
ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাফতোগ্যাজ ও গ্যাজপ্রমের মধ্যকার চুক্তির শেষ দিন ছিল ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তার আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, তাঁর দেশ আর নিজ ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে রাশিয়ার গ্যাস ইউরোপে যাওয়ার সুবিধা দেবে না।
ইউক্রেন আগে থেকেই সতর্ক করেছিল, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সামরিক সংঘাতের মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রানজিট চুক্তি তারা নবায়ন করবে না। এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী হারমান গালুশচেঙ্কো বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার গ্যাস ট্রানজিট বন্ধ করেছি। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। রাশিয়া তার বাজার হারাচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ইউরোপ এরই মধ্যে রাশিয়ার গ্যাস আর ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
রাশিয়ার জ্বালানি জায়ান্ট গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে গতকাল বুধবার মস্কো সময় সকাল ৮টা থেকে ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বারবার এবং স্পষ্টভাবে এই চুক্তি নবায়নের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে, গ্যাজপ্রম প্রযুক্তিগত এবং আইনি দিক থেকে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করার ক্ষমতা হারিয়েছে।’
রাশিয়া ইউক্রেনের ভূখণ্ড দিয়ে স্লোভাকিয়া, মলদোভা, হাঙ্গেরিসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে সরবরাহ করে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার গ্যাস ইউরোপে যাওয়া বন্ধ হলেও এই বিষয়টিকে বড় করে দেখতে নারাজ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, ‘কমিশন প্রায় এক বছর ধরে এমন একটি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যেখানে ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।’
তবে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গতকাল বুধবার এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এর মূল্য দিতে হবে ইউরোপকেই।’ এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের মাধ্যমে গ্যাস ট্রানজিট বন্ধ করা আমাদের ইইউয়ের সবার জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলবে, রাশিয়ান ফেডারেশনের ওপর নয়।’
ইউক্রেনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হতে পারে তা আগাম ধারণা করেই গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফর করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচক ফিকো।
এদিকে, অন্য এক অর্থনৈতিক বিরোধের জেরে গ্যাজপ্রম আগেই জানায় যে তারা মলদোভায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করবে। এই অবস্থায় চিসিনাউ (মলদোভার রাজধানী) জ্বালানি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে। দেশটির সরকার বলেছে, বিচ্ছিন্ন রুশপন্থী অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়া গতকাল গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।
মলদোভার সরকারের মুখপাত্র দানিয়েল ভোদা বলেছেন, ‘ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার ব্ল্যাকমেল বন্ধ করতে হবে।’ স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শীতপ্রধান ওই অঞ্চল বাড়িঘর উষ্ণ রাখারা যে ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে। এই অবস্থায় মলদোভার জ্বালানি সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান সেখানকার বাসিন্দাদের ‘গরম পোশাক পরতে’, ‘এক কামরায় একত্রিত হতে, দরজা-জানালা পর্দা এবং কম্বল দিয়ে বন্ধ করতে এবং ঘরোয়া তাপ উৎপাদনকারী ব্যবস্থার সহায়তা নিতে বলেছে।’
কিয়েভ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জোনাহ হাল বলেছেন, ‘এটি ইইউ জ্বালানি বাজারে রাশিয়ার প্রভাবের অবসান ঘটিয়েছে। অতীতে রাশিয়া এই প্রভাব ব্যবহার করে বেশি দাম আদায় করত বা শীতকালে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিত।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নের খরচও বাড়িয়েছে। কারণ, তারা অধিক ব্যয়বহুল তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিকল্প সরবরাহ ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে ব্লকের অর্থনৈতিক উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় এর অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই ট্রানজিট বন্ধ হওয়ার ফলে মস্কো তাদের সবচেয়ে লাভজনক এবং ভৌগোলিকভাবে সহজলভ্য গ্যাস বাজার হারাবে।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছেন, ‘রাশিয়া অংশীদারদের প্রতি নির্মম ব্ল্যাকমেলের পথ বেছে নিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইইউ রাশিয়ার জ্বালানি-নির্ভরতা কমানোর জন্য তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করেছে এবং বিকল্প উৎস খুঁজে পেয়েছে। ২০২০ সালে পাঁচ বছরের সর্বশেষ চুক্তি শুরু হওয়ার সময় ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ইইউতে প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা হতো। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের হিসাবে এটি ১৪ বিলিয়ন ঘনমিটারে নেমে এসেছে। ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, এই পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং রাশিয়াবিহীন পাইপলাইন আমদানির মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
রাশিয়া এখনো কৃষ্ণসাগরের তলদেশে তুর্কস্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস রপ্তানি করছে। রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা হাঙ্গেরি কৃষ্ণসাগরের পাইপলাইনের মাধ্যমে তাদের বেশির ভাগ রাশিয়ান গ্যাস আমদানি করে। ফলে ইউক্রেনের সিদ্ধান্তের প্রভাব থেকে বুদাপেস্ট অনেকটাই রক্ষা পাবে।

ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাফতোগ্যাজ ও গ্যাজপ্রমের মধ্যকার চুক্তির শেষ দিন ছিল ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তার আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, তাঁর দেশ আর নিজ ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে রাশিয়ার গ্যাস ইউরোপে যাওয়ার সুবিধা দেবে না।
ইউক্রেন আগে থেকেই সতর্ক করেছিল, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সামরিক সংঘাতের মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রানজিট চুক্তি তারা নবায়ন করবে না। এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী হারমান গালুশচেঙ্কো বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার গ্যাস ট্রানজিট বন্ধ করেছি। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। রাশিয়া তার বাজার হারাচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ইউরোপ এরই মধ্যে রাশিয়ার গ্যাস আর ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
রাশিয়ার জ্বালানি জায়ান্ট গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে গতকাল বুধবার মস্কো সময় সকাল ৮টা থেকে ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বারবার এবং স্পষ্টভাবে এই চুক্তি নবায়নের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে, গ্যাজপ্রম প্রযুক্তিগত এবং আইনি দিক থেকে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করার ক্ষমতা হারিয়েছে।’
রাশিয়া ইউক্রেনের ভূখণ্ড দিয়ে স্লোভাকিয়া, মলদোভা, হাঙ্গেরিসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে সরবরাহ করে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার গ্যাস ইউরোপে যাওয়া বন্ধ হলেও এই বিষয়টিকে বড় করে দেখতে নারাজ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, ‘কমিশন প্রায় এক বছর ধরে এমন একটি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যেখানে ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।’
তবে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গতকাল বুধবার এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এর মূল্য দিতে হবে ইউরোপকেই।’ এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের মাধ্যমে গ্যাস ট্রানজিট বন্ধ করা আমাদের ইইউয়ের সবার জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলবে, রাশিয়ান ফেডারেশনের ওপর নয়।’
ইউক্রেনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হতে পারে তা আগাম ধারণা করেই গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফর করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচক ফিকো।
এদিকে, অন্য এক অর্থনৈতিক বিরোধের জেরে গ্যাজপ্রম আগেই জানায় যে তারা মলদোভায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করবে। এই অবস্থায় চিসিনাউ (মলদোভার রাজধানী) জ্বালানি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে। দেশটির সরকার বলেছে, বিচ্ছিন্ন রুশপন্থী অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়া গতকাল গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।
মলদোভার সরকারের মুখপাত্র দানিয়েল ভোদা বলেছেন, ‘ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার ব্ল্যাকমেল বন্ধ করতে হবে।’ স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শীতপ্রধান ওই অঞ্চল বাড়িঘর উষ্ণ রাখারা যে ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে। এই অবস্থায় মলদোভার জ্বালানি সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান সেখানকার বাসিন্দাদের ‘গরম পোশাক পরতে’, ‘এক কামরায় একত্রিত হতে, দরজা-জানালা পর্দা এবং কম্বল দিয়ে বন্ধ করতে এবং ঘরোয়া তাপ উৎপাদনকারী ব্যবস্থার সহায়তা নিতে বলেছে।’
কিয়েভ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জোনাহ হাল বলেছেন, ‘এটি ইইউ জ্বালানি বাজারে রাশিয়ার প্রভাবের অবসান ঘটিয়েছে। অতীতে রাশিয়া এই প্রভাব ব্যবহার করে বেশি দাম আদায় করত বা শীতকালে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিত।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নের খরচও বাড়িয়েছে। কারণ, তারা অধিক ব্যয়বহুল তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিকল্প সরবরাহ ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে ব্লকের অর্থনৈতিক উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় এর অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই ট্রানজিট বন্ধ হওয়ার ফলে মস্কো তাদের সবচেয়ে লাভজনক এবং ভৌগোলিকভাবে সহজলভ্য গ্যাস বাজার হারাবে।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছেন, ‘রাশিয়া অংশীদারদের প্রতি নির্মম ব্ল্যাকমেলের পথ বেছে নিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইইউ রাশিয়ার জ্বালানি-নির্ভরতা কমানোর জন্য তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করেছে এবং বিকল্প উৎস খুঁজে পেয়েছে। ২০২০ সালে পাঁচ বছরের সর্বশেষ চুক্তি শুরু হওয়ার সময় ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ইইউতে প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা হতো। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের হিসাবে এটি ১৪ বিলিয়ন ঘনমিটারে নেমে এসেছে। ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, এই পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং রাশিয়াবিহীন পাইপলাইন আমদানির মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
রাশিয়া এখনো কৃষ্ণসাগরের তলদেশে তুর্কস্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস রপ্তানি করছে। রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা হাঙ্গেরি কৃষ্ণসাগরের পাইপলাইনের মাধ্যমে তাদের বেশির ভাগ রাশিয়ান গ্যাস আমদানি করে। ফলে ইউক্রেনের সিদ্ধান্তের প্রভাব থেকে বুদাপেস্ট অনেকটাই রক্ষা পাবে।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করে।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালায় এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেয়। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তর চেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করে।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালায় এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেয়। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তর চেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা রাশিয়া, ইউক্রেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, ভ্লাদ
০২ জানুয়ারি ২০২৫
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা রাশিয়া, ইউক্রেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, ভ্লাদ
০২ জানুয়ারি ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা রাশিয়া, ইউক্রেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, ভ্লাদ
০২ জানুয়ারি ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা রাশিয়া, ইউক্রেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, ভ্লাদ
০২ জানুয়ারি ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে