ করো! হামাসের ওই খুনিদের (নুখবা) ওপর সবকিছুই বৈধ। সবকিছুই জায়েজ।’
এক জনমত জরিপেও উঠে এসেছে এক ভয়ংকর তথ্য। অধিকাংশ ইসরায়েলি নাগরিক মনে করেন, গাজার বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালালেও সৈন্যদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করা উচিত নয়।
পশ্চিম তীরের বাসিন্দা আহমেদ (ছদ্মনাম) ১১ সন্তানের বাবা। ৭ অক্টোবরের হামলার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়ার অপরাধে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারে তাঁর এক বছরের জেল আর ৩ হাজার শেকেল জরিমানা হয়। মুক্তির পর তিনি শুনিয়েছেন এক অকল্পনীয় লাঞ্ছনার কথা।
আহমেদ বলেন, ‘তিনজন রক্ষী আমাকে বাথরুমে নিয়ে গেল। পুরো নগ্ন করে আমাকে মেঝেতে শুইয়ে দিল। একজন বিশালদেহী রক্ষী আমার মাথার ওপর দাঁড়িয়ে ছিল, পাছে আমি নড়াচড়া করি। তারপর আমি শুনলাম কেউ একজন একটা কুকুরের সঙ্গে কথা বলছে। কুকুরটার নাম তারা রেখেছিল মেসি।’
আহমেদ এরপর যা বর্ণনা করলেন, তা যেকোনো সভ্য মানুষকে শিউরে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। রক্ষীরা সেই কুকুরটিকে আহমেদের ওপর লেলিয়ে দিয়ে তাঁকে যৌন লাঞ্ছনা ও অপমানিত করে। আহমেদ বলেন, ‘আমি যত চিৎকার করছিলাম, তারা তত বেশি আমাকে মারছিল। আমি প্রায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম।’ মুক্তি পাওয়ার ১২ দিন আগে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। আহমেদ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনো মেডিকেল রিপোর্ট নেই। কারণ, কারাগারের ভেতরে তাদের কোনো চিকিৎসা দেওয়া হতো না।
বর্তমানে ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে বন্দী ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যা ৭ অক্টোবরের আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এদের অনেকের বিরুদ্ধেই কোনো আনুষ্ঠানিক চার্জশিট নেই। জাতিসংঘের রিপোর্টে হামাসের হামলার যেমন নিন্দা করা হয়েছে, তেমনি গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে ইসরায়েলের গাজায় চালানো হত্যাযজ্ঞ ও বন্দী নির্যাতনের বিষয়ে।
অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন জানানোয় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ১৯১৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেন একত্রীকরণ স্মরণে সংসদে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান প্রণয়নের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
৩৫ মিনিট আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার সব দুয়ারই যখন রুদ্ধ, তখন প্রতিবাদের রাজপথই দলের একমাত্র ভরসা। তাই তিনি কর্মী-সমর্থকদের রাজপথের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার সব দুয়ারই যখন রুদ্ধ, তখন প্রতিবাদের রাজপথই দলের একমাত্র ভরসা। তাই তিনি কর্মী-সমর্থকদের রাজপথের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, তোশাখানা-২ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়ার পর শনিবার ইসলামাবাদে খাইবার পাখতুনখাওয়া হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই মহাসচিব সালমান আকরাম রাজা এই বার্তা পৌঁছে দেন।
সাংবাদিকদের রাজা জানান, দলের আইনজীবীদের তথ্যমতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, আসন্ন বিচারকাজের জন্য জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে আদালতকক্ষে এমনকি পরিবারের সদস্যদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং বিচারকেরা দূর থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে হাজিরা দেবেন।
তিনি বলেন, আদালতের বিদ্যমান আদেশে ইমরান খানের জন্য উন্মুক্ত ও সুষ্ঠু বিচারের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল, অথচ মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার তাঁর নির্ধারিত সাক্ষাৎগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়মিত সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে সরকারের যে দাবি, তাকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজা।
রাজার ভাষ্যমতে, খান বলেছেন তিনি নিজের অবস্থান থেকে ‘একচুলও’ নড়বেন না এবং প্রয়োজনে শাহাদাত বরণ করতে হলেও মানুষের মুক্তির জন্য তিনি প্রস্তুত। খানকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘বিচারের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, আদালতের শুনানি হচ্ছে না এবং ন্যায়বিচার এখন আর নাগালের মধ্যে নেই; তাই প্রতিবাদই একমাত্র পথ।’
তিনি আরও জানান, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা সব রাজবন্দী, বিশেষ করে নারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন—জনগণকে এখন তাদের অধিকার আদায়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদিন ইমরান খান তাঁর আইনজীবী সালমান সাফদারের সঙ্গে স্বল্প সময়ের জন্য সাক্ষাৎ করেছেন বলেও নিশ্চিত করেন রাজা। তাঁর অভিযোগ, রায় দেওয়া হয়েছে খানের অনুপস্থিতিতে এবং তাঁর আইনজীবী দলের কাউকে উপস্থিত থাকার সুযোগ না দিয়েই।
রাজা বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা রাজপথের আন্দোলনের প্রস্তুতির ডাক দিয়েছেন। স্ত্রী বুশরা বিবির কারাদণ্ড নিয়ে তিনি ভীষণ ব্যথিত। তাঁর দাবি, কেবল তাঁর স্ত্রী হওয়ার কারণেই বুশরা বিবিকে জেলে ভরা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার তোশাখানা মামলায় দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীকে দেওয়া সাজার তীব্র সমালোচনা করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতা। এই রায়কে তাঁরা গভীর অবিচারের দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে দলটির পক্ষ থেকে এই রায়কে ‘ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। উল্লেখ করা হয়, রায় ঘোষণার সময় ইমরান খান নাকি আদিয়ালা জেলের ভেতরে স্থাপিত আদালতেই উপস্থিত ছিলেন।
পিটিআই জানিয়েছে, ইমরান খানের পরিবারের সদস্যদের আদালতকক্ষে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এই রুদ্ধদ্বার বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘অবাধ বা সুষ্ঠু কোনোটাই নয়’ বলে অভিহিত করে তারা অভিযোগ করে, এটি কার্যত ছিল ‘মিলিটারি ট্রায়াল’ বা সামরিক বিচার।
পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা ওমর আইয়ুব এক্সে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানে আইনের শাসন বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই।’ বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির প্রধান আখতার মঙ্গল প্রশ্ন তুলেছেন, তোশাখানা-সংক্রান্ত বিষয় বা দেশকে বিভক্ত করার মতো কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের কেন একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হয়নি। তিনি বলেন, ‘যাঁরা দেশ ও সংবিধান ভেঙেছেন, তাঁদের গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে।’ তিনি এই পরিস্থিতিকে ‘অবিচারের স্পষ্ট উদাহরণ’ বলে আখ্যা দেন।
তেহরিক তাহাফ্ফুজ আইন-ই-পাকিস্তানের নেতা আল্লামা নাসির আব্বাস বলেছেন, এই রায় জনগণের অধিকার ও সংসদ উভয়কেই খাটো করেছে। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীদের মনোবল ভেঙে দিতেই সরকার এমন অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একই দলের নেতা মোস্তফা নওয়াজ খোকার যুক্তি দেন, এই নিপীড়ন কেবল রাজনীতিবিদদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। উদাহরণ হিসেবে তিনি ইমান মাজারি, মতিউল্লাহ জান এবং বিচারপতি জাহাঙ্গীরির আইনি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন।
পিটিআইয়ের ফেরদৌস শামীম নকভি বলেন, এই রায় বিচারব্যবস্থার ত্রুটিগুলোকে উন্মোচিত করে দিয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দল হয়তো আদালত বর্জনের কথা ভাবতে পারে। তাঁর দাবি, কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬৫ হাজার মামলা রয়েছে এবং ‘মিথ্যা রায়গুলো বিপজ্জনক ব্যবধান তৈরি করছে’।
অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এই রায়ের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করার আগে আদালত যথেষ্ট প্রমাণ পর্যালোচনা করেছেন। তাঁর দাবি, ওই দম্পতি দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন এবং রায়টি সুষ্ঠু হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই তোশাখানা মামলায় খানের কারাদণ্ড কার্যকর হবে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার সব দুয়ারই যখন রুদ্ধ, তখন প্রতিবাদের রাজপথই দলের একমাত্র ভরসা। তাই তিনি কর্মী-সমর্থকদের রাজপথের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, তোশাখানা-২ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়ার পর শনিবার ইসলামাবাদে খাইবার পাখতুনখাওয়া হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই মহাসচিব সালমান আকরাম রাজা এই বার্তা পৌঁছে দেন।
সাংবাদিকদের রাজা জানান, দলের আইনজীবীদের তথ্যমতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, আসন্ন বিচারকাজের জন্য জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে আদালতকক্ষে এমনকি পরিবারের সদস্যদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং বিচারকেরা দূর থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে হাজিরা দেবেন।
তিনি বলেন, আদালতের বিদ্যমান আদেশে ইমরান খানের জন্য উন্মুক্ত ও সুষ্ঠু বিচারের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল, অথচ মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার তাঁর নির্ধারিত সাক্ষাৎগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়মিত সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে সরকারের যে দাবি, তাকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজা।
রাজার ভাষ্যমতে, খান বলেছেন তিনি নিজের অবস্থান থেকে ‘একচুলও’ নড়বেন না এবং প্রয়োজনে শাহাদাত বরণ করতে হলেও মানুষের মুক্তির জন্য তিনি প্রস্তুত। খানকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘বিচারের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, আদালতের শুনানি হচ্ছে না এবং ন্যায়বিচার এখন আর নাগালের মধ্যে নেই; তাই প্রতিবাদই একমাত্র পথ।’
তিনি আরও জানান, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা সব রাজবন্দী, বিশেষ করে নারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন—জনগণকে এখন তাদের অধিকার আদায়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদিন ইমরান খান তাঁর আইনজীবী সালমান সাফদারের সঙ্গে স্বল্প সময়ের জন্য সাক্ষাৎ করেছেন বলেও নিশ্চিত করেন রাজা। তাঁর অভিযোগ, রায় দেওয়া হয়েছে খানের অনুপস্থিতিতে এবং তাঁর আইনজীবী দলের কাউকে উপস্থিত থাকার সুযোগ না দিয়েই।
রাজা বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা রাজপথের আন্দোলনের প্রস্তুতির ডাক দিয়েছেন। স্ত্রী বুশরা বিবির কারাদণ্ড নিয়ে তিনি ভীষণ ব্যথিত। তাঁর দাবি, কেবল তাঁর স্ত্রী হওয়ার কারণেই বুশরা বিবিকে জেলে ভরা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার তোশাখানা মামলায় দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীকে দেওয়া সাজার তীব্র সমালোচনা করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতা। এই রায়কে তাঁরা গভীর অবিচারের দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে দলটির পক্ষ থেকে এই রায়কে ‘ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। উল্লেখ করা হয়, রায় ঘোষণার সময় ইমরান খান নাকি আদিয়ালা জেলের ভেতরে স্থাপিত আদালতেই উপস্থিত ছিলেন।
পিটিআই জানিয়েছে, ইমরান খানের পরিবারের সদস্যদের আদালতকক্ষে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এই রুদ্ধদ্বার বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘অবাধ বা সুষ্ঠু কোনোটাই নয়’ বলে অভিহিত করে তারা অভিযোগ করে, এটি কার্যত ছিল ‘মিলিটারি ট্রায়াল’ বা সামরিক বিচার।
পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা ওমর আইয়ুব এক্সে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানে আইনের শাসন বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই।’ বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির প্রধান আখতার মঙ্গল প্রশ্ন তুলেছেন, তোশাখানা-সংক্রান্ত বিষয় বা দেশকে বিভক্ত করার মতো কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের কেন একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হয়নি। তিনি বলেন, ‘যাঁরা দেশ ও সংবিধান ভেঙেছেন, তাঁদের গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে।’ তিনি এই পরিস্থিতিকে ‘অবিচারের স্পষ্ট উদাহরণ’ বলে আখ্যা দেন।
তেহরিক তাহাফ্ফুজ আইন-ই-পাকিস্তানের নেতা আল্লামা নাসির আব্বাস বলেছেন, এই রায় জনগণের অধিকার ও সংসদ উভয়কেই খাটো করেছে। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীদের মনোবল ভেঙে দিতেই সরকার এমন অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একই দলের নেতা মোস্তফা নওয়াজ খোকার যুক্তি দেন, এই নিপীড়ন কেবল রাজনীতিবিদদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। উদাহরণ হিসেবে তিনি ইমান মাজারি, মতিউল্লাহ জান এবং বিচারপতি জাহাঙ্গীরির আইনি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন।
পিটিআইয়ের ফেরদৌস শামীম নকভি বলেন, এই রায় বিচারব্যবস্থার ত্রুটিগুলোকে উন্মোচিত করে দিয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দল হয়তো আদালত বর্জনের কথা ভাবতে পারে। তাঁর দাবি, কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬৫ হাজার মামলা রয়েছে এবং ‘মিথ্যা রায়গুলো বিপজ্জনক ব্যবধান তৈরি করছে’।
অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এই রায়ের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করার আগে আদালত যথেষ্ট প্রমাণ পর্যালোচনা করেছেন। তাঁর দাবি, ওই দম্পতি দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন এবং রায়টি সুষ্ঠু হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই তোশাখানা মামলায় খানের কারাদণ্ড কার্যকর হবে।

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন জানানোয় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ১৯১৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেন একত্রীকরণ স্মরণে সংসদে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান প্রণয়নের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
৩৫ মিনিট আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের বন্দিশিবিরে ফিলিস্তিনি কয়েদিদের ওপর কেমন অকথ্য নির্যাতন আর যৌন নিগ্রহ চলছে, তার প্রমাণ মিলল দুজনের অভিজ্ঞতায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে বন্দী নির্যাতনের যে হাড় হিম করা বিবরণ উঠে এসেছে, তাঁরা নিজেরাই তার শিকার।
৪ ঘণ্টা আগে