আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গতকাল ১ জুন দুপুরের পরপরই রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এক অভূতপূর্ব চাঞ্চল্য দেখা যায়। ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে এ যাবৎকালের সবচেয়ে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছে। যেই ঘটনাকে বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। পূর্ব সাইবেরিয়ার ইরকুৎস্ক প্রদেশ থেকে রাশিয়ার সুদূর উত্তরে মুর্মাস্ক পর্যন্ত, ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে এই আক্রমণে লক্ষ্যবস্তু ছিল রাশিয়ার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করছে, এই হামলায় রাশিয়ার যে পরিমাণ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে তাতে ক্ষতি প্রায় ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।
স্থানীয়দের পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যায়, ছোট কোয়াডকপ্টার ড্রোনগুলো একটি লরি থেকে বেরিয়ে নিকটবর্তী বিমানঘাঁটির দিকে উড়ে যাচ্ছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী লিখেছেন, ‘আমি একটি টায়ারের দোকানে কাজ করি। একটি ট্রাক এসে থামল, আর তার ভেতর থেকে ড্রোন উড়ে গেল!’
ইউক্রেনের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ এই অভিযানের দায় স্বীকার করেছে এবং এর কোড নাম দিয়েছে ‘স্পাইডার ওয়েব’। তারা জানিয়েছে, এই আক্রমণে ৪১টি রুশ বিমান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে বিরল এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল এ-৫০ আর্লি-ওয়ার্নিং প্লেন (রাশিয়ার এওয়াকস সমতুল্য) এবং টু-২২ এম ৩ ও টু-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমানও রয়েছে। এসবিইউ-এর প্রধান ভাসিলি মাল্যুকের একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো, সবই মনোরমভাবে পুড়ছে।’
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় আঘাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানের সংখ্যা তুলনামূলক কম–সম্ভবত ৯০ টিরও কম টু-২২, টু-৯৫ এবং নতুন টু-১৬০ বর্তমানে অপারেশনাল রয়েছে। এই বিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হলেও, সম্প্রতি ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে প্রচলিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এগুলো ইউক্রেনীয় সামরিক পরিকল্পনাকারীদের জন্য উচ্চ অগ্রাধিকারের লক্ষ্যবস্তু ছিল। বেশির ভাগ বিমানই পুরোনো এবং এখন আর উৎপাদ করা হয় না। শেষ টু-২২ এম ৩ এবং টু-৯৫ প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি আগে তৈরি, আর সেগুলোর প্রতিস্থাপন, টু-১৬০-এর উৎপাদনও অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে।
রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
ক্রেমলিনের সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের অভিযানগুলোর পরিসর ও নির্ভুলতা ধীরে ধীরে বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের রাশিয়ার গভীরে ঢুকে আক্রমণে কিছু সহায়তা দিয়েছে। গত ২৮ মে জার্মানি ইউক্রেনীয় দূরপাল্লার ড্রোনে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বেশির ভাগ প্রযুক্তি এবং মিশন পরিকল্পনা ইউক্রেনের নিজস্ব।
গত ১ জুনের এই অপারেশনকে আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হামলা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, এই মিশনের পরিকল্পনা করতে ১৮ মাস সময় লেগেছে। রাশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি থেকে এবং রাতের বেলা বড় আকারের ফিক্সড-উইং ড্রোনের আক্রমণের আশঙ্কা করছিল। ইউক্রেন রাশিয়ার ধারণা উল্টে দিয়েছে। তারা দিনের বেলায় ছোট ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে এবং তা করেছে সম্মুখভাগ থেকে অনেক দূরে। ইউক্রেন এর আগেও রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে; কিন্তু এবারের পার্থক্য ছিল অভিযানের মাত্রা এবং সমন্বিত প্রকৃতিতে।
ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার ঘনিষ্ঠ ভাষ্যকাররা মনে করেন, এই অভিযানের জন্য রাশিয়ার অভ্যন্তরে ১৫০টি ড্রোন এবং ৩০০টি বোমা সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হয়েছিল। কোয়াডকপ্টারগুলো সম্ভবত কাঠের কেবিনে ঢুকিয়ে লরিতে লোড করা হয়েছিল। এরপর কেবিনের ঢাকনা দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুলে ফেলার পর ড্রোনগুলো উড়ানো হয়েছিল। ড্রোনগুলো রাশিয়ারই মোবাইল-টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইউক্রেনে ফুটেজ পাঠিয়েছে। বহু ইউক্রেনীয় সেই ফুটেজ শেয়ার করেছে। দাবি করা হচ্ছে, এই অপারেশনে স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য নির্ধারণের প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে।
একজন ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ট্রাকের চালকেরা সম্ভবত জানতেন না যে তাঁরা কী বহন করছেন। তিনি এই অপারেশনের এই দিকটিকে ২০২২ সালের কের্চ সেতু আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে একটি লরিতে লুকানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণে ক্রিমিয়াকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তকারী সেতুর একটি অংশ ধ্বংস হয়। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের অপারেশন খুব জটিল, যেখানে মূল খেলোয়াড়দের অন্ধকারে রাখা জরুরি।’
সূত্রটি এই অপারেশনকে একটি বহু-পর্যায়ের দাবার চাল হিসেবে বর্ণনা করেছে, যেখানে ইউক্রেনের অন্যান্য ঘাঁটিতে হামলা সুযোগ দিয়ে রুশদের প্রথমে আরও বেশি বিমান নির্দিষ্ট ঘাঁটিতে সরিয়ে নিতে উৎসাহিত করা হয়েছিল। আক্রমণের তিন দিন আগে, প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডজন ডজন বিমান মুর্মাস্ক প্রদেশের ওলেনিয়া বিমানঘাঁটিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। গত ১ জুন ঠিক সেখানেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার ইস্তাম্বুলে শুরু হতে যাওয়া নতুন শান্তি আলোচনার ওপর এই অভিযানের একটি ছায়া নিশ্চয় থাকবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালিয়েছে, কখনো কখনো শত শত ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সন্ত্রস্ত করেছে। গত ৩১ মে রাতে শুরু হওয়া একটি হামলায় রেকর্ড ৪৭২টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কিয়েভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেখাতে চাচ্ছিল যে, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইলে মূল্য দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই অভিযান কি পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে, নাকি কেবল ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে?
রাশিয়ার দেশপ্রেমিক সামাজিক-গণমাধ্যম নেটওয়ার্কগুলোতে এরই মধ্যে এই হামলার জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। অনেকে এই মুহূর্তটিকে ১৯৪১ সালে জাপানের পার্ল হারবারে আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের ওপর আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করছেন। একজন জ্যেষ্ঠ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, এই অভিযানের কারণে পশ্চিমা অংশীদাররা ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘চিন্তা হচ্ছে যে এটি সিনোপের মতো হয়ে যায় কিনা।’ ১৮৫৩ সালে একটি অটোমান বন্দরে রাশিয়ার হামলার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এটি শেষ পর্যন্ত আক্রমণকারীকে বিশ্ব মঞ্চে একা করে দিয়েছিল।
এদিকে গত ১ জুনের এই অভূতপূর্ব ঘটনা পশ্চিমা সশস্ত্র বাহিনীগুলোও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পশ্চিমা দেশগুলো অর্থ সাশ্রয়ের জন্য বহু বছর ধরে যুদ্ধবিমানগুলো ক্রমশ অল্পসংখ্যক বিমানঘাঁটিতে কেন্দ্রীভূত করছে। তারা বিমানগুলোকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা করার জন্য কোনো পোতাশ্রয় নির্মাণে বিনিয়োগ করেনি। আমেরিকার নিজস্ব কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো স্যাটেলাইট ছবিতে খোলা জায়গায় দৃশ্যমান। ওয়াশিংটনের থিংক-ট্যাংক সিএনএএস-এর টম শুগার্ট লিখেছেন, ‘কল্পনা করুন, খেলার দিনে, রেলইয়ার্ডে, বন্দরে বা উপকূলের চীনা মালিকানাধীন কন্টেইনার জাহাজে, এলোমেলো অবকাঠামোতে পার্ক করা ট্রাকে থাকা কন্টেইনারগুলো... থেকে হাজার হাজার ড্রোন উড়ে আসছে, যা মার্কিন বিমানবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে দেন যে, এটা শুধু কল্পনা নয়, বাস্তবে ঘটতে পারাটা খুবই সম্ভব।

গতকাল ১ জুন দুপুরের পরপরই রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এক অভূতপূর্ব চাঞ্চল্য দেখা যায়। ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে এ যাবৎকালের সবচেয়ে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছে। যেই ঘটনাকে বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। পূর্ব সাইবেরিয়ার ইরকুৎস্ক প্রদেশ থেকে রাশিয়ার সুদূর উত্তরে মুর্মাস্ক পর্যন্ত, ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে এই আক্রমণে লক্ষ্যবস্তু ছিল রাশিয়ার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করছে, এই হামলায় রাশিয়ার যে পরিমাণ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে তাতে ক্ষতি প্রায় ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।
স্থানীয়দের পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যায়, ছোট কোয়াডকপ্টার ড্রোনগুলো একটি লরি থেকে বেরিয়ে নিকটবর্তী বিমানঘাঁটির দিকে উড়ে যাচ্ছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী লিখেছেন, ‘আমি একটি টায়ারের দোকানে কাজ করি। একটি ট্রাক এসে থামল, আর তার ভেতর থেকে ড্রোন উড়ে গেল!’
ইউক্রেনের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ এই অভিযানের দায় স্বীকার করেছে এবং এর কোড নাম দিয়েছে ‘স্পাইডার ওয়েব’। তারা জানিয়েছে, এই আক্রমণে ৪১টি রুশ বিমান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে বিরল এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল এ-৫০ আর্লি-ওয়ার্নিং প্লেন (রাশিয়ার এওয়াকস সমতুল্য) এবং টু-২২ এম ৩ ও টু-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমানও রয়েছে। এসবিইউ-এর প্রধান ভাসিলি মাল্যুকের একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো, সবই মনোরমভাবে পুড়ছে।’
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় আঘাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানের সংখ্যা তুলনামূলক কম–সম্ভবত ৯০ টিরও কম টু-২২, টু-৯৫ এবং নতুন টু-১৬০ বর্তমানে অপারেশনাল রয়েছে। এই বিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হলেও, সম্প্রতি ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে প্রচলিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এগুলো ইউক্রেনীয় সামরিক পরিকল্পনাকারীদের জন্য উচ্চ অগ্রাধিকারের লক্ষ্যবস্তু ছিল। বেশির ভাগ বিমানই পুরোনো এবং এখন আর উৎপাদ করা হয় না। শেষ টু-২২ এম ৩ এবং টু-৯৫ প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি আগে তৈরি, আর সেগুলোর প্রতিস্থাপন, টু-১৬০-এর উৎপাদনও অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে।
রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
ক্রেমলিনের সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের অভিযানগুলোর পরিসর ও নির্ভুলতা ধীরে ধীরে বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের রাশিয়ার গভীরে ঢুকে আক্রমণে কিছু সহায়তা দিয়েছে। গত ২৮ মে জার্মানি ইউক্রেনীয় দূরপাল্লার ড্রোনে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বেশির ভাগ প্রযুক্তি এবং মিশন পরিকল্পনা ইউক্রেনের নিজস্ব।
গত ১ জুনের এই অপারেশনকে আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হামলা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, এই মিশনের পরিকল্পনা করতে ১৮ মাস সময় লেগেছে। রাশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি থেকে এবং রাতের বেলা বড় আকারের ফিক্সড-উইং ড্রোনের আক্রমণের আশঙ্কা করছিল। ইউক্রেন রাশিয়ার ধারণা উল্টে দিয়েছে। তারা দিনের বেলায় ছোট ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে এবং তা করেছে সম্মুখভাগ থেকে অনেক দূরে। ইউক্রেন এর আগেও রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে; কিন্তু এবারের পার্থক্য ছিল অভিযানের মাত্রা এবং সমন্বিত প্রকৃতিতে।
ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার ঘনিষ্ঠ ভাষ্যকাররা মনে করেন, এই অভিযানের জন্য রাশিয়ার অভ্যন্তরে ১৫০টি ড্রোন এবং ৩০০টি বোমা সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হয়েছিল। কোয়াডকপ্টারগুলো সম্ভবত কাঠের কেবিনে ঢুকিয়ে লরিতে লোড করা হয়েছিল। এরপর কেবিনের ঢাকনা দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুলে ফেলার পর ড্রোনগুলো উড়ানো হয়েছিল। ড্রোনগুলো রাশিয়ারই মোবাইল-টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইউক্রেনে ফুটেজ পাঠিয়েছে। বহু ইউক্রেনীয় সেই ফুটেজ শেয়ার করেছে। দাবি করা হচ্ছে, এই অপারেশনে স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য নির্ধারণের প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে।
একজন ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ট্রাকের চালকেরা সম্ভবত জানতেন না যে তাঁরা কী বহন করছেন। তিনি এই অপারেশনের এই দিকটিকে ২০২২ সালের কের্চ সেতু আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে একটি লরিতে লুকানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণে ক্রিমিয়াকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তকারী সেতুর একটি অংশ ধ্বংস হয়। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের অপারেশন খুব জটিল, যেখানে মূল খেলোয়াড়দের অন্ধকারে রাখা জরুরি।’
সূত্রটি এই অপারেশনকে একটি বহু-পর্যায়ের দাবার চাল হিসেবে বর্ণনা করেছে, যেখানে ইউক্রেনের অন্যান্য ঘাঁটিতে হামলা সুযোগ দিয়ে রুশদের প্রথমে আরও বেশি বিমান নির্দিষ্ট ঘাঁটিতে সরিয়ে নিতে উৎসাহিত করা হয়েছিল। আক্রমণের তিন দিন আগে, প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডজন ডজন বিমান মুর্মাস্ক প্রদেশের ওলেনিয়া বিমানঘাঁটিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। গত ১ জুন ঠিক সেখানেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার ইস্তাম্বুলে শুরু হতে যাওয়া নতুন শান্তি আলোচনার ওপর এই অভিযানের একটি ছায়া নিশ্চয় থাকবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালিয়েছে, কখনো কখনো শত শত ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সন্ত্রস্ত করেছে। গত ৩১ মে রাতে শুরু হওয়া একটি হামলায় রেকর্ড ৪৭২টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কিয়েভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেখাতে চাচ্ছিল যে, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইলে মূল্য দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই অভিযান কি পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে, নাকি কেবল ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে?
রাশিয়ার দেশপ্রেমিক সামাজিক-গণমাধ্যম নেটওয়ার্কগুলোতে এরই মধ্যে এই হামলার জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। অনেকে এই মুহূর্তটিকে ১৯৪১ সালে জাপানের পার্ল হারবারে আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের ওপর আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করছেন। একজন জ্যেষ্ঠ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, এই অভিযানের কারণে পশ্চিমা অংশীদাররা ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘চিন্তা হচ্ছে যে এটি সিনোপের মতো হয়ে যায় কিনা।’ ১৮৫৩ সালে একটি অটোমান বন্দরে রাশিয়ার হামলার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এটি শেষ পর্যন্ত আক্রমণকারীকে বিশ্ব মঞ্চে একা করে দিয়েছিল।
এদিকে গত ১ জুনের এই অভূতপূর্ব ঘটনা পশ্চিমা সশস্ত্র বাহিনীগুলোও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পশ্চিমা দেশগুলো অর্থ সাশ্রয়ের জন্য বহু বছর ধরে যুদ্ধবিমানগুলো ক্রমশ অল্পসংখ্যক বিমানঘাঁটিতে কেন্দ্রীভূত করছে। তারা বিমানগুলোকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা করার জন্য কোনো পোতাশ্রয় নির্মাণে বিনিয়োগ করেনি। আমেরিকার নিজস্ব কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো স্যাটেলাইট ছবিতে খোলা জায়গায় দৃশ্যমান। ওয়াশিংটনের থিংক-ট্যাংক সিএনএএস-এর টম শুগার্ট লিখেছেন, ‘কল্পনা করুন, খেলার দিনে, রেলইয়ার্ডে, বন্দরে বা উপকূলের চীনা মালিকানাধীন কন্টেইনার জাহাজে, এলোমেলো অবকাঠামোতে পার্ক করা ট্রাকে থাকা কন্টেইনারগুলো... থেকে হাজার হাজার ড্রোন উড়ে আসছে, যা মার্কিন বিমানবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে দেন যে, এটা শুধু কল্পনা নয়, বাস্তবে ঘটতে পারাটা খুবই সম্ভব।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গতকাল ১ জুন দুপুরের পরপরই রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এক অভূতপূর্ব চাঞ্চল্য দেখা যায়। ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে এ যাবৎকালের সবচেয়ে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছে। যেই ঘটনাকে বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। পূর্ব সাইবেরিয়ার ইরকুৎস্ক প্রদেশ থেকে রাশিয়ার সুদূর উত্তরে মুর্মাস্ক পর্যন্ত, ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে এই আক্রমণে লক্ষ্যবস্তু ছিল রাশিয়ার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করছে, এই হামলায় রাশিয়ার যে পরিমাণ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে তাতে ক্ষতি প্রায় ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।
স্থানীয়দের পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যায়, ছোট কোয়াডকপ্টার ড্রোনগুলো একটি লরি থেকে বেরিয়ে নিকটবর্তী বিমানঘাঁটির দিকে উড়ে যাচ্ছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী লিখেছেন, ‘আমি একটি টায়ারের দোকানে কাজ করি। একটি ট্রাক এসে থামল, আর তার ভেতর থেকে ড্রোন উড়ে গেল!’
ইউক্রেনের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ এই অভিযানের দায় স্বীকার করেছে এবং এর কোড নাম দিয়েছে ‘স্পাইডার ওয়েব’। তারা জানিয়েছে, এই আক্রমণে ৪১টি রুশ বিমান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে বিরল এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল এ-৫০ আর্লি-ওয়ার্নিং প্লেন (রাশিয়ার এওয়াকস সমতুল্য) এবং টু-২২ এম ৩ ও টু-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমানও রয়েছে। এসবিইউ-এর প্রধান ভাসিলি মাল্যুকের একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো, সবই মনোরমভাবে পুড়ছে।’
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় আঘাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানের সংখ্যা তুলনামূলক কম–সম্ভবত ৯০ টিরও কম টু-২২, টু-৯৫ এবং নতুন টু-১৬০ বর্তমানে অপারেশনাল রয়েছে। এই বিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হলেও, সম্প্রতি ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে প্রচলিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এগুলো ইউক্রেনীয় সামরিক পরিকল্পনাকারীদের জন্য উচ্চ অগ্রাধিকারের লক্ষ্যবস্তু ছিল। বেশির ভাগ বিমানই পুরোনো এবং এখন আর উৎপাদ করা হয় না। শেষ টু-২২ এম ৩ এবং টু-৯৫ প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি আগে তৈরি, আর সেগুলোর প্রতিস্থাপন, টু-১৬০-এর উৎপাদনও অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে।
রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
ক্রেমলিনের সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের অভিযানগুলোর পরিসর ও নির্ভুলতা ধীরে ধীরে বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের রাশিয়ার গভীরে ঢুকে আক্রমণে কিছু সহায়তা দিয়েছে। গত ২৮ মে জার্মানি ইউক্রেনীয় দূরপাল্লার ড্রোনে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বেশির ভাগ প্রযুক্তি এবং মিশন পরিকল্পনা ইউক্রেনের নিজস্ব।
গত ১ জুনের এই অপারেশনকে আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হামলা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, এই মিশনের পরিকল্পনা করতে ১৮ মাস সময় লেগেছে। রাশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি থেকে এবং রাতের বেলা বড় আকারের ফিক্সড-উইং ড্রোনের আক্রমণের আশঙ্কা করছিল। ইউক্রেন রাশিয়ার ধারণা উল্টে দিয়েছে। তারা দিনের বেলায় ছোট ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে এবং তা করেছে সম্মুখভাগ থেকে অনেক দূরে। ইউক্রেন এর আগেও রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে; কিন্তু এবারের পার্থক্য ছিল অভিযানের মাত্রা এবং সমন্বিত প্রকৃতিতে।
ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার ঘনিষ্ঠ ভাষ্যকাররা মনে করেন, এই অভিযানের জন্য রাশিয়ার অভ্যন্তরে ১৫০টি ড্রোন এবং ৩০০টি বোমা সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হয়েছিল। কোয়াডকপ্টারগুলো সম্ভবত কাঠের কেবিনে ঢুকিয়ে লরিতে লোড করা হয়েছিল। এরপর কেবিনের ঢাকনা দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুলে ফেলার পর ড্রোনগুলো উড়ানো হয়েছিল। ড্রোনগুলো রাশিয়ারই মোবাইল-টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইউক্রেনে ফুটেজ পাঠিয়েছে। বহু ইউক্রেনীয় সেই ফুটেজ শেয়ার করেছে। দাবি করা হচ্ছে, এই অপারেশনে স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য নির্ধারণের প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে।
একজন ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ট্রাকের চালকেরা সম্ভবত জানতেন না যে তাঁরা কী বহন করছেন। তিনি এই অপারেশনের এই দিকটিকে ২০২২ সালের কের্চ সেতু আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে একটি লরিতে লুকানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণে ক্রিমিয়াকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তকারী সেতুর একটি অংশ ধ্বংস হয়। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের অপারেশন খুব জটিল, যেখানে মূল খেলোয়াড়দের অন্ধকারে রাখা জরুরি।’
সূত্রটি এই অপারেশনকে একটি বহু-পর্যায়ের দাবার চাল হিসেবে বর্ণনা করেছে, যেখানে ইউক্রেনের অন্যান্য ঘাঁটিতে হামলা সুযোগ দিয়ে রুশদের প্রথমে আরও বেশি বিমান নির্দিষ্ট ঘাঁটিতে সরিয়ে নিতে উৎসাহিত করা হয়েছিল। আক্রমণের তিন দিন আগে, প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডজন ডজন বিমান মুর্মাস্ক প্রদেশের ওলেনিয়া বিমানঘাঁটিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। গত ১ জুন ঠিক সেখানেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার ইস্তাম্বুলে শুরু হতে যাওয়া নতুন শান্তি আলোচনার ওপর এই অভিযানের একটি ছায়া নিশ্চয় থাকবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালিয়েছে, কখনো কখনো শত শত ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সন্ত্রস্ত করেছে। গত ৩১ মে রাতে শুরু হওয়া একটি হামলায় রেকর্ড ৪৭২টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কিয়েভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেখাতে চাচ্ছিল যে, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইলে মূল্য দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই অভিযান কি পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে, নাকি কেবল ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে?
রাশিয়ার দেশপ্রেমিক সামাজিক-গণমাধ্যম নেটওয়ার্কগুলোতে এরই মধ্যে এই হামলার জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। অনেকে এই মুহূর্তটিকে ১৯৪১ সালে জাপানের পার্ল হারবারে আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের ওপর আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করছেন। একজন জ্যেষ্ঠ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, এই অভিযানের কারণে পশ্চিমা অংশীদাররা ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘চিন্তা হচ্ছে যে এটি সিনোপের মতো হয়ে যায় কিনা।’ ১৮৫৩ সালে একটি অটোমান বন্দরে রাশিয়ার হামলার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এটি শেষ পর্যন্ত আক্রমণকারীকে বিশ্ব মঞ্চে একা করে দিয়েছিল।
এদিকে গত ১ জুনের এই অভূতপূর্ব ঘটনা পশ্চিমা সশস্ত্র বাহিনীগুলোও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পশ্চিমা দেশগুলো অর্থ সাশ্রয়ের জন্য বহু বছর ধরে যুদ্ধবিমানগুলো ক্রমশ অল্পসংখ্যক বিমানঘাঁটিতে কেন্দ্রীভূত করছে। তারা বিমানগুলোকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা করার জন্য কোনো পোতাশ্রয় নির্মাণে বিনিয়োগ করেনি। আমেরিকার নিজস্ব কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো স্যাটেলাইট ছবিতে খোলা জায়গায় দৃশ্যমান। ওয়াশিংটনের থিংক-ট্যাংক সিএনএএস-এর টম শুগার্ট লিখেছেন, ‘কল্পনা করুন, খেলার দিনে, রেলইয়ার্ডে, বন্দরে বা উপকূলের চীনা মালিকানাধীন কন্টেইনার জাহাজে, এলোমেলো অবকাঠামোতে পার্ক করা ট্রাকে থাকা কন্টেইনারগুলো... থেকে হাজার হাজার ড্রোন উড়ে আসছে, যা মার্কিন বিমানবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে দেন যে, এটা শুধু কল্পনা নয়, বাস্তবে ঘটতে পারাটা খুবই সম্ভব।

গতকাল ১ জুন দুপুরের পরপরই রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এক অভূতপূর্ব চাঞ্চল্য দেখা যায়। ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে এ যাবৎকালের সবচেয়ে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছে। যেই ঘটনাকে বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। পূর্ব সাইবেরিয়ার ইরকুৎস্ক প্রদেশ থেকে রাশিয়ার সুদূর উত্তরে মুর্মাস্ক পর্যন্ত, ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে এই আক্রমণে লক্ষ্যবস্তু ছিল রাশিয়ার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করছে, এই হামলায় রাশিয়ার যে পরিমাণ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে তাতে ক্ষতি প্রায় ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।
স্থানীয়দের পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যায়, ছোট কোয়াডকপ্টার ড্রোনগুলো একটি লরি থেকে বেরিয়ে নিকটবর্তী বিমানঘাঁটির দিকে উড়ে যাচ্ছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী লিখেছেন, ‘আমি একটি টায়ারের দোকানে কাজ করি। একটি ট্রাক এসে থামল, আর তার ভেতর থেকে ড্রোন উড়ে গেল!’
ইউক্রেনের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ এই অভিযানের দায় স্বীকার করেছে এবং এর কোড নাম দিয়েছে ‘স্পাইডার ওয়েব’। তারা জানিয়েছে, এই আক্রমণে ৪১টি রুশ বিমান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে বিরল এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল এ-৫০ আর্লি-ওয়ার্নিং প্লেন (রাশিয়ার এওয়াকস সমতুল্য) এবং টু-২২ এম ৩ ও টু-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমানও রয়েছে। এসবিইউ-এর প্রধান ভাসিলি মাল্যুকের একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো, সবই মনোরমভাবে পুড়ছে।’
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় আঘাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানের সংখ্যা তুলনামূলক কম–সম্ভবত ৯০ টিরও কম টু-২২, টু-৯৫ এবং নতুন টু-১৬০ বর্তমানে অপারেশনাল রয়েছে। এই বিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হলেও, সম্প্রতি ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে প্রচলিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এগুলো ইউক্রেনীয় সামরিক পরিকল্পনাকারীদের জন্য উচ্চ অগ্রাধিকারের লক্ষ্যবস্তু ছিল। বেশির ভাগ বিমানই পুরোনো এবং এখন আর উৎপাদ করা হয় না। শেষ টু-২২ এম ৩ এবং টু-৯৫ প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি আগে তৈরি, আর সেগুলোর প্রতিস্থাপন, টু-১৬০-এর উৎপাদনও অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে।
রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
ক্রেমলিনের সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের অভিযানগুলোর পরিসর ও নির্ভুলতা ধীরে ধীরে বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের রাশিয়ার গভীরে ঢুকে আক্রমণে কিছু সহায়তা দিয়েছে। গত ২৮ মে জার্মানি ইউক্রেনীয় দূরপাল্লার ড্রোনে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বেশির ভাগ প্রযুক্তি এবং মিশন পরিকল্পনা ইউক্রেনের নিজস্ব।
গত ১ জুনের এই অপারেশনকে আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হামলা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, এই মিশনের পরিকল্পনা করতে ১৮ মাস সময় লেগেছে। রাশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি থেকে এবং রাতের বেলা বড় আকারের ফিক্সড-উইং ড্রোনের আক্রমণের আশঙ্কা করছিল। ইউক্রেন রাশিয়ার ধারণা উল্টে দিয়েছে। তারা দিনের বেলায় ছোট ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে এবং তা করেছে সম্মুখভাগ থেকে অনেক দূরে। ইউক্রেন এর আগেও রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে; কিন্তু এবারের পার্থক্য ছিল অভিযানের মাত্রা এবং সমন্বিত প্রকৃতিতে।
ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার ঘনিষ্ঠ ভাষ্যকাররা মনে করেন, এই অভিযানের জন্য রাশিয়ার অভ্যন্তরে ১৫০টি ড্রোন এবং ৩০০টি বোমা সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হয়েছিল। কোয়াডকপ্টারগুলো সম্ভবত কাঠের কেবিনে ঢুকিয়ে লরিতে লোড করা হয়েছিল। এরপর কেবিনের ঢাকনা দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুলে ফেলার পর ড্রোনগুলো উড়ানো হয়েছিল। ড্রোনগুলো রাশিয়ারই মোবাইল-টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইউক্রেনে ফুটেজ পাঠিয়েছে। বহু ইউক্রেনীয় সেই ফুটেজ শেয়ার করেছে। দাবি করা হচ্ছে, এই অপারেশনে স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য নির্ধারণের প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে।
একজন ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ট্রাকের চালকেরা সম্ভবত জানতেন না যে তাঁরা কী বহন করছেন। তিনি এই অপারেশনের এই দিকটিকে ২০২২ সালের কের্চ সেতু আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে একটি লরিতে লুকানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণে ক্রিমিয়াকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তকারী সেতুর একটি অংশ ধ্বংস হয়। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের অপারেশন খুব জটিল, যেখানে মূল খেলোয়াড়দের অন্ধকারে রাখা জরুরি।’
সূত্রটি এই অপারেশনকে একটি বহু-পর্যায়ের দাবার চাল হিসেবে বর্ণনা করেছে, যেখানে ইউক্রেনের অন্যান্য ঘাঁটিতে হামলা সুযোগ দিয়ে রুশদের প্রথমে আরও বেশি বিমান নির্দিষ্ট ঘাঁটিতে সরিয়ে নিতে উৎসাহিত করা হয়েছিল। আক্রমণের তিন দিন আগে, প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডজন ডজন বিমান মুর্মাস্ক প্রদেশের ওলেনিয়া বিমানঘাঁটিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। গত ১ জুন ঠিক সেখানেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার ইস্তাম্বুলে শুরু হতে যাওয়া নতুন শান্তি আলোচনার ওপর এই অভিযানের একটি ছায়া নিশ্চয় থাকবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালিয়েছে, কখনো কখনো শত শত ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সন্ত্রস্ত করেছে। গত ৩১ মে রাতে শুরু হওয়া একটি হামলায় রেকর্ড ৪৭২টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কিয়েভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেখাতে চাচ্ছিল যে, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইলে মূল্য দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই অভিযান কি পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে, নাকি কেবল ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে?
রাশিয়ার দেশপ্রেমিক সামাজিক-গণমাধ্যম নেটওয়ার্কগুলোতে এরই মধ্যে এই হামলার জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। অনেকে এই মুহূর্তটিকে ১৯৪১ সালে জাপানের পার্ল হারবারে আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের ওপর আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করছেন। একজন জ্যেষ্ঠ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, এই অভিযানের কারণে পশ্চিমা অংশীদাররা ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘চিন্তা হচ্ছে যে এটি সিনোপের মতো হয়ে যায় কিনা।’ ১৮৫৩ সালে একটি অটোমান বন্দরে রাশিয়ার হামলার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এটি শেষ পর্যন্ত আক্রমণকারীকে বিশ্ব মঞ্চে একা করে দিয়েছিল।
এদিকে গত ১ জুনের এই অভূতপূর্ব ঘটনা পশ্চিমা সশস্ত্র বাহিনীগুলোও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পশ্চিমা দেশগুলো অর্থ সাশ্রয়ের জন্য বহু বছর ধরে যুদ্ধবিমানগুলো ক্রমশ অল্পসংখ্যক বিমানঘাঁটিতে কেন্দ্রীভূত করছে। তারা বিমানগুলোকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা করার জন্য কোনো পোতাশ্রয় নির্মাণে বিনিয়োগ করেনি। আমেরিকার নিজস্ব কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো স্যাটেলাইট ছবিতে খোলা জায়গায় দৃশ্যমান। ওয়াশিংটনের থিংক-ট্যাংক সিএনএএস-এর টম শুগার্ট লিখেছেন, ‘কল্পনা করুন, খেলার দিনে, রেলইয়ার্ডে, বন্দরে বা উপকূলের চীনা মালিকানাধীন কন্টেইনার জাহাজে, এলোমেলো অবকাঠামোতে পার্ক করা ট্রাকে থাকা কন্টেইনারগুলো... থেকে হাজার হাজার ড্রোন উড়ে আসছে, যা মার্কিন বিমানবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে দেন যে, এটা শুধু কল্পনা নয়, বাস্তবে ঘটতে পারাটা খুবই সম্ভব।

হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৭ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
০২ জুন ২০২৫
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
০২ জুন ২০২৫
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৭ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
০২ জুন ২০২৫
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৭ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
০২ জুন ২০২৫
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৭ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে