আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপজুড়ে ব্যাপক অবনতি হয়েছে দাবদাহ পরিস্থিতি। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা স্পেনের। তীব্র দাবদাহে দেশটির অন্তত ২০টি স্থানে বড়সড় দাবানলে পুড়ছে একরের পর একর জমি। প্রচণ্ড গরমে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে সেনাবাহিনীর আরও ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সতর্ক করেছেন, সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতি আসতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার, এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে নেই। সামনে আরও কিছু চ্যালেঞ্জিং দিন মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।’
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্পেনজুড়ে বিভিন্ন মোতায়েন রয়েছে প্রায় দুই হাজার সেনা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা গ্লাসিয়ায়ই অন্তত ১২টি স্থান বড় দাবানলে পুড়ছে। শহরটির স্থানীয় সরকারের প্রধান আলফনসো রুয়েদা জানান, ‘এখনো এ এলাকার বাড়ি-ঘর ঝুঁকির মুখে রয়েছে। যে কারণে আমরা বিভিন্ন জনবসতিতে লকডাউন জারি রেখেছি। এখনো অনেক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।’
ভয়াবহ দাবানলের কারণে দেশজুড়ে ব্যাহত হচ্ছে রেল চলাচল। দেশের জাতীয় রেল অপারেটর রেনফে জানিয়েছে, দাবানলের কারণে মাদ্রিদ-গ্লাসিয়া রেল চলাচল স্থগিত রয়েছে। এ ছাড়া, দাবানলের কারণে সৃষ্ট ধোয়া ও ছাইয়ের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এ কারণে, গ্লাসিয়ার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বের হলেও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের দাবানলে পুড়ে গেছে স্পেনের ১ হাজার ১৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা, নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। চলমান এই হিটওয়েভ আর দাবানল দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে স্পেনকে লজিস্টিক সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো। ইউরোপীয় কো-অপারেশন চুক্তির আওতায় গতকাল রোববার স্পেনে দুটি ডাচ ‘ওয়াটার ডাম্পিং উড়োজাহাজ’ এসে পৌঁছানোর কথা।
তীব্র দাবদাহ থাকলেও আগুন কি প্রাকৃতিকভাবেই লেগেছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর জুন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগানোর অভিযোগে অন্তত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ৯২ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।
প্রতিবেশী পর্তুগালও ভয়াবহ দাবানলের কবলে। চলতি বছর এ পর্যন্ত দাবানলে পুড়েছে দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা, যা ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশটিতে দাবানলে ভস্ম হওয়া গড় জমির প্রায় তিন গুণ। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো—পুড়ে যাওয়া এই দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের অর্ধেকই পুড়েছে গত তিন দিনে। পর্তুগালের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এখনো বেশ বড় বড় প্রায় আটটি দাবানল সক্রিয় আছে। বর্তমানে দেশটিতে যে কটি দাবানল সক্রিয় আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পিয়োদাও এলাকায়। এটি পর্তুগালের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ট্রানকোসোতে আরও একটি দাবানল আট দিন ধরে জ্বলছে। শুক্রবার শহরটির পূর্বাঞ্চলে একটি ছোট আগুনে স্থানীয় এক বাসিন্দার প্রাণ গেছে। পর্তুগালে দাবানলে চলতি বছর এটিই প্রথম মৃত্যু। দাবানলের ভয়াবহতার কারণে চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে পর্তুগালে জাতীয় সতর্কতা জারি রয়েছে। পর্তুগালেও গতকাল রোববার সুইডেন থেকে বিশেষ উড়োজাহাজ এসেছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে দাবানল নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে ৪ হাজারের বেশি ফায়ার সার্ভিস কর্মী। ১ হাজার ৩০০ যান, ১৮টি উড়োজাহাজ নিয়ে অভিযান চালাচ্ছেন তারা।
দাবানলে পুড়ছে গ্রিস, বুলগেরিয়া, মন্টেনেগ্রো এবং আলবেনিয়াও। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তারাও। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
শোচনীয় অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কেরও। সাম্প্রতিক দাবানলে দেশটিতে ১৯ জন নিহত হয়েছে। চলতি বছর জুনের শেষ থেকে শুষ্ক আবহাওয়া, তীব্র তাপপ্রবাহ আর বাতাসের কারণে শত শত দাবানলের ঘটনা ঘটেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস’-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০-এর দশক থেকে বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে ইউরোপ।

ইউরোপজুড়ে ব্যাপক অবনতি হয়েছে দাবদাহ পরিস্থিতি। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা স্পেনের। তীব্র দাবদাহে দেশটির অন্তত ২০টি স্থানে বড়সড় দাবানলে পুড়ছে একরের পর একর জমি। প্রচণ্ড গরমে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে সেনাবাহিনীর আরও ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সতর্ক করেছেন, সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতি আসতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার, এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে নেই। সামনে আরও কিছু চ্যালেঞ্জিং দিন মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।’
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্পেনজুড়ে বিভিন্ন মোতায়েন রয়েছে প্রায় দুই হাজার সেনা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা গ্লাসিয়ায়ই অন্তত ১২টি স্থান বড় দাবানলে পুড়ছে। শহরটির স্থানীয় সরকারের প্রধান আলফনসো রুয়েদা জানান, ‘এখনো এ এলাকার বাড়ি-ঘর ঝুঁকির মুখে রয়েছে। যে কারণে আমরা বিভিন্ন জনবসতিতে লকডাউন জারি রেখেছি। এখনো অনেক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।’
ভয়াবহ দাবানলের কারণে দেশজুড়ে ব্যাহত হচ্ছে রেল চলাচল। দেশের জাতীয় রেল অপারেটর রেনফে জানিয়েছে, দাবানলের কারণে মাদ্রিদ-গ্লাসিয়া রেল চলাচল স্থগিত রয়েছে। এ ছাড়া, দাবানলের কারণে সৃষ্ট ধোয়া ও ছাইয়ের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এ কারণে, গ্লাসিয়ার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বের হলেও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের দাবানলে পুড়ে গেছে স্পেনের ১ হাজার ১৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা, নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। চলমান এই হিটওয়েভ আর দাবানল দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে স্পেনকে লজিস্টিক সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো। ইউরোপীয় কো-অপারেশন চুক্তির আওতায় গতকাল রোববার স্পেনে দুটি ডাচ ‘ওয়াটার ডাম্পিং উড়োজাহাজ’ এসে পৌঁছানোর কথা।
তীব্র দাবদাহ থাকলেও আগুন কি প্রাকৃতিকভাবেই লেগেছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর জুন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগানোর অভিযোগে অন্তত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ৯২ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।
প্রতিবেশী পর্তুগালও ভয়াবহ দাবানলের কবলে। চলতি বছর এ পর্যন্ত দাবানলে পুড়েছে দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা, যা ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশটিতে দাবানলে ভস্ম হওয়া গড় জমির প্রায় তিন গুণ। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো—পুড়ে যাওয়া এই দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের অর্ধেকই পুড়েছে গত তিন দিনে। পর্তুগালের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এখনো বেশ বড় বড় প্রায় আটটি দাবানল সক্রিয় আছে। বর্তমানে দেশটিতে যে কটি দাবানল সক্রিয় আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পিয়োদাও এলাকায়। এটি পর্তুগালের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ট্রানকোসোতে আরও একটি দাবানল আট দিন ধরে জ্বলছে। শুক্রবার শহরটির পূর্বাঞ্চলে একটি ছোট আগুনে স্থানীয় এক বাসিন্দার প্রাণ গেছে। পর্তুগালে দাবানলে চলতি বছর এটিই প্রথম মৃত্যু। দাবানলের ভয়াবহতার কারণে চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে পর্তুগালে জাতীয় সতর্কতা জারি রয়েছে। পর্তুগালেও গতকাল রোববার সুইডেন থেকে বিশেষ উড়োজাহাজ এসেছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে দাবানল নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে ৪ হাজারের বেশি ফায়ার সার্ভিস কর্মী। ১ হাজার ৩০০ যান, ১৮টি উড়োজাহাজ নিয়ে অভিযান চালাচ্ছেন তারা।
দাবানলে পুড়ছে গ্রিস, বুলগেরিয়া, মন্টেনেগ্রো এবং আলবেনিয়াও। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তারাও। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
শোচনীয় অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কেরও। সাম্প্রতিক দাবানলে দেশটিতে ১৯ জন নিহত হয়েছে। চলতি বছর জুনের শেষ থেকে শুষ্ক আবহাওয়া, তীব্র তাপপ্রবাহ আর বাতাসের কারণে শত শত দাবানলের ঘটনা ঘটেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস’-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০-এর দশক থেকে বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে ইউরোপ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপজুড়ে ব্যাপক অবনতি হয়েছে দাবদাহ পরিস্থিতি। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা স্পেনের। তীব্র দাবদাহে দেশটির অন্তত ২০টি স্থানে বড়সড় দাবানলে পুড়ছে একরের পর একর জমি। প্রচণ্ড গরমে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে সেনাবাহিনীর আরও ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সতর্ক করেছেন, সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতি আসতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার, এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে নেই। সামনে আরও কিছু চ্যালেঞ্জিং দিন মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।’
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্পেনজুড়ে বিভিন্ন মোতায়েন রয়েছে প্রায় দুই হাজার সেনা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা গ্লাসিয়ায়ই অন্তত ১২টি স্থান বড় দাবানলে পুড়ছে। শহরটির স্থানীয় সরকারের প্রধান আলফনসো রুয়েদা জানান, ‘এখনো এ এলাকার বাড়ি-ঘর ঝুঁকির মুখে রয়েছে। যে কারণে আমরা বিভিন্ন জনবসতিতে লকডাউন জারি রেখেছি। এখনো অনেক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।’
ভয়াবহ দাবানলের কারণে দেশজুড়ে ব্যাহত হচ্ছে রেল চলাচল। দেশের জাতীয় রেল অপারেটর রেনফে জানিয়েছে, দাবানলের কারণে মাদ্রিদ-গ্লাসিয়া রেল চলাচল স্থগিত রয়েছে। এ ছাড়া, দাবানলের কারণে সৃষ্ট ধোয়া ও ছাইয়ের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এ কারণে, গ্লাসিয়ার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বের হলেও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের দাবানলে পুড়ে গেছে স্পেনের ১ হাজার ১৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা, নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। চলমান এই হিটওয়েভ আর দাবানল দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে স্পেনকে লজিস্টিক সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো। ইউরোপীয় কো-অপারেশন চুক্তির আওতায় গতকাল রোববার স্পেনে দুটি ডাচ ‘ওয়াটার ডাম্পিং উড়োজাহাজ’ এসে পৌঁছানোর কথা।
তীব্র দাবদাহ থাকলেও আগুন কি প্রাকৃতিকভাবেই লেগেছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর জুন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগানোর অভিযোগে অন্তত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ৯২ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।
প্রতিবেশী পর্তুগালও ভয়াবহ দাবানলের কবলে। চলতি বছর এ পর্যন্ত দাবানলে পুড়েছে দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা, যা ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশটিতে দাবানলে ভস্ম হওয়া গড় জমির প্রায় তিন গুণ। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো—পুড়ে যাওয়া এই দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের অর্ধেকই পুড়েছে গত তিন দিনে। পর্তুগালের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এখনো বেশ বড় বড় প্রায় আটটি দাবানল সক্রিয় আছে। বর্তমানে দেশটিতে যে কটি দাবানল সক্রিয় আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পিয়োদাও এলাকায়। এটি পর্তুগালের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ট্রানকোসোতে আরও একটি দাবানল আট দিন ধরে জ্বলছে। শুক্রবার শহরটির পূর্বাঞ্চলে একটি ছোট আগুনে স্থানীয় এক বাসিন্দার প্রাণ গেছে। পর্তুগালে দাবানলে চলতি বছর এটিই প্রথম মৃত্যু। দাবানলের ভয়াবহতার কারণে চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে পর্তুগালে জাতীয় সতর্কতা জারি রয়েছে। পর্তুগালেও গতকাল রোববার সুইডেন থেকে বিশেষ উড়োজাহাজ এসেছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে দাবানল নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে ৪ হাজারের বেশি ফায়ার সার্ভিস কর্মী। ১ হাজার ৩০০ যান, ১৮টি উড়োজাহাজ নিয়ে অভিযান চালাচ্ছেন তারা।
দাবানলে পুড়ছে গ্রিস, বুলগেরিয়া, মন্টেনেগ্রো এবং আলবেনিয়াও। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তারাও। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
শোচনীয় অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কেরও। সাম্প্রতিক দাবানলে দেশটিতে ১৯ জন নিহত হয়েছে। চলতি বছর জুনের শেষ থেকে শুষ্ক আবহাওয়া, তীব্র তাপপ্রবাহ আর বাতাসের কারণে শত শত দাবানলের ঘটনা ঘটেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস’-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০-এর দশক থেকে বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে ইউরোপ।

ইউরোপজুড়ে ব্যাপক অবনতি হয়েছে দাবদাহ পরিস্থিতি। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা স্পেনের। তীব্র দাবদাহে দেশটির অন্তত ২০টি স্থানে বড়সড় দাবানলে পুড়ছে একরের পর একর জমি। প্রচণ্ড গরমে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে সেনাবাহিনীর আরও ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সতর্ক করেছেন, সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতি আসতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার, এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে নেই। সামনে আরও কিছু চ্যালেঞ্জিং দিন মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।’
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্পেনজুড়ে বিভিন্ন মোতায়েন রয়েছে প্রায় দুই হাজার সেনা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা গ্লাসিয়ায়ই অন্তত ১২টি স্থান বড় দাবানলে পুড়ছে। শহরটির স্থানীয় সরকারের প্রধান আলফনসো রুয়েদা জানান, ‘এখনো এ এলাকার বাড়ি-ঘর ঝুঁকির মুখে রয়েছে। যে কারণে আমরা বিভিন্ন জনবসতিতে লকডাউন জারি রেখেছি। এখনো অনেক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।’
ভয়াবহ দাবানলের কারণে দেশজুড়ে ব্যাহত হচ্ছে রেল চলাচল। দেশের জাতীয় রেল অপারেটর রেনফে জানিয়েছে, দাবানলের কারণে মাদ্রিদ-গ্লাসিয়া রেল চলাচল স্থগিত রয়েছে। এ ছাড়া, দাবানলের কারণে সৃষ্ট ধোয়া ও ছাইয়ের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এ কারণে, গ্লাসিয়ার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বের হলেও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের দাবানলে পুড়ে গেছে স্পেনের ১ হাজার ১৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা, নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। চলমান এই হিটওয়েভ আর দাবানল দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে স্পেনকে লজিস্টিক সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো। ইউরোপীয় কো-অপারেশন চুক্তির আওতায় গতকাল রোববার স্পেনে দুটি ডাচ ‘ওয়াটার ডাম্পিং উড়োজাহাজ’ এসে পৌঁছানোর কথা।
তীব্র দাবদাহ থাকলেও আগুন কি প্রাকৃতিকভাবেই লেগেছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর জুন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগানোর অভিযোগে অন্তত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ৯২ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।
প্রতিবেশী পর্তুগালও ভয়াবহ দাবানলের কবলে। চলতি বছর এ পর্যন্ত দাবানলে পুড়েছে দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা, যা ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশটিতে দাবানলে ভস্ম হওয়া গড় জমির প্রায় তিন গুণ। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো—পুড়ে যাওয়া এই দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারের অর্ধেকই পুড়েছে গত তিন দিনে। পর্তুগালের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এখনো বেশ বড় বড় প্রায় আটটি দাবানল সক্রিয় আছে। বর্তমানে দেশটিতে যে কটি দাবানল সক্রিয় আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পিয়োদাও এলাকায়। এটি পর্তুগালের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ট্রানকোসোতে আরও একটি দাবানল আট দিন ধরে জ্বলছে। শুক্রবার শহরটির পূর্বাঞ্চলে একটি ছোট আগুনে স্থানীয় এক বাসিন্দার প্রাণ গেছে। পর্তুগালে দাবানলে চলতি বছর এটিই প্রথম মৃত্যু। দাবানলের ভয়াবহতার কারণে চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে পর্তুগালে জাতীয় সতর্কতা জারি রয়েছে। পর্তুগালেও গতকাল রোববার সুইডেন থেকে বিশেষ উড়োজাহাজ এসেছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে দাবানল নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে ৪ হাজারের বেশি ফায়ার সার্ভিস কর্মী। ১ হাজার ৩০০ যান, ১৮টি উড়োজাহাজ নিয়ে অভিযান চালাচ্ছেন তারা।
দাবানলে পুড়ছে গ্রিস, বুলগেরিয়া, মন্টেনেগ্রো এবং আলবেনিয়াও। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তারাও। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
শোচনীয় অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কেরও। সাম্প্রতিক দাবানলে দেশটিতে ১৯ জন নিহত হয়েছে। চলতি বছর জুনের শেষ থেকে শুষ্ক আবহাওয়া, তীব্র তাপপ্রবাহ আর বাতাসের কারণে শত শত দাবানলের ঘটনা ঘটেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস’-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০-এর দশক থেকে বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে ইউরোপ।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
১৮ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
৩৩ মিনিট আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১ ঘণ্টা আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনও তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সহ এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কিনা জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম নয় মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সাথে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন যারা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্ক নীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘন্টা আগে, নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার উপর তারা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনও তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সহ এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কিনা জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম নয় মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সাথে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন যারা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্ক নীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘন্টা আগে, নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার উপর তারা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

ইউরোপজুড়ে ব্যাপক অবনতি হয়েছে দাবদাহ পরিস্থিতি। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা স্পেনের। তীব্র দাবদাহে দেশটির অন্তত ২০টি স্থানে বড়সড় দাবানলে পুড়ছে একরের পর একর জমি। প্রচণ্ড গরমে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে সেনাবাহিনীর আরও ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
১৮ আগস্ট ২০২৫
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
৩৩ মিনিট আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১ ঘণ্টা আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

ইউরোপজুড়ে ব্যাপক অবনতি হয়েছে দাবদাহ পরিস্থিতি। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা স্পেনের। তীব্র দাবদাহে দেশটির অন্তত ২০টি স্থানে বড়সড় দাবানলে পুড়ছে একরের পর একর জমি। প্রচণ্ড গরমে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে সেনাবাহিনীর আরও ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
১৮ আগস্ট ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
১৮ মিনিট আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১ ঘণ্টা আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর বা সহযোগী হিসাবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুঈন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও, এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে, যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে, আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, তাঁর মৃত্য ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসাবে কাজ করে যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএল-এর সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিশরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সর্বদা একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন এমনকি, ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে, তার সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন যে, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন যারা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তার গোষ্ঠী তাদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এরপর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলি আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসাবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি—এমনকি যারা হামাসের বিরোধী—আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তার ভাগ্য ক্রমশ নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর বা সহযোগী হিসাবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুঈন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও, এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে, যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে, আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, তাঁর মৃত্য ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসাবে কাজ করে যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএল-এর সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিশরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সর্বদা একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন এমনকি, ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে, তার সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন যে, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন যারা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তার গোষ্ঠী তাদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এরপর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলি আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসাবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি—এমনকি যারা হামাসের বিরোধী—আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তার ভাগ্য ক্রমশ নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।

ইউরোপজুড়ে ব্যাপক অবনতি হয়েছে দাবদাহ পরিস্থিতি। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা স্পেনের। তীব্র দাবদাহে দেশটির অন্তত ২০টি স্থানে বড়সড় দাবানলে পুড়ছে একরের পর একর জমি। প্রচণ্ড গরমে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে সেনাবাহিনীর আরও ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
১৮ আগস্ট ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
১৮ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
৩৩ মিনিট আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ যুদ্ধ ও ব্যাপক অভিবাসনের কারণে ইউক্রেন ভয়াবহ জনসংখ্যার সংকটে পড়েছে। দেশটির সামনে এখন বড় প্রশ্ন—মানুষই যদি না থাকে, তাহলে যুদ্ধ শেষ হলে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে কারা?
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ হওয়ার কথা ছিল।’
২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। বর্তমানে তা কমে ৩ কোটি ৬০ লাখের নিচে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫১ সালে দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটিতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন জরিপে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে এখন একেকটি জন্মের বিপরীতে মৃত্যু হচ্ছে তিনটি। এই মুহূর্তে এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অনুপাত। যুদ্ধের কারণে দেশটির পুরুষদের গড় আয়ু এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৩ বছর। নারীদের ক্ষেত্রেও তা ৭৪.৪ থেকে নেমে ৭০.৯ বছরে এসেছে।
হশচা অঞ্চলে এখন স্মৃতি হয়ে আছে বহু তরুণ ও পুরুষের ছবি, যাঁরা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলের ১৪১ জন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠাচ্ছে। স্কুলগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। হশচার কাছাকাছি সাদোভে গ্রামে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৯ জনে নেমে আসায় স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে।
যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন ও প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের লাখো কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাই সরকার ২০৪০ সাল পর্যন্ত একটি জনসংখ্যা পুনর্গঠন পরিকল্পনা করেছে। এতে অভিবাসন কমানো, বিদেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং প্রয়োজনে বিদেশি শ্রমিক আকৃষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তবে ২০৪০ সালেও জনসংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখের নিচে নেমে আসতে পারে।

অস্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাই এখন ইউক্রেনে পরিবার গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হশচার ২১ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া বলেন, ‘এখন পরিবার শুরু করা মানে অস্থির ভবিষ্যৎ। ঘরবাড়ির খরচ বেড়েছে, পরিকল্পনা করা অসম্ভব হয়ে গেছে।’
তবুও সন্তান এক ধরনের আশার প্রতীক। স্থানীয় কর্মকর্তা আনাস্তাসিয়া তাবেকোভা স্বামী যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা অবস্থায়ই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম, আমি গর্ভবতী, তার কয়েক দিন পরই আমার স্বামীকে ডাকা হয়েছিল।’
আনাস্তাসিয়া আরও বলেন, ‘আমি অনেক স্ত্রীকে জানি যাদের স্বামীরা লড়াই করছে। আমি এমন স্ত্রীদের জানি যাদের স্বামীরা দুর্ভাগ্যবশত আর আমাদের মাঝে নেই। তাদের কেউ কেউ এখন থেরাপিতে আছে, কারও কারও কাছে তাদের সন্তানেরাই আনন্দের মুহূর্ত, হাল না ছাড়ার কারণ।’
ইউক্রেনের এই জনসংখ্যা সংকট এখন শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটি যুদ্ধের দীর্ঘ ছায়া, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও তাড়া করে ফিরবে।

দীর্ঘ যুদ্ধ ও ব্যাপক অভিবাসনের কারণে ইউক্রেন ভয়াবহ জনসংখ্যার সংকটে পড়েছে। দেশটির সামনে এখন বড় প্রশ্ন—মানুষই যদি না থাকে, তাহলে যুদ্ধ শেষ হলে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে কারা?
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ হওয়ার কথা ছিল।’
২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। বর্তমানে তা কমে ৩ কোটি ৬০ লাখের নিচে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫১ সালে দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটিতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন জরিপে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে এখন একেকটি জন্মের বিপরীতে মৃত্যু হচ্ছে তিনটি। এই মুহূর্তে এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অনুপাত। যুদ্ধের কারণে দেশটির পুরুষদের গড় আয়ু এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৩ বছর। নারীদের ক্ষেত্রেও তা ৭৪.৪ থেকে নেমে ৭০.৯ বছরে এসেছে।
হশচা অঞ্চলে এখন স্মৃতি হয়ে আছে বহু তরুণ ও পুরুষের ছবি, যাঁরা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলের ১৪১ জন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠাচ্ছে। স্কুলগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। হশচার কাছাকাছি সাদোভে গ্রামে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৯ জনে নেমে আসায় স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে।
যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন ও প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের লাখো কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাই সরকার ২০৪০ সাল পর্যন্ত একটি জনসংখ্যা পুনর্গঠন পরিকল্পনা করেছে। এতে অভিবাসন কমানো, বিদেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং প্রয়োজনে বিদেশি শ্রমিক আকৃষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তবে ২০৪০ সালেও জনসংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখের নিচে নেমে আসতে পারে।

অস্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাই এখন ইউক্রেনে পরিবার গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হশচার ২১ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া বলেন, ‘এখন পরিবার শুরু করা মানে অস্থির ভবিষ্যৎ। ঘরবাড়ির খরচ বেড়েছে, পরিকল্পনা করা অসম্ভব হয়ে গেছে।’
তবুও সন্তান এক ধরনের আশার প্রতীক। স্থানীয় কর্মকর্তা আনাস্তাসিয়া তাবেকোভা স্বামী যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা অবস্থায়ই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম, আমি গর্ভবতী, তার কয়েক দিন পরই আমার স্বামীকে ডাকা হয়েছিল।’
আনাস্তাসিয়া আরও বলেন, ‘আমি অনেক স্ত্রীকে জানি যাদের স্বামীরা লড়াই করছে। আমি এমন স্ত্রীদের জানি যাদের স্বামীরা দুর্ভাগ্যবশত আর আমাদের মাঝে নেই। তাদের কেউ কেউ এখন থেরাপিতে আছে, কারও কারও কাছে তাদের সন্তানেরাই আনন্দের মুহূর্ত, হাল না ছাড়ার কারণ।’
ইউক্রেনের এই জনসংখ্যা সংকট এখন শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটি যুদ্ধের দীর্ঘ ছায়া, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও তাড়া করে ফিরবে।

ইউরোপজুড়ে ব্যাপক অবনতি হয়েছে দাবদাহ পরিস্থিতি। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা স্পেনের। তীব্র দাবদাহে দেশটির অন্তত ২০টি স্থানে বড়সড় দাবানলে পুড়ছে একরের পর একর জমি। প্রচণ্ড গরমে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে সেনাবাহিনীর আরও ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
১৮ আগস্ট ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
১৮ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
৩৩ মিনিট আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
১ ঘণ্টা আগে