
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে সামনের সারিতেই লড়ছে সাইবার অপারেটররা। রুশ হ্যাকারদের বিরুদ্ধে অন্তর্জালে নতুন ধরনের এই উচ্চ প্রযুক্তির যুদ্ধ সমানতালেই করে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
বিবিসির কাছে সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনীয় সিকিউরিটি সার্ভিসের (এসবিইউ) সাইবার বিভাগের প্রধান ইলিয়া ভিটিউক বলেন, ‘আমাদের এমন লোক আছে, যারা সরাসরি যুদ্ধে জড়িত।’ অত্যন্ত সুরক্ষিত এসবিইউ সদর দপ্তরের ভেতরে বসে কীভাবে তাঁরা হ্যাকার ও বিশেষ বাহিনীর সম্মিলিত দক্ষতা ব্যবহার করে রুশ সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করছেন, তা ব্যাখ্যা করেন তিনি।
স্নাইপারদের সঙ্গে এসবিইউ কীভাবে কাজ করে, সর্বশেষ প্রযুক্তি কীভাবে কাজে লাগানো হয়-সেসব নিয়েও কথা বলেন ইউক্রেন সাইবার বিভাগের প্রধান। তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা, এরিয়াল ড্রোন যেমন স্যাটেলাইটসহ অন্যান্য টেকনিক্যাল সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের জন্য এসবিইউ ব্যবহার করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভিজ্যুয়াল রেকগনিশন সিস্টেম। সামরিক বাহিনীর কাছে শত্রুপক্ষের অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার কাজে লাগে এসব উচ্চ প্রযুক্তি।
ইলিয়া বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারি তারা (রাশিয়া) কোন ধরনের সামরিক অস্ত্র ব্যবহার করতে চলেছে এবং সেই অস্ত্রের নিশানা কোন দিকে।’
ইলিয়া ভিটিউক জানান, রুশ সৈন্যদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য তার দল অধিকৃত অঞ্চলে নজরদারি ক্যামেরাও হ্যাক করবে। ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ওপর নজরদারি করা রাশিয়ান ক্যামেরা ধ্বংস করার জন্য ক্যামিকেজ ড্রোন (সুইসাইড ড্রোন নামেও পরিচিত) ব্যবহারের কথাও জানান তিনি। আর এই কাজে নিযুক্ত দলের প্রায়শই ছদ্মবেশের প্রয়োজন হয়, যাতে তারা লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।
কখনো নজরদারি, কখনো অস্ত্র হিসেবে কাজ করার জন্য ব্যবহৃত ড্রোন এই সাইবার যুদ্ধে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। রুশ সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরা ধ্বংস করার জন্য এসবিইউ সাইবার টিম ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব ড্রোন। সেই সঙ্গে, রুশ ড্রোন শনাক্ত করার জন্য বিশেষ সেন্সর স্থাপন করে এসবিইউ সাইবার টিম। এতে করে কেবল ড্রোনগুলোকে আটকে ফেলাই নয়, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে অবতরণের নির্দেশও পাঠায় এসবিইউ সাইবার টিম।
আর এই সবই ঘটে যেতে পারে খুবই কম সময়ের মধ্যে। তাই, টিমের সদস্যদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। ভিটিউক বলেন, এ রকম পরিস্থিতিতে দলের একজন আরেকজনের নিরাপত্তার দিকটি দেখে। আশপাশে তাই নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থাও থাকতে হয়।
ইউক্রেনের রাজধানীর বাইরে সামরিক বাহিনীর অপারেটরদের ড্রোনের ব্যাপারে ট্রেনিং দেওয়া হয়। সেখানে ট্রেনিং পাওয়া আন্তন এক সময় ট্রাভেল গাইডের কাজ করতেন। ড্রোন চালানোও শিখেছিলেন সেই কাজের অংশ হিসেবে। বিবিসিকে তিনি জানান, কীভাবে ড্রোন চালাতে হয়, অপারেটরদের তা শেখানোই জরুরি নয়। বরং, শত্রুপক্ষের চোখে ধরা না পড়ে জীবিত থাকাটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে, ছোট ড্রোনগুলো উড়ানো হতো ১০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত। কিন্তু এখন রুশ জ্যামিং সংকেতকে ফাঁকি দিতে ইউক্রেনীয় অপারেটরদের যেতে হবে আরও কাছে। আন্তন ব্যাখ্যা করে বলেন, দুই পক্ষের ফ্রন্টলাইনের দূরত্ব এখন ছোট হয়ে আসছে। রুশ জ্যামিং সংকেতের চেয়ে আমাদের সংযোগ বেশি শক্তিশালী করতে হবে।
ইলিয়া ভিটিউক জানান, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ বেগবান করা এবং ইউক্রেনের জব্দকৃত ডিভাইসগুলোর তথ্য দ্রুত বের করতে রুশ ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসও তাদের সাইবার টিমগুলোকে ফ্রন্টলাইনের কাছে নিয়ে এসেছে। ইউক্রেনীয় ডিভাইস জব্দ করার পর তা ইউক্রেনীয়রা টের পাওয়ার আগেই রুশ বাহিনীর কাছে তথ্যগুলো পেয়ে যাওয়াটা জরুরি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের আগেও সাইবার সংঘাত ছিল সামরিক অভিযানের সঙ্গে জোরালোভাবে আবদ্ধ। তার এক মাস আগে ইউক্রেনের পাবলিক ওয়েবসাইট অফলাইন করে দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। ভিটিউক বলেন, ‘অবশ্যই এই লড়াই মনস্তাত্ত্বিক। ইউক্রেন বেশিরভাগ সিস্টেমই পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু আক্রমণের কয়েক ঘণ্টা আগে শুরু হয় নতুন আরেক যুদ্ধ। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী কয়েক ঘণ্টা যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করেছিল মার্কিন স্যাটেলাইট। সেটিকেও অকার্যকর করে দেয় রুশ সাইবার টিম।’
দ্রুত বিজয় অর্জনে রাশিয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় এবং নৃশংসতার প্রতিবেদন বিশ্ববাসীর কাছে প্রকাশিত হওয়ায় তথ্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বও বেড়ে যায়। ২০২২ সালের ১ মার্চ কিয়েভের একটি টিভি টাওয়ারকে লক্ষ্য করে একযোগে চালানো হয় সাইবার এবং ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ। ইউক্রেনের যোগাযোগ রক্ষাকারী রাষ্ট্রীয় পরিষেবার প্রধান ইউরি শাইহোল বলেন, ‘রুশ বাহিনী চেষ্টা করছিল, যাতে ইউক্রেনীয়রা সত্যি তথ্য না পায়।’
তিনি জানান, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য প্রকৌশলীরা পুরো শহর ঘুরেছিল। এবং, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবারও শুরু হয় টিভি সম্প্রচার।
ইউরি শাইহোল বলেন, রুশ আগ্রাসনকে ইউক্রেন যে প্রতিরোধ করতে পেরেছে তার কৃতিত্ব অনেকাংশেই আমাদের বিশেষজ্ঞদের, যারা সিস্টেমটি তৈরি করেছেন। বিশেষজ্ঞ দলসহ আমাদের অংশীদারদেরও সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।
ইউক্রেনের নিজস্ব প্রযুক্তিকর্মীরা যুদ্ধে সাধ্যমতো কাজ করছে। কিয়েভের এক ভাঙাচোরা অফিসে তরুণ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক ব্যাখ্যা করেছেন যে, কীভাবে তারা গ্রিসেল্ডা নামে একটি সিস্টেম তৈরি করেছেন যা দিয়ে সামাজিক মাধ্যম ও অন্যান্য উৎস থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বের করে নতুন পরিস্থিতিতে কাজে লাগবে এমন সমাধান দেওয়া সম্ভব হয়। এমনকি, এই সিস্টেমের সাহায্যে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এবং সরকারও উপকৃত হয়েছে। কোথায় মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে, কিংবা কোন ভবনের মেরামত জরুরি; তা খুঁজে বের করার কাজেও সহায়তা করেছে গ্রিসেল্ডা।
রুশ স্পাই সার্ভিসের হ্যাকারদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে ইলিয়া ভিটিউকের সাইবার টিম। রুশ হ্যাকারদের কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করা এবং তাদের ফোনকল শোনার মাধ্যমেই মূলত এই কাজ চালানো হয় বলে তিনি জানান। দুই দেশের হ্যাকাররা কেমন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করছে তার তুলনা করে ভিটিউক বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলি, রাশিয়ান হ্যাকারদের নিয়ে সব রহস্য উন্মোচন করেছে ইউক্রেন।’
তিনি জানান, রাশিয়ার সাইবার আক্রমণকে প্রতিহত করতে নিজেদের নির্মিত সিস্টেমের সহায়তা নিচ্ছে ইউক্রেন। মস্কো এখন তাদের সাইবার সক্ষমতা নিংড়ে দিয়ে আক্রমণ করছে ইউক্রেনকে। পশ্চিমাদের আক্রমণ করার মতো অবস্থায় এখন আর নেই রাশিয়া। ভিটিউক সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি যুদ্ধে পরাজিত হয় তবে রুশ আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে আসবে অন্য কেউ। কিন্তু রুশদের বিপক্ষে লড়তে গিয়ে ইউক্রেন এবং অন্যান্য মিত্ররাও নতুন করে শিখছে কীভাবে প্রযুক্তিকে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায়।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে সামনের সারিতেই লড়ছে সাইবার অপারেটররা। রুশ হ্যাকারদের বিরুদ্ধে অন্তর্জালে নতুন ধরনের এই উচ্চ প্রযুক্তির যুদ্ধ সমানতালেই করে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
বিবিসির কাছে সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনীয় সিকিউরিটি সার্ভিসের (এসবিইউ) সাইবার বিভাগের প্রধান ইলিয়া ভিটিউক বলেন, ‘আমাদের এমন লোক আছে, যারা সরাসরি যুদ্ধে জড়িত।’ অত্যন্ত সুরক্ষিত এসবিইউ সদর দপ্তরের ভেতরে বসে কীভাবে তাঁরা হ্যাকার ও বিশেষ বাহিনীর সম্মিলিত দক্ষতা ব্যবহার করে রুশ সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করছেন, তা ব্যাখ্যা করেন তিনি।
স্নাইপারদের সঙ্গে এসবিইউ কীভাবে কাজ করে, সর্বশেষ প্রযুক্তি কীভাবে কাজে লাগানো হয়-সেসব নিয়েও কথা বলেন ইউক্রেন সাইবার বিভাগের প্রধান। তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা, এরিয়াল ড্রোন যেমন স্যাটেলাইটসহ অন্যান্য টেকনিক্যাল সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের জন্য এসবিইউ ব্যবহার করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভিজ্যুয়াল রেকগনিশন সিস্টেম। সামরিক বাহিনীর কাছে শত্রুপক্ষের অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার কাজে লাগে এসব উচ্চ প্রযুক্তি।
ইলিয়া বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারি তারা (রাশিয়া) কোন ধরনের সামরিক অস্ত্র ব্যবহার করতে চলেছে এবং সেই অস্ত্রের নিশানা কোন দিকে।’
ইলিয়া ভিটিউক জানান, রুশ সৈন্যদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য তার দল অধিকৃত অঞ্চলে নজরদারি ক্যামেরাও হ্যাক করবে। ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ওপর নজরদারি করা রাশিয়ান ক্যামেরা ধ্বংস করার জন্য ক্যামিকেজ ড্রোন (সুইসাইড ড্রোন নামেও পরিচিত) ব্যবহারের কথাও জানান তিনি। আর এই কাজে নিযুক্ত দলের প্রায়শই ছদ্মবেশের প্রয়োজন হয়, যাতে তারা লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।
কখনো নজরদারি, কখনো অস্ত্র হিসেবে কাজ করার জন্য ব্যবহৃত ড্রোন এই সাইবার যুদ্ধে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। রুশ সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরা ধ্বংস করার জন্য এসবিইউ সাইবার টিম ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব ড্রোন। সেই সঙ্গে, রুশ ড্রোন শনাক্ত করার জন্য বিশেষ সেন্সর স্থাপন করে এসবিইউ সাইবার টিম। এতে করে কেবল ড্রোনগুলোকে আটকে ফেলাই নয়, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে অবতরণের নির্দেশও পাঠায় এসবিইউ সাইবার টিম।
আর এই সবই ঘটে যেতে পারে খুবই কম সময়ের মধ্যে। তাই, টিমের সদস্যদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। ভিটিউক বলেন, এ রকম পরিস্থিতিতে দলের একজন আরেকজনের নিরাপত্তার দিকটি দেখে। আশপাশে তাই নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থাও থাকতে হয়।
ইউক্রেনের রাজধানীর বাইরে সামরিক বাহিনীর অপারেটরদের ড্রোনের ব্যাপারে ট্রেনিং দেওয়া হয়। সেখানে ট্রেনিং পাওয়া আন্তন এক সময় ট্রাভেল গাইডের কাজ করতেন। ড্রোন চালানোও শিখেছিলেন সেই কাজের অংশ হিসেবে। বিবিসিকে তিনি জানান, কীভাবে ড্রোন চালাতে হয়, অপারেটরদের তা শেখানোই জরুরি নয়। বরং, শত্রুপক্ষের চোখে ধরা না পড়ে জীবিত থাকাটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে, ছোট ড্রোনগুলো উড়ানো হতো ১০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত। কিন্তু এখন রুশ জ্যামিং সংকেতকে ফাঁকি দিতে ইউক্রেনীয় অপারেটরদের যেতে হবে আরও কাছে। আন্তন ব্যাখ্যা করে বলেন, দুই পক্ষের ফ্রন্টলাইনের দূরত্ব এখন ছোট হয়ে আসছে। রুশ জ্যামিং সংকেতের চেয়ে আমাদের সংযোগ বেশি শক্তিশালী করতে হবে।
ইলিয়া ভিটিউক জানান, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ বেগবান করা এবং ইউক্রেনের জব্দকৃত ডিভাইসগুলোর তথ্য দ্রুত বের করতে রুশ ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসও তাদের সাইবার টিমগুলোকে ফ্রন্টলাইনের কাছে নিয়ে এসেছে। ইউক্রেনীয় ডিভাইস জব্দ করার পর তা ইউক্রেনীয়রা টের পাওয়ার আগেই রুশ বাহিনীর কাছে তথ্যগুলো পেয়ে যাওয়াটা জরুরি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের আগেও সাইবার সংঘাত ছিল সামরিক অভিযানের সঙ্গে জোরালোভাবে আবদ্ধ। তার এক মাস আগে ইউক্রেনের পাবলিক ওয়েবসাইট অফলাইন করে দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। ভিটিউক বলেন, ‘অবশ্যই এই লড়াই মনস্তাত্ত্বিক। ইউক্রেন বেশিরভাগ সিস্টেমই পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু আক্রমণের কয়েক ঘণ্টা আগে শুরু হয় নতুন আরেক যুদ্ধ। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী কয়েক ঘণ্টা যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করেছিল মার্কিন স্যাটেলাইট। সেটিকেও অকার্যকর করে দেয় রুশ সাইবার টিম।’
দ্রুত বিজয় অর্জনে রাশিয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় এবং নৃশংসতার প্রতিবেদন বিশ্ববাসীর কাছে প্রকাশিত হওয়ায় তথ্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বও বেড়ে যায়। ২০২২ সালের ১ মার্চ কিয়েভের একটি টিভি টাওয়ারকে লক্ষ্য করে একযোগে চালানো হয় সাইবার এবং ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ। ইউক্রেনের যোগাযোগ রক্ষাকারী রাষ্ট্রীয় পরিষেবার প্রধান ইউরি শাইহোল বলেন, ‘রুশ বাহিনী চেষ্টা করছিল, যাতে ইউক্রেনীয়রা সত্যি তথ্য না পায়।’
তিনি জানান, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য প্রকৌশলীরা পুরো শহর ঘুরেছিল। এবং, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবারও শুরু হয় টিভি সম্প্রচার।
ইউরি শাইহোল বলেন, রুশ আগ্রাসনকে ইউক্রেন যে প্রতিরোধ করতে পেরেছে তার কৃতিত্ব অনেকাংশেই আমাদের বিশেষজ্ঞদের, যারা সিস্টেমটি তৈরি করেছেন। বিশেষজ্ঞ দলসহ আমাদের অংশীদারদেরও সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।
ইউক্রেনের নিজস্ব প্রযুক্তিকর্মীরা যুদ্ধে সাধ্যমতো কাজ করছে। কিয়েভের এক ভাঙাচোরা অফিসে তরুণ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক ব্যাখ্যা করেছেন যে, কীভাবে তারা গ্রিসেল্ডা নামে একটি সিস্টেম তৈরি করেছেন যা দিয়ে সামাজিক মাধ্যম ও অন্যান্য উৎস থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বের করে নতুন পরিস্থিতিতে কাজে লাগবে এমন সমাধান দেওয়া সম্ভব হয়। এমনকি, এই সিস্টেমের সাহায্যে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এবং সরকারও উপকৃত হয়েছে। কোথায় মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে, কিংবা কোন ভবনের মেরামত জরুরি; তা খুঁজে বের করার কাজেও সহায়তা করেছে গ্রিসেল্ডা।
রুশ স্পাই সার্ভিসের হ্যাকারদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে ইলিয়া ভিটিউকের সাইবার টিম। রুশ হ্যাকারদের কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করা এবং তাদের ফোনকল শোনার মাধ্যমেই মূলত এই কাজ চালানো হয় বলে তিনি জানান। দুই দেশের হ্যাকাররা কেমন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করছে তার তুলনা করে ভিটিউক বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলি, রাশিয়ান হ্যাকারদের নিয়ে সব রহস্য উন্মোচন করেছে ইউক্রেন।’
তিনি জানান, রাশিয়ার সাইবার আক্রমণকে প্রতিহত করতে নিজেদের নির্মিত সিস্টেমের সহায়তা নিচ্ছে ইউক্রেন। মস্কো এখন তাদের সাইবার সক্ষমতা নিংড়ে দিয়ে আক্রমণ করছে ইউক্রেনকে। পশ্চিমাদের আক্রমণ করার মতো অবস্থায় এখন আর নেই রাশিয়া। ভিটিউক সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি যুদ্ধে পরাজিত হয় তবে রুশ আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে আসবে অন্য কেউ। কিন্তু রুশদের বিপক্ষে লড়তে গিয়ে ইউক্রেন এবং অন্যান্য মিত্ররাও নতুন করে শিখছে কীভাবে প্রযুক্তিকে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায়।

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
২২ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইংরেজি নববর্ষের (২০২৬) প্রাক্কালে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় একীভূত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেইজিং থেকে প্রচারিত ভাষণে সি বলেছেন, মাতৃভূমির পুনর্মিলন সময়ের দাবি এবং এটি একটি অপ্রতিরোধ্য ধারা, যা কেউ থামাতে পারবে না।
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পর সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সি চিন পিংয়ের ভাষণের আগে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার তাইওয়ান ঘিরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধের অনুকরণে এই মহড়া চালায় পিএলএ। এতে চীনা নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্ট গার্ড অংশ নেয়।
এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৯টি যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় অংশ নেয়। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রেকর্ড ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রতিবাদেই বেইজিং এই কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে দেওয়া ভাষণে সি বলেন, চীন ‘খোলা বাহুতে বিশ্বকে আলিঙ্গন করছে’। তিনি এ বছর বেইজিংয়ে আয়োজিত কয়েকটি বহুপক্ষীয় সম্মেলনের কথাও তুলে ধরেন। এর মধ্যে আগস্টে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন সামিটের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ বিশ্বনেতারা অংশ নেন। সম্মেলনটি বেইজিংয়ের কাছের বন্দরনগরী তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিত হয়।
সির ভাষণের সময় চীনের রাষ্ট্রীয় টিভিতে গত সেপ্টেম্বরের বিশাল সামরিক প্যারেডের দৃশ্য দেখানো হয়, যেখানে সি চিন পিংয়ের পাশে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা এই জোটকে ‘অ্যাক্সিস অব আপহিভ্যাল’ বা অস্থিরতার অক্ষ হিসেবে অভিহিত করছেন।
ভাষণে সি চিন পিং ‘তাইওয়ান রেট্রোসেশন ডে’ বা তাইওয়ান প্রত্যাবর্তন (২৫ অক্টোবর) দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ১৯৪৫ সালের এই দিনেই তাইওয়ানে জাপানি ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হয়। তবে চীন এখন এ দিনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে।
সির ভাষণে চীনের উচ্চপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরা হয়। তিনি কিকবক্সিং রোবট এবং মে মাসে উৎক্ষেপণ করা ধূমকেতু অনুসন্ধান মিশন ‘তিয়ানওয়েন-২’-এর কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি ভিডিও গেম ব্ল্যাক মিথ: উকং এবং অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘নে ঝা ২’-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে চীনা সংস্কৃতির জয়গান করেন।

ইংরেজি নববর্ষের (২০২৬) প্রাক্কালে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় একীভূত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেইজিং থেকে প্রচারিত ভাষণে সি বলেছেন, মাতৃভূমির পুনর্মিলন সময়ের দাবি এবং এটি একটি অপ্রতিরোধ্য ধারা, যা কেউ থামাতে পারবে না।
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পর সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সি চিন পিংয়ের ভাষণের আগে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার তাইওয়ান ঘিরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধের অনুকরণে এই মহড়া চালায় পিএলএ। এতে চীনা নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্ট গার্ড অংশ নেয়।
এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৯টি যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় অংশ নেয়। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রেকর্ড ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রতিবাদেই বেইজিং এই কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে দেওয়া ভাষণে সি বলেন, চীন ‘খোলা বাহুতে বিশ্বকে আলিঙ্গন করছে’। তিনি এ বছর বেইজিংয়ে আয়োজিত কয়েকটি বহুপক্ষীয় সম্মেলনের কথাও তুলে ধরেন। এর মধ্যে আগস্টে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন সামিটের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ বিশ্বনেতারা অংশ নেন। সম্মেলনটি বেইজিংয়ের কাছের বন্দরনগরী তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিত হয়।
সির ভাষণের সময় চীনের রাষ্ট্রীয় টিভিতে গত সেপ্টেম্বরের বিশাল সামরিক প্যারেডের দৃশ্য দেখানো হয়, যেখানে সি চিন পিংয়ের পাশে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা এই জোটকে ‘অ্যাক্সিস অব আপহিভ্যাল’ বা অস্থিরতার অক্ষ হিসেবে অভিহিত করছেন।
ভাষণে সি চিন পিং ‘তাইওয়ান রেট্রোসেশন ডে’ বা তাইওয়ান প্রত্যাবর্তন (২৫ অক্টোবর) দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ১৯৪৫ সালের এই দিনেই তাইওয়ানে জাপানি ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হয়। তবে চীন এখন এ দিনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে।
সির ভাষণে চীনের উচ্চপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরা হয়। তিনি কিকবক্সিং রোবট এবং মে মাসে উৎক্ষেপণ করা ধূমকেতু অনুসন্ধান মিশন ‘তিয়ানওয়েন-২’-এর কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি ভিডিও গেম ব্ল্যাক মিথ: উকং এবং অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘নে ঝা ২’-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে চীনা সংস্কৃতির জয়গান করেন।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে সামনের সারিতেই লড়ছে সাইবার অপারেটররা। রুশ হ্যাকারদের বিরুদ্ধে অন্তর্জালে নতুন ধরনের এই উচ্চ প্রযুক্তির যুদ্ধ সমানতালেই করে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কয়েক মাস ধরে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ দেখা গেলেও সম্প্রতি বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাঁর বাম হাতের পেছনেও একই ধরনের দাগ লক্ষ করা গেছে। হোয়াইট হাউস এর আগে ডান হাতের দাগের কারণ হিসেবে ‘অতিরিক্ত করমর্দন’ ও নিয়মিত ‘অ্যাসপিরিন’ সেবনের কথা বলেছিল। তবে এই নতুন দাগ হোয়াইট হাউসের আগের ব্যাখ্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, নতুন এই দাগ নিয়ে তাৎক্ষণিক উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তাঁদের মতে, এটি বয়সজনিত সাধারণ একটি অবস্থা হতে পারে। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেছেন, ট্রাম্প তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অনিচ্ছুক থাকায় বিষয়টি নিয়ে যে নজরদারি চলছে, তা আরও বাড়তে পারে।
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফাইনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের জেনারেল ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেফ্রি লিন্ডার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, তাঁরা কৌতূহলের এই চক্রটাকেই আরও উসকে দিচ্ছেন। তিনি সব সময় মানুষের সামনে যান, তাঁর একটা ভাবমূর্তি আছে। এমন ছোট বিষয়ও সেই ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। বিষয়টি তাঁর জন্য সংবেদনশীল। কারণ, তিনি প্রায়ই নিজের কর্মশক্তি ও উদ্যমের কথা বলেন।
গত বছরের নির্বাচনের আগে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স ও মানসিক-শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ উসকে দিয়েছিলেন। ৮৩ বছর বয়সী বাইডেনকে তিনি এখনো তুলনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়ই বলেন, ‘আপনি কি মনে করেন, বাইডেন এটা করতে পারতেন?’
তবে তুলনামূলকভাবে ব্যস্ত সূচি বজায় রাখলেও ট্রাম্প নিজেও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রশ্ন এড়াতে পারেননি। গ্রীষ্মকালে তাঁর পা ফুলে যাওয়ার ছবি প্রকাশের পর হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্প ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ নামে একধরনের শিরার রোগে আক্রান্ত। এটি সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্পের বাঁ হাতের দাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউস নতুন কোনো ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনগণের মানুষ। তিনি প্রতিদিন ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি মানুষের সঙ্গে দেখা করেন ও হাত মেলান।
কিন্তু একাধিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ সিএনএনকে বলেছেন, ট্রাম্প যেহেতু ডানহাতি, তাই বাঁ হাতের দাগ কেবল হাত মেলানোর কারণেই হয়েছে—এমন সম্ভাবনা কম। তবে হ্যাঁ, বয়স ও অ্যাসপিরিন সেবনের কারণে এমন দাগ দেখা দিতে পারে।
জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির দীর্ঘদিনের চিকিৎসক জোনাথন রাইনার বলেন, কখনো কখনো সামান্য আঘাত বা কোথাও ধাক্কা লাগলেও এমন দাগ হতে পারে।
রাইনার জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে কখনো পরীক্ষা করেননি। তবে তিনি বলেন, অ্যাসপিরিনের চেয়ে শক্তিশালী ওষুধ সেবনকারীদের মধ্যেও এমন দাগ দেখা যায়। এতে প্রশ্ন উঠেছে—ট্রাম্প কি তাঁর সব ওষুধের তথ্য প্রকাশ করেছেন?
রাইনার অবশ্য বলেছেন, এমন ওষুধ সেবন করা খুবই সাধারণ এবং এটি বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি অফিসে থাকাকালে বাইডেনের ‘ইলিকুইস’ নামে রক্ত পাতলা করার ওষুধ ব্যবহারের তথ্য প্রকাশের কথা উল্লেখ করেন।
রাইনার বলেন, এখন প্রশ্নটা চিকিৎসার চেয়ে স্বচ্ছতা নিয়ে বেশি। হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের ওষুধসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব না দিয়ে স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত নজরদারির সমালোচনাই বেশি করে।
এদিকে হোয়াইট হাউসে ফেরার আগে থেকে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ ছিল। তিনি সেটি ভারী মেকআপ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢাকতে শুরু করলে এবং ক্যামেরা থেকে আড়াল করতে অন্য হাত ব্যবহার করলে বিষয়টি আরও আলোচনায় আসে।
ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি রোগের তথ্য জানানোর সময়ই হোয়াইট হাউস ডান হাতের দাগের প্রসঙ্গ তোলে। সে সময় তাঁর চিকিৎসকের চিঠিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। তিনি সব দিক থেকে সুস্থ আছেন।
গত এপ্রিলে করা শারীরিক পরীক্ষার পর অক্টোবরে হঠাৎ আবার ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে যান ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস তখন এটিকে ‘রুটিন’ পরীক্ষা বললেও পরে ট্রাম্প নিজেই জানান, তাঁর এমআরআই করা হয়েছিল। শুরুতে তিনি বলেন, ফলাফল ‘ভালো’, তবে কোন অংশের স্ক্যান হয়েছে—তা তিনি জানেন না বলে জানান। এই অস্পষ্টতায় নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।
কয়েক সপ্তাহ পর ট্রাম্পের চিকিৎসক শন বারবাবেলা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও পেটের অংশের ইমেজিং করা হয়েছে এবং ফলাফল ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক’। তিনি বলেন, এই বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন পরীক্ষা উপকারী।
তবে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক রাইনার তখন বলেন, এ ধরনের পরীক্ষা সাধারণ নিয়ম নয় এবং এটি সম্ভবত কোনো চিকিৎসাজনিত উদ্বেগ থেকেই করা হয়েছে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন।
গত মাসে ওভাল অফিসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়তে দেখা যায়। কিন্তু এমন দাবি নাকচ করে হোয়াইট হাউস একে ‘ভিত্তিহীন গল্প’ বলে উড়িয়ে দেয়। পরে এটি নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদন ছাপা হলে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তবে চলতি মাসে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তাঁকে আবারও তন্দ্রাচ্ছন্ন দেখা যায়।
এখন বাঁ হাতের দাগের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেনশিয়াল ইতিহাসবিদ টিমোথি নাফতালি বলেন, প্রেসিডেন্ট তরুণ নন। যখন শক্তির ভাবমূর্তি অতিরিক্তভাবে তুলে ধরা হয়, তখন সামান্য দুর্বলতাও বড় হয়ে ধরা দেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কয়েক মাস ধরে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ দেখা গেলেও সম্প্রতি বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাঁর বাম হাতের পেছনেও একই ধরনের দাগ লক্ষ করা গেছে। হোয়াইট হাউস এর আগে ডান হাতের দাগের কারণ হিসেবে ‘অতিরিক্ত করমর্দন’ ও নিয়মিত ‘অ্যাসপিরিন’ সেবনের কথা বলেছিল। তবে এই নতুন দাগ হোয়াইট হাউসের আগের ব্যাখ্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, নতুন এই দাগ নিয়ে তাৎক্ষণিক উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তাঁদের মতে, এটি বয়সজনিত সাধারণ একটি অবস্থা হতে পারে। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেছেন, ট্রাম্প তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অনিচ্ছুক থাকায় বিষয়টি নিয়ে যে নজরদারি চলছে, তা আরও বাড়তে পারে।
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফাইনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের জেনারেল ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেফ্রি লিন্ডার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, তাঁরা কৌতূহলের এই চক্রটাকেই আরও উসকে দিচ্ছেন। তিনি সব সময় মানুষের সামনে যান, তাঁর একটা ভাবমূর্তি আছে। এমন ছোট বিষয়ও সেই ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। বিষয়টি তাঁর জন্য সংবেদনশীল। কারণ, তিনি প্রায়ই নিজের কর্মশক্তি ও উদ্যমের কথা বলেন।
গত বছরের নির্বাচনের আগে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স ও মানসিক-শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ উসকে দিয়েছিলেন। ৮৩ বছর বয়সী বাইডেনকে তিনি এখনো তুলনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়ই বলেন, ‘আপনি কি মনে করেন, বাইডেন এটা করতে পারতেন?’
তবে তুলনামূলকভাবে ব্যস্ত সূচি বজায় রাখলেও ট্রাম্প নিজেও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রশ্ন এড়াতে পারেননি। গ্রীষ্মকালে তাঁর পা ফুলে যাওয়ার ছবি প্রকাশের পর হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্প ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ নামে একধরনের শিরার রোগে আক্রান্ত। এটি সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্পের বাঁ হাতের দাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউস নতুন কোনো ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনগণের মানুষ। তিনি প্রতিদিন ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি মানুষের সঙ্গে দেখা করেন ও হাত মেলান।
কিন্তু একাধিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ সিএনএনকে বলেছেন, ট্রাম্প যেহেতু ডানহাতি, তাই বাঁ হাতের দাগ কেবল হাত মেলানোর কারণেই হয়েছে—এমন সম্ভাবনা কম। তবে হ্যাঁ, বয়স ও অ্যাসপিরিন সেবনের কারণে এমন দাগ দেখা দিতে পারে।
জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির দীর্ঘদিনের চিকিৎসক জোনাথন রাইনার বলেন, কখনো কখনো সামান্য আঘাত বা কোথাও ধাক্কা লাগলেও এমন দাগ হতে পারে।
রাইনার জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে কখনো পরীক্ষা করেননি। তবে তিনি বলেন, অ্যাসপিরিনের চেয়ে শক্তিশালী ওষুধ সেবনকারীদের মধ্যেও এমন দাগ দেখা যায়। এতে প্রশ্ন উঠেছে—ট্রাম্প কি তাঁর সব ওষুধের তথ্য প্রকাশ করেছেন?
রাইনার অবশ্য বলেছেন, এমন ওষুধ সেবন করা খুবই সাধারণ এবং এটি বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি অফিসে থাকাকালে বাইডেনের ‘ইলিকুইস’ নামে রক্ত পাতলা করার ওষুধ ব্যবহারের তথ্য প্রকাশের কথা উল্লেখ করেন।
রাইনার বলেন, এখন প্রশ্নটা চিকিৎসার চেয়ে স্বচ্ছতা নিয়ে বেশি। হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের ওষুধসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব না দিয়ে স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত নজরদারির সমালোচনাই বেশি করে।
এদিকে হোয়াইট হাউসে ফেরার আগে থেকে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ ছিল। তিনি সেটি ভারী মেকআপ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢাকতে শুরু করলে এবং ক্যামেরা থেকে আড়াল করতে অন্য হাত ব্যবহার করলে বিষয়টি আরও আলোচনায় আসে।
ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি রোগের তথ্য জানানোর সময়ই হোয়াইট হাউস ডান হাতের দাগের প্রসঙ্গ তোলে। সে সময় তাঁর চিকিৎসকের চিঠিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। তিনি সব দিক থেকে সুস্থ আছেন।
গত এপ্রিলে করা শারীরিক পরীক্ষার পর অক্টোবরে হঠাৎ আবার ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে যান ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস তখন এটিকে ‘রুটিন’ পরীক্ষা বললেও পরে ট্রাম্প নিজেই জানান, তাঁর এমআরআই করা হয়েছিল। শুরুতে তিনি বলেন, ফলাফল ‘ভালো’, তবে কোন অংশের স্ক্যান হয়েছে—তা তিনি জানেন না বলে জানান। এই অস্পষ্টতায় নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।
কয়েক সপ্তাহ পর ট্রাম্পের চিকিৎসক শন বারবাবেলা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও পেটের অংশের ইমেজিং করা হয়েছে এবং ফলাফল ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক’। তিনি বলেন, এই বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন পরীক্ষা উপকারী।
তবে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক রাইনার তখন বলেন, এ ধরনের পরীক্ষা সাধারণ নিয়ম নয় এবং এটি সম্ভবত কোনো চিকিৎসাজনিত উদ্বেগ থেকেই করা হয়েছে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন।
গত মাসে ওভাল অফিসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়তে দেখা যায়। কিন্তু এমন দাবি নাকচ করে হোয়াইট হাউস একে ‘ভিত্তিহীন গল্প’ বলে উড়িয়ে দেয়। পরে এটি নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদন ছাপা হলে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তবে চলতি মাসে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তাঁকে আবারও তন্দ্রাচ্ছন্ন দেখা যায়।
এখন বাঁ হাতের দাগের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেনশিয়াল ইতিহাসবিদ টিমোথি নাফতালি বলেন, প্রেসিডেন্ট তরুণ নন। যখন শক্তির ভাবমূর্তি অতিরিক্তভাবে তুলে ধরা হয়, তখন সামান্য দুর্বলতাও বড় হয়ে ধরা দেয়।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে সামনের সারিতেই লড়ছে সাইবার অপারেটররা। রুশ হ্যাকারদের বিরুদ্ধে অন্তর্জালে নতুন ধরনের এই উচ্চ প্রযুক্তির যুদ্ধ সমানতালেই করে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
২২ মিনিট আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবালক হওয়ার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব (খতনা) পালন করতে গিয়ে গত দুই মাসে অন্তত ৪১ জন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত তরুণদের অধিকাংশই খতনাপরবর্তী সংক্রমণ ও ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪১ তরুণের মৃত্যুর পেছনে স্কুলগুলোর চরম অবহেলা ও অভিভাবকদের অসচেতনতাই দায়ী। তিনি জানান, যেসব স্কুলে খতনার অনুষ্ঠান হয়, তারা অনেক সময় তরুণদের পানি পান করতে বাধা দেয়। তাদের ধারণা, পানি না খেলে ক্ষত দ্রুত শুকাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে এটি মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী, যেসব স্কুলে খতনা করানো হয়, তাদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশটিতে প্রচুর অবৈধ স্কুল গড়ে উঠেছে, যেখানে ১৬ বছরের নিচেও খতনা করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর অধিকাংশ মৃত্যু এসব অনিবন্ধিত স্কুলেই ঘটেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আর কোনো খোঁজ নেন না বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা-ও তদারকি করেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশকে এই মৃত্যুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২১ জন তরুণ মারা গেছে। এ ছাড়া ফ্রি স্টেট প্রদেশে ১৩ জন এবং অন্যান্য এলাকায় আরও সাতজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা আরও জানান, অবৈধ স্কুলগুলোতে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সংক্রমণের শিকার হয়ে আরও প্রায় ২০০ জন তরুণ বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আফ্রিকান সংস্কৃতিতে ছেলেদের ঘর থেকে দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো অস্ত্রোপচার ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খতনা। উৎসব শেষে তরুণেরা যখন বাড়ি ফেরে, তখন বড় ধরনের উদ্যাপন করা হয়। তবে প্রতিবছরই এই ‘ম্যানহুড’ বা পুরুষত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় শত শত তরুণ পঙ্গুত্ববরণ করে কিংবা প্রাণ হারায়।
তবে দেশটির সরকার এবার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব অংশীদারকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন ডাকা হবে, যাতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবালক হওয়ার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব (খতনা) পালন করতে গিয়ে গত দুই মাসে অন্তত ৪১ জন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত তরুণদের অধিকাংশই খতনাপরবর্তী সংক্রমণ ও ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪১ তরুণের মৃত্যুর পেছনে স্কুলগুলোর চরম অবহেলা ও অভিভাবকদের অসচেতনতাই দায়ী। তিনি জানান, যেসব স্কুলে খতনার অনুষ্ঠান হয়, তারা অনেক সময় তরুণদের পানি পান করতে বাধা দেয়। তাদের ধারণা, পানি না খেলে ক্ষত দ্রুত শুকাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে এটি মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী, যেসব স্কুলে খতনা করানো হয়, তাদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশটিতে প্রচুর অবৈধ স্কুল গড়ে উঠেছে, যেখানে ১৬ বছরের নিচেও খতনা করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর অধিকাংশ মৃত্যু এসব অনিবন্ধিত স্কুলেই ঘটেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আর কোনো খোঁজ নেন না বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা-ও তদারকি করেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশকে এই মৃত্যুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২১ জন তরুণ মারা গেছে। এ ছাড়া ফ্রি স্টেট প্রদেশে ১৩ জন এবং অন্যান্য এলাকায় আরও সাতজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা আরও জানান, অবৈধ স্কুলগুলোতে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সংক্রমণের শিকার হয়ে আরও প্রায় ২০০ জন তরুণ বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আফ্রিকান সংস্কৃতিতে ছেলেদের ঘর থেকে দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো অস্ত্রোপচার ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খতনা। উৎসব শেষে তরুণেরা যখন বাড়ি ফেরে, তখন বড় ধরনের উদ্যাপন করা হয়। তবে প্রতিবছরই এই ‘ম্যানহুড’ বা পুরুষত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় শত শত তরুণ পঙ্গুত্ববরণ করে কিংবা প্রাণ হারায়।
তবে দেশটির সরকার এবার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব অংশীদারকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন ডাকা হবে, যাতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে সামনের সারিতেই লড়ছে সাইবার অপারেটররা। রুশ হ্যাকারদের বিরুদ্ধে অন্তর্জালে নতুন ধরনের এই উচ্চ প্রযুক্তির যুদ্ধ সমানতালেই করে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
২২ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে সামনের সারিতেই লড়ছে সাইবার অপারেটররা। রুশ হ্যাকারদের বিরুদ্ধে অন্তর্জালে নতুন ধরনের এই উচ্চ প্রযুক্তির যুদ্ধ সমানতালেই করে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
২২ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে